Quoteপ্রধানমন্ত্রী মোদী #AyushmanBharat যোজনার সূচনা করেছেন, এই প্রকল্পে ১০ কোটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্যবিমা দেওয়া হবে
Quoteজাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষ #AyushmanBharat স্বাস্থ্যবিমার সুবিধে পাবেন: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote#AyushmanBharat বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্র-পরিচালিত স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote#AyushmanBharat কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপকদের সংখ্যা প্রায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোর মিলিত জনসংখ্যার সমান: প্রধানমন্ত্রী
Quote#AyushmanBharat কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের সূচনা হয়েছে বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকীতে। এই পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সংস্থান ছিল। কর্মসূচিটির দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পটি দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীর দু’দিন আগে সূচনা করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quote#AyushManBharat কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো রোগের জন্য চিকিৎসার সুযোগ পাবেন গরিবরা, বললেন প্রধানমন্ত্রী
Quote#AyushmanBharat: ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ প্রদান করা হবে। এর মধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভর্তির খরচ, অপারেশনের খরচ, ওষুধপত্রের খরচ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচও সামিল করা হয়েছে, বললেন প্রধানমন্ত্রী
Quoteদেশের ১৩ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল #AyushmanBharat কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteদেশে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ২,৩০০-তে পৌঁছেছে। এই ধরণের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা দেড় লক্ষে নিয়ে যাওয়াই হল আমাদের লক্ষ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteসরকার দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে সার্বিকতার ধারণায় কাজ করে চলেছে। সবার নাগালের মধ্যে "স্বাস্থ্য পরিষেবা" এবং "প্রতিরোধমূলক পরিষেবা", এই উভয় ক্ষেত্রের ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteপ্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সঙ্গে যুক্ত সকলের উদ্যোগ ও ডাক্তার, নার্স, পরিষেবা দাতা, আশা কর্মী এবং সহায়কদের নিষ্ঠায় #AyushmanBharat কর্মসূচি সফল হবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুজি, রাজ্যের প্রাণবন্ত জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঘুবর দাস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে আমার সহকর্মী শ্রী জগৎ প্রসাদ নাড্ডা, আমার সহকর্মী এই রাজ্যের ভূমিপুত্র শ্রী সুদর্শনপ্রসাদ ভগৎজি,আমার সহকর্মী জয়ন্ত সিনহাজি,নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর বি.কে.পাল,রাজ্যসরকারের মন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রমুখী,সংসদে আমার সহযোগী শ্রী রামটহল চৌধুরীজি, বিধায়ক শ্রী রামকুমার পাহনজি, এখানে উপস্থিত সকল বিশিষ্ট মানুষজন এবং বিশাল সংখ্যায় আগত ঝাড়খন্ডনিবাসী আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।  

বন্ধুগণ, আজ আমরা সবাই সেই বিশেষ উপলক্ষের সাক্ষী থাকতে চলেছি,যা আগামী দিনে মানবতার সবচেয়ে বড় সেবা হিসেবে নির্ধারিত হতে চলেছে। আজ আমি এখানে শুধুমাত্র ঝাড়খন্ডের বিকাশের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার জন্যই নয়, বরং গোটা দেশের জন্য আমাদের ঋষি-মুনিগণ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা নাকি প্রত্যেক পরিবারেরই স্বপ্ন হয়ে থাকে, আমাদের মুনি-ঋষিরা স্বপ্ন দেখেছিলেন, ‘সর্ব ভবন্তু সুখিনা,সর্ব সন্তু নিরাময়ঃ!’ আমাদের এই বহু শতাব্দী প্রাচীন শপথকে এই শতাব্দিতেই বাস্তবায়িত করতে হবে, আর এজন্যই এর এক মহামূল্যবান সূচনা হতে চলেছে।     

সমাজের শেষ পংক্তিতে যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছেন, সেই গরিব থেকে গরিবতর মানুষের জন্য চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা যায়, তেমন স্বপ্নপূরণের জন্য এক বিশাল বড় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বিরসামুন্ডার এই মাটিতে গ্রহণ করা হচ্ছে।

আজ গোটা দেশের নজর রাঁচির দিকে নিবদ্ধ। দেশের ৪০০-রও বেশি জেলাতে এমনই বড়সড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানকার সমস্ত মানুষ রাঁচির এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছেন। এরপর তাঁরাও এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

আজ এখানে আমার দু’টো মেডিক্যাল কলেজের সূচনা করারও সুযোগ হয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার ৭০ বছরে তিনটে মেডিক্যাল কলেজে সাড়ে তিনশো পড়ুয়া আর বিগত চার বছরে আটটি মেডিক্যাল কলেজে ১২০০ পড়ুয়া। কাজ কি করে হয়, কত ব্যাপক মাত্রায় হতে পারে, কত গতিতে হতে পারে, এর উদাহরণ খোঁজার জন্য অন্য কোথাও যেতে হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। 

|

       ভাই ও বোনেরা,

আয়ুষ্মান ভারতের সংকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা আজ থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পকে প্রত্যেকেই নিজের নিজের কল্পনানুযায়ী নাম দিচ্ছেন। কেউ একে মোদী কেয়ার বলছেন, কেউ আবার গরিবদের প্রকল্প নাম দিয়েছেন। কিন্তু আমার জন্য এটি দেশের দরিদ্র নারায়ণের সেবার একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমার মতে, এর থেকে ভালো করে কোনও মতেই গরিব মানুষের সেবা করা সম্ভব নয়।

 

দেশের ৫০ কোটিরও বেশি মানুষকে বছরে ৫ লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানকারী এই প্রকল্প বিশ্বের এ ধরণের সর্ববৃহৎ প্রকল্প। গোটা দুনিয়ায় সরকারি অর্থে এর চেয়ে বড় কোনও প্রকল্প আর নেই।

 

এই প্রকল্পে উপকৃতদের সংখ্যা, আমরা এখানে বসে কল্পনাও করতে পারবো না; গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭-২৮টি দেশের মোট জনসংখ্যার থেকে বেশি মানুষ ভারতে এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হবেন।

