QuoteState Government and the Union Government are working together for the rapid development of Jharkhand: PM Modi
QuoteThe Central Government is devoting significant resources for the empowerment of the power, Dalits and Tribal communities: PM Modi
QuoteThe coming of AIIMS will transform the healthcare sector in Jharkhand. The poor will get access to top quality healthcare: PM
QuoteIt is our Government that has made aviation accessible and affordable. We want more Indians to fly. Better connectivity will also improve tourism: PM

মঞ্চে উপস্থিত ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু, এখানকার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঘুবর দাস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে আমার সাথী শ্রী আর. কে সিংহ, শ্রী অশ্বিনী, শ্রী সুদর্শন ভগত, ঝাড়খন্ড সরকারের মন্ত্রী শ্রী অমরকুমার, আমাদের সাংসদ শ্রী প্রেম সিংহ, বিধায়ক ভাই ফুলচন্দ এবং ব্যাপক সংখ্যায় হাজির হওয়া আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

আমি সবার আগে ভগবান বীরসা মুণ্ডার বীরদের মাটিকে আমার প্রণাম জানাই।এই মাটি ত্যাগ ও বলিদানের মাটি। এ হ’ল শ্রী জয়পাল সিংহ –শ্রী মুন্ডার সংঘাতের জমিআবার এ হ’ল শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নেরও মাটি। এখানকার খনিজ ভান্ডার কয়লা খনি সমূহ দেশের বিকাশের ইঞ্জিন হিসেবে শক্তি যোগানোর কাজ করে চলেছে।

আমাকে বলা হয়েছে, আপনারা দু-তিন ঘন্টা ধরে এখানে এসে বসে আছেন। এত ব্যাপক সংখ্যায় এত উষ্ণ-উদ্দীপনায় আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আশীর্বাদ প্রদান করেছেন। আপনাদের এই ভালবাসার জন্য, আপনাদের এই আশীর্বাদের জন্য আমি অনেক-অনেক কৃতজ্ঞ। যখন নির্বাচনের সময় ঝাড়খন্ডে এসেছিলাম, আমি ঝাড়খন্ডের ব্যাপারে বলেছিলাম,এর বিকাশের জন্য ডাবল ইঞ্জিনের প্রয়োজন। একটি রাঁচির জন্য ও অপরটি দিল্লির জন্য। আপনারা চার বছরে দেখে নিয়েছেন। দুই সরকারই একসঙ্গে মিলে একই লক্ষ্যে ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশ’ এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সেই মত লক্ষ্য স্থির করে থাকে এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য কোনও রকম চেষ্টাই বাকি রাখে না। তাতে বিকাশের কেমন ফলাফল পাওয়া যায়, সেটা ঝাড়খন্ডের মানুষ খুব ভালোভাবেই অনুভব করেছেন।

আমি বিশ্বাস করি, যখন সর্বসাধারণের জন্য আমরা কাজ করি, তার পথটা ঠিক কি ভুল,উদ্দেশ্য ভালো কি মন্দ, আমরা লোকজনের ভালোর জন্য কাজ করছি কি করছি না, গণতন্ত্রে এই সমস্ত কিছুর একটাই মানদন্ড হয়ে থাকে, আর সেটা হচ্ছে জনসমর্থন। আমি ঝাড়খন্ড সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঘুবর দাস ও তাঁর গোটা টিমকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিগত দিনে এখানকার স্থানীয় পরিচালন সংস্থাসমূহের নির্বাচন হয়ে গেল, পঞ্চায়েতগুলির নির্বাচনেও ঝাড়খন্ডের জনতা যেরকম ব্যাপকভাবে সমর্থন যুগিয়েছেন, তা ঝাড়খন্ড সরকার ও দিল্লির সরকারের কর্মকান্ডের প্রতি সাধারণ মানুষের কি ভাবনা তা-ই স্পষ্ট করেছে।

ভাই-বোনেরা, আমি যখন বিগত ২০১৪-র নির্বাচনের সময় এসেছিলাম,তখন বলেছিলাম,ঝাড়খন্ড আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছে আমি সুদ সমেত তা ফেরৎ দেব|আরও উন্নয়নের মাধ্যমে তা ফেরৎ দেবো|আজকে আমরা যখন একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছি, এতে এটা তো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, দিল্লিতে ক্ষমতাসীন সরকার ঝাড়খন্ডের উন্নতিতে কতটা দায়বদ্ধ|দলিত হোন, পীড়িত হোন,শোষিত হোন,বঞ্চিত হোন,আমার আদিবাসী ভাই-বোনেরা, মহিলা হোন,যুবক হোন, প্রত্যেকের কল্যানের জন্য একের পর এক প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কেবল সামনের দিকে এগিয়েই চলেছি।

আজ প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা, যা নাকি একটা রাজ্য সরকারের বাজেটের চেয়েও বড় অংকের টাকা, সেই ২৭হাজার কোটি টাকার ৫টি বড় প্রকল্পের ঝাড়খন্ডের মাটিতে শিলান্যাস হতে চলেছে। সিন্দ্রিতে সার কারখানা, পত্রাতুতে বিদ্যুত প্রকল্প, বাবা ভোলানাথের নগরী দেওঘরে বিমানবন্দর এবং এইমস, আর রাঁচিতে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ পৌঁছানোর প্রকল্পের একসঙ্গে ২৭ হাজার কোটি টাকার কাজ ঝাড়খন্ডের মাটিতে শিলান্যাস হতে যাচ্ছে। প্রায় ৮০হাজার কোটি টাকার নির্ধারিত আরও কাজ হবে রাজ্যে। ৫০টিরও বেশি কাজ ইতিমধ্যেই চলছে। আপনি কল্পনা করতে পারেন ঝাড়খন্ড দেশের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় কতটা এগিয়ে যাবে!

আমি সবসময়ই বলে থাকি যে,ঝাড়খন্ডের জনতা হীরের ওপর বসে আছে। কালো হীরে, ব্ল্যাক ডায়মন্ড, আমাদের কয়লা যতই কালো রঙের হয়ে থাকুক না কেন, এর মধ্যে আলোর উজ্জ্বলতা ছড়ানোর শক্তি আছে,আলো সৃষ্টি করার শক্তি আছে। শক্তিতে ভরিয়ে তোলার ক্ষমতা আছেআর সেটাই মাথায় রেখে ১৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে এখানকার পত্রাতুতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এই এখানকার কয়লা, এখানকার বিদ্যুৎ শক্তি ঝাড়খন্ডের আর্থিক শক্তি তো হয়ে উঠবেই, সেই সঙ্গে ঝাড়খন্ডের যুবকদের রোজগারও দেবে। আর বিকাশের এই নতুন দরজা খোলার কাজ পত্রাতুর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি থেকেই শুরু হচ্ছে। কয়লা খনি থেকে যাদের সরে যেতে হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা যেন রোজগার পান, সেই পরিজনদের কথাও যেন চিন্তা করা হয়।

আমি আনন্দিত যে, আজ কয়েকজন তরুণকেও আমি রোজগারের কাগজ হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ পেলাম। আগামী দিনে হাজার হাজার তরুণের জন্য এর মাধ্যমে রোজগারের সুযোগ হবে।

আমাদের স্বপ্ন ছিল, ভারতের প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানোর। ২০১৪’তে আমি যখন দায়িত্ব নিলাম এই দেশের ১৮ হাজার গ্রাম এমন ছিল যে, শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েও সেখানকার জনজীবন অন্ধকার থেকে বেরোতে পারেনি। বিদ্যুতের আলো চোখে পর্যন্ত দেখেনি। বিদ্যুতের খুঁটি দেখেনি। বিদ্যুতের তার পৌঁছায়নি। বিদ্যুতের আলোর বাল্ব দেখেনি। সেই কয়েক হাজার গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানোর কাজটা আমরা শপথ হিসেবে নিলাম। এই জায়গাগুলি দুর্গম ছিল, উপেক্ষিত ছিল। ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে ডুবে থাকা লোকজন তো উপেক্ষিত মানুষজনকে পরোয়াও করে না। তারা তো শুধু ভোটব্যাংকেরই চিন্তা করতে অভ্যস্ত। আমরা তো ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশে’র মন্ত্র নিয়ে চলার লোক। আর এজন্যই ওই ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক, তা চাইছিলাম। সেটা যত দুর্গম জায়গায় হোক না কেন, পাহাড়ের চুড়ায় হোক, গভীর জঙ্গলে হোক,গাড়ি পৌঁছানোর জন্য যতই হাজার-লক্ষ টাকাই না হয় লেগে যাক, কিন্তু দেশের প্রত্যেক গ্রামে একবার তো বিদ্যুৎ পৌঁছে যাক।

