Innovation, integrity and inclusion have emerged as key mantras in the field of management: PM
Focus is now on collaborative, innovative and transformative management, says PM
Technology management is as important as human management: PM Modi

জয় জগন্নাথ!

জয় মা সম্বলেশ্বরী!

ওড়িশার ভাই ও বোনেদের আমার প্রণাম

 

নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গলময় হোক।

ওড়িশার মাননীয় রাজ্যপাল প্রফেসর গণেশিলালজি, মুখ্যমন্ত্রী আমার বন্ধু, শ্রী নবীন পট্টনায়েকজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী, ডঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কজি, ওড়িশার সুপুত্র ভাই ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, শ্রী প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিজি, ওড়িশা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কগণ, আইআইএম সম্বলপুরের চেয়ারপার্সন শ্রীমতী অরুন্ধতি ভট্টাচার্যজি, ডায়রেক্টর প্রফেসর মহাদেব জয়সওয়ালজি, অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং আমার সমস্ত নবীন বন্ধুরা!

আজকের এই আইআইএম ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ওড়িশার নবীন সামর্থ্যকে নতুন শক্তি জোগাবে। আইআইএম, সম্বলপুরের স্থায়ী ক্যাম্পাস ওড়িশার মহান সংস্কৃতি এবং সম্পদের পরিচয়ের পাশাপাশি ওড়িশাকে ম্যানেজমেন্টের বিশ্বে নতুন পরিচয় প্রদান করবে। নতুন বছরের শুরুতেই এই শুভ আরম্ভ আমাদের সবার আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

বিগত দশকে দেশ একটি বিশেষ ঝোঁক দেখেছে। বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক বহুজাতিক সংস্থা ভারতে এসেছে আর এই মাটিতে তারা সমৃদ্ধ হয়েছে, অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু এই দশক এবং এই শতাব্দী ভারতেই অনেক নতুন নতুন বহুজাতিক সংস্থা গড়ে তোলার দশক এবং শতাব্দী হিসেবে প্রমাণিত হবে। ভারতের সামর্থ্য বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সময় এসেছে। আজকের স্টার্ট-আপগুলিই আগামীকাল বহুজাতিক সংস্থা হয়ে উঠবে। আর এই স্টার্ট-আপগুলি অধিকাংশই কোন শহরগুলিতে গড়ে উঠেছে? যে শহরগুলিকে আমরা সাধারণ ভাষায় টিয়ার-২ টিয়ার-৩ শহর বলি। আজ স্টার্ট-আপগুলির প্রভাব সেই জায়গাগুলিতে দেখা যাচ্ছে। এই স্টার্ট-আপগুলি, ভারতীয় নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের প্রতিষ্ঠিত নতুন কোম্পানিগুলিকে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হলে তাঁদের অনেক ভালো ভালো সক্ষম ম্যানেজার চাই। দেশের নতুন নতুন ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বেরিয়ে আসা ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞরা ভারতের কোম্পানিগুলিকে নতুন উচ্চতা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবেন।

 

বন্ধুগণ,

 

আমি কোথাও পড়েছিলাম যে এ বছর কোভিড সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও ভারত বিগত বছরগুলির তুলনায় অনেক বেশি ‘ইউনিকর্ন' দিয়েছে। আজ কৃষি থেকে শুরু করে মহাকাশ ক্ষেত্র পর্যন্ত যে অভূতপূর্ব সংস্কার সাধিত হচ্ছে, তাতে স্টার্ট-আপগুলির জন্য বিকশিত হওয়ার সুযোগ লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনাদের এই নতুন নতুন সম্ভাবনাগুলির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আপনাদের নিজেদের পেশাকে ভারতের আশা এবং অপেক্ষার সঙ্গে জুড়তে হবে। এই নতুন দশকে 'ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া'কে নতুন আন্তর্জাতিক পরিচয় প্রদানের দায়িত্ব আমাদের সকলের ওপর ন্যস্ত। বিশেষভাবে আমাদের নবীন প্রজন্মের ওপর এই দায়িত্ব রয়েছে।

বন্ধুগণ,

 

আইআইএম সম্বলপুরের আরাধ্য মন্ত্র হল –

'নবসর্জনম্‌ শুচিতা সমাবেশত্বম্‌’