 

গোটা আমেরিকার জনসংখ্যা, গোটা কানাডা ও মেক্সিকোর মিলিত জনসংখ্যার সমান সংখ্যক মানুষকে এই আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে আরোগ্য প্রদান করা হবে।

 

আর সেজন্য একটু আগেই আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাড্ডাজি বলছিলেন যে, বিশ্বে সবচেয়ে নামী স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিনগুলিতে প্রশংসা করে লেখা হয়েছে যে, ভারত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মাধ্যমে দেশে দরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে চলেছে।

 

আমি বিশ্বাস করি, আগামীদিনে বিশ্বের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে যাঁরা চিন্তাভাবনা করেন, আরোগ্য ও অর্থনীতির সমন্বয়ে নিরাময় এবং আধুনিক ব্যবস্থা নিয়ে যাঁরা ভাবেন, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পরিবর্তন আনতে পারলে সমাজ জীবনে এর কী কী প্রভাব পরিলক্ষিত হবে; তেমন সমাজ বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদরা এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে তাঁদের পাঠ্যক্রমের বিষয় করে তুলবে। তাঁদের ভাবতে হবে, এই ভিত্তিতে তাঁদের দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী কেমন মডেল গড়ে তোলা উচিৎ!

 

এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে যারা কাজ করে চলেছেন, তাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এটা সহজ কাজ ছিল না, ছ’মাসের মধ্যে এত বড় প্রকল্প; এর পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত নানা পর্যায়ে আপনারা উৎকর্ষের পরিচয় দিয়েছেন। সুশাসন একেই বলে! দলবদ্ধভাবে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষ ও ১৩ হাজার হাসপাতালকে যুক্ত করে এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।

|

সেজন্য আমি আজ সর্বসমক্ষে ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সামনে গোটা টিমকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই টিম এখন পূর্ণ শক্তি দিয়ে অধিক সমর্পণ ভাব নিয়ে কাজ করে যাবে। কারণ, এতদিন শুধু প্রধানমন্ত্রী তাদের পেছনে পড়ে ছিল কিন্ত এখন ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষের আশীর্বাদ তাদের সম্বল। আর যখন ৫০ কোটি গরিব মানুষের আশীর্বাদ কোনও টিমের সঙ্গে থাকে, যে কোনও গ্রামের আশা কর্মীরাও সর্বান্তকরণে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সদা তৎপর থাকবেন – এটা আমার বিশ্বাস।

 

বন্ধুগণ, গরিবদের নিরাময়ের এই সুরক্ষা কবচ জাতির উদ্দেশে সমর্পণ করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে, প্রকল্প খুবই ভালো এবং প্রত্যেকের জন্য হলেও কেউ হাসপাতাল উদ্বোধন করতে এসে কি বলতে পারেন যে, আপনাদের হাসপাতাল সবসময়ে ভরে থাকুক! কেউ বলতে পারেন না। আমি উদ্বোধন করতে গিয়ে সবসময় বলি, আপনাদের হাসপাতাল সবসময়ে খালি থাকুক।

 

আজ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো যে আমার দেশের কোনও গরিব কিম্বা তাঁর পরিবারের সামনে যেন এমন সংকট না আসে যাতে তাঁদের এই প্রকল্পের সাহায্যে কোনও হাসপাতালে যেতে হয়। আমি ঈশ্বরের কাছে সকলের উত্তম স্বাস্থ্যের প্রার্থনা করি। কিন্তু এহেন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে এহেন সংকটের সম্মুখীন হলে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ আপনাদের সেবায় হাজির।

 

সেরকম কঠিন সময়ে যে কোনও ধনী মানুষ যে ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন, আমার দেশের গরিবদেরও এখন সেই পরিষেবা পাওয়া উচিৎ। যে প্রকল্প আজ থেকে চালু হ’ল, এত বড় প্রকল্পের ‘ট্রায়াল রান’ও প্রয়োজন ছিল। প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করবে, আরোগ্য মিত্র রূপে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরা ঠিক মতো প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারছেন কি না, হাসপাতালগুলি আগে যেভাবে কাজ করতো, সেই ব্যবস্থায় কাঙ্খিত পরিবর্তন এসছে কি না – সেসব খতিয়ে দেখার জন্য দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বিগত কয়েক দিন ধরে এই পরীক্ষামূলক কাজ চলছিল। এর সাফল্য থেকে আমার বিশ্বাস আরও জোরালো হয়েছে যে, এই অভিযান সঠিক অর্থে দেশের দরিদ্র জনগণকে স্বাস্থ্যের অধিকার প্রদানে সক্ষম হবে।

 

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সঙ্গে একটি বিশেষ মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বিগত ১৪ এপ্রিল ছত্তিশগড়ের বস্তারের আরণ্যক গ্রামগুলিতে যখন এর প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছিল, আরোগ্য কেন্দ্র উদ্বোধন হয়েছিল, দিনটি ছিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী। আর আজ দ্বিতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি শুরু করা হ’ল ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তীকে মাথায় রেখে। আজ রবিবার বলে আমার সুবিধা মতো আমরা এই প্রকল্প দু’দিন আগেই শুরু করেছি। কিন্তু আজও জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ ভারতীয় চৈতন্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবক্তা রাষ্ট্রকবি দিনকরের জন্মদিন।

 

আর সেজন্য এই মহাপুরুষদের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে সমাজে সমস্ত রকম ভেদভাব দূর করার জন্য যাঁরা সারা জীবন গরিবদের জন্য ভেবেছেন, গরিবদের জন্য বেঁচেছেন, দরিদ্র মানুষের গরিমা রক্ষায় সারা জীবন সংঘর্ষ করেছেন। আজ সেই মহাপুরুষদের স্মরণ করে জাতির উদ্দেশে এই প্রকল্প উৎসর্গ করছি।

 

|

দেশে উন্নত চিকিৎসা যেন শুধু কিছু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, সবাই যেন উন্নত চিকিৎসা পান – এই ভাবনা থেকেই আজ জাতির উদ্দেশে এই প্রকল্প উৎসর্গ করছি।

