আমি অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ভারতে বর্তমানে খেলাধূলা একটি নতুন সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে: প্রধানমন্ত্রী
আজ ভারত ২০৩৬ সালে অলিম্পিক আয়োজনের দায়িত্ব নিতে উদ্যোগী হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ভারতে খেলাধূলার পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
গত এক দশকে খেলাধূলার জন্য বাজেট প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। এ বছর খেলাধূলা খাতে ব্যয় করা হবে ৪ হাজার কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী
নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় খেলাধূলাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর ফলে ভারতে প্রথম শ্রেণীর ক্রীড়াবিদ তৈরি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সপ্তম খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাথলিট, প্রশিক্ষক এবং কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেন, সারা দেশের খেলোয়াড়রা জমায়েত হয়েছেন, প্রদর্শন করেছেন ব্যতিক্রমী প্রতিভা এবং নিষ্ঠা। দেশের খেলোয়াড়ি মনোভাবে তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে তিনি তাঁদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমকে তুলে ধরেন। অ্যাথলিটদের অতুলনীয় দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতায় জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, খেলার জন্য তাঁদের ভালোবাসা এবং উৎকর্ষলাভের জন্য নিয়মিত অনুশীলন দেশকে গর্বিত করেছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য তিনি শুভেচ্ছা জানান। 

পাটনা, রাজগীর, গয়া, ভাগলপুর এবং বেগুসরাই সহ বিহারের একাধিক শহরে খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস-এ কঠোর প্রতিযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, আগামী দিনে ৬০০০-এর বেশি যুবা অ্যাথলিট এতে যোগ দেবে তাঁদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে। সকল খেলোয়াড়কে তিনি শুভেচ্ছা জানান। বলেন, ভারতে খেলা একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক পরিচিতি লাভ করছে। দেশের যুব সমাজের কাছে খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, “ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেভাবেই বিশ্ব মঞ্চে দেশের সফ্ট পাওয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে।” 

অ্যাথলিটদের জন্য নিরন্তর উন্নতির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আরও বেশি করে খেলায় যোগদান ও প্রতিযোগিতায় যোগদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তার নীতিতে এই বিষয়টির ওপর সব সময় সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। খেলো ইন্ডিয়ার অধীনে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরেন তিনি- যেমন বিশ্ববিদ্যালয় গেমস, যুব গেমস, শীতকালীন গেমস এবং প্যারা গেমস, যা সারা বছর ধরে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্তরে আয়োজিত হয়ে থাকে। এই ধরনের প্রতিযোগিতাগুলি অ্যাথলিটদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাঁদের প্রতিভাকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ক্রিকেট থেকে একটি উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী আইপিএল-এ অত্যন্ত কম বয়েসে অভূতপূর্ব ক্রীড়া দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য বিহারেরই ছেলে বৈভব সূর্যবংশীর প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এক্ষেত্রে বৈভবের কঠোর পরিশ্রম যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই তাঁর প্রতিভার চূড়ান্ত পরিণতির জন্য একাধিক প্রতিযোগিতায় যোগদানও তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন অ্যাথলিট যতো বেশি খেলবেন, তত বেশি উন্নতি করবেন। তিনি বলেন, খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস যুবা অ্যাথলিটদের জাতীয় স্তরের ক্রীড়ার মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার এবং মূল্যবান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার সুযোগ এনে দেবে।

ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের বহুদিনের স্বপ্ন অলিম্পিকের আয়োজন করা জানিয়ে শ্রী মোদী ২০৩৬-এ দেশে অলিম্পিক আনার জন্য ভারতের প্রয়াসের কথা তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক খেলাধূলায় নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করতে দেশের দায়বদ্ধতার কথা পুনরায় জানান তিনি। বিদ্যালয় স্তরে ক্রীড়া প্রতিভা খুঁজে বের করার এবং তাকে প্রথাগত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর সরকারের জোর দেওয়ার কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলো ইন্ডিয়া এবং টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম (টিওপি) কর্মসূচিগুলির মতো উদ্যোগ একটি শক্তিশালী ক্রীড়া পরিমণ্ডল গড়তে সাহায্য করেছে। বিহার এবং দেশের বাকি অংশের হাজার হাজার অ্যাথলিট উপকৃত হয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের খেলার সুযোগ যাতে অ্যাথলিটরা পায় তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, খেলো ইন্ডিয়ায় গটকা, কালারিপায়াত্তু, খো খো, মল্লখাম্ব এবং এমনকি যোগাসনের মতো চিরাচরিত এবং দেশজ ক্রীড়া স্থান পেয়েছে যাতে ভারতের সমৃদ্ধ ক্রীড়া ঐতিহ্যের প্রসার ঘটছে। নতুন নতুন ধরনের খেলায় ভারতীয় অ্যাথলিটদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন শ্রী মোদী। উশু, সেপাক টাগরো, পেনক্যাক সিল্যাট, লন-বল এবং রোলার স্কেটিং-এর মতো ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অনবদ্য ক্রীড়া দক্ষতা প্রদর্শনের উল্লেখ করেন তিনি। ২০২২-এর কমনওয়েল্থ গেমস-এ লন বলে ভারতীয় মহিলাদের পদক জয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তটির কথা স্মরণ করেন তিনি যা ভারতের ক্রীড়া জগতকে বিশ্ব স্বীকৃতি এনে দিয়েছিল।