আর আমি খুশি যে, নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। এদেশে এর আগে কারও কোনও রকম ভাবনার অবকাশই ছিল না যে, গিয়ে জিজ্ঞেস করবে, স্বাধীনতার ৫০-৬০ বছর পরেও কতগুলো গ্রাম আছে, যেগুলিতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি! কিন্তু আমরা যখন একবার ঠিক করেই নিয়েছি, তো আজ লোকজন গ্রামে গ্রামে গিয়ে যাচাই করে দেখছেন,মোদী ঠিক বলছেন, কি ভুল!আমি তো একে ভালই মনে করি, কেন না, যে ১৮হাজার গ্রামে নজর ঘুরিয়ে দেখার অবকাশ কারও ছিল না, আজ সাধারণ মানুষকে বলার জন্য হলেও তো, তাদের সেই গ্রামের ধুলো গায়ে মাখতে যেতে হচ্ছে। এর চেয়ে খুশির কারণআর কি হতে পারে?আর এতে সরকারী বাবুরাও সতর্ক থাকেন,তাঁদেরও মনে হয়, বলা যখন হয়েছে,সম্পূর্ণ করে তো দেখাতেই হবে। আর সেই কারণেই কাজ হয়ে চলেছে। চাপ তৈরী হচ্ছে। যখন ঘোষণা করে কোনও কাজ শুরু হয় তখন তো চাপ থাকেই। যখন আমরা ১৮ হাজার গ্রামের কথা বলছিলাম, তখন কিছু লোক দেশকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কথা বলছিলেন। কিন্তু যখন খুঁটি বসে গেল,তারও লাগানো হয়ে গেল,৫টা-২৫টা ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেও গেল,বলুন না, এটা কি কাজের কাজ কিছু হলো? তাদের এই প্রশ্নটাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এমন প্রশ্নকারীদের এটা জানা থাকা জরুরি যে, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও এই দেশের ২০ শতাংশেরও বেশি ঘরে এমন কেন?প্রায় ৪ কোটি ঘরের অবস্থা কেন এমন, যেখানে বিদ্যুতের তার পৌঁছায়নি, বিদ্যুতের আলোর বাল্ব লাগানো হয়নি। এই পরিবারগুলিও কখনো কেন আলোর মুখ দেখেনি!কিন্তু কোন ঘরে বিদ্যুতের আলো ছিল, মোদী এসে কেটে দিয়েছেন, এমনটা তো নয়! এটা সেই লোকজনের পাপ ছিল, যাদের জন্য এই মানুষদের ৬০ বছর ধরে অন্ধকারে জীবনযাপন করতে হয়েছে। আমরা তো বরং দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। আর সেই মতো, আগামী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছি। সৌভাগ্য যোজনায় চার কোটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে তবেই শ্বাস ফেলবো। আমরা এই শপথই গ্রহণ করেছি।

যে লোকেরা সকাল-সন্ধে ধনীদের মনে না করে ঘুমোতে যেতে পারেন না,যাদের গরিব ভক্তি দেখানোর জন্য ধনীদের গালি-গালাজের সৌখিনতা আছে। এটাই যেন এক ফ্যাশন। তাঁরা দিন-রাত খালি বলতে থাকেন,মোদী ধনীদের জন্য কাজ করেন। কিন্তু যে ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছালো সেখানে কোন ধনী লোকটা থাকেন? আমি শুধু এরকম লোকদের কাছে এই প্রশ্নটাই করতে চাই। যে চার কোটি ঘরে আজও অন্ধকার রয়েছে, যেখানে মোদী দিন-রাত বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য কাজ করে চলেছেন, সেই চার কোটি ঘরে কোন ধনী মা-বাবা অথবা ছেলে থাকে? যারা কর্মজীবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারে না, সেই সমস্ত শুধু সুনামের কাঙ্গালদের কাছে আমি এটাই জানতে চাইব।

আর এজন্য ভাই ও বোনেরা আমি বলতে চাই,এই সমাজের শেষ প্রান্তীয় মানুষটি, তা সে দলিত হোন, পীড়িত হোন,শোষিত হোন, বঞ্চিত হোন তাকে আমরা বিকাশের এই অভিযাত্রায় সামিল করতে চাই। ঝাড়খন্ডেও এই চার কোটির মধ্যে ৩২ লক্ষ পরিবার রয়েছে। আর আমি খুশি যে,মুখ্যমন্ত্রী মশাইও ভারত সরকারের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩২ লক্ষ ঘরেও বিদ্যুৎ পৌঁছানোর শপথ নেন এবং তিনি সফল হয়েই ছাড়বেন। এটাই আমার বিশ্বাস।

ভাই ও বোনেরা, আজ আমি সিন্দ্রিতে সার কারখানা ফের শুরু করার সুযোগ পাচ্ছি। প্রায় ১৬ বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ ছিল। কিন্তু এই কারখানা ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠানে যখন ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়কার। তিনিই সিন্দ্রিতে এই ইউরিয়া সার উৎপাদন কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন। পরে সেটি বন্ধ হয় যায়। আর আমি ২০১৪-র নির্বাচনের সময় আপনাদের বলেছিলাম যে, ঝাড়খন্ডের সিন্দ্রিতে এই কারখানা আমরা ফের চালু করব।

ভাই ও বোনেরা, সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তিরও পরিবর্তন হওয়া উচিৎ। সেই সূত্রেই আমরা রান্নার গ্যাসের ভিত্তিতে কাজ করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী কিছুটা সময় বাদেই এই কারখানাও চালু হয়ে যাবে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরেও এমন একটি কারখানা চালু হয়ে যাবে।

ভাই ও বোনেরা, সিন্দ্রি ও ধানবাদ একদিক থেকে অ্যাঙ্কর সিটির ধ্রুবকের মত ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা এর মধ্যে নিহিত আছে। ভাই-বোনেরা এই ইউরিয়ার কারখানা যেখানে সহজে গ্যাস পাওয়া যাবে। বিহারের বারৌনি হোক, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর হোক কিংবা ঝাড়খন্ডের সিন্দ্রি, ইউরিয়া উৎপাদনের এই তিন কারখানায় কাজ শুরু হয়ে গেলে পূর্ব ভারতে অনেক দূরের ঠিকানা থেকে যে পরিবহণ খরচ দিয়ে ইউরিয়া সার আনাতে হতো, সেই খরচটা কম হয়ে যাবে। এখনকার তরুণদের কাজের ব্যবস্থা হবে। আর ইউরিয়া সহজলভ্য হওয়ায় পূর্ব ভারতে যে দ্বিতীয় কৃষি বিপ্লবের প্রস্তুতি চলছে, তাতেও বিশাল সুবিধে পাওয়া যাবে। আমরা তো এই কাজটাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আমরা নিমের প্রলেপযুক্ত ইউরিয়া সারের ব্যাপারে কাজ শুরু করেছি। আগে কৃষকদের নামে ছাড়ের সুবিধে দেওয়া হ’ত। ইউরিয়া ক্ষেতে পৌঁছাত না। ধনীদের কারখানায় পৌঁছে যেত। আর যারা ধনীদের স্বার্থে ৭০ বছর ধরে সরকার চালিয়েছে, তারা কখনো ভাবেইনি, ইউরিয়া চুরি হয়ে রাসায়নিক সারের কারখানায় চলে যেত। সরকারের কোষাগার থেকে হাজার কোটি টাকা ছাড়ের ভর্তুকি চলে যাচ্ছে, আর এই ইউরিয়া আটকানোর পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা এসে ১০০শতাংশ ইউরিয়ার নিম প্রলেপের ব্যবস্থা করেছি। নিম ফলের যে তেল হয়ে থাকে তার প্রলেপ দিয়ে দিলে ইউরিয়া চুরি হতে পারে না। ইউরিয়া কোন কারখানায় আর কাজে লাগানো যাবে না। ইউরিয়া একদমই শুধু কৃষির কাজে আসবে। আর এভাবেই চুরি বন্ধ হয়ে গেল।