 

ভাই ও বোনেরা, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমরা ‘গরিবি হটাও’ শ্লোগান শুনে আসছি। গরিবদের নামে মালা জপতে জপতে যারা গরিবদের চোখে ধুলো দিয়ে গেছেন, তাঁরা যদি আজ থেকে ৩০-৪০-৫০ বছর আগে গরিবদের নামে রাজনীতি করার বদলে তাঁদের ক্ষমতায়নে জোর দিতেন, তা হলে আজ দেশের এই দশা হ’ত না। দেশকে এখনও অনেক মৌলিক ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে। তাঁরা ভাবতেন যে, গরিবদের বিনামূল্যে কিছু পাইয়ে দিলেই তাঁরা সন্তুষ্ট থাকবেন। কিন্তু আসলে দরিদ্র মানুষ যেমন আত্মাভিমানী হন, তা পরিমাপ করার মতো কোনও দাড়িপাল্লা ঐ তথাকথিত দরিদ্রদরদীদের ছিল না।

 

আমি গরিব ঘরের সন্তান। দারিদ্র্যের যন্ত্রণা আমি বুঝি। গরিবদের আত্মসম্মানও আমি বুঝি। সেই আত্মসম্মানই আমাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি দেয়। কিন্তু তাঁরা কখনও গরিবদের আত্মসম্মানের কথা ভাবেননি, সেজন্য প্রত্যেক নির্বাচনে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে গেছেন। আমরা এই রোগের গোড়ায় গিয়েছি। সেজন্য দেশ দারিদ্র্য মুক্তির পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত দিনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছে যে, গত দু-তিন বছরের মধ্যে ভারতের ৫ কোটি পরিবার অতি দরিদ্র পরিস্থিতি থেকে উপরে উঠে এসেছে।

 

ভাই ও বোনেরা, গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই আমরা এই সাফল্য পেয়েছি। গরিব মানুষ মাথার ওপর ছাদ পেলে তাঁর জীবনের চিন্তাভাবনা বদলায়। গরিব মা রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেলে জীবনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অন্যের সমকক্ষ হওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে পারেন। গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুললে তাঁর আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়। অর্থ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। গরিব মানুষের টিকাকরণ হলে, পোষণ মিশন সফল হলে, গরিব মায়েরা ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যান।

 

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, সম্প্রতি যে এশিয়ান গেমস্‌ হয়ে গেল, সেখানে ভারতের হয়ে পুরষ্কার কারা এনেছেন? স্বর্ণপদক কারা এনেছেন? সাম্প্রতিক অতীতে ভারতকে যাঁরা নতুন নতুন সম্মানজনক সাফল্য এনে দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই গ্রামের গরিব ঘরে বড় হয়ে ওঠা, অপুষ্টির সঙ্গে লড়াই করা যুবক-যুবতীরা।

 

গরিবের ক্ষমতাকে উপলব্ধি করতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেক প্রকল্প গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য রচিত। দেশের আরেকটি বড় পরিবর্তন এসেছে। এতদিন দেশের সমস্ত নীতি ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। যে জাতি বা সম্প্রদায় নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিতে পারে, তাঁদের জন্য সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হ’ত। ক্ষেত্রীয় উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন এবং সাম্প্রদায়িক সঙ্কট থেকে মুক্তির কথা না ভেবে পূর্ববর্তী সরকারগুলি শুধুই ভোটের রাজনীতি করে সমাজকে বিভাজনের মাধ্যমে লুঠমার চালিয়েছে।

|

আমরা সেই পথ পরিহার করেছি। আমরা চাই না যে দেশ আর কখনও সেই পথে ফিরে আসুক। আমাদের মন্ত্র হ’ল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আয়ুষ্মান ভারতের ক্ষেত্রে কোনও জাতি, সম্প্রদায়, উঁচু-নীচু ভেদভাব মানা হবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল, সম্প্রদায়, বিশ্বাস নির্বিশেষে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কেউ ঈশ্বরকে মানেন কি মানেন না, মন্দির, মসজিদ, গুরদ্বোয়ারা কিংবা গির্জায় প্রার্থনা করতে যান, প্রত্যেকের জন্যই আয়ুষ্মান ভারত যোজনা।

 

বন্ধুগণ, এই প্রকল্প কতটা ব্যাপক, তা অনুমান করা যায় এই উদাহরণ দিয়ে যে, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনী, লিভার ও ডায়াবেটিস সহ ১,৩০০টিরও বেশি রোগের চিকিৎসা এই প্রকল্পে সামিল করা হয়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও তাঁরা এই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ প্রদান করা হবে। এর মধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভর্তির খরচ, অপারেশনের খরচ, ওষুধপত্রের খরচ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচও সামিল করা হয়েছে।

|

শুধু তাই নয়, সারা দেশের প্রত্যেক মানুষ যেন সমান মানের চিকিৎসা পান – সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সবকিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও সঙ্কলটগ্রস্ত মানুষ যেন এই প্রকল্প থেকে বাদ না পড়েন, সেজন্য নিরন্তর সমীক্ষা জারি রয়েছে।

 

এই প্রকল্পে আপনাদের কোনও প্রকার নথিভুক্তিকরণের প্রয়োজন নেই। আপনারা যে ই-কার্ড পাচ্ছেন, সেটাই যথেষ্ট। সেখানেই আপনাদের সমস্ত তথ্য থাকবে – এজন্য কোনও আবেদন-নিবেদনের প্রয়োজন নেই।

|

এছাড়া একটা টেলিফোন নম্বর এবং আমি বিশ্বাস করি তা আপনাদের মনে রাখা জরুরি। আমি সমস্ত গরিব পরিবারের প্রতি অনুরোধ জনাব আপনারা এই নম্বরটা অবশ্যই মনে করে রাখবেন,১৪৫৫৫ ওয়ান ফোর ট্রিপল ফাইভ, এই নম্বর থেকে আপনি জানতে পারবেন এই যোজনায় আপনার নাম আছে কি নেই, আপনার পরিবারের নাম আছে কি নেই। আপনার সমস্যা, কি সুবিধে পাবেন,এই সমস্ত কিছু কাছাকাছি কমন সার্ভিস সেন্টার, আজ দেশে তিন লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার আছে, এই তিন লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টারের কোনও একটির জন্য আপনাকেও দু’তিন কিলোমিটারের বেশি যেতে হবে না|সেখানে গিয়ে আপনি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

