PM Modi dedicates Bansagar Canal Project to the nation, move to provide big boost to irrigation in the region
PM Modi lays foundation stone of the Mirzapur Medical College, inaugurates 100 Jan Aushadhi Kendras
Previous governments left projects incomplete and this led to delay in development: PM Modi
Those shedding crocodile tears for farmers should be asked why they didn’t complete irrigation projects during their tenure: PM Modi

মির্জাপুরে এসে আজ আমি অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছি। জগৎজননী মা বিন্ধবাসিনীর কোলে আপনাদের সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনারা সকলেই অনেকক্ষণ ধরে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের প্রণাম জানাই। এই বিপুল জনসংখ্যা দেখে আমার আস্থা অনেক বেড়ে গেছে যে, মা বিন্ধ্যবাসিনী এবং আপনাদের আশীর্বাদ আমার ওপর বর্ষিত হচ্ছে।

উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, রাজ্যের যশস্বী পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সদা হাস্যময় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য আমার বোন অনুপ্রিয়া, রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ, গর্বপাল সিং, আশুতোষ ট্যান্ডন, রাজেশ আগরওয়াল, সংসদ সদস্য ও বিজেপি-র প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, সাংসদ বীরেন্দ্র সিং, সাংসদ ভাই ভাই ছোটেলাল এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার ভাই ও বোনেরা।

আমি সেই তখন থেকে মঞ্চ থেকে বসে দেখছি দু’দিক থেকেই দলে দলে মানুষ আসছেন, এখনও আসছেন। বিন্ধ্য পর্বত ও ভাগীরথীর মধ্যবর্তী এই গোটা এলাকা দিব্য ও অলৌকিক, শতাব্দীকাল ধরে অপার সম্ভাবনার কেন্দ্র। সেই সম্ভাবনার অন্বেষণ এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হয়ে আজ আপনাদের আশীর্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে আমি যখন সৌর প্রকল্প উদ্বোধন করতে এসেছিলাম, তখন আমার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। তখন আমাদের দু’জনকেই মা বিন্ধ্যবাসিনীর ছবি ও ওড়না দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। সেই অভ্যর্থনায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্র এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে তিনি আমার কাছে মায়ের মহিমা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আর আমার কাছে মায়ের মহিমা জেনে তিনি অবাক হয়ে যান। এভাবেই এই আস্থার পরম্পরা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলকে নিতে হবে।

এই রাজ্যে আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গঠনের পর পূর্বাঞ্চল তথা গোটা উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন কতটা গতি পেয়েছে, তা আজ সবাই দেখতে পাচ্ছে। এই অঞ্চলে গরিব, বঞ্চিত, শোষিত, পীড়িত মানুষের উন্নয়নের যে স্বপ্ন সোনেলাল প্যাটেলের মতো কর্মঠ মানুষেরা দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বিগত দু’দিন ধরে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের জনগণকে এরকম অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প উৎসর্গ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, বারানসীতে নির্মিয়মান পেরিশেবল কার্গো সেন্টার এবং রেলের অসংখ্য প্রকল্প পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নকে অভূতপূর্ব গতি প্রদানের কাজ করবে।

একটু আগেই ঐতিহাসিক বাণসাগর বাঁধ সহ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি সেচ, স্বাস্থ্য এবং সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে মির্জাপুর, সোনভদ্র, ভদৌরি, চন্দৌলি এবং এলাহাবাদ অঞ্চলে কৃষকদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে। কৃষকদের নাম করে পূর্ববর্তী সরকারগুলি সাধারণ মানুষের ভালো না করে শুধু নিজেদের আর পরিবারের সদস্যদের ভালো করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের নামে ভোট চেয়ে, দলিত বা পিছিয়ে পড়া মানুষের নামে ভোট চেয়ে তাঁদেরই ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা নিজেদের পারিবারিক সিন্দুক ভরা ছাড়া আর কোনও কাজ করেননি। অথচ এখন দেখুন, এতদিন যাঁরা পরস্পরের মুখদর্শন করতেন না, তাঁরা সবাই একত্রিত হয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা শুধুই আমার নাম জপ করেন – মোদী মোদী মোদী। এই সকল পরিবারবাদী দলগুলি আপনাদের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। তাঁরা আপনাদের ক্ষমতায়ন চান না। কারণ, আপনাদের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হলে তাঁদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।

