Quoteসরকার পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কোল্লাম বাইপাস সেটিরই একটি উদাহরণ: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteঅটলজী যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর বিশ্বাস করতেন। আমরা তাঁর এই পরিকল্পনাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
Quoteযখন আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণ করি, তখন আমাদের লক্ষ্য কেবল শহর ও গ্রামগুলিকে যুক্ত করাই নয়, সেই সঙ্গে, মানুষের প্রত্যাশা ও আনন্দকেও আমরা সামিল করার চেষ্টা করি: প্রধানমন্ত্রী

কেরালার ভাই ও বোনেরা,

 

ঈশ্বরের আপন দেশ সফর করতে পেরে আমি আশীর্বাদধন্য। আস্থামুদিলেকের তীরে অবস্থিত কোল্লামে এসে আমি গত বছরের বিধ্বংসী বন্যা পরবর্তী জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার বিষয়টি উপলব্ধি করছি। তবে, কেরালার পুনর্গঠনে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে।

 

৬৬ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের এই বাইপাস নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ায় আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। এই বাইপাসটি মানুষের যাতায়াতকে আরও সহজ করে তুলবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে আমার সরকারের সরকারের অঙ্গীকার। আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্রে বিশ্বাস করি। অঙ্গীকারের বাস্তবায়নে আমার সরকার বাইপাস নির্মাণের এই প্রকল্পটি ২০১৫-র জানুয়ারিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। আমি আনন্দিত যে, রাজ্য সরকারের অবদান ও সহযোগিতায় আমরা এই প্রকল্পটি কার্যকর উপায়ে সম্পন্ন করেছি। ২০১৪-র মে মাসে আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কেরালার পরিকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। ভারতমালা কর্মসূচির আওতায় মুম্বাই – কন্যাকুমারী করিডর নির্মাণের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। এছাড়াও, একাধিক প্রকল্পের রূপায়ণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

 

দেশে আমরা প্রায়শই দেখি যে, ঘোষণা হওয়ার পর একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পের রূপায়ণ বিভিন্ন কারণে থমকে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের দরুণ খরচ যেমন বাড়ে, তেমনই জনগণের অর্থেরও অপচয় হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জনগণের অর্থ অপচয়ের এ ধরণের সংস্কৃতি আর চলতে দেওয়া হবে না। প্রগতির মাধ্যমে আমরা থমকে থাকা প্রকল্পগুলির রূপায়ণ ত্বরান্বিত করে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি দূরীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

প্রতি মাসের শেষ বুধবার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখতে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সচিবদের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারগুলির মুখ্য সচিবদের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হই।

|

আমি জেনে আশ্চর্য হয়েছি যে, কিছু কিছু প্রকল্প ২০ – ৩০ বছরেরও বেশি পুরনো। কেবল তাই নয়, এই প্রকল্পগুলির রূপায়ণেও যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ও সুযোগ-সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা অপরাধের সামিল। এখনও পর্যন্ত আমি প্রগতি বৈঠকের মাধ্যমে ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ২৫০টিরও বেশি প্রকল্প রূপায়ণের বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি।

 

বন্ধুগণ, অটলজী যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর বিশ্বাস করতেন। আমরা তাঁর এই পরিকল্পনাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছি। জাতীয় মহাসড়ক থেকে গ্রামীণ সড়ক, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সড়ক নির্মাণের গতি বিগত সরকারের তুলনায় এখন দ্বিগুণ হয়েছে।

 

আমরা যখন সরকার গঠন করেছিলাম, তখন কেবল ৫৬ শতাংশ গ্রামীণ জনপদের সঙ্গে একটি মাত্র সড়ক যোগাযোগ ছিল। আজ ৯০ শতাংশেরও বেশি গ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, খুব শীঘ্রই আমরা গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব।

 

সড়ক ক্ষেত্রের মতো আমার সরকার রেল, জলপথ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। বারানসী থেকে হলদিয়া জাতীয় জলপথের পরিবহণ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এ ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থা দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণেও কার্যকর ভূমিকা নেবে। বিগত চার বছরে আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। রেল লাইনের বিদ্যুতায়ন এবং নতুন রেল লাইন স্থাপনের গতি দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে, কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ছে।

 