বন্ধুরা, এই ব্যবস্থাপনার সঙ্গেই আরও দু’রকম বড় সহায়ক পেয়ে যাবেন, প্রথমতঃ আপনার গ্রামের আশা ও এ এন এম বোন এবং দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেক হাসপাতালে আপনাদের সাহায্য করতে নিয়োজিত থাকবে প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য মিত্র। এই প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য মিত্র আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে থেকে শুরু করে চিকিৎসার পর পর্যন্ত আপনাকে যোজনার সুবিধে পাইয়ে দিতে পুরোপুরি সাহায্য করে যাবে|দেশকে আয়ুষ্মান করে তোলার জন্য এই নিবেদিত প্রাণ বন্ধু আপনাকে ঠিকঠাক তথ্য যোগাবেন।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারতের এই অভিযান প্রকৃত অর্থে একতাবদ্ধ ভারতে সবার জন্য একই ধরনের চিকিৎসার ভাবনাকে মজবুত করবে|যে রাজ্য এই যোজনার সঙ্গে যুক্ত হবে, সেখানকার বাসিন্দারা যদি অন্য রাজ্যে যান, তবে সেখানে পর্যন্ত হঠাৎ প্রয়োজন পড়লে, এই যোজনার সুবিধে সেখানেও পেতে পারেন।

এখন পর্যন্ত এই যোজনায় গোটা দেশের ১৩ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল আমাদের সহযোগী হয়েছে। আগামী দিনে আরও হাসপাতাল এর আওতায় এসে যাবে|শুধু তা-ই নয়, যে হাসপাতাল ভালো পরিষেবা দেবে,বিশেষ করে গ্রামের হাসপাতালে, তাদের সরকার থেকেও সহায়তা করা হবে।  

ভাই ও বোনেরা, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার লক্ষ্য আর্থিক সুবিধে দেওয়া তো বটেই, সঙ্গে এমন ব্যবস্থাও দাঁড় করানো,যাতে ঘরের কাছেই আপনার জন্য উত্তম চিকিৎসার সুবিধে করে দেওয়া যায়।

বন্ধুরা, আজ এখানে দশটি ওয়েলনেস সেন্টারের শুভসূচনা হয়েছে। এখন ঝাড়খন্ডে প্রায় চল্লিশটি এমন সেন্টার কাজ করছে, আর গোটা দেশে এই সংখ্যাটা প্রায় দু’আড়াই হাজারে পৌঁছে গেছে। আগামী চার বছরে দেশে এমন দেড়লক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।   

ভাই ও বোনেরা,এই হেলথ ও ওয়েলনেস সেন্টারগুলি আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সেন্টারে ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসা তো হবেই, সঙ্গে ঔষধও পাওয়া যাবে। এখানে বিনাখরচে অনেকগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা করানোরও ব্যবস্থা থাকবে। এরফলে কঠিন অসুখের লক্ষণও আগে থেকে ধরা পড়লে চিকিৎসার সাহায্য পাওয়া যাবে।

বন্ধুগণ, সরকার দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রটিকে শুধরানোর জন্য একটি সংহত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক সিদ্ধান্ত ও নীতি পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একদিকে সরকার সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে নজর দিচ্ছে। পাশাপাশি, প্রতিরোধী স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও লক্ষ্য রাখছিল। যোগাভ্যাস, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, উন্মুক্ত স্থানে মলমুত্র বন্ধ করার জন্য অভিযান – এই সমস্ত কিছুর মাধ্যমে কঠিন রোগের কারণগুলি উৎস থেকে নির্মূল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা সম্প্রতি হয়তো একটি রিপোর্টে জেনেছেন যে, স্বচ্ছ ভারত মিশনের ফলে ৩ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নবজাত শিশু ও প্রসূতি মায়েদের জীবন রক্ষার পরিসংখ্যান দ্রুত মৃত্যু থেকে জীবনের পথে এগিয়ে চলেছে।

সরকার রাষ্ট্রীয় পোষণ মিশন অভিযানের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় মানবসম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী তিন বছরে প্রায় আড়াই হাজার উৎকৃষ্ট মানের হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে অধিকাংশই টয়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরগুলিতে গড়ে উঠবে। ফলে মধ্যবিত্ত যুবক-যুবতীদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে।

শুধু তাই নয়, গোটা প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি, বিমা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, কল সেন্টার, ব্যবস্থাপনা, ঔষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ-কোটি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। প্যারা-মেডিকেল স্টাফ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের চাহিদা দেশে অনেক বৃদ্ধি পেতে চলেছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট অনেক স্টার্ট আপ উদ্যোগও গড়ে উঠবে। লক্ষ লক্ষ চিকিৎসক, সেবিকা, অন্যান্য চিকিৎসা কর্মী এবং হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। অর্থাৎ দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য অনেক বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ এটা।

দেশের প্রতিটি গ্রাম, আধা শহর এবং টিয়ার-১ ও টিয়ার -২ শহরগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বিগত চার বছরে দেশে ১৪টি নতুন এইম্‌স হসপিটাল মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক রাজ্যে ন্যূনতম একটি এইম্‌স গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি, একই সময়ে ৮২টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করার কাজ চলছে। প্রতি ৩/৪টি সংসদীয় ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটি করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গড়ে তোলার কাজ চলছে।

আজ এখানেও তেমনই ৬০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে কোডোরমা ও চাইবাসায় দুটি ৪০০ শয্যাসম্পন্ন মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, বিগত চার বছরে সারা দেশে ২৫ হাজারেরও বেশি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার চায়, আগামী ৪-৫ বছরে সরকার দেশে ১ লক্ষ নতুন চিকিৎসক হোক।

