“India’s semiconductor sector is on the brink of a revolution, with breakthrough advancements set to transform the industry”
“Today's India inspires confidence in the world… When the chips are down, you can bet on India”
“India's semiconductor industry is equipped with special diodes where energy flows in both directions”
“India holds a three-dimensional power namely the present reformist government, the country’s growing manufacturing base and the nation’s aspirational market which is aware of the technological trends”
“This small chip is doing big things to ensure last-mile delivery in India”
“Our dream is that every device in the world will have an Indian-made chip”
“India is set to play a major role in driving the global semiconductor industry”
“Our goal is that 100% of electronic manufacturing should happen in India”
“Whether it is mobile manufacturing, electronics, or semiconductors, our focus is clear—we want to build a world that doesn’t stop or pause in times of crisis but keeps moving forward”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরপ্রদেশের গ্রেডার নয়ডায় ইন্ডিয়া এক্সপো মার্টে সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৪-এর উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনী তিনি ঘুরে দেখেন। ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর তিনদিনের এই সম্মেলনে সেমিকনডাকটর শিল্পের বিশ্বজনীন কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত নীতি কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। 

 

সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে সেমিকনডাকটর শিল্পের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, “এটাই ভারতে আসার সঠিক সময়। আপনারা একেবারে সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় এসেছেন। একবিংশ শতাব্দীর ভারতে চিপগুলো কখনো ডাউন থাকবে না।” বরং ভারত বিশ্বকে আশ্বস্ত করে বলতে পারে, “চিপ যদি ডাউন হয়ে যায় তাহলে ভারতের উপর ভরসা রাখুন।” 

যেখানে শক্তি একমুখী ধারায় প্রবাহিত হয়, সেই ডায়োডের সঙ্গে সেমিকনডাকটর শিল্পের আন্তঃসম্পর্কের উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সেমিকনডাকটর শিল্প এমন বিশেষ ডায়োডের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে, যেখানে শক্তির প্রবাহ উভয়মুখী। এর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, শিল্পমহল যখন বিনিয়োগের মাধ্যমে মূল্য সৃষ্টি করছে, তখন সরকার সুস্থিত নীতি এবং ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে তার পাশে দাঁড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেমিকনডাকটর শিল্পে যেমন ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ব্যবহার করা হয়, ঠিক তেমনি ভারতেও ডিজাইনারদের প্রভূত প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে সেমিকনডাকটর শিল্পের এক সুসমন্বিত পরিমন্ডল গড়ে তোলা হচ্ছে। ডিজাইনিং-এর ক্ষেত্রে বর্তমানে ভারতের অবদান ২০ শতাংশ এবং এই হার ক্রমশ বাড়ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারতে বর্তমানে সেমিকনডাকটর ক্ষেত্রে কলাকুশলী, ইঞ্জিনিয়ার এবং গবেষণা বিশেষজ্ঞ মিশিয়ে ৮৫ হাজার জনের শ্রমশক্তি রয়েছে। এর সঙ্গে ভারত ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাদারদেরও শিল্প মহলের চাহিদা মাফিক প্রস্তুত করে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অনুসন্ধান জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রথম বৈঠকের উল্লেখ করেন তিনি। গবেষণার জন্য এক ট্রিলিয়ন টাকার এক বিশেষ তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের প্রয়াস সেমিকনডাকটর শিল্পের পরিধি এবং উদ্ভাবনের সুযোগ বাড়াতে বাধ্য। সেমিকনডাকটর শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণেও সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, ভারত আজ ত্রিমাত্রিক শক্তির অধিকারী। এখানে সংস্কারমুখী সরকার রয়েছে, দেশের উৎপাদন ভিত্তি ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে এবং একইসাথে প্রযুক্তিগত প্রবণতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দেশীয় বাজারও বিস্তৃতিলাভ করছে। অন্য কোথাও এমন ত্রিমাত্রিক শক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। 

ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও প্রযুক্তি অভিমুখী সমাজের স্বাতন্ত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে চিপ শব্দটি শুধু প্রযুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি কোটি কোটি নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি মাধ্যম। ভারতে চিপের ব্যাপক চাহিদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর উপর ভিত্তি করেই বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ডিজিটাল জন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ছোট ছোট এই চিপ ভারতে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিশাল বড় কাজ করছে। করোনা অতিমারির সময়ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাগুলিও ভেঙে পড়েছিল, তখন ভারতের ব্যাঙ্কগুলি নির্বিঘ্নে কাচ করেছে। তিনি বলেন, “ইউপিআই, রুপে কার্ড, ডিজি লকার, ডিজি যাত্রার মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি আজ ভারতের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ভারত প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াচ্ছে, বৃহৎ পরিসরে দূষণ মুক্তির উদ্যোগ নিচ্ছে। ডেটা সেন্টারগুলির চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। “বিশ্বব্যাপী সেমিকনডাকটর শিল্পের চালনায় ভারত বড় ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত,” বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা আছে যে চিপ যদি বিকল হয়ে যায় তো হতে দিন। এর অর্থ হলো, যা চলছে তা তেমনই চলুক। কিন্তু আজকের তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারত এই প্রবচন মানে না। ভারতের নতুন মন্ত্র হলো দেশে তৈরি চিপের সংখ্যা বাড়ানো। এজন্যই সরকার সেমিকনডাকটর শিল্পে উৎপাদন বাড়াতে অগণিত ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সেমিকনডাকটর উৎপাদনে সাহায্য করতে সরকার ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলিও এক্ষেত্রে সবরকম সহযোগিতা করছে। সহায়ক এইসব নীতির ফলে ভারত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেমিকনডাকটর ক্ষেত্রে ১.৫ ট্রিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পেরেছে। বহু প্রকল্প শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সেমিকন ইন্ডিয়া কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে ফ্রন্ট এন্ড ফ্যাব, ডিসপ্লে ফ্যাব, সেমিকনডাকটর প্যাকেজিং এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে অর্থ সাহায্য করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের প্রতিটি যন্ত্রে ভারতে তৈরি চিপ থাকা সুনিশ্চিত করাই আমাদের স্বপ্ন।”