বন্ধুগণ, প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই বাণসাগর প্রকল্প শুধু মির্জাপুর নয়, এলাহবাদ সহ গোটা অঞ্চলে প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেবে। এই প্রকল্প আগে সম্পূর্ণ হলে দু’দশক আগে থেকেই আপনারা উপকৃত হতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭৮ সালে শিলান্যাস হওয়া এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবে শুরু হতেই ২০ বছর লেগে যায়। তারপরও একের পর এক সরকার ক্ষমতায় আসে কিন্তু জনগণ প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু পান না।

২০১৪ সালে আপনারা আমাদের সেবার সুযোগ দিলে আমরা ঝুলে থাকার সমস্ত জনকল্যাণকারী প্রকল্প খুঁজে বের করি। লালফিতের ফাঁসে হারিয়ে যাওয়া এই বাণসাগর প্রকল্পকে তখন আমরা প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঁচাই যোজনার সঙ্গে যুক্ত করি এবং একে সম্পূর্ণ করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করি। কিন্তু শুরুর দিকে রাজ্যে ভিন্ন মতাবলম্বী সরকার থাকায় কাজে তেমন গতি আসছিল না। কিন্তু বছর খানেক আগে আপনারা আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় আনায় এই প্রকল্পের কাজেও গতি আসে। তার পরিণামস্বরূপ, আজ বাণসাগরের এই অমৃত আপনাদের সকলের জীবনে সৌভাগ্য এনে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, বাণসাগর ছাড়াও এরকম যুগ সুগ ধরে অসম্পূর্ণ পড়ে থাকা ‘সরজুনগর রাষ্ট্রীয় পরিযোজনা’ এবং ‘মধ্য গঙ্গাসাগর পরিযোজনা’র কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ, এই বাণসাগর প্রকল্প ঠিক সময়ে চালু হলে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার বাজেটেই সম্পূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু ৪০ বছর পর এটি সম্পূর্ণ করতে আমাদের খরচ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা অর্থ এভাবে অপচয় করার দায় পূর্ববর্তী সরকারগুলিকে নিতে হবে। সারা ভারতে এরকম অসংখ্য প্রকল্প তাঁরা অসম্পূর্ণ ছেড়ে গেছেন।

ভাই ও বোনেরা, আজ এখানে যে কৃষকেরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমার কিছু আবদার রয়েছে। এই মা বিন্ধবাসিনীর মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের একটি প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে আপনাদের কাছে যে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, আমাকে কথা দিন সেই জল আপনারা নষ্ট হতে দেবেন না। স্প্রিঙ্কলার সেচের মাধ্যমে এর প্রত্যেক জলবিন্দুকে আপনারা কাজে লাগাবেন। এতে আপনাদের টাকা বাঁচবে, জল সাশ্রয় হবে এবং কম পরিশ্রমে অধিক ফসল উদ্বোধন করতে পারবেন। যদি তা করতে পারেন, এই সেচখালের মাধ্যমে যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে জল পৌঁছবে, তা থেকে আরও ৭৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের জল পেতে পারে। তারমানে, আপনারা আমাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বিগুণ সংখ্যক কৃষক উপকৃত হবেন। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। সরকার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে ভর্তুকি দেয়। আপনারা সেইও ভর্তুকির সুবিধাও গ্রহণ করুন।

আমার প্রিয় কৃষক ভাই ও বোনেরা, যাঁরা আপনাদের জন্য কুমীরের কান্না কাঁদতেন, তাঁরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেননি। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন ও ফটো ঠিকই ছাপাতেন। কিন্তু কৃষকরা কিছু পাননি। অনেক বছর আগেই ফসল উৎপাদনে মোট খরচের দেড় গুণ সহায়ক মূল্য প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের নামে রাজনীতি করা নেতাদের এতো সময় কোথায়! আমরা দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটি করেছি। আপনাদের প্রধান সেবক হিসাবে দেশের গ্রাম, গরিব, কৃষকদের সামনে মাথা নত করে বলছি, আমরাও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেড় গুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং আমরা তা করে দেখিয়েছি। সম্প্রতি সরকার কৃষকদের প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে খরিফ চাষে ১৪টি ফসলে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। ধান, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, অড়হর, মুগ, সূর্যমুখী, সয়াবীন, তিল ইত্যাদির সমর্থন মূল্য ২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিনিয়োগ মূল্যের দ্বিগুণ সমর্থন মূল্য পান।

ভাই ও বোনেরা, এই সিদ্ধান্তের ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কৃষকেরাও অনেক লাভবান হবেন। ১ ক্যুইন্টাল ধানে এবার ২০০ টাকা বেশি পাবেন। ১ ক্যুইন্টাল ধান উৎপাদনে আপনাদের খরচ হয় ১,১০০-১,২০০ টাকা, ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য স্থির হয়েছে ১,৭৫০ টাকা। এর মানে সরাসরি ৫০ শতাংশ লাভ হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর উত্তর প্রদেশে চার গুণ ধান ক্রয় সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সেজন্য আমি আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই।