বন্ধুগণ, দীনদয়াল উপাধ্যায়জী বলতেন যে, শিক্ষার মতোই স্বাস্থ্যের পেছনে যে খরচ করা হয়, তাকে খরচ না বলে বিনিয়োগ বলা উচিৎ। ভালো শিক্ষা ও দক্ষতার অভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন যেমন সম্ভব নয়, তেমনই অসুস্থ ও অপুষ্ট নাগরিক দিয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়।

বন্ধুগণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির প্রচেষ্টায়, আরোগ্য মিত্র, আশা, এএনএম বোনেদের সহযোগিতায়, প্রত্যেক চিকিৎসক, সেবিকা, স্বাস্থ্য কর্মী এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সমর্পিত ভাবনার সমন্বয়ে আমরা এই প্রকল্পকে সফল করে তুলতে পারব। একটি সুস্থ দেশ গড়ে তুলতে পারব। নতুন ভারত সুস্থ, শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আপনারা সবাই সুস্থ ও দীর্ঘায়ু হবেন।

এই আশা নিয়ে আজ রাঁচির মাটি থেকে, ভগবান বিরসামুন্ডার মাটি থেকে ১২৫ কোটি দেশবাসীর চরণে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা সমর্পণ করছি।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারতমাতা কি – জয়।

ভারতমাতা কি – জয়।

ভারতমাতা কি – জয়।

আমি বলব আয়ুষ্মান, আপনারা বলবেন ভারত

আয়ুষ্মান – ভারত

আয়ুষ্মান – ভারত

আয়ুষ্মান – ভারত

আয়ুষ্মান – ভারত

আয়ুষ্মান – ভারত

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Indian economy remains positive amid global turbulence: Finance Ministry

Media Coverage

Indian economy remains positive amid global turbulence: Finance Ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India is going to open doors of new possibilities of space for the world: PM Modi
June 28, 2025
QuoteI extend my heartiest congratulations and best wishes to you for hoisting the flag of India in space: PM
QuoteScience and Spirituality, both are our Nation’s strength: PM
QuoteThe success of Chandrayaan mission and your historic journey renew interest in science among the children and youth of the country: PM
QuoteWe have to take Mission Gaganyaan forward, we have to build our own space station and also land Indian astronauts on the Moon: PM
QuoteYour historic journey is the first chapter of success of India's Gaganyaan mission and will give speed and new vigour to our journey of Viksit Bharat: PM
QuoteIndia is going to open doors of new possibilities of space for the world: PM

प्रधानमंत्रीशुभांशु नमस्कार!

शुभांशु शुक्लानमस्कार!

प्रधानमंत्रीआप आज मातृभूमि से, भारत भूमि से, सबसे दूर हैं, लेकिन भारतवासियों के दिलों के सबसे करीब हैं। आपके नाम में भी शुभ है और आपकी यात्रा नए युग का शुभारंभ भी है। इस समय बात हम दोनों कर रहे हैं, लेकिन मेरे साथ 140 करोड़ भारतवासियों की भावनाएं भी हैं। मेरी आवाज में सभी भारतीयों का उत्साह और उमंग शामिल है। अंतरिक्ष में भारत का परचम लहराने के लिए मैं आपको हार्दिक बधाई और शुभकामनाएं देता हूं। मैं ज्यादा समय नहीं ले रहा हूं, तो सबसे पहले तो यह बताइए वहां सब कुशल मंगल है? आपकी तबीयत ठीक है?

|

शुभांशु शुक्ला: जी प्रधानमंत्री जी! बहुत-बहुत धन्यवाद, आपकी wishes का और 140 करोड़ मेरे देशवासियों के wishes का, मैं यहां बिल्कुल ठीक हूं, सुरक्षित हूं। आप सबके आशीर्वाद और प्यार की वजह से… बहुत अच्छा लग रहा है। बहुत नया एक्सपीरियंस है यह और कहीं ना कहीं बहुत सारी चीजें ऐसी हो रही हैं, जो दर्शाती है कि मैं और मेरे जैसे बहुत सारे लोग हमारे देश में और हमारा भारत किस दिशा में जा रहा है। यह जो मेरी यात्रा है, यह पृथ्वी से ऑर्बिट की 400 किलोमीटर तक की जो छोटे सी यात्रा है, यह सिर्फ मेरी नहीं है। मुझे लगता है कहीं ना कहीं यह हमारे देश के भी यात्रा है because जब मैं छोटा था, मैं कभी सोच नहीं पाया कि मैं एस्ट्रोनॉट बन सकता हूं। लेकिन मुझे लगता है कि आपके नेतृत्व में आज का भारत यह मौका देता है और उन सपनों को साकार करने का भी मौका देता है। तो यह बहुत बड़ी उपलब्धि है मेरे लिए और मैं बहुत गर्व feel कर रहा हूं कि मैं यहां पर अपने देश का प्रतिनिधित्व कर पा रहा हूं। धन्यवाद प्रधानमंत्री जी!

प्रधानमंत्रीशुभ, आप दूर अंतरिक्ष में हैं, जहां ग्रेविटी ना के बराबर है, पर हर भारतीय देख रहा है कि आप कितने डाउन टू अर्थ हैं। आप जो गाजर का हलवा ले गए हैं, क्या उसे अपने साथियों को खिलाया?

शुभांशु शुक्ला: जी प्रधानमंत्री जी! यह कुछ चीजें मैं अपने देश की खाने की लेकर आया था, जैसे गाजर का हलवा, मूंग दाल का हलवा और आम रस और मैं चाहता था कि यह बाकी भी जो मेरे साथी हैं, बाकी देशों से जो आए हैं, वह भी इसका स्वाद लें और चखें, जो भारत का जो rich culinary हमारा जो हेरिटेज है, उसका एक्सपीरियंस लें, तो हम सभी ने बैठकर इसका स्वाद लिया साथ में और सबको बहुत पसंद आया। कुछ लोग कहे कि कब वह नीचे आएंगे और हमारे देश आएं और इनका स्वाद ले सकें हमारे साथ…

प्रधानमंत्री: शुभ, परिक्रमा करना भारत की सदियों पुरानी परंपरा है। आपको तो पृथ्वी माता की परिक्रमा का सौभाग्य मिला है। अभी आप पृथ्वी के किस भाग के ऊपर से गुजर रहे होंगे?

