Navkar Mahamantra is not just a mantra, it is the core of our faith: PM
Navkar Mahamantra embodies humility, peace and universal harmony: PM
Navkar Mahamantra along with the worship of Panch Parmeshthi symbolises the right knowledge, perception and conduct, and the path leading to salvation: PM
Jain literature has been the backbone of the intellectual glory of India: PM
Climate change is today's biggest crisis and its solution is a sustainable lifestyle, which the Jain community has practiced for centuries and aligns perfectly with India's Mission LiFE: PM
PM proposes 9 resolutions on Navkar Mahamantra Divas

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে নবকার মহামন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে নবকার মন্ত্রের গূঢ় আধ্যাত্মিক চেতনার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, এর মধ্য দিয়ে মনে শান্তি ও সুস্থিতি আসে। তিনি এর মহত্বের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বলেন, এই মন্ত্রের প্রতিটি শব্দ আমাদের মননে এবং চেতনায় গভীরভাবে অনুরণিত হয়। নবকার মন্ত্রের পবিত্র শ্লোক পাঠ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের দেহে শক্তি সঞ্চারিত হয়, স্থৈর্য্য ও চেতনার সহাবস্থান গড়ে ওঠে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। নবকার মন্ত্রের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা তিনি সর্বদাই অনুভব করে থাকেন। বহু বছর আগে বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমবেত কন্ঠে মন্ত্রোচ্চারণ প্রত্যক্ষ করে তার প্রভাব তাঁর জীবনে কতটা পড়েছিল, সেকথাও তিনি জানান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ যুগপৎ চেতনাকে সঙ্গ করে এখানে এসেছেন এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে।

গুজরাট তাঁর মাতৃভূমি, যেখানে প্রতিটি গলিতে জৈন ধর্মের প্রভাব রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই জৈন আচার্যদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছে। “নবকার মন্ত্র শুধু একটি মন্ত্রই নয়, এটি আস্থা ও জীবনের সার কথা।” এই মন্ত্রের মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত হয় যা ব্যক্তিবিশেষ এবং সমগ্র সমাজকে পরিচালনা করে। এর প্রতিটি শ্লোক এবং ছন্দের গভীর অর্থ রয়েছে। যখন এই মন্ত্র পাঠ করা হয়, তখন পঞ্চ পরমেষ্ঠীকে প্রণাম জানানো হয়।  অরিহন্তরা “কেবল জ্ঞান” অর্জন করে  “ভব্য জীব”কে পথ প্রদর্শন করায়। তাঁদের ১২ ধরনের পবিত্র গুণ থাকে। অন্যদিকে, সিদ্ধ পুরুষরা আট ধরনের শুদ্ধ গুণসম্পন্ন হন। আচার্যগণ, মহাব্রতকে অনুসরণ করে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা ৩৬ রকমের গুণকে আত্মস্থ করে মোক্ষলাভের বিষয়ে অবগত হন। সাধুরা তপস্যার মধ্য দিয়ে মোক্ষলাভের দিকে এগিয়ে যান, তাঁরা ২৭টি গুণ অর্জন করে থাকেন। এগুলির প্রত্যেকটি অধ্যাত্মবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

 

