“সময় এখন ভারতের”
“একবিংশ শতাব্দীর বর্তমান দশকের সময়কাল ভারতের জন্য অভূতপূর্ব”
“২০২৩এর প্রথম ৭৫ দিনের সাফল্য অর্জন প্রমাণ করে বর্তমান সময় ভারতেরই”
“ভারতের সংস্কৃতি এবং নমনীয় শক্তির প্রতি সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব এক আকর্ষণ রয়েছে”
“দেশকে যদি এগিয়ে যেতে হয় তাহলে তার গতিশীলতার প্রয়োজন এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে”
“আজ দেশের মানুষের মধ্যে এই আস্থা জন্মেছে যে সরকার তাঁদের প্রতি যত্নশীল”
“আমরা প্রশাসনিক কাজে মানবিকতার ছোঁয়া যুক্ত করেছি”
“ভারত আজ যা অর্জন করেছে তার মূল শক্তি আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতা”
“ভারতের এই সময়কে আমাদের ‘সব কা প্রয়াস’ ভাবনার মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে এবং স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের এই সময়ে উন্নত ভারত গড়ার যাত্রাপথে যা হবে চালিকাশক্তি”

ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের সঙ্গে যুক্ত সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমার নমস্কার। দেশ-বিদেশের সমস্ত দর্শক ও পাঠকদের অভিনন্দন। যাঁরা আজ ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তাঁদেরকেও অভিনন্দন। আমি এটা দেখে আনন্দিত যে, এই কনক্লেভের মূল ভাবনা হ’ল ‘দ্য ইন্ডিয়া মোমেন্ট’। আজ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক ও চিন্তাবিদরা বলছেন যে, এটি ইন্ডিয়ার মোমেন্ট, বা ভারতের মুহূর্ত। কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের মতো সংবাদ মাধ্যম যখন এই ইতিবাচকতা দেখায়, তখন তা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। আপনারা সকলেই জানেন যে, আজ থেকে ২০ মাস আগে আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছিলাম – এটাই সময়, সঠিক সময়। কিন্তু, এখানে পৌঁছতে আমাদের ২০ মাস সময় লেগেছে। তারপরও আমার ভাবনা একই ছিল – দিস ইজ ইন্ডিয়াজ মোমেন্ট – এটাই ভারতের মুহূর্ত।

বন্ধুগণ,

যে কোনও জাতির উন্নয়ন যাত্রায় অনেক উত্থান-পতন আসে, অনেক পর্যায় আসে। আজ একবিংশ শতাব্দীর এই দ্বিতীয় দশকে ভারতের সামনে যে সময় এসেছে, তা অভূতপূর্ব। কয়েক দশক আগে যে দেশগুলি এগিয়েছিল, উন্নতি করেছিল, তাদের সামনে পরিস্থিতি ছিল একেবারেই ভিন্ন। তারা এককভাবে নিজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এগিয়েছিল। তাদের এত প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়নি। কিন্তু আজ ভারত যে পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সমস্যাগুলি একেবারেই স্বতন্ত্র, অত্যন্ত বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। আজ বিশ্ব অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যায় আকীর্ণ। এখন দেখুন, ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারীর সঙ্গে আমরা লড়েছি ও লড়ছি। দুটো উন্নত দেশ মাসের পর মাস ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের সরবরাহ-শৃঙ্খল এলোমেলো হয়ে আছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট এমন যে আজকের মুহূর্তকে ‘ভারতের মুহূর্ত’ বলে দাবি করাটা এত সাধারণ কথা নয়।

আসলে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হচ্ছে। যার সাক্ষী আমরা সবাই। আজ গোটা বিশ্বে ভারতকে নিয়ে বিশ্বাস ও আস্থার পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আজ ভারত বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া অর্থ ব্যবস্থার দেশ। আজ ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্মার্ট ফোন ডেটার ক্রেতা হয়ে উঠেছে। আজ ভারত স্টার্টআপ থেকে গ্লোবাল ফিনটেক-এর বিবর্তন হারে সর্বপ্রথম। আজ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদক দেশ। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ বাস্তু ব্যবস্থার দেশ।

