Sardar Patel unified India. This unity in diversity is our strength: PM Modi
Sardar Patel did everything for the nation. Whatever he did was devoted to India: PM
We must encourage cooperation between our states: PM Modi
Sardar Patel gave us Ek Bharat, let us work towards making a Shreshtha Bharat: PM Modi

সর্দার সাহেবের জন্মজয়ন্তী পালনের সময়আমরা ঐক্যের কথা বলছি। এই ঐক্যকে আমরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছি তাঁর প্রথম বার্তা হল আমিভারতীয় জনতা পার্টির নেতা আর সর্দার প্যাটেল কংগ্রেসী ছিলেন। তবু আমরাউৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এই উৎসব পালন করছি। প্রত্যেক মহাপুরুষই নিজস্ব কালখণ্ডেনানারকম চিন্তাভাবনা করেন, আর সেই ভাবনা নিয়ে মতভেদ এবং বিতর্কও থাকে। কিন্তুমহাপুরুষদের মহাপ্রয়াণের পর প্রজন্মান্তরে তাঁদের অবদানকে রাজনীতি নির্বিশেষেসকলকেই মেনে নিতে হয়। তার মধ্য থেকে ঐক্যের উপাদানগুলি খুঁজে নেওয়া, সেগুলির সঙ্গেনিজেরা যুক্ত হওয়া আর সম্ভব হলে প্রত্যেককেই এর সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হয়।আমি একথা জেনে অবাক হয়েছে, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, সর্দার প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীপালনের অধিকার আপনাকে কে দিল ? একথা সত্য,কিন্তু সর্দার প্যাটেলের পরিবার তো আর কাউকে কপিরাইট দিয়ে যাননি। আর এমনিতেওরাজনৈতিক জীবনে তিনি নিজের পরিবারের জন্য কিছুই করেননি। যা কিছু করেছেন সবই দেশেরজন্য দায়িত্ব হিসেবে করেছেন।

अगर ये बातें आज की पीढ़ी को उदाहरण के रूप में प्रस्‍तुत करेंगे तो हम किसी को कह सकते हैं कि भई ठीक है परिवार है लेकिन थोड़ा देश का भी तो देखो। इसलिए ऐसे अनेक महापुरुष, कोई एक नहीं है, अनेक महापुरुष है जिसके जीवन को नई पीढ़ी के सामने आन बान शान के रूप में हमें प्रस्‍तुत करना चाहिए। बहुत कम बातें हैं जो बाहर आती हैं। हमारे देश में किसी को याद रखने के लिए जितना काम करना चाहिए लेकिन कुछ लोग इतने महान थे, इतने महान थे कि उनको बुलाने के लिए भी 70-70 साल तक प्रयास किए, लेकिन सफलता नहीं मिली है। इसलिए सरदार साहब के जीवन की कई बातें।

कभी-कभी हम सुनते हैं कि शासन व्‍यवस्‍था में Women reservation महिलाओं के लिए आरक्षण। आपको ढेर सारे नाम मिलेंगे जो claim करते होंगे या उनके चेले claim करते होंगे कि women आरक्षण का credit फलाने फलाने को जाता है। लेकिन मैंने जितना पढ़ा है, उसमें 1930 में, जबकि सरदार वल्‍लभ भाई पटेल अहमदाबाद म्‍यूनिसिपल पार्टी के अध्‍यक्ष थे, उन्‍होंने 33% women reservation का प्रस्‍ताव किया हुआ है। अब जब वो मुंबई प्रेसीडेंसी को गया तो उन्‍होंने इसको कचरे की टोपी में डाल दिया, उसको मंजूर नहीं होने दिया। ये चीजें एक दीर्घ दृष्‍टा महापुरुष कैसे सोचते हैं इसके उदाहरण है।

सरदार साहब के व्‍यक्‍तित्‍व की झलक महात्‍मा गांधी ने एक जगह पर बड़ी मजेदार लिखी है। अहमदाबाद की म्‍यूनिसिपल पार्टी के वो अध्‍यक्ष थे तो वहां एक विक्‍टोरिया गार्डन है। और यह सरदार साहब कैसे सोचते थे, उन्‍होंने विक्‍टोरिया गार्डन में लोकमान्‍य तिलक की प्रतिमा लगवाई। कैसा लगा होगा उस समय अंग्रजों को आप कल्‍पना कर सकते हैं और शायद वो देश में अकेली लोकमान्‍य तिलक जी की प्रतिमा है जो सिंहासन पर बैठकर के उन्‍होंने कल्‍पना की, और बनाई।

