প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্লোবাল কনফারেন্স অন স্পেস এক্সপ্লোরেশন (গ্লেক্স), ২০২৫-এ ভাষণ দেন। সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ, বিজ্ঞানী এবং মহাকাশচারীদের স্বাগত জানিয়ে মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি। ১৯৬৩ সালে ক্ষুদ্র রকেট উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের পা রাখার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ‘ভারতীয় রকেটগুলি শুধুমাত্র ভার বহনই করছে না, সেগুলি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নকেও বহন করে।’ একসঙ্গে ১০০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ৩৪টি দেশের ৪০০-র বেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ভারতের উৎক্ষেপণ যান ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ফের দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ভারতের মহাকাশ অভিযান শুধুমাত্র অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়, এর লক্ষ্য হল, সকলে মিলে এক মহান উচ্চতায় পৌঁছনো। মানুষের কল্যাণে মহাকাশ অনুসন্ধানের সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর জোর দেন তিনি।
ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মিশন ‘গগনযান’ দেশের মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বার্তা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে ভারতীয় মহাকাশচারীর পা রাখার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন তিনি। ভারতের আগামী দিনের মহাকাশ মিশনে মঙ্গল ও শুক্র গ্রহকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতের কাছে মহাকাশ শুধুমাত্র অনুসন্ধানের জায়গা নয়, এটি ক্ষমতায়নেরও ক্ষেত্র। মহাকাশ প্রযুক্তি কীভাবে প্রশাসন পরিচালনা, জীবনজীবিকার উন্নতিতে ভূমিকা পালন করে চলেছে, সেকথাও উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। প্রত্যেক ভারতীয়ের কল্যাণে উপগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে এখন ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্ট-আপ কাজ করে চলেছে। ভারতের অনেক মহাকাশ মিশনে মহিলা বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বের কথাও গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ প্রাচীন এই দর্শনের মধ্যেই ভারতের মহাকাশ ভাবনা নিহিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের মহাকাশ যাত্রা শুধুমাত্র নিজের অগ্রগতির জন্য নয়, এর মাধ্যমে বিশ্বের জ্ঞানকেও সমৃদ্ধ করছে ভারত। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। বিজ্ঞান এবং যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।


