Published By : Admin |
August 27, 2023 | 12:01 IST
Share
“ভারতের চন্দ্র অভিযানের সফল বাস্তবায়ন বিজ্ঞান এবং শিল্পের কারণে হয়েছে”
“বি-২০-র ভাবনা – আর.এ.আই.এস.ই.-র মধ্যে যে ‘আই’অক্ষরটি আছে তা উদ্ভাবন (ইনোভেশন) শব্দটির প্রতিনিধিত্ব করছে; কিন্তু উদ্ভাবনের পাশাপাশি আমি এখানে আরেকটি ‘আই’ – অন্তর্ভুক্তিকরণকেও (ইনক্লুসিভনেস) দেখতে পাচ্ছি”
“বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে জিনিসটির সবথেকে প্রয়োজন তা হল পারস্পরিক আস্থা”
“বিশ্বের উন্নয়নের ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যতের মধ্যে নিহিত রয়েছে”
“ভারত একটি দক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান”
“স্থিতিশীলতা সুযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের মডেল হিসেবে সমানভাবে প্রযোজ্য”
“ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ-বান্ধব আমানতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছে যেখানে প্রো-প্ল্যানেট উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে”
“বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির উপভোক্তাদের ক্রয় করার ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে, তারা যদি আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব নিয়ে চলে তাহলে সেটি সকলের জন্যই ক্ষতিকারক”
“আন্তর্জাতিক উপভোক্তা দিবসের বিষয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন; এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংস্থা এবং উপ
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে বি-২০ ইন্ডিয়া ২০২৩ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। বি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নীতি নির্ধারক, বাণিজ্য জগতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষজ্ঞরা এক জায়গায় জড়ো হন এবং ‘বি-২০ ভারত বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে আলোচনা করেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে ৫৪টি সুপারিশ এবং বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের জন্য ১৭২টি পদক্ষেপের প্রস্তাব রয়েছে, যা জি-২০ গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।
আজ ভারত পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানীর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সৌর জোট উল্লেখযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে বি-২০ ইন্ডিয়া ২০২৩ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। বি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নীতি নির্ধারক, বাণিজ্য জগতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষজ্ঞরা এক জায়গায় জড়ো হন এবং ‘বি-২০ ভারত বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে আলোচনা করেন। এই বিজ্ঞপ্তিতে ৫৪টি সুপারিশ এবং বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের জন্য ১৭২টি পদক্ষেপের প্রস্তাব রয়েছে, যা জি-২০ গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, সফলভাবে চন্দ্রযান ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে পৌঁছনোয় দেশজুড়ে এক উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। ভারতে উৎসবের মরশুম এগিয়ে এসেছে এবং সমাজ ও বাণিজ্য জগৎ তা উপভোগ করছে। ইসরো-র সফল চন্দ্র অভিযানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিযানে যে সমস্ত উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি বেসরকারি সংস্থা এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। “এই সফল বাস্তবায়ন বিজ্ঞান এবং শিল্পের কারণে হয়েছে।”
শ্রী মোদী বলেন, ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্ব এই সাফল্য উদযাপন করছে। এটি একটি দায়বদ্ধ মহাকাশ অভিযান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিযান দায়বদ্ধ, ত্বরান্বিত, উদ্ভাবনী, সুস্থায়ী এবং সাম্যের প্রতিফলন , যা আজকের বি-২০ সম্মেলনের মূল ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়। মানবজাতিকে – ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর ধারণায় এগিয়ে যেতে হবে।
বি-২০-র মূল ভাবনা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বি-২০-র ভাবনা – আর.এ.আই.এস.ই.-র মধ্যে যে ‘আই’অক্ষরটি আছে তা উদ্ভাবন (ইনোভেশন) শব্দটির প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু উদ্ভাবনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এখানে আরেকটি ‘আই’ – অন্তর্ভুক্তিকরণের (ইনক্লুশিভনেস) কথা বলেছেন। তিনি জানান এই ভাবনা থেকেই জি-২০ গোষ্ঠীতে আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী আসন দেওয়ার কথা আলোচনা হচ্ছে। বি-২০ সম্মেলনেও আফ্রিকার আর্থিক উন্নয়নকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। “ভারত বিশ্বাস করে, এই মঞ্চের সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এই গোষ্ঠীর ওপর একটি প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে।” যে সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হচ্ছে তার সাফল্য নির্ভর করবে ভবিষ্যতে সেগুলিকে কার্যকর করার সময় আন্তর্জাতিক স্তরে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে, যার ফলে সুস্থায়ী উন্নয়নের এক বাতাবরণ তৈরি হবে।