“নবকার মন্ত্র পাঠের সময় ১০৮ ধরনের পবিত্র গুণকে প্রণাম জানানো হয় এবং মানুষের কল্যাণে তা নিয়োজিত হয়।” শ্রী মোদী বলেন, আমাদের জীবন যাতে সঠিক পথে চালিত হয়, এই মন্ত্র সেই দিকনির্দেশ করে। নবকার মন্ত্র আমাদের আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে নিজের জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের নিজেদের মধ্যেই নেতিবাচক ভাবনা, অবিশ্বাস, শত্রুতা এবং স্বার্থপরতার মতো চারটি প্রকৃত শত্রু রয়েছে। এদের পরাজিত করে প্রকৃত বিজয় অর্জন করতে হবে। জৈন ধর্ম আমাদের বহির্জগতের পরিবর্তে আত্মবিজয়ের পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। আত্মবিজয়ে জয়ী ব্যক্তিই অরিহন্ত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। নবকার মন্ত্র সেই পথ দেখায় যেখানে ব্যক্তিবিশেষ সকলেরই আত্মশুদ্ধি ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নবকার মন্ত্র প্রকৃতপক্ষে মানুষের ধ্যান, অনুশীলন এবং আত্মশুদ্ধির একটি মন্ত্র”।  আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর দৃষ্টিভঙ্গি এবং কালজয়ী প্রকৃতির দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে ও শাস্ত্রীয় ঐতিহ্য অনুসরণ করে  বহু মন্ত্র প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুসরণ করা হয়। প্রথমে মৌখিকভাবে, তারপর শিলালিপির মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে প্রাকৃত পাণ্ডুলিপির মাধ্যমে আজও এই মন্ত্র মানবতাকে পথ দেখিয়ে চলেছে। “নবকার মন্ত্র, পঞ্চ পরমেশ্বরীকে শ্রদ্ধা করার পাশাপাশি, সঠিক জ্ঞান, উপলব্ধি এবং আচরণের প্রতীক, যা মুক্তির পথ দেখায়”। আমাদের জীবনের নয়টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা জীবনকে পূর্ণতার দিকে পরিচালিত করে।  ভারতীয় সংস্কৃতিতে নয় সংখ্যাটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জৈন ধর্ম-ও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে নয়টি নবকার মন্ত্র, নয়টি উপাদান এবং নয়টি গুণাবলী রয়েছে, পাশাপাশি নয় রকমের ধন, দ্বার, গ্রহ, দুর্গার রূপ এবং নবধা ভক্তির মতো ঐতিহ্য রয়েছে। নয়বার বা নয়ের গুণিতকে, যেমন ২৭, ৫৪, অথবা ১০৮ — বার মন্ত্রের পুনরাবৃত্তি করলে তা সম্পূর্ণ হয়। নয় সংখ্যাটি নিছক এক সংখ্যা নয়, তা একটি দর্শন, কারণ এটি সম্পূর্ণ এক প্রক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে। পরিপূর্ণতা অর্জনের পর, মন এবং বুদ্ধি স্থিতিশীল হয় এবং নতুন জিনিসের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থেকে মোক্ষলাভ করে। এর পরও মানুষ তাঁর নিজের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে ।  এটিই নবকার মন্ত্রের সারাংশ। 

 

নবকার মন্ত্রের দর্শন এবং উন্নত ভারত গড়ার স্বপ্ন আসলে একই বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, লালকেল্লার প্রাকার থেকে উন্নত ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রগতি এবং ঐতিহ্য উভয়েই সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে তাঁর ভাষণে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। যে কোন দেশ তার নতুন উচ্চতায় তখনই পৌঁছয় যখন সে তার চিরাচরিত ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে চলে। উন্নত ভারত তার সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। তীর্থঙ্কররা সংরক্ষণের বিষয়ে যে শিক্ষা দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, দেশজুড়ে ভগবান মহাবীরের ২,৫৫০তম নির্বাণ মহোৎসব উদযাপনের সময় এ দেশে বহু প্রাচীন মূর্তিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়গুলিতে ২০ জন তীর্থঙ্করের মূর্তিকে দেশে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। সারা বিশ্বের সামনে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে জৈন ধর্মের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে তাঁর সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন দিল্লির নতুন সংসদ ভবনকে গণতন্ত্রের মন্দির বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানের স্থাপত্যেও জৈন ধর্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। শার্দুল গেটের প্রবেশপথে সাম্মেদ শিখরের স্থাপত্যকলাকে অনুসরণ করা হয়েছে। লোকসভার প্রবেশপথে তীর্থঙ্করের মূর্তি রয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। সংবিধানের গ্যালারিতে ভগবান মহাবীরের একটি সুবৃহৎ ছবি রয়েছে। দক্ষিণমুখী ভবনের দেওয়ালে ২৪ জন তীর্থঙ্করের ছবি আছে। ভারতের গণতন্ত্রকে এই দর্শনই পরিচালিত করে, সঠিক পথ দেখায়। জৈন ধর্মের যে ব্যাপকতা তা আগম শাস্ত্রের দর্শনকে অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে সম্ভব হয়েছে। “বাস্তু সহব ধম্ম”, “চরিত্তম খালু ধম্ম” এবং “জীবন রক্ষানম ধম্ম”-র মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তোত্রগুলি অনুসরণ করে জৈন ধর্ম। বর্তমান সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর যে মন্ত্র মেনে চলে, তা আসলে এই মূল্যবোধগুলি থেকেই গৃহীত হয়েছে।

