Deep anguish in my heart: PM Modi on Pahalgam terror attack
The blood of every Indian is on the boil after seeing the pictures of the terrorist attack: PM Modi
In the war against terrorism, the unity of the country, the solidarity of 140 crore Indians, is our biggest strength: PM Modi
The perpetrators and conspirators of Pahalgam attack will be served with the harshest response: PM Modi
Dr. K Kasturirangan Ji’s contribution in lending newer heights to science, education and India’s space programme shall always be remembered: PM
Today, India has become a global space power: PM Modi
Very proud of all those who participated in Operation Brahma: PM Modi
Whenever it comes to serving humanity, India has always been at the forefront: PM Modi
Growing attraction for science and innovation amongst youth will take India to new heights: PM Modi
More than 140 crore trees planted under #EkPedMaaKeNaam initiative: PM Modi
Champaran Satyagraha infused new confidence in the freedom movement: PM Modi

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ যখন আমি আপনাদের সঙ্গে 'মন কি বাত' এ কথা বলছি তখন মনের মধ্যে রয়েছে গভীর এক যন্ত্রণা। ২২শে এপ্রিল পহলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হানা দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ব্যথিত করেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি প্রত্যেক ভারতীয়ের মনে গভীর সমবেদনা রয়েছে। তিনি যে রাজ্যেরই হোন, যে ভাষাই বলুন না কেন, তিনি ওইসব মানুষদের যন্ত্রণা অনুভব করছেন, যাঁরা এই হামলায় নিজেদের পরিজনদের হারিয়েছেন। আমি উপলব্ধি করতে পারছি, প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত সন্ত্রাসবাদী হামলার ছবি দেখে ফুটছে। পহলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া এই হামলা, সন্ত্রাসের কাণ্ডারীদের হতাশাকে স্পষ্ট করে তোলে, তাঁদের কাপুরুষতার প্রদর্শন করে। এমন একটা সময় যখন শান্তি ফিরছিল কাশ্মীরে, স্কুল-কলেজে একটা উৎসাহ ছিল, নির্মাণ কাজে অভূতপূর্ব গতি এসেছিল, গণতন্ত্র সুদৃঢ় হচ্ছিল, পর্যটকদের সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি হচ্ছিল, মানুষের উপার্জন বাড়ছিল, তরুণদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল – সেটা দেশের শত্রু, জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুদের সহ্য হল না। সন্ত্রাসবাদ আর সন্ত্রাসবাদীদের অভিভাবকরা চান যে কাশ্মীর ফের ধ্বংস হোক আর তাই এত বড় ষড়যন্ত্রকে রূপায়িত করল। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে দেশের একতা, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ঐক্য, আমাদের সবথেকে বড় বল। এই ঐক্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত লড়াইয়ের ভিত্তি। দেশের সামনে উপস্থিত এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য নিজেদের সঙ্কল্পকে দৃঢ় করতে হবে আমাদের। এক রাষ্ট্রের রূপে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির প্রদর্শন করতে হবে আমাদের। আজ বিশ্ব দেখছে, সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে গোটা দেশ এক স্বরে কথা বলছে।

সাথী, ভারতের অধিবাসীদের মধ্যে যে আক্রোশ রয়েছে, সেই আক্রোশ রয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে গোটা বিশ্ব থেকে ক্রমাগত সমবেদনার বার্তা আসছে। আমাকেও বিশ্বের নেতৃবৃন্দ ফোন করেছেন, চিঠি লিখেছেন, বার্তা পাঠিয়েছেন। জঘন্যভাবে সংগঠিত এই সন্ত্রাসবাদী হামলার কঠোর নিন্দা করেছেন সবাই। তাঁরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন। গোটা বিশ্ব, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পাশে রয়েছেন। আমি নিহতদের পরিবারবর্গকে আবার আশ্বাস দিতে চাই যে বিচার পাবেন তাঁরা, বিচার না-পাওয়া অবধি থামা নেই। এই হামলায় দোষী এবং ষড়যন্ত্র রচনাকারীদের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

 

বন্ধুরা, দু'দিন আগে আমরা দেশের মহান বৈজ্ঞানিক ডক্টর কে.কস্তুরীরঙ্গনজিকে হারিয়েছি। যখনই কস্তুরীরঙ্গনজির সঙ্গে সাক্ষাৎ হত, আমরা ভারতের তরুণ প্রজন্মের ট্যালেন্ট, আধুনিক শিক্ষা, স্পেস সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে অনেক আলোচনা করতাম। বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং ভারতের মহাকাশ সংক্রান্ত কার্যকলাপকে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান সব সময় স্মরণ করা হবে। তাঁর নেতৃত্বে ইসরো এক নতুন পরিচয় পেয়েছে। তার দেখানো পথে যে যে স্পেস প্রোগ্রাম অগ্রসর হয়েছে, সেগুলিতে ভারতের প্রয়াস বিশ্বব্যপী মান্যতা লাভ করেছে। আজ ভারত যে স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহার করে তার মধ্যে অনেকগুলি ডক্টর কস্তুরীরঙ্গনের তত্ত্বাবধানে লঞ্চ করা হয়েছিল। তার ব্যক্তিত্বে আরো একটি বিশেষ ব্যাপার ছিল যা থেকে নবীন প্রজন্ম শিখতে পারে। উনি সবসময় innovation কে গুরুত্ব দিয়েছেন। নতুন কিছু শেখা, জানা এবং করার vision অতীব প্রেরণাদায়ক। ডক্টর কে.কস্তুরীরঙ্গনজি দেশের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করেছেন। ডক্টর কস্তুরীরঙ্গন একবিংশ শতকের আধুনিক প্রয়োজনগুলি অনুযায়ী 'ফরওয়ার্ড লুকিং এডুকেশন'-এর ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন। দেশের নিঃস্বার্থ সেবা ও রাষ্ট্র নির্মাণে তার অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি ডক্টর কে.কস্তুরীরঙ্গনজির প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, এই এপ্রিল মাসেই আর্যভট্ট স্যাটেলাইট লঞ্চিং এর 50 বছর পূর্তি হয়েছে। আজ যখন আমরা পিছন ফিরে দেখি, ৫০ বছরের এই যাত্রাকে স্মরণ করি, তখন মনে হয় আমরা কতটা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসেছি। মহাকাশে ভারতের এই স্বপ্নের উড়ান একসময় কেবল সাহসিকতা থেকে শুরু হয়েছিল। দেশের জন্য কিছু করার আবেগ মনের ভেতর লালন করা কিছু তরুণ বৈজ্ঞানিক ছিলেন, তাদের কাছে না ছিল আজকের মত আধুনিক সরঞ্জাম, না ছিল বিশ্বের টেকনোলজির নাগাল পাওয়ার কোন উপায়। যদি কিছু থেকে থাকে তা হলো প্রতিভা, অধ্যবসায়, পরিশ্রম এবং দেশের জন্য কিছু করার আবেগ। আমাদের বৈজ্ঞানিকরা গরুর গাড়ি আর সাইকেলে ক্রিটিক্যাল ইকুইপমেন্টগুলি নিজেরাই বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এমন ছবি আপনারাও নিশ্চয়ই দেখেছেন। সেই অধ্যবসায় এবং দেশসেবার ভাবনার ফল আজকের এই এত কিছু পরিবর্তন। আজ ভারত এক গ্লোবাল স্পেস পাওয়ার হয়ে উঠেছে। আমরা একসঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহ লঞ্চ করে রেকর্ড গড়েছি। আমরা প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে পৌঁছেছি। ভারত Mars Orbiter Mission লঞ্চ করেছে এবং আমরা আদিত্য - এল ওয়ান মিশনের মাধ্যমে সূর্যের খুব কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছেছি। আজ ভারত সারা পৃথিবীতে সর্বাধিক সুলভ মূল্যে অথচ সফল মহাকাশ প্রোগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ নিজেদের স্যাটেলাইট ও স্পেস মিশনের জন্য ইসরোর সাহায্য নিচ্ছে।

