“Bharat Tex 2024 is an excellent platform to highlight India's exceptional capabilities in the textile industry”
“Thread of Bharat Tex connects the glorious history of Indian tradition with today’s talent; technology with traditions; and is a thread to bring together style, sustainability, scale and skill”
“We are focussing on tradition, technology, talent and training”
“We are working in a very wide ambit to further increase the contribution of Textile Sector in building a developed India”
“Textiles and Khadi have empowered women of India”
“Today technology and modernization can co-exist with uniqueness and authenticity”
“Kasturi Cotton is going to be a big step towards creating India's own identity”
“In PM-MITRA parks, Government strives to establish the entire value chain ecosystem in a single place where modern infrastructure with plug and play facilities are made available”
“Today a people’s movement is going on in the country for 'Vocal for Local and Local to Global’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী পীযূষ গোয়েলজী, দর্শনা জরডোশজী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, প্রবীণ কূটনীতিকগণ, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের আধিকারিকগণ, ফ্যাশন ও বস্ত্র শিল্প জগতের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুগণ, নবীন শিল্পোদ্যোগী ও ছাত্রগণ, আমাদের তাঁতী ও কারিগর বন্ধুরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

 

ভারত মণ্ডপম – এ আয়োজিত এই ভারত টেক্স, ২০২৪ অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে অভিনন্দন। আজকের এই আয়োজনের একটি নিজস্ব গুরুত্ব     রয়েছে। কারণ, একইসঙ্গে ভারতের দুটি বৃহত্তম প্রদর্শনী কেন্দ্র 'ভারত মণ্ডপম' এবং 'যশোভূমি'তে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৩ হাজারেরও বেশি প্রদর্শক …. ১০০টি দেশ থেকে সমাগত প্রায় ৩ হাজার ক্রেতা ও ৪০ হাজারেরও বেশি বাণিজ্য প্রদর্শক একসঙ্গে এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এই আয়োজন বস্ত্রশিল্প বাস্তুব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সমস্ত বন্ধুদের এবং সমগ্র মূল্য সংযোজন শৃঙ্খলের জন্য তাঁদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় একটি মঞ্চ প্রদান করছে। 

বন্ধুগণ,

আজকের এই আয়োজন নিছকই একটি টেক্সটাইল এক্সপো নয়, এই আয়োজন একসূত্রে অনেক কিছুকে যুক্ত করে মালা গেঁথেছে। ভারত টেক্স – এর এই সূত্র ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে আজকের প্রতিভাকে যুক্ত করেছে। আর প্রযুক্তির ঐতিহ্যকে একসঙ্গে গেঁথেছে। ভারত টেক্স – এর এই সূত্র স্টাইল, সাস্টেনিবিলিটি, স্কেল এবং স্কিল - এই সবকিছুকে একসঙ্গে গাঁথার সূত্র। যেভাবে একটি তাঁত অনেক সুতোকে একসঙ্গে জোড়ে, সেভাবেই এই আয়োজন ভারত ও গোটা বিশ্বের সূত্রগুলিকে একসঙ্গে যুক্ত করছে। আর আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি যে, এই এলাকাটি ভারতের ভাবনার বৈচিত্র্য আর একসূত্রে যুক্ত হওয়া সাংস্কৃতিক ঐক্যেরও স্থল হয়ে উঠেছে। কাশ্মীরের কানী শাল; উত্তর প্রদেশের চিকনকারী, জর্দোজি, বেনারসি সিল্ক; গুজরাটের পটোলা; কচ্ছের কঢ়াই, তামিলনাডুর কাঞ্জিবরম; ওড়িশার সম্বলপুরী; মহারাষ্ট্রের পৈঠানী– এরকম অনেক অনুপম ঐতিহ্যকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আমি একটু আগেই ভারতের সম্পূর্ণ বস্ত্র শিল্পের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরা প্রদর্শনী দেখেছি। এই প্রদর্শনী প্রমাণ করে যে, ভারতের বস্ত্র শিল্পের ইতিহাস কতটা গৌরবময়। এর সামর্থ্য কত বেশি ছিল। 

 

