Launches Acharya Chanakya Kaushalya Vikas Scheme and Punyashlok Ahilyabai Holkar Women Start-Up Scheme
Lays foundation stone of PM MITRA Park in Amravati
Releases certificates and loans to PM Vishwakarma beneficiaries
Unveils commemorative stamp marking one year of progress under PM Vishwakarma
“PM Vishwakarma has positively impacted countless artisans, preserving their skills and fostering economic growth”
“With Vishwakarma Yojna, we have resolved for prosperity and a better tomorrow through labour and skill development”
“Vishwakarma Yojana is a roadmap to utilize thousands of years old skills of India for a developed India”
“Basic spirit of Vishwakarma Yojna is ‘Samman Samarthya, Samridhi’”
“Today's India is working to take its textile industry to the top in the global market”
“Government is setting up 7 PM Mitra Parks across the country. Our vision is Farm to Fibre, Fiber to Fabric, Fabric to Fashion and Fashion to Foreign”

ভারত মাতা কি জয়! 
ভারত মাতা কি জয়!
অমরাবতী এবং ওয়ার্ধা সহ মহারাষ্ট্রের সকল নাগরিককে শুভেচ্ছা!
মাত্র দুদিন আগে আমরা বিশ্বকর্মা পুজো উৎসব পালন করেছি। আর আজ আমরা ওয়ার্ধার পবিত্র ভূমিতে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার সাফল্য উদযাপন করছি। আজকের দিনটি বিশেষ দিন কারণ ১৯৩২-এ আজকের দিনেই মহাত্মা গান্ধী অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিনোবা ভাবের পবিত্র ভূমি, মহাত্মা গান্ধীর ‘কর্মভূমি’-তে বিশ্বকর্মা যোজনার প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। ওয়ার্ধার ভূমি সাফল্য এবং অনুপ্রেরণার সঙ্গম যা ‘বিকশিত ভারত’-এর জন্য আমাদের সংকল্পকে নতুন প্রাণশক্তি দেবে। বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে আমরা নিজেদের দায়বদ্ধ করেছি। শ্রমের মাধ্যমে সমৃদ্ধি এবং দক্ষতার মাধ্যমে আরও ভালো ভবিষ্যতের জন্য এবং ওয়ার্ধায় বাপুর অনুপ্রেরণা আমাদের এই দায়বদ্ধতা পূরণে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে এবং সারা দেশের সুবিধাপ্রাপকদের আমি আমার অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ, 
আজ পিএম মিত্র পার্কের শিলান্যাস করা হয়েছে অমরাবতীতে। বর্তমানে ভারত তার বস্ত্র শিল্পকে বিশ্ব বাজারে শীর্ষে নিয়ে যেতে কাজ করছে। দেশের লক্ষ্য, ভারতের বস্ত্র শিল্পক্ষেত্রের ১ হাজার বছরের গর্বের পুনরূদ্ধার। এই লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ অমরাবতীর পিএম মিত্র পার্ক। এই সাফল্যের জন্য আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ,
আমরা বিশ্বকর্মা যোজনার প্রথম বার্ষিকীর জন্য মহারাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছি এবং আমরা বেছে নিয়েছি ওয়ার্ধার পবিত্র ভূমিকে কারণ বিশ্বকর্মা যোজনা শুধুমাত্র একটা সরকারী কর্মসূচি নয়। এই উদ্যোগ ‘বিকশিত ভারত’-এর জন্য। ভারতের বহু প্রাচীন দক্ষতাকে ব্যবহার করার জন্য একটি পথচিত্র। মনে রাখবেন, ভারতের সমৃদ্ধি নিয়ে ইতিহাসে অনেক উজ্জ্বল অধ্যায় আছে। এই সমৃদ্ধির ভিত্তি কি ছিল ? 
ছিল আমাদের চিরাচরিত দক্ষতা! আমাদের কারুশিল্প, কারিগরি এবং সেই সময়ের বিজ্ঞান। আমরা ছিলাম বিশ্বের বৃহত্তম বস্ত্র উৎপাদক। আমাদের ধাতুবিদ্যা ছিল বিশ্বে অনন্য। মৃৎশিল্প থেকে বাড়ির নকশা তার কোনও তুলনা ছিল না। প্রত্যেকটি পরিবারে এই জ্ঞান ও বিজ্ঞান কে দিয়েছিল ? ছুতোর, কামার, স্যাকরা, কুমোর, ভাস্কর, মুচি, রাজমিস্ত্রী এবং এইরকম অন্যান্য পেশা ভারতের সমৃদ্ধির ভিত গড়েছিল। সেইজন্য ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে এই দক্ষতাগুলি নষ্ট করার চক্রান্ত করেছিল। এই কারণে গান্ধীজি ওয়ার্ধার এই ভূমি থেকেই গ্রামীণ শিল্পের প্রসার ঘটিয়েছিলেন। 

