এনসিসি দেশ গড়ার কাজে ভারতের যুব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করে: প্রধানমন্ত্রী
ভারতের যুবশক্তি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
গত ১০ বছরে দেশের যুবশক্তির বিভিন্ন বাধা দূর করার জন্য নানা কাজ করেছি। এর ফলে, ভারতের যুবশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে, দেশেরও ক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী
অমৃতকালে আমাদের একটিই লক্ষ্য – উন্নত ভারত গড়া: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির কারিয়াপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে আজ জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-র বার্ষিক পিএম র‍্যালিতে ভাষণ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে সেখানে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তিনি প্রত্যক্ষ করেন। ওই অনুষ্ঠানে সেরা ক্যাডেট পুরস্কার প্রদান করা হয়। এনসিসি দিবস উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৮টি বন্ধু রাষ্ট্রের থেকে ১৫০ জন ক্যাডেট এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি তাঁদের স্বাগত জানান। ‘মেরা যুব ভারত’ (MY Bharat) পোর্টালের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণ করা যুবক-যুবতীদেরও তিনি অভিনন্দন জানান। 
তাঁর ভাষণে প্রধানম্নত্রী বলেন, “সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়া একটি সাফল্যের বিষয়”। এ বছরের কুচকাওয়াজ  আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, আমাদের রিপাবলিক-এর ৭৫ বছর পূর্তি হল। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের জীবনে এই স্মৃতিগুলি অমলিন হয়ে থাকবে। যাঁরা শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটের পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদেরকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।  এনসিসি-র বেশ কয়েকটি কার্যক্রমের সূচনা করার সৌভাগ্য আজ তাঁর হয়েছে বলে জানান শ্রী মোদী। এই উদ্যোগগুলি জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-র সঙ্গে ভারতের ঐতিহ্যের এবং যুব সম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাবে। এই কর্মসূচিগুলির সঙ্গে যেসব ক্যাডেটরা যুক্ত, তাঁদের সকলকে তিনি শুভেচ্ছা জানান। 

শ্রী মোদী বলেন, দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখনই এনসিসি গঠিত হয়। এক অর্থে বলা যায়, দেশের সংবিধান তার যাত্রা শুরু করার আগে থেকেই আপনাদের সংগঠন তার যাত্রা শুরু করেছিল। সাধারণতন্ত্রের ৭৫ বছরে ভারতের সংবিধান দেশকে গণতান্ত্রিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দিয়েছে ও নাগরিক কর্তব্যের গুরুত্বের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। একইভাবে এনসিসি দেশ গড়ার কাজে ভারতের যুব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করে। জীবনে শৃঙ্খলাবোধের গুরুত্ব কতটা, তারও ব্যাখ্যা দেয় এনসিসি। ইদানিংকালে সরকার এনসিসি-র সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নতুন নতুন সুযোগ ও দায়িত্বের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং সমুদ্র তীরবর্তী জেলাগুলিতেও এনসিসি-র কার্যক্রম প্রসারিত হয়েছে। আজ, সীমান্তবর্তী ১৭০টি তালুক এবং উপকূলবর্তী ১০০টি জেলায় এনসিসি পৌঁছে গেছে। তিনি তিন বাহিনীর সদস্যদেরও এখানে অভিনন্দন জানা্ন। এই জেলাগুলিতে তরুণ এনসিসি ক্যাডেটদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন ওই তিন বাহিনীর সদস্যরা। আজ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের হাজার হাজার যুবক-যুবতীরা এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। এনসিসি-তে নানাবিধ সংস্কার বাস্তবায়িত হওয়ায় ক্যাডেটদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।  ২০১৪ সালে প্রায় ১৪ লক্ষ এনসিসি ক্যাডেট ছিল। আজ এই সংখ্যা ২০ লক্ষে পৌঁছেছে। এই বাহিনীতে ৮ লক্ষের বেশি মহিলা রয়েছেন যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজ বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় আমাদের এনসিসি ক্যাডেটরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ক্রীড়াক্ষেত্রেও তাঁদের দৃপ্ত পদচারণা। বিশ্বের বৃহত্তম ঐক্যবদ্ধ যুব সংগঠন হিসেবে এনসিসি বিবেচিত হওয়ায় তিনি অত্যন্ত গর্বিত বলে জানান। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব এবং ভারতের উন্নয়নে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। “ভারতের যুবশক্তি শুধুমাত্র ভারতের শক্তিই নয়, তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি”। সম্প্রতি সংবাদপত্রগুলিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের যুব সম্প্রদায় দেড় লক্ষ স্টার্ট-আপ এবং ১০০টির বেশি ইউনিকর্ন তৈরি করেছে। আজ বিশ্বে ২০০-র বেশি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা। এই সংস্থাগুলি বিশ্বের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে কোটি কোটি অর্থের যোগান দেয়, যা কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন নিয়ে আসে। ভারতীয় বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষকরা পৃথিবীর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেন। আন্তর্জাতিক স্তরে এমন কোনো ক্ষেত্র পাওয়া খুবই শক্ত যেখানে ভারতীয় যুবশক্তির কোনো প্রতিনিধি নেই, ভারতীয় প্রতিভার কোনো স্বাক্ষর নেই। এ কারনে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুবসম্প্রদায়কে ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের শুভশক্তি’ বলে বর্ণনা করেছেন। 