ধনীদের জন্য বাঁচা-মরার সেই সমস্ত লোকজন এখন এই চুরি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিপদে পড়েছে। কিন্তু আমার কৃষককে নিজের অধিকারের ইউরিয়া সারের জন্য এখন তো আর লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। কালোবাজারিতে আর ইউরিয়া কিনতে হয় না। ইউরিয়া পাওয়ার জন্য তখন পুলিশের লাঠি খেতে হ’ত, এখন তাঁরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ দু’বছর হয়ে গেছে, ভারতে ইউরিয়া নেই। এমন কথা শোনা যায়নি। কেন না আমরা চুরি বন্ধ করে দিয়েছি।

ভাই ও বোনেরা, আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষ। বেইমানির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষ। আর সেই লক্ষ্যেই একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আজ আমি রাঁচির ঘরে-ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগের প্রকল্প শিলান্যাসের সুযোগ পাচ্ছি। একবিংশ শতাব্দীর পরিকাঠামো হচ্ছে গ্যাস গ্রীডের, অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের, জলের গ্রীডের, বিদ্যুতের গ্রীডের, সমস্ত রকমের আধুনিক ব্যবস্থা যেখানে সহজলভ্য। কি কারণে আমার ঝাড়খন্ড পিছিয়ে থাকবে!এই জন্যই ভারতের দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা শহরগুলির সমানতালে রাঁচিও প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে শুরু করবে। এই স্বপ্ন দেখেই আমরা গ্যাস গ্রীডের কাজ শুরু করেছি। এর ফলে ঘরে-ঘরে গ্যাস পৌঁছবে। পরে যা নাকি উত্তরপ্রদেশ,বিহার,পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশা এবং আসামের প্রায় সত্তরটি জেলায় ঘরে-ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস পৌঁছে যাবে।

আপনারা ভাবতে পারেন,ধোঁয়া বিহীন রান্নাঘর, যা আমাদের স্বপ্ন ছিল। এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আমরা উজ্জ্বলা যোজনা শুরু করলাম। এখন দ্বিতীয় পদক্ষেপ হচ্ছে, ঘরে-ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া। তৃতীয় আরেকটি বিষয়েও কাজ চলছে, আর তা হচ্ছে, পরিচ্ছন্ন রান্নার জন্য সৌরশক্তির চুল্লি, যা নাকি গরিব মানুষ সূর্যের শক্তিতে খাবার রান্না করে অন্য শক্তি খরচ হওয়া থেকে মুক্তি দেবে। সেই লক্ষ্যে রীতিমত সংস্কারমূলক কাজকর্ম চলছে।

আজ আমার দেওঘরে এইমস নির্মান কাজের শিলান্যাস করারও সুযোগ হয়েছিল। গোটা পূর্ব ভারতের বহুল সংখ্যায় রোগীকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস-এ আসতে হয়। গরিবের কাছে পয়সা থাকে না। সমস্যা হয়। আমরা পূর্ব ভারতে এইম্‌স-এরসম্প্রসারণ ঘটিয়ে দেশের গরিব থেকে গরিবতর মানুষের জন্য সর্বোচ্চ মানের সুবিধে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। দেওঘরে আজ সেই পথেই এইমস চালু হচ্ছে, শিলান্যাস হচ্ছে। একইসঙ্গে দেওঘর এক তীর্থস্থলও বটে। বাবা ভোলানাথের পবিত্র মাটি। শক্তিপীঠও বটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে আসতে চান। পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আর এজন্যই বিমান পথে যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি।

পর্যটন মন্ত্রকও এই কাজটা করে চলেছে। আর আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে, হাওয়াই চপ্পল পরা মানুষও উড়োজাহাজে করে যেন যেতে পারে। আর এটা জেনে আপনারা খুশি হবেন,গতবছর রেলওয়ের এসি কামরায় সফরকারীদের চেয়ে উড়োজাহাজে সফরকারীদের সংখ্যা বেশি ছিল। এটাই বলে দিচ্ছে, দেশে কিভাবে সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসছে।

ভাই ও বোনেরা, বিকাশের অনেক প্রকল্প নিয়ে আজ আমরা এগিয়ে চলেছি। এতে ২০২২-এর মধ্যে গরিবদের ঘর দেওয়ার স্বপ্নও আছে। আর ঘরও হবে, শৌচালয়ও হবে,পানীয় জলও হবে, বিদ্যুৎ-ও হবে এবং শিশুদের জন্য বাড়ির কাছাকাছি পড়াশোনার সুবিধেও হবে এমন সর্বসুবিধের আবাসনের প্রকল্প রূপায়নের কাজ খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২২ স্বাধীনতার ৭৫ বছর হবে, দেশের কেউ আশ্রয়হীন-আবাসহীন হবেন না, এমন স্বপ্ন নিয়েই আমরা চলেছি।

ভাই ও বোনেরা, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, চলুন আমরা দেশের অগ্রগতির অংশীদার হই। দেশ আজ সততার পথে পা বাড়িয়েছে। ভারতের সাধারণ মানুষ সততায় বাঁচেন,সততার জন্য লড়াই করছেন। আমাদের এই সরকার সৎ জীবনযাপনকারী, সততার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে আছে। এজন্যই ভাই ও বোনেরা, আপনাদের স্বপ্ন পূরণের এক বিশেষ দায়িত্ব নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি। এত ব্যাপক সংখ্যায় এসে আপনারা আশীর্বাদ দিয়েছেন,এত বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ ঝাড়খন্ড এক নতুন উচ্চতায়, এক নতুন ঝাড়খন্ডের দিকে এগিয়ে যাবে, এই বিশ্বাসের সঙ্গে আপনাদের সবাইকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি|

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Japan enters top five export markets for India-made cars

Media Coverage

Japan enters top five export markets for India-made cars
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Urban areas are our growth centres, we will have to make urban bodies growth centres of economy: PM Modi in Gandhinagar
May 27, 2025
QuoteTerrorist activities are no longer proxy war but well thought out strategy, so the response will also be in a similar way: PM
QuoteWe believe in ‘Vasudhaiva Kutumbakam’, we don’t want enemity with anyone, we want to progress so that we can also contribute to global well being: PM
QuoteIndia must be developed nation by 2047,no compromise, we will celebrate 100 years of independence in such a way that whole world will acclaim ‘Viksit Bharat’: PM
QuoteUrban areas are our growth centres, we will have to make urban bodies growth centres of economy: PM
QuoteToday we have around two lakh Start-Ups ,most of them are in Tier2-Tier 3 cities and being led by our daughters: PM
QuoteOur country has immense potential to bring about a big change, Operation sindoor is now responsibility of 140 crore citizens: PM
QuoteWe should be proud of our brand “Made in India”: PM

भारत माता की जय! भारत माता की जय!

क्यों ये सब तिरंगे नीचे हो गए हैं?

भारत माता की जय! भारत माता की जय! भारत माता की जय!

मंच पर विराजमान गुजरात के गवर्नर आचार्य देवव्रत जी, यहां के लोकप्रिय मुख्यमंत्री श्रीमान भूपेंद्र भाई पटेल, केंद्र में मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी मनोहर लाल जी, सी आर पाटिल जी, गुजरात सरकार के अन्य मंत्री गण, सांसदगण, विधायक गण और गुजरात के कोने-कोने से यहां उपस्थित मेरे प्यारे भाइयों और बहनों,