বন্ধুগণ,

আজ এখানে বস্ত্রশিল্পের মূল্য সংযোজন শৃঙ্খলের ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট মানুষরা রয়েছেন। আপনারা ভারতের বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রটিকে যেমন বোঝেন, তেমনই আমাদের প্রত্যাশা এবং সমস্যাগুলির সঙ্গেও পরিচিত। এখানে অত্যন্ত বৃহৎ সংখ্যক তাঁতী ও কারিগর ভাই ও বোনেরা রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূল স্তরে এই মূল্য সংযোজন শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত। অনেক বন্ধুর এক্ষেত্রে কয়েক প্রজন্মের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আপনারা জানেন যে, ভারত আগামী ২৫ বছরে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেছে। এই উন্নত ভারতের ৪টি প্রধান স্তম্ভ হ’ল – গরীব, নবীন প্রজন্ম, কৃষক এবং মহিলা। আজ ভারতের বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রটিও এই ৪টি স্তম্ভের সঙ্গে যুক্ত। সেজন্য ভারত টেক্স, ২০২৪ – এর মতো আয়োজনের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। 

বন্ধুগণ,

উন্নত ভারত নির্মাণে বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রের অবদান বৃদ্ধির জন্য আমরা অত্যন্ত বিস্তৃত পরিধিতে কাজ করছি। আমরা ঐতিহ্য, প্রযুক্তি, মেধা ও প্রশিক্ষণের উপর বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের যত পারম্পরিক জ্ঞান রয়েছে, সেগুলিকে আজকের ফ্যাশনের চাহিদা অনুসারে কিভাবে আধুনিক ও উন্নত করা যেতে পারে, কিভাবে এর নক্‌শায় নতুনত্ব আনা যায়, সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। আমরা বস্ত্রশিল্প মূল্য সংযোজন শৃঙ্খলের ৫টি ‘এফ’ এর সূত্র দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করছি। এই ৫টি ‘এফ’ হ’ল – ফার্ম, ফাইবার, ফেবরিক, ফ্যাশন এবং ফরেন। এই সবকিছুর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা দৃশ্য আমাদের সামনে রয়েছে। ৫টি ‘এফ’ এর এই সিদ্ধান্তকে মাথায় রেখে আমরা কৃষক, তাঁতী, ক্ষুদ্র অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানীকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। এই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে উৎসাহ যোগানো ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বিনিয়োগ ও টার্নওভারের দৃষ্টিকোণ থেকে মাঝারি শিল্পোদ্যোগের পরিভাষাও সংশোধন করেছি। এর ফলে, শিল্পোদ্যোগগুলির পরিমাপ এবং আকার বড় হওয়ার পরও তারা সরকারি প্রকল্পগুলির দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। আমরা কারিগরদের সঙ্গে বাজারের দূরত্বকে কমিয়েছি। দেশের প্রত্যক্ষ বিক্রয়, প্রদর্শনী এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মতো অনেক পরিষেবা বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

আগামী দিনে দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে ৭টি 'প্রধানমন্ত্রী মিত্র পার্ক' গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্প আপনাদের মতো বন্ধুদের জন্য কত বড় সুযোগ নিয়ে আসতে চলেছে, তার কল্পনা আপনারা করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মূল্য সংযোজন শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত সম্পূর্ণ বাস্তু ব্যবস্থাকে এক জায়গায় প্রস্তুত করা যায়, যেখানে একটি আধুনিক, সংহত ও বিশ্বমানের পরিকাঠামোকে ‘প্ল্যাগ অ্যান্ড প্লে ফেসিলিটিজ’ – এর মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। এর ফলে, শুধু 'স্কেল অফ অপারেশন' বাড়বে না, পরিবহণের খরচও হ্রাস পাবে। 

 