শ্রী মোদী প্রতি শতাব্দীতে একবার বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এই শতাব্দীতে তা কোভিড-১৯ অতিমারী হিসেবে উপস্থিত হয়েছিল। এই অতিমারী আমাদের শিখিয়েছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে জিনিসটির সবথেকে প্রয়োজন তা হল পারস্পরিক আস্থা। অতিমারী পারস্পরিক আস্থাকে নষ্ট করে দিলেও ভারতের তার ওপর ভরসা ছিল। তাই, ভারত ১৫০টির বেশি দেশকে ওষুধ সরবরাহ করেছে। এর ফলে সারা বিশ্বের কাছে নিজেকে ওষুধের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। একইভাবে, এ দেশের উৎপাদিত টিকা বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তার কাজের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। “ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কারণে জি-২০ গোষ্ঠীর বিভিন্ন বৈঠক এ দেশের ৫০টির বেশি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংগঠনগুলির কাছে ভারত আকর্ষণীয় অংশীদার হিসেবে উঠে এসেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এ দেশে তরুণ প্রতিভার প্রাচুর্য রয়েছে এবং দেশ ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। “ভারতের সঙ্গে যত আপনারা বন্ধুত্ব করবেন, ততই উভয় পক্ষের সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।”
শ্রী মোদী বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য সম্ভাবনাকে সমৃদ্ধিতে, বাধা-বিপত্তিকে সম্ভাবনায় এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সাফল্যে পরিণত করে। বড় হোক কিংবা ছোট, আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় – ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যেকের উন্নতি নিশ্চিত করে।” বিশ্বের উন্নয়নের ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যতের মধ্যে নিহিত রয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই অতিমারী আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে চিরস্থায়ী বিঘ্ন ঘটিয়েছে। যে সময়ে সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রয়োজনীয়তা সবথেকে বেশি ছিল, সেই সময় তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রী মোদী বলেন, সরবরাহ শৃঙ্খলের বিঘ্ন ঘটার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ভারতই। ভারত একটি দক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান। একটি ভরসাযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে ভারত সক্ষম, যা বিশ্ব বাণিজ্যে সহায়ক হবে।
জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বি-২০-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন স্থিতিশীলতার দিকে গুরুত্ব আরোপের সময় এসেছে। স্থিতিশীলতা সুযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের মডেল, দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। এ প্রসঙ্গে এখানে মোটা দানার শস্য অর্থাৎ, মিলেটের কথা তিনি উল্লেখ করেন। এই মিলেট একটি মহাখাদ্য। এটি চাষের ক্ষেত্রে পরিবেশ-বান্ধব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। ছোট চাষীদের জন্য মিলেট চাষ লাভজনক। অর্থাৎ, অর্থনীতি এবং জীবনশৈলী – উভয় ক্ষেত্রেই এটি সমান কার্যকরী। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বৃত্তীয় অর্থনীতি এবং পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানীর কথা উল্লেখ করেন। আজ ভারত পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানীর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সৌর জোট উল্লেখযোগ্য।
শ্রী মোদী বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়কালে সকলেই নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে উঠেছেন, যা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। বাণিজ্য মহল এবং সমাজকে পৃথিবীর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। তাদের সিদ্ধান্তগুলি পৃথিবীর ওপর কি প্রভাব ফেলে তা নিয়ে মূল্যায়নের প্রয়োজন। “এই পৃথিবীর কল্যাণসাধন করতে আমাদের দায়বদ্ধ।” তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ‘মিশন লাইফ’-এর প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য, সকলের যৌথ উদ্যোগে এমন কিছু করা যা আমাদের গ্রহের জন্য শুভ হবে। এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান খুব শীঘ্রই করা যাবে যখন আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান প্রো-প্ল্যানেট নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ-বান্ধব আমানতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছে যেখানে গ্রহের প্রতি ইতিবাচক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য বাণিজ্য মহলকে আহ্বান জানান, যাতে বিশ্বজুড়ে এক নতুন আন্দোলন গড়ে তোলা যায়।
শ্রী মোদী ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রথাগত ভাবনাচিন্তার পরিবর্তন ঘটানোর ডাক দেন। এখন সময় এসেছে ব্র্যান্ড এবং বিক্রি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার। “ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যার দীর্ঘমেয়াদি সুফল আমরা সকলেই ভোগ করব। ভারত বেশ কিছু নীতি কার্যকর করার ফলে মাত্র পাঁচ বছরেই ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছেন। এঁরা নতুন উপভোক্তা। এই নব্য মধ্যবিত্তরা ভারতের উন্নয়নে নতুন গতি এনেছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল এটি, যার প্রভাব মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের ওপরও পড়ে।” বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির উপভোক্তাদের ক্রয় করার ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। তারা যদি আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব নিয়ে চলে তাহলে সেটি সকলের জন্যই ক্ষতিকারক। এই প্রসঙ্গে তিনি বিরল মৃত্তিকা বা রেয়ার আর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ উপাদানের অপ্রতুলতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। “এই চাহিদাগুলিকে যদি আন্তর্জাতিক স্তরের দায়বদ্ধতা বলে বিবেচনা করা না হয়, তাহলে নতুন এক ধরনের ঔপনিবেশিকতার জন্ম নেবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাভজনক বাজার তখনই স্থায়ী হয় যখন সেই বাজার উৎপাদক এবং গ্রাহক – দু’পক্ষের স্বার্থই বজায় রাখে। এই একই ভাবনা রাষ্ট্রগুলির ওপরও বর্তায়। অন্য দেশকে বাজার হিসেবে বিবেচনা করলে উৎপাদক রাষ্ট্রগুলি অচিরেই সমস্যার সম্মুখীন হবে। প্রত্যেককে উন্নয়ন যাত্রায় সমান অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাণিজ্য জগতের নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রী আরও বেশি উপভোক্তা-কেন্দ্রিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। এর ফলে তাদের সকলের স্বার্থই সুরক্ষিত থাকবে। “প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহল এক জায়গায় বসে গ্রাহকদের মঙ্গলের জন্য এবং তাঁদের বাজার যাতে ভালো থাকে তার জন্য একজোট হয়ে শপথ গ্রহণ করুন।”
শ্রী মোদী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলকে প্রস্তাব দেন যে বছরে একটি দিন নির্ধারণ করতে যে দিনটিতে তাঁরা উপভোক্তাদের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করবেন। “আমরা যখন উপভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলছি, তখন তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই উপভোক্তাদের অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়গুলির সমাধান করা যাবে। আন্তর্জাতিক উপভোক্তা দিবসের বিষয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংস্থা এবং উপভোক্তাদের মধ্যে আস্থা শক্তিশালী হবে।” তিনি এ বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, উপভোক্তাদের একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে খুচরো ক্রেতা হিসেবে বিবেচনা করলে হবে না, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে যে দেশগুলি যুক্ত রয়েছে তাদের সারা বিশ্বজুড়ে পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে ভাবতে হবে।
এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকায় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এই প্রশ্নগুলির উত্তরের ওপর। এক্ষেত্রে উত্তরের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানী ক্ষেত্রে সঙ্কট, অসম খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল, জলের নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে যথেষ্ট প্রভাব সৃষ্টি হবে। এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, ১০-১৫ বছর আগেও কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো সমস্যার কথা ভাবেননি। এই বিষয়ে একটি সুসংহত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন। একইভাবে কৃত্রিম মেধার বিষয় নিয়েও ভাবনাচিন্তা করতে হবে। আজ এই বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দক্ষতা এবং নতুন দক্ষতা সৃষ্টি সংক্রান্ত কিছু নৈতিক প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। “নৈতিকভাবে কৃত্রিম মেধা ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংগঠন এবং সরকারগুলির একজোট হয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।” বিভিন্ন ক্ষেত্রের নানা সমস্যার সমাধানে এভাবেই সবাইকে একজোট হতে হবে।
তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মহল বর্তমানে সফলভাবে দেশ ও কালের গণ্ডি অতিক্রম করেছে, কিন্তু এখন সময় এসেছে তৃণমূল স্তর থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার। সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বি-২০ শীর্ষ সম্মেলন এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ নিতে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। “বিশ্বের সকলের মধ্যে প্রযুক্তির সাহায্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠার মাধ্যমে অভিন্ন উদ্দেশ্য সাধন হয়, পৃথিবীর প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়, সমৃদ্ধ এক ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে”
প্রেক্ষাপট বিজনেস-২০’ বা বি-২০ হল জি-২০ গোষ্ঠীর ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর সরকারি মঞ্চ। ২০১০ সালে বি-২০ প্রতিষ্ঠিত হয়। জি-২০ গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বি-২০-র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। আর্থিক উন্নতি এবং উন্নয়নে গতি আনতে বি-২০ গোষ্ঠী নীতিগত ক্ষেত্রে নানা ধরনের সুপারিশ করে থাকে। ২৫ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বি-২০-র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মূল ভাবনা আর.এ.আই.এস.ই. – দায়বদ্ধ (রেসপন্সিবল), ত্বরান্বিত (অ্যাক্সিলারেটেড), উদ্ভাবনী (ইনোভেটিভ), সুস্থায়ী (সাসটেনেবল) এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সাম্য (ইক্যুইটেবল বিজনেসেস)। ২৭ আগস্টের সম্মেলনে ৫৫টি দেশের ১,৫০০-র বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
Our space agency @isro has a big role in the success of Chandrayaan-3 mission.
But at the same time, Indian industry has also contributed a lot in this.