অড়হরের সহায়ক মূল্য ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রায় ৬৫ শতাংশ লাভ সুনিশ্চিত। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার দেশের কৃষকদের ছোট ছোট সমস্যা বুঝে নিয়ে সেগুলি দূর করার জন্য দিন-রাত কাজ করছে। বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত কৃষককে সাহায্য করে তাঁদের আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। আগে আপনাদের ইউরিয়া সংগ্রহ করার জন্য পুলিশের লাঠি খেতে হ’ত। কালো বাজার থেকে ইউরিয়া কিনতে হ’ত। গত চার বছরে আপনাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতায় আমরা এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে এসেছি।

ভাই ও বোনেরা, আমরা ঠিক করেছি যে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।সরকারের পুরনো নীতি বদলে, সমস্ত সমস্যা নিরসন করে এগিয়ে যেতে হবে। যেমন – আমরা বাঁশের বৈজ্ঞানিক প্রজাতি অনুসারে ঘাস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন প্রণয়ন করেছি। ফলে আগে অবৈজ্ঞানিকভাবে বাঁশকে গাছ মনে করায় তার চাষ ও বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের যে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত, তা দূর হয়েছে। এখনও দেশে হাজার কোটি টাকার বাঁশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এখন আমার দেশের চাষিরাই বেশি করে বাঁশের চাষ করে এই বিরাট পরিমাণ টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। ক্ষেতের আলে কাটা তার না লাগিয়ে বাঁশ চাষ করলে ক্ষেতের সীমানা যেমন সুরক্ষিত থাকবে, তেমনই কৃষকের আমদানিও বৃদ্ধি পাবে। আমরা যখন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছি, অনেকেই তখন তা নিয়ে ঠাট্টা- বিদ্রুপ করেছেন, নানারকম নিরাশাব্যঞ্জক কথা বলেছেন, একটা হতাশার পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্যস্থির রেখে এগিয়ে চলেছি। দেশের কৃষকদের ওপর আমার ভরসা ছিল। আমাদের দেশের কৃষকদের সামনে কোনও লক্ষ্যস্থির করে দিয়ে, প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে, পরিবর্তন আনতে পারলে তাঁরা ঝুঁকি নিতে, পরিশ্রম করতে এবং পরিণাম আনতে প্রস্তুত; আগেও তাঁরা এটা করে দেখিয়েছেন। আমরা কিন্তু আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমরা মূলতঃ চারটে বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। প্রথমতঃ–কৃষকের বিনিয়োগ ও কাঁচামালের প্রয়োজন হ্রাস করা। দ্বিতীয়তঃ- উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পাওয়া। তৃতীয়তঃ – উৎপাদিত ফসলের অপচয় রোধ, আর চতুর্থতঃ – কৃষকের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা গড়ে তোলা! আপনাদের জীবন সুগম করে তুলতে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সুলভ করতে এখানে বেশ কিছু সেতু উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সৌভাগ্যও আমার হয়েছে। চুনার সেতু উদ্বোধনের পর চুনার ও বারানসীর মধ্যে দূরত্ব অনেক কমে গেছে। আমাকে এটাও বলা হয়েছে যে, বর্ষার সময়ে এখানকার হাজার হাজার মানুষ দেশের বাকি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এই নতুন সেতু তাঁদের এই সমস্যা দূর করবে।

ভাই ও বোনেরা, সস্তা ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেশের দরিদ্রতম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এখানে নির্মীয়মান নতুন মেডিকেল কলেজ, মির্জাপুর ছাড়াও সোনভদ্র, ভদোহি, চন্দৌলি এবং এলাহবাদের জনগণের উপকারে লাগবে। এছাড়া, এখানকার জেলা হাসপাতাল ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হবে। ফলে, কঠিন রোগের ক্ষেত্রেও চিকিৎসার জন্য আমাদের দূরে যেতে হবে না। আজ এই অনুষ্ঠানে গোটা উত্তর প্রদেশে ১০০টিরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র উদ্বোধন হ’ল। এই জনঔষধি কেন্দ্রগুলি গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জীবনে আশার আলো দেখাবে। এই কেন্দ্রগুলিতে ৭০০রও বেশি ওষুধ এবং ১৫০টিরও বেশি শল্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন উপকরণ সুলভে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই সারা দেশে এরকম প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনঔষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৮০০-রও বেশি ওষুধকে মূল্য নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। হৃদ রোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্টেন্টের মূল্য এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনকে সুলভ করা হয়েছে। ফলে, যে গরিব মানুষের মাসে হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়, তিনি এখন সেই ওষুধ ২৫০-৩০০ টাকায় পাবেন। যাঁদের বাড়িতে বয়স্ক মানুষরা রয়েছেন, তাঁদের মাসে ১০০০-৫০০০ টাকার ওষুধ কিনতে হয়। সেই পরিবারগুলির কত টাকা সাশ্রয় হবে একবার ভাবুন। এই কাজ আগের সরকারও করতে পারত। কিন্তু তাদের জন্য দল, পরিবার এবং ক্ষমতাই অগ্রাধিকার পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা ভাবার সময় তাঁদের ছিল না।