 

বন্ধুরা, আমি যখনই ISRO-এর তৈরী কোন Satellite launch হতে দেখি, তখনই আমার বুক গর্বে ভরে যায়। 2014 সালে PSLV-C-23 launching এর সময় আমি সাক্ষী ছিলাম এবং আমার এই একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। 2019 সালে চন্দ্রযান-2 landing এর সময়, আমি বেঙ্গালুরুতে ISRO center এ উপস্থিত ছিলাম। সেই সময়ে চন্দ্রযান প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি, এটি বিজ্ঞানীদের জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের ধৈর্য্য এবং কিছু করে দেখানোর উদ্যম আমি উপলদ্ধি করেছিলাম। আর কয়েক বছর পর সমগ্র বিশ্ব চাক্ষুষ করেছিল, সেই একই বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩-এর সফল অভিযান করে দেখিয়েছিলেন।

বন্ধুরা, এখন ভারত তার space sector-কে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্যও খুলে দিয়েছে। আজ অনেক তরুণ space startup-এর ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে । 10 বছর আগে এই ক্ষেত্রে একটি মাত্র কোম্পানি ছিল, কিন্তু আজ সোয়া তিনশোরও বেশি Space start-up দেশে কাজ করছে। ভবিষ্যত space নিয়ে অনেক নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে। নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে চলেছে ভারত। দেশটি গগনযান, SpaDeX এবং চন্দ্রযান-4 এর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের প্রস্তুতিতে নিযুক্ত রয়েছে। আমরা Venus Orbiter Mission এবং Mars Lander মিশনেও কাজ করছি। আমাদের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবনের এর মাধ্যমে দেশবাসীকে নতুন করে গৌরবান্বিত করতে চলেছেন।

 

বন্ধুরা, গত মাসে মায়ানমারে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার ভয়ানক ছবি নিশ্চয়ই দেখেছেন। ভূমিকম্পের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল; ধ্বংসাবশেষে আটকে পরা মানুষের কাছে প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি মুহূর্ত ছিল মূল্যবান। সেজন্য ভারত মায়ানমারে আমাদের ভাই-বোনদের জন্য Operation Brahma শুরু করে l বায়ুসেনার বিমান থেকে শুরু করে নৌবাহিনীর জাহাজও মায়ানমার কে সাহায্যের জন্য রওনা হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় টিম সেখানে একটি Field hospital প্রস্তুত করে। ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং পরিকাঠামো গুলির ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করতে সাহায্য করেছে। ভারতীয় টিম সেখানে কম্বল, তাঁবু, Sleeping Bag, ওষুধ, খাবার সামগ্রী এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করেছিল। ভারতীয় টিম সেখানকার মানুষের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসাও পেয়েছিল।

 

বন্ধুরা, এই সংকটের সময় সাহস, ধৈর্য এবং বিচক্ষণতার অনেক হৃদয়স্পর্শী উদাহরণ সামনে এসেছে। টিম ইন্ডিয়া সত্তরোর্ধ এক বৃদ্ধা মহিলাকে উদ্ধার করেছে, যিনি ১৮ ঘন্টা ধরে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে ছিলেন। যারা এখন টিভিতে "মন কি বাত" দেখছেন তারা নিশ্চয়ই সেই বৃদ্ধা মহিলার চেহারাটি দেখতে পাচ্ছেন। ভারত থেকে যে দলটি গিয়েছে, তাঁরা অক্সিজেনের মাত্রা স্থিতিশীল করা থেকে শুরু করে ভাঙা হাড়ের চিকিৎসা- সমস্ত পরিষেবা প্রদান করেছে। বৃদ্ধা মহিলা যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তখন তিনি আমাদের দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় উদ্ধারকারী দলের কারণেই তিনি নতুন জীবন পেয়েছেন। অনেকেই আমাদের দলকে বলেছিলেন যে তাদের কারণেই তাঁরা তাঁদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের খুঁজে পেয়েছেন। বন্ধুরা, ভূমিকম্পের পর, মায়ানমারের মান্ডলের একটি বৌদ্ধ মঠে অনেক লোকের আটকা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আমাদের কর্মীরা সেখানেও ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। এই কারণে, তাঁরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে প্রচুর আশীর্বাদ কুড়িয়েছেন। অপারেশন ব্রহ্মায় অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের মূল্যবোধ, বসুধৈব কুটুম্বকমের মন্ত্রে আমরা দীক্ষিত---অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ব এক পরিবার। সংকটের সময়ে বিশ্ব-বন্ধু হিসেবে ভারতের তৎপরতা এবং মানবতার প্রতি ভারতের অঙ্গীকার, আমাদের পরিচয় হয়ে উঠছে।

বন্ধুরা, আমি আফ্রিকার ইথিওপিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার কথা জানতে পেরেছি। জন্মের পর থেকেই হৃদরোগে ভুগছেন এমন শিশুদের চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইথিওপিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা। ভারতীয় পরিবারগুলিও এরকম অনেক শিশুকে আর্থিকভাবে সাহায্য করছে। যদি কোনও শিশুর পরিবার টাকার অভাবে ভারতে যেতে না পারে, তাহলে আমাদের ভারতীয় ভাই-বোনেরা তারও ব্যবস্থা করছেন। এই প্রচেষ্টার উদ্দেশ্যই হল, ইথিওপিয়ার সমস্ত অভাবী শিশু যারা গুরুতর রোগে ভুগছে তাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। ভারতীয় প্রবাসীদের এই মহৎ প্রয়াস ইথিওপিয়ায় ভরপুর প্রশংসা পাচ্ছে। আপনারা জানেন যে ভারতে চিকিৎসা সুবিধা ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও এর সুবিধা নিচ্ছেন।