Many components used in Chandrayaan have been provided by our industry, private companies, our MSMEs. pic.twitter.com/oGGl7PscVs
अविश्वास के माहौल में, जो देश, पूरी संवेदनशीलता के साथ, विनम्रता के साथ, विश्वास का झंडा लेकर आपके सामने खड़ा है - वो है भारत। pic.twitter.com/YKpYaYo4xv
'Vande Mataram' rekindled an idea deeply rooted in India for thousands of years: PM Modi in Lok Sabha
December 08, 2025
Share
Vande Mataram energised our freedom movement: PM
It is a matter of pride for all of us that we are witnessing 150 years of Vande Mataram: PM
Vande Mataram is the force that drives us to achieve the dreams our freedom fighters envisioned: PM
Vande Mataram rekindled an idea deeply rooted in India for thousands of years: PM
Vande Mataram also contained the cultural energy of thousands of years, it also had the fervor for freedom and the vision of an independent India: PM
The deep connection of Vande Mataram with the people reflects the journey of our freedom movement: PM
Vande Mataram gave strength and direction to our freedom movement: PM
Vande Mataram was the all-encompassing mantra that inspired freedom, sacrifice, strength, purity, dedication, and resilience: PM
आदरणीय अध्यक्ष महोदय,
मैं आपका और सदन के सभी माननीय सदस्यों का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं कि हमने इस महत्वपूर्ण अवसर पर एक सामूहिक चर्चा का रास्ता चुना है, जिस मंत्र ने, जिस जय घोष ने देश की आजादी के आंदोलन को ऊर्जा दी थी, प्रेरणा दी थी, त्याग और तपस्या का मार्ग दिखाया था, उस वंदे मातरम का पुण्य स्मरण करना, इस सदन में हम सब का यह बहुत बड़ा सौभाग्य है। और हमारे लिए गर्व की बात है कि वंदे मातरम के 150 वर्ष निमित्त, इस ऐतिहासिक अवसर के हम साक्षी बना रहे हैं। एक ऐसा कालखंड, जो हमारे सामने इतिहास के अनगिनत घटनाओं को अपने सामने लेकर के आता है। यह चर्चा सदन की प्रतिबद्धता को तो प्रकट करेगी ही, लेकिन आने वाली पीढियां के लिए भी, दर पीढ़ी के लिए भी यह शिक्षा का कारण बन सकती है, अगर हम सब मिलकर के इसका सदुपयोग करें तो।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
यह एक ऐसा कालखंड है, जब इतिहास के कई प्रेरक अध्याय फिर से हमारे सामने उजागर हुए हैं। अभी-अभी हमने हमारे संविधान के 75 वर्ष गौरवपूर्व मनाए हैं। आज देश सरदार वल्लभ भाई पटेल की और भगवान बिरसा मुंडा की 150वीं जयंती भी मना रहा है और अभी-अभी हमने गुरु तेग बहादुर जी का 350वां बलिदान दिवस भी बनाया है और आज हम वंदे मातरम की 150 वर्ष निमित्त सदन की एक सामूहिक ऊर्जा को, उसकी अनुभूति करने का प्रयास कर रहे हैं। वंदे मातरम 150 वर्ष की यह यात्रा अनेक पड़ावों से गुजरी है।
लेकिन आदरणीय अध्यक्ष जी,
वंदे मातरम को जब 50 वर्ष हुए, तब देश गुलामी में जीने के लिए मजबूर था और वंदे मातरम के 100 साल हुए, तब देश आपातकाल की जंजीरों में जकड़ा हुआ था। जब वंदे मातरम 100 साल के अत्यंत उत्तम पर्व था, तब भारत के संविधान का गला घोट दिया गया था। जब वंदे मातरम 100 साल का हुआ, तब देशभक्ति के लिए जीने-मरने वाले लोगों को जेल के सलाखों के पीछे बंद कर दिया गया था। जिस वंदे मातरम के गीत ने देश को आजादी की ऊर्जा दी थी, उसके जब 100 साल हुए, तो दुर्भाग्य से एक काला कालखंड हमारे इतिहास में उजागर हो गया। हम लोकतंत्र के (अस्पष्ट) गिरोह में थे।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
150 वर्ष उस महान अध्याय को, उस गौरव को पुनः स्थापित करने का अवसर है और मैं मानता हूं, सदन ने भी और देश ने भी इस अवसर को जाने नहीं देना चाहिए। यही वंदे मातरम है, जिसने 1947 में देश को आजादी दिलाई। स्वतंत्रता संग्राम का भावनात्मक नेतृत्व इस वंदे मातरम के जयघोष में था।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
आपके समक्ष आज जब मैं वंदे मातरम 150 निमित्त चर्चा के लिए आरंभ करने खड़ा हुआ हूं। यहां कोई पक्ष प्रतिपक्ष नहीं है, क्योंकि हम सब यहां जो बैठे हैं, एक्चुअली हमारे लिए ऋण स्वीकार करने का अवसर है कि जिस वंदे मातरम के कारण लक्ष्यावादी लोग आजादी का आंदोलन चला रहे थे और उसी का परिणाम है कि आज हम सब यहां बैठे हैं और इसलिए हम सभी सांसदों के लिए, हम सभी जनप्रतिनिधियों के लिए वंदे मातरम के ऋण स्वीकार करने का यह पावन पर्व है। और इससे हम प्रेरणा लेकर के वंदे मातरम की जिस भावना ने देश की आजादी का जंग लड़ा, उत्तर, दक्षिण, पूर्व, पश्चिम पूरा देश एक स्वर से वंदे मातरम बोलकर आगे बढ़ा, फिर से एक बार अवसर है कि आओ, हम सब मिलकर चलें, देश को साथ लेकर चलें, आजादी का दीवानों ने जो सपने देखे थे, उन सपनों को पूरा करने के लिए वंदे मातरम 150 हम सब की प्रेरणा बने, हम सब की ऊर्जा बने और देश आत्मनिर्भर बने, 2047 में विकसित भारत बनाकर के हम रहें, इस संकल्प को दोहराने के लिए यह वंदे मातरम हमारे लिए एक बहुत बड़ा अवसर है।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