অর্থাৎ, উদ্ভাবন, সংহতি এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ! আপনাদের এই মন্ত্রের শক্তি আত্মস্থ করে দেশকে নিজেদের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা দেখাতে হবে। আপনাদের নতুন নতুন সৃষ্টি ও নির্মাণকে প্রোৎসাহিত করতে হবে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার দিকে জোর দিতে হবে। যাঁরা উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় পেছনে পড়ে রয়েছেন, তাঁদেরকেও সঙ্গে নিতে হবে। যে জায়গায় আইআইএম-এর স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে উঠছে, সেখানে আগে থেকেই মেডিকেল ইউনিভার্সিটি রয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি রয়েছে, তিনটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে সৈনিক স্কুল, সিআরপিএফ এবং পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যাঁরা সম্বলপুর সম্পর্কে বেশি জানেন না, তাঁরা এখন কল্পনা করতে পারেন যে আইআইএম-এর মতো নামকরা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পর এই অঞ্চল কত বড় এডুকেশন হাব হয়ে উঠতে চলেছে। সম্বলপুর আইআইএম এবং এই অঞ্চলে পঠনপাঠনরত ছাত্রছাত্রীরা – পেশাদারদের জন্য সবচাইতে বিশেষ সুবিধা হবে যে এই গোটা এলাকাটাই আপনাদের জন্য এক ধরনের ফলিত গবেষণাগারের মতো। যে অঞ্চল প্রাকৃতিক রূপে এত সুন্দর, ওড়িশার গৌরব হিরাকুঁদ বাঁধ আপনাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়। বাঁধের পাশেই দেবরীগড় স্যাঙ্কচ্যুয়ারি সারা দেশের পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র। এর মাঝে সেই পূণ্য স্থানটিও রয়েছে, যেটিকে বীর সুরেন্দ্র সাঁইজি নিজের ডেরা বানিয়েছিলেন। এই এলাকার পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধির জন্য এখানকার ছাত্রছাত্রীদের ভাবনাচিন্তা এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অনেক কাজে লাগতে পারে। এমনিতেই সম্বলপুরী তাঁতশিল্প দেশ-বিদেশে বিখ্যাত। 'বান্ধা ইকত’ ফ্যাব্রিক, এর অভিনব নির্মাণশৈলী, নকশা এবং বুনন অত্যন্ত বিশেষ। এভাবে এই এলাকার হস্তশিল্পের যে কাজ হয়, সিলভার ফিলিগ্রি, পাথরে খোদাই শিল্প, কাঠের কাজ, পিতলশিল্পের কারুকার্য, আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেরাও এক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। আইআইএম-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য সম্বলপুরের ‘লোকাল’ গুলি নিয়ে ‘ভোকাল’ হওয়া – তাঁদের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

 

বন্ধুগণ,

আপনারা এটা খুব ভালোভাবেই জানেন যে সম্বলপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা খনি এবং খনিজ সম্পদের জন্য বিখ্যাত। উঁচুমানের লৌহ আকরিক, বক্সাইট, ক্রোমাইট, ম্যাঙ্গানিজ, কয়লা, চুনা পাথর থেকে শুরু করে সোনা, হীরে, মানিক- সব এখানে পাওয়া যায়। দেশের এই প্রাকৃতিক সম্পদের উন্নত ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে, কিভাবে এই সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়ন হবে, জনগণের উন্নয়ন হবে, তা নিয়েও আপনাদের নতুন নতুন ভাবনা দেশের কাজে লাগবে।

বন্ধুগণ,

আমি আপনাদের এরকম কিছু উদাহরণ দিলাম। ওড়িশার অরণ্যসম্পদ, খনিজ, রঙ্গবতী সঙ্গীত, আদিবাসী শিল্প ও হস্তকলা, স্বভাবকবি গঙ্গাধর মেহেরের কবিতা, ওড়িশায় কী নেই! যখন আপনাদের মধ্যে অনেক বন্ধু সম্বলপুরী তাঁতশিল্প কিংবা কটকের ফিলিগ্রি শিল্পকে আন্তর্জাতিক পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতাকে ব্যবহার করবেন, এখানকার পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবেন, তখন আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের পাশাপাশি উন্নয়নও অনেক গতি পাবে এবং নতুন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে।

বন্ধুগণ,

লোকালকে গ্লোবাল করে তোলার জন্য আপনাদের সবাইকে আইআইএম-এর নবীন বন্ধুদেরকে নতুন এবং উদ্ভাবক সমাধান খুঁজতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের আইআইএমগুলির আত্মনির্ভরতা দেশের বিভিন্ন মিশনে স্থানীয় পণ্য এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাঝে সেতুর কাজ করতে পারে। আপনাদের সবার যে এত বিশাল এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সমৃদ্ধ প্রাক্তনী নেটওয়ার্ক রয়েছে, সেই নেটওয়ার্কও আপনাদের চলার পথে খুব সাহায্য করতে পারে। ২০১৪ সালের আগে আমাদের দেশে মাত্র ১৩টি আইআইএম ছিল। এখন দেশে ২০টি আইআইএম রয়েছে। এত বড় বড় মেধার উৎসগুলি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে অনেক বিস্তার প্রদান করতে পারে।

বন্ধুগণ,

আজ বিশ্বে যেমন অনেক নতুন নতুন সুযোগ রয়েছে, তেমনই ব্যবস্থাপনার দুনিয়ায় অনেক নতুন নতুন সমস্যাও রয়েছে। এই সমস্যাগুলিকে আপনাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে। এখন যেমন অ্যাডিটিভ প্রিন্টিং কিংবা থ্রি-ডি প্রিন্টিং-এর সম্পূর্ণ উৎপাদন অর্থনীতিকেই আমূল বদলে দিচ্ছে! আপনারা হয়তো সম্প্রতি খবরে শুনেছেন, গত মাসে চেন্নাইয়ের একটি কোম্পানি একটি সম্পূর্ণ দোতলা বাড়িকে থ্রি-ডি প্রিন্ট করেছে। এভাবে যখন উৎপাদনের পদ্ধতি পরিবর্তিত হবে, তখন পণ্য পরিবহণ এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আসবে। এভাবে প্রযুক্তি আজ প্রত্যেক ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতাকে দূর করে দিচ্ছে। আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিংশ শতাব্দীর ব্যবসাকে সীমাহীন করে তুলেছে। তেমনই ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা একবিংশ শতাব্দীর ব্যবসা বাণিজ্যকে আমূল পরিবর্তন করে ফেলবে। 'ওয়ার্ক ফ্রম এনিহোয়্যার' অর্থাৎ, যেখানে খুশি বসে কাজ করার মাধ্যমে গোটা বিশ্ব গ্রামে পরিণত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তিত হচ্ছে। ভারতেও এর জন্য বিগত কয়েক মাস ধরে দ্রুতগতিতে সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় সংস্কার হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, শুধু সময়ের সঙ্গে চলা নয়, আমরা সময়ের আগে চলার চেষ্টা করছি।