 

বন্ধুরা, কিছুদিন আগেই ভারত আফগানিস্তানের মানুষের জন্য বিপুল মাত্রায় ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিলো। এই ভ্যাকসিন জলাতঙ্ক, ধনুষ্টঙ্কার, হেপাটাইটিস-বি ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। এই সপ্তাহেই ভারত নেপালের অনুরোধে সেখানে বড় মাত্রায় ওষুধ এবং ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। এর থেকে থ্যালাসেমিয়া এবং সিকল সেল ডিজিজ এর রুগীদের আরো ভালো চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা যাবে। যখনই মানবতার সেবা করার প্রসঙ্গ আসে, তখন ভারত সবসময়ই এগিয়ে থাকে, এবং ভবিষ্যতেও এরকম প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয়তায় ভারত এগিয়েই থাকবে। 

    বন্ধুরা, একটু আগেই আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সম্বন্ধে কথা বলছিলাম। যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার তৎপরতা, আপনার সচেতন থাকা। এই তৎপরতার জন্য এখন আপনি আপনার মোবাইল ফোনে একটি বিশেষ অ্যাপের সাহায্য নিতে পারেন। এই অ্যাপ আপনাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে পারে, আর এটার নামও হল 'সচেত'। ‘সচেত’ অ্যাপ তৈরি করেছে ভারতের এনডিএমএ অর্থাৎ ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। বন্যা, সাইক্লোন, ল্যান্ড স্লাইড, সুনামি, দাবানল, হিম স্খলন, ঝড় বা বজ্রপাতের মত বিপর্যয়, সচেত অ্যাপ আপনাদের সর্বদা informed আর সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা করবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা আবহাওয়া দপ্তর সংক্রান্ত আপডেটও পাবেন।আরেকটি বিশেষ ব্যাপার হলো যে, সচেত অ্যাপ আঞ্চলিক ভাষায়ও আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিতে সক্ষম। আপনারা এই অ্যাপের সুবিধা নিন এবং আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ভারতবর্ষের প্রতিভার প্রশংসা বিশ্বের সর্বত্র হতে দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় যুবকরা, ভারতবর্ষের প্রতি সারা পৃথিবীর দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে দিয়েছে| আর যেকোনো দেশের যুবক বৃন্দের রুচি কোন দিকে আছে, কোথায় আছে, সেই দেখে বোঝা যায় যে দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে এগোচ্ছে? আজ ভারতবর্ষের যুবকেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এমন কিছু এলাকা যেগুলোকে পিছিয়ে থাকার জন্য এবং অন্যান্য কারণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেখানেও আমাদের যুবকবৃন্দ এমন উদাহরণ প্রস্তুত করেছে যা আমাদের মনে নতুন বিশ্বাস জাগায়। ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ার বিজ্ঞান কেন্দ্র আজ কাল সবার নজর আকর্ষণ করছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দান্তেওয়াড়ার নাম হিংসা ও অশান্তির জন্য কুখ্যাত ছিল। কিন্তু এখন ওখানকার Science Centre, শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য আশার এক নতুন আলো নিয়ে এসেছে। বাচ্চাদেরও এই Science Centre এ যেতে খুব ভালো লাগছে।

 

ওঁরা এখন নতুন নতুন মেশিন বানানো থেকে শুরু করে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নতুন নতুন পণ্য তৈরি করাও শিখছেন। তাঁরা 3D প্রিন্টার ও robotic গাড়ির সঙ্গে অন্যান্য উদ্ভাবনী জিনিস সম্পর্কে জানবার সুযোগ পাচ্ছেন। এই কিছুদিন আগেই আমি গুজরাটের সায়েন্স সিটিতে সায়েন্স গ্যালারির উদ্বোধন করেছিলাম। এই গ্যালারি থেকে, আধুনিক বিজ্ঞানের সম্ভাব্য ক্ষমতা ঠিক কতটা ও বিজ্ঞান আমাদের জন্য কত কিছু করতে পারে সেই সম্পর্কে আমরা আভাস পেতে পারি। আমি জানতে পেরেছি যে এই গ্যালারি সম্পর্কে বাচ্চাদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ রয়েছে। বিজ্ঞান ও তার উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে ঘিরে এই ক্রমবর্ধমান আকর্ষণ ভারতকে অবশ্যই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের দেশের সর্বোচ্চ শক্তি আমাদের ১৪০ কোটি নাগরিক, তাঁদের সামর্থ্য, তাঁদের ইচ্ছা শক্তি। যখন কোটি কোটি মানুষ একসঙ্গে কোন প্রচারকার্যে যুক্ত হন তখন তার প্রভাব সুদূর প্রসারী হয়। তেমনই এক উদাহরণ "এক পেড় মা কে নাম"। এই অভিযান সেই সব মায়েদের নামে যাঁরা আমাদের জন্ম দিয়েছেন এবং সেই ধরণী মায়ের জন্যেও যিনি আমাদের নিজের কোলে ধারণ করে রেখেছেন। বন্ধুরা, পাঁচই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই অভিযানের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এই এক বছরে এই অভিযানের অন্তর্গত সমগ্র দেশে মায়ের নামে ১৪০ কোটিরও অধিক গাছ লাগানো হয়েছে। ভারতে এই উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাইরেও মানুষজন নিজের মায়ের নামে গাছ লাগানো শুরু করেছেন। আপনিও এই অভিযানে অংশগ্রহণ করুন, যাতে এক বছর পর আপনিও নিজের অংশীদারিত্বে গর্ব অনুভব করতে পারেন।