কিন্তু বন্ধুগণ, 
এটা দুর্ভাগ্য যে, পরের পর সরকার এই দক্ষতাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়নি। সরকারগুলি একটানা বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়কে অবহেলা করেছে। যেহেতু আমরা কারুকৃতি এবং দক্ষতাকে সম্মান করতে ভুলে গেছিলাম তাই ভারত সমৃদ্ধি এবং আধুনিকতায় পিছিয়ে পড়েছিল। 


বন্ধুগণ,
এখন স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে আমাদের সরকার সংকল্প নিয়েছে এই ঐতিহ্যশালী দক্ষতায় নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার করতে। এই সংকল্প পূরণ করতে আমরা ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ উদ্যোগ শুরু করি। এই কর্মসূচির মূল দর্শনটি হল ‘সম্মান’, ‘সামর্থ্য’ এবং ‘সমৃদ্ধি’। তার অর্থ চিরাচরিত দক্ষতাকে সম্মান, শিল্পীদের ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বকর্মা ভাইদের জীবনে সমৃদ্ধি – এটাই আমাদের লক্ষ্য। 


এবং বন্ধুগণ, 
বিশ্বকর্মা যোজনার আরও একটি অভিনব বৈশিষ্ট্য, একাধিক দফতর এটি রূপায়ণে এগিয়ে এসেছে – এটা অভূতপূর্ব। ৭০০-এর বেশি জেলা, ২,৫০০ –এর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৫০০০ পৌর সংস্থা দেশজুড়ে এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মাত্র ১ বছরের মধ্যে ১৮টি পেশার ২০ লক্ষের বেশি মানুষ এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন। মাত্র ১ বছরেই ৮,০০,০০০ কারিগর এবং শিল্পী দক্ষতার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করেছেন। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ৬০,০০০০ –এর বেশি মানুষ প্রশিক্ষিত হয়েছেন। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে আছে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং ডিজিটাল উপকরণের মতো নতুন প্রযুক্তি। এপর্যন্ত ৬,৫০,০০০ –এর বেশি বিশ্বকর্মা ভাই আধুনিক উপকরণ পেয়েছেন। এতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণমান এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক সুবিধাপ্রাপককে দেওয়া হচ্ছে ১৫০০০ টাকার ই-ভাউচার। তারা ব্যবসা বাড়াতে কোনও জামানত ছাড়াই ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণও পেতে পারেন। আমি বলতে পেরে খুশি যে, ১ বছরের মধ্যে ১৪০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বিশ্বকর্মা ভাই-বোনেদের। অন্য কথায় বিশ্বকর্মা যোজনার প্রত্যেকটি বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে। সেই কারণেই বিশ্বকর্মা যোজনা এত সফল এবং জনপ্রিয়। 

 

এবং এইমাত্র জিতেন রাম মানঝি-জি এই প্রদর্শনীর বর্ণনা দিচ্ছিলেন। আমি এই প্রদর্শনীটি ঘুরেছি এবং দেখেছি আমাদের মানুষের চিরাচরিত প্রথায় দুর্দান্ত কাজ। যখন তাদের আধুনিক প্রযুক্তির উপকরণ, প্রশিক্ষণ এবং বাণিজ্য করার জন্য মূল অর্থটি দেওয়া হবে তারা অসাধারণ ফল অর্জন করবে। আমি এইমাত্র এর সাক্ষী থাকলাম। এইখানে যারা উপস্থিত আছেন তাদের সকলকে আমার অভিনন্দন। আপনারা এই প্রদর্শনীটি অতি অবশ্যই দেখুন। আপনারা গর্ব অনুভব করবেন কি বিপুল রূপান্তর ঘটে গেছে তা দেখে। 