 

শ্রী মোদী বলেন, ব্যক্তি হিসেবে অথবা দেশের জন্য – সব ক্ষেত্রেই অহেতুক কোনো বাধা আসলে তাকে অতিক্রম করার শক্তি অর্জন করতে হবে। গত ১০ বছরে দেশের যুবশক্তির বিভিন্ন  বাধা দূর করার জন্য তাঁর সরকারের নানা কাজের প্রসঙ্গ তিনি উল্লেখ করেছেন। এর ফলে, ভারতের যুবশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে, দেশেরও ক্ষমতা বেড়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুবকযুবতীদের ২০১৪ সালে বয়স কম ছিল। সেই সময়ের পরিস্থিতি কিরকম ছিল তা তাদের পরিবারের সদস্যরা বলতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি নথি প্রত্যয়নের বিষয়টি উল্লেখ করেন। আগে কোথাও ভর্তি হতে গেলে, কোনো পরীক্ষায় বসতে চাইলে, চাকরির ক্ষেত্রে – যে কোনো ফর্ম ফিল-আপ করার সময় গেজেটেড অফিসারদের দিয়ে নথিগুলিকে প্রত্যয়িত করতে হত।  যুব সম্প্রদায়ের এই সমস্যা বর্তমান সরকার দূর করেছে, এখন স্বপ্রত্যয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  আগে বিভিন্ন বৃত্তির জন্য আবেদন করতে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন করতে হত। বৃত্তির টাকা প্রচুর নয়ছয় হত। ছেলে-মেয়েদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছত না। আর এখন ‘এক জানালা’ ব্যবস্থায় পুরনো সব সমস্যার সমাধান ঘটানো হয়েছে। আগে পড়াশোনার জন্য বিষয় বাছাই করাও আরও একটা বড় সমস্যা ছিল। বোর্ড পরীক্ষার পর কোন বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করবেন, তা বিবেচনার পর বিষয় পরিবর্তন করা খুব সমস্যার ছিল। আর এখন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে তাদের ইচ্ছা অনুসারে বিষয় পরিবর্তন করা যায়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বছর দশেক আগে যুবক-যুবতীদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দেশের যুব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব নেন।  তাঁর সরকার মুদ্রা যোজনার সূচনা করেছে, যেখানে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। আগে কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তৃতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর তারা এই পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২০ লক্ষ টাকা করেছেন বলে তিনি জানান। গত ১০ বছরে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে  ৪০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এই ঋণের সাহায্যে তাঁদের ব্যবসা শুরু করেছেন। 

 