शुभांशु शुक्ला: जी प्रधानमंत्री जी! इस समय तो मेरे पास यह इनफॉरमेशन उपलब्ध नहीं है, लेकिन थोड़ी देर पहले मैं खिड़की से, विंडो से बाहर देख रहा था, तो हम लोग हवाई के ऊपर से गुजर रहे थे और हम दिन में 16 बार परिक्रमा करते हैं। 16 सूर्य उदय और 16 सनराइज और सनसेट हम देखते हैं ऑर्बिट से और बहुत ही अचंभित कर देने वाला यह पूरा प्रोसेस है। इस परिक्रमा में, इस तेज गति में जिस हम इस समय करीब 28000 किलोमीटर प्रति घंटे की रफ्तार से चल रहे हैं आपसे बात करते वक्त और यह गति पता नहीं चलती क्योंकि हम तो अंदर हैं, लेकिन कहीं ना कहीं यह गति जरूर दिखाती है कि हमारा देश कितनी गति से आगे बढ़ रहा है।

प्रधानमंत्रीवाह!

शुभांशु शुक्ला: इस समय हम यहां पहुंचे हैं और अब यहां से और आगे जाना है।

प्रधानमंत्री: अच्छा शुभ अंतरिक्ष की विशालता देखकर सबसे पहले विचार क्या आया आपको?

शुभांशु शुक्ला: प्रधानमंत्री जी, सच में बोलूं तो जब पहली बार हम लोग ऑर्बिट में पहुंचे, अंतरिक्ष में पहुंचे, तो पहला जो व्यू था, वह पृथ्वी का था और पृथ्वी को बाहर से देख के जो पहला ख्याल, वो पहला जो thought मन में आया, वह ये था कि पृथ्वी बिल्कुल एक दिखती है, मतलब बाहर से कोई सीमा रेखा नहीं दिखाई देती, कोई बॉर्डर नहीं दिखाई देता। और दूसरी चीज जो बहुत noticeable थी, जब पहली बार भारत को देखा, तो जब हम मैप पर पढ़ते हैं भारत को, हम देखते हैं बाकी देशों का आकार कितना बड़ा है, हमारा आकार कैसा है, वह मैप पर देखते हैं, लेकिन वह सही नहीं होता है क्योंकि वह एक हम 3D ऑब्जेक्ट को 2D यानी पेपर पर हम उतारते हैं। भारत सच में बहुत भव्य दिखता है, बहुत बड़ा दिखता है। जितना हम मैप पर देखते हैं, उससे कहीं ज्यादा बड़ा और जो oneness की फीलिंग है, पृथ्वी की oneness की फीलिंग है, जो हमारा भी मोटो है कि अनेकता में एकता, वह बिल्कुल उसका महत्व ऐसा समझ में आता है बाहर से देखने में कि लगता है कि कोई बॉर्डर एक्जिस्ट ही नहीं करता, कोई राज्य ही नहीं एक्जिस्ट करता, कंट्रीज़ नहीं एक्जिस्ट करती, फाइनली हम सब ह्यूमैनिटी का पार्ट हैं और अर्थ हमारा एक घर है और हम सबके सब उसके सिटीजंस हैं।

प्रधानमंत्रीशुभांशु स्पेस स्टेशन पर जाने वाले आप पहले भारतीय हैं। आपने जबरदस्त मेहनत की है। लंबी ट्रेनिंग करके गए हैं। अब आप रियल सिचुएशन में हैं, सच में अंतरिक्ष में हैं, वहां की परिस्थितियां कितनी अलग हैं? कैसे अडॉप्ट कर रहे हैं?

शुभांशु शुक्ला: यहां पर तो सब कुछ ही अलग है प्रधानमंत्री जी, ट्रेनिंग की हमने पिछले पूरे 1 साल में, सारे systems के बारे में मुझे पता था, सारे प्रोसेस के बारे में मुझे पता था, एक्सपेरिमेंट्स के बारे में मुझे पता था। लेकिन यहां आते ही suddenly सब चेंज हो गया, because हमारे शरीर को ग्रेविटी में रहने की इतनी आदत हो जाती है कि हर एक चीज उससे डिसाइड होती है, पर यहां आने के बाद चूंकि ग्रेविटी माइक्रोग्रेविटी है absent है, तो छोटी-छोटी चीजें भी बहुत मुश्किल हो जाती हैं। अभी आपसे बात करते वक्त मैंने अपने पैरों को बांध रखा है, नहीं तो मैं ऊपर चला जाऊंगा और माइक को भी ऐसे जैसे यह छोटी-छोटी चीजें हैं, यानी ऐसे छोड़ भी दूं, तो भी यह ऐसे float करता रहा है। पानी पीना, पैदल चलना, सोना बहुत बड़ा चैलेंज है, आप छत पर सो सकते हैं, आप दीवारों पर सो सकते हैं, आप जमीन पर सो सकते हैं। तो पता सब कुछ होता है प्रधानमंत्री जी, ट्रेनिंग अच्छी है, लेकिन वातावरण चेंज होता है, तो थोड़ा सा used to होने में एक-दो दिन लगते हैं but फिर ठीक हो जाता है, फिर normal हो जाता है।

|

प्रधानमंत्री: शुभ भारत की ताकत साइंस और स्पिरिचुअलिटी दोनों हैं। आप अंतरिक्ष यात्रा पर हैं, लेकिन भारत की यात्रा भी चल रही होगी। भीतर में भारत दौड़ता होगा। क्या उस माहौल में मेडिटेशन और माइंडफूलनेस का लाभ भी मिलता है क्या?

