Mudra Yojana has become a job multiplier: PM Modi
Mudra Yojana has helped in relieving the entrepreneurs from the vicious cycle of moneylenders and middlemen: PM Modi
Mudra Yojana has opened up new opportunities for youth, women and those who wanted to start or expand their businesses: PM Modi
Mudra Yojana has transformed the lives of the poor: PM Modi
By aiding small and micro businesses, Mudra Yojana has helped to strengthen people economically, socially and has given people a platform to succeed: PM Modi

ভাই ও বোনেরা,

আমার এটাই সৌভাগ্য যে, আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি যোজনাটির কর্মযোগীদের সঙ্গে,উদ্যমী যুববন্ধুদের সঙ্গে, চিরাচরিত জীবনধারা থেকে বেরিয়ে আসা বোনেদের সঙ্গে আজ কথাবার্তা বলার সুযোগ পেলাম। আপনারা তো সেই লোক,যাঁরা বাধাধরা পথে চলাচলের বদলে নিজেদের জীবনের রাস্তা নিজেরাই খুঁজে নেন। নিজেদের সাহস ও ইচ্ছেশক্তিতেই সেই পথ তৈরী করেন। দেশের সমৃদ্ধি এবং সমাজের সুখী ছবি নির্মানে আপনাদের সবার বিশাল বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে।

আজ আমার সঙ্গেসঙ্গে গোটা দেশ ভিডিও কনফারেনসিং-এর মাধ্যমে আপনাদের সবার এই সাহস, সিদ্ধান্ত, উদ্যোগ, আপনাদের এই অভিযাত্রার স্মৃতিচারণা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নিবাসে মুদ্রা যোজনার সুবিধেভোগী কয়েকজনের সঙ্গে আমার কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ হয়। তাঁদের অভিজ্ঞতা,তাঁদের লড়াই, তাঁদের এই সাফল্যের আখ্যান তৃপ্তির অবকাশ গড়ে দেয়, আবার গর্বে উৎফুল্লও করে তোলে।

সেদিনই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, যদি কখনো কোনভাবে সুযোগ হয় তো সারা দেশের মুদ্রা যোজনার সুবিধেভোগীদের সঙ্গে কথা বলার, আলাপ-আলোচনা করার অবকাশ খুঁজে নেবই। আর আজকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনাদেরও সময় বেঁচে গেছে, আমারও সময় বেঁচে গেছে, তবে আমাদের মধ্যে কিন্তু সেই বন্ধন তৈরী হয়ে গেল। সেই ভালবাসার সম্পর্ক কিন্তু তৈরী হয়ে গেল। আপনাদের অভিজ্ঞতা, আপনাদের ভাবনা আমি সরাসরি শুনে নিতে পারছি। মাঝখানে আর কোন বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজনই পড়ছে না।

দেশের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করায় আপনাদের মত উদ্যমী মানুষজনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে আগে কোনরকম মনযোগই দেওয়া হয়নি। আগে এইবিষয়টি নিয়ে কখনো ভাবেনইনি। আপনারা জানেন হয়তো, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে রাজনৈতিক সুবিধের জন্য ঋণমেলার আয়োজন করা হ’ত। আর রাজনীতির সেই সমস্ত লোকজন নিজেদের চ্যালা-চামুন্ডা, ঠিকেদার, ভোট-ব্যাংকের রাজনীতির লোকজন, এরা সকলেই ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে যেত। খবরও বের হ’ত কতজনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। পরে কি হ’ল কেউ জিজ্ঞেসও করতো না। আমরা না ঋণমেলার আয়োজন করেছি, না মাঝখানের দালালদের কোন সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা দেশের তরুণ বন্ধুদের, দেশের মা-বোনেদের, যাঁরা নিজেদের উদ্যোগে কিছু করতে চান, নিজেরা ব্যাংকে গিয়ে কথা বলতে চান, আপনারা আপনাদের কথা বলতে পারেন, মুদ্রা যোজনা এমন এক পরিস্থিতি তৈরী করল, যার ফলেযাদের কিছু করার ইচ্ছে আছে অথবা নিজের উদ্যোগে কিছু করতে চান এমন দেশবাসীর জন্য, এতোবিরাট বড় এক সুযোগ হয়ে গেল। আমরা আমাদের ছোট উদ্যোগী বন্ধুদের ওপর ভরসা রাখলাম,তাঁদের ব্যবসায়িক দক্ষতার ওপর ভরসা করলাম। মুদ্রা যোজনার আওতায় তাঁদের ঋণ দেওয়া হ’ল যাতে তাঁরা ব্যবসা খুলতে পারেন, তা সম্প্রসারিত করতে পারেন। মুদ্রা যোজনাতে তো শুধু যে স্বরোজগারের পথ খুঁজে পাওয়া যায় তাই নয়, বরং তা কর্মসংস্থানেরও সুযোগ গড়ে দেয়।