 

বন্ধুগণ,

যেভাবে কাজের পদ্ধতি বদলাচ্ছে, সেভাবে ব্যবস্থাপনার দক্ষতার চাহিদাও বদলাচ্ছে। এখন 'টপ ডাউন' বা 'টপ হেভি ম্যানেজমেন্ট' বা মাথাভারী ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে সহযোগিতামূলক, উদ্ভাবক এবং পরিবর্তনমুখী ব্যবস্থাপনার সময় এসেছে। এই সহযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনায় সমস্ত কর্মীদের সঙ্গ পাওয়া যেমন জরুরি, তেমনই 'বট্‌স' এবং 'অ্যালগোরিথমস'ও এখন দলের সদস্যদের মতোই আমাদের সঙ্গে থাকবে। সেজন্য আজ যতটা মানব ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন, ততটাই প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনারও প্রয়োজন। আমি আপনাদের কাছে এবং সারা দেশের আইআইএমগুলি থেকে বেরিয়ে আসা ছাত্রছাত্রীদের এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্কুলগুলিকে আরেকটি অনুরোধ জানাব, করোনা সংক্রমণের এই সম্পূর্ণ সময়ে প্রযুক্তি এবং টিমওয়ার্কের ভাবনা নিয়ে দেশ কিভাবে কাজ করেছে, কিভাবে ১৩০ কোটি দেশবাসীর নিরাপত্তার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ উঠিয়েছে, দায়িত্বের সঙ্গে এগিয়ে গেছে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, গণ-অংশীদারিত্বের অভিযান চালিয়েছে – এই সমস্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিৎ, নথি তৈরি হওয়া উচিৎ। ১৩০ কোটির দেশ সময়ের সঙ্গে কিভাবে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, ‘ক্যাপাসিটি অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটি'কে, ধারণক্ষমতা এবং সামর্থ্যকে ভারত অত্যন্ত কম সময়েই সম্প্রসারিত করেছে। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনার অনেক বড় শিক্ষা আছে। কোভিডের সময় দেশ পিপিই কিটের, মাস্কের, ভেন্টিলেটরের স্থায়ী সমাধান বের করতে সফল হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে একটা পরম্পরা তৈরি হয়েছিল যে যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য ‘শর্ট-টার্ম’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করা হত। দেশ এখন সেই ভাবনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে। এখন আমরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন থেকেও এগিয়ে গিয়ে সুদূরপ্রসারী সমাধানের দিকে জোর দিয়েছি। আর এক্ষেত্রেও ব্যবস্থাপনার ছাত্রছাত্রীদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের মধ্যে অরুন্ধতিজি রয়েছেন। দেশের গরীবদের জন্য জন ধন অ্যাকাউন্ট নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা হয়েছে, কিভাবে তা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার ব্যবস্থাপনা কী ছিল – এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার তিনি সাক্ষী ছিলেন, কারণ তিনি সেই সময় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদে আসীন ছিলেন। যে গরীবরা কখনও ব্যাঙ্কের দরজা পর্যন্ত যাননি, এরকম ৪০ কোটিরও বেশি গরীব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এত সহজ ছিল না। আর একথাগুলি আপনাদের এজন্য বলছি কারণ, ব্যবস্থাপনার মানে শুধুই বড় বড় কোম্পানি পরিচালনা করা নয়। প্রকৃত অর্থে ভারতের মতো দেশের জন্য ব্যবস্থাপনার মানে হল অনেক জীবনকে বাঁচানো। আমি আপনাদের আরেকটি উদাহরণ দিতে চাই, আর সেটা এজন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, ওড়িশারই সুপুত্র ভাই ধর্মেন্দ্র প্রধানজি এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে স্বাধীনতার প্রায় ১০ বছর পরই রান্নার গ্যাস এসে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এই রান্নার গ্যাস একটি শৌখিনতায় পরিণত হয়েছিল। ধনী লোকেদের অহঙ্কারের বিষয় ছিল। সাধারণ মানুষকে একটি রান্নার গ্যাস সংযোগের জন্য অনেক চক্কর লাগাতে হত, তবুও তাঁরা সহজে গ্যাস পেতেন না। এমন পরিস্থিতি ছিল ২০১৪ পর্যন্ত। আজ থেকে ছয় বছর আগে পর্যন্ত। দেশে রান্নার গ্যাসের কভারেজ মাত্র ৫৫ শতাংশ ছিল। যখন দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থায়ী সমাধানের ভাবনা না থাকে, তখন এমনই হয়। ৬০ বছরে দেশে রান্নার গ্যাসের কভারেজ ছিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। যদি দেশ সেই গতিতে চলত, তাহলে দেশের সমস্ত পরিবারের রান্নাঘরে রান্নার গ্যাস পৌঁছুতে এই শতাব্দীর অর্ধেক সময় পৌঁছে যেত। ২০১৪ সালে আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ঠিক করেছি যে এর স্থায়ী সমাধান বের করতেই হবে। আপনারা জানেন যে আজ দেশে রান্নার গ্যাসের কভারেজ কত? ৯৮ শতাংশেরও বেশি। আজ এখানে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আপনারা সবাই জানেন যে শুরু করে কিছুটা এগিয়ে যাওয়া খুব সহজ। কিন্তু আসল সমস্যা হয় কভারেজকে ১০০ শতাংশ করে তোলার চিন্তা মাথায় থাকলে।