এসব কথা আজ আমরা বর্তমান প্রজন্মেরসামনে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে কাউকে বলতে পারবো, ভাই পরিবারকে তো দেখতেই হবে,পাশাপাশি একটু দেশকেও দেখুন। সেজন্য এরকম অনেক মহাপুরুষের জীবনকেই রাজনীতিরঊর্ধ্বে উঠে নবীন প্রজন্মের সামনে দেশের গর্ব হিসেবে তুলে ধরতে হবে। যাঁরা সত্যিইমহান ছিলেন তাঁদের কৃতিত্বকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে এত বছর লাগবে কেন? সরকার চেষ্টাকরলে বাস্তবায়নে ৭০ বছর লাগবে কেন? আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করবো, সর্দার সাহেবেরজীবনের কিছু বিষয় অবশ্যই সকলকে মনে রাখতে হবে।

মাঝেমধ্যেই আমাদের শাসন ব্যবস্থায়মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে দাবি শোনা যায় । অনেকেই দেখবেন মহিলাদের সংরক্ষণ যতটা হয়েছেতার কৃতিত্ব দাবি করেন। কিন্তু আমি যতদূর পড়েছি, ১৯৩০ সালে সর্দার বল্লভভাইপ্যাটেল যখন আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল পার্টির অধ্যক্ষ ছিলেন, তিনিই প্রথম মহিলাদেরজন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব রেখেছিলেন। তিনি যখন মুম্বাই প্রেসিডেন্সিতেচলে যান আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল পার্টি ঐ প্রস্তাব ঠাণ্ডাঘরে পাঠিয়ে দেয়, মঞ্জুরহতে দেয় না। এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহাপুরুষ কেমন ভাবেন এটা তার উদাহরণ।

মহাত্মা গান্ধী এক জায়গায় সর্দারসাহেবের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে একটি মজার কথা লিখেছেন, তিনি যখন আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যালপার্টির অধ্যক্ষ ছিলেন, সেখানে একটি ভিক্টোরিয়া উদ্যান ছিল, সর্দার সাহেব সেইউদ্যানে লোকমান্য তিলকের মর্মরমূর্তি স্থাপন করেছিলেন। আর সেই মূর্তিতে লোকমান্যতিলক সিংহাসনে আসীন। সেই মূর্তি দেখে ইংরেজদের কেমন অনুভূতি হত তা বুঝে নিতে হবে।সারা দেশে এটিই লোকমান্য তিলকের সিংহাসনে বসা একমাত্র মূর্তি। এমনই তাঁর কল্পনা,তার তার বাস্তবায়ন।

দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল, ঐ মূর্তির আবরণউন্মোচনের জন্য তিনি মহাত্মা গান্ধীকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

তৃতীয়ত, গান্ধীজি প্রথমে যেতে চাননি।তারপর তিনি ডায়রিতে লিখেছেন, “যখন জানতে পারলাম যে আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যালকর্পোরেশনে কে বসে আছেন, স্বয়ং সর্দার প্যাটেল। তখন আর কিছু না ভেবে নিজে গিয়ে সেইমূর্তির আবরণ উন্মোচনের দায়িত্ব পালন করলাম।” অনেকটা এরকম ভাষাতেই গান্ধীজি ঐঘটনাটি সম্পর্কে লিখেছেন।

আমরা ইতিহাসকে যেভাবে জানি, ঠিকসেভাবেই তাকে পরিবেশন করা হয় না। কোনও রাজনৈতিক দলের ইতিহাস জানতে হলেও সত্যেরখোঁজে দিশেহারা হতে হয়। দেশ স্বাধীন হলে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ আসে।রাজ্যগুলি থেকে যত প্রস্তাব আসে, সেগুলির মধ্যে অনেকেই সর্দার সাহেবকেপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, অনেকেই পণ্ডিত নেহরুর পক্ষে ছিলেন না। কিন্তুগান্ধীজির ব্যক্তিত্ব এমনই ছিল, তাঁর মনে হয়েছিল সর্দার প্যাটেলের স্থানে অন্য কেউহলে ভালো হয়! কারণ হয়তো, তিনি ভেবেছিলেন, আমি গুজরাটি, সর্দার সাহেবও গুজরাটি,তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিলে দলের মানুষ আমাকে পক্ষপাতদুষ্ট ভাববেন। এটা আমারঅনুমান। এমন ভেবেই তিনি সর্দার সাহেবের স্থানে পণ্ডিত নেহরুর নাম প্রস্তাবকরেছিলেন।