বন্ধুগণ, 
আমাদের চিরাচরিত দক্ষতা বেশিরভাগ ব্যবহার করে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী সমাজ। যদি পূর্বেকার সরকারগুলি বিশ্বকর্মা ভাইদের খেয়াল রাখতো তাহলে এই সকল জনসমাজের প্রতি উচিত কাজ করা হতো। তবে, কংগ্রেস এবং তার মিত্ররা ইচ্ছাকৃতভাবে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীকে এগোতে বাধা দিয়েছে। আমরা কংগ্রেসের এই দলিত বিরোধী, পিছিয়ে পড়া মানুষ বিরোধী মনোভাব সরকারী ব্যবস্থা থেকে দূর করে দিয়েছি। গত বছরের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে আজ তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী বিশ্বকর্মা যোজনার সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপক। আমি চাই, বিশ্বকর্মা সমাজ এবং যারা এই ধরনের চিরাচরিত কারুশিল্পের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধুমাত্র কারিগর হয়েই যেন না থাকে আমি চাই তারা উদ্যোগপতি এবং ব্যবসায়ী হয়ে উঠুক। সেই কারণেই আমরা বিশ্বকর্মা ভাই-বোনেদের কাজকে এমএসএমই-র মর্যাদা দিয়েছি। এক জেলা এক পণ্য, এবং একতা মলের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলি বিপণন করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, এইসব মানুষ যাতে তাদের ব্যবসা বাড়াতে পারে এবং বৃহৎ সংস্থাগুলির সরবরাহ শৃঙ্খলের অঙ্গ হয়ে ওঠতে পারে। 


এই কারণে, 
ওএনডিসি এবং জিইএম-এর মতো প্ল্যার্টফর্ম কারিগর, কারুশিল্পী এবং ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করছে। এই সূচনা দেখাচ্ছে যে, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী বিশ্বে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের স্কিল ইন্ডিয়া মিশন এই প্রয়াসকে আরও শক্তিশালী করছে। ‘কৌশল বিকাশ অভিযান’-এর অধীনে দেশের লক্ষ লক্ষ যুবা বর্তমান সময়ের প্রয়োজন মাফিক দক্ষ হওয়ার প্রশিক্ষণ পেয়েছে। স্কিল ইন্ডিয়ার মতো উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের সরকার গঠিত হওয়ার পরে আমরা জিতেন্দ্র চৌধুরীজির নেতৃত্বে আলাদা দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রক তৈরি করেছি। তার নেতৃত্বে এবছর ফ্রান্সে একটি বড় অনুষ্ঠান হয়েছে। আমরা প্রায়ই অলিম্পিক নিয়ে কথা বলে থাকি কিন্তু ফ্রান্সে একটা বড় অনুষ্ঠান হল দক্ষতা প্রদর্শন করার জন্য। আমাদের অনেক ছোট ছোট কারিগর এবং শ্রমিক তাতে অংশ নিয়েছেন এবং ভারত একাধিক পুরস্কার জিতেছে। এটা আমাদের সকলের গর্ব। 

 

বন্ধুগণ, 
মহারাষ্ট্রের বিপুল শিল্প সম্ভাবনা আছে। বস্ত্রশিল্প তার মধ্যে অন্যতম। বিদর্ভ অঞ্চল উচ্চমানের তুলা উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য স্থান হয়ে ওঠেছে। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে মহা- আঘাদি সরকার কি করেছে?  মহারাষ্ট্রের কৃষকদের ক্ষমতায়নের বদলে তাদের ক্লেশের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই দলগুলি কৃষকদের নামে রাজনীতি এবং দুর্নীতির সঙ্গেই শুধুমাত্র যুক্ত। ২০১৪-য় দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। সেই সময় অমরাবতীর নন্দগাঁও খণ্ডেশ্বরে টেক্সটাইল পার্ক বসানো হয়। আপনাদের কি মনে আছে সেই সময় ওই জায়গাটা কি রকম ছিল?  কোনও শিল্পই সেখানে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু এখন ওই অঞ্চলটি মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পতালুক হয়ে উঠছে। 


বন্ধুগণ, 
পিএম মিত্র পার্কে যে দ্রুত গতির অগ্রগতি ঘটছে তাতে বোঝা যায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের নিষ্ঠা। আমরা সারা দেশের এমনই ৭টি পিএম মিত্র পার্ক তৈরি করছি। আমাদের লক্ষ্য, “চাষ থেকে তন্তু, তন্তু থেকে বস্ত্র, বস্ত্র থেকে ফ্যাশন এবং ফ্যাশন থেকে বিদেশ। এর অর্থ এখানকার থেকেই বিদর্ভের তুলো দিয়ে উচ্চমানের কাপড় তৈরি হবে।” ফ্যাশন অনুযায়ী বস্ত্র তৈরি করে তা বিদেশে রপ্তানি করা হবে। ফলে চাষের কাজে কৃষকদের লোকসান বন্ধ হয়ে যাবে। তারা তাদের উৎপাদনের ভালো দাম পাবেন। এবং তাতে মূল্য যুক্ত করা হবে। শুধুমাত্র পিএম মিত্র পার্কেই ৮০০০ থেকে ১০,০০০ কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা। এতে বিদর্ভ এবং মহারাষ্ট্রের যুব সমাজের জন্য ১,০০,০০০ –এর বেশি নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অন্যান্য শিল্পও এখানে তৈরি হবে। নতুন সরবরাহ শৃঙ্খল সৃষ্টি হবে। দেশে রপ্তানি বাড়বে, আয় বাড়বে। 