সেমিকনডাকটর শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজের চাহিদা মেটাতে সম্প্রতি ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশনের সূচনা করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে সেমিকনডাকটরের দেশীয় উৎপাদন বাড়বে এবং বিদেশে সেমিকনডাকটর শিল্পের অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলিকে সীমা শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থাও দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আইআইটি গুলির সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্সেসে সেমিকনডাকটর সংক্রান্ত একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও তিনি জানান। এখানে শুধু বর্তমানের উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন চিপই নয়, আগামী প্রজন্মের চিপও তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তেল কূটনীতি” থেকে বিশ্ব এখন “সিলিকন কূটনীতি”-র যুগে প্রবেশ করেছে। ভারত ইন্দো প্যাসিফিক ইকনোমিক ফ্রেম ওয়ার্কের সাপ্লাই চেন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ার হিসেবে মনোনীত হয়েছে এবং কোয়াড সেমিকনডাকটর সাপ্লাই চেনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। এছাড়া সেমিকনডাকটর ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে জাপান, সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। 

 

সেমিকনডাকটর শিল্পের উপর ভারতের মনোযোগ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের সাফল্য লক্ষ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন ভারতকে এক স্বচ্ছ, কার্যকর ও অপচয় মুক্ত শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব আজ অনুভব করা যাচ্ছে। এর সুবাদে এখন ভারতে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং ডেটা সুলভ হয়েছে। যে ভারত এক দশক আগে মোবাইল ফোনের বৃহত্তম আমদানিকারক ছিল, সেই ভারতই আজ মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে। মাত্র দু বছর আগে ফাইভ-জির সূত্রপাত করে ভারত আজ ফাইভ-জিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের ইলেক্ট্রনিক ক্ষেত্রের মূল্য আজ ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে গেছে। এই দশকের শেষে দেশের ইলেক্ট্রনিক ক্ষেত্রে ৬০ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে ইলেক্ট্রনিক দ্রব্যের উৎপাদন সুনিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য। সেমিকনডাকটর চিপ থেকে শুরু করে তৈরি পণ্য – ভারত সবই উৎপাদন করবে। 

 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

সেমিকনডাকটর শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজের চাহিদা মেটাতে সম্প্রতি ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশনের সূচনা করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে সেমিকনডাকটরের দেশীয় উৎপাদন বাড়বে এবং বিদেশে সেমিকনডাকটর শিল্পের অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলিকে সীমা শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থাও দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আইআইটি গুলির সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্সেসে সেমিকনডাকটর সংক্রান্ত একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও তিনি জানান। এখানে শুধু বর্তমানের উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন চিপই নয়, আগামী প্রজন্মের চিপও তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তেল কূটনীতি” থেকে বিশ্ব এখন “সিলিকন কূটনীতি”-র যুগে প্রবেশ করেছে। ভারত ইন্দো প্যাসিফিক ইকনোমিক ফ্রেম ওয়ার্কের সাপ্লাই চেন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ার হিসেবে মনোনীত হয়েছে এবং কোয়াড সেমিকনডাকটর সাপ্লাই চেনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। এছাড়া সেমিকনডাকটর ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে জাপান, সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। 

 

সেমিকনডাকটর শিল্পের উপর ভারতের মনোযোগ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের সাফল্য লক্ষ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন ভারতকে এক স্বচ্ছ, কার্যকর ও অপচয় মুক্ত শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব আজ অনুভব করা যাচ্ছে। এর সুবাদে এখন ভারতে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং ডেটা সুলভ হয়েছে। যে ভারত এক দশক আগে মোবাইল ফোনের বৃহত্তম আমদানিকারক ছিল, সেই ভারতই আজ মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে। মাত্র দু বছর আগে ফাইভ-জির সূত্রপাত করে ভারত আজ ফাইভ-জিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের ইলেক্ট্রনিক ক্ষেত্রের মূল্য আজ ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে গেছে। এই দশকের শেষে দেশের ইলেক্ট্রনিক ক্ষেত্রে ৬০ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে ইলেক্ট্রনিক দ্রব্যের উৎপাদন সুনিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য। সেমিকনডাকটর চিপ থেকে শুরু করে তৈরি পণ্য – ভারত সবই উৎপাদন করবে। 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

Click here to read full text speech

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence

Media Coverage

World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।