मैं दो दिन से गुजरात में हूं। कल मुझे वडोदरा, दाहोद, भुज, अहमदाबाद और आज सुबह-सुबह गांधी नगर, मैं जहां-जहां गया, ऐसा लग रहा है, देशभक्ति का जवाब गर्जना करता सिंदुरिया सागर, सिंदुरिया सागर की गर्जना और लहराता तिरंगा, जन-मन के हृदय में मातृभूमि के प्रति अपार प्रेम, एक ऐसा नजारा था, एक ऐसा दृश्य था और ये सिर्फ गुजरात में नहीं, हिन्‍दुस्‍तान के कोने-कोने में है। हर हिन्दुस्तानी के दिल में है। शरीर कितना ही स्वस्थ क्यों न हो, लेकिन अगर एक कांटा चुभता है, तो पूरा शरीर परेशान रहता है। अब हमने तय कर लिया है, उस कांटे को निकाल के रहेंगे।

|

साथियों,

1947 में जब मां भारती के टुकड़े हुए, कटनी चाहिए तो ये तो जंजीरे लेकिन कांट दी गई भुजाएं। देश के तीन टुकड़े कर दिए गए। और उसी रात पहला आतंकवादी हमला कश्मीर की धरती पर हुआ। मां भारती का एक हिस्सा आतंकवादियों के बलबूते पर, मुजाहिदों के नाम पर पाकिस्तान ने हड़प लिया। अगर उसी दिन इन मुजाहिदों को मौत के घाट उतार दिया गया होता और सरदार पटेल की इच्छा थी कि पीओके वापस नहीं आता है, तब तक सेना रूकनी नहीं चाहिए। लेकिन सरदार साहब की बात मानी नहीं गई और ये मुजाहिदीन जो लहू चख गए थे, वो सिलसिला 75 साल से चला है। पहलगाम में भी उसी का विकृत रूप था। 75 साल तक हम झेलते रहे हैं और पाकिस्तान के साथ जब युद्ध की नौबत आई, तीनों बार भारत की सैन्य शक्ति ने पाकिस्तान को धूल चटा दी। और पाकिस्तान समझ गया कि लड़ाई में वो भारत से जीत नहीं सकते हैं और इसलिए उसने प्रॉक्सी वार चालू किया। सैन्‍य प्रशिक्षण होता है, सैन्‍य प्रशिक्षित आतंकवादी भारत भेजे जाते हैं और निर्दोष-निहत्थे लोग कोई यात्रा करने गया है, कोई बस में जा रहा है, कोई होटल में बैठा है, कोई टूरिस्‍ट बन कर जा रहा है। जहां मौका मिला, वह मारते रहे, मारते रहे, मारते रहे और हम सहते रहे। आप मुझे बताइए, क्या यह अब सहना चाहिए? क्या गोली का जवाब गोले से देना चाहिए? ईट का जवाब पत्थर से देना चाहिए? इस कांटे को जड़ से उखाड़ देना चाहिए?

साथियों,

यह देश उस महान संस्कृति-परंपरा को लेकर चला है, वसुधैव कुटुंबकम, ये हमारे संस्कार हैं, ये हमारा चरित्र है, सदियों से हमने इसे जिया है। हम पूरे विश्व को एक परिवार मानते हैं। हम अपने पड़ोसियों का भी सुख चाहते हैं। वह भी सुख-चैन से जिये, हमें भी सुख-चैन से जीने दें। ये हमारा हजारों साल से चिंतन रहा है। लेकिन जब बार-बार हमारे सामर्थ्य को ललकारा जाए, तो यह देश वीरों की भी भूमि है। आज तक जिसे हम प्रॉक्सी वॉर कहते थे, 6 मई के बाद जो दृश्य देखे गए, उसके बाद हम इसे प्रॉक्सी वॉर कहने की गलती नहीं कर सकते हैं। और इसका कारण है, जब आतंकवाद के 9 ठिकाने तय करके 22 मिनट में साथियों, 22 मिनट में, उनको ध्वस्त कर दिया। और इस बार तो सब कैमरा के सामने किया, सारी व्यवस्था रखी थी। ताकि हमारे घर में कोई सबूत ना मांगे। अब हमें सबूत नहीं देना पड़ रहा है, वो उस तरफ वाला दे रहा है। और मैं इसलिए कहता हूं, अब यह प्रॉक्सी वॉर नहीं कह सकते इसको क्योंकि जो आतंकवादियों के जनाजे निकले, 6 मई के बाद जिन का कत्ल हुआ, उस जनाजे को स्टेट ऑनर दिया गया पाकिस्तान में, उनके कॉफिन पर पाकिस्तान के झंडे लगाए गए, उनकी सेना ने उनको सैल्यूट दी, यह सिद्ध करता है कि आतंकवादी गतिविधियां, ये प्रॉक्सी वॉर नहीं है। यह आप की सोची समझी युद्ध की रणनीति है। आप वॉर ही कर रहे हैं, तो उसका जवाब भी वैसे ही मिलेगा। हम अपने काम में लगे थे, प्रगति की राह पर चले थे। हम सबका भला चाहते हैं और मुसीबत में मदद भी करते हैं। लेकिन बदले में खून की नदियां बहती हैं। मैं नई पीढ़ी को कहना चाहता हूं, देश को कैसे बर्बाद किया गया है? 1960 में जो इंडस वॉटर ट्रीटी हुई है। अगर उसकी बारीकी में जाएंगे, तो आप चौक जाएंगे। यहाँ तक तय हुआ है उसमें, कि जो जम्मू कश्मीर की अन्‍य नदियों पर डैम बने हैं, उन डैम का सफाई का काम नहीं किया जाएगा। डिसिल्टिंग नहीं किया जाएगा। सफाई के लिए जो नीचे की तरफ गेट हैं, वह नहीं खोले जाएंगे। 60 साल तक यह गेट नहीं खोले गए और जिसमें शत प्रतिशत पानी भरना चाहिए था, धीरे-धीरे इसकी कैपेसिटी काम हो गई, 2 परसेंट 3 परसेंट रह गया। क्या मेरे देशवासियों को पानी पर अधिकार नहीं है क्या? उनको उनके हक का पानी मिलना चाहिए कि नहीं मिलना चाहिए क्या? और अभी तो मैंने कुछ ज्यादा किया नहीं है। अभी तो हमने कहा है कि हमने इसको abeyance में रखा है। वहां पसीना छूट रहा है और हमने डैम थोड़े खोल करके सफाई शुरू की, जो कूड़ा कचरा था, वह निकाल रहे हैं। इतने से वहां flood आ जाता है।

साथियों,

हम किसी से दुश्मनी नहीं चाहते हैं। हम सुख-चैन की जिंदगी जीना चाहते हैं। हम प्रगति भी इसलिए करना चाहते हैं कि विश्व की भलाई में हम भी कुछ योगदान कर सकें। और इसलिए हम एकनिष्ठ भाव से कोटि-कोटि भारतीयों के कल्याण के लिए प्रतिबद्धता के साथ काम कर रहे हैं। कल 26 मई था, 2014 में 26 मई, मुझे पहली बार देश के प्रधानमंत्री के रूप में शपथ लेने का अवसर मिला। और तब भारत की इकोनॉमी, दुनिया में 11 नंबर पर थी। हमने कोरोना से लड़ाई लड़ी, हमने पड़ोसियों से भी मुसीबतें झेली, हमने प्राकृतिक आपदा भी झेली। इन सब के बावजूद भी इतने कम समय में हम 11 नंबर की इकोनॉमी से चार 4 नंबर की इकोनॉमी पर पहुंच गए क्योंकि हमारा ये लक्ष्य है, हम विकास चाहते हैं, हम प्रगति चाहते हैं।

|

और साथियों,

मैं गुजरात का ऋणी हूं। इस मिट्टी ने मुझे बड़ा किया है। यहां से मुझे जो शिक्षा मिली, दीक्षा मिली, यहां से जो मैं आप सबके बीच रहकर के सीख पाया, जो मंत्र आपने मुझे दिए, जो सपने आपने मेरे में संजोए, मैं उसे देशवासियों के काम आए, इसके लिए कोशिश कर रहा हूं। मुझे खुशी है कि आज गुजरात सरकार ने शहरी विकास वर्ष, 2005 में इस कार्यक्रम को किया था। 20 वर्ष मनाने का और मुझे खुशी इस बात की हुई कि यह 20 साल के शहरी विकास की यात्रा का जय गान करने का कार्यक्रम नहीं बनाया। गुजरात सरकार ने उन 20 वर्ष में से जो हमने पाया है, जो सीखा है, उसके आधार पर आने वाले शहरी विकास को next generation के लिए उन्होंने उसका रोडमैप बनाया और आज वो रोड मैप गुजरात के लोगों के सामने रखा है। मैं इसके लिए गुजरात सरकार को, मुख्यमंत्री जी को, उनकी टीम को हृदय से बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

हम आज दुनिया की चौथी इकोनॉमी बने हैं। किसी को भी संतोष होगा कि अब जापान को भी पीछे छोड़ कर के हम आगे निकल गए हैं और मुझे याद है, हम जब 6 से 5 बने थे, तो देश में एक और ही उमंग था, बड़ा उत्साह था, खासकर के नौजवानों में और उसका कारण यह था कि ढाई सौ सालों तक जिन्होंने हम पर राज किया था ना, उस यूके को पीछे छोड़ करके हम 5 बने थे। लेकिन अब चार बनने का आनंद जितना होना चाहिए उससे ज्यादा तीन कब बनोगे, उसका दबाव बढ़ रहा है। अब देश इंतजार करने को तैयार नहीं है और अगर किसी ने इंतजार करने के लिए कहा, तो पीछे से नारा आता है, मोदी है तो मुमकिन है।