বন্ধুগণ, আজকাল অনেকের জীবনে ডায়লিসিসের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে। এই সমস্যা সমাধানে আমরা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় ডায়ালিসিস কর্মসূচি চালু করেছি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশের প্রত্যেক জেলায় ডায়ালিসিস কেন্দ্র গড়ে তুলছি। ইতিমধ্যেই দেশে প্রায় ২৫ লক্ষ ডায়ালিসিস সেশন গরিব, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক সেশনে গরিবদের ১,৫০০-২,৫০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এই কিডনী সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে স্বচ্ছ ভারত মিশন অভিযান কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী যে গ্রামগুলিতে শৌচালয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানকার বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের কিডনী সংক্রান্ত রোগ কমেছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও প্রতিটি পরিবারে চিকিৎসা খরচ বাবদ গড়ে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

বন্ধুগণ, দারিদ্র্য ও অসুস্থতার কুচক্রকে বিনাশ করার জন্য সরকার অবিলম্বে একটি বড় প্রকল্প চালু করবে। এই আয়ুষ্মান ভারত’কে অনেকে মজা করে মোদী কেয়ার বলছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার দেশের সকল গরিব পরিবারের যে কোনও সদস্য অসুস্থ হলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা খরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করার ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর দ্বারা দেশের প্রায় ৫০ কোটি গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।

ভাই ও বোনেরা, গরিব, শোষিত, পীড়িত, বঞ্চিত মানুষের প্রতিটি সমস্যা সমাধানে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলার ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। সেজন্য জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মাসে মাত্র ১ টাকা এবং দিনে ৯০ পয়সা কিস্তিতে এই রাজ্যের দেড় কোটিরও বেশি গরিব মানুষের জীবন সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় তিনশো কোটি টাকার বিমারাশি দুর্ভাগ্যতাড়িত পরিবারগুলির হাতে পৌঁছেছে। আমি শুধু উত্তর প্রদেশের ক্তহাই বলছি। আমরা যদি একশো কোটি টাকাও ঘোষণা করতাম তাহলে খবরের কাগজে হেডলাইন হতো। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেইতিনশো কোটি টাকার বিমারাশি দুর্ভাগ্যতাড়িত পরিবারগুলির হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানি কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন গরিবরা রুপে কার্ডের মাধ্যমে বড়লোকদের মতোই এটিএম কাউন্টার ব্যবহার করতে পারছেন।

বন্ধুগণ, আপনাদের মধ্যে যাঁরা এখনও এই প্রকল্পগুলির দ্বারা উপকৃত হননি, তাঁদের অনুরোধ জানাই যে, আপনারা এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত হন। কেউ চান না যে, মা বিন্ধবাসিনীর আশীর্বাদের আপনাদের পরিবারে কোনও সঙ্কট আসুক। কিন্তু আগামীকালের গর্ভে কী রয়েছে – তা কে জানেন! কোনও সঙ্কট যদি সত্যি সত্যি চলে আসে, তাহলে এই প্রকল্পগুলি আপনাদের সঙ্কট মোচনে পাশে দাঁড়াবে। গরিব মানুষের কল্যাণে যে প্রকল্পগুলি সরকার চালু করেছে, যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে, সেগুলি গরিবদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাঁদের জীবনযাত্রার মানেও পরিবর্তন আনছে। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে আমরা দেখেছি যে, গত দু’বছরে ভারতে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ অত্যন্ত দারিদ্র অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এসব খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয় না। টিভিতেও দেখায় না আর খবরের কাগজে ছাপা হলে, তা ভেতরের পাতায় ছোট করে লেখা হয়। কোনও নেতিবাচক খবর হলে অবশ্য সংবাদ মাধ্যম তা নিয়ে এতদিনে সোরগোল ফেলে দিত। আমাদের প্রত্যেক প্রকল্পে পরিণাম এখন স্পষ্ট প্রতীয়মান। যেমন – উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে মহিলাদের শুধুই কাঠ ও কয়লার ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেয়নি, ঐ পরিবারগুলির রোজগার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করেছে। উত্তর প্রদেশেরই ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানি কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়া উত্তর প্রদেশের ১ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যাঙ্ক ঋণ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১৮ লক্ষ মানুষ গৃহ পেয়েছেন, যা এই সকল পরিবারকে দারিদ্র্য সীমার ওপরে আসতে সাহায্য করেছে।