এবং ভাই ও বোনেরা, 
মহারাষ্ট্রও প্রয়োজনীয় আধুনিক পরিকাঠামো এবং এই শিল্পের অগ্রগতির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করছে। নতুন হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, সমৃদ্ধি মহামার্গ এবং জলপথ ও আকাশপথে যোগাযোগের মাধ্যমে মহারাষ্ট্র নতুন শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। 


বন্ধুগণ, 
আমি বিশ্বাস করি যে, মহারাষ্ট্রের বহুমুখী অগ্রগতির সত্যিকারের নায়ক এখানকার কৃষকরা! মহারাষ্ট্র বিশেষ করে বিদর্ভের কৃষকরা সমৃদ্ধ হলে দেশও সমৃদ্ধ হয়। সেইজন্যই আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার কৃষকদের সমৃদ্ধির জন্য একযোগে কাজ করছে। আপানারা দেখতে পাবেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ সম্মান নিধিতে কৃষকদের ৬০০০ টাকা পাঠিয়েছে। এবং মহারাষ্ট্রের সরকার এরসঙ্গে আরও ৬০০০ টাকা যুক্ত করেছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের কৃষকরা বছরে ১২,০০০ টাকা করে পাচ্ছে। কৃষকদের যাতে ফসলের ক্ষতির ভার বইতে না হয় আমরা মাত্র এক টাকায় ফসলের বিমার সূচনা করেছি। একনাথ শিন্ডের মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের বিদ্যুৎ মাশুল মকুব করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এই অঞ্চলের সেচের সমস্যার সমাধানে একাধিক প্রয়াস নিয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সেইসব কাজ আটকে দেয়। বর্তমান সরকার আবার সেচ প্রকল্পগুলির কাজ শুরু করেছে। ওএনগঙ্গা এবং নলগঙ্গা নদী সংযুক্ত করতে ৮৫,০০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে। এতে নাগপুর, ওয়ার্ধা, অমরাবতী, যাবৎমল, হাকোলা এবং বুলধানা এই ৬টি জেলার ১০ লক্ষ একর জমিতে সেচের ব্যবস্থা হবে। 

 

বন্ধুগণ, 
আমরা মহারাষ্ট্রের কৃষকদের চাহিদা পূরণ করছি। পেঁয়াজের ওপর রপ্তানি শুল্ক ৪০ %  থেকে কমিয়ে ২০ % করা হয়েছে। আমরা আমদানি করা ভোজ্য তেলের ওপর ২০ % কর বসিয়েছি। পরিশোধিত সোয়াবিন, সূর্যমুখী এবং পাম তেলের ওপর সীমা শুল্ক ১২.৫ % থেকে বাড়িয়ে ৩২.৫%  করা হয়েছে। এতে আমাদের সোয়াবিন কৃষকরা অত্যন্ত উপকৃত হবে। আমরা শীঘ্রই এইসব প্রয়াসের ফল দেখতে পাবো। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কংগ্রেস এবং সহযোগী দলগুলিকে আর একবার সুযোগ দেওয়া চলবে না। তারা কৃষকদের কঠোর পরিস্থিতির সম্মুখে ফেলেছিল। কংগ্রেসের অর্থ একটাই- মিথ্যা, প্রবঞ্চনা এবং অসততা! তেলেঙ্গানা নির্বাচনের সময় তারা কৃষকদের ঋণ মকুবের মতো বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর কৃষকরা ঋণ মকুবের জন্য সংগ্রাম করছে এবং কেউ তাদের কথা শুনছে না। মহারাষ্ট্রে যাতে না এই ধরনের প্রবঞ্চনা হয় তারজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 