বন্ধুগণ,

আপনারা জানেন যে, বস্ত্র ও পোশাক শিল্প দেশে বৃহৎ সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান করে। এতে খামার থেকে শুরু করে এমএসএমই এবং রপ্তানী পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক রোজগার তৈরি করে। এই সম্পূর্ণ ক্ষেত্রে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত পুরুষ ও মহিলাদের বড় অংশীদারিত্ব থাকে। পোশাক প্রস্তুতকারী প্রত্যেক ১০ জন বন্ধুর মধ্যে ৭ জনই মহিলা। আর হস্তচালিত তাঁতের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা আরও বেশি। বস্ত্রশিল্প ছাড়া খাদিও আমাদের দেশের মহিলাদের নতুন শক্তি যুগিয়েছে। আমি একথা বলতে পারি যে, বিগত ১০ বছরে আমরা যত চেষ্টা করেছি, সবই খাদির উন্নয়ন এবং রোজগার প্রদানের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। অর্থাৎ, খাদি গ্রামে গ্রামে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বিগত ১০ বছরে সরকার গরীব কল্যাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করার ফলে দেশে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। যা আমাদের বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রটিকে অনেক লাভবান করে তুলেছে। 

বন্ধুগণ,

আজকের ভারত বিশ্বে তুলো, পাট এবং রেশমের বৃহৎ উৎপাদকদের অন্যতম। লক্ষ লক্ষ কৃষক এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সরকার আজ লক্ষ লক্ষ তুলো চাষীদের সহায়তা করছে। তাঁদের থেকে কয়েক লক্ষ ক্যুইন্টাল তুলো কেনা হয়েছে। সরকার যে কস্তুরি কটন বাজারে এনেছে, তা ভারতের একটি নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হয়ে উঠবে। আমরা আজ পাট চাষী এবং পাট শ্রমিকদের জন্যও কাজ করছি। আমরা রেশম শিল্প ক্ষেত্রটিকে নিয়মিত উৎসাহ যোগাচ্ছি। 'ফোর-এ গ্রেড' রেশম উৎপাদনে আমরা কিভাবে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবো, তার চেষ্টা চলছে। পরম্পরার পাশাপাশি, আমরা এ ধরনের ক্ষেত্রগুলিকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, যেগুলিতে এখনও ভারতকে অনেক কিছু অর্জন করতে হবে। যেভাবে প্রযুক্তি-নির্ভর বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি, আপনারা জানেন যে, এই প্রযুক্তি-নির্ভর হস্তশিল্পের সম্ভাবনা কত বেশি। সেজন্য নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে আমরা ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল টেক্সটাইল মিশন’ চালু করেছি। আমরা চাই যে, এর জন্য যন্ত্রাংশ ও উপকরণের উন্নয়নও ভারতেই হোক। সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে। প্রযুক্তি-নির্ভর বস্ত্র শিল্পে স্টার্টআপ শুরু করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সেজন্যও নির্দেশনা প্রস্তুত করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

আজকের বিশ্বে যেখানে একদিকে প্রযুক্তি ও যন্ত্রসর্বস্বতা রয়েছে, অন্যদিকে নিজস্বতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার চাহিদাও রয়েছে। আর উভয়কে একসঙ্গে রাখতে পর্যাপ্ত স্থানও রয়েছে। যখনই হস্তনির্মিত নক্‌শা বা বস্ত্রশিল্পের প্রসঙ্গ আসে, অনেকবার আমাদের শিল্পীদের তৈরি করা পণ্য কোনও না কোনোভাবে অন্যদের থেকে আলাদা করে চেনা যায়। আজ যখন গোটা বিশ্ব পরস্পরের থেকে আলাদা করে নিজেদের দেখাতে চায়, তখন এ ধরনের শিল্পের চাহিদাও বেড়ে যায়। সেজন্য আজ ভারতে আমরা পরিমাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি, এক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির উপরও অনেক জোর দিচ্ছি। দেশে 'ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি' বা 'এনআইএফটি'-র নেটওয়ার্ক এখন ১৬টি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির আশপাশের এলাকায় বসবাসকারী তাঁতী ও কারিগরদেরও যুক্ত করা হচ্ছে। তাঁদের জন্য নানা সময়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা নতুন নতুন ধারা ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারেন। দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষমতা নির্মাণের জন্য আমরা ‘সমর্থ যোজনা’ চালু করেছি। এর মাধ্যমে ২.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর অধিকাংশই মহিলা। এদের মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে এই শিল্পে নিয়োগ করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