বন্ধুরা, গাছ শীতলতা প্রদান করে, গাছের ছায়ায় গরমের থেকে রেহাই পাওয়া যায়, এ সব কিছুই আমরা জানি। কিছুদিন পূর্বে আবারও এই সংক্রান্ত একটি খবর আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিগত কিছু বছরে গুজরাটের আমেদাবাদ শহরে ৭০ লাখেরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ফলে আমেদাবাদের সবুজে ঘেরা এলাকা অনেকটাই প্রসারিত হয়েছে। একই সঙ্গে সবরমতি নদীতে রিভার ফ্রন্ট তৈরী হওয়ার জন্য এবং কাঙ্কড়িয়া ঝিলের মত বেশ কিছু ঝিলের পুনর্নবীকরণের ফলে এখানে জলাধারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী গত কিছু বছরে আমেদাবাদ বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রধান শহরগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তনকে, আবহাওয়ায় আসা এই শীতলতাকে ওখানকার মানুষও উপলব্ধি করছেন। আমেদাবাদে সবুজায়ন আনন্দের নতুন উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আপনাদের কাছে আবারও অনুরোধ করবো যে পৃথিবীর সুস্থতা বজায় রাখতে, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার সমাধানের জন্য, এবং নিজের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে গাছ অবশ্যই লাগান - "এক পেড় মা কে নাম"।

বন্ধুরা, একটি অত্যন্ত প্রাচীন প্রবাদ বাক্য - ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। যখন আমরা নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিই, তখন লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। আপনারা পাহাড়ি অঞ্চলের আপেল তো নিশ্চয়ই খেয়েছেন। কিন্তু যদি আমি জিজ্ঞাসা করি আপনাদের যে কর্নাটকের আপেলের স্বাদ কেমন? তখন আপনি অবাক হবেন। সাধারণত আমাদের ধারণা যে আপেলের চাষ পাহাড়েই সম্ভব। কিন্তু কর্নাটকের বাগলকোটের শ্রী শৈল তেলিজি সমতলে আপেল ফলিয়েছেন। তাঁর গ্রাম কুলালীতে ৩৫ ডিগ্রীর থেকেও বেশি তাপমাত্রায় আপেল গাছে ফল হয়েছে। আসলে শ্রী শৈল তেলিজি চাষ করতে ভালোবাসেন। আপেলের চাষ করা যায় কিনা তা চেষ্টা করে দেখছিলেন এবং তিনি তা করতে সফলও হয়েছেন।

 

এখন তাঁর লাগানো আপেল গাছে যথেষ্ট পরিমাণে আপেলের ফলন হচ্ছে, এবং সেটা বিক্রি করে তাঁর ভালো উপার্জন'ও হচ্ছে। বন্ধুরা, এখন, আপেল নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তখন আপনি ‘কিন্নৌরী’ আপেলের কথা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। আপেলের জন্য প্রসিদ্ধ কিন্নরে কেশরের উৎপাদনও শুরু হয়েছে। সাধারণত হিমাচলে কেশরের চাষ কমই হতো, কিন্তু এখন কিন্নরের সুরম্য সাংলা উপত্যকাতেও কেশরের চাষ হচ্ছে। এমনই একটা দৃষ্টান্ত মেলে কেরালার বায়নাড-এ (Waynad)। এখানেও কেশর চাষে সাফল্য এসেছে। আর বায়নাড-এ (Waynad-এ) এই কেশর চাষ মাটিতে নয়, তার বদলে Aeroponics technique-এর মাধ্যমে করা হচ্ছে। ঠিক এরকমই কিছু অবাক করার মতো কাজ লিচু উৎপাদনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। আমরা তো শুনে এসেছি লিচুর ফলন বিহার, পশ্চিমবঙ্গ বা ঝাড়খন্ডে হয়ে থাকে; কিন্তু এখন লিচুর উৎপাদন দক্ষিণ ভারত আর রাজস্থানেও হচ্ছে। তামিলনাড়ুর ‘থিরু বিরা অরাসু’ কফির চাষ করতেন। কোদাইকানালে তিনি লিচু-গাছ লাগিয়েছেন আর তাঁর সাত বছরের পরিশ্রমে সেই গাছগুলোয় এখন ফল ধরেছে। লিচু উৎপাদনের সাফল্য আশপাশের অন্যান্য কৃষকদেরও উৎসাহিত করেছে। রাজস্থানে জিতেন্দ্র সিং রানাওয়াত লিচু উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছেন। এই সমস্ত উদাহরণ ভীষণ অনুপ্রেরণামূলক। যদি আমরা নতুন কিছু করবো বলে ঠিক করে নিই, এবং বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও অনড় থাকি তাহলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যেতে পারে।

 

আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ এপ্রিলের শেষ রবিবার। কয়েকদিনের মধ্যেই মে মাস শুরু হতে চলেছে। আমি আপনাদের আজ থেকে প্রায় ১০৮ বছর আগের সময়ে নিয়ে যাচ্ছি। সাল ১৯১৭ এপ্রিল এবং মে- এই দুই মাস- দেশে তখন স্বাধীনতার এক অভূতপূর্ব যুদ্ধ লড়া হচ্ছিল।

ইংরেজদের অত্যাচার বেড়ে চলছিল। দরিদ্র, বঞ্চিত এবং কৃষকদের শোষণ অমানবিকতার সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিল। বিহারের উর্বর মাটিতে ইংরেজরা কৃষকদের নীল চাষ করতে বাধ্য করছিল। নীলের চাষ করার ফলে কৃষকদের জমি অনুর্বর হয়ে পড়ছিল, কিন্তু ব্রিটিশ শাসকদের এই বিষয়ে কোন মাথাব্যথা ছিল না। এই অবস্থায় ১৯১৭ সালে গান্ধীজি বিহারের চম্পারণে পৌঁছলেন। কৃষকরা গান্ধীজিকে বলল "আমাদের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, খাওয়ার জন্য ফসলটুকুও পাচ্ছিনা।” লক্ষ লক্ষ চাষীর এই ব্যথায় গান্ধীজির মন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হল। ওখান থেকেই চম্পারণের ঐতিহাসিক সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। চম্পারণের সত্যাগ্রহ আন্দোলন ভারতে বাপুর করা প্রথম বড় প্রচেষ্টা ছিল। বাপুর এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে পুরো ইংরেজ শাসনব্যবস্থা নড়ে উঠেছিল। কৃষকদের নীলের চাষ করতে বাধ্য করার মত আইন যা ইংরেজরা রূপায়ণ করেছিল তা স্থগিত করতে হয়। এটা এমনই এক জয়যাত্রা যেখানে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি নতুন বিশ্বাস সংযোজিত হয়। আপনারা সকলেই হয়তো জানেন এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে বিহারের আরো একজন কৃতি সন্তানের অবদান ছিল যিনি স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। সেই মহান ব্যক্তি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। উনি চম্পারণ সত্যাগ্রহের ওপর একটি বইও লিখেছিলেন "Satyagraha in Champaran", এই বইটা প্রত্যেক যুবার পড়া উচিত। ভাই-বোনেরা, এপ্রিল মাসের সঙ্গে স্বাধীনতার সংগ্রামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের যোগ রয়েছে। ৬ই এপ্রিল গান্ধীজীর ডান্ডি যাত্রা সম্পন্ন হয়েছিল। ১২ই মার্চে শুরু হয়ে ২৪ দিন পর্যন্ত চলতে থাকা এই যাত্রা ইংরেজদের চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। এপ্রিল মাসেই জালিয়ানওয়ালাবাগের মত হত্যাকাণ্ড ও সংঘটিত হয়েছিল। পাঞ্জাবের মাটিতে এই রক্তমাখা ইতিহাসের চিহ্ন আজও রয়েছে।