বন্ধুগণ, গরিবের জন্য ওষুধ, কৃষকের জন্য সেচের জল, শিশুদের জন্য লেখাপড়া এবং যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা নতুন ভারতের সংকল্প সিদ্ধ করতে নতুনভাবে কাজ করে চলেছি। আজ আজ আপনাদের মাঝে এসে অনেকগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সৌভাগ্য হ’ল। উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার ও আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকার যেভাবে এক একটি প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মবীরকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি আরেকবার মা বিন্ধ্যবাসিনীর আশীর্বাদে আপনাদের অনুরোধ জানাই যে, এই সেচখালের মাধ্যমে পাওয়া প্রত্যেক বিন্দু জল ব্যবহারের যে প্রতিশ্রুতি আপনারা আমাকে দিয়েছেন, তা সততার সঙ্গে পালন করবেন। এই গরমে আপনারা বিপুল সংখ্যায় এখানে এসে আপনারা আমাদের সকলকে যেভাবে আশীর্বাদ জানিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা সকলে আমার সঙ্গে মুষ্ঠিবদ্ধ করে পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন ভারতমাতা কি জয়। ভারতমাতা কি জয়। ভারতমাতা কি জয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
After year of successes, ISRO set for big leaps

Media Coverage

After year of successes, ISRO set for big leaps
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Gen Z & Gen Alpha will lead India to the goal of a Viksit Bharat: PM Modi
December 26, 2025
Today, we remember the brave Sahibzades, the pride of our nation and they embody India's indomitable courage and the highest ideals of valour: PM
The courage and ideals of Mata Gujri Ji, Sri Guru Gobind Singh Ji and the four Sahibzades continue to give strength to every Indian: PM
India has resolved to break free from the colonial mindset once and for all: PM
As India frees itself from the colonial mindset, its linguistic diversity is emerging as a source of strength: PM
Gen Z & Gen Alpha will lead India to the goal of a Viksit Bharat: PM

केंद्रीय मंत्रिमंडल में मेरे सहयोगी अन्नपूर्णा देवी, सावित्री ठाकुर, रवनीत सिंह, हर्ष मल्होत्रा, दिल्ली सरकार से आए हुए मंत्री महोदय, अन्य महानुभाव, देश के कोने-कोने से यहां उपस्थित सभी अतिथि और प्यारे बच्चों !

आज देश ‘वीर बाल दिवस’ मना रहा है। अभी वंदे मातरम की इतनी सुंदर प्रस्तुति हुई है, आपकी मेहनत नजर आ रही है।

साथियों,

आज हम उन वीर साहिबजादों को याद कर रहे हैं, जो हमारे भारत का गौरव है। जो भारत के अदम्य साहस, शौर्य, वीरता की पराकाष्ठा है। वो वीर साहिबजादे, जिन्होंने उम्र और अवस्था की सीमाओं को तोड़ दिया, जो क्रूर मुगल सल्तनत के सामने ऐसे चट्टान की तरह खड़े हुए कि मजहबी कट्टरता और आतंक का वजूद ही हिल गया। जिस राष्ट्र के पास ऐसा गौरवशाली अतीत हो, जिसकी युवा पीढ़ी को ऐसी प्रेरणाएं विरासत में मिली हों, वो राष्ट्र क्या कुछ नहीं कर सकता।