বন্ধুগণ,

তাহলে প্রশ্ন ওঠে যে আমরা এই সাফল্য কিভাবে পেয়েছি? এটি আপনাদের মতো ব্যবস্থাপনার ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ভালো কেস স্টাডি হয়ে উঠতে পারে।

বন্ধুগণ,

আমরা একদিকে সমস্যাকে রেখেছি, আর অন্যদিকে স্থায়ী সমাধানকে। সমস্যা ছিল নতুন ডিস্ট্রিবিউটার তৈরি করার। আমরা ১০ হাজার নতুন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটার কমিশন করেছি। সমস্যা ছিল বটলিং প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটির। আমরা সারা দেশে নতুন নতুন বটলিং প্ল্যান্ট চালু করেছি, দেশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। সমস্যা ছিল ইমপোর্ট টার্মিনাল ক্যাপাসিটির। আমরা এক্ষেত্রে সংস্কার এনেছি। সমস্যা ছিল পাইপলাইন ক্যাপাসিটির। আমরা এই ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি এবং আজও করছি। সমস্যা ছিল গরীব সুবিধাভোগীদের বেছে নেওয়া। আমরা এই কাজও সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে করেছি। উজ্জ্বলা যোজনা চালু করেছি।

বন্ধুগণ,

স্থায়ী সমাধান প্রদানের এই ইচ্ছাশক্তিরই ফল হল আজ দেশে ২৮ কোটিরও বেশি রান্নার গ্যাস সংযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে ১৪ কোটি গ্যাস সংযোগ ছিল। ভাবুন, ৬০ বছরে ১৪ কোটি গ্যাস সংযোগ, আর ছয় বছরে দেশে আরও ১৪ কোটিরও বেশি সংযোগ আমরা দিয়েছি। এখন মানুষকে আর রান্নার গ্যাসের জন্য ছুটতে হয় না। কোথাও চক্কর কাটতে হয় না। এখানে, এই ওড়িশা রাজ্যেও উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৫০ লক্ষ গরীব পরিবারকে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই গোটা অভিযানের সময় দেশ যে ধারণ ক্ষমতা অর্জন করেছে, তার ফল বহুবিধ। যেমন, ওড়িশার ১৯টি জেলায় সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে।

বন্ধুগণ,

এই উদাহরণগুলি আমি আপনাদেরকে এজন্য দিলাম, যাতে আপনারা দেশের সমস্যাগুলি বুঝতে পারেন, দেশের প্রয়োজনগুলির সঙ্গে নিজেদেরকে জুড়তে পারেন। আর যতটা এভাবে বুঝতে ও জুড়তে পারবেন, আপনারা তত ভালো ম্যানেজার হয়ে উঠতে পারবেন। তত ভালো সমাধানও বের করতে পারবেন। আমি মনে করি, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রয়োজন তাঁরা যেন শুধুই বিশেষজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার না দেন। তাঁদের পরিধি ব্যাপক হওয়া উচিৎ। এতে এখানে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদেরও বড় ভূমিকা নিতে হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে 'ব্রডবেসড, মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি এবং হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ'কে জোর দেওয়া হয়েছে। অত্যধিক পেশাগত শিক্ষায় সমাজে এক ধরণের স্থবিরতাও এসে যায়; তা দূর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেককে মুখ্য ধারায় নিয়ে আসতে চাই। এটাও তো এক ধরনের অন্তর্ভুক্তিকরণ! আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবায়িত করবেন। আপনাদের প্রচেষ্টা, আইআইএম সম্বলপুরের প্রচেষ্টা, আত্মনির্ভর ভারতের অভিযানকে বাস্তবায়িত করবে। এই শুভকামনা রেখে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 নমস্কার।

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism

Media Coverage

Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Congress kept misleading ex-servicemen with false promises of One Rank One Pension: PM Modi in Aurangabad, Bihar
November 07, 2025
Record turnout in first phase shows Bihar has decided to retain the NDA government: PM Modi in Aurangabad rally
'Phir ek baar, NDA sarkar... Bihar mein phir se Sushasan sarkar...': PM Modi in Aurangabad
‘I do what I say’: PM Modi cites Ram Temple, Abrogation of Article 370 and Operation Sindoor as proof of NDA’s commitment

भारत माता की... भारत माता की... भारत माता की...

सूर्य देव के इ पावन भूमि के हम नमन करीत ही! उम्गेश्वरी माता एवं देवकुंड के इ वैभवशाली भूमि पर अपने सब के अभिनन्दन करीत ही !