বন্ধুরা, কিছুদিন পরেই, ১০ই মে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের বর্ষপূর্তি ও আসছে। স্বাধীনতার সেই প্রথম লড়াইয়ে যে আগুনের ফুলকি জ্বলেছিল সেই আগুন পরবর্তী কালে লক্ষ লক্ষ সৈন্যের জন্য একটা মশালে পরিণত হয়েছিল। গত ২৬শে এপ্রিল আমরা ১৮৫৭ সালের বিপ্লবের মহানায়ক বাবু বীর কুঁওরসিং এর জন্মতিথিও পালন করেছি। বিহারের এই মহান যোদ্ধা পুরো দেশের জন্য অনুপ্রেরণা। এভাবেই আমাদের লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অমর প্রেরণাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ওঁদের ভাবনা থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তা অনন্তকাল ধরে আমাদের সমস্ত সংকল্পকে নতুন দৃঢ়তা প্রদান করে চলে।

বন্ধুরা, মন কি বাত এর এই দীর্ঘ পথে আপনারা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে আত্মীয়তা পাতিয়ে ফেলেছেন। দেশবাসী যে সকল ভাবনা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান তা মন কি বাত এর মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছে যায়। পরের মাসে আমরা আবার এক সঙ্গে দেশের বিভিন্নতা, গৌরবময় ঐতিহ্য এবং নতুন চিন্তাভাবনার কথা ভাগ করে নেব। আমরা এমন মানুষের কথা জানব যাঁরা নিজেদের সমর্পণ এবং সেবার ভাবনা দিয়ে সমাজের পরিবর্তন নিয়ে আসছেন। প্রত্যেক বারের মতো আপনারা আমায় নিজেদের ভাবনা এবং পরামর্শ পাঠাতে থাকবেন। ধন্যবাদ, নমস্কার।

 

 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament

Media Coverage

MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Assam has picked up a new momentum of development: PM Modi at the foundation stone laying of Ammonia-Urea Fertilizer Project in Namrup
December 21, 2025
Assam has picked up a new momentum of development: PM
Our government is placing farmers' welfare at the centre of all its efforts: PM
Initiatives like PM Dhan Dhanya Krishi Yojana and the Dalhan Atmanirbharta Mission are launched to promote farming and support farmers: PM
Guided by the vision of Sabka Saath, Sabka Vikas, our efforts have transformed the lives of poor: PM

उज्जनिर रायज केने आसे? आपुनालुकोलोई मुर अंतोरिक मोरोम आरु स्रद्धा जासिसु।

असम के गवर्नर लक्ष्मण प्रसाद आचार्य जी, मुख्यमंत्री हिमंता बिस्वा शर्मा जी, केंद्र में मेरे सहयोगी और यहीं के आपके प्रतिनिधि, असम के पूर्व मुख्यमंत्री, सर्बानंद सोनोवाल जी, असम सरकार के मंत्रीगण, सांसद, विधायक, अन्य महानुभाव, और विशाल संख्या में आए हुए, हम सबको आशीर्वाद देने के लिए आए हुए, मेरे सभी भाइयों और बहनों, जितने लोग पंडाल में हैं, उससे ज्यादा मुझे वहां बाहर दिखते हैं।

सौलुंग सुकाफा और महावीर लसित बोरफुकन जैसे वीरों की ये धरती, भीमबर देउरी, शहीद कुसल कुवर, मोरान राजा बोडौसा, मालती मेम, इंदिरा मिरी, स्वर्गदेव सर्वानंद सिंह और वीरांगना सती साध`नी की ये भूमि, मैं उजनी असम की इस महान मिट्टी को श्रद्धापूर्वक नमन करता हूँ।

साथियों,

मैं देख रहा हूँ, सामने दूर-दूर तक आप सब इतनी बड़ी संख्या में अपना उत्साह, अपना उमंग, अपना स्नेह बरसा रहे हैं। और खासकर, मेरी माताएँ बहनें, इतनी विशाल संख्या में आप जो प्यार और आशीर्वाद लेकर आईं हैं, ये हमारी सबसे बड़ी शक्ति है, सबसे बड़ी ऊर्जा है, एक अद्भुत अनुभूति है। मेरी बहुत सी बहनें असम के चाय बगानों की खुशबू लेकर यहां उपस्थित हैं। चाय की ये खुशबू मेरे और असम के रिश्तों में एक अलग ही ऐहसास पैदा करती है। मैं आप सभी को प्रणाम करता हूँ। इस स्नेह और प्यार के लिए मैं हृदय से आप सबका आभार करता हूँ।