साथियों,

जब भी 26 दिसंबर का ये दिन आता है, तो मुझे ये तसल्ली होती है कि हमारी सरकार ने साहिबजादों की वीरता से प्रेरित वीर बाल दिवस मनाना शुरू किया। बीते 4 वर्षों में वीर बाल दिवस की नई परंपरा ने साहिबजादों की प्रेरणाओं को नई पीढ़ी तक पहुंचाया है। वीर बाल दिवस ने साहसी और प्रतिभावान युवाओं के निर्माण के लिए एक मंच भी तैयार किया है। हर साल जो बच्चे अलग-अलग क्षेत्रों में देश के लिए कुछ कर दिखाते हैं, उन्हें प्रधानमंत्री राष्ट्रीय बाल पुरस्कार से सम्मानित किया जाता है। इस बार भी, देश के अलग-अलग हिस्सों से आए 20 बच्चों को ये पुरस्कार दिए गए हैं। ये सब हमारे बीच में हैं, अभी मुझे उनसे काफी गप्पे-गोष्टि करने का मौका मिला। और इनमें से किसी ने असाधारण बहादुरी दिखाई है, किसी ने सामाजिक सेवा और पर्यावरण के क्षेत्र में सराहनीय काम किया है। इनमें से कुछ विज्ञान और टेक्नोलॉजी में कुछ इनोवेट किया है, तो कई युवा साथी खेल, कला और संस्कृति के क्षेत्र में योगदान दे रहे हैं। मैं इन पुरस्कार विजेताओं से कहूंगा, आपका ये सम्मान आपके लिए तो है ही, ये आपके माता-पिता का, आपके टीचर्स और मेंटर्स का, उनकी मेहनत का भी सम्मान है। मैं पुरस्कार विजेताओं को, और उनके परिवारजनों को उज्ज्वल भविष्य के लिए अनेक-अनेक शुभकामनाएं देता हूं।

साथियों,

वीर बाल दिवस का ये दिन भावना और श्रद्धा से भरा दिन है। साहिबजादा अजीत सिंह जी, साहिबजादा जुझार सिंह जी, साहिबजादा जोरावर सिंह जी, और साहिबजादा फतेह सिंह जी, छोटी सी उम्र में इन्हें उस समय की सबसे बड़ी सत्ता से टकराना पड़ा। वो लड़ाई भारत के मूल विचारों और मजहबी कट्टरता के बीच थी, वो लड़ाई सत्य बनाम असत्य की थी। उस लड़ाई के एक ओर दशम गुरु श्रीगुरु गोविंद सिंह जी थे, दूसरी ओर क्रूर औरंगजेब की हुकूमत थी। हमारे साहिबजादे उस समय उम्र में छोटे ही थे। लेकिन, औरंगजेब को, उसकी क्रूरता को उससे कोई फर्क नहीं पड़ता। वो जानता था, उसे अगर भारत के लोगों को डराकर उनका धर्मांतरण कराना है, तो इसके लिए उसे हिंदुस्तानियों का मनोबल तोड़ना होगा। और इसलिए उसने साहिबजादों को निशाना बनाया।

लेकिन साथियों,

औरंगजेब और उसके सिपाहसालार भूल गये थे, हमारे गुरु कोई साधारण मनुष्य नहीं थे, वो तप, त्याग का साक्षात अवतार थे। वीर साहिबजादों को वही विरासत उनसे मिली थी। इसीलिए, भले ही पूरी मुगलिया बादशाहत पीछे लग गई, लेकिन वो चारों में से एक भी साहिबजादे को डिगा नहीं पाये। साहिबजादा अजीत सिंह जी के शब्द आज भी उनके हौसले की कहानी कहते हैं- नाम का अजीत हूं, जीता ना जाऊंगा, जीता भी गया, तो जीता ना आउंगा !

साथियों,

कुछ दिन पूर्व ही हमने श्रीगुरू तेग बहादुर जी को, उनके तीन सौ पचासवें बलिदान दिवस पर याद किया। उस दिन कुरुक्षेत्र में एक विशेष कार्यक्रम भी हुआ था। जिन साहिबजादों के पास श्री गुरू तेग बहादुर जी के बलिदान की प्रेरणा हो, वो मुगल अत्याचारों से डर जाएंगे, ये सोचना ही गलत था।

साथियों,

माता गुजरी, श्री गुरु गोबिंद सिंह जी और चारों साहिबजादों की वीरता और आदर्श, आज भी हर भारतीय को ताकत देते हैं, हमारे लिए प्रेरणा है। साहिबजादों के बलिदान की गाथा देश में जन-जन की जुबान पर होनी चाहिए थी। लेकिन दुर्भाग्य से आजादी के बाद भी देश में गुलामी की मानसिकता हावी रही। जिस गुलामी की मानसिकता का बीज अंग्रेज राजनेता मैकाले ने 1835 में बोया था, उस मानसिकता से देश को आजादी के बाद भी मुक्त नहीं होने दिया गया। इसलिए आजादी के बाद भी देश में दशकों तक ऐसी सच्चाइयों को दबाने की कोशिश की गई।