এরকম কত না বিষয় নিয়ে এখন সারা পৃথিবীতে আলোচনা চলছে। আগে কী হ’ত, তা যদি কেউ জানতে চান, তা হলে খোঁজ করে জানতে পারেন। কিন্তু, আমি এখন শুধু ২০২৩ সাল নিয়ে কথা বলতে চাই। ২০২৩ – এর সবে ৭৫ দিন পেরিয়েছে। আজ আমি সেই ৭৫ দিন নিয়েই কথা বলতে চাই। এই ৭৫ দিনের মধ্যে দেশে ঐতিহাসিক ‘গ্রিন বাজেট’ বা পরিবেশ-বান্ধব বাজেট এসেছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই কর্ণাটকের শিবমোগ্গায় একটি বিমানবন্দর উদ্বোধন হয়েছে। এই ৭৫ দিনে মুম্বাই মহানগরে মেট্রো রেলের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই দেশে বিশ্বের দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ পরিষেবা চালু হয়েছে। এই দিনগুলিতেই বেঙ্গালুরু – মাইসোর এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই দিল্লি – মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের একটি সেকশন চালু হয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই মুম্বাই ও বিশাখাপত্তনমের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলতে শুরু করেছে। আইআইটি ধারওয়াড়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন হয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই ভারত তার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১টি দ্বীপের নাম দেশের মহান বীর পরমবীরচক্র বিজেতাদের নামে নামকরণ করেছে।

বন্ধুগণ,

এই ৭৫ দিনের মধ্যেই ভারত পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের মাধ্যমে ই-২০ জ্বালানী চালু করেছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই তুমকুরুতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ আধুনিক হেলিকপ্টার কারখানা উদ্বোধন হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘অ্যাভিয়েশন অর্ডার’ দিয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই ভারত ই-সঞ্জীবনীর মাধ্যমে ১০ কোটি টেলিকনসালটেশনের লক্ষ্য অর্জন করেছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই ভারত ৮ কোটি নতুন নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল সংযোগ দিয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই উত্তর প্রদেশ – উত্তরাখন্ড রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

বন্ধুগণ,

এই ৭৫ দিনের মধ্যেই কুনো ন্যাশনাল পার্কে ১২টি চিতার নতুন ব্যাচ এসেছে। এই সময়ের মধ্যেই ভারতীয় মহিলা দল অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই দেশবাসী দুই-দু’টি অস্কার পুরস্কার জেতার আনন্দ পেয়েছে।

বন্ধুগণ,

এই ৭৫ দিনের মধ্যেই হাজার হাজার বিদেশি কূটনীতিবিদ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে এসেছেন। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই জি-২০’র ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি তিন দিনে একটি করে বৈঠক হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যেই দেশে এনার্জি সামিট বা শক্তি উৎপাদন সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে। আর আজ সম্পন্ন হ’ল আন্তর্জাতিক মোটাদানার শস্য সম্মেলন। আমরা দেখেছি যে, বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ‘অ্যারো ইন্ডিয়া’য় অনুশীলনে অংশগ্রহণের জন্য ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা ভারতে এসেছিলেন। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই ভারতের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ইউপিআই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই ৭৫ দিনের মধ্যেই ভারত ‘অপারেশন দোস্ত’ – এর মাধ্যমে তুরস্কের ভয়ানক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মানুষের সাহায্যার্থে হাত বাড়িয়েছে। এখন থেকে কয়েক ঘন্টা আগে ভারত – বাংলাদেশ গ্যাস পাইপ লাইনের উদ্বোধন হ’ল। শুধুমাত্র এই ৭৫ দিনের মধ্যেই কাজের তালিকা এত দীর্ঘ যে বলতে শুরু করলে সময় কুলোবে না। আমি শুধু এই ৭৫ দিনের কিছু সাফল্যের কথা এখানে তুলে ধরলাম। কারণ, এই ঘটনাগুলি ভারতের মুহূর্তেরই তো প্রতিফলন।

