Viksit Haryana for Viksit Bharat, this is our resolve: PM
Our effort is to increase the production of electricity in the country, lack of electricity should not become an obstacle in nation building: PM
PM Suryagarh Muft Bijli Yojana started by us can reduce electricity bill to zero by installation of solar panels : PM
Our effort is to increase the potential of the farmers of Haryana: PM

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হরিয়ানার যমুনা নগরে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। হরিয়ানার মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি মা সরস্বতীর উৎসস্থল, মন্ত্রদেবীর আবাস, পঞ্চমুখী হনুমানজির স্থল এবং আশীর্বাদধন্য কপালমোচন সাহিবের স্থান হরিয়ানার পবিত্র ভূমির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হরিয়ানা সংস্কৃতি, ভক্তি এবং নিষ্ঠার সঙ্গম’। তিনি বাবাসাহেব আম্বেদকরের ১৩৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল নাগরিককে তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তুলে ধরেছেন বাবাসাহেবের দর্শন এবং অনুপ্রেরণার কথা যা উন্নয়নের পথে ভারতের যাত্রায় দিক নির্দেশ করে চলেছে। 

শ্রী মোদী বলেছেন, “যমুনা নগর শুধুমাত্র একটি শহর নয়, এটি ভারতের শিল্প মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্লাইউড থেকে পিতল এবং ইস্পাতের শিল্প নিয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।” এই এলাকার সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে কপালমোচন মেলা, ঋষি বেদব্যাসের পবিত্র ভূমি এবং গুরু গোবিন্দ সিংজির অস্ত্রাগারের উল্লেখ করেছেন তিনি। যমুনা নগরের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা ভাগ করে নিয়েছেন। হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত থাকাকালীন পাঁচকুলায় একাধিকবার সফরের কথা স্মরণ করেন তিনি। সেই সময়ে নিষ্ঠাবান কর্মীদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই এলাকায় কঠোর পরিশ্রম সহ্য করার ঐতিহ্য এবং দায়বদ্ধতার কথা জানান তিনি।

 

হরিয়ানা টানা তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অধীনে দ্বিগুণ গতিতে উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে উন্নত ভারতের ভাবনার অঙ্গ হিসেবে উন্নত হরিয়ানার প্রতি দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি হরিয়ানার মানুষের সেবায় সরকারের নিষ্ঠা এবং তরুণ সমাজের প্রত্যাশা পূরণে আরও বেশি মাত্রায় এবং গতিতে কাজ করার কথা তুলে ধরেন। আজ যে প্রকল্পগুলির সূচনা হয়েছে সেগুলির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি এই দায়বদ্ধতার প্রমাণ। এই সঙ্গে তিনি নতুন উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য হরিয়ানার মানুষকে তাঁর অভিনন্দন জানান।

বাবাসাহেবের দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারের দায়বদ্ধতায় গর্বপ্রকাশ করে শ্রী মোদী বাবাসাহেবের যে বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন, তা হল – শিল্পোন্নয়ন সামাজিক ন্যায়ের পথ। তিনি বলেন যে বাবাসাহেব ভারতে ছোট ছোট জমির মালিকানার বিষয়টি চিহ্নিত করেছিলেন এবং জোর দিয়েছিলেন যাঁদের যথেষ্ট কৃষিজমি নেই সেই দলিতদের জন্য শিল্পায়নের মাধ্যমে উপকারের উপর। তিনি বাবাসাহেবের দর্শন ভাগ করে নেন, সেটা হল – শিল্প দলিতদের জন্য আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে, তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে। ভারতের শিল্প সংক্রান্ত প্রয়াসে দেশের প্রথম শিল্পমন্ত্রী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর পাশাপাশি এই পথে প্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাবাসাহেবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, শিল্পায়ন এবং উৎপাদনের মধ্যে সমন্বয় গ্রামীণ সমৃদ্ধির ভিত্তি বলে স্বীকার করেছেন দীনবন্ধু চৌধুরী ছোটুরামজি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটুরামজির বিশ্বাস ছিল, গ্রামে গ্রামে প্রকৃত সমৃদ্ধি আসতে পারে যখন, কৃষকরা কৃষির পাশাপাশি ছোট ছোট শিল্পের মাধ্যমে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন যে, গ্রাম এবং কৃষকের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করা চৌধুরী চরণসিংজি একই ধারণা পোষণ করতেন। চরণসিংজির পরিপ্রেক্ষিত ছিল শিল্পোন্নয়ন কৃষির পরিপূরক হয়ে উঠুক, কেননা উভয়ই অর্থনীতির স্তম্ভ।