আমার এই সাহিত্যিক অনুমানের পেছনে কোনঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। আমি মজা করে বলছি। অনেকেই হয়তো ভাববেন, সর্দার প্যাটেল কেমনমানুষ ছিলেন। কোন বিদ্রোহ করলেন না, ঝড় তুললেন না, মিউনিসিপ্যাল পার্টির অধ্যক্ষহওয়া এক ব্যাপার, এই বিষয়ে তিনি কোন কথাই বললেন না। কিন্তু সত্যকে অস্বীকার করাযায় না। কিন্তু সর্দার সাহেব কেমন মানুষ ছিলেন তার পরিচয় একটি ঘটনা থেকে পাওয়াযায়। আজ থেকে ৯০ বছর আগে ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর সর্দার সাহেব যখন আমেদাবাদমিউনিসিপ্যাল পার্টির অধ্যক্ষ ছিলেন তখন স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন হয়েছিল। সবাইভেবেছিলেন পার্টির অধ্যক্ষ আর স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এক ব্যক্তি হলেশাসনকার্যে সুবিধা হবে। সকলের অনুরোধে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হন। তাঁর বিরুদ্ধেদাঁড়িয়েছিলেন জনৈক দৌলত রায়। নির্বাচনে দু’জনেই ২৩টি করে ভোট পান। যখন অধ্যক্ষনির্বাচনের সময় আসে, তখন দেখা গেল সর্দার প্যাটেল নিজেই নিজের বিরুদ্ধে ভোটদিয়েছেন। ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন মহাত্মা গান্ধী স্বয়ং। সেইসময় তাঁর ওপর মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিত্বের কোন চাপ ছিল না। তিনি নিজেরঅন্তরাত্মার কথা শুনেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, মিউনিসিপ্যাল পার্টিকে ভালোভাবেপরিচালনা করতে হবে, কাস্টিং ভোটে আমি ক্ষমতায় এলে বিবাদ হতে পারে। তার চাইতে ভালোআমি নিজের বিপক্ষে কাস্টিং ভোট দিই আর যিনি ক্ষমতাসীন তাঁকে প্রশাসন চালাতেসাহায্য করি। আজকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। কাজেইইতিহাসে যা রয়েছে আমি শুধু সেটাই বলার চেষ্টা করছি। আপনারা কল্পনা করুন, বেশিদিনআগের কথা নয়, ১৯৪৭, ৪৮, ৪৯ সালের কথা।

আজ যত বড় নেতাই হোন না কেন, এক্ষেত্রেকেউ কি পদ ছাড়ত? গণতন্ত্রে মানুষ যাকে ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন করেছে,তাঁকে তিন বছর পর দলের স্বার্থে পদত্যাগ করতে বললে তিনি কি করবেন? আর যদি করতেবাধ্য হন তাহলে তিনি কত বড় ঝড় তুলবেন? ক্ষমতা কেউ ছাড়তে চায় না সাহেব। কোথাও বড়অতিথি এলে যদি কাউকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে হয়, তাহলে তাঁর মানে লাগে। এটাইমানুষের স্বভাব। বাসে, বিমানে যাত্রার সময় পাশের সিট খালি পেলে আমরা সেখানে নিজেরবই, মোবাইল ফোন রাখি। শেষ মুহূর্তে কেউ উঠে এসে বসতে চাইলে নিজের বই ও মোবাইল ফোনতুলে নিতে আমরা দেরি করি। ভাবি কোথা থেকে চলে এসেছে। আমি ঠিক কথা বলছি কিনা!

কিন্তু কল্পনা করুন মহাপুরুষদেরব্যক্তিত্ব কেমন হয়। সর্দার সাহেব কত বড় মনের মানুষ ছিলেন। আগে তলোয়ারের ধার দিয়েকিংবা বাহুবলের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে হত। আমাদের পূর্বজরা তাই করেছেন। কিন্তুসর্দার প্যাটেল বলেন, ভাই সময় পাল্টেছে, দেশ জেগে উঠছে, তিনি বিন্দুমাত্র চিন্তানা করে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন। পূর্বজদের থেকে পরম্পরাগতভাবে প্রাপ্ত রাজ্যপাটতিনি অন্য মানুষের হাতে তুলে দিলেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব কত মহান ছিল সেটা কল্পনাকরুন।

আমি গুজরাটের মানুষ। গুজরাটে দীর্ঘকালধরে ক্ষত্রিয় এবং প্যাটেলদের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া জারি রয়েছে। প্যাটেলরা কৃষিকাজ করে,তাঁরা ভাবেন ক্ষত্রিয়রা আমাদের শোষন করে। আর ক্ষত্রিয়রা ভাবেন, তাঁরা রাজা,প্যাটেলদের তাদের সম্মান করা উচিত।এহেন প্রেক্ষাপটে সাহেব কল্পনা করুন, এক প্যাটেলসন্তান, ক্ষত্রিয় রাজনেতাদের বলেন, রাজত্ব ছেড়ে ভারতে যোগ দিন, আর রাজপুরুষরা তাঁরকথা মেনে নেন। কত বড় ব্যক্তিত্ব হলে সেটা সম্ভব ভাবুন!