दादा तबीयत तो ठीक है ना! नहीं कभी-कभी इस उम्र में हो जाता है।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
वंदे मातरम की इस यात्रा की शुरुआत बंकिम चंद्र जी ने 1875 में की थी और गीत ऐसे समय लिखा गया था, जब 1857 के स्वतंत्रता संग्राम के बाद अंग्रेज सल्तनत बौखलाई हुई थी। भारत पर भांति-भांति के दबाव डाल रहे थी, भांति-भांति के ज़ुल्म कर रही थी और भारत के लोगों को मजबूर किया जा रहा था अंग्रेजों के द्वारा और उस समय उनका जो राष्ट्रीय गीत था, God Save The Queen, इसको भारत में घर-घर पहुंचाने का एक षड्यंत्र चल रहा था। ऐसे समय बंकिम दा ने चुनौती दी और ईट का जवाब पत्थर से दिया और उसमें से वंदे मातरम का जन्म हुआ। इसके कुछ वर्ष बाद, 1882 में जब उन्होंने आनंद मठ लिखा, तो उस गीत का उसमें समावेश किया गया।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
वंदे मातरम ने उस विचार को पुनर्जीवित किया था, जो हजारों वर्ष से भारत की रग-रग में रचा-बसा था। उसी भाव को, उसी संस्कारों को, उसी संस्कृति को, उसी परंपरा को उन्होंने बहुत ही उत्तम शब्दों में, उत्तम भाव के साथ, वंदे मातरम के रूप में हम सबको बहुत बड़ी सौगात दी थी। वंदे मातरम, यह सिर्फ केवल राजनीतिक आजादी की लड़ाई का मंत्र नहीं था, सिर्फ हम अंग्रेज जाएं और हम खड़े हो जाएं, अपनी राह पर चलें, इतनी मात्र तक वंदे मातरम प्रेरित नहीं करता था, वो उससे कहीं आगे था। आजादी की लड़ाई इस मातृभूमि को मुक्त कराने का भी जंग था। अपनी मां भारती को उन बेड़ियों से मुक्ति दिलाने का एक पवित्र जंग था और वंदे मातरम की पृष्ठभूमि हम देखें, उसके संस्कार सरिता देखें, तो हमारे यहां वेद काल से एक बात बार-बार हमारे सामने आई है। जब वंदे मातरम कहते हैं, तो वही वेद काल की बात हमें याद आती है। वेद काल से कहा गया है "माता भूमिः पुत्रोऽहं पृथिव्याः" अर्थात यह भूमि मेरी माता है और मैं पृथ्वी का पुत्र हूं।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
यही वह विचार है, जिसको प्रभु श्री राम ने भी लंका के वैभव को छोड़ते हुए कहा था "जननी जन्मभूमिश्च स्वर्गादपि गरीयसी"। वंदे मातरम, यही महान सांस्कृतिक परंपरा का एक आधुनिक अवतार है।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
बंकिम दा ने जब वंदे मातरम की रचना की, तो स्वाभाविक ही वह स्वतंत्रता आंदोलन का स्वर बन गया। पूर्व से पश्चिम, उत्तर से दक्षिण वंदे, मातरम हर भारतीय का संकल्प बन गया। इसलिए वंदे मातरम की स्तुति में लिखा गया था, “मातृभूमि स्वतंत्रता की वेदिका पर मोदमय, मातृभूमि स्वतंत्रता की वेदिका पर मोदमय, स्वार्थ का बलिदान है, ये शब्द हैं वंदे मातरम, है सजीवन मंत्र भी, यह विश्व विजयी मंत्र भी, शक्ति का आह्वान है, यह शब्द वंदे मातरम। उष्ण शोणित से लिखो, वक्तस्थलि को चीरकर वीर का अभिमान है, यह शब्द वंदे मातरम।”
आदरणीय अध्यक्ष जी,
कुछ दिन पूर्व, जब वंदे मातरम 150 का आरंभ हो रहा था, तो मैंने उस आयोजन में कहा था, वंदे मातरम हजारों वर्ष की सांस्कृतिक ऊर्जा भी थी। उसमें आजादी का जज्बा भी था और आजाद भारत का विजन भी था। अंग्रेजों के उस दौर में एक फैशन हो गई थी, भारत को कमजोर, निकम्मा, आलसी, कर्महीन इस प्रकार भारत को जितना नीचा दिखा सकें, ऐसी एक फैशन बन गई थी और उसमें हमारे यहां भी जिन्होंने तैयार किए थे, वह लोग भी वही भाषा बोलते थे। तब बंकिम दा ने उस हीन भावना को भी झंकझोरने के लिए और सामर्थ्य का परिचय कराने के लिए, वंदे मातरम के भारत के सामर्थ्यशाली रूप को प्रकट करते हुए, आपने लिखा था, त्वं हि दुर्गा दशप्रहरणधारिणी,कमला कमलदलविहारिणी, वाणी विद्यादायिनी। नमामि त्वां नमामि कमलाम्, अमलाम् अतुलां सुजलां सुफलां मातरम्॥ वन्दे मातरम्॥ अर्थात भारत माता ज्ञान और समृद्धि की देवी भी हैं और दुश्मनों के सामने अस्त्र-शस्त्र धारण करने वाली चंडी भी हैं।
अध्यक्ष जी,