साथियों,

औरंगाबाद, तप-त्याग और बलिदान की भूमि है। इस मिट्टी ने अनुग्रह बाबू और जगतपति जगदेव जी के रूप में महान स्वतंत्रता सेनानी दिए। औरंगाबाद हो या गयाजी हो...ये पक्के इरादे वाली धरती है। दशरथ मांझी जी...इसी का प्रतीक रहे हैं। मैं इस क्षेत्र की सभी महान विभूतियों को नमन करता हूं।

साथियों,

कल ही बिहार ने पहले चरण का मतदान किया है। और वाकई बिहार के लोगों ने अब तक के सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए हैं। बिहार के इतिहास का अब तक का सबसे अधिक मतदान हुआ है। और इसमें हमारी माताएं-बहने सुबह से ही कतार लगा के खड़ी हो गई और उन्होंने तो सारे रिकार्ड तोड़ दिए हैं। पहले चरण में करीब पैंसठ परसेंट वोटिंग हुई है...ये दिखाता है कि NDA सरकार की वापसी का मोर्चा...खुद बिहार की जनता ने संभाला हुआ है। बिहार के नौजवानों ने संभाला है, बिहार की माताओं बहनों ने संभाला है, बिहार के किसान भाइयों ने संभाला है। साथियों, पहले चरण के मतदान से ये स्पष्ट है... बिहार के लोग अब किसी भी कीमत पर जंगलराज को लौटने देना नहीं चाहते। बिहार का नौजवान...RJD के झूठे वादों पर नहीं...NDA के ईमानदार इरादों पर वोट दे रहा है। आरजेडी ने झूठे वादों का भ्रम फैलाने की भरसक कोशिश की...इनके वादों पर तो खुद कांग्रेस को ही भरोसा नहीं है... इसलिए वो RJD के घोषणापत्र की बात ही नहीं करती। बिहार के लोगों ने...बिहार के नौजवानों ने भी...RJD के झूठ के पिटारे को खारिज कर दिया है।

साथियों,

बिहार का मतदाता...नरेंद्र-नीतीश के ट्रैक रिकॉर्ड पर भरोसा कर रहा है...हमारे पक्के इरादों को समर्थन दे रहा है। पहले चरण के मतदान से ये तय है...फिर एक बार...NDA सरकार! फिर एक बार... फिर एक बार... फिर एक बार...बिहार में फिर से...सुशासन सरकार!

साथियों,

मुझे बिहार के सामर्थ्य पर भरोसा है। बिहार के पास मां गंगा का आशीर्वाद है...यहां इतनी ऊपजाऊ भूमि है,यहां इतने परिश्रमी लोग हैं... बिहार को समृद्ध बनाने का संकल्प सच हो सकता है।

साथियों,

आप याद रखिए... आपने जब यहां नीतीश जी को अवसर दिया...तो उनके कार्यकाल के पहले नौ साल दिल्ली में RJD-कांग्रेस की सरकार थी। तब इन लोगों ने मिलकर दिल्ली में बैठे-बैठे दिन-रात एक ही काम किया बिहार से बदला लेना। और वो लगातार बिहार के विकास में रोड़े अटकाते रहते थे। नीतीश जी को काम नहीं करने देते थे। बिहार का एक काम होने नहीं देते थे। 2014 में जब आपने मुझे सेवा का अवसर दिया...जब पहली बार बिहार में डबल इंजन की सरकार बनी। हमारी डबल इंजन की सरकार ने बिहार के विकास के लिए तीन गुना ज्यादा पैसा दिया...आज बिहार के हर इलाके में...सड़कें बन रही हैं...लंबे-लंबे पुल बन रहे हैं...रेलवे के ट्रैक बन रहे हैं... नए अस्पताल और नए कॉलेज बन रहे हैं।

साथिय़ों,

अब NDA की डबल इंजन सरकार ने बिहार के उज्जवल भविष्य के लिए नए संकल्प लिए हैं। हमने अपने घोषणापत्र में बताया है कि इन संकल्पों को सिद्धि का रास्ता क्या है। हम इसे कैसे करेंगे ये भी बताया है। अपनी घोषणाओं को हम कैसे पूरा करने वाले हैं।

साथियों,

NDA के पास हर क्षेत्र से और उसकी आवश्यकता के अनुसार वहां के लोगों की जरूरत के हिसाब से अलग-अलग योजना है। कहीं फूड प्रोसेसिंग से जुड़े उद्योग पर बल दिया जा रहा है। कहीं टूरिज्म का विकास हो रहा है। कहीं टेक्नोलॉजी से जुड़ी कंपनियों का विस्तार करने वाले हैं। कहीं मैन्युफेक्चरिंग से जुड़े उद्योगों को बढ़ावा दिया जा रहा है। यानि जहां जैसा सामर्थ्य है, वहां वैसी ही इंडस्ट्री लगाई जा रही है। जैसे मगध का हमारा ये क्षेत्र है...यहां हज़ारों एकड़ इलाके में उद्योगों का खाका खींचा गया है। इसके लिए बिजली, सड़क, रेल का नेटवर्क, तेज़ी से बनाया जा रहा है। गया जी में बिहार का सबसे बड़ा इंडस्ट्रियल कॉरिडोर बन रहा है। इसका फायदा...इस पूरे क्षेत्र को होगा।


साथियों,

मोदी और नीतीश जी का ट्रैक रिकॉर्ड सबके सामने है। अब आप याद कीजिए, जब मैं कहता हूं ये करने वाला हूं तो मैं उसे करके ही रहता हूं। मैं आपको याद दिलाता हूं, बिहार के मेरे भाई-बहन मोदी ने कहा था, मोदी ने कहा था- राम मंदिर बनेगा...आप मुझे बताइए, मंदिर बना की नहीं बना? मंदिर बना की नहीं बना? डंके की चोट पर बना कि नहीं बना। 500 साल का अधूरा काम पूरा किया कि नहीं किया। मोदी ने देश को वादा किया था और मैंने कहा था आर्टिकल 370 की दीवार गिरेगी...आप मुझे बताइए.. 370 हटा कि नहीं हटा? और मोदी ने बिहार की इसी धरती से पहलगाम हमले का बदला लेने की बात भी कही थी... और फिर आपने ऑपरेशन सिंदूर में तबाह होते पाकिस्तान को भी देखा है… मैंने बिहार की धरती से जो कहा था वो किया कि नहीं किया?