বিগত এক দশকে আমরা একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছি, সেটি হ’ল – ভোকাল ফর লোকাল। আজ গোটা দেশে ‘ভোকাল ফর লোকাল’, এবং ‘লোকাল টু গ্লোবাল’ – এর গণআন্দোলন চালু হয়েছে। আপনারা সকলে ভালোভাবেই জানেন যে, ছোট ছোট তাঁতী, কারিগর, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য জাতীয় স্তরে বিজ্ঞাপন ও বাজারজাতকরণের বাজেট হয় না আর হওয়াটাও সম্ভব নয়। সেজন্য আপনারা করুন বা না করুন, মোদী এগুলির জন্য প্রচার করছে। আমাদের এই বন্ধুদের জন্যও সরকার সারা দেশে প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। 

 

বন্ধুগণ,

এই স্থির এবং গুণবর্ধক নীতি প্রণয়নকারী সরকারের ইতিবাচক প্রভাবের ফলে এক্ষেত্রে স্পষ্ট উন্নতি হচ্ছে। ২০১৪ সালে ভারতের বস্ত্র শিল্প বাজারের মূল্যায়ন ৭ লক্ষ কোটি টাকারও কম ছিল। আর আজ তা ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। বিগত ১০ বছরে ভারতে সুতো উৎপাদন, 'ফেব্রিক' উৎপাদন ও সার্বিকভাবে পোশাক উৎপাদন ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। সরকার এক্ষেত্রে উৎকর্ষ নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে এরকম প্রায় ৩৮০টি 'বিআইএস স্ট্যান্ডার্ড' তৈরি করা হয়েছে, যা বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। সরকারের এ ধরনের প্রচেষ্টার ফলেই এক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী ১০ বছরে যত পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, এক্ষেত্রে তার প্রায় দ্বিগুণ আমাদের সরকারের সময়ে এসেছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের বস্ত্রশিল্পের শক্তিকে আমরা দেখেছি। আর এ থেকে আমার অনেক প্রত্যাশা। আপনারা সবাই যে কী করে দেখাতে পারেন, তা কোভিডের সময় দেখেছি। যখন দেশ ও বিশ্ব পিপিই কিট এবং মাস্কের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন ভারতের বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্র সমাধান নিয়ে এগিয়ে এসেছে। সরকার এবং বস্ত্রশিল্প সম্পূর্ণ সরবরাহ-শৃঙ্খলকে একত্রিত করেছে। রেকর্ড সময়ে শুধু দেশেই নয়, গোটা বিশ্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক এবং কিট পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতকে একটি বিশ্ব রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত করে তুলতে পারবো। সেজন্য আপনাদের যত সহায়তা দরকার, সরকার সম্পূর্ণ সেই সহায়তা করবে। এ জন্য তো আমার হাততালি প্রাপ্য ভাই! কিন্তু এখনও আমি মনে করি যে, আপনাদের অ্যাসোসিয়েশনগুলি অত্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে। সেগুলিকে কিভাবে যুক্ত করে একসঙ্গে আনা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। না হলে  এক্ষেত্রের একদল মানুষ হয়তো নিজেদের সমস্যার কথা বলে, কান্নাকাটি করে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেল,  তারপর অন্য আরেকদল এলেন, যাদের চাহিদা এর সম্পূর্ণ বিপরীত, তাঁরা বলেন এটি প্রয়োজনীয়। সুতরাং, যখন এই ধরনের বিরোধপূর্ণ জিনিসগুলি আপনাদের কাছ থেকে আসে, তাঁরা একদলকে সাহায্য করে এবং অন্যদের লোকসান হয়। আপনারা সবাই মিলে কিছু বিষয় নিয়ে এলে বিষয়গুলিকে সংহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আর আমি চাই যে, আপনারা এভাবে সম্মিলিত হয়েই এগিয়ে যান। 

