Uttar Pradesh has greatly benefitted from PM SVANidhi scheme: PM
Banks are reaching the doorsteps of poor to provide loans for helping the latter start their ventures: PM
For the first time since independence street vendors are getting unsecured affordable loans: PM Modi

একটু আগেই আমি যখন প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি কর্মসূচির সমস্ত সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন আমি অনুভব করেছি যে সবার মনে একটি খুশি যেমন রয়েছে, তেমনই তাঁরা একটি কারণে বিশেষ আশ্চর্য হয়েছেন। আগে যাঁদের চাকরি–বাকরি থাকত, তাঁদেরও ঋণ নিতে হলে ব্যাঙ্কে গিয়ে পায়ের শুকতলা খসাতে হত। গরীব মানুষ, যাঁরা ঠেলা চালান, তাঁরা তো ব্যাঙ্কের ভেতরে পা রাখার কথা ভাবতেও পারতেন না। কিন্তু আজ ব্যাঙ্কগুলি নিজে থেকে তাদের কাছে চলে আসছে এবং কোনও দৌড়ঝাঁপ ছাড়াই তাঁরা তাঁদের কাজ শুরু করার জন্য ঋণ পাচ্ছেন। আপনাদের সকলের চেহারায় এই খুশি দেখে আমারও খুব আনন্দ হচ্ছে। আপনাদের সবাইকে আপনাদের ব্যবসার উন্নতির জন্য, আত্মনির্ভর হয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ যখন আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, আমি দেখেছি যে খুব কম লেখাপড়া জানা এবং সামান্য জীবনযাপন করেন এমন গরীব মানুষ, আমাদের বোন প্রীতিও এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি শিখছেন, নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন এবং গোটা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ভাবনাচিন্তা করছেন।

সেরকমই বেনারসের বন্ধুর সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম, অরবিন্দজির সঙ্গে, তখন অরবিন্দজি একটি কথা বলেছেন যা থেকে প্রত্যেকেই শিক্ষা নিতে পারেন, আর আমি নিশ্চিত, দেশের লেখাপড়া জানা মানুষেরাও তার থেকে শিক্ষা নেবেন। তিনি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং–এর জন্য নিজে কিছু উপকরণ তৈরি করেন যার মধ্যে যে কোনওএকটি জিনিস তিনি বিনামূল্যে গ্রাহকের হাতে তুলে দেন। গ্রাহকরা যদি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এর নিয়মগুলি পালন করেন, তাহলেই তিনি সেটি বিনামূল্যে তাঁদের হাতে তুলে দেন। দেখুন, একজন সামান্য আয়ের মানুষ কত বড় কাজ করতে পারেন। এর থেকে বড় প্রেরণা আর কী হতে পারে! আর যখন আমি লক্ষ্ণৌ–এর বিজয় বাহাদুর সিং–এর সঙ্গে কথা বলছিলাম, তিনি ঠেলা চালান, কিন্তু বিজনেসের ম্যানেজমেন্ট মডেল কেমন হওয়া উচিৎ, সময়কে সাশ্রয় করে কিভাবে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তিনি সেই শৈলীকে রপ্ত করেছেন। দেখুন, এটাই আমাদের দেশের শক্তি। এই মানুষেরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই মানুষদের প্রচেষ্টাতেই দেশ এগিয়ে যায়।

আমাদের ঠেলাওয়ালা বন্ধুরা এই প্রকল্পের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। আমার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু আমি এগুলির জন্য সবার আগে আমাদের সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে এবং সেই ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মরত কর্মচারীদের পরিশ্রমকে ধন্যবাদ জানাই। ব্যাঙ্ক কর্মীদের তৎপরতা এবং সেবাভাবনা ছাড়া এই কাজ এত কম সময়ে এত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। আমাদের ব্যাঙ্কগুলির কর্মচারীদের আমি হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, আর আমি নিশ্চিত, যখন তাঁরা গরীবের মনের ভাবনাকে স্পর্শ করেন, তখন নিশ্চয়ই তাঁদের কাজে উৎসাহ অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। এই সমস্ত গরীবদের আশীর্বাদ সবার আগে এই ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের পাওয়া উচিৎ যাঁরা লাগাতার মেহনত করে আপনাদের জীবনকে আরেকবার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রম করছেন। আর সেজন্য আপনারা আমাকে যত আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা দিচ্ছেন, সেগুলি যেন এই ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের কাছে পৌঁছয় এটাই আমার কামনা। আমাদের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই গরীব মানুষরা উৎসবের দিনগুলি আলোর রোশনাইয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। এটা অনেক বড় কাজ। এই কর্মসূচিতে আমার সঙ্গে যুক্ত উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, ইউপি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলার সেইসব হাজার হাজার সুবিধাভোগীগণ, যাঁরা এই স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে উপকৃত হবেন, সমস্ত ব্যাঙ্কের উচ্চ পদাধিকারী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মচারীরা এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজকের এই দিনটি আত্মনির্ভর ভারতের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন।

কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতির মোকাবিলা এই দেশ কিভাবে করে, উত্তরপ্রদেশের মানুষ কিভাবে সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি রাখেন, আজকের দিনটি তার সাক্ষী। করোনা যখন গোটা বিশ্বকে আক্রমণ করেছিল, তখন ভারতের গরীব মানুষকে নিয়ে সারা পৃথিবীতে অনেক আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছিল। আমার গরীব ভাই–বোনেদের কিভাবে সবচাইতে কম কষ্ট হয়, কিভাবে গরীবরা এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন, সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টার কেন্দ্রে এই চিন্তাটাই ছিল। এই ভাবনা নিয়ে দেশের সরকার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার গরীব কল্যাণ যোজনা চালু করেছিল। কোনও গরীবকে যেন খালি পেটে না ঘুমোতে হয় সেই চিন্তা মাথায় রেখে আমরা এই প্রকল্প চালু করেছিলাম। পাশাপাশি ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে গরীবের ভালোর জন্য, তাঁদের রুজি–রুটিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। আর আজ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে বড় থেকে বড় সমস্যা রুখে দেওয়ার শক্তি তাঁরা রাখেন। পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে গরীবের শ্রমকে সুফলদায়ী করে তুলতে সহযোগিতা করা হয়েছে। আর আজ আমাদের ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু'পাশে ব্যবসা করেন এরকম বন্ধুদের আরেকবার ব্যবসা শুরু করার জন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাঁরা আরেকবার আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে চলেছেন।

বন্ধুরা,

 

দেশে ১ জুন তারিখে পিএম স্বনিধি যোজনা চালু হয়েছিল। আর ২ জুলাই–এ, অর্থাৎ এক মাসের মধ্যেই অনলাইন পোর্টালে এর জন্য আবেদনও পাওয়া শুরু হয়েছিল। কোনও প্রকল্পে এই গতি দেশ প্রথমবার দেখেছে। গরীবদের স্বার্থে কোনও প্রকল্প ঘোষণার পর এত দ্রুত কার্যকরী হওয়ার কথা অতীতে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। স্ট্রিট ভেন্ডারদের জন্য কোনও গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদানের এই ধরনের প্রকল্প তো স্বাধীনতার পর প্রথমবার চালু হয়েছে। আজ দেশের সরকার আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের শ্রমকে সম্মান জানাচ্ছে। আজ দেশ সামাজিক মেলবন্ধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে আপনাদের অবদানকেও চিহ্নিত করছে।

 

বন্ধুগণ,

 

এই প্রকল্পে গোড়া থেকেই এদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে যাতে আমাদের ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের পাশে ব্যবসা করা ভাই–বোনেদের কোনরকম সমস্যা না হয়। গোড়া থেকেই কিছু মানুষ এজন্য সমস্যায় পড়েছেন কারণ, ঋণ দেওয়ার জন্য কোন কোন কাগজ সঙ্গে দিতে হবে, কী গ্যারান্টি দিতে হবে, এগুলির পরোয়া না করেই মানুষ ঋণ পাচ্ছেন। সেজন্য এটা সুনিশ্চিত করা হয়েছে যে গরীবদের জন্য রচনা করা অন্যান্য প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পতেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। কোনও কাগজের দরকার নেই, কোনও গ্যারান্টারেরও প্রয়োজন নেই। কোনও দালালের দরকার নেই, আর বারবার কোনও সরকারি দপ্তরে তদ্বির করার কোনও প্রয়োজন নেই। দরখাস্ত আপানারা নিজেরাও অনলাইনে আপলোড করতে পারেন। এর পরিণাম আজ এটা দাঁড়িয়েছে যে কোনও ঠেলাওয়ালা, রেললাইনের পাশে ব্যবসা করা কোনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা স্ট্রিট ভেন্ডারদের নিজেদের কাজ আবার শুরু করতে অন্য কারোর কাছে হাত পাতার প্রয়োজন হয়নি। ব্যাঙ্ক নিজে এসে তাঁদেরকে ঋণ দিয়ে যাচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

 

উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিতে এই স্ট্রিট ভেন্ডারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এত বড় জনসংখ্যা, এত বড় রাজ্য, কিন্তু ঠেলাওয়ালা, রেললাইনের দু'পাশে ব্যবসা করা ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক মানুষ নিজেদের শহরে, নিজেদের গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজের পরিবারের জন্যও কিছু না কিছু রোজগার করতে পারছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে আগে যাঁরা রোজগারের প্রয়োজনে অন্য রাজ্যে চলে যেতেন, তাঁদের সংখ্যা কম করার ক্ষেত্রে এই ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু'পাশের ব্যবসার সাফল্যের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য পিএম স্বনিধি যোজনার দ্বারা উপকৃত মানুষদের সংখ্যার ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ আজ সারা দেশে এক নম্বরে রয়েছে। শহুরে স্ট্রিট ভেন্ডারদের সবচাইতে বেশি আবেদনপত্র উত্তরপ্রদেশ থেকেই এসেছে। দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ লক্ষ স্বনিধি যোজনার ঋণের আবেদন জমা পড়েছে। আর ১২ লক্ষেরও বেশি আবেদন ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে ৬.৫ লক্ষেরও বেশিও আবেদনপত্র শুধু উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে। সেগুলির মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার আবেদনপত্র মঞ্জুর করে দেওয়া হয়েছে। আমি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে, সরকারের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজিকে এবং তাঁর টিমকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই ঠেলাওয়ালা, রেললাইনের পাশে ব্যবসা করা খুদে ব্যবসায়ীদের জন্য যে তৎপরতায় ঋণ প্রদানের অভিযান তাঁরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। আমাকে বলা হয়েছে যে এখন উত্তরপ্রদেশে স্বনিধি যোজনার ঋণের চুক্তিকে স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে এই করোনার সঙ্কটকালে ৬ লক্ষ ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু'পাশে কর্মরত খুদে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আমি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

 

বন্ধুগণ,

 

গরীবের নামে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা দেশে এমন একটা আবহ করে রেখেছেন যে গরীবদের টাকা দিলে তাঁরা তো টাকা ফেরত দেবে না। নিজেরা যুগ যুগ ধরে দুর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং কমিশনখোরী করে যাঁরা এতকাল ক্ষমতায় থেকেছেন, তাঁরা এখন বেইমানির সমস্ত দায় গরীবদের মাথায় চাপানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি আগেও বলেছি, আর আজ পুনরাবৃত্তি করছি, আমাদের দেশের গরীবরা সততা আর আত্মসম্মানের সঙ্গে কখনই সমঝোতা করেন না। পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে গরীবরা আরেকবার এই সত্যিটাকে প্রমাণ করে দিয়েছেন, দেশের সামনে নিজেদের সততার উদাহরণ পেশ করেছেন। আজ দেশে স্ট্রিট ভেন্ডারদের স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আর অধিকাংশই নিজেদের ঋণ–শোধের কিস্তি ঠিক সময়ে ফেরত দিচ্ছেন। আমাদের উত্তরপ্রদেশের স্ট্রিট ভেন্ডাররাও পরিশ্রম করে রোজগার করছেন আর সেই রোজগারের লভ্যাংশ থেকে ঋণের কিস্তি মেটাচ্ছেন। এটা আমাদের গরীবদের ইচ্ছাশক্তি, এটা আমাদের গরীবদের শ্রমশক্তি, এটা আমাদের গরীবদের সততার প্রমাণ।

 

বন্ধুগণ,

 

পিএম স্বনিধি যোজনা সম্পর্কে আপনাদের ব্যাঙ্ক থেকে এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে আগেও সচেতন করা হয়েছে। এখানেও আপনাদের এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে। এভাবে এ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এই প্রকল্প আপনাদের জন্য সহজেই ঋণ পেতে সাহায্য করছে আর যথা সময়ে ঋণের কিস্তি ফেরত দিলে সুদের ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ ছাড়ও পাওয়া যাবে। আর যদি আপনারা ডিজিটাল লেনদেন করেন, তাহলে প্রতি মাসে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক রূপে আপনাদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। সেই লাভও আপনারা পেতে শুরু করবেন। অর্থাৎ, এই দুটো জিনিস করলে দেখবেন যে আপনাদের ঋণ নেওয়ার জন্য সুদ প্রায় দিতেই হচ্ছে না। সুদ ফ্রি হয়ে যাবে এবং দ্বিতীয়বার এর থেকেও বেশি পরিমাণ ঋণ আপনারা পেতে পারবেন। এই টাকা ভবিষ্যতে আপনাদের ব্যবসা বড় করার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে। বন্ধুগণ, আজ আপনাদের জন্য ব্যাঙ্কগুলির দরজা খুলেছে। ব্যাঙ্কগুলি আজ যেভাবে তাদের কর্মচারীদের আপনাদের কাছে পাঠাচ্ছে, এটা এতদিন কল্পনাও করা যেত না। এটা 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস'-এর নীতির, এত বছরের প্রচেষ্টার পরিণাম। এটা তাদের অবিশ্বাসের জবাব যারা গরীবদের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করার ক্ষেত্রে অবিশ্বাস ব্যক্ত করেছিলেন।

