Those who sat in Pakistan and destroyed the Sindoor of our sisters, our army turned their hideouts into ruins: PM
The power of Sindoor of the daughters of India was seen by Pakistan as well as the world!: PM
Maoist violence will be completely eradicated soon. Peace, security, education and development will reach every village without any hindrance: PM
The long time demand of people of Bihar for modernising the terminal of Patna airport has been fulfilled now: PM
Our government announced the Makhana Board,gave GI tag to Makhana of Bihar immensely benefitting Makhana farmers: PM

বিহারের কারাকাটে আজ ৪৮,২০০ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বিহারের পবিত্র ভূমিতে এইসব উন্নয়নমূলক প্রকল্প রাজ্যের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিপুল  জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিহারের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা জানান। 

সাসারামের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভগবান রামের পরম্পরার সঙ্গে এই স্থান যুক্ত। তিনি বলেন, একবার কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ করা দরকার। এই দর্শনই বর্তমানে নব ভারতের নীতি বলে তিনি জানান। পহলগাঁও-এ সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কেবলমাত্র একদিন পরেই তিনি বিহারে এসে দেশের কাছে শপথ করেছিলেন, এই সন্ত্রাসের কুচক্রীদের ন্যায়বিচার হবেই। তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা তাদের কল্পনাতীত। আজ তিনি বিহারে দাঁড়িয়ে পুনরায় বলেন, তিনি তাঁর শপথ রক্ষা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে বসে যারা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের মেয়েদের কপালের সিঁদুরের কী শক্তি তা পাকিস্তান এবং সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় যেসব জঙ্গী একসময় নিজেদের নিরাপদ মনে করতো, ভারতীয় সেনাশক্তির একটি আঘাতেই তারা পদানত হয়ে পড়েছে। শ্রী মোদী বলেন, পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি এবং সামরিক ক্ষেত্রগুলিকে কয়েক মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটাই নতুন ভারত এবং পরাক্রমশালী নতুন ভারতের পরিচয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের যুবাদের অনেকেই ভারতের সামরিক বাহিনী এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে কর্মরত। অপারেশন সিঁদুরে বিএসএফ যে অসাধারণ শৌর্য এবং সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে সারা বিশ্ব তা দেখেছে। তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা দেশের সুরক্ষার এক অলঙ্ঘনীয় ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। ১০ মে সীমান্তে প্রহরায় দায়িত্বনিষ্ঠ থেকে দেশের জন্য মৃত্যু বরণ করা বিএসএফ সাব ইন্সপেক্টর ইমতিয়াজের প্রতি তিনি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী পুনরায় বলেন, অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় শক্তির যে নমুনা প্রদর্শিত 
হয়েছে, তা কেবল ধনুক থেকে ছোঁড়া একটি তীর  মাত্র। 

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দেশের প্রতিটি শত্রুর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই, তা সীমান্তের ওপারেই হোক বা দেশের ভিতরেই হোক। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলিতে বিহার দেখেছে হিংসাশ্রয়ী এবং বিচ্ছিন্নতাকারী শক্তিগুলিকে কীভাবে নির্মূল করা হচ্ছে। তিনি সাসারাম, কৈমুর এবং সংলগ্ন জেলাগুলির উল্লেখ করে বলেন, অতীতে এইসব জেলাগুলিতে নকশালবাদের ভয়ভীতির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেও তা নকশাল প্রভাবিত গ্রামগুলিতে পৌঁছতে পারতো না। সেখানে কোনো হাসপাতাল বা মোবাইল টাওয়ার ছিল না। বিদ্যালয়গুলিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাস্তা নির্মাণের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের হত্যা করা হত। তিনি বলেন, বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানে এইসব সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তির কোনো বিশ্বাস ছিল না। নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে এই অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। জঙ্গলরাজ সরকার থেকে বিহারে এখন উন্নয়নের সরকার রাজ্যকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভাঙাচোরা মহাসড়ক, বিপর্যস্ত রেল ব্যবস্থা, সীমিত উড়ান সংযোগ এখন অতীতের বিষয়। বিহারে এক সময় একটিমাত্র বিমান বন্দর  ছিল পাটনাতে। কিন্তু আজ দ্বারভাঙা বিমান বন্দর থেকে সরাসরি বিমান যোগে দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরুও যাওয়া যায়। পাটনা বিমান বন্দরের টার্মিনালের আধুনিকীকরণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এই টার্মিনাল তৈরি হওয়ায় এই বিমান বন্দর এখন ১ কোটি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। বিহারে বিহতা বিমান বন্দরে ১,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