এখানে একটি ডিজিটাল মিউজিয়াম গড়ে তোলাহয়েছে। এতে সর্দার সাহেবের জীবনের সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে, এমন দাবি আমি করবো না।আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেও সেটা করতে পারবো না। সর্দারের জীবন ও কাজের ব্যাপ্তিএতো বিশাল যে, কিছু না কিছু বাকি রয়েই যাবে। কিন্তু সবাই মিলে চেষ্টা করেছি। আরসর্দার সাহেবের জীবন ও কাজের সবকিছু দেখেশুনে বুঝতে হলে এই মিউজিয়াম আপনার মনেএকটি নতুন অলিন্দ খুলে দেবে এই দাবি করতে পারি, এর বেশি কিছু না। এখানে আধুনিকপ্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে । ঘটনাগুলিকে জীবিত করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।আর এর মাধ্যমে নবীন প্রজন্মকে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তা হল,ভারতের ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে হবে। বিচ্ছিন্নতার পথ খুঁজে বের করা আমাদের কাজ নয়। বরঞ্চ,বিচ্ছিন্নতার কোন উপাদান খুঁজে পেলে তাকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। বৈচিত্র্যময় এই দেশেবিচ্ছিন্নতাকে অঙ্কুরিত হতে দেওয়া চলবে না। আমাদের সকলকেই সযত্নে ঐক্যের মন্ত্রনিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। এভাবেই প্রমাণ করতে হবে, এই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই আমাদেরসাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ঐতিহ্যকে সঞ্চারিত করতে হবে।

আমরা এ দেশকে টুকরো টুকরো হয়ে যেতেদিতে পারি না। এ ধরনের মহাপুরুষদের জীবন, তাঁদের আদর্শকে অস্ত্র করে নিয়ে আমাদেরযে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। অন্তর্বিরোধ, অহঙ্কার এবংআত্মম্ভরিতাই এ দেশে সকল বিচ্ছিন্নতার মূলে। ইতিহাস তাঁর সাক্ষী রয়েছে। মৌর্য্যসাম্রাজ্যের স্থপতি ছিলেন এক মহাপুরুষ । তাঁর নাম ছিল চানক্য। তিনি গোটা ভারতকে এককরার সফল প্রয়াস চালিয়েছিলেন। ভারতের সীমাকে তিনি কোথা অবধি পৌঁছে দিয়েছিলেন।তারপর যিনি ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করতে সবচাইতে সফল হয়েছেন তিনি হলেন সর্দার বল্লভভাইপ্যাটেল। আমাদের চেষ্টা থাকা উচিত আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বাড়িতে কোন ছেলেস্প্যানিশ ভাষা শিখছে, তখন কোন অতিথি এলে তাঁকে ডাকা হয় তাঁর সমনে স্প্যানিশ বলেশোনাতে। স্প্যানিশ বা ফ্রেঞ্চ ভাষা শিখলে বাবা-মা গর্ব করেন। কিন্তু আমরা নিজেদেরদেশের প্রতিবেশী ভাষাগুলি শেখার কথা ভাবি না। কোন পাঞ্জাবি ছেলে যদি ভালো মালয়ালামভাষা বলে কিংবা ওড়িয়া ছেলে যদি মারাঠি বলতে পারে বা মারাঠি কবিতা ভালোবাসে, তাহলেতাঁকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। কোন পাঞ্জাবি ছেলে যদি রবীন্দ্র সঙ্গীত ভালোবাসে কিংবাধোসা বানানো শেখে, আমি কেরলে গেলে কেউ যদি আমাকে ধোকলা খাইয়ে দেন – এইসব ছোটখাটজিনিসগুলি আমাদের আন্তরিক সম্পর্ককে বাড়িয়ে দেয়। আমাদের প্রত্যেককেই সচেতনভাবেদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেঅবহিত হওয়া উচিত। তাহলেই আমরা বুঝতে পারব এটা আমার দেশ, এর সঙ্গে আমার যুক্ত থাকাউচিত। এই গর্বই আমাদের বেঁচে থাকার পথে ঐক্যের মন্ত্র শেখাবে।

আমাদের দেশের অ-হিন্দিভাষী এলাকায়হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে অনেক প্রতিবাদ আন্দোলন হয়েছে। এরকম না করে আমরা যদিপ্রত্যেক নাগরিককে সকল ভারতীয় ভাষা শিক্ষার সুযোগ করে দিতে পারি তাহলে এ ধরনেরপ্রতিবাদের প্রশ্নই উঠত না। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন আমরা প্রত্যেকেই কথার মধ্যেমাঝেমধ্যেই ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করি। নিজের অজান্তেই করি। এমনকি, অনেক জিনিসের আমরাইংরেজি নামটাই জানি, নিজের ভাষার প্রতিশব্দ জানি না। কিন্তু মারাঠি, বাংলা, তামিলইত্যাদি ভাষার পণ্ডিতরা সে সব শব্দের দেশজ প্রতিশব্দ খুঁজে বের করেছেন। আমরা কেনতাঁদের থেকে সেই শব্দগুলি নেব না? বিদেশি কোন ভাষা থেকে শব্দ না নিয়ে দেশীয় কোনপ্রতিবেশী ভাষা থেকে নেওয়াটাই তো অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত।