साथियों,

मोदी ने वन रैंक वन पेंशन,हमारे देश की रक्षा करने वालों, हमारे देश के वीर जवानों, हमारे फौजियों को वादा किया था, हम वन रैंक वन पेंशन लागू करेंगे। आज 7 नवंबर को ही वन रैंक वन पेंशन लागू हुए 11 वर्ष हो रहे हैं,.. 11 वर्ष। हमारे सैनिक परिवार...चार दशकों से OROP की मांग कर रहे थे। लेकिन कांग्रेस हर बार उनसे झूठ बोलती रही। कांग्रेस ने पांच सौ करोड़ रुपए दिखाकर कहा था कि लो OROP लागू हो गया। और इसके बाद भी उसने पूर्व फौजियों से किया वायदा कभी नहीं निभाया। आप मुझे बताइए अपने फौज के जवानों के किया वादा कोई धोखा कर सकता है क्या?. धोखा करना चाहिए क्या? अगर वे ऐसा धोखा करते हैं तो वो कितने निकम्मे लोग हैं। वो आप जानते हैं कि नहीं जानते हैं? मैंने अपने सैनिक भाइयों को OROP लागू करने की गारंटी दी थी। आप मुझे बताइए, ये गारंटी मैंने पूरी कि नहीं की। ये गारंटी मैंने पूरी कि नहीं की? और साथियों ये ऐसे ही गारंटी पूरी नहीं हुई है। आप जानते हैं इन 11 सालों में हमारे जो फौजी भाई-बहन हैं, जो निवृत्त फौजी भाई-बहन हैं, उनके परिवारों को कितना पैसा मिला है, आप अंदाजा कर सकते हैं। अब तक OROP लागू करने के कारण एक लाख करोड़.. कितना? कितना? कितना? ये आरजेडी वालों को एक लाख करोड़ रुपए कैसे लिखना, एक के पीछे कितने बिंदू लगेंगे, उनको इतना भी समझ नहीं आएगा। एक लाख करोड़ रुपया देश के खजाने से फौजियों के खाते में गए हैं। बताइए...कांग्रेस-आरजेडी वाले ये लोग 500 करोड़ का झूठ बोल रहे थे। यही इनकी सच्चाई है...इनकी राजनीति झूठ पर ही टिकी हुई है।

इसलिए साथियों,

जब हम कहते हैं कि बिहार में एक करोड़ नए रोजगार देंगे...तो देश के बिहार के नौजवानों को हमारी बात पर भरोसा होता है। बीते कुछ सालों में ही बिहार में लाखों भर्तियां हुई हैं...पूरी ईमानदारी से भर्तियां हुई हैं। जबकि साथियों, आपके सामने RJD-कांग्रेस का ट्रैक रिकॉर्ड भी है...ये वो लोग हैं... जो बिहार के युवाओं से नौकरी के बदले जमीन लिखवा लेते हैं… आपको नौकरी चाहिए तो आपके खेत मेरे परिवारवालों के नाम कर दो, ये खेल चला अदालत ने भी माना और आज ये जमानत पर बैठे हुए हैं। जांच एजेंसियां इनकी जांच कर रही हैं..ये जंगलराज वाले जमानत पर चल रहे हैं...ये आरजेडी-कांग्रेस वाले बिहार के युवाओं को कभी भी नौकरी नहीं दे सकते।

साथियों,

आप औरंगाबाद के लोग तो नक्सलवाद...माओवादी आतंक से भी पीड़ित रहे हैं। वो दिन भुलाए नहीं भूलते...जब अंधेरा होने से पहले ही यहां सड़कों पर सन्नाटा पसर जाता था। यहां से आने-जाने वाली बसों को सुरक्षित चलने के लिए नक्सलियों को रंगदारी देनी होती थी। स्कूटर-मोटरसाइकिल से तो आने-जाने की कोई सोच भी नहीं पाता था। इस क्षेत्र की चर्चा...देश और दुनिया में नरसंहारों के लिए होती थी।

साथियों,

जैसे ही जंगलराज की सरकार गई...नीतीश जी के नेतृत्व में आप सुशासन लाए... तो नरसंहार की घटनाएं बंद हो गईं। जब आपने दिल्ली में मोदी को बिठाया...तो मैंने तय किया... कि नक्सलवाद..माओवादी आतंक की कमर तोड़कर करके रहूंगा। हमने नक्सलवाद, माओवादी आतंक के खिलाफ कार्रवाई की। आज बिहार...माओवादी आतंक के डर से मुक्त हो रहा है। माओवादी आतंक अब समाप्ति के कगार पर है। और य़े इसलिए हुआ है...क्योंकि बिहार में डबल इंजन की सरकार है।

साथियों,

जंगलराज और सुशासन राज में क्या अंतर आया है...ये हमने कल मतदान वाले दिन भी देखा है। कल बिहार के हर गरीब..दलित-महादलित, पिछड़े-अतिपिछड़े सबने, बिना किसी रोकटोक के वोट डाला। जबकि हमने जंगलराज का वो दौर भी देखा है। जब बूथ लूटे जाते थे...मतदान के दिन...गोलियां चलती थीं, बम फटते थे। खून की नदियां बहाई जाती थीं...गरीबों, दलितों, पिछड़ों की आवाज़ कुचल दी जाती थी।