দ্বিতীয়ত, বিশ্বে যত পরিবর্তন আসছে, আমরা সেই পরিবর্তনগুলির ক্ষেত্রে অনেক শতাব্দীকাল এগিয়ে রয়েছি। যেমন গোটা বিশ্ব আজ পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সামগ্রিক জীবনশৈলী এবং খাদ্যের ক্ষেত্রেও মূলের দিকে ফেরার দিকে যাচ্ছে। তাঁরা তাঁদের চালচলন এবং বস্ত্র পরিধানের ক্ষেত্রেও মূলের দিকে ফেরার দিকে যাচ্ছে। তাঁরা এখন ৫০ বার ভাবেন, যে কাপড় পরবো, তার রঙে  কোন রাসায়নিক রয়েছে। প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে রাঙানো কাপড়ই তাঁরা পরতে চান। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক বাজার এখন ভিন্নরকম হয়ে উঠেছে। তাঁদের চাহিদাও অন্যতর। আমরা কী করবো, ভারতের এত বড় বাজার, আর আমরাও এর বাইরে তাকানোর ইচ্ছে রাখি না। আমার অনুরোধ, আজকের এই প্রদর্শনীর পর এই চিন্তা-ভাবনার গণ্ডী থেকে বেরিয়ে আসুন। 

 

আপনাদের মধ্যে কেউ কি গবেষণা করেছেন যে, আফ্রিকার বাজারে কোন ধরনের কাপড় আর কী ধরনের রঙের সমন্বয় চাই। কোন আকারের জামাকাপড় তাঁরা পরেন। আমরা সাধারণত এমনিতে এ ধরনের কোনও গবেষণা করি না। যদি সেইসব দেশ থেকে কেউ চেয়ে পাঠান, অর্ডার দেন, তবেই এ বিষয়ে ভাবি। আমার মনে আছে, আফ্রিকার মানুষ যে বস্ত্র পরিধান করেন, তা প্রস্থে আমাদের তুলনায় একটু বড় হয়। যতটা কাপড় দিয়ে আমাদের দেশে একটি পাঞ্জাবী তৈরি হতে পারে, তা  সেখানকার মানুষের গায়ে হবে না। আমাদের সুরেন্দ্রনগরে একজন তাঁতী এ ক্ষেত্রে চেষ্টা করেছেন, তিনি তাঁর হস্তচালিত তাঁতে নিজের কাপড়ের আকার প্রস্থে বাড়িয়েছেন। আর তাঁদের চাহিদা মতো রঙের সমন্বয় ঘটিয়েছেন। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, তাঁর তৈরি করা কাপড়ের চাহিদা আফ্রিকার বাজারে এত প্রসিদ্ধ হয়েছে যে, তাঁর কাছে প্রচুর অর্ডার আসতে থাকে। কারণ, সেখানে নিয়ে গিয়ে আলাদা করে সেলাই করার প্রয়োজন পড়েনি। আপনারাও এরকম গবেষণা করে দেখুন। 

আমি একটু আগেই একটি প্রদর্শ    নী দেখছিলাম, সেখানে বলেছি, বিশ্বের অনেক জায়গায়, প্রায় সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জিপসি সমাজের মানুষরা থাকেন। তাঁরা যেরকম জামাকাপড় পরেন, আপনারা যদি ভালোভাবে দেখেন, তা হলে বুঝতে পারবেন যে, তা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের পাহাড়ি এলাকার মানুষদের মতো। আমাদের রাজস্থান ও গুজরাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে জনজাতি মানুষরা থাকেন, তাঁদের পোশাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে। তাঁদের রঙের পছন্দ একই রকম। আপনারা কেউ কি চেষ্টা করে এই জিপসি-দের প্রয়োজন অনুসারে, জামাকাপড় তৈরি করে এত বড় বাজার দখল করার চেষ্টা করেছেন? আমি কোনও রকম রয়্যালটি না নিয়ে এসব উপদেশ দিচ্ছি! আমাদের ভাবতে হবে যে, বিশ্বের কোথায় কার চাহিদা কেমন! আমি দেখেছি যে, এখানে প্রদর্শনীতে কোনও রাসায়নিক রঙের বস্ত্র নেই। আপনাদের সরবরাহ-শৃঙ্খলে রাসায়নিক চাহিদাসম্পন্নরা নেই। আপনারা চেষ্টা করুন, বিভিন্ন সব্জি থেকে যাঁরা রঙ যাঁরা তৈরি করেন, তাঁদেরকে উৎসাহ দিন। তাঁদের রঙ ব্যবহার করে আপনাদের পণ্য বেশি করে বিশ্ব বাজারে পৌঁছান। আমাদের খাদিরও এরকম বিশ্বের বাজারে যাওয়ার শক্তি রয়েছে। কিন্তু, আমরা একে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ও পরবর্তী সময়ে নেতাদের নির্বাচনী পোশাকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি। আমার মনে আছে যে, ২০০৩ সালে আমি একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এই পদক্ষেপকে আমি পরাক্রমও বলতে পারি। কারণ, যাঁদের মাঝে দাঁড়িয়ে আমি কথাগুলি বলছি, এখানে এই পদক্ষেপকে পরাক্রম বলা যায়।