शुभांशु शुक्ला: जी प्रधानमंत्री जी, मैं बिल्कुल सहमत हूं। मैं कहीं ना कहीं यह मानता हूं कि भारत already दौड़ रहा है और यह मिशन तो केवल एक पहली सीढ़ी है उस एक बड़ी दौड़ का और हम जरूर आगे पहुंच रहे हैं और अंतरिक्ष में हमारे खुद के स्टेशन भी होंगे और बहुत सारे लोग पहुंचेंगे और माइंडफूलनेस का भी बहुत फर्क पड़ता है। बहुत सारी सिचुएशंस ऐसी होती हैं नॉर्मल ट्रेनिंग के दौरान भी या फिर लॉन्च के दौरान भी, जो बहुत स्ट्रेसफुल होती हैं और माइंडफूलनेस से आप अपने आप को उन सिचुएशंस में शांत रख पाते हैं और अपने आप को calm रखते हैं, अपने आप को शांत रखते हैं, तो आप अच्छे डिसीजंस ले पाते हैं। कहते हैं कि दौड़ते हो भोजन कोई भी नहीं कर सकता, तो जितना आप शांत रहेंगे उतना ही आप अच्छे से आप डिसीजन ले पाएंगे। तो I think माइंडफूलनेस का बहुत ही इंपॉर्टेंट रोल होता है इन चीजों में, तो दोनों चीजें अगर साथ में एक प्रैक्टिस की जाएं, तो ऐसे एक चैलेंजिंग एनवायरमेंट में या चैलेंजिंग वातावरण में मुझे लगता है यह बहुत ही यूज़फुल होंगी और बहुत जल्दी लोगों को adapt करने में मदद करेंगी।

प्रधानमंत्री: आप अंतरिक्ष में कई एक्सपेरिमेंट कर रहे हैं। क्या कोई ऐसा एक्सपेरिमेंट है, जो आने वाले समय में एग्रीकल्चर या हेल्थ सेक्टर को फायदा पहुंचाएगा?

शुभांशु शुक्ला: जी प्रधानमंत्री जी, मैं बहुत गर्व से कह सकता हूं कि पहली बार भारतीय वैज्ञानिकों ने 7 यूनिक एक्सपेरिमेंट्स डिजाइन किए हैं, जो कि मैं अपने साथ स्टेशन पर लेकर आया हूं और पहला एक्सपेरिमेंट जो मैं करने वाला हूं, जो कि आज ही के दिन में शेड्यूल्ड है, वह है Stem Cells के ऊपर, so अंतरिक्ष में आने से क्या होता है कि ग्रेविटी क्योंकि एब्सेंट होती है, तो लोड खत्म हो जाता है, तो मसल लॉस होता है, तो जो मेरा एक्सपेरिमेंट है, वह यह देख रहा है कि क्या कोई सप्लीमेंट देकर हम इस मसल लॉस को रोक सकते हैं या फिर डिले कर सकते हैं। इसका डायरेक्ट इंप्लीकेशन धरती पर भी है कि जिन लोगों का मसल लॉस होता है, ओल्ड एज की वजह से, उनके ऊपर यह सप्लीमेंट्स यूज़ किए जा सकते हैं। तो मुझे लगता है कि यह डेफिनेटली वहां यूज़ हो सकता है। साथ ही साथ जो दूसरा एक्सपेरिमेंट है, वह Microalgae की ग्रोथ के ऊपर। यह Microalgae बहुत छोटे होते हैं, लेकिन बहुत Nutritious होते हैं, तो अगर हम इनकी ग्रोथ देख सकते हैं यहां पर और ऐसा प्रोसेस ईजाद करें कि यह ज्यादा तादाद में हम इन्हें उगा सके और न्यूट्रिशन हम प्रोवाइड कर सकें, तो कहीं ना कहीं यह फूड सिक्योरिटी के लिए भी बहुत काम आएगा धरती के ऊपर। सबसे बड़ा एडवांटेज जो है स्पेस का, वह यह है कि यह जो प्रोसेस है यहां पर, यह बहुत जल्दी होते हैं। तो हमें महीनों तक या सालों तक वेट करने की जरूरत नहीं होती, तो जो यहां के जो रिजल्‍ट्स होते हैं वो हम और…

प्रधानमंत्री: शुभांशु चंद्रयान की सफलता के बाद देश के बच्चों में, युवाओं में विज्ञान को लेकर एक नई रूचि पैदा हुई, अंतरिक्ष को explore करने का जज्बा बढ़ा। अब आपकी ये ऐतिहासिक यात्रा उस संकल्प को और मजबूती दे रही है। आज बच्चे सिर्फ आसमान नहीं देखते, वो यह सोचते हैं, मैं भी वहां पहुंच सकता हूं। यही सोच, यही भावना हमारे भविष्य के स्पेस मिशंस की असली बुनियाद है। आप भारत की युवा पीढ़ी को क्या मैसेज देंगे?

शुभांशु शुक्ला: प्रधानमंत्री जी, मैं अगर मैं अपनी युवा पीढ़ी को आज कोई मैसेज देना चाहूंगा, तो पहले यह बताऊंगा कि भारत जिस दिशा में जा रहा है, हमने बहुत बोल्ड और बहुत ऊंचे सपने देखे हैं और उन सपनों को पूरा करने के लिए, हमें आप सबकी जरूरत है, तो उस जरूरत को पूरा करने के लिए, मैं ये कहूंगा कि सक्सेस का कोई एक रास्ता नहीं होता कि आप कभी कोई एक रास्ता लेता है, कोई दूसरा रास्ता लेता है, लेकिन एक चीज जो हर रास्ते में कॉमन होती है, वो ये होती है कि आप कभी कोशिश मत छोड़िए, Never Stop Trying. अगर आपने ये मूल मंत्र अपना लिया कि आप किसी भी रास्ते पर हों, कहीं पर भी हों, लेकिन आप कभी गिव अप नहीं करेंगे, तो सक्सेस चाहे आज आए या कल आए, पर आएगी जरूर।

प्रधानमंत्री: मुझे पक्का विश्वास है कि आपकी ये बातें देश के युवाओं को बहुत ही अच्छी लगेंगी और आप तो मुझे भली-भांति जानते हैं, जब भी किसी से बात होती हैं, तो मैं होमवर्क जरूर देता हूं। हमें मिशन गगनयान को आगे बढ़ाना है, हमें अपना खुद का स्पेस स्टेशन बनाना है, और चंद्रमा पर भारतीय एस्ट्रोनॉट की लैंडिंग भी करानी है। इन सारे मिशंस में आपके अनुभव बहुत काम आने वाले हैं। मुझे विश्वास है, आप वहां अपने अनुभवों को जरूर रिकॉर्ड कर रहे होंगे।