साथियों,

जंगलराज के गुर्गे...साजिश तो अभी भी बहुत कर रहे हैं...लेकिन मैं चुनाव आयोग की प्रशंसा करूंगा। मैं चुनाव आयोग को बधाई दूंगा कि प्रथम चरण के चुनाव इतने अच्छे तरीके से संपन्न कराए हैं। और मुझे कुछ लोगों ने बताया कि कल जो मतदान का लोकतंत्र का उत्सव चल रहा था । बहुत सारे विदेश के लोग ये हमारे चुनाव देखने के लिए आए थे। हमारा मतदान देखने के लिए आए थे, मतदाताओं के उत्साह उमंग देख करके वो भूरि-भूरि प्रशंसा कर रहे थे।

साथियों,

आपको एक बात हमेशा याद रखनी है। जंगलराज वालों के पास हर वो चीज़ है, जो निवेश और नौकरी के लिए खतरा हैं। ये जंगलराज वालों का खतरा है। ये अभी से बच्चों तक को रंगदार बनाने की बातें कर रहे हैं। खुलेआम कर रहे हैं। ये लोग खुली घोषणा कर रहे हैं...कि भइया की सरकार आएगी तो...कट्टा, दु-नाली, फिरौती, रंगदारी, यही सब चलेगा। और इसलिए आपको इन लोगों से बहुत सतर्क रहना है। बिहार को कट्टा सरकार नहीं चाहिए...बिहार को कुशासन सरकार नहीं चाहिए…



साथियों,

बिहार को भाजपा-NDA पर भरोसा है। क्योंकि NDA ने बिहार को जंगलराज से बाहर निकाला। अब बिहार को विश्वास है...कि NDA ही बिहार को विकसित बना करके ही रहेगी। इसलिए बिहार...NDA के ईमानदार संकल्प पत्र पर विश्वास करता है। बिहार की बहनें-बेटियां सब देख रही हैं।

((साथियों ये उमंग और उत्साह यहां पंडाल से भी ज्यादा लोग बाहर हैं.. चारो तरफ जो मैं उत्साह उमंग देख रहा हूं माताओं-बहनों में जो उत्साह देख रहा हूं मैं बिहार का उज्जवल भविष्य देख रहा हूं।))

साथियों

ये एनडीए ही है जिसने पंचायती राज संस्थाओं और नगर निकायों में महिलाओं को 50 प्रतिशत आरक्षण दिया...ये NDA ही है...NDA ने सरकारी नौकरी में भी महिलाओं को 35 प्रतिशत आरक्षण दिया.ये NDA ही है...जिसने विधानसभा और लोकसभा में भी महिलाओं को आरक्षण दिया.. और ये NDA ही है...जो बहनों-बेटियों को स्व-रोजगार के अवसर दे रहा है। लखपति दीदी का अभियान चल रहा है।

साथियो,

ये लोग जो संविधान दिखाने वाले लोग हैं न, उन्हें समान्य समाज के गरीबों की कभी याद नहीं आई। ये मोदी है जिसने सामान्य समाज के गरीबों को 10 प्रतिशत आरक्षण दे करके उनकी जिंदगी बदलने का काम किया है। हम सिर्फ घोषणाएं नहीं करते...काम करते हैं। जैसे मुख्यमंत्री महिला रोजगार योजना है..बिहार की एक करोड़ 40 लाख बहनों के खाते में...दस-दस हज़ार रुपए पहुंच चुके हैं। इस पैसे से किसी ने सिलाई मशीन खरीदी...किसी ने कुछ सामान बेचना शुरू किया...हमने जो कहा वो करके दिखाया... इसलिए बहनों को भरोसा है कि...NDA ही उनको जीवन के हर कदम पर आगे भी मदद करेगी।

साथियों,

अभी हमारे सम्राट जी लालटेन वाले की झूठ की बात कह रहे थे मैं आपको 2019 की बात याद दिलाता हूं। 2019 में जनवरी फरवरी महीने में हमने पीएंम किसान सम्मान योजना शुरू की और किसानों के खातों में दो-दो हजार रुपया भेजना शुरू किया तो बिहार झारखंड और बंगाल जैसे राज्यों में ये पराजय के कारण भयभीत लोग झूठ फैलाने में लगे किसानों को जाके कहने लगे देखिए ये मोदी जी ने जो पैसा भेजा है ना वो आपसे सूद समेत वापस लेने वाला है। डरा रहे थे और झारखंड के एक इलाके में तो लोगों ने पैसा जमा करने से मना कर दिया इतना झूठ चलाते थे आज उस बात को 2019 से 2025 आ गया आज भी किसानों को पैसे देने का काम जारी है। मोदी जो कहता है ना वो काम पूरा करता है।

साथियों,

मोदी वंचितों को वरीयता देता है...पिछड़ों को प्राथमिकता देता है। आप देखिए...बिहार में साठ लाख गरीबों को पक्के आवास मिले हैं। 60 लाख ये पक्के घर...हमारे गरीब परिवारों को, हमारे दलित परिवारों को, हमारे माहदलित परिवारों को मेरे पिछड़े परिवारों को, मेरे अतिपिछड़े परिवारों के टोलों में बनाए गए हैं। उनको एक नई जिंदगी देने का काम किया। घर-घर बिजली, नल, शौचालय, मुफ्त गैस कनेक्शन...ये सबकुछ पहुंच रहा है। इसका फायदा भी वंचितों को ही सबसे ज्यादा हुआ है। मुफ्त अनाज हो या मुफ्त इलाज...इससे गरीब का, वंचित का फायदा हो रहा है।