और इसलिए साथियों,

एक तो हमारा लक्ष्य है 2047, हिंदुस्तान विकसित होना ही चाहिए, no compromise… आजादी के 100 साल हम ऐसे ही नहीं बिताएंगे, आजादी के 100 साल ऐसे मनाएंगे, ऐसे मनाएंगे कि दुनिया में विकसित भारत का झंडा फहरता होगा। आप कल्पना कीजिए, 1920, 1925, 1930, 1940, 1942, उस कालखंड में चाहे भगत सिंह हो, सुखदेव हो, राजगुरु हो, नेताजी सुभाष बाबू हो, वीर सावरकर हो, श्यामजी कृष्ण वर्मा हो, महात्मा गांधी हो, सरदार पटेल हो, इन सबने जो भाव पैदा किया था और देश की जन-मन में आजादी की ललक ना होती, आजादी के लिए जीने-मरने की प्रतिबद्धता ना होती, आजादी के लिए सहन करने की इच्छा शक्ति ना होती, तो शायद 1947 में आजादी नहीं मिलती। यह इसलिए मिली कि उस समय जो 25-30 करोड़ आबादी थी, वह बलिदान के लिए तैयार हो चुकी थी। अगर 25-30 करोड़ लोग संकल्पबद्ध हो करके 20 साल, 25 साल के भीतर-भीतर अंग्रेजों को यहां से निकाल सकते हैं, तो आने वाले 25 साल में 140 करोड़ लोग विकसित भारत बना भी सकते हैं दोस्तों। और इसलिए 2030 में जब गुजरात के 75 वर्ष होंगे, मैं समझता हूं कि हमने अभी से 30 में होंगे, 35… 35 में जब गुजरात के 75 वर्ष होंगे, हमने अभी से नेक्स्ट 10 ईयर का पहले एक प्लान बनाना चाहिए कि जब गुजरात के 75 होंगे, तब गुजरात यहां पहुंचेगा। उद्योग में यहां होगा, खेती में यहां होगा, शिक्षा में यहां होगा, खेलकूद में यहां होगा, हमें एक संकल्प ले लेना चाहिए और जब गुजरात 75 का हो, उसके 1 साल के बाद जो ओलंपिक होने वाला है, देश चाहता है कि वो ओलंपिक हिंदुस्तान में हो।

|

और इसलिए साथियों,

जिस प्रकार से हमारा यह एक लक्ष्य है कि हम जब गुजरात के 75 साल हो जाए। और आप देखिए कि जब गुजरात बना, उस समय के अखबार निकाल दीजिए, उस समय की चर्चाएं निकाल लीजिए। क्या चर्चाएं होती थी कि गुजरात महाराष्ट्र से अलग होकर क्या करेगा? गुजरात के पास क्या है? समंदर है, खारा पाठ है, इधर रेगिस्तान है, उधर पाकिस्तान है, क्या करेगा? गुजरात के पास कोई मिनरल्स नहीं, गुजरात कैसे प्रगति करेगा? यह ट्रेडर हैं सारे… इधर से माल लेते हैं, उधर बेचते हैं। बीच में दलाली से रोजी-रोटी कमा करके गुजारा करते हैं। क्‍या करेंगे ऐसी चर्चा थी। वही गुजरात जिसके पास एक जमाने में नमक से ऊपर कुछ नहीं था, आज दुनिया को हीरे के लिए गुजरात जाना जाता है। कहां नमक, कहां हीरे! यह यात्रा हमने काटी है। और इसके पीछे सुविचारित रूप से प्रयास हुआ है। योजनाबद्ध तरीके से कदम उठाएं हैं। हमारे यहां आमतौर पर गवर्नमेंट के मॉडल की चर्चा होती है कि सरकार में साइलोज, यह सबसे बड़ा संकट है। एक डिपार्टमेंट दूसरे से बात नहीं करता है। एक टेबल वाला दूसरे टेबल वाले से बात नहीं करता है, ऐसी चर्चा होती है। कुछ बातों में सही भी होगा, लेकिन उसका कोई सॉल्यूशन है क्या? मैं आज आपको बैकग्राउंड बताता हूं, यह शहरी विकास वर्ष अकेला नहीं, हमने उस समय हर वर्ष को किसी न किसी एक विशेष काम के लिए डेडिकेट करते थे, जैसे 2005 में शहरी विकास वर्ष माना गया। एक साल ऐसा था, जब हमने कन्या शिक्षा के लिए डेडिकेट किया था, एक वर्ष ऐसा था, जब हमने पूरा टूरिज्म के लिए डेडिकेट किया था। इसका मतलब ये नहीं कि बाकी सब काम बंद करते थे, लेकिन सरकार के सभी विभागों को उस वर्ष अगर forest department है, तो उसको भी अर्बन डेवलपमेंट में वो contribute क्या कर सकता है? हेल्थ विभाग है, तो अर्बन डेवलपमेंट ईयर में वो contribute क्या कर सकता है? जल संरक्षण मंत्रालय है, तो वह अर्बन डेवलपमेंट में क्या contribute कर सकता है? टूरिज्म डिपार्टमेंट है, तो वह अर्बन डेवलपमेंट में क्या contribute कर सकता है? यानी एक प्रकार से whole of the government approach, इस भूमिका से ये वर्ष मनाया और आपको याद होगा, जब हमने टूरिज्म ईयर मनाया, तो पूरे राज्य में उसके पहले गुजरात में टूरिज्म की कल्पना ही कोई नहीं कर सकता था। विशेष प्रयास किया गया, उसी समय ऐड कैंपेन चलाया, कुछ दिन तो गुजारो गुजरात में, एक-एक चीज उसमें से निकली। उसी में से रण उत्‍सव निकला, उसी में से स्टैच्यू ऑफ यूनिटी बना। उसी में से आज सोमनाथ का विकास हो रहा है, गिर का विकास हो रहा है, अंबाजी जी का विकास हो रहा है। एडवेंचर स्पोर्ट्स आ रही हैं। यानी एक के बाद एक चीजें डेवलप होने लगीं। वैसे ही जब अर्बन डेवलपमेंट ईयर मनाया।

