শেয়ার
 
Comments
আগে স্বল্প মূল্যে রেশন প্রকল্পের সুযোগ ও বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হলেও সেই অনুপাতে অভুক্ত এবং অপুষ্টির পরিমাণ কমেনি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা শুরু হওয়ার পর সুবিধাভোগীরা আগের থেকে প্রায় দ্বিগুণ রেশন পাচ্ছেন : প্রধানমন্ত্রী
মহামারীর সময়ে ৮০ কোটির বেশি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন, এরজন্য ব্যয় হচ্ছে ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি : প্রধানমন্ত্রী
শতাব্দীর মধ্যে বৃহত্তম মহামারী সত্ত্বেও কোনো নাগরিক অভুক্ত নেই : প্রধানমন্ত্রী
আজ দরিদ্র মানুষদের ক্ষমতায়ণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আজ নতুন ভারতের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশ ৫০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার মাইল ফলকের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে : প্রধানমন্ত্রী
আসুন আমরা সবাই আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে দেশ গড়ার জন্য নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হওয়ার শপথ নিই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছেন। এই প্রকল্পের বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে রাজ্যে একটি গণ অংশীদারিত্ব কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে।  

এই উপলক্ষ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গুজরাটের লক্ষ লক্ষ পরিবার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। এই রেশন পাওয়ার ফলে দরিদ্র মানুষদের দূর্দশা কমছে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। দরিদ্র মানুষরা বুঝতে পারছেন যে দূর্যোগই আসুক না কেন, দেশ তাদের পাশেই রয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন স্বাধীনতার পর প্রায় প্রত্যেক সরকার দরিদ্র মানুষদের স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। বছরের পর বছর স্বল্পমূল্যে রেশন দেওয়ার জন্য সুযোগ এবং অর্থবরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এর প্রভাব ছিল সীমাবদ্ধ। দেশের খাদ্য মজুত করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে অভুক্ত থাকা এবং অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা কমেনি। এর পিছনে  অন্যতম কারণ হল যথাযথভাবে বন্টন করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানোর জন্য ২০১৪ সালের পর থেকে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোটি কোটি ভুয়ো সুবিধাভোগীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং রেশন কার্ডকে আধারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে শতাব্দীর সর্ববৃহৎ দুর্যোগের মধ্যে লকডাউনের সময় যখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি হয়েছে, মানুষের জীবিকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে সেই পরিস্থিতিতে কোনো নাগরিক যাতে অভুক্ত না থাকেন তা  নিশ্চিত করা হয়েছে। সারা বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করে মহামারীর সময় ৮০ কোটির বেশি মানুষকে রেশন দেওয়া হয়েছে। 

শ্রী মোদী আজ বলেছেন, ২ টাকা কেজি দরে গম, ৩ টাকা কেজি দরে চালের পাশাপাশি প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে ৫ কেজি গম বা আটা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগে রেশন কার্ডধারীরা যতটা পরিমাণ খাদ্যশস্য পেতেন বর্তমানে তারা তার দ্বিগুণ পরিমাণ খাদ্যশস্য পাচ্ছেন। দীপাবলি পর্যন্ত এই প্রকল্প চালু থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দরিদ্র মানুষ এখন অভুক্ত অবস্থায় ঘুমাতে যান না। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে লাভবান হন তার জন্য এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থাকে কার্যকর করার জন্য গুজরাট সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তিনি সেই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।    

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ পরিকাঠামোর জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। এর ফলে সহজ জীবনযাত্রার নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। দরিদ্র মানুষদের ক্ষমতায়নকে আজ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২ কোটির বেশি দরিদ্র পরিবার বাড়ি পেয়েছেন। ১০ কোটি পরিবার শৌচালয় পেয়েছেন। একইভাবে জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁদের ক্ষমতায়ণ ঘটেছে।  

শ্রী মোদী বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং মর্যাদার জন্য কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। আয়ুষ্মান যোজনা, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ, সড়ক পরিবহণ, বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ, মুদ্রা যোজনা এবং স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষরা আজ মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারছেন এবং তাদের ক্ষমতায়ণ নিশ্চিত হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গুজরাট সহ সারা দেশে এ ধরণের নানা কাজ হচ্ছে। এর ফলে আজ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি দেশবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছে। প্রতিটি স্বপ্ন পূরণে, প্রতিটি সংকটের মোকাবিলা করার জন্য এই আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন।   

ভারতের অলিম্পিক দলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতাব্দীর মধ্যে বৃহত্তম দূর্যোগের সময়কালে সর্বোচ্চ সংখ্যক খেলোয়াড় অলিম্পিক্সে খেলায় যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁরা শুধু যোগ্যতাই অর্জন করেননি, তাঁরা বিখ্যাত খেলোয়াড়দের দিকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।    