 

২০০৩ সালের ২ অক্টোবর পোরবন্দরে আমি একটি ফ্যাশন শো – এর আয়োজন করেছিলাম। এখন আমাদের দেশে কোথাও ফ্যাশন শো-র আয়োজন হলে ৪-৬ জন মানুষ পতাকা নিয়ে বিরোধিতা করতে শুরু করেন। ২০০৩ – এ কী অবস্থা হয়েছিল, আপনারা কল্পনা করতে পারেন। আমি গুজরাটের এনআইডি-র ছাত্রদের ভালোভাবে বোঝালাম। আমি বললাম, ২ অক্টোবরে এই খাদির কাপড় নেতারা পরেন। আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ। একে সাধারণ মানুষের পরিধেয় করে তুলতে হবে। সামান্য পরিশ্রম করে আমি গান্ধীজী এবং ভিনোবা ভাবের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, সেরকম গান্ধীবাদী মানুষদের একত্রিত করি। তাঁদেরকে সেখানে বসাই। “বৈষ্ণবজনো কো তে নে রে কহিয়ে” গান চলতে থাকে – উপর তলায় ফ্যাশন শো-ও চলতে থাকে। সমস্ত যুবক-যুবতীরা আধুনিক কায়দায় তৈরি খাদি বস্ত্র পরে এলে ভাওজী খুব খুশী হন। ভাওজী ছিলেন ভিনোবাজীর এক অনুগামী। এখন আর বেঁচে নেই, তিনি আমার সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা খাদিকে নিয়ে এভাবে ভাবিনি। খাদিকে জনপ্রিয় করার এটাই প্রকৃত পথ। আপনারা দেখুন, সেই থেকে শুরু হওয়া নতুন নতুন প্রয়োগের পরিণামে খাদি আজ কোথায় পৌঁছে গেছে। এখনও গ্লোবাল হয়েছে বলা যায় না, এখনও আমাদের দেশের মধ্যেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কিন্তু, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এরকম অনেক কিছু নতুনভাবে ভাবলে আমরা একে আন্তর্জাতিক বাজারেও সফল করতে পারবো। ভারতের মতো দেশ, যেখানে বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস এত সুপ্রাচীন। আমরা যেমন ঢাকার মসলীনের কথা শুনেছি, একটি শাড়ি একটি আঙটির মধ্য দিয়ে গলে যেত – এইসব গল্প কি এখনও শুনতে থাকবো। আমরা কি বস্ত্রশিল্প প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত যন্ত্র নির্মাণ, সেগুলির জন্য গবেষণাকে উৎসাহ যোগাতে পারি। আমাদের আইআইটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং – এর ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও অনেক অভিজ্ঞ মানুষ রয়েছেন, যাঁরা নতুন নতুন অনেক কিছু করতে পারেন। 

আপনাদের সামনে হীরে শিল্পের উদাহরণ রয়েছে। হীরে শিল্পের ক্ষেত্রে যত যান্ত্রিক প্রয়োজনীয়তা ছিল, সেগুলি এদেশেই উন্নত করা হয়েছে। আর হীরে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সূক্ষ্ম ভাবে  কাটা ও পালিশ করার কাজ এখন ভারতে তৈরি যন্ত্র দিয়েই খুব ভালোভাবে চলছে। বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে সক্ষম মানুষরা কি মিশন মোডে এরকম কিছু করতে পারেন না! আপনাদের অ্যাসোসিয়েশনগুলি থেকে বড় মাপের প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বেশি উৎপাদনে সক্ষম বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদনে সক্ষম নতুন নতুন যন্ত্র যারা নিয়ে আসবে, তাদেরকে বড় মূল্যের পুরস্কার দিন। আপনারা এসব কেন করতে পারবেন না?