शुभांशु शुक्ला: जी प्रधानमंत्री जी, बिल्कुल ये पूरे मिशन की ट्रेनिंग लेने के दौरान और एक्सपीरियंस करने के दौरान, जो मुझे lessons मिले हैं, जो मेरी मुझे सीख मिली है, वो सब एक स्पंज की तरह में absorb कर रहा हूं और मुझे यकीन है कि यह सारी चीजें बहुत वैल्युएबल प्रूव होंगी, बहुत इंपॉर्टेंट होगी हमारे लिए जब मैं वापस आऊंगा और हम इन्हें इफेक्टिवली अपने मिशंस में, इनके lessons अप्लाई कर सकेंगे और जल्दी से जल्दी उन्हें पूरा कर सकेंगे। Because मेरे साथी जो मेरे साथ आए थे, कहीं ना कहीं उन्होंने भी मुझसे पूछा कि हम कब गगनयान पर जा सकते हैं, जो सुनकर मुझे बहुत अच्छा लगा और मैंने बोला कि जल्द ही। तो मुझे लगता है कि यह सपना बहुत जल्दी पूरा होगा और मेरी तो सीख मुझे यहां मिल रही है, वह मैं वापस आकर, उसको अपने मिशन में पूरी तरह से 100 परसेंट अप्लाई करके उनको जल्दी से जल्दी पूरा करने की कोशिश करेंगे।

प्रधानमंत्री: शुभांशु, मुझे पक्का विश्वास है कि आपका ये संदेश एक प्रेरणा देगा और जब हम आपके जाने से पहले मिले थे, आपके परिवारजन के भी दर्शन करने का अवसर मिला था और मैं देख रहा हूं कि आपके परिवारजन भी सभी उतने ही भावुक हैं, उत्साह से भरे हुए हैं। शुभांशु आज मुझे आपसे बात करके बहुत आनंद आया, मैं जानता हूं आपकी जिम्मे बहुत काम है और 28000 किलोमीटर की स्पीड से काम करने हैं आपको, तो मैं ज्यादा समय आपका नहीं लूंगा। आज मैं विश्वास से कह सकता हूं कि ये भारत के गगनयान मिशन की सफलता का पहला अध्याय है। आपकी यह ऐतिहासिक यात्रा सिर्फ अंतरिक्ष तक सीमित नहीं है, ये हमारी विकसित भारत की यात्रा को तेज गति और नई मजबूती देगी। भारत दुनिया के लिए स्पेस की नई संभावनाओं के द्वार खोलने जा रहा है। अब भारत सिर्फ उड़ान नहीं भरेगा, भविष्य में नई उड़ानों के लिए मंच तैयार करेगा। मैं चाहता हूं, कुछ और भी सुनने की इच्छा है, आपके मन में क्योंकि मैं सवाल नहीं पूछना चाहता, आपके मन में जो भाव है, अगर वो आप प्रकट करेंगे, देशवासी सुनेंगे, देश की युवा पीढ़ी सुनेगी, तो मैं भी खुद बहुत आतुर हूं, कुछ और बातें आपसे सुनने के लिए।

|

शुभांशु शुक्ला: धन्यवाद प्रधानमंत्री जी! यहां यह पूरी जर्नी जो है, यह अंतरिक्ष तक आने की और यहां ट्रेनिंग की और यहां तक पहुंचने की, इसमें बहुत कुछ सीखा है प्रधानमंत्री जी मैंने लेकिन यहां पहुंचने के बाद मुझे पर्सनल accomplishment तो एक है ही, लेकिन कहीं ना कहीं मुझे ये लगता है कि यह हमारे देश के लिए एक बहुत बड़ा कलेक्टिव अचीवमेंट है। और मैं हर एक बच्चे को जो यह देख रहा है, हर एक युवा को जो यह देख रहा है, एक मैसेज देना चाहता हूं और वो यह है कि अगर आप कोशिश करते हैं और आप अपना भविष्य बनाते हैं अच्छे से, तो आपका भविष्य अच्छा बनेगा और हमारे देश का भविष्य अच्छा बनेगा और केवल एक बात अपने मन में रखिए, that sky has never the limits ना आपके लिए, ना मेरे लिए और ना भारत के लिए और यह बात हमेशा अगर अपने मन में रखी, तो आप आगे बढ़ेंगे, आप अपना भविष्य उजागर करेंगे और आप हमारे देश का भविष्य उजागर करेंगे और बस मेरा यही मैसेज है प्रधानमंत्री जी और मैं बहुत-बहुत ही भावुक और बहुत ही खुश हूं कि मुझे मौका मिला आज आपसे बात करने का और आप के थ्रू 140 करोड़ देशवासियों से बात करने का, जो यह देख पा रहे हैं, यह जो तिरंगा आप मेरे पीछे देख रहे हैं, यह यहां नहीं था, कल के पहले जब मैं यहां पर आया हूं, तब हमने यह यहां पर पहली बार लगाया है। तो यह बहुत भावुक करता है मुझे और बहुत अच्छा लगता है देखकर कि भारत आज इंटरनेशनल स्पेस स्टेशन पहुंच चुका है।

प्रधानमंत्रीशुभांशु, मैं आपको और आपके सभी साथियों को आपके मिशन की सफलता के लिए बहुत-बहुत शुभकामनाएं देता हूं। शुभांशु, हम सबको आपकी वापसी का इंतजार है। अपना ध्यान रखिए, मां भारती का सम्मान बढ़ाते रहिए। अनेक-अनेक शुभकामनाएं, 140 करोड़ देशवासियों की शुभकामनाएं और आपको इस कठोर परिश्रम करके, इस ऊंचाई तक पहुंचने के लिए बहुत-बहुत धन्यवाद देता हूं। भारत माता की जय!

शुभांशु शुक्ला: धन्यवाद प्रधानमंत्री जी, धन्यवाद और सारे 140 करोड़ देशवासियों को धन्यवाद और स्पेस से सबके लिए भारत माता की जय!