“17th Lok Sabha has been witness to numerous important decisions. These five years have been about 'Reform, Perform and Transform'”
“Sengol is symbol of the reclamation of India’s heritage and remembrance of the first moment of Independence”
“India got the presidency of G-20 during this period and every state presented the country's strength and its identity in front of the world”
“We can say with satisfaction that the tasks for which many generations had been waiting for centuries were accomplished in the 17th Lok Sabha”
“Today our commitment to social justice is reaching to the people of Jammu and Kashmir”
“We can proudly say that this country might have lived under Penal Code for 75 years but now we live under Nyay Samhita”
“I am confident that the elections will be in accordance with the glory of our democracy”
“Today’s speeches about Shri Ram Mandir have ‘Samvedna’, ‘Sankalp’ and ‘Sahanubhuti’ along with the mantra of ‘Sabka Saath Sabka Vikas’”

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

গণতন্ত্রের মহান ঐতিহ্যের দিক থেকে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। গত ৫ বছর ধরে দেশের সেবায় ১৭তম লোকসভা বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে সবাই তাঁদের সাধ্যমতো দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। এই ৫ বছরে সংস্কার করো, কার্য সম্পাদন করো এবং পরিবর্তন করোর যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত বিরল। আমরা নিজের চোখে এই পরিবর্তন দেখেছি, যা এক নতুন বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের মানুষ ১৭তম লোকসভাকে আশীর্বাদ করে যাবেন। এই প্রক্রিয়ায় সম্মানিত সদস্যরা প্রত্যেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং এই সময় আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

বিশেষত মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়কে,

আমি সুমিত্রা (মহাজন)জি-কেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যিনি (৫ বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন) হালকা ঠাট্টা-তামাশাকে প্রশ্রয় দিতেন। সভায় যাই ঘটুক না কেন, সবসময় আপনার মুখে হাসি লেগে থাকতে দেখেছি। ভারসাম্য বজায় রেখে এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে এই সভাকে আপনি পরিচালনা করেছেন। সভায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও, আপনি ধৈর্যের সঙ্গে তা সামাল দিয়েছেন।

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

এই ৫ বছরে গোটা মানবজাতি শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল। কে বাঁচবে? কে কার জীবন রক্ষা করতে পারে? এই ছিল দেশের অবস্থা। এই সময় সভায় আসা অত্যন্ত কঠিন ছিল। তা সত্বেও বিকল্প নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে দেশের কাজ বন্ধ না হয়। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সভার কাজ পরিচালনা করেছেন এবং গোটা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

আমি মাননীয় সাংসদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাঁরা সেই কঠিন সময়ে তাঁদের সাংসদ তহবিলের টাকা বিন্দুমাত্র কালবিলম্ব না করে দেশের প্রয়োজনে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সাংসদরা তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশবাসীর কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন এবং এই কাজে সাংসদরাই প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

কোনো কারণ ছাড়াই প্রায়ই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ এবং সংসদের ক্যান্টিনে ভর্তুকিতে খাবারের সুবিধা পাওয়ার জন্য আমরা সাংসদরা সংবাদ মাধ্যমের একাংশের সমালোচনার শিকার হয়ে থাকি। বাইরের তুলনায় সংসদের ক্যান্টিনে কম মূল্যে খাবার সরবরাহের জন্য আমাদের উপহাস করা হয়ে থাকে। আপনারাই বাইরের দামের সঙ্গে ক্যান্টিনের দাম এক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সাংসদরা কেউ বিরোধিতাও করেননি। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

এটা সত্যি যে, ১৫তম, ১৬তম অথবা ১৭তম লোকসভায় একটি নতুন সংসদ ভবনের দাবি উঠেছিল। প্রত্যেকে বিনীতভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপনার নেতৃত্বের জন্যই এই সিদ্ধান্ত সফল হয়েছে, যার ফলশ্রুতি হিসেবে আজকের এই নতুন সংসদ ভবন গড়ে উঠেছে। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন সংসদ ভবনে সেঙ্গল স্থাপন করা হয়েছে এবং এটি আমাদের স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখন থেকে প্রতি বছর এটি আমাদের বিশেষ উদযাপনের অংশ হয়ে উঠবে, যা ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের মুহূর্ত স্মরণ করিয়ে দেবে। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