স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের দেশে লাইসেন্সরাজ বা অনুমোদনতন্ত্রের এক বিরাট রোগ চোখে পড়েছে। ঋণ তিনিই পেতেন যাঁর চেনাশোনা আছে। কোথাও না কোথাও এই প্রথা গরিবদের সরকারী সুবিধের ব্যবস্থা থেকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছিল। কেন না তাঁদের কোন বড় নামও থাকত না, না কোন সুপারিশ। ফলে হাজার-লক্ষ ছোট উদ্যোগী নিজেদের দক্ষতার হিসেবে নিজেদের ব্যবসা যে শুরু করতে পারতেন না বা বাড়াতে পারতেন না, এটাই তার একটা বড় কারণ। আর্থিক সাহায্যের জন্য সুদখোর মহাজনদের খপ্পরে পড়ে খাবি খেতে থাকতেন।

এদেশে এমন এক সময় ছিল যখন অর্থমন্ত্রী নিজে ফোন করে বড় শিল্পপতিদের ঋণ পাইয়ে দিতেন। আর অপরদিকে এক ছোট শিল্পোদ্যোগীকে সুদখোর মহাজনের কাছ থেকে ৩০-৪০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার চক্করে ফেঁসে যেতে হ’ত। গোটা জীবনে তিনি আর তাঁর থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন না। এই ভয়াবহতার চক্র তো কখনো না কখনো ভাঙ্গার ছিলই। কারোকে না কারোকে তো এই চক্র ভাঙ্গতেই হত। আমরা এই লক্ষ্যেই প্রয়াস চালিয়েছি,আর আমরা এতে সফল হয়েছি। এই ভয়বহতার চক্রকে আমরা ভেঙ্গে ফেলছি…..ভরসা ও বিশ্বাসের শক্তিতে। সরকারের গরিবের ওপর বিশ্বাস, গরিবের স্বপ্নের প্রতি আস্থা আর গরিবের পরিশ্রমের প্রতি আস্থা রয়েছে।

যদি দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্য কয়েক দশক আগেই মুদ্রার মত যোজনা বা প্রকল্প থাকত, আমার বিশ্বাস যে, শহরমুখী পালাতে থাকার ভয়াবহ প্রবণতা এমন বিকট আকার নিত না। কোন গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাংকের ঋণ,কম সুদের হারে ঋণ পাওয়া গেলেযুবক বন্ধুরা নিজের গ্রাম বা শহরে থেকেই নিজের ক্ষমতায় রোজগার করতে পারতেন।আজ গরিব থেকে খুব গরিব মানুষও কোনও রকম পরিচিতি বা সুপারিশ ছাড়াই মুদ্রা ঋণ পাচ্ছেন। আজ এক সাধারণ মানুষও কোন বিশেষ পরিচিতি ছাড়াই মুদ্রা ঋণ নিয়ে শিল্পোদ্যোগী হয়ে উঠতে পারেন। আর আজ তো এমন কোন প্রয়োজনীয়তাও নেই যে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় কাউকে অবশ্যই সরকারী কর্মচারী হতে হবে। দেশে তো দক্ষতার অভাব নেই। সে যে কোন ক্ষেত্রেরই হোক,সে যে কোন বিষয়ের সঙ্গেই যুক্ত হোক, প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো বিশেষ দক্ষতা অবশ্যই থাকে। এই দক্ষতার পরিচয় দেওয়া, একে উৎসাহিত করাটা খুব জরুরি। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে মানুষজন, বিশেষ করে যুব অংশ এই দক্ষতা বিকশিত করার শক্তি পাচ্ছেন।