আমরা একটা ছোট্ট চেষ্টা করতে পারি।নিয়মিত যে কথাগুলি বলি সেরকম ১০০টি বাক্য লিখে নিয়ে প্রতিবেশী কোন বন্ধুর কাছ থেকেতাঁর ভাষায় সেই বাক্যের অনুবাদ করিয়ে নিতে পারি। যেমন, ‘কেমন আছেন’?, ‘আশেপাশেখাবার কোথায় পাওয়া যাবে?’, ‘এই শহরের জনসংখ্যা কত?’, ‘অটোরিকশা স্ট্যান্ডটাকোথায়?’, ‘আমার শরীর খারাপ লাগছে, কাছাকাছি কোন ডাক্তার পাওয়া যাবে?’ – এই ধরনেরবাক্যের অনুবাদ আজকাল অনলাইনেও পাওয়া যায়। তাহলে কেরলে যাওয়ার আগে আপনি এরকম ১০০টিবাক্যের মালায়লাম অনুবাদ নিজের ভাষায় লিখে মুখস্ত করে নিতে পারেন। আমাদের ‘এক ভারতশ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা এই ধরনের কর্মশালা শুরু করার চেষ্টা করছি।বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই গ্লোবাল হতে চান। তার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে আমি অস্বীকারকরি না।

ভারতের একটি রাজ্য যদি রাশিয়ার একটিরাজ্যের সংগে সম্পর্ক তৈরি করে, ভারতের একটি শহর যদি আমেরিকার একটি শহরের সঙ্গেসম্পর্ক তৈরি করে, আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমি চাই আমাদের দেশের এক প্রান্তেরএকটি রাজ্যের সঙ্গে অন্য প্রান্তের একটি রাজ্য সম্পর্ক তৈরি করুক, এক রাজ্যেরশহরের সঙ্গে অন্য রাজ্যের কোন শহর সম্পর্ক তৈরি করুক, এক প্রান্তের কোনবিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অন্য প্রান্তের কোন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক তৈরি করুক,মিলেমিশে সারস্বত চর্চা করুক। এই বিদ্যায়তনিক আদানপ্রদান সহজভাবেই দেশের সাংস্কৃতিকআদানপ্রদানকেই শক্তিশালী করবে। আজ যে ছ’টি রাজ্য পরস্পরের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ওসার্বিক বিনিময়ের চুক্তি সম্পাদন করেছে, তাদেরকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। অর্থাৎ,আগামী এক বছর এই দুই রাজ্য মিলেমিশে অনেক কাজ করবে। পরস্পরকে বুঝবে, পরস্পরেরউন্নয়নে সহযোগিতা করবে। যেমন, কেরলের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের চুক্তি হয়েছে। আমি ভুলবলতে পারি। ওড়িশার সঙ্গে মহারাষ্ট্রেরও হয়ে থাকতে পারে যে ২০১৭-য় মহারাষ্ট্রেরস্কুল ও কলেজগুলি থেকে সমস্ত শিক্ষা সফর ওড়িশামুখী হবে। আর ঐ বছর ওড়িশার স্কুল ওকলেজগুলির সকল শিক্ষা সফর হবে মহারাষ্ট্রে। পাশাপাশি, ঐ দুই রাজ্যেরবিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরস্পরের সঙ্গে আদানপ্রদান করবে, যৌথ অনুষ্ঠান ও বিশেষপাঠক্রমের মাধ্যমে পরস্পরের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হবে।

আগে মানুষ ঘুরতে গেলে ধর্মশালা কিংবাহোটেলে থাকতেন। এবার এই প্রকল্প অনুযায়ী যে ১০০ ছাত্র শিক্ষা সফরে যাবে তাঁরাকিন্তু ধর্মশালা কিংবা হোটেলে থাকবে না। তাঁরা থাকবে অতিথি রাজ্যের ১০০টি পরিবারে।সেখানে যে ঘরে যে থাকবে সেখানে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কি কি হয়, কেমন পুজো-পদ্ধতিতাঁরা অনুসরণ করেন, কিভাবে প্রাতঃরাশ সারেন, খাদ্যাভ্যাসে কি বৈচিত্র্য রয়েছে,বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের ব্যবহার কেমন, কি কিসহবত তাঁরা অনুসরণ করেন – এই সবকিছু অতিথি ছাত্রটি নিজের চোখে দেখে শিখবে। এইপদ্ধতিতে ভ্রমণের খরচ হবে ন্যূনতম।