যখন আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণ করি, তখন আমাদের লক্ষ্য কেবল শহর ও গ্রামগুলিকে যুক্ত করাই নয়, সেই সঙ্গে, মানুষের প্রত্যাশা ও আনন্দকেও আমরা সামিল করার চেষ্টা করি।

 

প্রত্যেক দেশবাসীর মানোন্নয়নই আমার অঙ্গীকার। লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকেও আমি সমান অগ্রাধিকার দিই। আমার সরকার মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার তহবিল মঞ্জুর করেছে।

 

আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় গরিব মানুষের জন্য নগদ বিহীন স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষেরও বেশি রোগী নগদ বিহীন স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পেয়েছেন। সরকার এখনও পর্যন্ত এই খাতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত এই প্রকল্পের রূপায়ণ রাজ্যে আরও ত্বরান্বিত করতে আমি কেরালা সরকারকে অনুরোধ জানাই। রাজ্যবাসীরা যাতে এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন, তার জন্যই এই অনুরোধ।

 

পর্যটন শিল্প কেরালার আর্থিক অগ্রগতির হলমার্ক। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অর্থনীতিতে এই শিল্পের বড় অবদান রয়েছে। আমার সরকার পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে ব্যাপক কাজ করেছে, যার সুফল মিলতে শুরু করেছে। ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত বিশ্ব সংস্থার ২০১৮-র প্রতিবেদনে ভারতকে পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থান দেওয়া হয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রের কাছে এ এক বড় সাফল্য, যা দেশের সমগ্র পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করবে।

 

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সূচকে ভারত ৬৫তম স্থান থেকে ৪০তম স্থানে উঠে এসেছে।

|

ভারতে আগত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২০১৩-র প্রায় ৭০ লক্ষ থেকে ৪২ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-তে প্রায় ১ কোটি হয়েছে। পর্যটন থেকে বিদেশি মুদ্রা আয়ের পরিমাণ ২০১৩-র ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-তে ২৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। প্রকৃত সত্য হ’ল – ভারত ২০১৭-তে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশশীল পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। পর্যটন ক্ষেত্রে ২০১৬-তে ভারতের অগ্রগতির হার ছিল ১৪ শতাংশ। একই সময়ে বিশ্ব পর্যটন ক্ষেত্রের গড় হার ছিল ৭ শতাংশ।

 

ভারতীয় পর্যটন ক্ষেত্রে ই-ভিসার প্রবর্তন এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিশ্বের ১৬৬টি দেশের নাগরিকরা এখন ভারতে আসার ক্ষেত্রে ই-ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন। আমার সরকার পর্যটনস্থল, ঐতিহ্যবাহী সৌধ বা জায়গা এবং ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে মৌলিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দুটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এগুলি হল – স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ।

 

পর্যটন ক্ষেত্রে কেরালার বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে আমরা স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জন্য প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।

 

তিরুবনন্তপুরমে অন্য এক অনুষ্ঠানে আজ আমি শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে এ ধরণেরই একটি প্রকল্পের সূচনা করব। ঈশ্বর পদ্মনাভস্বামীর কাছে আমি কেরালা সহ দেশের অন্যান্য অংশের মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা জানাবো।

 

আমি একটি বিশেষ শব্দবন্ধ ‘কোল্লাম কান্ডাল্লিমভেন্ডা’ শুনেছি, এর অর্থ হ’ল – কোল্লামে কেউ একবার এলে তাঁর বাড়ির কথা মনেই পড়ে না। এখানে এসে আমারও একই অনুভূতি হচ্ছে।

 

কোলাম ও কেরালাবাসীকে তাঁদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এক উন্নত ও সুসংহত কেরালার জন্য আমি প্রার্থনা করি।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
How GeM has transformed India’s public procurement

Media Coverage

How GeM has transformed India’s public procurement
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister lauds the new OCI Portal
May 19, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has lauded the new OCI Portal. "With enhanced features and improved functionality, the new OCI Portal marks a major step forward in boosting citizen friendly digital governance", Shri Modi stated.

Responding to Shri Amit Shah, Minister of Home Affairs of India, the Prime Minister posted on X;

"With enhanced features and improved functionality, the new OCI Portal marks a major step forward in boosting citizen friendly digital governance."