বন্ধুগণ,

আজ দেশ একদিকে সড়কপথ, রেলপথ, সমুদ্র বন্দর ও বিমানবন্দরের মতো ভৌতিক পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। অন্যদিকে, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ‘সফট্ পাওয়ার’ – এর প্রতি বিশ্ববাসীর অভূতপূর্ব আকর্ষণ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যেই আমাদের প্রচেষ্টা আমাদের যোগ সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তেমনই আমাদের আয়ুর্বেদ এবং আমাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য ও পানীয় নিয়ে সারা পৃথিবী উৎসাহিত। আজ ভারতীয় সিনেমা ও সঙ্গীত নতুন প্রাণশক্তি দিয়ে বিশ্ববাসীকে অনুরক্ত করে তুলছে। আমাদের মিলেট ‘শ্রী অন্ন’ও ক্রমে সারা পৃথিবীতে পৌঁছে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সৌর সংঘের নেতৃত্ব প্রদান থেকে শুরু করে ‘কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ গড়ে তোলা, বিশ্ব আজ এই বিষয়টি অনুভব করছে যে, ভারতের ভাবনাগুলি এবং ভারতের সামর্থ্য বিশ্ব কল্যাণের জন্য। সেজন্য আজ বিশ্ববাসী বলছেন – এটা ভারতের মুহূর্ত।

আপনারা সকলে হয়তো একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন যে, এই সদ্ভাবনার প্রভাব বৃদ্ধি পায় গুণীতক হারে। একটা ছোট বিষয়ের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, ইদানীং অধিকাংশ দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন ভারত সফরে আসেন কিংবা আমরা যখন অন্যান্য দেশে যাই, তখন ভারত থেকে অতীতে চুরি হওয়া প্রাচীন মূর্তিগুলি তাঁরা নিজেরাই আমাদের ফেরৎ দিচ্ছেন। কারণ, তাঁরা এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, এগুলির প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন এখন ভারতেই সম্ভব। এটাই তো ভারতের মুহূর্ত।

এই পরিবর্তন নিজে থেকেই আসেনি বন্ধুগণ। আমাদের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবায়ণের মিশ্রণেই আমরা এই মুহূর্তকে অর্জন করতে পেরেছি। এখানে এত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রয়েছেন। আপনারা তো ২০১৪’র আগে সংবাদপত্রে অনেক শিরোনাম ও প্রতিবেদন লিখেছেন। তখন তো আমার মতো দোকানদার কেউ ছিলেন না। তখন আপনারা কিরকম শিরোনাম লিখতেন? অমুক ক্ষেত্রে এত লক্ষ কোটির কেলেঙ্কারি! দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণ পথে নেমেছে! আর আজ কী শিরোনাম লেখেন? দুর্নীতির মামলায় ভীত হয়ে দুর্নীতিবাজদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন! আপনারাই তো কেলেঙ্কারির খবর দেখিয়ে এত টিআরপি বাড়িয়েছেন। আর এখন সুযোগ এসেছে যে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দেশ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা দেখিয়ে টিআরপি বাড়ানোর। কারও চাপে ভারসাম্য হারাবেন না। এই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেবেন না।