আপনারা সকলেই হয়তো লক্ষ্য করছেন গোটাদেশে এখন দেশভক্তি প্রকট হয়েছে। সবাই দীপাবলীর দীপ জ্বালিয়েছেন কিন্তু সেগুলিউৎসর্গ করেছেন দেশের বীর জওয়ানদের উদ্দেশে। বীর সেনানীদের আত্মবলিদান দেখে তাঁদেরমনে দেশাত্মবোধ জেগে উঠেছে। আমরা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রকল্প অনুসারেমহারাষ্ট্রের স্কুলগুলিতে গাওয়া হয় এরকম পাঁচটি ভালো গান ওড়িশা থেকে আসা অতিথিছাত্রছাত্রীদের শেখাব। তেমনই, ওড়িশায় জনপ্রিয় পাঁচটি দেশাত্মবোধক গান মারাঠিছাত্রছাত্রীদের শেখাব। তাঁরা যখন নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে সেই গানগুলি গাইবেন,সেগুলি শুনে আপনাদের মনে দেশাত্মবোধ জেগে উঠবে কিনা বলুন? আমাদের ভাষায় একটিপ্রবাদ রয়েছে, ভাষা যাই হোক না কেন, আমাদের দেশের প্রত্যেক ভাষার প্রবাদ প্রবচনেএকটি যোগসূত্র থাকে। শব্দ আলাদা হতে পারে, অভিব্যক্তি আলাদা হতে পারে, কিন্তু যখনশুনবেন আর অর্থ বুঝবেন তখন টের পাবেন এই প্রবাদটা তো আমাদের হরিয়ানভিতেও আছে। তারমানে আমাদের বিভিন্ন ভাষার মধ্যে একটি অন্তর্নিহিত যোগসূত্র রয়েছে। একজন মানুষ যখনতাঁর নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সেটা আবিষ্কার করবে, তখন বুঝতে পারবে যে ভাষা,পোশাক-পরিচ্ছদ, খাওয়াদাওয়া আলাদা হলেও আমরাও সেরকমই ভাবি যেরকম তাঁরা ভাবেন। যতবৈচিত্র্যই থাক না কেন, এ দেশের প্রত্যেকটি ভাষা ও সংস্কৃতি যে পরস্পরের সঙ্গে একটিঐক্যসূত্রে আবদ্ধ সেই বোধটা মানুষের জারিত করতে পারলে তবেই আমাদের দেশের ঐক্যসুনিশ্চিত হবে।

আমাদের দেশের ঐক্য নিয়ে আত্মতুষ্টিতেভোগা উচিত নয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নানাভাবে আমাদের দেশের সর্বনাশ ডেকে আনার নানা পথখুঁজে চলেছে। বিগত ৫০ বছরে আমরা এত খারাপ কিছু আমাদের সংস্কৃতিতে প্রবেশ করতেদিয়েছি, এগুলিকে দূর করতে হলে আমাদের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রকল্পের সাহায্যনেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কেবল স্কুল-কলেজের মেলবন্ধনে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।মনে করুন, ওড়িশার মৎস্যজীবীরা ভালো কাজ করছেন, ছোট ছোট পুকুরে এত ভালো মাছের ফলনহচ্ছে এবং ভালো বাজারও পাচ্ছেন, তাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মহারাষ্ট্রে নিয়ে এলেসেখানকার মৎস্যচাষীরা তাঁদের কাছ থেকে হাতে-কলমে মৎস্যচাষের ছোট ছোট জিনিস শিখতেপারবেন। তেমনই, মহারাষ্ট্রের যে অঞ্চলে ভালো ধান উৎপন্ন হয়, সেখানকার কৃষকদেরআমন্ত্রণ জানিয়ে ওড়িশায় নিয়ে গেলে তাঁরা সেখানকার কৃষকদের উন্নত কৃষি পদ্ধতিশিখিয়ে আসতে পারেন। শুধু বেশি জল থাকলেই যে ভালো ধান হবে তার কোন মানে নেই। কমজলেও ধান চাষ করা যায়। শুধু পদ্ধতিটা শিখতে হবে। তবেই আমরা দ্বিতীয় কৃষি বিপ্লবেরপথে এগিয়ে যেতে পারব। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য ছাড়াই দেশের ভিন্ন প্রান্তেরকৃষকরা পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে অভিজ্ঞতা আদানপ্রদান করলে উভয় পক্ষেরই লাভ হবে।

সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে আজ অনেক সস্তায় ডাবিংকরা যায়। এখন মহারাষ্ট্রে ওড়িয়া সিনেমার উৎসব পালিত হলে আর ওড়িশায় মারাঠি সিনেমারউৎসব পালিত হলে পরস্পরের ভাষা, সংস্কৃতি ও সঙ্গীত জানার পাশাপাশি চিত্রনির্মাতারাও পরস্পরের নির্মাণ পদ্ধতি ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সুযোগসুবিধার কথাজানতে পারবেন। শুধু দু’রাজ্যের ভালোটাই আমরা জানব না, পাশাপাশি খারাপটাও জানব,কিন্তু উভয় রাজ্যের বিরোধী দলের লোকেরাও তাঁদের রাজ্যের ভালোটাকেই বেশি গুরুত্বদিয়ে তুলে ধরবেন। এভাবেই আমরা আরও ভালোর দিকে যাওয়ার পথ খুঁজে পাব। ‘এক ভারতশ্রেষ্ঠ ভারত’কে একটি গণ-আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। আজ সর্দার সাহেবের জন্মজয়ন্তীউপলক্ষে এই মহা অভিযান শুরু হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা কোন নতুন ঐক্যের ইঞ্জেকশন দিতেচাই না, অঙ্গার থেকে আগুন জ্বালানোর মতো মানুষের চেতনাকে প্রজ্জ্বলিত করতে চাই।আপনারা সকলেই এই প্রদর্শনী দেখুন। অন্যদেরও দেখার জন্য প্রেরণা যোগান। এইপ্রদর্শনী শুধু ছাত্রদের জন্য গড়ে তোলা হয়নি, বুদ্ধিজীবীরা সপরিবারে এখানে আসারঅভ্যাস তৈরি করুন। আপনার পরিবার কনিষ্ঠতম সদস্যটিও যেন জানতে পারে এই মহাপুরুষ কেছিলেন, তাঁর কি কি অবদান ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সর্দার সাহেবের প্রতি এইশ্রদ্ধাঞ্জলি তিনি যে আলোকবর্তিকা নিয়ে পথ দেখিয়েছেন, সে পথে এগিয়ে যাওয়ার একটিউত্তম পথও বটে।

আমি আর একবার এই সাফল্যের জন্যপার্থসারথিজি এবং তাঁর গোটা দলকে অভিনন্দন জানাই। আপনারা আজ যে মিউজিয়ামটি দেখছেন,আমি তেমনই একটি চেষ্টা শুরু করেছি, স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পর্কে বলা। সত্যি বলছি,আমাদের দেশের সাধারণ নাগরিকদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। স্বাধীনতার আন্দোলননিছকই নেতাদের আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সাধারণ মানুষের আন্দোলন। অনেকেইজানেন না, ১৮৫৭ সালে এই দেশের আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে অনেক আদিবাসীভাই ও বোনেরা স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। তাঁদের এই আত্মবলিদানের কথাআমাদের কোন ইতিহাস বইয়ে লেখা নেই। সেজন্যই আমি ভেবেছি যে রাজ্যগুলি আদিবাসীঅধ্যুষিত এবং যাঁদের পূর্বজরা এ ধরনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, স্বাধীনতা আন্দোলনেতাঁদের অবদান বর্ণনা করে একটি ভার্চ্যুয়াল মিউজিয়াম গড়ে তুলব। এই মহান মানুষেরাআমাদের দেশকে এত কিছু দিয়েছেন, আমরা তাঁদের সম্পর্কে জানব না? আমি আধুনিকতমপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রকল্পকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। অত্যন্ত কমখরচে এবং ক্ষুদ্র পরিসরে এটা করা সম্ভব। এর ফলে নতুন প্রজন্মের কেউ সীমিত সময়েঅনেককিছু খুব ভা্লোভাবে অনুভব করতে পারবেন। থ্রি ডাইমেনশনাল হওয়ায়, ইন্টার্যাুক্টিভহওয়ায় এই মিউজিয়ামগুলি বাচ্চাদের খুব দ্রুত শিখতে সাহায্য করবে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠভারত’ প্রকল্প অনুসারে আমি কল্পনা করেছি প্রতিটি রাজ্য রাজ্য বিষয়ক ন্যূনতম ৫হাজারটি প্রশ্নের একটি ডেটাব্যাঙ্ক গড়ে তুলবে। সেই ডেটাব্যাঙ্কে রাজ্য সম্পর্কেপ্রশ্নের পাশাপাশি উত্তরও থাকবে। রাজ্যের প্রথম হকি খেলোয়াড় কে ছিলেন? কে প্রথমকবাডি খেলা শুরু করেছেন? রাজ্যের সফল জাতীয় স্তরের খেলোয়াড় কারা? কোন ঐতিহ্যশালীবাড়ি কবে তৈরি করা হয়েছে? মনে করুন মহারাষ্ট্রকে যদি ধরি, তাহলে শিবাজী মহারাজকোথায় থাকতেন? তাঁর কি ইতিহাস রয়েছে? তাঁকে ঘিরে কি কি লোককথা রয়েছে? রাজ্যেরঅন্যান্য কি লোককথা ও লোকগাথা রয়েছে? এরকম বিবিধ বিষয়ে ৫ হাজারটি প্রশ্নেরডেটাব্যাঙ্ক। সেগুলি ভিত্তি করে রাজ্যভিত্তিক ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হতে পারে। আবারপারস্পরিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের ৫ হাজারটি প্রশ্ন নিয়ে ওড়িশায়প্রতিযোগিতা হতে পারে। আবার ওড়িশার ৫ হাজারটি প্রশ্ন নিয়ে মহারাষ্ট্রে ক্যুইজপ্রতিযোগিতা হতে পারে। তাহলেই দেখবেন কত সহজে উভয় রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরছেলেমেয়েরা পরস্পরকে জানতে পারবেন। ক্লাসরুমে যা পড়ানো হয়, তাতো ওরা জানতেই পারে।তার সঙ্গে এই গোটা দেশে প্রত্যেক রাজ্যে ৫ হাজারটি করে প্রশ্নের উত্তর যুক্ত হলেআমাদের ছেলে-মেয়েরা লক্ষাধিক প্রশ্নের জবার দেওয়ার মতো ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবেন।এভাবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এর ব্যাপক প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’প্রকল্পটিকে সর্বব্যাপী করে তুলতে চাই।