और मुझे याद है, मैं राजनीति में नया-नया आया था। और कुछ समय के बाद हम अहमदाबाद municipal कॉरपोरेशन सबसे पहले जीते, तब तक हमारे पास एक राजकोट municipality हुआ करती थी, तब वो कारपोरेशन नहीं थी। और हमारे एक प्रहलादभाई पटेल थे, पार्टी के बड़े वरिष्ठ नेता थे। बहुत ही इनोवेटिव थे, नई-नई चीजें सोचना उनका स्वभाव था। मैं नया राजनीति में आया था, तो प्रहलाद भाई एक दिन आए मिलने के लिए, उन्होंने कहा ये हमें जरा, उस समय चिमनभाई पटेल की सरकार थी, तो हमने चिमनभाई और भाजपा के लोग छोटे पार्टनर थे। तो हमें चिमनभाई को मिलकर के समझना चाहिए कि यह जो लाल बस अहमदाबाद की है, उसको जरा अहमदाबाद के बाहर जाने दिया जाए। तो उन्होंने मुझे समझाया कि मैं और प्रहलाद भाई चिमनभाई को मिलने गए। हमने बहुत माथापच्ची की, हमने कहा यह सोचने जैसा है कि लाल बस अहमदाबाद के बाहर गोरा, गुम्‍मा, लांबा, उधर नरोरा की तरफ आगे दहेगाम की तरफ, उधर कलोल की तरफ आगे उसको जाने देना चाहिए। ट्रांसपोर्टेशन का विस्तार करना चाहिए, तो सरकार के जैसे सचिवों का स्वभाव रहता है, यहां बैठे हैं सारे, उस समय वाले तो रिटायर हो गए। एक बार एक कांग्रेसी नेता को पूछा गया था कि देश की समस्याओं का समाधान करना है तो दो वाक्य में बताइए। कांग्रेस के एक नेता ने जवाब दिया था, वो मुझे आज भी अच्छा लगता है। यह कोई 40 साल पहले की बात है। उन्होंने कहा, देश में दो चीजें होनी चाहिए। एक पॉलीटिशियंस ना कहना सीखें और ब्यूरोक्रेट हां कहना सीखे! तो उससे सारी समस्या का समाधान हो जाएगा। पॉलीटिशियंस किसी को ना नहीं कहता और ब्यूरोक्रेट किसी को हां नहीं कहता। तो उस समय चिमनभाई के पास गए, तो उन्‍होंने पूछा सबसे, हम दोबारा गए, तीसरी बार गए, नहीं-नहीं एसटी को नुकसान हो जाएगा, एसटी को कमाई बंद हो जाएगी, एसटी बंद पड़ जाएगी, एसटी घाटे में चल रही है। लाल बस वहां नहीं भेज सकते हैं, यह बहुत दिन चला। तीन-चार महीने तक हमारी माथापच्ची चली। खैर, हमारा दबाव इतना था कि आखिर लाल बस को लांबा, गोरा, गुम्‍मा, ऐसा एक्सटेंशन मिला, उसका परिणाम है कि अहमदाबाद का विस्तार तेजी से उधर सारण की तरफ हुआ, इधर दहेगाम की तरफ हुआ, उधर कलोल की तरह हुआ, उधर अहमदाबाद की तरह हुआ, तो अहमदाबाद की तरफ जो प्रेशर, एकदम तेजी से बढ़ने वाला था, उसमें तेजी आई, बच गए छोटी सी बात थी, तब जाकर के, मैं तो उस समय राजनीति में नया था। मुझे कोई ज्यादा इन चीजों को मैं जानता भी नहीं था। लेकिन तब समझ में आता था कि हम तत्कालीन लाभ से ऊपर उठ करके सचमुच में राज्य की और राज्य के लोगों की भलाई के लिए हिम्मत के साथ लंबी सोच के साथ चलेंगे, तो बहुत लाभ होगा। और मुझे याद है जब अर्बन डेवलपमेंट ईयर मनाया, तो पहला काम आया, यह एंक्रोचमेंट हटाने का, अब जब एंक्रोचमेंट हटाने की बात आती हे, तो सबसे पहले रुकावट बनता है पॉलिटिकल आदमी, किसी भी दल का हो, वो आकर खड़ा हो जाता है क्योंकि उसको लगता है, मेरे वोटर है, तुम तोड़ रहे हो। और अफसर लोग भी बड़े चतुर होते हैं। जब उनको कहते हैं कि भई यह सब तोड़ना है, तो पहले जाकर वो हनुमान जी का मंदिर तोड़ते हैं। तो ऐसा तूफान खड़ा हो जाता है कि कोई भी पॉलिटिशयन डर जाता है, उसको लगता है कि हनुमान जी का मंदिर तोड़ दिया तो हो… हमने बड़ी हिम्मत दिखाई। उस समय हमारे …..(नाम स्पष्ट नहीं) अर्बन मिनिस्टर थे। और उसका परिणाम यह आया कि रास्ते चौड़े होने लगे, तो जिसका 2 फुट 4 फुट कटता था, वह चिल्लाता था, लेकिन पूरा शहर खुश हो जाता था। इसमें एक स्थिति ऐसी बनी, बड़ी interesting है। अब मैंने तो 2005 अर्बन डेवलपमेंट ईयर घोषित कर दिया। उसके लिए कोई 80-90 पॉइंट निकाले थे, बडे interesting पॉइंट थे। तो पार्टी से ऐसी मेरी बात हुई थी कि भाई ऐसा एक अर्बन डेवलपमेंट ईयर होगा, जरा सफाई वगैरह के कामों में सब को जोड़ना पड़ेगा ऐसा, लेकिन जब ये तोड़ना शुरू हुआ, तो मेरी पार्टी के लोग आए, ये बड़ा सीक्रेट बता रहा हूं मैं, उन्होंने कहा साहब ये 2005 में तो अर्बन बॉडी के चुनाव है, हमारी हालत खराब हो जाएगी। यह सब तो चारों तरफ तोड़-फोड़ चल रही है। मैंने कहा यार भई यह तो मेरे ध्यान में नहीं रहा और सच में मेरे ध्यान में वो चुनाव था ही नहीं। अब मैंने कार्यक्रम बना दिया, अब साहब मेरा भी एक स्वभाव है। हम तो बचपन से पढ़ते आए हैं- कदम उठाया है तो पीछे नहीं हटना है। तो मैंने मैंने कहा देखो भाई आपकी चिंता सही है, लेकिन अब पीछे नहीं हट सकते। अब तो ये अर्बन डेवलपमेंट ईयर होगा। हार जाएंगे, चुनाव क्या है? जो भी होगा हम किसी का बुरा करना नहीं चाहते, लेकिन गुजरात में शहरों का रूप रंग बदलना बहुत जरूरी है।

|

साथियों,

हम लोग लगे रहे। काफी विरोध भी हुआ, काफी आंदोलन हुए बहुत परेशानी हुई। यहां मीडिया वालों को भी बड़ा मजा आ गया कि मोदी अब शिकार आ गया हाथ में, तो वह भी बड़ी पूरी ताकत से लग गए थे। और उसके बाद जब चुनाव हुआ, देखिए मैं राजनेताओं को कहता हूं, मैं देश भर के राजनेता मुझे सुनते हैं, तो देखना कहता हूं, अगर आपने सत्यनिष्ठा से, ईमानदारी से लोगों की भलाई के लिए निर्णय करते हैं, तत्कालीन भले ही बुरा लगे, लोग साथ चलते हैं। और उस समय जो चुनाव हुआ 90 परसेंट विक्ट्री बीजेपी की हुई थी, 90 परसेंट यानी लोग जो मानते हैं कि जनता ये नहीं और मुझे याद है। अब यह जो यहां अटल ब्रिज बना है ना तो मुझे, यह साबरमती रिवर फ्रंट पर, तो पता नहीं क्यों मुझे उद्घाटन के लिए बुलाया था। कई कार्यक्रम थे, तो मैंने कहा चलो भई हम भी देखने जाते हैं, तो मैं जरा वो अटल ब्रिज पर टहलने गया, तो वहां मैंने देखा कुछ लोगों ने पान की पिचकारियां लगाई हुई थी। अभी तो उद्घाटन होना था, लेकिन कार्यक्रम हो गया था। तो मेरा दिमाग, मैंने कहा इस पर टिकट लगाओ। तो ये सारे लोग आ गए साहब चुनाव है, उसी के बाद चुनाव था, बोले टिकट नहीं लगा सकते मैंने कहा टिकट लगाओ वरना यह तुम्हारा अटल ब्रिज बेकार हो जाएगा। फिर मैं दिल्ली गया, मैंने दूसरे दिन फोन करके पूछा, मैंने कहा क्या हुआ टिकट लगाने का एक दिन भी बिना टिकट नहीं चलना चाहिए।

साथियों,

खैर मेरा मान-सम्मान रखते हैं सब लोग, आखिर के हमारे लोगों ने ब्रिज पर टिकट लगा दिया। आज टिकट भी हुआ, चुनाव भी जीते दोस्तों और वो अटल ब्रिज चल रहा है। मैंने कांकरिया का पुनर्निर्माण का कार्यक्रम लिया, उस पर टिकट लगाया तो कांग्रेस ने बड़ा आंदोलन किया। कोर्ट में चले गए, लेकिन वह छोटा सा प्रयास पूरे कांकरिया को बचा कर रखा हुआ है और आज समाज का हर वर्ग बड़ी सुख-चैन से वहां जाता है। कभी-कभी राजनेताओं को बहुत छोटी चीजें डर जाते हैं। समाज विरोधी नहीं होता है, उसको समझाना होता है। वह सहयोग करता है और अच्छे परिणाम भी मिलते हैं। देखिए शहरी शहरी विकास की एक-एक चीज इतनी बारीकी से बनाई गई और उसी का परिणाम था और मैं आपको बताता हूं। यह जो अब मुझ पर दबाव बढ़ने वाला है, वो already शुरू हो गया कि मोदी ठीक है, 4 नंबर तो पहुंच गए, बताओ 3 कब पहुंचोगे? इसकी एक जड़ी-बूटी आपके पास है। अब जो हमारे ग्रोथ सेंटर हैं, वो अर्बन एरिया हैं। हमें अर्बन बॉडीज को इकोनॉमिक के ग्रोथ सेंटर बनाने का प्लान करना होगा। अपने आप जनसंख्या के कारण वृद्धि होती चले, ऐसे शहर नहीं हो सकते हैं। शहर आर्थिक गतिविधि के तेजतर्रार केंद्र होने चाहिए और अब तो हमने टीयर 2, टीयर 3 सीटीज पर भी बल देना चाहिए और वह इकोनॉमिक एक्टिविटी के सेंटर बनने चाहिए और मैं तो पूरे देश की नगरपालिका, महानगरपालिका के लोगों को कहना चाहूंगा। अर्बन बॉडी से जुड़े हुए सब लोगों से कहना चाहूंगा कि वे टारगेट करें कि 1 साल में उस नगर की इकोनॉमी कहां से कहां पहुंचाएंगे? वहां की अर्थव्यवस्था का कद कैसे बढ़ाएंगे? वहां जो चीजें मैन्युफैक्चर हो रही हैं, उसमें क्वालिटी इंप्रूव कैसे करेंगे? वहां नए-नए इकोनॉमिक एक्टिविटी के रास्ते कौन से खोलेंगे। ज्यादातर मैंने देखा नगर पालिका की जो नई-नई बनती हैं, तो क्या करते हैं, एक बड़ा शॉपिंग सेंटर बना देते हैं। पॉलिटिशनों को भी जरा सूट करता है वह, 30-40 दुकानें बना देंगे और 10 साल तक लेने वाला नहीं आता है। इतने से काम नहीं चलेगा। स्टडी करके और खास करके जो एग्रो प्रोडक्ट हैं। मैं तो टीयर 2, टीयर 3 सीटी के लिए कहूंगा, जो किसान पैदावार करता है, उसका वैल्यू एडिशन, यह नगर पालिकाओं में शुरू हो, आस-पास से खेती की चीजें आएं, उसमें से कुछ वैल्यू एडिशन हो, गांव का भी भला होगा, शहर का भी भला होगा।