 

বন্ধুগণ,

 

দেশে যখন গরীব মানুষদের জন্য জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছিল, তখন অনেকে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন, হাসি–মজা করছিলেন। কিন্তু আজ সেই জন ধন অ্যাকাউন্ট এত বড় বিপদে গরীবদের কাজে লাগছে, গরীবদের রোজগার সুনিশ্চিত করতে কাজে লাগছে। আজ গরীব মানুষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, অর্থনীতির মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এত বড় আন্তর্জাতিক বিপর্যয় – যার সামনে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলি ঝুঁকে পড়েছে। সেই সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের ক্ষেত্রে আজ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অনেক এগিয়ে রয়েছে। আজ আমাদের মা–বোনেরা রান্নার গ্যাস দিয়ে খাবার বানান। লকডাউনের সময়েও তাঁদের কাঠকয়লার ধোঁয়ায় রান্না করতে হয়নি। গরীবদের বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে আবাসন প্রকল্পে সামিল করা হচ্ছে। সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আজ বিমা যোজনাগুলির রক্ষাকবচও গরীবরা পাচ্ছেন। গরীবদের সামগ্রিক উন্নয়ন, তাঁদের জীবন নিয়ে একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টা আজ এই দেশের সঙ্কল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আজ এই অনুষ্ঠানে যত ঠেলাওয়ালা আর রেললাইনের দু'পাশে ব্যবসা করা খুদে ব্যবসায়ীরা, যত শ্রমিক, মজুর, কৃষক বন্ধুরা যুক্ত হয়েছেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে দেশ আপনাদের ব্যবসাকে, আপনাদের ভবিষ্যতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আপনাদের জীবনকে উন্নত ও সহজ করে তোলার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করতে পিছিয়ে থাকবে না।

 

বন্ধুগণ,

 

করোনার বিরুদ্ধে আপনারা যত শক্তিশালী মোকাবিলা করছেন, যত সতর্কতার সঙ্গে আপনারা সুরক্ষার নিয়মগুলি পালন করছেন, সেগুলির জন্য আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের এই সচেতনতার ফলে, এই সাবধানতার ফলে দেশ এই মহামারীকে সম্পূর্ণ রূপে পরাজিত করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা সবাই মিলে দ্রুত আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারব। আর হ্যাঁ, দুই গজের দূরত্ব মানতে হবে, মাস্ক অবশ্যই পরতেহবে – এই মন্ত্র মনে রেখে উৎসবের সময়গুলিতে আমাদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি থাকলে চলবে না। এই শুভকামনা জানিয়ে আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে উৎসবের দিনগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের জীবনে দ্রুত উন্নতি হোক, এটাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Jan Dhan accounts hold Rs 2.75 lakh crore in banks: Official

Media Coverage

Jan Dhan accounts hold Rs 2.75 lakh crore in banks: Official
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles loss of lives in fire mishap in Arpora, Goa
December 07, 2025
Announces ex-gratia from PMNRF

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives in fire mishap in Arpora, Goa. Shri Modi also wished speedy recovery for those injured in the mishap.

The Prime Minister informed that he has spoken to Goa Chief Minister Dr. Pramod Sawant regarding the situation. He stated that the State Government is providing all possible assistance to those affected by the tragedy.

The Prime Minister posted on X;

“The fire mishap in Arpora, Goa is deeply saddening. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. May the injured recover at the earliest. Spoke to Goa CM Dr. Pramod Sawant Ji about the situation. The State Government is providing all possible assistance to those affected.

@DrPramodPSawant”

The Prime Minister also announced an ex-gratia from PMNRF of Rs. 2 lakh to the next of kin of each deceased and Rs. 50,000 for those injured.

The Prime Minister’s Office posted on X;

“An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF will be given to the next of kin of each deceased in the mishap in Arpora, Goa. The injured would be given Rs. 50,000: PM @narendramodi”