শ্রী মোদী বলেন, আজ ভারতীয় খেলোয়াড়দের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আবেগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। যখন সঠিক মেধা শনাক্ত হয় এবং তাকে উৎসাহিত করা যায় তখনই এই আত্মবিশ্বাস জন্মায়। যখন ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়, সেটি স্বচ্ছ হয় তখন এই আত্মবিশ্বাস দেখা যায়। আমাদের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আজ নতুন ভারতের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে টিকাকরণ অভিযানকেও সফল করার ডাক দিয়েছেন। তিনি বিশ্বজুড়ে এই মহামারীর মধ্যে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।  

দেশ টিকাকরণ অভিযানে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ৫০ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়ার মাইল ফলক লক্ষ্যপূরণে আমরা এগিয়ে চলেছি। গুজরাটও ৩.৫ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার মাইল ফলক অতিক্রম করতে চলেছে। তবে তিনি টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা এবং জনবহুল এলাকায় যতটা সম্ভব না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

শ্রী মোদী  দেশ গড়ার জন্য সকলকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হওয়ার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে এই পবিত্র শপথ নিতে হবে, যেখানে দরিদ্র, ধনী, পুরুষ ও মহিলা, সমাজের পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়ের মানুষ- প্রত্যেকের সমান অধিকার থাকবে।  

এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য গত বছর কোভিডের সময় ৯৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, খাদ্য নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে স্বাভাবিক সময়কালের থেকে যা ৫০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে খাদ্যশস্যে ভর্তুকি বাবদ ২.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।  

গুজরাটে ৩ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি সুবিধাভোগী ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পেয়েছেন। এর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ ব্যয় হয়েছে। 

পরিযায়ী সুবিধাভোগীদের খাদ্য সুরক্ষাকে আরও মজবুত করতে এ পর্যন্ত ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হয়েছে। 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ
Nari Shakti finds new momentum in 9 years of PM Modi governance

Media Coverage

Nari Shakti finds new momentum in 9 years of PM Modi governance
...

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Tamil Nadu has been a bastion of Indian nationalism: PM Modi
May 27, 2023
শেয়ার
 
Comments
“Tamil Nadu has been a bastion of Indian nationalism”
“Under the guidance of Adheenam and Raja Ji we found a blessed path from our sacred ancient Tamil Culture - the path of transfer of power through the medium of Sengol”
“In 1947 Thiruvaduthurai Adheenam created a special Sengol. Today, pictures from that era are reminding us about the deep emotional bond between Tamil culture and India's destiny as a modern democracy”
“Sengol of Adheenam was the beginning of freeing India of every symbol of hundreds of years of slavery”
“it was the Sengol which conjoined free India to the era of the nation that existed before slavery”
“The Sengol is getting its deserved place in the temple of democracy”

नअनैवरुक्कुम् वणक्कम्

ऊँ नम: शिवाय, शिवाय नम:!

हर हर महादेव!

सबसे पहले, विभिन्न आदीनम् से जुड़े आप सभी पूज्य संतों का मैं शीश झुकाकर अभिनंदन करता हूं। आज मेरे निवास स्थान पर आपके चरण पड़े हैं, ये मेरे लिए बहुत सौभाग्य की बात है। ये भगवान शिव की कृपा है जिसकी वजह से मुझे एक साथ आप सभी शिव भक्तों के दर्शन करने का मौका मिला है। मुझे इस बात की भी बहुत खुशी है कि कल नए संसद भवन के लोकार्पण के समय आप सभी वहां साक्षात आकर के आशीर्वाद देने वाले हैं।

पूज्य संतगण,

हम सभी जानते हैं कि हमारे स्वतंत्रता संग्राम में तमिलनाडु की कितनी महत्वपूर्ण भूमिका रही है। वीरमंगई वेलु नाचियार से लेकर मरुदु भाइयों तक, सुब्रह्मण्य भारती से लेकर नेताजी सुभाष चंद्र बोस के साथ जुड़ने वाले अनेकों तमिल लोगों तक, हर युग में तमिलनाडु, भारतीय राष्ट्रवाद का गढ़ रहा है। तमिल लोगों के दिल में हमेशा से मां भारती की सेवा की, भारत के कल्याण की भावना रही है। बावजूद इसके, ये बहुत दुर्भाग्यपूर्ण है कि भारत की आजादी में तमिल लोगों के योगदान को वो महत्व नहीं दिया गया, जो दिया जाना चाहिए था। अब बीजेपी ने इस विषय को प्रमुखता से उठाना शुरू किया है। अब देश के लोगों को भी पता चल रहा है कि महान तमिल परंपरा और राष्ट्रभक्ति के प्रतीक तमिलनाडु के साथ क्या व्यवहार हुआ था।