 

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর নির্যাস সুপ্ত আছে উৎপাদন শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায়, জানিয়ে শ্রী মোদী উৎপাদন শিল্পে সরকারের নজর দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন, যা প্রতিফলিত হয়েছে এবারের বাজেটে ‘মিশন ম্যানুফ্যাকচারিং’-এর ঘোষণায়। তিনি বলেন, “এই মিশনের লক্ষ্য দলিত, অনগ্রসর, বঞ্চিত এবং প্রান্তিক তরুণদের জন্য যথাসম্ভব বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা, তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া, ব্যবসার খরচ কমানো, এমএসএমই ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করা, শিল্পগুলিকে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করা এবং ভারতের পণ্যকে বিশ্বমানের করে তোলা”। এই লক্ষ্য পূরণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের গুরুত্ব এবং এদিনের অনুষ্ঠানের গুরুত্বের উল্লেখ করে তিনি দীনবন্ধু চৌধুরী ছোটুরাম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের কাজ শুরুর ঘোষণা করেন। যার থেকে উপকৃত হবে যমুনা নগর এবং হরিয়ানা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যমুনা নগর ভারতের প্লাইউডের অর্ধেক উৎপাদন করে এবং অ্যালুমিনিয়াম, তামা এবং পিতলের বাসন তৈরির হাব। তিনি আরও বলেন যে, যমুনা নগরে উৎপন্ন পেট্রো কেমিকেল কারখানার যন্ত্রাংশ একাধিক দেশে রপ্তানি হয়। তিনি বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে এইসব শিল্পগুলি উপকৃত হবে এবং ‘মিশন ম্যানুফ্যাকচারিং’-এর সহায়ক হবে। 

উন্নত ভারত গঠনে বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে সরকারের একাধিক প্রয়াসের উল্লেখ করেন, তার মধ্যে আছে – ওয়ান নেশন ওয়ান গ্রিড, নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সৌরশক্তি প্রকল্প এবং পরমাণু বিদ্যুৎ। পূর্বেকার সরকারগুলির আমলে ২০১৪-র আগে প্রায়শই ব্ল্যাকআউট হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় থাকত তাহলে এই সঙ্কট রয়ে যেতো। তিনি বলেন, “বিদ্যুতের ঘাটতি দেশ গঠনে যাতে বাধা না হয়ে ওঠে তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা জরুরি”। তিনি বলেন, আগেকার সময়ে কারখানা, রেল, সেচ ব্যবস্থা প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। গত এক দশকে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করেছে এবং এখন প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে। হরিয়ানায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর তাদের সরকারের নজর দেওয়ার উপকারিতার কথা তুলে ধরেন তিনি। এই রাজ্যে বর্তমানে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। আগামী বছরগুলিতে এই ক্ষমতা বাড়িয়ে ২৪ হাজার মেগাওয়াট করার লক্ষ্যের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। 

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদের শক্তি উৎপাদক করে তোলার দ্বিমুখী সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার সূচনার উল্লেখ করেন। যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের ছাদে সোলার প্যানেল বসাতে পারছে, কমাতে পারছে বিদ্যুতের বিল, এমনকি উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করে উপার্জন করতে পারছে। তিনি বলেন, সারা দেশে ১.২৫ কোটির বেশি মানুষ এই কর্মসূচিতে নাম লিখিয়েছে। হরিয়ানার কয়েক লক্ষ মানুষ যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই কর্মসূচির প্রসারে যা বর্ধনশীল সেবা পরিমণ্ডলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তার প্রশংসা করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, সৌর ক্ষেত্র নতুন দক্ষতা তৈরি করছে, এমএসএমই-র জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে এবং তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অগণিত রাস্তা খুলে দিচ্ছে। 