বন্ধুগণ,

আগে বিভিন্ন শহরে বোমা বিস্ফোরণের শিরোনাম লিখতে হ’ত। নকশাল আক্রমণের শিরোনাম লিখতে হ’ত। আর আজ শান্তি ও সমৃদ্ধির খবরই বেশি লিখতে হয়। আগে পরিবেশ দূষণের অছিলায় বড় বড় পরিকাঠামো প্রকল্প থামিয়ে দেওয়ার খবর আসতো। আজ পরিবেশ-বান্ধব বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ইতিবাচক খবর আসে। নতুন নতুন হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে তোলার খবর আসে। আগে প্রায়ই রেল দুর্ঘটনার দুঃখজনক খবর আসতো। আজ আধুনিক রেল চলাচলের খবর আসে। আগে এয়ার ইন্ডিয়া দুর্নীতি এবং দুরাবস্থার সমালোচনা করতেন, আর আজ আপনারা এয়ার ইন্ডিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ার ক্র্যাফট্ ডিল – এ অংশগ্রহণের শিরোনাম লেখেন। প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নের মধ্যে এই পরিবর্তনই আজ আমাদের সামনে ভারতের মুহূর্তকে তুলে ধরেছে।

বন্ধুগণ,

যখন দেশ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে ওঠে, সংকল্পে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠে, তখন বিশ্বের বিদ্বানরাও ভারতকে নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন। এসবের মাঝে হতাশার কথা বলে, ভারতকে নীচু দেখানোর কথা, ভারতের মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টাও অনেকে করেন। কিন্তু আমরা জানি যে, কোথাও শুভ কিছু হলে একটা কালো টিকা লাগাতে হয়। আজ এত কিছু শুভ হচ্ছে, তাই কেউ কেউ এই কালো টিকা লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছে, যাতে আমাদের দিকে কারও নজর না লাগে।

বন্ধুগণ,

দাসত্বের দীর্ঘ কালখন্ডে আমরা দেশে দারিদ্র্যের দীর্ঘ অন্ধকার যুগ দেখেছি। এই যুগ যতই দীর্ঘ হোক না কেন, একটা বিষয় কিন্তু সবসময়েই ছিল। ভারতের গরীবরা যত দ্রুত সম্ভব এই দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। আজও তাঁরা সারাদিন কঠিন পরিশ্রম করেন। তাঁরা তাঁদের জীবনে পরিবর্তন চান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনে পরিবর্তন চান। তাঁরা শুধুই দু’বেলা রুটিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না।

বিগত দশকগুলিতে দেশে যত সরকার দায়িত্ব সামলেছে, তাঁরা নিজের নিজের সামর্থ্য এবং বুদ্ধি-বিবেচনা অনুযায়ী দারিদ্র্য দূরীকরণের চেষ্টাও করেছে। তাঁদের প্রচেষ্টার হিসাবে তাঁদের সরকার যথাযথ পরিণামও পেয়েছে। আমরা নতুন ধরনের পরিণাম চাই। সেজন্য আমরা আমাদের গতি বাড়িয়েছি। আর পরিমাপও বাড়িয়েছি। যেমন আগেও সরকার শৌচালয় নির্মাণ করতো। কিন্তু, আমরা রেকর্ড পরিমাণ দ্রুতগতিতে ১১ কোটিরও বেশি শৌচাগার নির্মাণ করেছি। ব্যাঙ্ক তো দেশে আগেও ছিল এবং গরীবদের নামে ব্যাঙ্কগুলির জাতীয়করণও করা হয়েছিল। কিন্তু, আমরা কী দেখেছি? একটু আগেই অরুণজী বিস্তারিত বলেছেন। আমরা দ্রুতগতিতে ৪৮ কোটি মানুষকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়েছি। দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্প আগে থেকেই চলছিল। আমরা এক্ষেত্রেও পরিবর্তন এনেছি। এখন গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে নিয়মিত তদারকিও করা হয়। এভাবেই আমরা ‘ওনার ড্রিভেন স্কিম’ নিয়ে এগিয়ে চলেছি। কারণ, আমরা দেখেছি যে, ওনার ড্রিভেন হলে দুর্নীতি কাছে ঘেঁষতে পারে না। ভালো বাড়ি নির্মাণ হয়।