বিহার জুড়ে ৪ লেন ৬ লেনের সড়ক উন্নয়ন রাজ্যের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দ্রুত সহায়ক হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটনা থেকে বক্সা, গয়া থেকে ধোবি এবং পাটনা থেকে বুদ্ধগয়া মহা সড়কের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। পাটনা-আরা-সাসারামে গ্রিনফিল্ড করিডরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। গঙ্গা, সোন, গণ্ডক, কোশি প্রভৃতি নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণ বিহারের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে বলে তিনি জানান। কোটি কোটি টাকার নানা প্রকল্পে বিনিয়োগ, তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান, পর্যটনের প্রসার এবং এলাকায় বাণিজ্যে সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারে রেল পরিকাঠামোর রূপান্তর ঘটেছে। বিশ্বমানের বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হয়েছে। ছাপড়া, মুজাফ্ফরপুর, কাটিহার প্রভৃতি জায়গায় রেল পথ সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলেছে। শ্রী মোদী বলেন, সাসারামে ১০০রও বেশি ট্রেন দাঁড়াবে যার মধ্যে দিয়ে এলাকার অগ্রগতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়। রেল নেটওয়ার্ককে আধুনিক করে তোলার ওপরও জোর দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারে এইসব উন্নয়নের কাজ অতীতেও করা যেত। তবে বিহারের রেল পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের সঙ্গে যুক্তরা ব্যক্তিগত স্বার্থে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করেছে। রাজ্যের মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। কোনোরকম প্রবঞ্চনা এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে বিহারের মানুষকে তিনি সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপরেই নির্ভর করে শিল্পের অগ্রগতি এবং জীবনযাত্রার সাচ্ছন্দ্য। তিনি বলেন, বিহারে বিদ্যুৎ ক্রয় বর্তমানে বিগত দশকের তুলনায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নবীনগরে ৩০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এনটিপিসি-র নির্মীয়মান বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন পিএম কুসুম প্রকল্প থেকে কৃষকরা নানাভাবে উপকৃত। সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে তাঁরা উপার্জন করতে পারছেন। তাঁদের কৃষি উৎপাদনের কাজেও তা লাগছে বলে তিনি জানান। আধুনিক পরিকাঠামো গ্রামে নানা সুবিধা নিয়ে আসে। গ্রামের গরিবরা, কৃষকরা, ছোট ব্যবসায়ীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, ৩ কোটি মহিলার লাখপতি দিদি উদ্যোগের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন ঘটেছে। ৪ কোটি নতুন আবাসন প্রদান করা হয়েছে। ১২ কোটিরও বেশি গৃহে পাইপ বাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ৭০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিখরচায় যাতে চিকিৎসা পান তার সংস্থান করা হয়েছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো গ্রাম বা পরিবার যাতে পিছিয়ে না থাকে তা সুনিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য নিয়ে বিহার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর সমগ্র সেবা অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকার  সুবিধাপ্রাপকদের কাছে সরাসরি পৌঁছলে দুর্নীতি এবং বৈষম্যকে দূর করা যায়। বাবা সাহেব আম্বেদকর, কর্পুরী ঠাকুর, বাবু জগজীবন রাম এবং জয়প্রকাশ নারায়ণের আদর্শ পথে বিহারের রূপান্তরের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত উন্নত ভারত গড়ে তুলতে রাজ্যের অবদানকে সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, বিহারের যখনই উন্নতি হয়েছে, ভারত উন্নয়নের নতুন শিখর স্পর্শ করেছে। উপস্থিত জনসাধারণকে উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষে পুনরায় আস্থার সঙ্গে বলেন, একত্রে উন্নয়নের পথকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো গ্রাম বা পরিবার যাতে পিছিয়ে না থাকে তা সুনিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য নিয়ে বিহার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর সমগ্র সেবা অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকার  সুবিধাপ্রাপকদের কাছে সরাসরি পৌঁছলে দুর্নীতি এবং বৈষম্যকে দূর করা যায়। বাবা সাহেব আম্বেদকর, কর্পুরী ঠাকুর, বাবু জগজীবন রাম এবং জয়প্রকাশ নারায়ণের আদর্শ পথে বিহারের রূপান্তরের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত উন্নত ভারত গড়ে তুলতে রাজ্যের অবদানকে সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, বিহারের যখনই উন্নতি হয়েছে, ভারত উন্নয়নের নতুন শিখর স্পর্শ করেছে। উপস্থিত জনসাধারণকে উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষে পুনরায় আস্থার সঙ্গে বলেন, একত্রে উন্নয়নের পথকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন পিএম কুসুম প্রকল্প থেকে কৃষকরা নানাভাবে উপকৃত। সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে তাঁরা উপার্জন করতে পারছেন। তাঁদের কৃষি উৎপাদনের কাজেও তা লাগছে বলে তিনি জানান। আধুনিক পরিকাঠামো গ্রামে নানা সুবিধা নিয়ে আসে। গ্রামের গরিবরা, কৃষকরা, ছোট ব্যবসায়ীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, ৩ কোটি মহিলার লাখপতি দিদি উদ্যোগের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন ঘটেছে। ৪ কোটি নতুন আবাসন প্রদান করা হয়েছে। ১২ কোটিরও বেশি গৃহে পাইপ বাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ৭০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিখরচায় যাতে চিকিৎসা পান তার সংস্থান করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো গ্রাম বা পরিবার যাতে পিছিয়ে না থাকে তা সুনিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য নিয়ে বিহার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর সমগ্র সেবা অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকার  সুবিধাপ্রাপকদের কাছে সরাসরি পৌঁছলে দুর্নীতি এবং বৈষম্যকে দূর করা যায়। বাবা সাহেব আম্বেদকর, কর্পুরী ঠাকুর, বাবু জগজীবন রাম এবং জয়প্রকাশ নারায়ণের আদর্শ পথে বিহারের রূপান্তরের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত উন্নত ভারত গড়ে তুলতে রাজ্যের অবদানকে সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, বিহারের যখনই উন্নতি হয়েছে, ভারত উন্নয়নের নতুন শিখর স্পর্শ করেছে। উপস্থিত জনসাধারণকে উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষে পুনরায় আস্থার সঙ্গে বলেন, একত্রে উন্নয়নের পথকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 