জি২০ শীর্ষ বৈঠকের সভাপতি হিসেবে ভারত প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের প্রতিটি রাজ্য বিশ্বের সামনে তাদের শক্তি ও সক্ষমতা তুলে ধরেছে। সেইসঙ্গে আপনার নেতৃত্বে জি২০র পর পি২০ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বহু দেশের অধ্যক্ষরা অংশ নিয়েছিলেন। গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর ভারতের মহান ঐতিহ্যকে আমরা এগিয়ে নিয়ে চলেছি। ব্যবস্থা বদলাতে পারে, কিন্তু ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনা সর্বদা থেকে যাবে। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

সংসদের গ্রন্থাগার আপনি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিয়েছেন। জ্ঞানের এই ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে আপনি এক মহান কাজ করলেন। এই উদ্যোগের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন আমাদের কাছে এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। বলতে গেলে, সভার প্রায় প্রত্যেক সদস্য তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এই উদযাপনের শরিক হয়েছেন। এই সময়কালে বহু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হয়েছে। এক বড় রূপান্তরের মাধ্যমে দেশ দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগোচ্ছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ এখন সামাজিক ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

সন্ত্রাসবাদ আমাদের কাছে এক বড় আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল। প্রতিদিন দেশ রক্তাক্ত হচ্ছিল, রক্তাক্ত হচ্ছিলেন মা ভারতী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইন প্রণয়ন করি। এর ফলে মানুষের আস্থা বেড়েছে। ভারত এখন সন্ত্রাসবাদ থেকে পুরোপুরি মুক্ত। গত ৭৫ বছর ধরে আমরা ব্রিটিশদের চালু করা কিছু আইনের অধীনে ছিলাম। এখন সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। আমরা নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম চালু করেছি। এর ফলে আগামীদিনে বিপুল সংখ্যায় আমাদের মা ও বোনেদের এখানে দেখতে পাবো। আমাদের মুসলিম বোনেরা তিন তালাক থেকে মুক্তি পেয়েছেন। 

আগামী ২৫ বছর আমাদের দেশের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি প্রান্তে, এমনকী শিশুদের মুখেও এটা শোনা যাচ্ছে যে, ২৫ বছরে আমরা ‘বিকশিত ভারত’ তৈরি করবো। এই ২৫ বছর আমাদের দেশের তরুণদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যিনি আগামী ২৫ বছরে উন্নত ভারত দেখতে চান না। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

গত ৫ বছরে তরুণদের জন্য ঐতিহাসিক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস তরুণদের কাছে এক বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল। আমরা এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। এটা সত্যি যে, গবেষণা ছাড়া মানব সমাজ এগোতে পারে না। গবেষণাকে উৎসাহ দিতে এই সভায় আমরা আইনি কাঠামো তৈরি করেছি। ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তরুণ প্রতিভার ওপর ভর করে আমাদের দেশ আন্তর্জাতিক গবেষণার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে। ডেটা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে আমরা গোটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছি। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট শুধুমাত্র আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যেই উৎসাহ তৈরি করেনি, গোটা বিশ্বেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

জল, স্থল এবং মহাকাশ নিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আলোচনা চলছে। এখন সামুদ্রিক শক্তি, মহাকাশ শক্তি এবং সাইবার শক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সময় হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের ইতিবাচক সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। দেশে আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে ১৭তম লোকসভার সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপ যত দ্রুত কমবে, গণতন্ত্র তত শক্তিশালী হবে। সরকার কেন মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে? তবে হ্যাঁ প্রয়োজনে অবশ্যই মানুষের পাশে থাকবে সরকার। কিন্তু মানুষের জীবনে চলার পথে সরকার কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। 

আমরা কোম্পানি আইন সহ ৬০টির বেশি অপ্রয়োজনীয় আইন বাতিল করে দিয়েছি। এর ফলে ব্যবসা করার পথ সুগম হয়েছে। অনেক বাধা দূর হয়েছে। আমি দেখেছি তুচ্ছ কারণে মানুষকে জেলে আটকে রাখা হয়। আইন সংশোধন করে আমরা নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করেছি। এক্ষেত্রে মাননীয় সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। 