সম্পূর্ণ রূপে নতুনভাবে ভাবুন বন্ধুরা। আজ আমরা যদি ভাবি যে, বিশ্ব বাজারে আমাদের ছড়িয়ে পড়তে কী কী করতে হবে! তাদের পছন্দ নিয়ে সমীক্ষা চালাতে হবে, গবেষণা করতে হবে, প্রতিবেদন লিখতে হবে। আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা কোথায় কিরকম বস্ত্রের চাহিদা রয়েছে! যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা কী ধরনের কাপড় পরতে চান, সেগুলি আমরা কেন বানাবো না? আমরা কি বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পোশাক, হাসপাতাল ও অপারেশন থিয়েটারের উপযোগী পোশাক বানাতে পারি না! যে কাপড় একবার পরে ফেলে দিতে হয়, তার বাজার অনেক বড় হয়। আমরা কি এ ধরনের কোনও ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারি না, যা বিশ্বমানের হবে? আমরা তাদের হাতে তুলে দিয়ে বলবো, এগুলি পরে হাসপাতালে বড় অপারেশন করতে যান, আরাম পাবেন, রোগীরও কোনও অসুবিধা হবে না। এরকম ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারলে, আমরা আন্তর্জাতিক স্তরে লাভের মুখ দেখবো। ভারতের বস্ত্রশিল্প একটি বড় ক্ষেত্র। কোটি কোটি মানুষের রোজগার এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আপনারা বিশ্বের বাজারে শুধু যাবেন না, শুধু তাদের ফ্যাশনকে অনুসরণ করবেন না, আমি চাই যে আপনারা বিশ্বের ফ্যাশনে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা তো আর ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নতুন নই। আমাদের অনেক পুরনো অভিজ্ঞতা আছে। আপনারা কোনারকের সূর্য মন্দিরে যান, কয়েকশো বছর পুরনো কোনারকের সূর্য মন্দিরের মূর্তিগুলি যে বস্ত্র পরেছে, আজকের আধুনিক যুগে অনেক বস্ত্র তাদের মতোই। কয়েকশো বছর আগে আমাদের শিল্পীরা পাথরে খোদাই করে গেছেন। 

আজ আমাদের বোনেরা যে পার্স নিয়ে ঘোরেন, সেগুলিকে খুবই ফ্যাশন দুরস্ত বলে মনে হয়। কিন্তু, কয়েশো বছর আগে কোনারকের পাথরের মূর্তিগুলিতে আপনারা এরকম পার্স খোদাই করা দেখতে পাবেন। আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন এলাকার পাগড়ি ভিন্ন ভিন্ন রকম কেন? আমাদের দেশে কোনও মহিলা বস্ত্র পরিধানের সময় তাঁর পায়ের এক সেন্টিমিটার অংশও কেউ দেখে নিন – সেটা তাঁরা পছন্দ করেন না। কিন্তু, এই দেশেই কিছু মানুষের পেশা এরকম ছিল যে, মাটি থেকে ৬-৮ ইঞ্চি উপরে কাপড় পরা জরুরি ছিল। আর সেই জন্য আমাদের দেশে এরকম ফ্যাশন চলতো। যাঁরা পশুপালনের কাজ করতেন, তাঁদের কাপড় দেখুন! অর্থাৎ, ভারতে পেশা অনুকূল বস্ত্র পরিধান করা হ’ত। রাজস্থানের মানুষের জুতো কেমন হবে, নাগরিকদের জুতোই বা কেমন হবে, আর যাঁরা ক্ষেতে কাজ করেন কিংবা পাহাড়ে চলাফেরা করেন, তাঁদের জুতো কেমন হবে – এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে কয়েকশো বছর পুরনো নক্‌শা আজও আমাদের দেশে পাওয়া যায়। কিন্তু, আমরা আমাদের এত বড় ক্ষেত্রটি সম্পর্কে যতটা সূক্ষাতিসূক্ষ্মভাবে ভাবা উচিৎ ততটা ভাবছি না। 