साथियों,

आज असम और पूरे नॉर्थ ईस्ट के लिए बहुत बड़ा दिन है। नामरूप और डिब्रुगढ़ को लंबे समय से जिसका इंतज़ार था, वो सपना भी आज पूरा हो रहा है, आज इस पूरे इलाके में औद्योगिक प्रगति का नया अध्याय शुरू हो रहा है। अभी थोड़ी देर पहले मैंने यहां अमोनिया–यूरिया फर्टिलाइज़र प्लांट का भूमि पूजन किया है। डिब्रुगढ़ आने से पहले गुवाहाटी में एयरपोर्ट के एक टर्मिनल का उद्घाटन भी हुआ है। आज हर कोई कह रहा है, असम विकास की एक नई रफ्तार पकड़ चुका है। मैं आपको बताना चाहता हूँ, अभी आप जो देख रहे हैं, जो अनुभव कर रहे हैं, ये तो एक शुरुआत है। हमें तो असम को बहुत आगे लेकर के जाना है, आप सबको साथ लेकर के आगे बढ़ना है। असम की जो ताकत और असम की भूमिका ओहोम साम्राज्य के दौर में थी, विकसित भारत में असम वैसी ही ताकतवर भूमि बनाएंगे। नए उद्योगों की शुरुआत, आधुनिक इनफ्रास्ट्रक्चर का निर्माण, Semiconductors, उसकी manufacturing, कृषि के क्षेत्र में नए अवसर, टी-गार्डेन्स और उनके वर्कर्स की उन्नति, पर्यटन में बढ़ती संभावनाएं, असम हर क्षेत्र में आगे बढ़ रहा है। मैं आप सभी को और देश के सभी किसान भाई-बहनों को इस आधुनिक फर्टिलाइज़र प्लांट के लिए बहुत-बहुत शुभकामनाएँ देता हूँ। मैं आपको गुवाहटी एयरपोर्ट के नए टर्मिनल के लिए भी बधाई देता हूँ। बीजेपी की डबल इंजन सरकार में, उद्योग और कनेक्टिविटी की ये जुगलबंदी, असम के सपनों को पूरा कर रही है, और साथ ही हमारे युवाओं को नए सपने देखने का हौसला भी दे रही है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में देश के किसानों की, यहां के अन्नदाताओं की बहुत बड़ी भूमिका है। इसलिए हमारी सरकार किसानों के हितों को सर्वोपरि रखते हुए दिन-रात काम कर रही है। यहां आप सभी को किसान हितैषी योजनाओं का लाभ दिया जा रहा है। कृषि कल्याण की योजनाओं के बीच, ये भी जरूरी है कि हमारे किसानों को खाद की निरंतर सप्लाई मिलती रहे। आने वाले समय में ये यूरिया कारख़ाना यह सुनिश्चित करेगा। इस फर्टिलाइज़र प्रोजेक्ट पर करीब 11 हजार करोड़ रुपए खर्च किए जाएंगे। यहां हर साल 12 लाख मीट्रिक टन से ज्यादा खाद बनेगी। जब उत्पादन यहीं होगा, तो सप्लाई तेज होगी। लॉजिस्टिक खर्च घटेगा।

साथियों,

नामरूप की ये यूनिट रोजगार-स्वरोजगार के हजारों नए अवसर भी बनाएगी। प्लांट के शुरू होते ही अनेकों लोगों को यहीं पर स्थायी नौकरी भी मिलेगी। इसके अलावा जो काम प्लांट के साथ जुड़ा होता है, मरम्मत हो, सप्लाई हो, कंस्ट्रक्शन का बहुत बड़ी मात्रा में काम होगा, यानी अनेक काम होते हैं, इन सबमें भी यहां के स्थानीय लोगों को और खासकर के मेरे नौजवानों को रोजगार मिलेगा।

लेकिन भाइयों बहनों,

आप सोचिए, किसानों के कल्याण के लिए काम बीजेपी सरकार आने के बाद ही क्यों हो रहा है? हमारा नामरूप तो दशकों से खाद उत्पादन का केंद्र था। एक समय था, जब यहां बनी खाद से नॉर्थ ईस्ट के खेतों को ताकत मिलती थी। किसानों की फसलों को सहारा मिलता था। जब देश के कई हिस्सों में खाद की आपूर्ति चुनौती बनी, तब भी नामरूप किसानों के लिए उम्मीद बना रहा। लेकिन, पुराने कारखानों की टेक्नालजी समय के साथ पुरानी होती गई, और काँग्रेस की सरकारों ने कोई ध्यान नहीं दिया। नतीजा ये हुआ कि, नामरूप प्लांट की कई यूनिट्स इसी वजह से बंद होती गईं। पूरे नॉर्थ ईस्ट के किसान परेशान होते रहे, देश के किसानों को भी तकलीफ हुई, उनकी आमदनी पर चोट पड़ती रही, खेती में तकलीफ़ें बढ़ती गईं, लेकिन, काँग्रेस वालों ने इस समस्या का कोई हल ही नहीं निकाला, वो अपनी मस्ती में ही रहे। आज हमारी डबल इंजन सरकार, काँग्रेस द्वारा पैदा की गई उन समस्याओं का समाधान भी कर रही है।

साथियों,

असम की तरह ही, देश के दूसरे राज्यों में भी खाद की कितनी ही फ़ैक्टरियां बंद हो गईं थीं। आप याद करिए, तब किसानों के क्या हालात थे? यूरिया के लिए किसानों को लाइनों में लगना पड़ता था। यूरिया की दुकानों पर पुलिस लगानी पड़ती थी। पुलिस किसानों पर लाठी बरसाती थी।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस ने जिन हालातों को बिगाड़ा था, हमारी सरकार उन्हें सुधारने के लिए एडी-चोटी की ताकत लगा रही है। और इन्होंने इतना बुरा किया,इतना बुरा किया कि, 11 साल से मेहनत करने के बाद भी, अभी मुझे और बहुत कुछ करना बाकी है। काँग्रेस के दौर में फर्टिलाइज़र्स फ़ैक्टरियां बंद होती थीं। जबकि हमारी सरकार ने गोरखपुर, सिंदरी, बरौनी, रामागुंडम जैसे अनेक प्लांट्स शुरू किए हैं। इस क्षेत्र में प्राइवेट सेक्टर को भी बढ़ावा दिया जा रहा है। आज इसी का नतीजा है, हम यूरिया के क्षेत्र में आने वाले कुछ समय में आत्मनिर्भर हो सके, उस दिशा में मजबूती से कदम रख रहे हैं।

साथियों,

2014 में देश में सिर्फ 225 लाख मीट्रिक टन यूरिया का ही उत्पादन होता था। आपको आंकड़ा याद रहेगा? आंकड़ा याद रहेगा? मैं आपने मुझे काम दिया 10-11 साल पहले, तब उत्पादन होता था 225 लाख मीट्रिक टन। ये आंकड़ा याद रखिए। पिछले 10-11 साल की मेहनत में हमने उत्पादन बढ़ाकर के करीब 306 लाख मीट्रिक टन तक पहुंच चुका है। लेकिन हमें यहां रूकना नहीं है, क्योंकि अभी भी बहुत करने की जरूरत है। जो काम उनको उस समय करना था, नहीं किया, और इसलिए मुझे थोड़ा एक्स्ट्रा मेहनत करनी पड़ रही है। और अभी हमें हर साल करीब 380 लाख मीट्रिक टन यूरिया की जरूरत पड़ती है। हम 306 पर पहुंचे हैं, 70-80 और करना है। लेकिन मैं देशवासियों को विश्वास दिलाता हूं, हम जिस प्रकार से मेहनत कर रहे हैं, जिस प्रकार से योजना बना रहे हैं और जिस प्रकार से मेरे किसान भाई-बहन हमें आशीर्वाद दे रहे हैं, हम हो सके उतना जल्दी इस गैप को भरने में कोई कमी नहीं रखेंगे।