বিগত ৯ বছরে গরীবদের জন্য ৩ কোটিরও বেশি বাড়ি নির্মাণ করেছি। অর্থাৎ, বিশ্বের অনেক দেশের মোট জনসংখ্যারও বেশি গৃহহীন মানুষকে আমরা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আগে আমাদের দেশে মহিলাদের নামে সম্পত্তি হ’ত না। গাড়ি, বাড়ি, দোকান, জমি সবই পুরুষদের নামে হ’ত। কিন্তু, আমরা গরীবদের যে বাড়িগুলি তৈরি করে দিয়েছি, সেগুলির মধ্যে প্রায় ২.৫ কোটি বাড়ির মালিকানা স্বামী – স্ত্রীর যৌথ নামে কিংবা শুধুই বাড়ির অগ্রজ মহিলার নামে হয়েছে। আপনারা ভাবুন, দেশের গরীব মহিলারা যখন নিজেদের ক্ষমতায়নকে অনুভব করেন, তখনই তো ভারতের মহূর্ত আসা সম্ভব হয়।

দেশে ক্রমাগত এরকম আরও অনেক পরিবর্তন এই ভারতের মুহূর্তকে এনেছে। যেগুলি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যম কোনও আলোচনা করে না। আপনা কি জানেন যে, সারা পৃথিবীতেই সম্পত্তির অধিকার একটি বড় সমস্যা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের মাত্র ৩০ শতাংশ জনসংখ্যার মানুষেরই তাঁদের সম্পত্তির ‘লিগালি রেজিস্টার্ড টাইটেল’ রয়েছে। অর্থাৎ, বিশ্বের ৭০ শতাংশের কাছাকাছি মানুষের কাছে তাঁদের সম্পত্তির আইনসম্মত নথিভুক্ত মালিকানার দস্তাবেজ নেই।

সম্পত্তির অধিকার না থাকা সারা পৃথিবীতেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক বড় প্রতিকূলতা বলে মনে করা হয়। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও এই সমস্যার মোকাবিলা করছে। কিন্তু, ভারত আজ এক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত দুই-আড়াই বছর ধরে ভারতে ‘পিএম স্বামীত্ব’ যোজনা চলছে। এতে প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ড্রোন ব্যবহার করে জমির মানচিত্রায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৩৪ হাজার গ্রামে এই ড্রোন সার্ভে সম্পূর্ণ হয়েছে। ১ কোটি ২২ লক্ষ মানুষকে ‘প্রপার্টি কার্ড’ দেওয়া হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়া আরেক দিক থেকে জনগণকে উপকৃত করেছে। গ্রামের মানুষ এখন আর এই ভয় পাচ্ছেন না যে, তাঁরা এখন গ্রামের বাইরে গেলে তাঁদের বাড়ি বা জমি দখল হয়ে যাবে।

এরকম অনেক নীরব বিপ্লব আজ ভারতে হচ্ছে। আর এই নীরব বিপ্লবগুলিই আজ এই ভারতের মুহূর্ত গড়ে তোলার আধার হয়ে উঠেছে। কৃষকদের আমরা কিভাবে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছি তার একটি উদাহরণ আমি দিতে চাই। আগে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কৃষকদের ঋণ মকুব হ’ত। কিন্তু, কোটি কোটি কৃষকের তো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ছিল না। তাঁরা তো চাষের আগে সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতেন। কাজেই সরকারের ঋণ মকুব তাঁদের কোনও কাজে লাগতো না। আমরা এই পরিস্থিতি বদলেছি। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছি। এর ফলে, আমার দেশে সেই ১১ কোটি ক্ষুদ্র কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যাঁদেরকে আগে কেউ পাত্তাই দিত না।

বন্ধুগণ,

যে কোনও দেশের উন্নয়নে, নীতি-নির্ধারণে থেমে থাকার অভ্যাস ‘স্ট্যাগনেশন’ এবং ‘স্ট্যাটাস কো’ একটি অনেক বড় প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। আমাদের দেশেও পুরনো ভাবনা ও দৃষ্টিকোণের ফলে, কয়েকটি হাতে গোণা পরিবারের মানসিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা একটি দীর্ঘ থেমে থাকা সময় দেখেছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারের কাজে সবসময় গতিশীলতা থাকতে হয়, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি থাকতে হয়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নতুনকে স্বীকার করার প্রগতিশীল মানসিকতা এবং সামর্থ্য থাকতে হয়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নিজের দেশবাসীর ক্ষমতা ও প্রতিভার উপর ভরসা থাকতে হয়। আর সর্বোপরি, দেশের সংকল্পগুলি এবং লক্ষ্য নির্ধারণের স্বপ্নগুলি যেন জনগণের আশীর্বাদধন্য হয় আর সেগুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেন তাঁদের অংশীদারিত্ব থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে হয়।