 

ছোট ছোট শহরে, ছোট ছোট শিল্পের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ এবং আর্থিক ব্যবস্থার নিশ্চিতকরণের উপর সরকারের নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে সরকার এমএসএমই-গুলিকে সাহায্য করতে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, এমএসএমই-র সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে যাতে সরকারি সাহায্য হারানোর ভয় না পেয়ে ছোট ছোট শিল্পগুলি বাড়তে পারে। এই সঙ্গেই ছোট ছোট শিল্পগুলির জন্য বিশেষ ক্রেডিট কার্ড এবং ক্রেডিট গ্যারান্টির আওতা বৃদ্ধির উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী সম্প্রতি মুদ্রা যোজনার ১০ বছরের মাইল ফলকের উল্লেখ করেন, যেখানে কোনো জামানত ছাড়াই ৩৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই কর্মসূচির উপকৃতদের ৫০ শতাংশের বেশি তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী পরিবার। ভারতের যুবাদের বৃহৎ স্বপ্ন পূরণে ছোট ছোট শিল্পগুলিকে সক্ষম করে তুলতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা জানান তিনি।

হরিয়ানার কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম যা প্রতিটি ভারতীয়ের খাবারের থালায় থাকে তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকার কৃষকদের আনন্দ ও সমস্যায় একজন অংশীদার। হরিয়ানার কৃষকদের ক্ষমতায়নের প্রয়াসের উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, রাজ্য সরকার এখন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ২৪টি শস্য কিনছে। তিনি জানান হরিয়ানার লক্ষ লক্ষ কৃষক পিএম ফসল বীমা যোজনায় উপকৃত হয়েছেন, এই কর্মসূচিতে দাবির পরিমাণ ৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, এছাড়াও জীবন জীবিকা এবং উন্নতিতে সাহায্য করতে পিএম কিষান সম্মাননিধির মাধ্যমে হরিয়ানার কৃষকদের ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। 

খালের জলের জন্য কর থেকে কৃষকদের রেহাই দিতে ঔপনিবেশিক আমলের জল কর তুলে দেওয়ার হরিয়ানা সরকারের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া কর মকুব করা হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের লক্ষ্য কৃষক এবং পশুপালনকারীদের উপার্জনের নতুন সুযোগ দেওয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি গোবরধন যোজনার কথা উল্লেখ করেন, যাতে কৃষকরা গোবর, কৃষি আবর্জনা এবং অন্য জৈব বর্জ্য থেকে জৈব গ্যাস উৎপাদন করে উপার্জন করতে পারছেন। তিনি জানান, এবছরের বাজেটে দেশজুড়ে ৫০০ গোবরধন প্লান্টের ঘোষণা করা হয়েছে। যমুনা নগরে নতুন গোবরধন কারখানার শিলান্যাসের উল্লেখ করেন তিনি। যাতে পৌরসভার বছরে ৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তিনি আরও বলেন, “গোরবধন যোজনা স্বচ্ছ ভারত অভিযানেও সাহায্য করছে, পরিচ্ছন্নতা এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের লক্ষ্যের প্রসার ঘটছে”।

উন্নয়নের পথে হরিয়ানার দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এদিনের শুরুতে তাঁর হিসার সফরের কথা বলেন, যেখানে অযোধ্যাধাম পর্যন্ত উড়ানের সূচনা করা হয়েছে। তিনি রেওয়াড়ির নতুন বাইপাসের ঘোষণা করেন। যাতে বাজারে, মোড়গুলিতে এবং রেলওয়ে ক্রসিং-এ যানজট কমবে, শহরে গাড়ি স্বচ্ছন্দে চলতে পারবে। তিনি বলেন, চার লেনের এই বাইপাস দিল্লি এবং নারনাউল-এর মধ্যে যাতায়াতের সময় এক ঘণ্টা কমাবে এবং এর জন্য তিনি মানুষকে অভিনন্দন জানান।