और भाइयों और बहनों,

मैं आपको एक और बात बताना चाहता हूं, आपके हितों को लेकर हमारी सरकार बहुत ज्यादा संवेदनशील है। जो यूरिया हमें महंगे दामों पर विदेशों से मंगाना पड़ता है, हम उसकी भी चोट अपने किसानों पर नहीं पड़ने देते। बीजेपी सरकार सब्सिडी देकर वो भार सरकार खुद उठाती है। भारत के किसानों को सिर्फ 300 रुपए में यूरिया की बोरी मिलती है, उस एक बोरी के बदले भारत सरकार को दूसरे देशों को, जहां से हम बोरी लाते हैं, करीब-करीब 3 हजार रुपए देने पड़ते हैं। अब आप सोचिए, हम लाते हैं 3000 में, और देते हैं 300 में। यह सारा बोझ देश के किसानों पर हम नहीं पड़ने देते। ये सारा बोझ सरकार खुद भरती है। ताकि मेरे देश के किसान भाई बहनों पर बोझ ना आए। लेकिन मैं किसान भाई बहनों को भी कहूंगा, कि आपको भी मेरी मदद करनी होगी और वह मेरी मदद है इतना ही नहीं, मेरे किसान भाई-बहन आपकी भी मदद है, और वो है यह धरती माता को बचाना। हम धरती माता को अगर नहीं बचाएंगे तो यूरिया की कितने ही थैले डाल दें, यह धरती मां हमें कुछ नहीं देगी और इसलिए जैसे शरीर में बीमारी हो जाए, तो दवाई भी हिसाब से लेनी पड़ती है, दो गोली की जरूरत है, चार गोली खा लें, तो शरीर को फायदा नहीं नुकसान हो जाता है। वैसा ही इस धरती मां को भी अगर हम जरूरत से ज्यादा पड़ोस वाला ज्यादा बोरी डालता है, इसलिए मैं भी बोरी डाल दूं। इस प्रकार से अगर करते रहेंगे तो यह धरती मां हमसे रूठ जाएगी। यूरिया खिला खिलाकर के हमें धरती माता को मारने का कोई हक नहीं है। यह हमारी मां है, हमें उस मां को भी बचाना है।

साथियों,

आज बीज से बाजार तक भाजपा सरकार किसानों के साथ खड़ी है। खेत के काम के लिए सीधे खाते में पैसे पहुंचाए जा रहे हैं, ताकि किसान को उधार के लिए भटकना न पड़े। अब तक पीएम किसान सम्मान निधि के लगभग 4 लाख करोड़ रुपए किसानों के खाते में भेजे गए हैं। आंकड़ा याद रहेगा? भूल जाएंगे? 4 लाख करोड़ रूपया मेरे देश के किसानों के खाते में सीधे जमा किए हैं। इसी साल, किसानों की मदद के लिए 35 हजार करोड़ रुपए की दो योजनाएं नई योजनाएं शुरू की हैं 35 हजार करोड़। पीएम धन धान्य कृषि योजना और दलहन आत्मनिर्भरता मिशन, इससे खेती को बढ़ावा मिलेगा।

साथियों,

हम किसानों की हर जरूरत को ध्यान रखते हुए काम कर रहे हैं। खराब मौसम की वजह से फसल नुकसान होने पर किसान को फसल बीमा योजना का सहारा मिल रहा है। फसल का सही दाम मिले, इसके लिए खरीद की व्यवस्था सुधारी गई है। हमारी सरकार का साफ मानना है कि देश तभी आगे बढ़ेगा, जब मेरा किसान मजबूत होगा। और इसके लिए हर संभव प्रयास किए जा रहे हैं।

साथियों,

केंद्र में हमारी सरकार बनने के बाद हमने किसान क्रेडिट कार्ड की सुविधा से पशुपालकों और मछलीपालकों को भी जोड़ दिया था। किसान क्रेडिट कार्ड, KCC, ये KCC की सुविधा मिलने के बाद हमारे पशुपालक, हमारे मछली पालन करने वाले इन सबको खूब लाभ उठा रहा है। KCC से इस साल किसानों को, ये आंकड़ा भी याद रखो, KCC से इस साल किसानों को 10 लाख करोड़ रुपये से ज्यादा की मदद दी गई है। 10 लाख करोड़ रुपया। बायो-फर्टिलाइजर पर GST कम होने से भी किसानों को बहुत फायदा हुआ है। भाजपा सरकार भारत के किसानों को नैचुरल फार्मिंग के लिए भी बहुत प्रोत्साहन दे रही है। और मैं तो चाहूंगा असम के अंदर कुछ तहसील ऐसे आने चाहिए आगे, जो शत प्रतिशत नेचुरल फार्मिंग करते हैं। आप देखिए हिंदुस्तान को असम दिशा दिखा सकता है। असम का किसान देश को दिशा दिखा सकता है। हमने National Mission On Natural Farming शुरू की, आज लाखों किसान इससे जुड़ चुके हैं। बीते कुछ सालों में देश में 10 हजार किसान उत्पाद संघ- FPO’s बने हैं। नॉर्थ ईस्ट को विशेष ध्यान में रखते हुए हमारी सरकार ने खाद्य तेलों- पाम ऑयल से जुड़ा मिशन भी शुरू किया। ये मिशन भारत को खाद्य तेल के मामले में आत्मनिर्भर तो बनाएगा ही, यहां के किसानों की आय भी बढ़ाएगा।

साथियों,

यहां इस क्षेत्र में बड़ी संख्या में हमारे टी-गार्डन वर्कर्स भी हैं। ये भाजपा की ही सरकार है जिसने असम के साढ़े सात लाख टी-गार्डन वर्कर्स के जनधन बैंक खाते खुलवाए। अब बैंकिंग व्यवस्था से जुड़ने की वजह से इन वर्कर्स के बैंक खातों में सीधे पैसे भेजे जाने की सुविधा मिली है। हमारी सरकार टी-गार्डन वाले क्षेत्रों में स्कूल, रोड, बिजली, पानी, अस्पताल की सुविधाएं बढ़ा रही है।

साथियों,

हमारी सरकार सबका साथ सबका विकास के मंत्र के साथ आगे बढ़ रही है। हमारा ये विजन, देश के गरीब वर्ग के जीवन में बहुत बड़ा बदलाव लेकर आया है। पिछले 11 वर्षों में हमारे प्रयासों से, योजनाओं से, योजनाओं को धरती पर उतारने के कारण 25 करोड़ लोग, ये आंकड़ा भी याद रखना, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं। देश में एक नियो मिडिल क्लास तैयार हुआ है। ये इसलिए हुआ है, क्योंकि बीते वर्षों में भारत के गरीब परिवारों के जीवन-स्तर में निरंतर सुधार हुआ है। कुछ ताजा आंकड़े आए हैं, जो भारत में हो रहे बदलावों के प्रतीक हैं।