 

বিহারের রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে শ্রী জিতন রাম মাঝি,  শ্রী গিরিরাজ সিং, শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং, শ্রী চিরাগ পাসওয়ান, শ্রী নিত্যানন্দ রাই, শ্রী সতীশচন্দ্র দুবে, ডঃ রাজ ভূষণ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Most NE districts now ‘front runners’ in development goals: Niti report

Media Coverage

Most NE districts now ‘front runners’ in development goals: Niti report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা হয়েছে
July 09, 2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে একাধিক দেশ। এই স্বীকৃতিগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন যা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উত্থানকে মজবুত করেছে। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।

 আসুন, গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা পুরস্কারগুলি দেখে নেওয়া যাক।

দেশের প্রদান করা পুরস্কারগুলি:

১. ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি আরব সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - কিং আব্দুল আজিজ সাশ-এ ভূষিত করা হয়েছে। প্রিন্স সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

২. একই বছর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - আমির আমানউল্লাহ খান পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

৩. ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ফিলিস্তিনে ঐতিহাসিক সফর করেন, তখন তাঁকে গ্র্যান্ড কলার অব দ্য স্টেট অব প্যালেস্তাইন পুরস্কার প্রদান করা দেওয়া হয়। এটি বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সম্মান।

৪. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ডার অব জায়েদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।

৫. ২০১৯ সালে রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাদের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে - অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু। 

৬. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ডিসটিনগুইশড রুল অফ নিশান ইজ্জুদ্দিন প্রদান করা হয়েছে।

৭. ২০১৯ সালে বাহরিন সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনিয়াস্য়ান্স সম্মানে ভূষিত করা হয়।

৮. ২০২০ সালে মার্কিন সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মানে ভূষিত করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া পুরস্কার যা ব্যতিক্রমী মেধাবী আচরণের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

৯. ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভুটান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপোতে ভূষিত করেছে।

সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ছাড়াও, বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করেছে।

১. সিওল শান্তি পুরস্কার: মানবজাতির সম্প্রীতি, জাতি এবং বিশ্বের মধ্যে পুনর্মিলন বিষয়ে সিউল পিস প্রাইজ কালচারাল ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে হয়েছিল।

২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড: এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ পরিবেশগত সম্মান। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সাহসী ভূমিকার জন্য ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

৩. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রথম ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেনশিয়াল পুরস্কার প্রদান করেছে। প্রতি বছর রাষ্ট্রের একজন নেতাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের শংসাপত্রে বলা হয়েছে, দেশকে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হল।

৪. ২০১৯ সালে বিল ও মিলিন্ডা গেটস্‌ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের স্বীকৃতি-স্বরূপ ‘গ্লোবাল গোলকিপার’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পুরস্কার সেইসব ভারতীয়কে উৎসর্গ করেন, যাঁরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছেন এবং এই অভিযানকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ করে তুলেছেন।

৫. ২০২১ সালে কেমব্রিজ এনার্জি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস বা সিইআরএ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরিবেশ নেতৃত্ব পুরস্কার প্রদান করেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তি ও পরিবেশের বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়ণে নেতৃত্বের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।.