শুধুই সরকার আর ক্ষমতার মাধ্যমে যাঁরা সমস্যার সমাধান খোঁজেন, তাঁরা খুবই সীমাবদ্ধ ফল পান। কিন্তু যখন ১৩০ কোটি দেশবাসীর সামর্থ্য ঐক্যবদ্ধ হয়, যখন সকলে মিলেমিশে চেষ্টা করেন, তখন দেশের সামনে কোনও সমস্যা টিকতে পারে না। সেজন্য দেশের জনগণের মনে সরকারের উপর ভরসা থাকাও ততটাই প্রয়োজনীয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দেশবাসীর মনে এই বিশ্বাস জেগেছে যে, সরকার তাঁদের পরোয়া করে।

এর আরও কিছু কারণ আমি আপনাদের বলবো। তা হ’ল – প্রশাসনের মানবিক স্পর্শ ও সুশাসনে সংবেদনশীলতা। আমরা এই মানবিক স্পর্শের মাধ্যমেই অনেক ভালো ফল পেয়েছি। যেমন – আমাদের ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্প। আমাদের দেশে অনেক দশক ধরেই সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে শেষ গ্রাম বলে মনে করা হ’ত। কিন্তু, আমরা সেই গ্রামগুলিতে বসবাসকারী জনগণের মনে দেশের প্রথম গ্রাম হওয়ার বিশ্বাস এনে দিয়েছি। আমরা সেই গ্রামগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আজ সরকারের আধিকারিক ও মন্ত্রীরা এই গ্রামগুলিতে নিয়মিত যান, সেখানকার জনগণের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন, দীর্ঘ সময় কাটান।

উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণ আগে নিজেদের ‘দিল’ বা হৃদয়ের সঙ্গে দিল্লির দূরত্ব অনুভব করতেন। আমরা এখানেও প্রশাসনের সঙ্গে মানবিক স্পর্শকে যুক্ত করেছি। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ও আমলারাও নিয়মিত উত্তর-পূর্ব ভারত সফর করেন। যেমনটি একটু আগেই অরুণজী বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন, আর আমাদের এই মন্ত্রী ও আমলারা শুধুই সেই রাজ্যগুলির রাজধানীতে গিয়ে ক্ষান্ত হন না, তাঁরা দূরদূরান্তের এলাকাগুলিতে যান। আমি নিজেও ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারত সফরের হাফ সেঞ্চুরি করেছি।

বন্ধুগণ,

এই সংবেদনশীলতা শুধু যে দিল্লির সঙ্গে উত্তর – পূর্ব ভারতের দূরত্ব হ্রাস করেছে, তা নয়, সেই রাজ্যগুলিতে স্থায়ী শান্তি স্থাপনেও অনেক সহায়ক হয়েছে। আপনারা ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় আমাদের সরকারের কর্মসংস্কৃতি কেমন ছিল তা মনে করুন। দেশের কয়েক হাজার পরিবার তখন অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন। আমরা প্রায় ১৪ হাজার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে প্রত্যেকের বাড়িতে সরকারের পক্ষ থেকে অন্তত একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছি। সেই কঠিন সময়ে আমরা তাঁদের মনে আস্থা জাগিয়েছি যে, সরকার তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। ফলে তাঁরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, তাঁদের সন্তানের সঙ্গে সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে আর আগামীকাল কিংবা পরশু তাঁদের সন্তানকে নিয়ে আসা হবে।