শ্রী মোদী বলেন, দেশের যুবশক্তির ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা। দুদিন আগে দেশ জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করেছে। নতুন ভোটারদের তিনি ভোটার দিবস পালনের উদ্দেশ্যর কথা জানান। যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা, তাঁদের অধিকার যাতে কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করাই এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য।  বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচন ভারতবর্ষ আয়োজন করার কৃতিত্ব ভারতের রয়েছে। এই নির্বাচনগুলি আয়োজনের সময় বেশ কয়েক মাস কেটে যায়। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন লোকসভা এবং রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন একইসঙ্গে হত। কিন্তু, পরবর্তীতে এই ব্যবস্থাটি নষ্ট হয়ে যায়। এর জন্য দেশের বেশ সমস্যা হয়। প্রতিটি নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকার সংশোধন করতে হয়।  আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই কাজটি করেন। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও ব্যাঘাত ঘটে। ঘন ঘন নির্বাচন আয়োজন করার ফলে প্রশাসনিক কাজেও সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। লোকসভা এবং রাজ্যগুলির বিধানসভার নির্বাচন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্দিষ্ট সময়ে তা হতে হবে। এ নিয়ে উদ্ভূত  বিতর্কে আরো বেশি করে অংশগ্রহণ করতে তিনি আহ্বান জানান। আমেরিকার মত দেশে নতুন সরকার গঠনের দিন স্থির থাকে, একই রকম ভাবে ভারতের ক্ষেত্রেও এই রকম ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া জরুরী। প্রতি চার বছর অন্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেশে নির্বাচন হয়। কলেজ বা স্কুলেও ছাত্র পরিষদের নির্বাচনগুলি নির্ধারিত সময়ে হয়। যদি প্রতি মাসে ভোট হত তাহলে  কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিত।  তাই, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে উদ্ভুত বিতর্কে যুব সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দেবার আহ্বান জানান তিনি। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তনশীল। সময়ের চাহিদা মেনে আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের যুবশক্তিকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। শিল্পকলা, গবেষণা, উদ্ভাবন – প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যুবসম্প্রদায়ের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন শক্তির সঞ্চার ঘটাতে হবে। রাজনীতিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন যুবশক্তিকে যত বেশি সম্ভব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নতুন শক্তিতে, উদ্ভাবনী চিন্তাধারায়, নতুন নতুন পরামর্শ নিয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। লালকেল্লার প্রাকার থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি একবার  জানান,  রাজনীতিতে ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর সামিল হওয়ার প্রয়োজন। ‘বিকাশ ভারত : ইয়ং ইন্ডিয়া ডায়ালগ’-এ দেশের যুবশক্তির ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার পর দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী উন্নত ভারত গড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মূল্যবান মতামত জানিয়েছেন। 

 

শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কালে দেশের প্রতিটি পেশার মানুষ অভিন্ন এক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, তা হল স্বাধীনতা অর্জন করা। একইভাবে অমৃতকালে আমাদের একটিই লক্ষ্য – উন্নত ভারত গড়া। আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি কাজ উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে করতে হবে। ‘পঞ্চ প্রাণ’-এর গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন – আমাদের উন্নত ভারত গড়তে হবে, দাসত্বের প্রতিটি ভাবনা থেকে মুক্ত হতে হবে, আমাদের ঐতিহ্যকে নিয়ে গর্ববোধ করতে হবে, ভারতের একতার জন্য কাজ করতে হবে এবং আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যকে সৎভাবে পালন করতে হবে। এই পাঁচটি ‘প্রাণ’ প্রত্যেক ভারতবাসীকে পথচলার দিশা দেখাবে, অনুপ্রেরণার উৎস হবে। এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ‘এক ভারত – শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনা এই অনুষ্ঠানে প্রতিফলিত হয়েছে, যা আমাদের দেশের সবথেকে বড় শক্তি। প্রয়াগে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভেও ভারতের একতা প্রতিফলিত। তাই, এই মহাকুম্ভ হল ঐক্যের মহাকুম্ভ যা দেশের প্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।

 

শ্রী মোদী প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্তব্যগুলির বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। দায়িত্বের ভিতের ওপরই মহান ও পবিত্র এক উন্নত ভারত গড়ে উঠবে। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর রচিত একটি কবিতার কয়েকটি লাইন উল্লেখ করেন, যেখানে যুব সম্প্রদায়কে দেশের কাজে অনুপ্রাণিত হওয়ার উল্লেখ রয়েছে। তিনি সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

 

শ্রী মোদী প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্তব্যগুলির বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। দায়িত্বের ভিতের ওপরই মহান ও পবিত্র এক উন্নত ভারত গড়ে উঠবে। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর রচিত একটি কবিতার কয়েকটি লাইন উল্লেখ করেন, যেখানে যুব সম্প্রদায়কে দেশের কাজে অনুপ্রাণিত হওয়ার উল্লেখ রয়েছে। তিনি সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং, দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় শেঠ, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং, নৌ-বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী, এনসিসি-র মহানির্দেশক লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরবীরপাল সিং, প্রতিরক্ষা সচিব শ্রী রাজেশ কুমার সিং সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan

Media Coverage

'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi's address to the nation
May 12, 2025
Today, every terrorist knows the consequences of wiping Sindoor from the foreheads of our sisters and daughters: PM
Operation Sindoor is an unwavering pledge for justice: PM
Terrorists dared to wipe the Sindoor from the foreheads of our sisters; that's why India destroyed the very headquarters of terror: PM
Pakistan had prepared to strike at our borders,but India hit them right at their core: PM
Operation Sindoor has redefined the fight against terror, setting a new benchmark, a new normal: PM
This is not an era of war, but it is not an era of terrorism either: PM
Zero tolerance against terrorism is the guarantee of a better world: PM
Any talks with Pakistan will focus on terrorism and PoK: PM

প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই বিগত দিনগুলিতে দেশের সামর্থ্য ও সংযম উভয় দেখেছি। আমি সবার আগে ভারতের পরাক্রমী সেনাদের, সশস্ত্র সেনাদলগুলিকে... আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সি গুলিকে, আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমাদের বীর সৈনিকেরা অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন লক্ষ্য সাধনের জন্য অসীম শৌর্য প্রদর্শন করেছেন।

আমি তাদের বীরত্বকে, তাদের সাহসকে, তাদের পরাক্রমকে আজ সমর্পণ করছি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মা-কে দেশের প্রত্যেক বোনকে আর দেশের প্রত্যেক কন্যাকে এই পরাক্রম সমর্পণ করছি।

বন্ধুগণ, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছিল, তা দেশ ও বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন সেই নির্দোষ অসহায় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে... তাদের পরিবারের সামনে, তাদের শিশুদের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা... এটা সন্ত্রাসের অত্যন্ত বীভৎস চেহারা ছিল... ক্রুরতা ছিল। এটা ছিল দেশের সদ্ভাব নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এই পীড়া ছিল অসহনীয়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোটা দেশ... প্রত্যেক নাগরিক... প্রত্যেক সমাজ... প্রত্যেক গোষ্ঠী... প্রতিটি রাজনৈতিক দল... এক স্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রত্যাঘাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিল... আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ধূলিসাৎ করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিলাম। আর আজ প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী, প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁথি থেকে সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হয়।

বন্ধুগণ, অপারেশন সিঁদুর... এটা শুধুই একটা নাম নয়... এটি দেশের কোটি কোটি জনগণের ভাবনার প্রতিধ্বনি। অপারেশন সিঁদুর... ন্যায়ের অখণ্ড প্রতিজ্ঞা...

৬ই মে’র রাত...৭ মে’র সকাল... গোটা বিশ্ব এই প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছেন। ভারতের সেনারা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ডেরাগুলিকে, তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে... কিন্তু যখন দেশ একজোট হয়ে, nation first-এর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়... রাষ্ট্র সর্বোপরি থাকে... তখনই কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া যায়, যা ফলদায়ক হয়। যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে ভারতীয় মিসাইলগুলি আক্রমণ হানে, ভারতের ড্রোনগুলি আক্রমণ হানে... তখন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়িগুলি শুধু থরথর করে কাঁপে না, তাদের সাহসও ধূলিসাত হয়ে যায়। বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিতে এক প্রকার global terrorism-এর university চলত। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যখন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেগুলির তার কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ঠিকানাগুলির সাথে জুড়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল, সেজন্য ভারত সন্ত্রাসবাদের এই head quarterগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের এই আক্রমণে ১০০-রও বেশি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসের অনেক মনিব বিগত আড়াই তিন দশক ধরে মুক্তভাবে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল... যারা ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে... তাদেরকে ভারত এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে ঘোর নিরাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর এই মাথা খারাপ হওয়াতেই তারা একটি দুঃসাহস করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করার বদলে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা করা শুরু করে।