साथियों,

कांग्रेस ने छोटे किसानों को कभी पूछा तक नहीं। ये मोदी है जो छोटे किसानों की चिंता करता है। हमारी सरकार किसानों के खाते में छह-छह हज़ार रुपए जमा कराती है। और अब तो बिहार एनडीए ने घोषणा की है...जब फिर से यहां NDA सरकार बनेगी, तो तीन हज़ार रुपए बिहार के किसानों को अतिरिक्त दिए जाएंगे। यानि डबल इंजन सरकार...बिहार के किसानों को नौ हज़ार रुपए देगी।

साथियों,

कांग्रेस और RJD ने...आप किसानों को बूंद-बूंद पानी के लिए तरसाया था। आप याद कीजिए...उत्तर कोयल बांध परियोजना की चर्चा कबसे चल रही थी... इस क्षेत्र के किसानों ने तो उम्मीद ही छोड़ दी थी। इस बांध के निर्माण का काम पूरा हो...इसके लिए हमने अतिरिक्त पैसा दिया और अब बांध का काम तेजी से चल रहा है। और मुझे मालूम है ये सुशील जी जब सांसद के रूप में काम को लेकर के दिन-रात मेहनत करते थे।

साथियों,

लालटेन वालों ने खेत को सिंचाई के लिए तरसाया...और बिहार को अंधेरे में रखा। हमारी सरकार बिजली कारखाने लगा रही है। कुछ महीने पहले ही...मुझे नबीनगर कारखाने के अगले चरण का शिलान्यास करने का अवसर मिला था। इससे आपको बिजली भी मिलेगी...और नौजवानों को रोजगार भी मिलेगा।

साथियों,

कांग्रेस और आरजेडी वाले सत्ता के लिए किसी को भी धोखा दे सकते हैं। औरंगाबाद तो इसका सबसे बड़ा साक्षी है। यहां जो कुटुंबा सीट है...उस पर क्या हुआ, ये पूरे बिहार ने देखा। कांग्रेस के प्रदेश अध्यक्ष तक को आरजेडी ने अपमानित किया। आरजेडी ने कांग्रेस को सिर्फ वही सीटें दीं...जहां वो 35-40 साल से नहीं जीत पाई है। आरजेडी ने कांग्रेस की कनपट्टी पर कट्टा रखकर...मुख्यमंत्री पद की उम्मीदवारी भी चोरी कर ली... आज भी अनेकों सीटों पर आरजेडी-कांग्रेस वाले आमने-सामने हैं। आप मुझे बताइए...जो अपने साथियों को धोखा दे सकते हैं...वो आपके सगे हो सकते हैं क्या? आपका भला कर सकते हैं क्या? ये वादे पूरे कर सकते हैं क्या?

साथियों,

कांग्रेस और आरजेडी...सिर्फ अपमान की, गाली-गलौज की राजनीति करते हैं। आपने देखा...कांग्रेस के शाही परिवार के नामदार ने छठी मैया की पूजा को ड्रामा कहा। ये लोग महाकुंभ को भी फालतू कहते हैं...इन्हें हमारे हर पर्व-त्योहार से चिढ़ है। ये नामदार...हमारी आस्था को ऐसे ही अपमानित करते हैं। मैं जरा अपनी माताओ-बहनों से पूछना चाहता हूं..छठी मैया का महापर्व हमारी माताएं-बहनें पानी तक नहीं पीती पानी तक नहीं पीती ऐसी साधना करती हैं। अब उनको नौटंकी कहना.. ड्रामा कहना वो छठी मैया का अपमान है कि नहीं है? अपमान है कि नहीं है? जिन्होंने इस महान तपस्या का अपमान किया है उनको सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? इस चुनाव में उनको सजा दोगे कि नहीं दोगे? सारी माताएं-बहने पूरी ताकत से सजा दोगे कि नहीं दोगे?

साथियों,

याद रखना...11 नवंबर को अपने एक वोट से इन्हें सज़ा देनी है। आपका वोट उन्हे सजा देने की ताकत रखता है। NDA की अब तक की सबसे बड़ी विजय इस चुनाव में पक्की है दोस्तों। और इसलिए 14 तारीख के बाद आपको मैं कह रहा हूं विजयोत्सव की तैयारी कर लीजिए। जनता का मिजाज बताता है और कांग्रेस वालों की बातें भी बताती है कि वो पराजय के कारण अभी से ढूंढने में लग गए हैं। अभी से क्यों हार गए बिहार इसके लिए क्या-क्या कहना है अभी से इसकी प्रैक्टिस करना चालू कर दिया है उन्होंने... और इसलिए भाइयों-बहनों विजयी की ओर आगे बढ़ना है आपके आशीर्वाद से। मैं सभी उस्मीदवारों से आग्रह करूंगा कि जरा आगे आइए.. एक-एक दो-दो कदम आपके इन सभी उम्मीदवारों को आशीर्वाद चाहिए।

मेरे साथ बोलिए..

भारत माता की... जय!

भारत माता की... जय!

भारत माता की... जय!

वंदे.. वंदे.. वंदे.. वंदे.. वंदे..