“ভারতের চন্দ্র অভিযানের সফল বাস্তবায়ন বিজ্ঞান এবং শিল্পের কারণে হয়েছে”
“বি-২০-র ভাবনা – আর.এ.আই.এস.ই.-র মধ্যে যে ‘আই’অক্ষরটি আছে তা উদ্ভাবন (ইনোভেশন) শব্দটির প্রতিনিধিত্ব করছে; কিন্তু উদ্ভাবনের পাশাপাশি আমি এখানে আরেকটি ‘আই’ – অন্তর্ভুক্তিকরণকেও (ইনক্লুসিভনেস) দেখতে পাচ্ছি”
“বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে জিনিসটির সবথেকে প্রয়োজন তা হল পারস্পরিক আস্থা”
“বিশ্বের উন্নয়নের ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যতের মধ্যে নিহিত রয়েছে”
“ভারত একটি দক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান”
“স্থিতিশীলতা সুযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের মডেল হিসেবে সমানভাবে প্রযোজ্য”
“ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ-বান্ধব আমানতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছে যেখানে প্রো-প্ল্যানেট উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে”
“বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির উপভোক্তাদের ক্রয় করার ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে, তারা যদি আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব নিয়ে চলে তাহলে সেটি সকলের জন্যই ক্ষতিকারক”
“আন্তর্জাতিক উপভোক্তা দিবসের বিষয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন; এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংস্থা এবং উপ
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে বি-২০ ইন্ডিয়া ২০২৩ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। বি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নীতি নির্ধারক, বাণিজ্য জগতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষজ্ঞরা এক জায়গায় জড়ো হন এবং ‘বি-২০ ভারত বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে আলোচনা করেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে ৫৪টি সুপারিশ এবং বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের জন্য ১৭২টি পদক্ষেপের প্রস্তাব রয়েছে, যা জি-২০ গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।
“ভারতের সঙ্গে যত আপনারা বন্ধুত্ব করবেন, ততই উভয় পক্ষের সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।”
আজ ভারত পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানীর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সৌর জোট উল্লেখযোগ্য।

ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
বিশিষ্ট প্রতিনিধিবর্গ,
নমস্কার!
ভারতে স্বাগত।

বন্ধুরা,

আপনারা, ব্যবসাজগতের নেতারা, এমন এক সময়ে ভারতে এসেছেন, যখন আমাদের সারা দেশে এক উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে। ভারতে প্রতি বছর উৎসবের যে মরশুম চলে, তা এবার কিছুটা এগিয়ে এসেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ, এমনকি ব্যবসায়িক মহলও উৎসবের এই সময়ে উদযাপনে মেতে ওঠে। এই বছর চাঁদে চন্দ্রযানের সফল অবতরণকে কেন্দ্র করে উৎসব শুরু হয়ে গেছে ২৩ অগাস্ট থেকে। ভারতের চন্দ্র অভিযানের এই সাফল্যে আমাদের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একইসঙ্গে ভারতীয় শিল্পমহলও এই অভিযানকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে। চন্দ্রযানে ব্যবহৃত বহু উপাদান নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তৈরি করে দিয়েছে আমাদের শিল্পমহল, বেসরকারি কোম্পানী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি। সেদিক থেকে দেখলে এই সাফল্য যতটা বিজ্ঞানের, ততটা শিল্পমহলেরও। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্ব এই সাফল্য উদযাপন করছে। এই উদযাপন হল দায়িত্বশীল মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনার। এই উদযাপন দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হওয়ার। এই উদযাপন উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির। এই উদযাপন হল মহাকাশ প্রযুক্তিতে সাম্য ও সুস্থিতি আনার। এটাই বি২০ শীর্ষ সম্মেলনের মূল ভাবনা – RAISE. এখানে R হল রেসপনসিবিলিটি অর্থৎ দায়িত্বশীলতা, A হল অ্যাকসিলারেন্স অর্থাৎ গতি বৃদ্ধি, I হল ইনোভেশন অর্থাৎ উদ্ভাবন, S হল সাসটেনেবিলিটি অর্থাৎ সুস্থিতি এবং E হল ইক্যুয়ালিটি অর্থাৎ সাম্য। এক কথায় বললে, এটাই হল মানবতা। এটাই এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। 

বন্ধুরা,

বি২০-র মূল ভাবনায় ‘RAISE’ এর মধ্যে যে I রয়েছে তা যেমন ইনোভেশন বা উদ্ভাবনকে সূচিত করে, তেমনি এর আর এক অর্থ হল ইনক্লুসিভনেস বা অন্তর্ভুক্তিকরণ। সেই ভাবনা থেকেই আমরা আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-র স্থায়ী সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বি২০-তেও আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ভারত মনে করে, এই ফোরাম যত বেশি করে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠবে, এর প্রভাব ততই বৃদ্ধি পাবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায়, বিকাশের সুস্থিতিতে এবং যে সিদ্ধান্তগুলি এখানে নেওয়া হচ্ছে তার সফল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। 

 

বন্ধুরা,

বলা হয় যে, যেকোনো সঙ্কট ও প্রতিকূলতা কিছু শিক্ষা নিয়ে আসে, আমাদের মূল্যবান কিছু শিক্ষা দেয়। মাত্র ২-৩ বছর আগে সারা বিশ্ব অতিমারির সম্মুখীন হয়েছিল, ১০০ বছরের মধ্যে এমন সঙ্কট আর আসেনি। এই সঙ্কট প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটি কর্পোরেটকে একটি মূল্যবান শিক্ষাও দিয়েছে। তা হল, আমাদের এখন পারস্পরিক আস্থা নির্মাণে সব থেকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। করোনা অতিমারির সময়ে বিশ্বজুড়ে এই পারস্পরিক আস্থা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। অবিশ্বাসের এই আবহে যে দেশ আপনাদের সামনে সংবেদনশীলতা, নম্রতা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা হল ভারত। শতাব্দীর বৃহত্তম সঙ্কটের মধ্যে বিশ্বকে ভারতের অমূল্য দান হল বিশ্বাস, পারস্পরিক আস্থা।

করোনার সময়ে যখন বিশ্বের প্রয়োজন ছিল, তখন ভারত বিশ্বের ফার্মেসি হয়ে দেড়শোটিরও বেশি দেশে ওষুধ সরবরাহ করেছিল। করোনা মোকাবিলার জন্য বিশ্বের যখন টিকার প্রয়োজন ছিল, ভারত তখন টিকার উৎপাদন বাড়িয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তার কাজের মধ্য দিয়েই ফুটে উঠেছে। আজ যখন দেশের ৫০টিরও বেশি শহরে জি২০ বৈঠকের আয়োজন করা হয়, তখন আপনারা সেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন দেখতে পান। সেজন্যই ভারতের সঙ্গে আপনাদের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত আজ বিশ্বের তরুণ প্রতিভার আঁতুড়ঘর। চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প ক্ষেত্রে ভারত আজ ডিজিটাল বিপ্লবের মুখ হয়ে উঠেছে। ভারতের সঙ্গে আপনাদের বন্ধুত্ব যত সুদৃঢ় হবে, ততই বেশি করে সব পক্ষ সমৃদ্ধির দিকে এগোবে। আপনারা সকলেই জানেন, ব্যবসা এমন এক মাধ্যম যা সম্ভাবনাকে সমৃদ্ধিতে, প্রতিবন্ধকতাকে সুযোগে এবং আকাঙ্ক্ষাকে সাফল্যে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। ছোট হোক বা বড়, বিশ্বব্যাপী বা স্থানীয়, ব্যবসা সবার জন্য সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করে। বিশ্বের ভবিষ্যৎ বিকাশ, ব্যবসার ভবিষ্যতের উপর নির্ভরশীল। 