उसी प्रकार से आपने देखा होगा इन दिनों स्टार्टअप, स्टार्टअप में भी आपके ध्यान में आया होगा कि पहले स्‍टार्टअप बड़े शहर के बड़े उद्योग घरानों के आसपास चलते थे, आज देश में करीब दो लाख स्टार्टअप हैं। और ज्यादातर टीयर 2, टीयर 3 सीटीज में है और इसमें भी गर्व की बात है कि उसमें काफी नेतृत्व हमारी बेटियों के पास है। स्‍टार्टअप की लीडरशिप बेटियों के पास है। ये बहुत बड़ी क्रांति की संभावनाओं को जन्म देता है और इसलिए मैं चाहूंगा कि अर्बन डेवलपमेंट ईयर के जब 20 साल मना रहे हैं और एक सफल प्रयोग को हम याद करके आगे की दिशा तय करते हैं तब हम टीयर 2, टीयर 3 सीटीज को बल दें। शिक्षा में भी टीयर 2, टीयर 3 सीटीज काफी आगे रहा, इस साल देख लीजिए। पहले एक जमाना था कि 10 और 12 के रिजल्ट आते थे, तो जो नामी स्कूल रहते थे बड़े, उसी के बच्चे फर्स्ट 10 में रहते थे। इन दिनों शहरों की बड़ी-बड़ी स्कूलों का नामोनिशान नहीं होता है, टीयर 2, टीयर 3 सीटीज के स्कूल के बच्चे पहले 10 में आते हैं। देखा होगा आपने गुजरात में भी यही हो रहा है। इसका मतलब यह हुआ कि हमारे छोटे शहरों के पोटेंशियल, उसकी ताकत बढ़ रही है। खेल का देखिए, पहले क्रिकेट देखिए आप, क्रिकेट तो हिंदुस्तान में हम गली-मोहल्ले में खेला जाता है। लेकिन बड़े शहर के बड़े रहीसी परिवारों से ही खेलकूद क्रिकेट अटका हुआ था। आज सारे खिलाड़ी में से आधे से ज्यादा खिलाड़ी टीयर 2, टीयर 3 सीटीज गांव के बच्चे हैं जो खेल में इंटरनेशनल खेल खेल कर कमाल करते हैं। यानी हम समझें कि हमारे शहरों में बहुत पोटेंशियल है। और जैसा मनोहर जी ने भी कहां और यहां वीडियो में भी दिखाया गया, यह हमारे लिए बहुत बड़ी opportunity है जी, 4 में से 3 नंबर की इकोनॉमी पहुंचने के लिए हम हिंदुस्तान के शहरों की अर्थव्यवस्था पर अगर फोकस करेंगे, तो हम बहुत तेजी से वहां भी पहुंच पाएंगे।

|

साथियों,

ये गवर्नेंस का एक मॉडल है। दुर्भाग्य से हमारे देश में एक ऐसे ही इकोसिस्टम ने जमीनों में अपनी जड़े ऐसी जमा हुई हैं कि भारत के सामर्थ्य को हमेशा नीचा दिखाने में लगी हैं। वैचारिक विरोध के कारण व्यवस्थाओं के विकास का अस्वीकार करने का उनका स्वभाव बन गया है। व्यक्ति के प्रति पसंद-नापसंद के कारण उसके द्वारा किये गए हर काम को बुरा बता देना एक फैशन का तरीका चल पड़ा है और उसके कारण देश की अच्‍छी चीजों का नुकसान हुआ है। ये गवर्नेंस का एक मॉडल है। अब आप देखिए, हमने शहरी विकास पर तो बल दिया, लेकिन वैसा ही जब आपने दिल्‍ली भेजा, तो हमने एस्पिरेशनल डिस्ट्रिक्ट, एस्पिरेशनल ब्लॉक पर विचार किया कि हर राज्य में एकाध जिला, एकाध तहसील ऐसी होती है, जो इतना पीछे होता है, कि वो स्‍टेट की सारी एवरेज को पीछे खींच ले जाता है। आप जंप लगा ही नहीं सकते, वो बेड़ियों की तरह होता है। मैंने कहा, पहले इन बेड़ियों को तोड़ना है और देश में 100 के करीब एस्पिरेशनल डिस्ट्रिक्ट उनको identify किया गया। 40 पैरामीटर से देखा गया कि यहां क्या जरूरत है। अब 500 ब्‍लॉक्‍स identify किए हैं, whole of the government approach के साथ फोकस किया गया। यंग अफसरों को लगाया गया, फुल टैन्‍यूर के साथ काम करें, ऐसा लगाया। आज दुनिया के लिए एक मॉडल बन चुका है और जो डेवलपिंग कंट्रीज हैं उनको भी लग रहा है कि हमारे यहां विकास के इस मॉडल की ओर हमें चलना चाहिए। हमारा academic world भारत के इन प्रयासों और सफल प्रयासों के विषय में सोचे और जब academic world इस पर सोचता है तो दुनिया के लिए भी वो एक अनुकरणीय उदाहरण के रूप में काम आता है।

साथियों,

आने वाले दिनों में टूरिज्म पर हमें बल देना चाहिए। गुजरात ने कमाल कर दिया है जी, कोई सोच सकता है। कच्छ के रेगिस्तान में जहां कोई जाने का नाम नहीं लेता था, वहां आज जाने के लिए बुकिंग नहीं मिलती है। चीजों को बदला जा सकता है, दुनिया का सबसे बड़ा ऊंचा स्टैच्यू, ये अपने आप में अद्भुत है। मुझे बताया गया कि वडनगर में जो म्यूजियम बना है। कल मुझे एक यूके के एक सज्‍जन मिले थे। उन्होंने कहा, मैं वडनगर का म्यूजियम देखने जा रहा हूं। यह इंटरनेशनल लेवल में इतने global standard का कोई म्यूजियम बना है और भारत में काशी जैसे बहुत कम जगह है कि जो अविनाशी हैं। जो कभी भी मृतप्राय नहीं हुए, जहां हर पल जीवन रहा है, उसमें एक वडनगर हैं, जिसमें 2800 साल तक के सबूत मिले हैं। अभी हमारा काम है कि वह इंटरनेशनल टूरिस्ट मैप पर कैसे आए? हमारा लोथल जहां हम एक म्यूजियम बना रहे हैं, मैरीटाइम म्यूजियम, 5 हजार साल पहले मैरीटाइम में दुनिया में हमारा डंका बजता था। धीरे-धीरे हम भूल गए, लोथल उसका जीता-जागता उदाहरण है। लोथल में दुनिया का सबसे बड़ा मैरीटाइम म्यूजियम बन रहा है। आप कल्पना कर सकते हैं कि इन चीजों का कितना लाभ होने वाला है और इसलिए मैं कहता हूं दोस्तों, 2005 का वो समय था, जब पहली बार गिफ्ट सिटी के आईडिया को कंसीव किया गया और मुझे याद है, शायद हमने इसका launching Tagore Hall में किया था। तो उसके बड़े-बड़े जो हमारे मन में डिजाइन थे, उसके चित्र लगाए थे, तो मेरे अपने ही लोग पूछ रहे थे। यह होगा, इतने बड़े बिल्डिंग टावर बनेंगे? मुझे बराबर याद है, यानी जब मैं उसका मैप वगैरह और उसका प्रेजेंटेशन दिखाता था केंद्र के कुछ नेताओं को, तो वह भी मुझे कह रहे थे अरे भारत जैसे देश में ये क्या कर रहे हो तुम? मैं सुनता था आज वो गिफ्ट सिटी हिंदुस्तान का हर राज्य कह रहा है कि हमारे यहां भी एक गिफ्ट सिटी होना चाहिए।