ভারতের বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের মূলে আছে জৈন সাহিত্য। তাই, এই সাহিত্য থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য বলে শ্রী মোদী মনে করেন। প্রাকৃত এবং পালির মতো ভাষাকে ধ্রূপদী ভাষা হিসেবে তাঁর সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ফলে জৈন সাহিত্য নিয়ে আরও গবেষণা সম্ভব হবে। এই ভাষাগুলি সংরক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চা অব্যাহত থাকবে। ভারতে বহু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়েছে যেগুলি আসলে ইতিহাসের দর্পণ। কিন্তু, এ ধরনের অনেক সম্পদশালী লিপি আজ ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে। এ কারণে এ বছরের বাজেটে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’-এর সূচনা হয়েছে। দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ পাণ্ডুলিপির সমীক্ষা করা হবে। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যগুলিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাকে তিনি ‘অমৃত সংলাপ বলে বর্ণনা করেন।’ “নতুন ভারত কৃত্রিম মেধার সাহায্যে সব ধরনের সম্ভাবনাকে যাচাই করবে, অন্যদিকে সারা বিশ্বকে আধ্যাত্মিকতার পথ দেখাবে।”

শ্রী মোদী বলেন, জৈন ধর্মে বিজ্ঞানসম্মত এবং সংবেদনশীলতা – দু’ধরনের উপাদানই রয়েছে। বর্তমান বিশ্ব যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলির সমস্যায় জর্জরিত। এই আবহে ‘পরস্পরোপগ্রাহ জীবনম’-এর ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে প্রতিটি জীবের অন্যের প্রতি নির্ভরশীলতাকে বোঝানো হয়। জৈনরা অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী। তাঁরা পরিবেশ সংরক্ষণ, পারস্পরিক সম্প্রীতি এবং শান্তির বাণী প্রচার করে এসেছেন। জৈন ধর্মের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়কালে অনেকান্তবাদের দর্শন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটি যুদ্ধ ও সংঘাতের অবসান ঘটায়। সারা বিশ্বজুড়ে অনেকান্তবাদের দর্শনকে প্রসারিত করার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। 

 

আজ ভারতের প্রতি সারা বিশ্বের আস্থা শক্তিশালী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় শরিক হতে চাইছে। ভারতের উন্নয়নকে অন্যান্য দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলতে হবে। জৈন দর্শন “পরস্পরোপগ্রাহী জীবনম”-এর সঙ্গে একে যুক্ত করে তিনি বলেন, ভারতের এই বৈশিষ্ট্যই সারা বিশ্বের এ দেশের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছে। মিশন লাইফ-এর সূচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জৈন সম্প্রদায় সরল, অনাড়ম্বর, স্থিতিশীল এক জীবনযাপনে আগ্রহী। জৈনরাও এই ধারাটিকেই অনুসরণ করেন। জৈন নীতি “অপরিগ্রহ”-র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মূল্যবোধকে প্রসারিত করতে হবে। সকলে যাতে মিশন লাইফ-এর ধারণাকে ছড়িয়ে দিতে পারেন, সে বিষয়ে উদ্যোগী হতে তিনি আহ্বান জানান। 

আজ সারা বিশ্বে তথ্য এবং জ্ঞানের প্রাচুর্য রয়েছে কিন্তু, প্রজ্ঞার অভাব রয়েছে। জৈন ধর্ম জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মধ্যে সুষম অবস্থা বজায় রেখে সঠিক পথ অনুসরণ করতে শিক্ষা দেয়। এই সুষম জীবনযাত্রাই যুব সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি, যেখানে প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিকতার এবং দক্ষতার সঙ্গে আত্মার স্পর্শ থাকবে। নবকার মহামন্ত্র প্রজ্ঞার উৎস হতে পারে যা নতুন প্রজন্মকে চালিত করবে। 

 