यह शब्द, यह भाव, यह प्रेरणा, गुलामी की हताशा में हम भारतीयों को हौसला देने वाले थे। इन वाक्यों ने तब करोड़ों देशवासियों को यह एहसास कराया की लड़ाई किसी जमीन के टुकड़े के लिए नहीं है, यह लड़ाई सिर्फ सत्ता के सिंहासन को कब्जा करने के लिए नहीं है, यह गुलामी की बेड़ियों को मुक्त कर हजारों साल की महान जो परंपराएं थी, महान संस्कृति, जो गौरवपूर्ण इतिहास था, उसको फिर से पुनर्जन्म कराने का संकल्प इसमें है।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
वंदे मातरम, इसका जो जन-जन से जुड़ाव था, यह हमारे स्वतंत्रता संग्राम के एक लंबी गाथा अभिव्यक्त होती है।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
जब भी जैसे किसी नदी की चर्चा होती है, चाहे सिंधु हो, सरस्वती हो, कावेरी हो, गोदावरी हो, गंगा हो, यमुना हो, उस नदी के साथ एक सांस्कृतिक धारा प्रवाह, एक विकास यात्रा का धारा प्रवाह, एक जन-जीवन की यात्रा का प्रवाह, उसके साथ जुड़ जाता है। लेकिन क्या कभी किसी ने सोचा है कि आजादी जंग के हर पड़ाव, वो पूरी यात्रा वंदे मातरम की भावनाओं से गुजरता था। उसके तट पर पल्लवित होता था, ऐसा भाव काव्य शायद दुनिया में कभी उपलब्ध नहीं होगा।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
अंग्रेज समझ चुके थे कि 1857 के बाद लंबे समय तक भारत में टिकना उनके लिए मुश्किल लग रहा था और जिस प्रकार से वह अपने सपने लेकर के आए थे, तब उनको लगा कि जब तक, जब तक भारत को बाटेंगे नहीं, जब तक भारत को टुकडों में नहीं बाटेंगे, भारत में ही लोगों को एक-दूसरे से लड़ाएंगे नहीं, तब तक यहां राज करना मुश्किल है और अंग्रेजों ने बाटों और राज करो, इस रास्ते को चुना और उन्होंने बंगाल को इसकी प्रयोगशाला बनाया क्यूंकि अंग्रेज़ भी जानते थे, वह एक वक्त था जब बंगाल का बौद्धिक सामर्थ्य देश को दिशा देता था, देश को ताकत देता था, देश को प्रेरणा देता था और इसलिए अंग्रेज भी चाहते थे कि बंगाल का यह जो सामर्थ्य है, वह पूरे देश की शक्ति का एक प्रकार से केंद्र बिंदु है। और इसलिए अंग्रेजों ने सबसे पहले बंगाल के टुकड़े करने की दिशा में काम किया। और अंग्रेजों का मानना था कि एक बार बंगाल टूट गया, तो यह देश भी टूट जाएगा और वो यावच चन्द्र-दिवाकरौ राज करते रहेंगे, यह उनकी सोच थी। 1905 में अंग्रेजों ने बंगाल का विभाजन किया, लेकिन जब अंग्रेजों ने 1905 में यह पाप किया, तो वंदे मातरम चट्टान की तरह खड़ा रहा। बंगाल की एकता के लिए वंदे मातरम गली-गली का नाद बन गया था और वही नारा प्रेरणा देता था। अंग्रेजों ने बंगाल विभाजन के साथ ही भारत को कमजोर करने के बीज और अधिक बोने की दिशा पकड़ ली थी, लेकिन वंदे मातरम एक स्वर, एक सूत्र के रूप में अंग्रेजों के लिए चुनौती बनता गया और देश के लिए चट्टान बनता गया।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
बंगाल का विभाजन तो हुआ, लेकिन एक बहुत बड़ा स्वदेशी आंदोलन खड़ा हुआ और तब वंदे मातरम हर तरफ गूंज रहा था। अंग्रेज समझ गए थे कि बंगाल की धरती से निकला, बंकिम दा का यह भाव सूत्र, बंकित बाबू बोलें अच्छा थैंक यू थैंक यू थैंक यू आपकी भावनाओं का मैं आदर करता हूं। बंकिम बाबू ने, बंकिम बाबू ने थैंक यू दादा थैंक यू, आपको तो दादा कह सकता हूं ना, वरना उसमें भी आपको ऐतराज हो जाएगा। बंकिम बाबू ने यह जो भाव विश्व तैयार किया था, उनके भाव गीत के द्वारा, उन्होंने अंग्रेजों को हिला दिया और अंग्रेजों ने देखिए कितनी कमजोरी होगी और इस गीत की ताकत कितनी होगी, अंग्रेजों ने उसको कानूनी रूप से प्रतिबंध लगाने के लिए मजबूर होना पड़ा था। गाने पर सजा, छापने पर सजा, इतना ही नहीं, वंदे मातरम शब्द बोलने पर भी सजा, इतने कठोर कानून लागू कर दिए गए थे। हमारे देश की आजादी के आंदोलन में सैकड़ों महिलाओं ने नेतृत्व किया, लक्ष्यावधि महिलाओं ने योगदान दिया। एक घटना का मैं जिक्र करना चाहता हूं, बारीसाल, बारीसाल में वंदे मातरम गाने पर सर्वाधिक जुल्म हुए थे। वो बारीसाल आज भारत का हिस्सा नहीं रहा है और उस समय बारीसाल के हमारे माताएं, बहने, बच्चे मैदान उतरे थे, वंदे मातरम के स्वाभिमान के लिए, इस प्रतिबंध के विरोध में लड़ाई के मैदान में उतरी थी और तब बारीसाल कि यह वीरांगना श्रीमती सरोजिनी घोष, जिन्होंने उस जमाने में वहां की भावनाओं को देखिए और उन्होंने कहा था की वंदे मातरम यह जो प्रतिबंध लगा है, जब तक यह प्रतिबंध नहीं हटता है, मैं अपनी चूड़ियां जो पहनती हूं, वो निकाल दूंगी। भारत में वह एक जमाना था, चूड़ी निकालना यानी महिला के जीवन की एक बहुत बड़ी घटना हुआ करती थी, लेकिन उनके लिए वंदे मातरम वह भावना थी, उन्होंने अपनी सोने की चूड़ियां, जब तक वंदे मातरम