जब आजादी का समय आया, तब सत्ता के हस्तांतरण के प्रतीक को लेकर प्रश्न उठा था। इसके लिए हमारे देश में अलग-अलग परंपराएं रही हैं। अलग-अलग रीति-रिवाज भी रहे हैं। लेकिन उस समय राजाजी और आदीनम् के मार्गदर्शन में हमें अपनी प्राचीन तमिल संस्कृति से एक पुण्य मार्ग मिला था। ये मार्ग था- सेंगोल के माध्यम से सत्ता हस्तांतरण का। तमिल परंपरा में, शासन चलाने वाले को सेंगोल दिया जाता था। सेंगोल इस बात का प्रतीक था कि उसे धारण करने वाले व्यक्ति पर देश के कल्याण की जिम्मेदारी है और वो कभी कर्तव्य के मार्ग से विचलित नहीं होगा। सत्ता हस्तांतरण के प्रतीक के तौर पर तब 1947 में पवित्र तिरुवावडुतुरै आदीनम् द्वारा एक विशेष सेंगोल तैयार किया गया था। आज उस दौर की तस्वीरें हमें याद दिला रही हैं कि तमिल संस्कृति और आधुनिक लोकतंत्र के रूप में भारत की नियति के बीच कितना भावुक और आत्मीय संबंध रहा है। आज उन गहरे संबंधों की गाथा इतिहास के दबे हुए पन्नों से बाहर निकलकर एक बार फिर जीवंत हो उठी है। इससे उस समय की घटनाओं को समझने का सही दृष्टिकोण भी मिलता है। और इसके साथ ही, हमें ये भी पता चलता है कि सत्ता के हस्तांतरण के इस सबसे बड़े प्रतीक के साथ क्या किया गया।

मेरे देशवासियों,

आज मैं राजाजी और विभिन्न आदीनम् की दूरदर्शिता को भी विशेष तौर पर नमन करूंगा। आदीनम के एक सेंगोल ने, भारत को सैकड़ों वर्षों की गुलामी के हर प्रतीक से मुक्ति दिलाने की शुरुआत कर दी थी। जब भारत की आजादी का प्रथम पल आया, आजादी का प्रथम पल, वो क्षण आया, तो ये सेंगोल ही था, जिसने गुलामी से पहले वाले कालखंड और स्वतंत्र भारत के उस पहले पल को आपस में जोड़ दिया था। इसलिए, इस पवित्र सेंगोल का महत्व सिर्फ इतना ही नहीं है कि ये 1947 में सत्ता हस्तांतरण का प्रतीक बना था। इस सेंगोल का महत्व इसलिए भी है क्योंकि इसने गुलामी के पहले वाले गौरवशाली भारत से, उसकी परंपराओं से, स्वतंत्र भारत के भविष्य को कनेक्ट कर दिया था। अच्छा होता कि आजादी के बाद इस पूज्य सेंगोल को पर्याप्त मान-सम्मान दिया जाता, इसे गौरवमयी स्थान दिया जाता। लेकिन ये सेंगोल, प्रयागराज में, आनंद भवन में, Walking Stick यानि पैदल चलने पर सहारा देने वाली छड़ी कहकर, प्रदर्शनी के लिए रख दिया गया था। आपका ये सेवक और हमारी सरकार, अब उस सेंगोल को आनंद भवन से निकालकर लाई है। आज आजादी के उस प्रथम पल को नए संसद भवन में सेंगोल की स्थापना के समय हमें फिर से पुनर्जीवित करने का मौका मिला है। लोकतंत्र के मंदिर में आज सेंगोल को उसका उचित स्थान मिल रहा है। मुझे खुशी है कि अब भारत की महान परंपरा के प्रतीक उसी सेंगोल को नए संसद भवन में स्थापित किया जाएगा। ये सेंगोल इस बात की याद दिलाता रहेगा कि हमें कर्तव्य पथ पर चलना है, जनता-जनार्दन के प्रति जवाबदेह बने रहना है।