মানবিক সংবেদনায় ভরপুর এহেন সুশাসনের মাধ্যমেই ভারতের মুহূর্ত তৈরি হওয়ার প্রাণশক্তি পাওয়া যায়। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, যদি প্রশাসনে এই মানবিক স্পর্শ না থাকতো, তা হলে আমরা করোনার বিরুদ্ধে এত বড় লড়াই জিততে পারতাম না।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত যা কিছু অর্জন করছে, তার পেছনে রয়েছে আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির শক্তি। বিশ্ববাসী আজ দেখতে পাচ্ছেন যে, ভারতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকার অনেক নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ‘ডেমোক্রেসি ক্যান ডেলিভার’। বিগত বছরগুলিতে ভারত অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সৌর সংঘ ভারতের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছে। কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা সিডিআরআইও ভারতের নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছে। আমাদের নীতি আয়োগ আজ ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করছে। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল দেশে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জিএসটি কাউন্সিল গড়ে তোলার ফলে দেশের কর ব্যবস্থা আধুনিক হয়ে উঠেছে।

বিশ্ববাসী আজ দেখছেন যে, কিভাবে ভারতে অধিকাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক অংশীদারিত্বের পথে এগিয়ে চলেছে। দেশে করোনা মহামারীর সময়েও সাফল্যের সঙ্গে অনেক নির্বাচন সম্পাদিত হয়েছে। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির শক্তি। বিশ্ব সঙ্কটের মধ্যেও আজ ভারতের অর্থ-ব্যবস্থাও শক্তিশালী, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও শক্তিশালী – এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির শক্তি। আমরা দেশের দূরদূরান্তে করোনার টিকা পৌঁছে দিয়েছি। ২২০ কোটিরও বেশি ডোজ টিকাকরণ করিয়েছি। এটাই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির শক্তি। আমি মনে করি যে, আমাদের গণতন্ত্র এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির এই সাফল্য কিছু কিছু মানুষ সহ্য করতে পারছেন না। সেজন্যই আক্রমণ করছেন। কিন্তু, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই ক্রমাগত আক্রমণের মধ্যেও ভারত তার লক্ষ্যগুলি ঠিক রেখে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যগুলি অর্জন করবে।

বন্ধুগণ,

ভারতের ভূমিকা যখন আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে, তখন ভারতের সংবাদমাধ্যমকেও তাদের ভূমিকাকে আন্তর্জাতিক করে তুলতে হবে। ‘সবকা প্রয়াস’ – এর মাধ্যমেই আমাদের ‘ইন্ডিয়া মোমেন্ট’কে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। স্বাধীনতার অমৃতকালে উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যাত্রাপথকে সুগম করতে হবে। আমি আরেকবার অরুণজীকে এবং ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁরা আমাকে এখানে আসার সুযোগ দিয়েছেন, কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন আর ২০২৪ সালেও আমাকে নিমন্ত্রণের সাহস দেখিয়েছেন। সেজন্য বিশেষ ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan

Media Coverage

Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister welcomes passage of SHANTI Bill by Parliament
December 18, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has welcomed the passage of the SHANTI Bill by both Houses of Parliament, describing it as a transformational moment for India’s technology landscape.

Expressing gratitude to Members of Parliament for supporting the Bill, the Prime Minister said that it will safely power Artificial Intelligence, enable green manufacturing and deliver a decisive boost to a clean-energy future for the country and the world.

Shri Modi noted that the SHANTI Bill will also open numerous opportunities for the private sector and the youth, adding that this is the ideal time to invest, innovate and build in India.

The Prime Minister wrote on X;

“The passing of the SHANTI Bill by both Houses of Parliament marks a transformational moment for our technology landscape. My gratitude to MPs who have supported its passage. From safely powering AI to enabling green manufacturing, it delivers a decisive boost to a clean-energy future for the country and the world. It also opens numerous opportunities for the private sector and our youth. This is the ideal time to invest, innovate and build in India!”