বন্ধুরা,

কোভিড ১৯-এর আগে এবং পরে বিশ্বে বহু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা অমোঘ। আগে যেভাবে দেখা হতো, এখন আর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে সেভাবে দেখা সম্ভব নয়। বলা হতো, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল যতক্ষণ দক্ষভাবে কাজ করছে, ততক্ষণ চিন্তা করার কিছু নেই। কিন্তু দেখা গেলো, যখন বিশ্বের সব থেকে বেশি প্রয়োজন, তখনই এই সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে পারে। বিশ্ব যখন আজ এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান, তখন আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে পারি, বন্ধুরা, ভারতই এই সমস্যার সমাধান। দক্ষ ও বিশ্বস্ত বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একে মজবুত করতে বিশ্বের ব্যবসাগুলিরও দায়িত্ব আছে। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করলে আমরা অবশ্যই সফল হবো। 

 

বন্ধুরা,

জি২০ দেশগোষ্ঠীর মধ্যে বিতর্ক ও আলোচনার এক প্রাণবন্ত মঞ্চ হিসেবে বিজনেস-২০-র আত্মপ্রকাশ ঘটায় আমি আনন্দিত। আমরা যখন বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সমাধান নিয়ে এই মঞ্চে আলোচনা করছি, তখন সুস্থিতিকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে সুস্থিতিকে কেবল বিধিনিয়মের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না, একে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলতে হবে। বিশ্বব্যাপী ব্যবসাগুলি যাতে এই লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নেয় সেজন্য আমি তাঁদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। সুস্থিতি নিজেই একটি সুযোগ এবং ব্যবসায়িক মডেল। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে আমি বিষয়টা আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। রাষ্ট্রসঙ্ঘ চলতি বছরটিকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মিলেট শুধু এক অসাধারণ খাদ্যশস্যই নয়, এটি পরিবেশবান্ধব এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সহায়ক। এর থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, এই খাদ্যশস্য জীবনধারা এবং অর্থনীতি, দুইয়ের ক্ষেত্রেই চমৎকার সুযোগ এনে দেয়। বৃত্তাকার অর্থনীতিতে এই ধারণার প্রয়োগ, ব্যবসার জন্য প্রভূত সুযোগ সৃষ্টি করে। ভারতে আমরা দূষণমুক্ত জ্বালানির উপর বিশেষ জোর দিয়েছি। সৌরশক্তির ক্ষেত্রে আমরা যে সাফল্য অর্জন করেছি, গ্রীন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। ভারত এই প্রয়াসে সারা বিশ্বকে সঙ্গে নিতে চায়। সেজন্যই আন্তর্জাতিক সৌর জোট গঠন করা হয়েছে। 

বন্ধুরা, 

করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষ এখন তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। শুধু খাওয়ার টেবিলেই নয়, আমাদের কেনাকাটা, আমাদের খাদ্যাভ্যাস, আমাদের বিভিন্ন কাজকর্মের উপরেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা আগে ভেবে নিই, স্বাস্থ্যের উপর এর কী প্রভাব পড়বে। দীর্ঘমেয়াদে যাতে কোনো অস্বস্তি ও অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, তা নিয়ে আমরা সকলেই সচেতন। আমরা শুধু বর্তমান নিয়েই ভাবছি না, ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়েও চিন্তাভাবনা করছি। আমি মনে করি, এই একই দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বের প্রতিও দেখানো উচিত। আমি যেমন নিজের স্বাস্থ্য এবং প্রাত্যহিক সুস্থতা নিয়ে সচেতন, ঠিক সেই রকমই পৃথিবীর স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা করা উচিত। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের ভাবা দরকার, পৃথিবীর উপর তার কী প্রভাব পড়তে পারে। এই দর্শন থেকেই মিশন লাইফ অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রার সূচনা। এর লক্ষ্য হল, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সংরক্ষকদের নিয়ে এক আন্দোলন শুরু করা। জীবনযাত্রা সম্পর্কিত যে কোনো সিদ্ধান্তেরই প্রভাব পড়ে ব্যবসায়িক জগতের উপর। জীবনযাত্রা এবং ব্যবসা, উভয়ই যখন পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে, তখন বহু সমস্যা আপনা আপনিই মিটে যাবে। তাই আমাদের জীবন ও ব্যবসাকে পরিবেশের সঙ্গে সমমুখী করতে হবে। ভারত ব্যবসা ক্ষেত্রে গ্রীন ক্রেডিট বা পরিবেশ সংক্রান্ত ঋণের একটি কাঠামো প্রস্তুত করেছে। দীর্ঘকাল ধরে আমরা কার্বন ক্রেডিটের ধারণার মধ্যে জট পাকিয়ে রয়েছি, আবার অনেকে আছেন যাঁরা কার্বন ক্রেডিটের সুবিধা ভোগ করছেন। আমি বিশ্বের সামনে গ্রীন ক্রেডিটের ধারণা পেশ করেছি। এটি পৃথিবীকে নিয়ে ইতিবাচক কাজকর্মের উপর জোর দেবে। বিশ্বের প্রথম সারির ব্যবসায়িক নেতাদের আমি এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার এবং একে বিশ্বব্যাপী করে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। 

বন্ধুরা, 

প্রথাগত ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আমাদের ভাবনা চিন্তা করতে হবে। নিজেদেরকে কেবলমাত্র পণ্য, ব্র্যান্ড এবং বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না; সেটা যথেষ্ট নয়। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের এমন এক বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে, যার সুফল আমরা দীর্ঘ মেয়াদেও পাবো। যেমন ধরুন, সাম্প্রতিককালে ভারত যেসব নীতির বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে, তার সুবাদে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষকে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে দারিদ্রের করাল গ্রাস থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। দারিদ্রসীমার উপরে উঠে আসা এই নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণী সব থেকে বড় উপভোক্তা হয়ে উঠেছে। কারণ তারা নতুন আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এসেছে। এই নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণী ভারতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, সরকারের দরিদ্র সহায়ক শাসন শুধু গরিব মানুষের কল্যাণই করেনি, মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলিও এর থেকে উপকৃত হয়েছে। একবার ভাবুন, এই দরিদ্র সহায়ক শাসন ব্যবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী কতটা উন্নতি করবে। তাই, প্রতিটি ব্যবসার উচিত আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা। মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতা বাড়তে থাকায় এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্যবসার উপর সরাসরি এর প্রভাব পড়ছে। আমাদের শিখতে হবে, কিভাবে দু’দিকের প্রতি মনোযোগের ভারসাম্য রাখা যায়। যদি আমরা কেবল আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকি, তাহলে আমরা নিজেদের বা বিশ্বের, কারোর উপকারই করতে পারবো না। গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা মাল, দুষ্প্রাপ্য কাঁচা মাল এবং বিভিন্ন ধরণের ধাতুর ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা আমাদের হচ্ছে। এই উপকরণগুলি বিশ্বের কিছু জায়গায় প্রচুর পরিমাণে আছে, আবার কোথাও একদমই নেই। কিন্তু সমগ্র মানবজাতিরই এগুলির প্রয়োজন। যার কাছে এই উপকরণ আছে, সে যদি বিশ্বের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে তা ঔপনিবেশিকতার নতুন মডেলের সৃষ্টি করবে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। 