 

তিনি জানান, তাঁদের কাছে রাজনীতি সেবার মাধ্যম - মানুষের সেবা, দেশের সেবা। শ্রী মোদী বলেন, “আমাদের দল প্রতিশ্রুতি রাখে, যা হরিয়ানায় দেখা যাচ্ছে। যেখানে সরকার তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি বিরোধীদল শাসিত রাজ্যগুলির কথা বলেন, যেখানে মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের মানুষের কষ্টের কথা বলেন তিনি, যেখানে উন্নয়ন এবং কল্যাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছিল। কর্ণাটকে বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, দুধ, বাসভাড়া এবং বীজের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার কথা বলেন তিনি। কর্ণাটকে বর্তমান সরকার সম্পর্কে মানুষের অসন্তোষের কথা যা সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তার উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা স্বীকার করছেন কর্ণাটক দুর্নীতিতে এক নম্বর। 

মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না রাখা, প্রকৃতি এবং বন্য প্রাণের ক্ষতি করে অরণ্য ধ্বংস করার জন্য তেলেঙ্গানার বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেন শ্রী মোদী। তিনি প্রশাসনের দু ধরনের মডেলের উল্লেখ করেন। তাঁর দলের মডেলটিকে প্রকৃত বলে জানান তিনি যা উন্নত ভারত গঠনের জন্য নিবেদিত। উল্টোদিকে, বিরোধীদের মডেল প্রবঞ্চনামূলক এবং শুধুমাত্র ক্ষমতার দিকেই যার নজর। যমুনা নগরের চলতি প্রক্রিয়া অগ্রগতির পথে তার দলের দায়বদ্ধতার উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈশাখী এবং জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৬তম বার্ষিকীর গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ব্রিটিশ শাসনের নিষ্ঠুরতার কথা তুলে ধরেন। এই হত্যাকাণ্ডের অন্য একটি দিকও তিনি উল্লেখ করেন, সেটি হল – মানবতা এবং দেশের জন্য অদম্য ভালোবাসা, যা প্রমাণ করে গেছেন শঙ্করণ নায়ার। বিখ্যাত আইনজীবী এবং ব্রিটিশ সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক শঙ্করণ নায়ার পদত্যাগ করেছিলেন এবং বিদেশী শাসনের নির্মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি একাই জালিয়ানওয়ালাবাগ মামলা লড়েছিলেন, নাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত, আদালতে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শঙ্করণ নায়ারের এই কাজকে “এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত”-এর চমকপ্রদ উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে কেরল থেকে আসা একটি মানুষ পাঞ্জাবে হওয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, এই একতা এবং প্রতিরোধের মনোভাব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পিছনে প্রকৃত অনুপ্রেরণা এবং উন্নত ভারত হওয়ার লক্ষ্যে যাত্রার চালিকাশক্তি।

 

প্রত্যেককে শঙ্করণ নায়ারের অবদান নিয়ে পড়াশুনা করার আর্জি জানিয়ে সব শেষে তিনি বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার লাগাতার প্রয়াস নিচ্ছে সমাজের স্তম্ভ – দরিদ্র, কৃষক, যুব সমাজ এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নে। তার বিশ্বাস সঙ্ঘবদ্ধ প্রয়াস নিশ্চিতভাবে হরিয়ানাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নায়েব সিং সাইনি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল, শ্রী রাও ইন্দরজিৎ সিং, শ্রী কৃষণ পাল গুর্জর উপস্থিত ছিলেন অন্য বিশিষ্ট জনেদের মধ্যে।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan

Media Coverage

'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi's address to the nation
May 12, 2025
Today, every terrorist knows the consequences of wiping Sindoor from the foreheads of our sisters and daughters: PM
Operation Sindoor is an unwavering pledge for justice: PM
Terrorists dared to wipe the Sindoor from the foreheads of our sisters; that's why India destroyed the very headquarters of terror: PM
Pakistan had prepared to strike at our borders,but India hit them right at their core: PM
Operation Sindoor has redefined the fight against terror, setting a new benchmark, a new normal: PM
This is not an era of war, but it is not an era of terrorism either: PM
Zero tolerance against terrorism is the guarantee of a better world: PM
Any talks with Pakistan will focus on terrorism and PoK: PM