পাকিস্তান আমাদের স্কুল, কলেজে, গুরুদ্বারে, মন্দিরগুলিতে সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকে নিশানা করে। পাকিস্তান আমাদের সৈন্য ঠিকানা গুলিকেও নিশানা করে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের নিজের মুখোশ খুলে যায়। বিশ্ববাসী দেখে, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইলগুলি ভারতের সামনে খড়ের টুকরোর মত ছড়িয়ে পরে। ভারতের শক্তিশালী air defence system সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেয়। পাকিস্তানের প্রস্তুতি ছিল সীমান্তে আক্রমণ করার... কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বুকে আক্রমণ করে। ভারতের ড্রোন... ভারতের মিসাইলগুলি নির্ভুল গন্তব্যে আক্রমণ হানে। পাকিস্তানি বায়ু সেনার সেই এয়ারবেসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেগুলি নিয়ে পাকিস্তানের অনেক অহঙ্কার ছিল।

ভারত প্রথম তিনদিনেই পাকিস্তানকে এমন তছনছ করে দেয় যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি... সেজন্য... ভারতের ভয়ানক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বাঁচার রাস্তা খুঁজতে থাকে। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে তাদের রক্ষা করার জন্য বার্তা পাঠাতে থাকে। আর ভীষণরকম ভাবে মার খাবার পর অসহায়ের মতো ১০ই মে দুপুরে পাকিস্তানের সেনা আমাদের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ততক্ষণে আমরা সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বুকে বাসা বাঁধা সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে আমরা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিয়েছিলাম। সেজন্য যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর্ত চিৎকার শোনা গেল... পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন বলা হল যে তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোন সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ এবং দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত সে বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আর আমি আর একবার বলছি, আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এবং সৈন্য ঠিকানাগুলিকে আমাদের প্রত্যাঘাতগুলিকে শুধুমাত্র স্থগিত রেখেছি।

আগামীদিনে... আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপকে দাঁড়িপাল্লায় মাপবো। তাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখব।

বন্ধুগণ, ভারতের তিনটি বাহিনী আমাদের Airforce, আমাদের Army, আমাদের Navy, আমাদের Border Security ফরচে, BSF ভারতের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী লাগাতার এলার্ট থাকবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক-এর পর অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন রেখা টেনে দিয়েছে...

একটি নতুন মাত্রা, একটি নিউ নর্মাল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথমত- ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে, আমাদের নিজস্ব শর্তে প্রত্যাঘাত হানবো। সন্ত্রাসবাদের শিকড় যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে, আমরা সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেব।

দ্বিতীয়ত- ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলির ওপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ শুরু করবে।

তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।

অপারেশন সিন্দুরের সময়...

বিশ্ব আবারও পাকিস্তানের কুৎসিত সত্যটি দেখেছে...

যখন মৃত সন্ত্রাসবাদীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়...

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি বড় প্রমাণ।

ভারত এবং আমাদের নাগরিদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব।

বন্ধুরা,

আমরা প্রতিবারই যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। আর এবার অপারেশন সিন্দুর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা মরুভূমি এবং পাহাড়ে আমাদের দক্ষতা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করেছি... এবং এছাড়া... নতুন যুগের যুদ্ধেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। এই অভিযানের সময়...আমাদের ভারতে তৈরি অস্ত্রের ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বিশ্ব দেখছে... একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধের জন্য ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম... সময় এসেছে।

বন্ধুরা,

সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য... আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা অবশ্যই যুদ্ধের যুগ নয়... কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদের যুগও নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা... এটিই একটি উন্নত বিশ্বের গ্যারান্টি।

বন্ধুরা,

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী... পাকিস্তান সরকার... যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে লালন করা হচ্ছে... একদিন তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দেবে। পাকিস্তান যদি টিঁকে থাকতে চায়, তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এ ছাড়া শান্তির আর কোনো উপায় নেই। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট... সন্ত্রাস আর আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।... সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। এবং... এমনকি জল এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। আমি আজ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই...

আমাদের ঘোষিত নীতি হল…

যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হ্য়...তাহলে তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে…যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর...শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

প্রিয় দেশবাসী,

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা।

ভগবান বুদ্ধ আমদের শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

শান্তির পথও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে যায়।

মানবতা...শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়…

প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে…

উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে…

এর জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

এবং প্রয়োজনে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর গত কয়েকদিন ধরে ভারত ঠিক তাই করেছে।

আমি আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই।

আমরা ভারতীয়দের সাহস এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ঐক্যকে আমি অভিবাদন জানাই।

ধন্যবাদ…

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!