রাষ্ট্রপতি বাইডেন,
উপরাষ্ট্রপতি হ্যারিস,
সুধীবৃন্দ,
নমস্কার!
কোভিড মহামারীর কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে, সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে মুক্তমনা সমাজ কার্যকারিতার পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে। ভারতে আমরা এই মহামারীর বিরুদ্ধে একটি জনমুখী কৌশল গ্রহণ করেছিলাম। আমাদের বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এবার সবথেকে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে।
আমাদের টিকাকরণ অভিযান বিশ্বে সর্ববৃহৎ। আমরা ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করেছি। ৫ কোটির বেশি শিশু ইতিমধ্যেই টিকার ডোজ পেয়েছে। ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত চারটি টিকা উৎপাদন করছে এবং এ বছর ৫০০ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে।
আমরা ৯৮টি দেশকে দ্বিপাক্ষিকভাবে অথবা কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ কোটি টিকার ডোজ পাঠিয়েছি। নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভারত কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্বল্পমূল্যের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
ভাইরাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক স্তরে তথ্য ভান্ডারে ভারতের জিন বিন্যাসের কনসোর্টিয়াম তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রচুর তথ্য সরবরাহ করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা এই নেটওয়ার্কটিকে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সম্প্রসারিত করতে পেরেছি।
ভারতে আমরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমাদের চিরাচরিত ওষুধগুলিকে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেছি। এরফলে বহু প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
গত মাসে আমরা ভারতে ‘ডাব্লুএইচও সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন’-এর শিলান্যাস করেছি। সারা বিশ্বের কাছে আমাদের শতাব্দী প্রাচীন জ্ঞান ভান্ডার পৌঁছে দেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য।
সুধীবৃন্দ,
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যেকোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সারা বিশ্বজুড়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের প্রয়োজন। টিকা এবং ওষুধ যাতে সকলের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তর্জাতিক স্তরে একটি কার্যকর সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মাবলী, বিশেষ করে ট্রাইপস-এর ক্ষেত্রে নিয়মটি আরও শিথিল করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক স্তরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তুলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কারের প্রয়োজন।
সরবরাহ শৃঙ্খলকে স্থিতিশীল করতে এবং ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা ও চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন প্রক্রিয়ার আরো সংস্কারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ভারত এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে একাধিক দেশ। এই স্বীকৃতিগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন যা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উত্থানকে মজবুত করেছে। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।
আসুন, গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা পুরস্কারগুলি দেখে নেওয়া যাক।
দেশের প্রদান করা পুরস্কারগুলি:
১. ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি আরব সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - কিং আব্দুল আজিজ সাশ-এ ভূষিত করা হয়েছে। প্রিন্স সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

২. একই বছর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - আমির আমানউল্লাহ খান পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

৩. ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ফিলিস্তিনে ঐতিহাসিক সফর করেন, তখন তাঁকে গ্র্যান্ড কলার অব দ্য স্টেট অব প্যালেস্তাইন পুরস্কার প্রদান করা দেওয়া হয়। এটি বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সম্মান।

৪. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ডার অব জায়েদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।

৫. ২০১৯ সালে রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাদের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে - অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু।
৬. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ডিসটিনগুইশড রুল অফ নিশান ইজ্জুদ্দিন প্রদান করা হয়েছে।

৭. ২০১৯ সালে বাহরিন সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনিয়াস্য়ান্স সম্মানে ভূষিত করা হয়।

৮. ২০২০ সালে মার্কিন সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মানে ভূষিত করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া পুরস্কার যা ব্যতিক্রমী মেধাবী আচরণের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
৯. ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভুটান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপোতে ভূষিত করেছে।
সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ছাড়াও, বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করেছে।
১. সিওল শান্তি পুরস্কার: মানবজাতির সম্প্রীতি, জাতি এবং বিশ্বের মধ্যে পুনর্মিলন বিষয়ে সিউল পিস প্রাইজ কালচারাল ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে হয়েছিল।

২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড: এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ পরিবেশগত সম্মান। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সাহসী ভূমিকার জন্য ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

৩. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রথম ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেনশিয়াল পুরস্কার প্রদান করেছে। প্রতি বছর রাষ্ট্রের একজন নেতাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের শংসাপত্রে বলা হয়েছে, দেশকে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হল।

৪. ২০১৯ সালে বিল ও মিলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের স্বীকৃতি-স্বরূপ ‘গ্লোবাল গোলকিপার’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পুরস্কার সেইসব ভারতীয়কে উৎসর্গ করেন, যাঁরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছেন এবং এই অভিযানকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ করে তুলেছেন।

৫. ২০২১ সালে কেমব্রিজ এনার্জি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস বা সিইআরএ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরিবেশ নেতৃত্ব পুরস্কার প্রদান করেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তি ও পরিবেশের বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়ণে নেতৃত্বের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।.