लेकिन साथियों,

अब भारत ने तय किया है कि गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पानी ही होगी। अब हम भारतीयों के बलिदान, हमारे शौर्य की स्मृतियां दबेंगी नहीं। अब देश के नायक-नायिकाओं को हाशिये पर नहीं रखा जाएगा। और इसलिए वीर बाल दिवस को हम पूरे मनोभाव से मना रहे हैं। और हम इतने पर ही नहीं रुके हैं, मैकाले ने जो साजिश रची थी, साल 2035 में उसके 200 साल अब थोड़े समय में हो जाएंगे। इसमें अभी 10 साल का समय बाकी है। इन्हीं 10 सालों में हम देश को पूरी तरह गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहेंगे। 140 करोड़ देशवासियों का ये संकल्प होना चाहिए। क्योंकि देश जब इस गुलामी की मानसिकता से मुक्त होगा, उतना ही स्वदेशी का अभिमान करेगा, उतना ही आत्मनिर्भरता की दिशा में आगे बढ़ेगा।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता से मुक्ति के इस अभियान की एक झलक कुछ दिन पहले हमारे देश की पार्लियामेंट में भी दिखाई दी है। अभी संसद के शीतकालीन सत्र में सांसदों ने हिन्दी और अंग्रेजी के अलावा, दूसरी भारतीय भाषाओं में लगभग 160 भाषण दिये। करीब 50 भाषण तमिल में हुए, 40 से ज्यादा भाषण मराठी में हुए, करीब 25 भाषण बांग्ला में हुए। दुनिया की किसी भी संसद में ऐसा दृश्य मुश्किल है। ये हम सबके लिए गौरव की बात है। भारत की इस language diversity को भी मैकाले ने कुचलने का प्रयास किया था। अब गुलामी की मानसिकता से मुक्त होते हमारे देश में भाषाई विविधता हमारी ताकत बन रही है।

साथियों,

यहां मेरा युवा भारत संगठन से जुड़े इतने सारे युवा यहां उपस्थित हैं। एक तरह से आप सभी जेन जी हैं, जेन अल्फा भी हैं। आपकी जनरेशन ही भारत को विकसित भारत के लक्ष्य तक ले जाएगी। मैं जेन जी की योग्यता, आपका आत्मविश्वास देखता हूं, समझता हूं, और इसलिए आप पर बहुत भरोसा करता हूं। हमारे यहां कहा गया है, बालादपि ग्रहीतव्यं युक्तमुक्तं मनीषिभिः। अर्थात्, अगर छोटा बच्चा भी कोई बुद्धिमानी की बात करे, तो उसे ग्रहण करना चाहिए। यानी, उम्र से कोई छोटा नहीं होता, और कोई बड़ा भी नहीं होता। आप बड़े बनते हैं, अपने कामों और उपलब्धियों से। आप कम उम्र में भी ऐसे काम कर सकते हैं कि बाकी लोग आपसे प्रेरणा लें। आपने ये करके दिखाया है। लेकिन, इन उपलब्धियों को अभी केवल एक शुरुआत के तौर पर देखना है। अभी आपको बहुत आगे बढ़ना है। अभी सपनों को आसमान तक लेकर जाना है। और आप भाग्यशाली हैं, आप जिस पीढ़ी में जन्में हैं, आपकी प्रतिभा के साथ देश मजबूती से खड़ा है। पहले युवा सपने देखने से भी डरते थे, क्योंकि पुरानी व्यवस्थाओं में ये माहौल बन गया था कि कुछ अच्छा हो ही नहीं सकता। चारों तरफ निराशा, निराशा का वातावरण बना दिया गया था। उन लोगों को यहां तक लगने लगा कि भई मेहनत करके क्या फायदा है? लेकिन, आज देश टैलेंट को, प्रतिभा को खोजता है, उन्हें मंच देता है। उनके सपनों के साथ 140 करोड़ देशवासियों की ताकत लग जाती है।

डिजिटल इंडिया की सफलता के कारण आपके पास इंटरनेट की ताकत है, आपके पास सीखने के संसाधन हैं। जो साइंस, टेक और स्टार्टअप वर्ल्ड में जाना चाहते हैं, उनके लिए स्टार्टअप इंडिया जैसे मिशन हैं। जो स्पोर्ट्स में आगे बढ़ रहे हैं, उनके लिए खेलो इंडिया मिशन है। अभी दो ही दिन पहले मैंने सांसद खेल महोत्सव में भी हिस्सा लिया। ऐसे तमाम मंच आपको आगे बढ़ाने के लिए हैं। आपको बस focused रहना है। और इसके लिए जरूरी है कि आप short term popularity की चमक-दमक में न फंसे। ये तब होगा, जब आपकी सोच स्पष्ट होगी, जब आपके सिद्धान्त स्पष्ट होंगे। और इसलिए, आपको अपने आदर्शों से सीखना है, देश की महान विभूतियों से सीखना है। आपको अपनी सफलता को केवल अपने तक सीमित नहीं मानना है। आपका लक्ष्य होना चाहिए, आपकी सफलता देश की सफलता बननी चाहिए।