আমি আরেকবার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তসকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সর্দার প্যাটেলকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আর দেশের ঐক্যেরজন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই। ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
How NPS transformed in 2025: 80% withdrawals, 100% equity, and everything else that made it a future ready retirement planning tool

Media Coverage

How NPS transformed in 2025: 80% withdrawals, 100% equity, and everything else that made it a future ready retirement planning tool
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi addresses a public rally virtually in Nadia, West Bengal
December 20, 2025
Bengal and the Bengali language have made invaluable contributions to India’s history and culture, with Vande Mataram being one of the nation’s most powerful gifts: PM Modi
West Bengal needs a BJP government that works at double speed to restore the state’s pride: PM in Nadia
Whenever BJP raises concerns over infiltration, TMC leaders respond with abuse, which also explains their opposition to SIR in West Bengal: PM Modi
West Bengal must now free itself from what he described as Maha Jungle Raj: PM Modi’s call for “Bachte Chai, BJP Tai”

PM Modi addressed a public rally in Nadia, West Bengal through video conferencing after being unable to attend the programme physically due to adverse weather conditions. He sought forgiveness from the people, stating that dense fog made it impossible for the helicopter to land safely. Earlier today, the PM also laid the foundation stone and inaugurated development works in Ranaghat, a major way forward towards West Bengal’s growth story.

The PM expressed deep grief over a mishap involving BJP karyakartas travelling to attend the rally. He conveyed heartfelt condolences to the families of those who lost their lives and prayed for the speedy recovery of the injured.

PM Modi said that Nadia is the sacred land where Shri Chaitanya Mahaprabhu, the embodiment of love, compassion and devotion, manifested himself. He noted that the chants of Harinaam Sankirtan that once echoed across villages and along the banks of the Ganga were not merely expressions of devotion, but a powerful call for social unity.

He highlighted the immense contribution of the Matua community in strengthening social harmony, recalling the teachings of Shri Harichand Thakur, the social reform efforts of Shri Guruchand Thakur, and the motherly compassion of Boro Maa. He bowed to all these revered figures for their lasting impact on society.

The PM said that Bengal and the Bengali language have made invaluable contributions to India’s history and culture, with Vande Mataram being one of the nation’s most powerful gifts. He noted that the country is marking 150 years of Vande Mataram and that Parliament has recently paid tribute to this iconic song. He said West Bengal is the land of Bankim Chandra Chattopadhyay, whose creation of Vande Mataram awakened national consciousness during the freedom struggle.

He stressed that Vande Mataram should inspire a Viksit Bharat and awaken the spirit of a Viksit West Bengal, adding that this sacred idea forms the BJP’s roadmap for the state.

PM Modi said BJP-led governments are focused on policies that enhance the strength and capabilities of every citizen. He cited the GST Savings Festival as an example, noting that essential goods were made affordable, enabling families in West Bengal to celebrate Durga Puja and other festivals with joy.

He also highlighted major investments in infrastructure, mentioning the approval of two important highway projects that will improve connectivity between Kolkata and Siliguri and strengthen regional development.

The PM said the nation wants fast-paced development and referred to Bihar’s recent strong mandate in favour of the BJP-NDA. He recalled stating that the Ganga flows from Bihar to Bengal and that Bihar has shown the path for BJP’s victory in West Bengal as well.

He said that while Bihar has decisively rejected jungle raj, West Bengal must now free itself from what he described as Maha Jungle Raj. Referring to the popular slogan, he said the state is calling out, “Bachte Chai, BJP Tai.”

The PM emphasised that there is no shortage of funds, intent or schemes for West Bengal’s development, but alleged that projects worth thousands of crores are stalled due to corruption and commissions. He appealed to the people to give BJP a chance and form a double-engine government to witness rapid development.

He cautioned people to remain alert against what he described as TMC’s conspiracies, alleging that the party is focused on protecting infiltrators. He said that whenever BJP raises concerns over infiltration, TMC leaders respond with abuse, which also explains their opposition to SIR in West Bengal.

Concluding his address, PM Modi said West Bengal needs a BJP government that works at double speed to restore the state’s pride. He assured that he would speak in greater detail about BJP’s vision when he visits the state in person.