প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই বিগত দিনগুলিতে দেশের সামর্থ্য ও সংযম উভয় দেখেছি। আমি সবার আগে ভারতের পরাক্রমী সেনাদের, সশস্ত্র সেনাদলগুলিকে... আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সি গুলিকে, আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমাদের বীর সৈনিকেরা অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন লক্ষ্য সাধনের জন্য অসীম শৌর্য প্রদর্শন করেছেন।

আমি তাদের বীরত্বকে, তাদের সাহসকে, তাদের পরাক্রমকে আজ সমর্পণ করছি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মা-কে দেশের প্রত্যেক বোনকে আর দেশের প্রত্যেক কন্যাকে এই পরাক্রম সমর্পণ করছি।

বন্ধুগণ, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছিল, তা দেশ ও বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন সেই নির্দোষ অসহায় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে... তাদের পরিবারের সামনে, তাদের শিশুদের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা... এটা সন্ত্রাসের অত্যন্ত বীভৎস চেহারা ছিল... ক্রুরতা ছিল। এটা ছিল দেশের সদ্ভাব নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এই পীড়া ছিল অসহনীয়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোটা দেশ... প্রত্যেক নাগরিক... প্রত্যেক সমাজ... প্রত্যেক গোষ্ঠী... প্রতিটি রাজনৈতিক দল... এক স্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রত্যাঘাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিল... আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ধূলিসাৎ করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিলাম। আর আজ প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী, প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁথি থেকে সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হয়।

বন্ধুগণ, অপারেশন সিঁদুর... এটা শুধুই একটা নাম নয়... এটি দেশের কোটি কোটি জনগণের ভাবনার প্রতিধ্বনি। অপারেশন সিঁদুর... ন্যায়ের অখণ্ড প্রতিজ্ঞা...

৬ই মে’র রাত...৭ মে’র সকাল... গোটা বিশ্ব এই প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছেন। ভারতের সেনারা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ডেরাগুলিকে, তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে... কিন্তু যখন দেশ একজোট হয়ে, nation first-এর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়... রাষ্ট্র সর্বোপরি থাকে... তখনই কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া যায়, যা ফলদায়ক হয়। যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে ভারতীয় মিসাইলগুলি আক্রমণ হানে, ভারতের ড্রোনগুলি আক্রমণ হানে... তখন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়িগুলি শুধু থরথর করে কাঁপে না, তাদের সাহসও ধূলিসাত হয়ে যায়। বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিতে এক প্রকার global terrorism-এর university চলত। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যখন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেগুলির তার কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ঠিকানাগুলির সাথে জুড়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল, সেজন্য ভারত সন্ত্রাসবাদের এই head quarterগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের এই আক্রমণে ১০০-রও বেশি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসের অনেক মনিব বিগত আড়াই তিন দশক ধরে মুক্তভাবে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল... যারা ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে... তাদেরকে ভারত এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে ঘোর নিরাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর এই মাথা খারাপ হওয়াতেই তারা একটি দুঃসাহস করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করার বদলে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা করা শুরু করে।

পাকিস্তান আমাদের স্কুল, কলেজে, গুরুদ্বারে, মন্দিরগুলিতে সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকে নিশানা করে। পাকিস্তান আমাদের সৈন্য ঠিকানা গুলিকেও নিশানা করে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের নিজের মুখোশ খুলে যায়। বিশ্ববাসী দেখে, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইলগুলি ভারতের সামনে খড়ের টুকরোর মত ছড়িয়ে পরে। ভারতের শক্তিশালী air defence system সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেয়। পাকিস্তানের প্রস্তুতি ছিল সীমান্তে আক্রমণ করার... কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বুকে আক্রমণ করে। ভারতের ড্রোন... ভারতের মিসাইলগুলি নির্ভুল গন্তব্যে আক্রমণ হানে। পাকিস্তানি বায়ু সেনার সেই এয়ারবেসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেগুলি নিয়ে পাকিস্তানের অনেক অহঙ্কার ছিল।