साथियों,

और मैं मीडिया में ये सारी चीजें बहुत काम आती हैं, और इसलिए मैं आपसे आग्रह करता हूं मैं जो बातें बताता हूं जरा याद रख के औरों को बताना।

साथियों,

पहले गांवों के सबसे गरीब परिवारों में, 10 परिवारों में से 1 के पास बाइक तक होती नहीं थी। 10 में से 1 के पास भी नहीं होती थी। अभी जो सर्वे आए हैं, अब गांव में रहने वाले करीब–करीब आधे परिवारों के पास बाइक या कार होती है। इतना ही नहीं मोबाइल फोन तो लगभग हर घर में पहुंच चुके हैं। फ्रिज जैसी चीज़ें, जो पहले “लग्ज़री” मानी जाती थीं, अब ये हमारे नियो मिडल क्लास के घरों में भी नजर आने लगी है। आज गांवों की रसोई में भी वो जगह बना चुका है। नए आंकड़े बता रहे हैं कि स्मार्टफोन के बावजूद, गांव में टीवी रखने का चलन भी बढ़ रहा है। ये बदलाव अपने आप नहीं हुआ। ये बदलाव इसलिए हुआ है क्योंकि आज देश का गरीब सशक्त हो रहा है, दूर-दराज के क्षेत्रों में रहने वाले गरीब तक भी विकास का लाभ पहुंचने लगा है।

साथियों,

भाजपा की डबल इंजन सरकार गरीबों, आदिवासियों, युवाओं और महिलाओं की सरकार है। इसीलिए, हमारी सरकार असम और नॉर्थ ईस्ट में दशकों की हिंसा खत्म करने में जुटी है। हमारी सरकार ने हमेशा असम की पहचान और असम की संस्कृति को सर्वोपरि रखा है। भाजपा सरकार असमिया गौरव के प्रतीकों को हर मंच पर हाइलाइट करती है। इसलिए, हम गर्व से महावीर लसित बोरफुकन की 125 फीट की प्रतिमा बनाते हैं, हम असम के गौरव भूपेन हजारिका की जन्म शताब्दी का वर्ष मनाते हैं। हम असम की कला और शिल्प को, असम के गोमोशा को दुनिया में पहचान दिलाते हैं, अभी कुछ दिन पहले ही Russia के राष्ट्रपति श्रीमान पुतिन यहां आए थे, जब दिल्ली में आए, तो मैंने बड़े गर्व के साथ उनको असम की ब्लैक-टी गिफ्ट किया था। हम असम की मान-मर्यादा बढ़ाने वाले हर काम को प्राथमिकता देते हैं।

लेकिन भाइयों बहनों,

भाजपा जब ये काम करती है तो सबसे ज्यादा तकलीफ काँग्रेस को होती है। आपको याद होगा, जब हमारी सरकार ने भूपेन दा को भारत रत्न दिया था, तो काँग्रेस ने खुलकर उसका विरोध किया था। काँग्रेस के राष्ट्रीय अध्यक्ष ने कहा था कि, मोदी नाचने-गाने वालों को भारत रत्न दे रहा है। मुझे बताइए, ये भूपेन दा का अपमान है कि नहीं है? कला संस्कृति का अपमान है कि नहीं है? असम का अपमान है कि नहीं है? ये कांग्रेस दिन रात करती है, अपमान करना। हमने असम में सेमीकंडक्टर यूनिट लगवाई, तो भी कांग्रेस ने इसका विरोध किया। आप मत भूलिए, यही काँग्रेस सरकार थी, जिसने इतने दशकों तक टी कम्यूनिटी के भाई-बहनों को जमीन के अधिकार नहीं मिलने दिये! बीजेपी की सरकार ने उन्हें जमीन के अधिकार भी दिये और गरिमापूर्ण जीवन भी दिया। और मैं तो चाय वाला हूं, मैं नहीं करूंगा तो कौन करेगा? ये कांग्रेस अब भी देशविरोधी सोच को आगे बढ़ा रही है। ये लोग असम के जंगल जमीन पर उन बांग्लादेशी घुसपैठियों को बसाना चाहते हैं। जिनसे इनका वोट बैंक मजबूत होता है, आप बर्बाद हो जाए, उनको इनकी परवाह नहीं है, उनको अपनी वोट बैंक मजबूत करनी है।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस को असम और असम के लोगों से, आप लोगों की पहचान से कोई लेना देना नहीं है। इनको केवल सत्ता,सरकार और फिर जो काम पहले करते थे, वो करने में इंटरेस्ट है। इसीलिए, इन्हें अवैध बांग्लादेशी घुसपैठिए ज्यादा अच्छे लगते हैं। अवैध घुसपैठियों को काँग्रेस ने ही बसाया, और काँग्रेस ही उन्हें बचा रही है। इसीलिए, काँग्रेस पार्टी वोटर लिस्ट के शुद्धिकरण का विरोध कर रही है। तुष्टीकरण और वोटबैंक के इस काँग्रेसी जहर से हमें असम को बचाकर रखना है। मैं आज आपको एक गारंटी देता हूं, असम की पहचान, और असम के सम्मान की रक्षा के लिए भाजपा, बीजेपी फौलाद बनकर आपके साथ खड़ी है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में, आपके ये आशीर्वाद यही मेरी ताकत है। आपका ये प्यार यही मेरी पूंजी है। और इसीलिए पल-पल आपके लिए जीने का मुझे आनंद आता है। विकसित भारत के निर्माण में पूर्वी भारत की, हमारे नॉर्थ ईस्ट की भूमिका लगातार बढ़ रही है। मैंने पहले भी कहा है कि पूर्वी भारत, भारत के विकास का ग्रोथ इंजन बनेगा। नामरूप की ये नई यूनिट इसी बदलाव की मिसाल है। यहां जो खाद बनेगी, वो सिर्फ असम के खेतों तक नहीं रुकेगी। ये बिहार, झारखंड, पश्चिम बंगाल और पूर्वी उत्तर प्रदेश तक पहुंचेगी। ये कोई छोटी बात नहीं है। ये देश की खाद जरूरत में नॉर्थ ईस्ट की भागीदारी है। नामरूप जैसे प्रोजेक्ट, ये दिखाते हैं कि, आने वाले समय में नॉर्थ ईस्ट, आत्मनिर्भर भारत का बहुत बड़ा केंद्र बनकर उभरेगा। सच्चे अर्थ में अष्टलक्ष्मी बन के रहेगा। मैं एक बार फिर आप सभी को नए फर्टिलाइजर प्लांट की बधाई देता हूं। मेरे साथ बोलिए-

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

और इस वर्ष तो वंदे मातरम के 150 साल हमारे गौरवपूर्ण पल, आइए हम सब बोलें-

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।