 

বন্ধুরা, 

কোনো লাভজনক বাজারকে টিঁকিয়ে রাখতে হলে সেখানে উৎপাদক ও গ্রাহকদের স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। জাতিগুলির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। অন্য দেশগুলিকে শুধু বাজার হিসেবে দেখলে হবে না, তাহলে আজ হোক বা কাল, উৎপাদক দেশেরও ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী। এগিয়ে যাওয়ার একটাই পথ রয়েছে, তা হল সবাইকে অগ্রগতির সমান অংশীদার করে তোলা। এখানে বিশ্বের ব্যবসায়িক জগতের নেতৃস্থানীয় অনেকে রয়েছেন। ব্যবসাকে আরও বেশি গ্রাহক-কেন্দ্রীক করে তোলার জন্য আমরা কি চিন্তা ভাবনা করতে পারিনা? গ্রাহক কোনো ব্যক্তি হতে পারে, অথবা কোনো দেশ। তাদের স্বার্থ অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এজন্য আমরা কি একটি বার্ষিক প্রচারাভিযানের কথা ভাবতে পারি? গ্রাহকদের কল্যাণ ও বাজারের ভালোর জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবসাগুলি কি একত্রিত হয়ে শপথ নিতে পারেনা? 

বন্ধুরা,

বিশ্বব্যাপী ব্যবসাগুলি কি বছরে একটি দিন গ্রাহকদের জন্য উৎসর্গ করতে পারে না? আমরা গ্রাহকদের অধিকার নিয়ে কথা বলি, বিশ্বজুড়ে উপভোক্তা অধিকার দিবসও পালন করা হয়। কিন্তু আমরা কি চক্রের পরিবর্তন ঘটিয়ে কার্বন ক্রেডিট থেকে গ্রীন ক্রেডিটে পৌঁছতে পারি? প্রতি বছর বাধ্যতামূলকভাবে উপভোক্তা অধিকার দিবস পালন করার বদলে আমরা গ্রাহকদের পরিচর্যা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করতে পারি। একবার ভাবুন, যদি একটি গ্রাহক পরিচর্যা দিবস পালন করা হয়, তাহলে তার কতটা ইতিবাচক প্রভাব সবার উপর পড়বে। গ্রাহক পরিচর্যার দিকে মনোযোগ দেওয়া হলে গ্রাহক অধিকার সম্পর্কিত বহু সমস্যা নিজে থেকেই মিটে যাবে। আমি আপনাদের সবাইকে আন্তর্জাতিক উপভোক্তা পরিচর্যা দিবস নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই ধরনের উদ্যোগ ব্যবসা ও গ্রাহকদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থাকে সুদৃঢ় করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, গ্রাহকরা কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্ব বাণিজ্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশে তাঁরা ছড়িয়ে রয়েছেন। 

 

বন্ধুরা, 

আজ যখন বিশ্বের প্রথম সারির ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এখানে সমবেত হয়েছেন, তখন সেইসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসছে, যা ব্যবসা এবং মানবতার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের সমবেতভাবে খুঁজতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি সঙ্কট, খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের ভারসাম্যহীনতা, জলসঙ্কট বা সাইবার নিরাপত্তা – বিষয় যাই হোক না কেন, এগুলি ব্যবসার উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এইসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আমাদের যৌথভাবে উদ্যোগী হতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে, যা ১০-১৫ বছর আগেও আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি। যেমন ধরুন ক্রিপটোকারেন্সি আজ যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রাখছে, তার মোকাবিলায় সুসমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উদ্বেগ ও সমস্যা নিয়ে ভাবনা চিন্তার জন্য বিশ্বব্যাপী একটি কাঠামো গড়ে তোলা দরকার বলে আমার মনে হয়। 

কৃত্রিম মেধা নিয়েও একইধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সারা বিশ্ব আজ কৃত্রিম মেধা নিয়ে উত্তেজনায় ভরপুর। কিন্তু এই উত্তেজনার মধ্যেও কিছু নৈতিক বিবেচনা করা দরকার। দক্ষতা ও তার ঘষামাজা, অ্যালগোরিদমিক পক্ষপাত এবং সমাজে কৃত্রিম মেধার প্রভাব নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমাদের সম্মিলিতভাবে এই সমস্যাগুলির উত্তর খুঁজতে হবে। নীতিসম্মত কৃত্রিম মেধার প্রসারে ব্যবসায়িক বিশ্ব ও সরকারগুলিকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, তা আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। যত দিন যাচ্ছে, ততই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার অভিঘাত বাড়ছে, সেগুলি আরও বেশি করে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী কাঠামো গড়ে তুলে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা দরকার। আর বন্ধুরা, এমন নয় যে, এই চ্যালেঞ্জগুলি এই প্রথম আমাদের সামনে এলো। যখন বিমান ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটছিল, যখন আর্থিক ক্ষেত্রের অগ্রগতি হচ্ছিল, তখনও সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বিশ্বস্তরের একটি কাঠামো স্থাপন করা হয়েছিল। নতুন চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় বি২০-কে আমি আলোচনা ও চিন্তাভাবনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। 

বন্ধুরা, 

ব্যবসা আজ সমস্ত সীমান্ত ও সীমারেখা পার হয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে ব্যবসাকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়ার। প্রাণবন্ত সরবরাহ শৃঙ্খল গঠন ও সুস্থিতির উপর জোর দিয়েই একমাত্র এটা করা সম্ভব। আমি নিশ্চিত যে বি২০ শীর্ষ সম্মেলন এক সম্মিলিত রূপান্তরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে। মনে রাখবেন, সংযুক্ত বিশ্ব বলতে কেবলমাত্র প্রযুক্তির দ্বারা সংযুক্ত হওয়াই বোঝায় না। এটা কেবলমাত্র অভিন্ন সামাজিক মঞ্চ গড়ে তোলার বিষয়ও নয়। এটা হল অভিন্ন উদ্দেশ্য, অভিন্ন বিশ্ব, অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং অভিন্ন ভবিষ্যতের অভিজ্ঞান। 

ধন্যবাদ।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
India leads globally in renewable energy; records highest-ever 31.25 GW non-fossil addition in FY 25-26: Pralhad Joshi.