শ্রী মোদী সকলকে নবকার মন্ত্র জপের পর নয়টি সংকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান। প্রথম সংকল্পটি হল 'জল সংরক্ষণ'সংক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে তিনি বুদ্ধি সাগর মহারাজের কথা উল্লেখ করেন, যিনি ১০০ বছর আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে একদিন জল দোকানে বিক্রি হবে। জলের প্রতিটি ফোঁটা মূল্যবান, তাই একে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। দ্বিতীয় সংকল্পটি হল 'মায়ের নামে একটি গাছ লাগান'। তিনি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ১০০ কোটিরও বেশি গাছ লাগানোর বিষয়টি উল্লেখ করে সকলকে তাদের মায়ের নামে একটি গাছ লাগাতে এবং মায়ের আশীর্বাদ হিসাবে সেটিকে লালন-পালন করার আহ্বান জানান। এই প্রসঙ্গে গুজরাটে ২৪ জন তীর্থঙ্করের সাথে সম্পর্কিত ২৪টি গাছ লাগানোর জন্য তাঁর উদ্যোগের কথাও স্মরণ করেন তিনি, কয়েকটি গাছের অভাবে যা বাস্তবায়িত করা যায়নি। প্রতিটি রাস্তা, জনপদ এবং শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে, এই উদ্যোগে সকলকে সামিল হবার আহ্বান জানিয়ে শ্রী মোদী তৃতীয় সংকল্প হিসাবে 'পরিচ্ছন্নতা অভিযান'-এর প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। তার চতুর্থ প্রস্তাব ছিল'ভোকাল ফর লোকাল' যেখানে তিনি স্থানীয়ভাবে তৈরি পণ্যের প্রচার,  আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মেনে তার মধ্যে পরিবর্তন ঘটানোর উপর জোর দেন। এক্ষেত্রে ভারতের মাটির সুবাস এবং দেশের শ্রমিকদের পরিশ্রমের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পঞ্চম প্রস্তাবটি হল 'ভারত অন্বেষণ'।  বিদেশ ভ্রমণের আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য  এবং  এদেশের বৈচিত্র্যময়  সংস্কৃতিকে খুঁজে বের করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান তিনি। তাঁর ষষ্ঠ প্রস্তাব ছিল 'প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ গ্রহণ'।  প্রধানমন্ত্রী জৈনধর্মের নীতির কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বলা হয়েছে একজন অন্য প্রাণীর ক্ষতি করবে না। দেশের মাটিকে রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত করা এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর সপ্তম প্রস্তাব ছিল 'স্বাস্থ্যকর জীবনধারা' মেনে চলা। এর জন্য জোয়ার, বাজরা ও রাগী (শ্রী অন্ন) সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীকে খাদ্য তালিকায় নিয়ে আসতে হবে,  তেলের ব্যবহার ১০% কমাতে হবে এবং সংযমী জীবনযাপন করতে হবে। তিনি অষ্টম সংকল্প হিসেবে ‘যোগাসন ও খেলাধূলাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা’র  প্রস্তাব দেন। দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করার গুরুত্বটি উল্লেখ করে  তিনি নবম এবং চূড়ান্ত সংকল্প হিসেবে ‘দরিদ্রদের সাহায্য করা’র প্রস্তাব করেন। এই সংকল্পগুলি জৈন ধর্মের নীতি এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “এই নয়টি সংকল্প সকলের মধ্যে নতুন শক্তি সঞ্চার করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখাবে। এগুলি মেনে চললে  সমাজে  শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে”। 

 

জৈন ধর্মের নীতিগুলি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী রত্নাত্রয়,  দশলক্ষণ, ষোল করণ এবং পর্যুষণের মতো উৎসবগুলির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এগুলি প্রত্যেকের জীবনে কল্যাণ নিশ্চিত করে। বিশ্ব নবকার মন্ত্র দিবস বিশ্বব্যাপী সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির প্রসারকে নিশ্চিত করবে। এই অনুষ্ঠানে চারটি সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ায়  তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।  এটিকে ঐক্যের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করে তিনি দেশজুড়ে ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেন। কেউ  "ভারত মাতা কি জয়" বললে তাকে আলিঙ্গন করার আহ্বান জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে উন্নত ভারত গঠনের ভিত  শক্তিশালী হবে।

 

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গুরু ভগবন্তদের আশীর্বাদ পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক মানের এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করায় তিনি সমগ্র জৈন সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আচার্য ভগবন্তদের, মুণি মহারাজদের, শ্রাবক ও শ্রাবিকাদের এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের সকলকে তিনি প্রণাম জানান। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেআইটিও-কে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। সফলভাবে অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়িত করার জন্য গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী হর্ষ সাংভি, জেআইটিও-র অ্যাপেক্স চেয়ারম্যান শ্রী পৃথ্বীরাজ কোঠারি, সভাপতি শ্রী বিজয় ভাণ্ডারি সহ অন্যান্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Oman, India’s Gulf 'n' West Asia Gateway

Media Coverage

Oman, India’s Gulf 'n' West Asia Gateway
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles passing of renowned writer Vinod Kumar Shukla ji
December 23, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled passing of renowned writer and Jnanpith Awardee Vinod Kumar Shukla ji. Shri Modi stated that he will always be remembered for his invaluable contribution to the world of Hindi literature.

The Prime Minister posted on X:

"ज्ञानपीठ पुरस्कार से सम्मानित प्रख्यात लेखक विनोद कुमार शुक्ल जी के निधन से अत्यंत दुख हुआ है। हिन्दी साहित्य जगत में अपने अमूल्य योगदान के लिए वे हमेशा स्मरणीय रहेंगे। शोक की इस घड़ी में मेरी संवेदनाएं उनके परिजनों और प्रशंसकों के साथ हैं। ओम शांति।"