पूज्य संतगण,

आदीनम की महान प्रेरक परंपरा, साक्षात सात्विक ऊर्जा का प्रतीक है। आप सभी संत शैव परंपरा के अनुयायी हैं। आपके दर्शन में जो एक भारत श्रेष्ठ भारत की भावना है, वो स्वयं भारत की एकता और अखंडता का प्रतिबिंब है। आपके कई आदीनम् के नामों में ही इसकी झलक मिल जाती है। आपके कुछ आदीनम् के नाम में कैलाश का उल्लेख है। ये पवित्र पर्वत, तमिलनाडु से बहुत दूर हिमालय में है, फिर भी ये आपके हृदय के करीब है। शैव सिद्धांत के प्रसिद्ध संतों में से एक तिरुमूलर् के बारे में कहा जाता है कि वो कैलाश पर्वत से शिव भक्ति का प्रसार करने के लिए तमिलनाडु आए थे। आज भी, उनकी रचना तिरुमन्दिरम् के श्लोकों का पाठ भगवान शिव की स्मृति में किया जाता है। अप्पर्, सम्बन्दर्, सुन्दरर् और माणिक्का वासगर् जैसे कई महान संतों ने उज्जैन, केदारनाथ और गौरीकुंड का उल्लेख किया है। जनता जनार्दन के आशीर्वाद से आज मैं महादेव की नगरी काशी का सांसद हूं, तो आपको काशी की बात भी बताऊंगा। धर्मपुरम आदीनम् के स्वामी कुमारगुरुपरा तमिलनाडु से काशी गए थे। उन्होंने बनारस के केदार घाट पर केदारेश्वर मंदिर की स्थापना की थी। तमिलनाडु के तिरुप्पनन्दाळ् में काशी मठ का नाम भी काशी पर रखा गया है। इस मठ के बारे में एक दिलचस्प जानकारी भी मुझे पता चली है। कहा जाता है कि तिरुप्पनन्दाळ् का काशी मठ, तीर्थयात्रियों को बैकिंग सेवाएं उपलब्ध कराता था। कोई तीर्थयात्री तमिलनाडु के काशी मठ में पैसे जमा करने के बाद काशी में प्रमाणपत्र दिखाकर वो पैसे निकाल सकता था। इस तरह, शैव सिद्धांत के अनुयायियों ने सिर्फ शिव भक्ति का प्रसार ही नहीं किया बल्कि हमें एक दूसरे के करीब लाने का कार्य भी किया।

पूज्य संतगण,

सैकड़ों वर्षों की गुलामी के बाद भी तमिलनाडु की संस्कृति आज भी जीवंत और समृद्ध है, तो इसमें आदीनम् जैसी महान और दिव्य परंपरा की भी बड़ी भूमिका है। इस परंपरा को जीवित रखने का दायित्व संतजनों ने तो निभाया ही है, साथ ही इसका श्रेय पीड़ित-शोषित-वंचित सभी को जाता है कि उन्होंने इसकी रक्षा की, उसे आगे बढ़ाया। राष्ट्र के लिए योगदान के मामले में आपकी सभी संस्थाओं का इतिहास बहुत गौरवशाली रहा है। अब उस अतीत को आगे बढ़ाने, उससे प्रेरित होने और आने वाली पीढ़ियों के लिए काम करने का समय है।

पूज्य संतगण,

देश ने अगले 25 वर्षों के लिए कुछ लक्ष्य तय किए हैं। हमारा लक्ष्य है कि आजादी के 100 साल पूरे होने तक एक मजबूत, आत्मनिर्भर और समावेशी विकसित भारत का निर्माण हो। 1947 में आपकी महत्वपूर्ण भूमिका से कोटि-कोटि देशवासी पुन: परिचित हुए हैं। आज जब देश 2047 के बड़े लक्ष्यों को लेकर आगे बढ़ रहा है तब आपकी भूमिका और महत्वपूर्ण हो गई है। आपकी संस्थाओं ने हमेशा सेवा के मूल्यों को साकार किया है। आपने लोगों को एक-दूसरे से जोड़ने का, उनमें समानता का भाव पैदा करने का बड़ा उदाहरण पेश किया है। भारत जितना एकजुट होगा, उतना ही मजबूत होगा। इसलिए हमारी प्रगति के रास्ते में रुकावटें पैदा करने वाले तरह-तरह की चुनौतियां खड़ी करेंगे। जिन्हें भारत की उन्नति खटकती है, वो सबसे पहले हमारी एकता को ही तोड़ने की कोशिश करेंगे। लेकिन मुझे विश्वास है कि देश को आपकी संस्थाओं से आध्यात्मिकता और सामाजिकता की जो शक्ति मिल रही है, उससे हम हर चुनौती का सामना कर लेंगे। मैं फिर एक बार, आप मेरे यहां पधारे, आप सबने आशीर्वाद दिये, ये मेरा सौभाग्य है, मैं फिर एक बार आप सबका हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ, आप सबको प्रणाम करता हूँ। नए संसद भवन के लोकार्पण के अवसर पर आप सब यहां आए और हमें आशीर्वाद दिया। इससे बड़ा सौभाग्य कोई हो नहीं सकता है और इसलिए मैं जितना धन्यवाद करूँ, उतना कम है। फिर एक बार आप सबको प्रणाम करता हूँ।

ऊँ नम: शिवाय!

वणक्कम!