আর বন্ধুগণ,

এই কাজ কখনই সরকারের করা উচিৎ নয়, না হলে আমরা গুড়কে গোবর বানানোয় ওস্তাদ। সরকার যতবার …. আমি মানুষের জীবন থেকে সরকারের দখলদারি মুছে ফেলতে চাই। বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনে সরকারের দখলদারি আমি একদমই পছন্দ করি না। প্রতিদিন প্রতিটি পদক্ষেপে সরকারকে টানার কি প্রয়োজন? আমরা কি এমন সমাজ তৈরি করতে পারি না, যেখানে সরকারের দখলদারি ন্যূনতম! হ্যাঁ, গরীবের জন্য সরকারকে পাশে থাকতে হবে। গরীব শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। তাঁদের অসুস্থতায় হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে সরকারের নাক না গলালেও চলবে। আমি গত ১০ বছর ধরে এসবের বিরুদ্ধে লড়ছি। আগামী ৫ বছরে তো এসব করেই ছাড়বো! 


আমি নির্বাচনের কথা বলছি না ভাই। আমার বলার তাৎপর্য হ’ল – আপনারা সরকারের একটি অনুঘটক প্রতিনিধি রূপে রয়েছেন। আপনাদের যত স্বপ্ন তা বাস্তবায়িত করতে যেসব প্রতিবন্ধকতা আসবে, সরকার তা দূর করার কাজ করবে। সেজন্যই তো আমরা বসেছি। আমরা তা করবো। কিন্তু, আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যে, আপনারা সাহস করে এগিয়ে আসুন। নতুন ভাবনাচিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসুন। গোটা বিশ্বের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আসুন। ভারতে পণ্য বিক্রি হচ্ছে না, প্রথমবার ১০০ কোটি বিক্রি করেছেন। দ্বিতীয়বার ২০০ কোটি বিক্রি করেছেন। এই চক্করে পড়বেন না। আগে রপ্তানী কতটা হ’ত, এখন রপ্তানী কতটা হয়, আগে দেশে ১০০টি  বিক্রি হ’ত, এখন ১৫০টি কিভাবে বিক্রি হবে, আগে বিশ্বের ২০০টি শহরে আপনার পণ্য যেত, এখন বিশ্বের ৫০০টি শহরে কিভাবে যাচ্ছে, আগে বিশ্বে এক ধরনের বাজারে যেত, এখন বিশ্বের নতুন নতুন বাজারগুলিকে আমরা কিভাবে দখল করেছি, তা নিয়ে ভাবুন। আর আপনারা যতটা রপ্তানী করেন, তার ফলে ভারতের জনগণকে কাপড় ছাড়াই বাঁচতে হবে, এমনটা তো নয়! চিন্তা করবেন না, এখানকার জনগণের যত চাহিদা, সেই পরিমাণ কাপড় তো পাওয়া যাবেই, এখানকার মানুষ তো কাপড় পেয়েই যাবেন।

আসুন, অনেক অনেক ধন্যবাদ!

ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
ISRO achieves significant milestone for Gaganyaan programme

Media Coverage

ISRO achieves significant milestone for Gaganyaan programme
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister pays tributes to legendary Raj Kapoor on his 100th birth anniversary
December 14, 2024
Shri Raj Kapoor was not just a filmmaker but a cultural ambassador who took Indian cinema to the global stage: PM

The Prime Minister Shri Narendra Modi today pays tributes to legendary Shri Raj Kapoor on his 100th birth anniversary. He hailed him as a visionary filmmaker, actor and the eternal showman. Referring Shri Raj Kapoor as not just a filmmaker but a cultural ambassador who took Indian cinema to the global stage, Shri Modi said Generations of filmmakers and actors can learn so much from him.

In a thread post on X, Shri Modi wrote:

“Today, we mark the 100th birth anniversary of the legendary Raj Kapoor, a visionary filmmaker, actor and the eternal showman! His genius transcended generations, leaving an indelible mark on Indian and global cinema.”

“Shri Raj Kapoor’s passion towards cinema began at a young age and worked hard to emerge as a pioneering storyteller. His films were a blend of artistry, emotion and even social commentary. They reflected the aspirations and struggles of common citizens.”

“The iconic characters and unforgettable melodies of Raj Kapoor films continue to resonate with audiences worldwide. People admire how his works highlight diverse themes with ease and excellence. The music of his films is also extremely popular.”

“Shri Raj Kapoor was not just a filmmaker but a cultural ambassador who took Indian cinema to the global stage. Generations of filmmakers and actors can learn so much from him. I once again pay tributes to him and recall his contribution to the creative world.”