प्रतिबंध नहीं हटेगा, मैं दोबारा नहीं धारण करूंगी, ऐसा बड़ा व्रत ले लिया था। हमारे देश के बालक भी पीछे नहीं रहे थे, उनको कोड़े की सजा होती थी, छोटी-छोटी उम्र में उनको जेल में बंद कर दिया जाता था और उन दिनों खास करके बंगाल की गलियों में लगातार वंदे मातरम के लिए प्रभात फेरियां निकलती थी। अंग्रेजों की नाक में दम कर दिया था और उस समय एक गीत गूंजता था बंगाल में जाए जाबे जीवोनो चोले, जाए जाबे जीवोनो चोले, जोगोतो माझे तोमार काँधे वन्दे मातरम बोले (In Bengali) अर्थात हे मां संसार में तुम्हारा काम करते और वंदे मातरम कहते जीवन भी चला जाए, तो वह जीवन भी धन्य है, यह बंगाल की गलियों में बच्चे कह रहे थे। यह गीत उन बच्चों की हिम्मत का स्वर था और उन बच्चों की हिम्मत ने देश को हिम्मत दी थी। बंगाल की गलियों से निकली आवाज देश की आवाज बन गई थी। 1905 में हरितपुर के एक गांव में बहुत छोटी-छोटी उम्र के बच्चे, जब वंदे मातरम के नारे लगा रहे थे, अंग्रेजों ने बेरहमी से उन पर कोड़े मारे थे। हर एक प्रकार से जीवन और मृत्यु के बीच लड़ाई लड़ने के लिए मजबूर कर दिया था। इतना अत्याचार हुआ था। 1906 में नागपुर में नील सिटी हाई स्कूल के उन बच्चों पर भी अंग्रेजों ने ऐसे ही जुल्म किए थे। गुनाह यही था कि वह एक स्वर से वंदे मातरम बोल करके खड़े हो गए थे। उन्होंने वंदे मातरम के लिए, मंत्र का महात्म्य अपनी ताकत से सिद्ध करने का प्रयास किया था। हमारे जांबाज सपूत बिना किसी डर के फांसी के तख्त पर चढ़ते थे और आखिरी सांस तक वंदे मातरम वंदे मातरम वंदे मातरम, यही उनका भाव घोष रहता था। खुदीराम बोस, मदनलाल ढींगरा, राम प्रसाद बिस्मिल, अशफाकउल्ला खान, रोशन सिंह, राजेन्द्रनाथ लाहिड़ी, रामकृष्ण विश्वास अनगिनत जिन्होंने वंदे मातरम कहते-कहते फांसी के फंदे को अपने गले पर लगाया था। लेकिन देखिए यह अलग-अलग जेलों में होता था, अलग-अलग इलाकों में होता था। प्रक्रिया करने वाले चेहरे अलग थे, लोग अलग थे। जिन पर जुल्म हो रहा था, उनकी भाषा भी अलग थी, लेकिन एक भारत, श्रेष्ठ भारत, इन सबका मंत्र एक ही था, वंदे मातरम। चटगांव की स्वराज क्रांति जिन युवाओं ने अंग्रेजों को चुनौती दी, वह भी इतिहास के चमकते हुए नाम हैं। हरगोपाल कौल, पुलिन विकाश घोष, त्रिपुर सेन इन सबने देश के लिए अपना बलिदान दिया। मास्टर सूर्य सेन को 1934 में जब फांसी दी गई, तब उन्होंने अपने साथियों को एक पत्र लिखा और पत्र में एक ही शब्द की गूंज थी और वह शब्द था वंदे मातरम।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
हम देशवासियों को गर्व होना चाहिए, दुनिया के इतिहास में कहीं पर भी ऐसा कोई काव्य नहीं हो सकता, ऐसा कोई भाव गीत नहीं हो सकता, जो सदियों तक एक लक्ष्य के लिए कोटि-कोटि जनों को प्रेरित करता हो और जीवन आहूत करने के लिए निकल पड़ते हों, दुनिया में ऐसा कोई भाव गीत नहीं हो सकता, जो वंदे मातरम है। पूरे विश्व को पता होना चाहिए कि गुलामी के कालखंड में भी ऐसे लोग हमारे यहां पैदा होते थे, जो इस प्रकार के भाव गीत की रचना कर सकते थे। यह विश्व के लिए अजूबा है, हमें गर्व से कहना चाहिए, तो दुनिया भी मनाना शुरू करेगी। यह हमारी स्वतंत्रता का मंत्र था, यह बलिदान का मंत्र था, यह ऊर्जा का मंत्र था, यह सात्विकता का मंत्र था, यह समर्पण का मंत्र था, यह त्याग और तपस्या का मंत्र था, संकटों को सहने का सामर्थ्य देने का यह मंत्र था और वह मंत्र वंदे मातरम था। और इसलिए गुरुदेव रविंद्रनाथ टैगोर ने लिखा था, उन्होंने लिखा था, एक कार्ये सोंपियाछि सहस्र जीवन—वन्दे मातरम् (In Bengali) अर्थात एक सूत्र में बंधे हुए सहस्त्र मन, एक ही कार्य में अर्पित सहस्त्र जीवन, वंदे मातरम। यह रविंद्रनाथ टैगोर जी ने लिखा था।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
उसी कालखंड में वंदे मातरम की रिकॉर्डिंग दुनिया के अलग-अलग भागों में पहुंची और लंदन में जो क्रांतिकारियों की एक प्रकार से तीर्थ भूमि बन गया था, वह लंदन का इंडिया हाउस वीर सावरकर जी ने वहां वंदे मातरम गीत गाया और वहां यह गीत बार-बार गूंजता था। देश के लिए जीने-मरने वालों के लिए वह एक बहुत बड़ा प्रेरणा का अवसर रहता था। उसी समय विपिन चंद्र पाल और महर्षि अरविंद घोष, उन्होंने अखबार निकालें, उस अखबार का नाम भी उन्होंने वंदे मातरम रखा। यानी डगर-डगर पर अंग्रेजों के नींद हराम करने के लिए वंदे मातरम काफी हो जाता था और इसलिए उन्होंने इस नाम को रखा। अंग्रेजों ने अखबारों पर रोक लगा दी, तो मैडम भीकाजी कामा ने पेरिस में एक अखबार निकाला और उसका नाम उन्होंने वंदे मातरम रखा!