যেখানে দক্ষতা বিকশিত হওয়ার মত পরিস্থিতি রয়েছে, সেখানে দক্ষতা আরও বেশি বিকশিত হতে পারে। জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ধরে নিন,কারো কাপড়ে শিল্পকর্ম রচনার দক্ষতা আছে। তিনি মুদ্রা যোজনায় ঋণ নিয়ে কাপড়ে শিল্পকর্ম সৃষ্টিরই ব্যবসা শুরু করে দিলেন। ধীরে ধীরে তিনি ডিজাইনার কাপড় তৈরির কাজ করতে শুরু করবেন। কেউ এভাবে হস্ততাঁতের ব্যবসা করায় সাহায্য পেয়ে গেলেন। মুদ্রা যোজনা এক দিক থেকে দেশের সাধারণ মানুষের দক্ষতা বিকশিত করার কাজ করে চলেছে। সেই দক্ষতাকে পরিচিতি দেওয়া, তাঁদের ক্ষমতায়িত করার কাজ করে চলেছে। মুদ্রা যোজনার সুবিধেটা হচ্ছে, এর আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ কোটি ঋণের মঞ্জুরির মাধ্যমে পৌনে ছয় লক্ষ কোটি টাকা সুবিধেভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

কখনো কখনো এমনটা হয় যে, সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ফান্ড বা তহবিল থাকে। কিন্তু এর উপযুক্ত ব্যবহার হতে পারে না। কিন্তু আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন,মুদ্রা এমনই এক যোজনা বা প্রকল্প, যেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেও ২৮ শতাংশ, মানে প্রায় সোয়া তিন কোটিরও বেশি ঋণ এমন মানুষজনকে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা প্রথমবার কোন ব্যবসা শুরু করেছেন। তারা এরকম লোক, মানে একদম বেকারত্ব থেকে বেরিয়ে এসে আজ অন্যদের জন্যও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছেন। সবচেয়ে খুশির কথা হচ্ছে, এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ সুবিধেভোগী হচ্ছেন মহিলা। মানে প্রায় ৯ কোটিরও বেশি ঋণ শুধুমাত্র মহিলারা পেয়েছেন। আর যখন মহিলারা এগোতে থাকেন, আর্থিক তৎপরতার কেন্দ্রে মহিলারা থাকেন, তাহলে গোটা পরিবারের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। চিন্তাভাবনা পাল্টে যায়, সামাজিক শক্তি বেড়ে যায়। এভাবে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৫৫ শতাংশ ঋণ অনগ্রসর সমাজের মানুষজনকে দেওয়া হয়েছে, যার মানে, প্রায় ১২ কোটি ঋণের ৫৫ শতাংশ ঋণ তপশিলি জাতি/তপশিলি উপজাতি এবং অন্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বা ওবিসি অংশের শিল্পোদ্যোগীদের দেওয়া হয়েছে। দশকের পর দশক আমরা গরিবের নাম করে শ্লোগান শুনে আসছি। গরিবের উন্নতির কথা শুনে আসছি। কিন্তু মুদ্রা যোজনা এমনই এক যোজনা, যেখানে কোনরকম ভেদাভেদ ছাড়াই অনগ্রসর সমাজকে আর্থিক ও সামাজিক শক্তি যোগান, তাঁদের ক্ষমতায়নে কাজ করে চলেছে।

যে কাজ ব্যাংকের সঙ্গে শুরু হয়েছিল, এতে ধীরে ধীরে আজ আরও অনেক সংস্থা ক্রমাগত জুড়ে চলেছে। আজ শুধুমাত্র ১১০টি ব্যাঙ্কই নয়, এছাড়া ৭২টি ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান(এমএফআই)এবং ৯টি নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি(এনবিএফসি)-ও মুদ্রা ঋণ দিয়ে চলেছে। ব্যাঙ্কগুলিও মুদ্রাঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করেছে। নথিপত্র নিয়ে জটিলতা তৈরী না হয় এজন্য কাগজপত্রের প্রামান্য বিষয়গুলিও সরল করা হয়েছে। স্ব-রোজগারী হওয়া আজকের দিনে এক গর্বের বিষয়। আর এর মূর্তিমান প্রেরণা হচ্ছেন আপনারা সবাই।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
India’s GDP To Grow 7% In FY26: Crisil Revises Growth Forecast Upward

Media Coverage

India’s GDP To Grow 7% In FY26: Crisil Revises Growth Forecast Upward
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 16 ডিসেম্বর 2025
December 16, 2025

Global Respect and Self-Reliant Strides: The Modi Effect in Jordan and Beyond