ভারত প্রথম তিনদিনেই পাকিস্তানকে এমন তছনছ করে দেয় যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি... সেজন্য... ভারতের ভয়ানক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বাঁচার রাস্তা খুঁজতে থাকে। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে তাদের রক্ষা করার জন্য বার্তা পাঠাতে থাকে। আর ভীষণরকম ভাবে মার খাবার পর অসহায়ের মতো ১০ই মে দুপুরে পাকিস্তানের সেনা আমাদের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ততক্ষণে আমরা সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বুকে বাসা বাঁধা সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে আমরা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিয়েছিলাম। সেজন্য যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর্ত চিৎকার শোনা গেল... পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন বলা হল যে তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোন সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ এবং দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত সে বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আর আমি আর একবার বলছি, আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এবং সৈন্য ঠিকানাগুলিকে আমাদের প্রত্যাঘাতগুলিকে শুধুমাত্র স্থগিত রেখেছি।

আগামীদিনে... আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপকে দাঁড়িপাল্লায় মাপবো। তাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখব।

বন্ধুগণ, ভারতের তিনটি বাহিনী আমাদের Airforce, আমাদের Army, আমাদের Navy, আমাদের Border Security ফরচে, BSF ভারতের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী লাগাতার এলার্ট থাকবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক-এর পর অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন রেখা টেনে দিয়েছে...

একটি নতুন মাত্রা, একটি নিউ নর্মাল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথমত- ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে, আমাদের নিজস্ব শর্তে প্রত্যাঘাত হানবো। সন্ত্রাসবাদের শিকড় যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে, আমরা সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেব।

দ্বিতীয়ত- ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলির ওপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ শুরু করবে।

তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।

অপারেশন সিন্দুরের সময়...

বিশ্ব আবারও পাকিস্তানের কুৎসিত সত্যটি দেখেছে...

যখন মৃত সন্ত্রাসবাদীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়...

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি বড় প্রমাণ।

ভারত এবং আমাদের নাগরিদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব।

বন্ধুরা,

আমরা প্রতিবারই যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। আর এবার অপারেশন সিন্দুর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা মরুভূমি এবং পাহাড়ে আমাদের দক্ষতা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করেছি... এবং এছাড়া... নতুন যুগের যুদ্ধেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। এই অভিযানের সময়...আমাদের ভারতে তৈরি অস্ত্রের ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বিশ্ব দেখছে... একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধের জন্য ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম... সময় এসেছে।

বন্ধুরা,

সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য... আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা অবশ্যই যুদ্ধের যুগ নয়... কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদের যুগও নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা... এটিই একটি উন্নত বিশ্বের গ্যারান্টি।

বন্ধুরা,

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী... পাকিস্তান সরকার... যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে লালন করা হচ্ছে... একদিন তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দেবে। পাকিস্তান যদি টিঁকে থাকতে চায়, তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এ ছাড়া শান্তির আর কোনো উপায় নেই। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট... সন্ত্রাস আর আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।... সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। এবং... এমনকি জল এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। আমি আজ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই...

আমাদের ঘোষিত নীতি হল…

যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হ্য়...তাহলে তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে…যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর...শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

প্রিয় দেশবাসী,

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা।

ভগবান বুদ্ধ আমদের শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

শান্তির পথও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে যায়।

মানবতা...শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়…

প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে…

উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে…

এর জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

এবং প্রয়োজনে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর গত কয়েকদিন ধরে ভারত ঠিক তাই করেছে।

আমি আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই।

আমরা ভারতীয়দের সাহস এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ঐক্যকে আমি অভিবাদন জানাই।

ধন্যবাদ…

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!