Media Coverage

India leads globally in renewable energy; records highest-ever 31.25 GW non-fossil addition in FY 25-26: Pralhad Joshi.
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
'Vande Mataram' rekindled an idea deeply rooted in India for thousands of years: PM Modi in Lok Sabha
December 08, 2025
Vande Mataram energised our freedom movement: PM
It is a matter of pride for all of us that we are witnessing 150 years of Vande Mataram: PM
Vande Mataram is the force that drives us to achieve the dreams our freedom fighters envisioned: PM
Vande Mataram rekindled an idea deeply rooted in India for thousands of years: PM
Vande Mataram also contained the cultural energy of thousands of years, it also had the fervor for freedom and the vision of an independent India: PM
The deep connection of Vande Mataram with the people reflects the journey of our freedom movement: PM
Vande Mataram gave strength and direction to our freedom movement: PM
Vande Mataram was the all-encompassing mantra that inspired freedom, sacrifice, strength, purity, dedication, and resilience: PM

आदरणीय अध्यक्ष महोदय,

मैं आपका और सदन के सभी माननीय सदस्यों का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं कि हमने इस महत्वपूर्ण अवसर पर एक सामूहिक चर्चा का रास्ता चुना है, जिस मंत्र ने, जिस जय घोष ने देश की आजादी के आंदोलन को ऊर्जा दी थी, प्रेरणा दी थी, त्याग और तपस्या का मार्ग दिखाया था, उस वंदे मातरम का पुण्य स्मरण करना, इस सदन में हम सब का यह बहुत बड़ा सौभाग्य है। और हमारे लिए गर्व की बात है कि वंदे मातरम के 150 वर्ष निमित्त, इस ऐतिहासिक अवसर के हम साक्षी बना रहे हैं। एक ऐसा कालखंड, जो हमारे सामने इतिहास के अनगिनत घटनाओं को अपने सामने लेकर के आता है। यह चर्चा सदन की प्रतिबद्धता को तो प्रकट करेगी ही, लेकिन आने वाली पीढियां के लिए भी, दर पीढ़ी के लिए भी यह शिक्षा का कारण बन सकती है, अगर हम सब मिलकर के इसका सदुपयोग करें तो।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

यह एक ऐसा कालखंड है, जब इतिहास के कई प्रेरक अध्याय फिर से हमारे सामने उजागर हुए हैं। अभी-अभी हमने हमारे संविधान के 75 वर्ष गौरवपूर्व मनाए हैं। आज देश सरदार वल्लभ भाई पटेल की और भगवान बिरसा मुंडा की 150वीं जयंती भी मना रहा है और अभी-अभी हमने गुरु तेग बहादुर जी का 350वां बलिदान दिवस भी बनाया है और आज हम वंदे मातरम की 150 वर्ष निमित्त सदन की एक सामूहिक ऊर्जा को, उसकी अनुभूति करने का प्रयास कर रहे हैं। वंदे मातरम 150 वर्ष की यह यात्रा अनेक पड़ावों से गुजरी है।

लेकिन आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम को जब 50 वर्ष हुए, तब देश गुलामी में जीने के लिए मजबूर था और वंदे मातरम के 100 साल हुए, तब देश आपातकाल की जंजीरों में जकड़ा हुआ था। जब वंदे मातरम 100 साल के अत्यंत उत्तम पर्व था, तब भारत के संविधान का गला घोट दिया गया था। जब वंदे मातरम 100 साल का हुआ, तब देशभक्ति के लिए जीने-मरने वाले लोगों को जेल के सलाखों के पीछे बंद कर दिया गया था। जिस वंदे मातरम के गीत ने देश को आजादी की ऊर्जा दी थी, उसके जब 100 साल हुए, तो दुर्भाग्य से एक काला कालखंड हमारे इतिहास में उजागर हो गया। हम लोकतंत्र के (अस्पष्ट) गिरोह में थे।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

150 वर्ष उस महान अध्याय को, उस गौरव को पुनः स्थापित करने का अवसर है और मैं मानता हूं, सदन ने भी और देश ने भी इस अवसर को जाने नहीं देना चाहिए। यही वंदे मातरम है, जिसने 1947 में देश को आजादी दिलाई। स्वतंत्रता संग्राम का भावनात्मक नेतृत्व इस वंदे मातरम के जयघोष में था।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

आपके समक्ष आज जब मैं वंदे मातरम 150 निमित्त चर्चा के लिए आरंभ करने खड़ा हुआ हूं। यहां कोई पक्ष प्रतिपक्ष नहीं है, क्योंकि हम सब यहां जो बैठे हैं, एक्चुअली हमारे लिए ऋण स्वीकार करने का अवसर है कि जिस वंदे मातरम के कारण लक्ष्यावादी लोग आजादी का आंदोलन चला रहे थे और उसी का परिणाम है कि आज हम सब यहां बैठे हैं और इसलिए हम सभी सांसदों के लिए, हम सभी जनप्रतिनिधियों के लिए वंदे मातरम के ऋण स्वीकार करने का यह पावन पर्व है। और इससे हम प्रेरणा लेकर के वंदे मातरम की जिस भावना ने देश की आजादी का जंग लड़ा, उत्तर, दक्षिण, पूर्व, पश्चिम पूरा देश एक स्वर से वंदे मातरम बोलकर आगे बढ़ा, फिर से एक बार अवसर है कि आओ, हम सब मिलकर चलें, देश को साथ लेकर चलें, आजादी का दीवानों ने जो सपने देखे थे, उन सपनों को पूरा करने के लिए वंदे मातरम 150 हम सब की प्रेरणा बने, हम सब की ऊर्जा बने और देश आत्मनिर्भर बने, 2047 में विकसित भारत बनाकर के हम रहें, इस संकल्प को दोहराने के लिए यह वंदे मातरम हमारे लिए एक बहुत बड़ा अवसर है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

दादा तबीयत तो ठीक है ना! नहीं कभी-कभी इस उम्र में हो जाता है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम की इस यात्रा की शुरुआत बंकिम चंद्र जी ने 1875 में की थी और गीत ऐसे समय लिखा गया था, जब 1857 के स्वतंत्रता संग्राम के बाद अंग्रेज सल्तनत बौखलाई हुई थी। भारत पर भांति-भांति के दबाव डाल रहे थी, भांति-भांति के ज़ुल्म कर रही थी और भारत के लोगों को मजबूर किया जा रहा था अंग्रेजों के द्वारा और उस समय उनका जो राष्ट्रीय गीत था, God Save The Queen, इसको भारत में घर-घर पहुंचाने का एक षड्यंत्र चल रहा था। ऐसे समय बंकिम दा ने चुनौती दी और ईट का जवाब पत्थर से दिया और उसमें से वंदे मातरम का जन्म हुआ। इसके कुछ वर्ष बाद, 1882 में जब उन्होंने आनंद मठ लिखा, तो उस गीत का उसमें समावेश किया गया।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम ने उस विचार को पुनर्जीवित किया था, जो हजारों वर्ष से भारत की रग-रग में रचा-बसा था। उसी भाव को, उसी संस्कारों को, उसी संस्कृति को, उसी परंपरा को उन्होंने बहुत ही उत्तम शब्दों में, उत्तम भाव के साथ, वंदे मातरम के रूप में हम सबको बहुत बड़ी सौगात दी थी। वंदे मातरम, यह सिर्फ केवल राजनीतिक आजादी की लड़ाई का मंत्र नहीं था, सिर्फ हम अंग्रेज जाएं और हम खड़े हो जाएं, अपनी राह पर चलें, इतनी मात्र तक वंदे मातरम प्रेरित नहीं करता था, वो उससे कहीं आगे था। आजादी की लड़ाई इस मातृभूमि को मुक्त कराने का भी जंग था। अपनी मां भारती को उन बेड़ियों से मुक्ति दिलाने का एक पवित्र जंग था और वंदे मातरम की पृष्ठभूमि हम देखें, उसके संस्कार सरिता देखें, तो हमारे यहां वेद काल से एक बात बार-बार हमारे सामने आई है। जब वंदे मातरम कहते हैं, तो वही वेद काल की बात हमें याद आती है। वेद काल से कहा गया है "माता भूमिः पुत्रोऽहं पृथिव्याः" अर्थात यह भूमि मेरी माता है और मैं पृथ्वी का पुत्र हूं।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