 

ভারতের ক্রীড়া পরিকাঠামোকে আধুনিক করার ওপর সরকারের জোর দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী, বলেন, গত এক দশকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাজেট ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর যা পৌঁছেছে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকায়, যার মধ্যে একটি বড় অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নে। তিনি বলেন, ১ হাজারের বেশি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার দেশে কাজ করছে যার ৩ ডজন আছে বিহারে। তিনি বলেন, বিহার কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে উপকৃত হচ্ছে। রাজ্য সরকার রাজ্যস্তরে একাধিক উদ্যোগের প্রসার ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাজগীরে খেলো ইন্ডিয়া স্টেট সেন্টার অফ এক্সেলেন্স এবং বিহার স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি এবং স্টেট স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গঠনের কথা উল্লেখ করেন। বিহারের গ্রামগুলিকে খেলাধুলার উন্নতির সুযোগ-সুবিধা এবং পাটনা-গয়া হাইওয়েতে স্পোর্টস সিটি গড়ার কাজের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস জাতীয় ক্রীড়া মানচিত্রে বিহারের উপস্থিতিকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে।

শ্রী মোদী বলেন, “ক্রীড়া জগৎ এবং সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি খেলার মাঠ ছাড়িয়ে আরও অনেক দূর প্রসারিত, খেলাধুলা কর্মসংস্থানের নতুন পথ এবং তরুণদের উদ্যোগপতি হওয়ার সুযোগ এনে দিচ্ছে।” তিনি বলেন, ফিজিওথেরাপি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, স্পোর্টস টেকনোলজি, ব্রডকাস্টিং, ই-স্পোর্টস এবং ম্যানেজমেন্টের মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলি কেরিয়ার গড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, তরুণ পেশাদাররা প্রশিক্ষক, ফিটনেস ট্রেনার, রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজার, ক্রীড়া আইনজীবী এবং বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। ন্যাশনাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি গঠন এবং নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে শিক্ষার মূল ধারায় ক্রীড়াকে অন্তর্ভুক্ত করার মতো উদ্যোগের সঙ্গে ক্রীড়া ক্ষেত্রে উদ্যোগপতি হওয়ার ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, “বর্তমানে একটি স্টেডিয়াম শুধুমাত্র ম্যাচ আয়োজনের কেন্দ্রই শুধু নয়, হয়ে উঠেছে হাজার হাজার কাজের সুযোগ।” শ্রী মোদী জীবনের সর্বক্ষেত্রে খেলোয়াড়ি মনোভাবের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। খেলা কীভাবে দগলত সংহতি এবং ধৈর্য ধরতে শেখায় তার কথা তুলে ধরেন তিনি। অ্যাথলিটদের উৎসাহ দিতে তিনি তাঁদের সেরাটা দিতে বলেন এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসেবে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর মূল ভাবনাটির প্রতিনিধিত্ব করার আবেদন জানান। তাঁর আশা অ্যাথলিটরা বিহার থেকে সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরবেন। যাঁরা এই রাজ্যের বাইরে থেকে এসেছেন তাঁদের লিট্টি, চোখা এবং বিহারের বিখ্যাত মাখানার স্বাদ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন তিনি।

তাঁর আশা খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে খেলোড়ারি মনোভাব এবং দেশপ্রেম বৃদ্ধি করবে। এই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী সরকারিভাবে খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস-এর সপ্তম সংস্করণের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া, শ্রীমতী রক্ষা খাড়সে, শ্রী রামনাথ ঠাকুর।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Make in India Electronics: Cos create 1.33 million job as PLI scheme boosts smartphone manufacturing & exports

Media Coverage

Make in India Electronics: Cos create 1.33 million job as PLI scheme boosts smartphone manufacturing & exports
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister chairs the National Conference of Chief Secretaries
December 27, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi attended the National Conference of Chief Secretaries at New Delhi, today. "Had insightful discussions on various issues relating to governance and reforms during the National Conference of Chief Secretaries being held in Delhi", Shri Modi stated.

The Prime Minister posted on X:

"Had insightful discussions on various issues relating to governance and reforms during the National Conference of Chief Secretaries being held in Delhi."