साथियों,

एक बार कल्पना करते हुए उसको जमीन पर, धरातल पर उतारने का अगर हम प्रयास करें, तो कितने बड़े अच्छे परिणाम मिल सकते हैं, ये हम भली भांति देख रहे हैं। वही काल खंड था, रिवरफ्रंट को कंसीव किया, वहीं कालखंड था जब दुनिया का सबसे बड़ा स्टेडियम बनाने का सपना देखा, पूरा किया। वही कालखंड था, दुनिया का सबसे ऊंचा स्टैच्यू बनाने के लिए सोचा, पूरा किया।

भाइयों और बहनों,

एक बार हम मान के चले, हमारे देश में potential बहुत हैं, बहुत सामर्थ्‍य है।

|

साथियों,

मुझे पता नहीं क्यों, निराशा जैसी चीज मेरे मन में आती ही नहीं है। मैं इतना आशावादी हूं और मैं उस सामर्थ्य को देख पाता हूं, मैं दीवारों के उस पार देख सकता हूं। मेरे देश के सामर्थ्य को देख सकता हूं। मेरे देशवासियों के सामर्थ्य को देख सकता हूं और इसी के भरोसे हम बहुत बड़ा बदलाव ला सकते हैं और इसलिए आज मैं गुजरात सरकार का बहुत आभारी हूं कि आपने मुझे यहां आने का मौका दिया है। कुछ ऐसी पुरानी-पुरानी बातें ज्यादातर ताजा करने का मौका मिल गया। लेकिन आप विश्वास करिए दोस्तों, गुजरात की बहुत बड़ी जिम्मेदारी है। हम देने वाले लोग हैं, हमें देश को हमेशा देना चाहिए। और हम इतनी ऊंचाई पर गुजरात को ले जाए, इतनी ऊंचाई पर ले जाएं कि देशवासियों के लिए गुजरात काम आना चाहिए दोस्तों, इस महान परंपरा को हमें आगे बढ़ाना चाहिए। मुझे विश्वास है, गुजरात एक नए सामर्थ्य के साथ अनेक विद नई कल्पनाओं के साथ, अनेक विद नए इनीशिएटिव्स के साथ आगे बढ़ेगा मुझे मालूम है। मेरा भाषण शायद कितना लंबा हो गया होगा, पता नहीं क्या हुआ? लेकिन कल मीडिया में दो-तीन चीजें आएंगी। वो भी मैं बता देता हूं, मोदी ने अफसरों को डांटा, मोदी ने अफसरों की धुलाई की, वगैरह-वगैरह-वगैरह, खैर वो तो कभी-कभी चटनी होती है ना इतना ही समझ लेना चाहिए, लेकिन जो बाकी बातें मैंने याद की है, उसको याद कर करके जाइए और ये सिंदुरिया मिजाज! ये सिंदुरिया स्पिरिट, दोस्‍तों 6 मई को, 6 मई की रात। ऑपरेशन सिंदूर सैन्य बल से प्रारंभ हुआ था। लेकिन अब ये ऑपरेशन सिंदूर जन-बल से आगे बढ़ेगा और जब मैं सैन्य बल और जन-बल की बात करता हूं तब, ऑपरेशन सिंदूर जन बल का मतलब मेरा होता है जन-जन देश के विकास के लिए भागीदार बने, दायित्‍व संभाले।

हम इतना तय कर लें कि 2047, जब भारत के आजादी के 100 साल होंगे। विकसित भारत बनाने के लिए तत्काल भारत की इकोनॉमी को 4 नंबर से 3 नंबर पर ले जाने के लिए अब हम कोई विदेशी चीज का उपयोग नहीं करेंगे। हम गांव-गांव व्यापारियों को शपथ दिलवाएं, व्यापारियों को कितना ही मुनाफा क्यों ना हो, आप विदेशी माल नहीं बेचोगे। लेकिन दुर्भाग्य देखिए, गणेश जी भी विदेशी आ जाते हैं। छोटी आंख वाले गणेश जी आएंगे। गणेश जी की आंख भी नहीं खुल रही है। होली, होली रंग छिड़कना है, बोले विदेशी, हमें पता था आप भी अपने घर जाकर के सूची बनाना। सचमुच में ऑपरेशन सिंदूर के लिए एक नागरिक के नाते मुझे एक काम करना है। आप घर में जाकर सूची बनाइए कि आपके घर में 24 घंटे में सुबह से दूसरे दिन सुबह तक कितनी विदेशी चीजों का उपयोग होता है। आपको पता ही नहीं होता है, आप hairpin भी विदेशी उपयोग कर लेते हैं, कंघा भी विदेशी होता है, दांत में लगाने वाली जो पिन होती है, वो भी विदेशी घुस गई है, हमें मालूम तक नहीं है। पता ही नहीं है दोस्‍तों। देश को अगर बचाना है, देश को बनाना है, देश को बढ़ाना है, तो ऑपरेशन सिंदूर यह सिर्फ सैनिकों के जिम्‍मे नहीं है। ऑपरेशन सिंदूर 140 करोड़ नागरिकों की जिम्‍मे है। देश सशक्त होना चाहिए, देश सामर्थ्‍य होना चाहिए, देश का नागरिक सामर्थ्यवान होना चाहिए और इसके लिए हमने वोकल फॉर लोकल, वन डिस्ट्रिक्ट वन प्रोडक्ट, मैं मेरे यहां, जो आपके पास है फेंक देने के लिए मैं नहीं कह रहा हूं। लेकिन अब नया नहीं लेंगे और शायद एकाध दो परसेंट चीजें ऐसी हैं, जो शायद आपको बाहर की लेनी पड़े, जो हमारे यहां उपलब्ध ना हो, बाकि आज हिंदुस्तान में ऐसा कुछ नहीं। आपने देखा होगा, आज से पहले 25 साल 30 साल पहले विदेश से कोई आता था, तो लोग लिस्ट भेजते थे कि ये ले आना, ये ले आना। आज विदेश से आते हैं, वो पूछते हैं कि कुछ लाना है, तो यहां वाले कहते हैं कि नहीं-नहीं यहां सब है, मत लाओ। सब कुछ है, हमें अपनी ब्रांड पर गर्व होना चाहिए। मेड इन इंडिया पर गर्व होना चाहिए। ऑपरेशन सिंदूर सैन्‍य बल से नहीं, जन बल से जीतना है दोस्तों और जन बल आता है मातृभूमि की मिट्टी में पैदा हुई हर पैदावार से आता है। इस मिट्टी की जिसमें सुगंध हो, इस देश के नागरिक के पसीने की जिसमें सुगंध हो, उन चीजों का मैं इस्तेमाल करूंगा, अगर मैं ऑपरेशन सिंदूर को जन-जन तक, घर-घर तक लेकर जाता हूं। आप देखिए हिंदुस्तान को 2047 के पहले विकसित राष्ट्र बनाकर रहेंगे और अपनी आंखों के सामने देखकर जाएंगे दोस्तों, इसी इसी अपेक्षा के साथ मेरे साथ पूरी ताकत से बोलिए,

भारत माता की जय! भारत माता की जय!

भारत माता की जय! जरा तिरंगे ऊपर लहराने चाहिए।

भारत माता की जय! भारत माता की जय! भारत माता की जय!

वंदे मातरम! वंदे मातरम! वंदे मातरम!

वंदे मातरम! वंदे मातरम! वंदे मातरम!

वंदे मातरम! वंदे मातरम! वंदे मातरम!

वंदे मातरम! वंदे मातरम! वंदे मातरम!

धन्यवाद!