यही वह विचार है, जिसको प्रभु श्री राम ने भी लंका के वैभव को छोड़ते हुए कहा था "जननी जन्मभूमिश्च स्वर्गादपि गरीयसी"। वंदे मातरम, यही महान सांस्कृतिक परंपरा का एक आधुनिक अवतार है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

बंकिम दा ने जब वंदे मातरम की रचना की, तो स्वाभाविक ही वह स्वतंत्रता आंदोलन का स्वर बन गया। पूर्व से पश्चिम, उत्तर से दक्षिण वंदे, मातरम हर भारतीय का संकल्प बन गया। इसलिए वंदे मातरम की स्‍तुति में लिखा गया था, “मातृभूमि स्वतंत्रता की वेदिका पर मोदमय, मातृभूमि स्वतंत्रता की वेदिका पर मोदमय, स्वार्थ का बलिदान है, ये शब्द हैं वंदे मातरम, है सजीवन मंत्र भी, यह विश्व विजयी मंत्र भी, शक्ति का आह्वान है, यह शब्द वंदे मातरम। उष्ण शोणित से लिखो, वक्‍तस्‍थलि को चीरकर वीर का अभिमान है, यह शब्द वंदे मातरम।”

आदरणीय अध्यक्ष जी,

कुछ दिन पूर्व, जब वंदे मातरम 150 का आरंभ हो रहा था, तो मैंने उस आयोजन में कहा था, वंदे मातरम हजारों वर्ष की सांस्‍कृतिक ऊर्जा भी थी। उसमें आजादी का जज्बा भी था और आजाद भारत का विजन भी था। अंग्रेजों के उस दौर में एक फैशन हो गई थी, भारत को कमजोर, निकम्मा, आलसी, कर्महीन इस प्रकार भारत को जितना नीचा दिखा सकें, ऐसी एक फैशन बन गई थी और उसमें हमारे यहां भी जिन्होंने तैयार किए थे, वह लोग भी वही भाषा बोलते थे। तब बंकिम दा ने उस हीन भावना को भी झंकझोरने के लिए और सामर्थ्य का परिचय कराने के लिए, वंदे मातरम के भारत के सामर्थ्यशाली रूप को प्रकट करते हुए, आपने लिखा था, त्वं हि दुर्गा दशप्रहरणधारिणी,कमला कमलदलविहारिणी, वाणी विद्यादायिनी। नमामि त्वां नमामि कमलाम्, अमलाम् अतुलां सुजलां सुफलां मातरम्॥ वन्दे मातरम्॥ अर्थात भारत माता ज्ञान और समृद्धि की देवी भी हैं और दुश्मनों के सामने अस्त्र-शस्त्र धारण करने वाली चंडी भी हैं।

अध्यक्ष जी,

यह शब्द, यह भाव, यह प्रेरणा, गुलामी की हताशा में हम भारतीयों को हौसला देने वाले थे। इन वाक्यों ने तब करोड़ों देशवासियों को यह एहसास कराया की लड़ाई किसी जमीन के टुकड़े के लिए नहीं है, यह लड़ाई सिर्फ सत्ता के सिंहासन को कब्जा करने के लिए नहीं है, यह गुलामी की बेड़ियों को मुक्त कर हजारों साल की महान जो परंपराएं थी, महान संस्कृति, जो गौरवपूर्ण इतिहास था, उसको फिर से पुनर्जन्म कराने का संकल्प इसमें है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम, इसका जो जन-जन से जुड़ाव था, यह हमारे स्वतंत्रता संग्राम के एक लंबी गाथा अभिव्यक्त होती है।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

जब भी जैसे किसी नदी की चर्चा होती है, चाहे सिंधु हो, सरस्वती हो, कावेरी हो, गोदावरी हो, गंगा हो, यमुना हो, उस नदी के साथ एक सांस्कृतिक धारा प्रवाह, एक विकास यात्रा का धारा प्रवाह, एक जन-जीवन की यात्रा का प्रवाह, उसके साथ जुड़ जाता है। लेकिन क्या कभी किसी ने सोचा है कि आजादी जंग के हर पड़ाव, वो पूरी यात्रा वंदे मातरम की भावनाओं से गुजरता था। उसके तट पर पल्लवित होता था, ऐसा भाव काव्य शायद दुनिया में कभी उपलब्ध नहीं होगा।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

अंग्रेज समझ चुके थे कि 1857 के बाद लंबे समय तक भारत में टिकना उनके लिए मुश्किल लग रहा था और जिस प्रकार से वह अपने सपने लेकर के आए थे, तब उनको लगा कि जब तक, जब तक भारत को बाटेंगे नहीं, जब तक भारत को टुकडों में नहीं बाटेंगे, भारत में ही लोगों को एक-दूसरे से लड़ाएंगे नहीं, तब तक यहां राज करना मुश्किल है और अंग्रेजों ने बाटों और राज करो, इस रास्ते को चुना और उन्होंने बंगाल को इसकी प्रयोगशाला बनाया क्यूंकि अंग्रेज़ भी जानते थे, वह एक वक्त था जब बंगाल का बौद्धिक सामर्थ्‍य देश को दिशा देता था, देश को ताकत देता था, देश को प्रेरणा देता था और इसलिए अंग्रेज भी चाहते थे कि बंगाल का यह जो सामर्थ्‍य है, वह पूरे देश की शक्ति का एक प्रकार से केंद्र बिंदु है। और इसलिए अंग्रेजों ने सबसे पहले बंगाल के टुकड़े करने की दिशा में काम किया। और अंग्रेजों का मानना था कि एक बार बंगाल टूट गया, तो यह देश भी टूट जाएगा और वो यावच चन्द्र-दिवाकरौ राज करते रहेंगे, यह उनकी सोच थी। 1905 में अंग्रेजों ने बंगाल का विभाजन किया, लेकिन जब अंग्रेजों ने 1905 में यह पाप किया, तो वंदे मातरम चट्टान की तरह खड़ा रहा। बंगाल की एकता के लिए वंदे मातरम गली-गली का नाद बन गया था और वही नारा प्रेरणा देता था। अंग्रेजों ने बंगाल विभाजन के साथ ही भारत को कमजोर करने के बीज और अधिक बोने की दिशा पकड़ ली थी, लेकिन वंदे मातरम एक स्वर, एक सूत्र के रूप में अंग्रेजों के लिए चुनौती बनता गया और देश के लिए चट्टान बनता गया।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