বন্ধুগণ, 
আমরা আজ যে কংগ্রেসকে দেখছি সেটি মহাত্মা গান্ধী এবং অন্য মহান নেতাদের কংগ্রেসের সমার্থক নয়। আজকের কংগ্রেস দেশব্রতের আদর্শ হারিয়ে ফেলেছে। বদলে এটি এখন ঘৃণার দানবের কবলে। কংগ্রেস নেতারা কীভাবে কথা বলে দেখুন, তাদের বিবৃতি, কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে নিজের দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তারা সমাজ এবং দেশকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলছেন এবং ভারতের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে অসম্মান করছেন। এই কংগ্রেস এখন পরিচালিত হচ্ছে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ এবং শহুরে নকশাল দ্বারা। এখন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত যদি কোনও পরিবার থাকে তাহলে সেটি হল কংগ্রেসের রাজ পরিবার। 

 

বন্ধুগণ, 
 যেদল আমাদের আমাদের বিশ্বাস এবং সংস্কৃতিকে সম্মান করে সে কখনও গণপতি পুজোর বিরোধিতা করতে পারে না। কিন্তু আজকের কংগ্রেস এমনকি গণপতি পুজো নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় লোকমান্য তিলকের নেতৃত্বে এই মহারাষ্ট্রের ভূমি থেকে গণপতি উৎসব সারা ভারতের একতার উৎসব হয়ে উঠেছিল। গণেশ উৎসবের সময় সব সম্প্রদায়ের সব শ্রেণীর মানুষ একজোট হয় এবং ঠিক সেই কারণেই কংগ্রেস দল গণপতি পুজোর বিরোধী। যখন আমি একটি গণপতি পুজোয় গিয়েছিলাম তখন কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি শুরু হয়ে গেল। তারা গণপতি উৎসবের বিরোধিতা করতে শুরু করে দিল। কংগ্রেস তাদের তোষণের রাজনীতির জন্য যতদূর যেতে হয় যেতে ইচ্ছুক। আপনারা সকলে দেখেছেন কর্নাটকে কি হল, কংগ্রেসের সরকার সেখানে গণপতি বাপ্পাকে কারাবন্দি পর্যন্ত করে দেখালো। মানুষ যে মূর্তি পুজো করছিলেন তাকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হল। মহারাষ্ট্রে যখন গণপতির পুজো হচ্ছে কর্নাটকে তখন গণপতি পুজোর ভ্যানে। 


বন্ধুগণ, 
গোটা দেশ গণপতির এই অসম্মানে ক্রুদ্ধ। আমি বিস্মিত যে কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলি পর্যন্ত এই ব্যাপারে নীরব। তারা কংগ্রেসের দ্বারা এতটাই প্রভাবিত যে গণপতির অসম্মানের বিরোধিতা করার মতো সাহস তাদের নেই। 


ভাই এবং বোনেরা, 
আমাদের কংগ্রেসের এইসব পাপকে জড়ো করে তার জবাব দিতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য এবং অগ্রগতিকে নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। আমাদের একজোট হতে হবে মর্যাদা এবং উন্নয়নের জন্য। একসঙ্গে আমরা মহারাষ্ট্রের গর্বকে রক্ষা করবো এবং একসঙ্গে আমরা মহারাষ্ট্রের গরিমা বৃদ্ধি করবো। আমরা মহারাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণ করবো। এই মনোবল নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলির জন্য আপনারা যে বিশাল সমর্থন জুগিয়েছেন তা দেখে আমি অনুভব করতে পারি যে এই কর্মসূচিগুলি বিদর্ভ তথা ভারতে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আমি আরও একবার অভিনন্দন জানাই সকল বিশ্বকর্মা ভাই এবং বোনকে এবং বিদর্ভ ও মহারাষ্ট্রের সকল নাগরিককে। 


আমার সঙ্গে বলুন-   
ভারত মাতা কি – জয়!

দুটো হাত তুলুন এবং জোরের সঙ্গে বলুন- 
ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি - জয়!

আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Over 13k people benefited from single-window camps under PM-UDAY in Delhi

Media Coverage

Over 13k people benefited from single-window camps under PM-UDAY in Delhi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles the passing of Shri SM Krishna
December 10, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi today condoled the passing of Shri SM Krishna, former Chief Minister of Karnataka. Shri Modi hailed him as a remarkable leader known for his focus on infrastructural development in Karnataka.

In a thread post on X, Shri Modi wrote:

“Shri SM Krishna Ji was a remarkable leader, admired by people from all walks of life. He always worked tirelessly to improve the lives of others. He is fondly remembered for his tenure as Karnataka’s Chief Minister, particularly for his focus on infrastructural development. Shri SM Krishna Ji was also a prolific reader and thinker.”

“I have had many opportunities to interact with Shri SM Krishna Ji over the years, and I will always cherish those interactions. I am deeply saddened by his passing. My condolences to his family and admirers. Om Shanti.”