রূপান্তরকামীরা তাঁদের প্রতি বৈষম্য নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন। রূপান্তরকামীদের জীবনযাত্রার যাতে উন্নতি হয়, সেই লক্ষ্যে ১৭তম লোকসভায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা চলছে। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ২৬ সপ্তাহ করে দিয়েছি, যা গোটা বিশ্বকে বিশ্মিত করেছে। রূপান্তরকামীদের আমরা বিশেষ পরিচিতি দিয়েছি। প্রায় ১৬-১৭ হাজার রূপান্তরকামীকে ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন তাঁরা মুদ্রা যোজনায় ঋণ নিয়ে ছোট ছোট ব্যবসা করতে পারছেন। রূপান্তরকামীদের আমরা পদ্ম সম্মানও প্রদান করেছি। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

কোভিড মহামারীর সময় দেড় থেকে দু বছর আমাদের ওপর ব্যাপক চাপ পড়েছিল। তবুও ১৭তম লোকসভা দেশের মানুষের স্বার্থে ভালো কাজ করেছে। এই সময়ে আমরা বহু সহকর্মীকে হারিয়েছি। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

১৭তম লোকসভার এটি হল শেষ অধিবেশন। গণতন্ত্র এবং ভারতের যাত্রা অন্তহীন। গোটা মানবজাতির উন্নতির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। ঋষি অরবিন্দ বা স্বামী বিবেকানন্দ যেসব বাণী দিয়ে গেছেন, সেগুলি এখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠছে। গোটা বিশ্ব ভারতের মহানুভবতা গ্রহণ ও ভারতের সক্ষমতা স্বীকার করছে। এবং এই যাত্রায় আরও শক্তি নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

নির্বাচন আর খুব বেশি দূরে নয়। কিছু মানুষ এতে কিঞ্চিৎ স্নায়ুর চাপ অনুভব করতে পারেন, কিন্তু এটি হল গণতন্ত্রের একটি সহজাত এবং আবশ্যিক দিক। আমরা সবাই গর্বের সঙ্গে একে গ্রহণ করেছি এবং আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের নির্বাচন দেশকে গর্বিত করার উৎস হিসেবে তার ধারা বজায় রাখবে এবং গোটা বিশ্বকে নিশ্চিতভাবেই বিস্মিত করে যাবে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। 

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,

মাননীয় সদস্যদের কাছ থেকে আমি যে সমর্থন পেয়েছি, যে সব সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পেরেছি, তা আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। আত্মবিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আমরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছি। এই সভায় রাম মন্দির নির্মাণের যে প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছিল, তা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গর্বিত করবে। আমাদের মন্ত্র হল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। 

দেশ যতই খারাপ দিন দেখুক না কেন, আগামী প্রজন্মের হিতার্থে সরকার কাজ করে যাবে। এই সভা আমাদের প্রেরণা যোগাবে। ভারতের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্খা পূরণে আমরা মিলিত শক্তি নিয়ে সম্ভাব্য সমস্ত পথে কাজ করে যাবো। 

এই বিশ্বাস নিয়ে আমি মাননীয় সদস্যদের আবার আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।

অসংখ্য ধন্যবাদ !

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে। 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Since 2019, a total of 1,106 left wing extremists have been 'neutralised': MHA

Media Coverage

Since 2019, a total of 1,106 left wing extremists have been 'neutralised': MHA
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Condemns Terrorist Attack in Australia
December 14, 2025
PM condoles the loss of lives in the ghastly incident

Prime Minister Shri Narendra Modi has strongly condemned the ghastly terrorist attack carried out today at Bondi Beach, Australia, targeting people celebrating the first day of the Jewish festival of Hanukkah.

Conveying profound grief over the tragic incident, Shri Modi extended heartfelt condolences on behalf of the people of India to the families who lost their loved ones. He affirmed that India stands in full solidarity with the people of Australia in this hour of deep sorrow.

Reiterating India’s unwavering position on the issue, the Prime Minister stated that India has zero tolerance towards terrorism and firmly supports the global fight against all forms and manifestations of terrorism.

In a post on X, Shri Modi wrote:

“Strongly condemn the ghastly terrorist attack carried out today at Bondi Beach, Australia, targeting people celebrating the first day of the Jewish festival of Hanukkah. On behalf of the people of India, I extend my sincere condolences to the families who lost their loved ones. We stand in solidarity with the people of Australia in this hour of grief. India has zero tolerance towards terrorism and supports the fight against all forms and manifestations of terrorism.”