बंगाल का विभाजन तो हुआ, लेकिन एक बहुत बड़ा स्वदेशी आंदोलन खड़ा हुआ और तब वंदे मातरम हर तरफ गूंज रहा था। अंग्रेज समझ गए थे कि बंगाल की धरती से निकला, बंकिम दा का यह भाव सूत्र, बंकित बाबू बोलें अच्छा थैंक यू थैंक यू थैंक यू आपकी भावनाओं का मैं आदर करता हूं। बंकिम बाबू ने, बंकिम बाबू ने थैंक यू दादा थैंक यू, आपको तो दादा कह सकता हूं ना, वरना उसमें भी आपको ऐतराज हो जाएगा। बंकिम बाबू ने यह जो भाव विश्व तैयार किया था, उनके भाव गीत के द्वारा, उन्होंने अंग्रेजों को हिला दिया और अंग्रेजों ने देखिए कितनी कमजोरी होगी और इस गीत की ताकत कितनी होगी, अंग्रेजों ने उसको कानूनी रूप से प्रतिबंध लगाने के लिए मजबूर होना पड़ा था। गाने पर सजा, छापने पर सजा, इतना ही नहीं, वंदे मातरम शब्द बोलने पर भी सजा, इतने कठोर कानून लागू कर दिए गए थे। हमारे देश की आजादी के आंदोलन में सैकड़ों महिलाओं ने नेतृत्व किया, लक्ष्यावधि महिलाओं ने योगदान दिया। एक घटना का मैं जिक्र करना चाहता हूं, बारीसाल, बारीसाल में वंदे मातरम गाने पर सर्वाधिक जुल्म हुए थे। वो बारीसाल आज भारत का हिस्सा नहीं रहा है और उस समय बारीसाल के हमारे माताएं, बहने, बच्चे मैदान उतरे थे, वंदे मातरम के स्वाभिमान के लिए, इस प्रतिबंध के विरोध में लड़ाई के मैदान में उतरी थी और तब बारीसाल कि यह वीरांगना श्रीमती सरोजिनी घोष, जिन्होंने उस जमाने में वहां की भावनाओं को देखिए और उन्होंने कहा था की वंदे मातरम यह जो प्रतिबंध लगा है, जब तक यह प्रतिबंध नहीं हटता है, मैं अपनी चूड़ियां जो पहनती हूं, वो निकाल दूंगी। भारत में वह एक जमाना था, चूड़ी निकालना यानी महिला के जीवन की एक बहुत बड़ी घटना हुआ करती थी, लेकिन उनके लिए वंदे मातरम वह भावना थी, उन्होंने अपनी सोने की चूड़ियां, जब तक वंदे मातरम प्रतिबंध नहीं हटेगा, मैं दोबारा नहीं धारण करूंगी, ऐसा बड़ा व्रत ले लिया था। हमारे देश के बालक भी पीछे नहीं रहे थे, उनको कोड़े की सजा होती थी, छोटी-छोटी उम्र में उनको जेल में बंद कर दिया जाता था और उन दिनों खास करके बंगाल की गलियों में लगातार वंदे मातरम के लिए प्रभात फेरियां निकलती थी। अंग्रेजों की नाक में दम कर दिया था और उस समय एक गीत गूंजता था बंगाल में जाए जाबे जीवोनो चोले, जाए जाबे जीवोनो चोले, जोगोतो माझे तोमार काँधे वन्दे मातरम बोले (In Bengali) अर्थात हे मां संसार में तुम्हारा काम करते और वंदे मातरम कहते जीवन भी चला जाए, तो वह जीवन भी धन्य है, यह बंगाल की गलियों में बच्चे कह रहे थे। यह गीत उन बच्चों की हिम्मत का स्वर था और उन बच्चों की हिम्मत ने देश को हिम्मत दी थी। बंगाल की गलियों से निकली आवाज देश की आवाज बन गई थी। 1905 में हरितपुर के एक गांव में बहुत छोटी-छोटी उम्र के बच्चे, जब वंदे मातरम के नारे लगा रहे थे, अंग्रेजों ने बेरहमी से उन पर कोड़े मारे थे। हर एक प्रकार से जीवन और मृत्यु के बीच लड़ाई लड़ने के लिए मजबूर कर दिया था। इतना अत्याचार हुआ था। 1906 में नागपुर में नील सिटी हाई स्कूल के उन बच्चों पर भी अंग्रेजों ने ऐसे ही जुल्म किए थे। गुनाह यही था कि वह एक स्वर से वंदे मातरम बोल करके खड़े हो गए थे। उन्होंने वंदे मातरम के लिए, मंत्र का महात्म्य अपनी ताकत से सिद्ध करने का प्रयास किया था। हमारे जांबाज सपूत बिना किसी डर के फांसी के तख्त पर चढ़ते थे और आखिरी सांस तक वंदे मातरम वंदे मातरम वंदे मातरम, यही उनका भाव घोष रहता था। खुदीराम बोस, मदनलाल ढींगरा, राम प्रसाद बिस्मिल, अशफाकउल्ला खान, रोशन सिंह, राजेन्द्रनाथ लाहिड़ी, रामकृष्ण विश्वास अनगिनत जिन्होंने वंदे मातरम कहते-कहते फांसी के फंदे को अपने गले पर लगाया था। लेकिन देखिए यह अलग-अलग जेलों में होता था, अलग-अलग इलाकों में होता था। प्रक्रिया करने वाले चेहरे अलग थे, लोग अलग थे। जिन पर जुल्म हो रहा था, उनकी भाषा भी अलग थी, लेकिन एक भारत, श्रेष्ठ भारत, इन सबका मंत्र एक ही था, वंदे मातरम। चटगांव की स्वराज क्रांति जिन युवाओं ने अंग्रेजों को चुनौती दी, वह भी इतिहास के चमकते हुए नाम हैं। हरगोपाल कौल, पुलिन विकाश घोष, त्रिपुर सेन इन सबने देश के लिए अपना बलिदान दिया। मास्टर सूर्य सेन को 1934 में जब फांसी दी गई, तब उन्होंने अपने साथियों को एक पत्र लिखा और पत्र में एक ही शब्द की गूंज थी और वह शब्द था वंदे मातरम।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

हम देशवासियों को गर्व होना चाहिए, दुनिया के इतिहास में कहीं पर भी ऐसा कोई काव्य नहीं हो सकता, ऐसा कोई भाव गीत नहीं हो सकता, जो सदियों तक एक लक्ष्य के लिए कोटि-कोटि जनों को प्रेरित करता हो और जीवन आहूत करने के लिए निकल पड़ते हों, दुनिया में ऐसा कोई भाव गीत नहीं हो सकता, जो वंदे मातरम है। पूरे विश्व को पता होना चाहिए कि गुलामी के कालखंड में भी ऐसे लोग हमारे यहां पैदा होते थे, जो इस प्रकार के भाव गीत की रचना कर सकते थे। यह विश्व के लिए अजूबा है, हमें गर्व से कहना चाहिए, तो दुनिया भी मनाना शुरू करेगी। यह हमारी स्वतंत्रता का मंत्र था, यह बलिदान का मंत्र था, यह ऊर्जा का मंत्र था, यह सात्विकता का मंत्र था, यह समर्पण का मंत्र था, यह त्याग और तपस्या का मंत्र था, संकटों को सहने का सामर्थ्य देने का यह मंत्र था और वह मंत्र वंदे मातरम था। और इसलिए गुरुदेव रविंद्रनाथ टैगोर ने लिखा था, उन्होंने लिखा था, एक कार्ये सोंपियाछि सहस्र जीवन—वन्दे मातरम् (In Bengali) अर्थात एक सूत्र में बंधे हुए सहस्त्र मन, एक ही कार्य में अर्पित सहस्त्र जीवन, वंदे मातरम। यह रविंद्रनाथ टैगोर जी ने लिखा था।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

उसी कालखंड में वंदे मातरम की रिकॉर्डिंग दुनिया के अलग-अलग भागों में पहुंची और लंदन में जो क्रांतिकारियों की एक प्रकार से तीर्थ भूमि बन गया था, वह लंदन का इंडिया हाउस वीर सावरकर जी ने वहां वंदे मातरम गीत गाया और वहां यह गीत बार-बार गूंजता था। देश के लिए जीने-मरने वालों के लिए वह एक बहुत बड़ा प्रेरणा का अवसर रहता था। उसी समय विपिन चंद्र पाल और महर्षि अरविंद घोष, उन्होंने अखबार निकालें, उस अखबार का नाम भी उन्होंने वंदे मातरम रखा। यानी डगर-डगर पर अंग्रेजों के नींद हराम करने के लिए वंदे मातरम काफी हो जाता था और इसलिए उन्होंने इस नाम को रखा। अंग्रेजों ने अखबारों पर रोक लगा दी, तो मैडम भीकाजी कामा ने पेरिस में एक अखबार निकाला और उसका नाम उन्होंने वंदे मातरम रखा!