साथियों,

आज युवाओं के सशक्तिकरण को ध्यान में रखकर नई पॉलिसी बनाई जा रही हैं। युवाओं को राष्ट्र-निर्माण के केंद्र में रखा गया है। ‘मेरा युवा भारत’, ऐसे प्लेटफॉर्म के माध्यम से युवाओं को जोड़ने, उन्हें अवसर देने और उनमें लीडरशिप स्किल विकसित कराने का प्रयास किया जा रहा है। स्पेस इकोनॉमी को आगे बढ़ाना, खेलों को प्रोत्साहित करना, फिनटेक और मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को विस्तार देना, स्किल डेवलपमेंट और इंटर्नशिप के अवसर तैयार करना, इस तरह के हर प्रयास के केंद्र में मेरे युवा साथी ही हैं। हर सेक्टर में युवाओं के लिए नए अवसर खुल रहे हैं।

साथियों,

आज भारत के सामने परिस्थितियां अभूतपूर्व हैं। आज भारत दुनिया के सबसे युवा देशों में से एक है। आने वाले पच्चीस वर्ष भारत की दिशा तय करने वाले हैं। आज़ादी के बाद शायद पहली बार ऐसा हुआ है कि भारत की क्षमताएं, भारत की आकांक्षाएं और भारत से दुनिया की अपेक्षाएं, तीनों एक साथ मिल रही हैं। आज का युवा ऐसे समय में बड़ा हो रहा है, जब अवसर पहले से कहीं ज्यादा हैं। हम भारत के युवाओं की प्रतिभा, आत्मविश्वास और नेतृत्व क्षमता को बेहतर मौके देने के लिए प्रतिबद्ध हैं।

मेरे युवा साथियों,

विकसित भारत की मजबूत नींव के लिए भारत की एजुकेशन पॉलिसी में भी अहम Reforms किए गए हैं। नई राष्ट्रीय शिक्षा नीति का फोकस 21वीं सदी में लर्निंग के नए तौर-तरीकों पर है। आज फोकस प्रैक्टिकल लर्निंग पर है, बच्चों में रटने के बजाय सोचने की आदत विकसित हो, उनमें सवाल पूछने का साहस और समाधान खोजने की क्षमता आए, पहली बार इस दिशा में सार्थक प्रयास हो रहे हैं। Multidisciplinary studies, skill-based learning, स्पोर्ट्स को बढ़ावा और टेक्नोलाजी का उपयोग, इनसे स्टूडेंट्स को बहुत मदद मिल रही है। आज देशभर में अटल टिंकरिंग लैब्स में लाखों बच्चे इनोवेशन और रिसर्च से जुड़ रहे हैं। स्कूलों में ही बच्चे रोबोटिक्स, AI, सस्टेनेबिलिटी और डिजाइन थिंकिंग से परिचित हो रहे हैं। इन सारे प्रयासों के साथ ही राष्ट्रीय शिक्षा नीति में, मातृभाषा में पढ़ाई का विकल्प दिया गया है। इससे बच्चों को पढ़ाई में आसानी हो रही है, विषयों को समझने में आसानी हो रही है।

साथियों,

वीर साहिबजादों ने ये नहीं देखा था कि रास्ता कितना कठिन है। उन्होंने ये देखा था कि रास्ता सही है या नहीं है। आज उसी भावना की आवश्यकता है। मैं भारत के युवाओं के, और मैं भारत के युवाओं से यही अपेक्षा करता हूं, बड़े सपने देखें, कड़ी मेहनत करें, और अपने आत्मविश्वास को कभी भी कमजोर न पड़ने दें। भारत का भविष्य उसके बच्चों और युवाओं के भविष्य से ही उज्ज्वल होगा। उनका साहस, उनकी प्रतिभा और उनका समर्पण राष्ट्र की प्रगति को दिशा देगा। इसी विश्वास के साथ, इस जिम्मेदारी के साथ और इसी निरंतर गति के साथ, भारत अपने भविष्य की ओर आगे बढ़ता रहेगा। मैं एक बार फिर वीर साहिबजादों को श्रद्धापूर्वक नमन करता हूं। सभी पुरस्कार विजेताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं। आप सभी का बहुत-बहुत धन्यवाद।