आदरणीय अध्यक्ष जी,

वंदे मातरम ने भारत को स्वावलंबन का रास्ता भी दिखाया। उस समय माचिस के डिबिया, मैच बॉक्स, वहां से लेकर के बड़े-बड़े शिप उस पर भी वंदे मातरम लिखने की परंपरा बन गई और बाहरी कंपनियों को चुनौती देने का एक माध्यम बन गया, स्वदेशी का एक मंत्र बन गया। आजादी का मंत्र स्वदेशी के मंत्र की तरह विस्तार होता गया।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

मैं एक और घटना का जिक्र भी करना चाहता हूं। 1907 में जब वी ओ चिदंबरम पिल्लई, उन्होंने स्वदेशी कंपनी का जहाज बनाया, तो उस पर भी लिखा था वंदेमातरम। राष्ट्रकवि सुब्रमण्यम भारती ने वंदे मातरम को तमिल में अनुवाद किया, स्तुति गीत लिखे। उनके कई तमिल देशभक्ति गीतों में वंदे मातरम की श्रद्धा साफ-साफ नजर आती है। शायद सभी लोगों को लगता है, तमिलनाडु के लोगों को पता हो, लेकिन सभी लोगों को यह बात का पता ना हो कि भारत का ध्वज गीत वी सुब्रमण्यम भारती ने ही लिखा था। उस ध्वज गीत का वर्णन जिस पर वंदे मातरम लिखा हुआ था, तमिल में इस ध्वज गीत का शीर्षक था। Thayin manikodi pareer, thazhndu panintu Pukazhnthida Vareer! (In Tamil) अर्थात देश प्रेमियों दर्शन कर लो, सविनय अभिनंदन कर लो, मेरी मां की दिव्य ध्वजा का वंदन कर लो।

आदरणीय अध्यक्ष महोदय,

मैं आज इस सदन में वंदे मातरम पर महात्मा गांधी की भावनाएं क्या थी, वह भी रखना चाहता हूं। दक्षिण अफ्रीका से प्रकाशित एक साप्ताहिक पत्रिका निकलती थी, इंडियन ओपिनियन और और इस इंडियन ओपिनियन में महात्मा गांधी ने 2 दिसंबर 1905 जो लिखा था, उसको मैं कोट कर रहा हूं। उन्होंने लिखा था, महात्मा गांधी ने लिखा था, “गीत वंदे मातरम जिसे बंकिम चंद्र ने रचा है, पूरे बंगाल में अत्यंत लोकप्रिय हो गया है, स्वदेशी आंदोलन के दौरान बंगाल में विशाल सभाएं हुईं, जहां लाखों लोग इकट्ठा हुए और बंकिम का यह गीत गाया।” गांधी जी आगे लिखते हैंं, यह बहुत महत्वपूर्ण है, वह लिखते हैं यह 1905 की बात है। उन्होंने लिखा, “यह गीत इतना लोकप्रिय हो गया है, जैसे यह हमारा नेशनल एंथम बन गया है। इसकी भावनाएं महान हैं और यह अन्य राष्ट्रों के गीतों से अधिक मधुर है। इसका एकमात्र उद्देश्य हम में देशभक्ति की भावना जगाना है। यह भारत को मां के रूप में देखता है और उसकी स्तुति करता है।”

अध्यक्ष जी,

जो वंदे मातरम 1905 में महात्मा गांधी को नेशनल एंथम के रूप में दिखता था, देश के हर कोने में, हर व्यक्ति के जीवन में, जो भी देश के लिए जीता-जागता, जिस देश के लिए जागता था, उन सबके लिए वंदे मातरम की ताकत बहुत बड़ी थी। वंदे मातरम इतना महान था, जिसकी भावना इतनी महान थी, तो फिर पिछली सदी में इसके साथ इतना बड़ा अन्याय क्यों हुआ? वंदे मातरम के साथ विश्वासघात क्यों हुआ? यह अन्याय क्यों हुआ? वह कौन सी ताकत थी, जिसकी इच्छा खुद पूज्‍य बापू की भावनाओं पर भी भारी पड़ गई? जिसने वंदे मातरम जैसी पवित्र भावना को भी विवादों में घसीट दिया। मैं समझता हूं कि आज जब हम वंदे मातरम के 150 वर्ष का पर्व बना रहे हैं, यह चर्चा कर रहे हैं, तो हमें उन परिस्थितियों को भी हमारी नई पीडिया को जरूर बताना हमारा दायित्व है। जिसकी वजह से वंदे मातरम के साथ विश्वासघात किया गया। वंदे मातरम के प्रति मुस्लिम लीग की विरोध की राजनीति तेज होती जा रही थी। मोहम्मद अली जिन्ना ने लखनऊ से 15 अक्टूबर 1937 को वंदे मातरम के विरुद्ध का नारा बुलंद किया। फिर कांग्रेस के तत्कालीन अध्यक्ष जवाहरलाल नेहरू को अपना सिंहासन डोलता दिखा। बजाय कि नेहरू जी मुस्लिम लीग के आधारहीन बयानों को तगड़ा जवाब देते, करारा जवाब देते, मुस्लिम लीग के बयानों की निंदा करते और वंदे मातरम के प्रति खुद की भी और कांग्रेस पार्टी की भी निष्ठा को प्रकट करते, लेकिन उल्टा हुआ। वो ऐसा क्यों कर रहे हैं, वह तो पूछा ही नहीं, न जाना, लेकिन उन्होंने वंदे मातरम की ही पड़ताल शुरू कर दी। जिन्ना के विरोध के 5 दिन बाद ही 20 अक्टूबर को नेहरू जी ने नेताजी सुभाष बाबू को चिट्ठी लिखी। उस चिट्ठी में जिन्ना की भावना से नेहरू जी अपनी सहमति जताते हुए कि वंदे मातरम भी यह जो उन्होंने सुभाष बाबू को लिखा है, वंदे मातरम की आनंद मठ वाली पृष्ठभूमि मुसलमानों को इरिटेट कर सकती है। मैं नेहरू जी का क्वोट पढ़ता हूं, नेहरू जी कहते हैं “मैंने वंदे मातरम गीत का बैकग्राउंड पड़ा है।” नेहरू जी फिर लिखते हैं, “मुझे लगता है कि यह जो बैकग्राउंड है, इससे मुस्लिम भड़केंगे।”

साथियों,

इसके बाद कांग्रेस की तरफ से बयान आया कि 26 अक्टूबर से कांग्रेस कार्यसमिति की एक बैठक कोलकाता में होगी, जिसमें वंदे मातरम के उपयोग की समीक्षा की जाएगी। बंकिम बाबू का बंगाल, बंकिम बाबू का कोलकाता और उसको चुना गया और वहां पर समीक्षा करना तय किया। पूरा देश हतप्रभ था, पूरा देश हैरान था, पूरे देश में देशभक्तों ने इस प्रस्ताव के विरोध में देश के कोने-कोने में प्रभात फेरियां निकालीं, वंदे मातरम गीत गाया लेकिन देश का दुर्भाग्य कि 26 अक्टूबर को कांग्रेस ने वंदे मातरम पर समझौता कर लिया। वंदे मातरम के टुकड़े करने के फैसले में वंदे मातरम के टुकड़े कर दिए। उस फैसले के पीछे नकाब ये पहना गया, चोला ये पहना गया, यह तो सामाजिक सद्भाव का काम है। लेकिन इतिहास इस बात का गवाह है कि कांग्रेस ने मुस्लिम लीग के सामने घुटने टेक दिए और मुस्लिम लीग के दबाव में किया और कांग्रेस का यह तुष्टीकरण की राजनीति को साधने का एक तरीका था।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

तुष्टीकरण की राजनीति के दबाव में कांग्रेस वंदे मातरम के बंटवारे के लिए झुकी, इसलिए कांग्रेस को एक दिन भारत के बंटवारे के लिए झुकना पड़ा। मुझे लगता है, कांग्रेस ने आउटसोर्स कर दिया है। दुर्भाग्य से कांग्रेस के नीतियां वैसी की वैसी ही हैं और इतना ही नहीं INC चलते-चलते MMC हो गया है। आज भी कांग्रेस और उसके साथी और जिन-जिन के नाम के साथ कांग्रेस जुड़ा हुआ है सब, वंदे मातरम पर विवाद खड़ा करने की कोशिश करते हैं।

आदरणीय अध्यक्ष महोदय,

किसी भी राष्ट्र का चरित्र उसके जीवटता उसके अच्छे कालखंड से ज्यादा, जब चुनौतियों का कालखंड होता है, जब संकटों का कालखंड होता है, तब प्रकट होती हैं, उजागर होती हैं और सच्‍चे अर्थ में कसौटी से कसी जाती हैं। जब कसौटी का काल आता है, तब ही यह सिद्ध होता है कि हम कितने दृढ़ हैं, कितने सशक्त हैं, कितने सामर्थ्यवान हैं। 1947 में देश आजाद होने के बाद देश की चुनौतियां बदली, देश के प्राथमिकताएं बदली, लेकिन देश का चरित्र, देश की जीवटता, वही रही, वही प्रेरणा मिलती रही। भारत पर जब-जब संकट आए, देश हर बार वंदे मातरम की भावना के साथ आगे बढ़ा। बीच का कालखंड कैसा गया, जाने दो। लेकिन आज भी 15 अगस्त, 26 जनवरी की जब बात आती है, हर घर तिरंगा की बात आती है, चारों तरफ वो भाव दिखता है। तिरंगे झंडे फहरते हैं। एक जमाना था, जब देश में खाद्य का संकट आया, वही वंदे मातरम का भाव था, मेरे देश के किसानों के अन्‍न के भंडार भर दिए और उसके पीछे भाव वही है वंदे मातरम। जब देश की आजादी को कुचलना की कोशिश हुए, संविधान की पीठ पर छुरा घोप दिया गया, आपातकाल थोप दिया गया, यही वंदे मातरम की ताकत थी कि देश खड़ा हुआ और परास्त करके रहा। देश पर जब भी युद्ध थोपे गए, देश को जब भी संघर्ष की नौबत आई, यही वंद मातरम का भाव था, देश का जवान सीमाओं पर अड़ गया और मां भारती का झंडा लहराता रहा, विजय श्री प्राप्त करता रहा। कोरोना जैसा वैश्विक महासंकट आया, यही देश उसी भाव से खड़ा हुआ, उसको भी परास्त करके आगे बढ़ा।

आदरणीय अध्यक्ष जी,

यह राष्ट्र की शक्ति है, यह राष्ट्र को भावनाओं से जोड़ने वाला सामर्थ्‍यवान एक ऊर्जा प्रवाह है। यह चेतना परवाह है, यह संस्कृति की अविरल धारा का प्रतिबिंब है, उसका प्रकटीकरण है। यह वंदे मातरम हमारे लिए सिर्फ स्मरण करने का काल नहीं, एक नई ऊर्जा, नई प्रेरणा का लेने का काल बन जाए और हम उसके प्रति समर्पित होते चलें और मैंने पहले कहा हम लोगों पर तो कर्ज है वंदे मातरम का, वही वंदे मातरम है, जिसने वह रास्ता बनाया, जिस रास्ते से हम यहां पहुंचे हैं और इसलिए हमारा कर्ज बनता है। भारत हर चुनौतियों को पार करने में सामर्थ्‍य है। वंदे मातरम के भाव की वो ताकत है। वंदे मातरम यह सिर्फ गीत या भाव गीत नहीं, यह हमारे लिए प्रेरणा है, राष्ट्र के प्रति कर्तव्यों के लिए हमें झकझोरने वाला काम है और इसलिए हमें निरंतर इसको करते रहना होगा। हम आत्मनिर्भर भारत का सपना लेकर के चल रहे हैं, उसको पूरा करना है। वंदे मातरम हमारी प्रेरणा है। हम स्वदेशी आंदोलन को ताकत देना चाहते हैं, समय बदला होगा, रूप बदले होंगे, लेकिन पूज्य गांधी ने जो भाव व्यक्त किया था, उस भाव की ताकत आज भी हमें मौजूद है और वंदे मातरम हमें जोड़ता है। देश के महापुरुषों का सपना था स्वतंत्र भारत का, देश की आज की पीढ़ी का सपना है समृद्ध भारत का, आजाद भारत के सपने को सींचा था वंदे भारत की भावना ने, वंदे भारत की भावना ने, समृद्ध भारत के सपने को सींचेगा वंदे मातरम के भवना, उसी भावनाओं को लेकर के हमें आगे चलना है। और हमें आत्मनिर्भर भारत बनाना, 2047 में देश विकसित भारत बन कर रहे। अगर आजादी के 50 साल पहले कोई आजाद भारत का सपना देख सकता था, तो 25 साल पहले हम भी तो समृद्ध भारत का सपना देख सकते हैं, विकसित भारत का सपना देख सकते हैं और इस सपने के लिए अपने आप को खपा भी सकते हैं। इसी मंत्र और इसी संकल्प के साथ वंदे मातरम हमें प्रेरणा देता रहे, वंदे मातरम का हम ऋण स्वीकार करें, वंदे मातरम की भावनाओं को लेकर के चलें, देशवासियों को साथ लेकर के चलें, हम सब मिलकर के चलें, इस सपने को पूरा करें, इस एक भाव के साथ यह चर्चा का आज आरंभ हो रहा है। मुझे पूरा विश्वास है कि दोनों सदनों में देश के अंदर वह भाव भरने वाला कारण बनेगा, देश को प्रेरित करने वाला कारण बनेगा, देश की नई पीढ़ी को ऊर्जा देने का कारण बनेगा, इन्हीं शब्दों के साथ आपने मुझे अवसर दिया, मैं आपका बहुत-बहुत आभार व्यक्त करता हूं। बहुत-बहुत धन्यवाद!

वंदे मातरम!

वंदे मातरम!

वंदे मातरम!