आदरणीय अध्यक्ष जी,
वंदे मातरम ने भारत को स्वावलंबन का रास्ता भी दिखाया। उस समय माचिस के डिबिया, मैच बॉक्स, वहां से लेकर के बड़े-बड़े शिप उस पर भी वंदे मातरम लिखने की परंपरा बन गई और बाहरी कंपनियों को चुनौती देने का एक माध्यम बन गया, स्वदेशी का एक मंत्र बन गया। आजादी का मंत्र स्वदेशी के मंत्र की तरह विस्तार होता गया।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
मैं एक और घटना का जिक्र भी करना चाहता हूं। 1907 में जब वी ओ चिदंबरम पिल्लई, उन्होंने स्वदेशी कंपनी का जहाज बनाया, तो उस पर भी लिखा था वंदेमातरम। राष्ट्रकवि सुब्रमण्यम भारती ने वंदे मातरम को तमिल में अनुवाद किया, स्तुति गीत लिखे। उनके कई तमिल देशभक्ति गीतों में वंदे मातरम की श्रद्धा साफ-साफ नजर आती है। शायद सभी लोगों को लगता है, तमिलनाडु के लोगों को पता हो, लेकिन सभी लोगों को यह बात का पता ना हो कि भारत का ध्वज गीत वी सुब्रमण्यम भारती ने ही लिखा था। उस ध्वज गीत का वर्णन जिस पर वंदे मातरम लिखा हुआ था, तमिल में इस ध्वज गीत का शीर्षक था। Thayin manikodi pareer, thazhndu panintu Pukazhnthida Vareer! (In Tamil) अर्थात देश प्रेमियों दर्शन कर लो, सविनय अभिनंदन कर लो, मेरी मां की दिव्य ध्वजा का वंदन कर लो।
आदरणीय अध्यक्ष महोदय,
मैं आज इस सदन में वंदे मातरम पर महात्मा गांधी की भावनाएं क्या थी, वह भी रखना चाहता हूं। दक्षिण अफ्रीका से प्रकाशित एक साप्ताहिक पत्रिका निकलती थी, इंडियन ओपिनियन और और इस इंडियन ओपिनियन में महात्मा गांधी ने 2 दिसंबर 1905 जो लिखा था, उसको मैं कोट कर रहा हूं। उन्होंने लिखा था, महात्मा गांधी ने लिखा था, “गीत वंदे मातरम जिसे बंकिम चंद्र ने रचा है, पूरे बंगाल में अत्यंत लोकप्रिय हो गया है, स्वदेशी आंदोलन के दौरान बंगाल में विशाल सभाएं हुईं, जहां लाखों लोग इकट्ठा हुए और बंकिम का यह गीत गाया।” गांधी जी आगे लिखते हैंं, यह बहुत महत्वपूर्ण है, वह लिखते हैं यह 1905 की बात है। उन्होंने लिखा, “यह गीत इतना लोकप्रिय हो गया है, जैसे यह हमारा नेशनल एंथम बन गया है। इसकी भावनाएं महान हैं और यह अन्य राष्ट्रों के गीतों से अधिक मधुर है। इसका एकमात्र उद्देश्य हम में देशभक्ति की भावना जगाना है। यह भारत को मां के रूप में देखता है और उसकी स्तुति करता है।”
अध्यक्ष जी,
जो वंदे मातरम 1905 में महात्मा गांधी को नेशनल एंथम के रूप में दिखता था, देश के हर कोने में, हर व्यक्ति के जीवन में, जो भी देश के लिए जीता-जागता, जिस देश के लिए जागता था, उन सबके लिए वंदे मातरम की ताकत बहुत बड़ी थी। वंदे मातरम इतना महान था, जिसकी भावना इतनी महान थी, तो फिर पिछली सदी में इसके साथ इतना बड़ा अन्याय क्यों हुआ? वंदे मातरम के साथ विश्वासघात क्यों हुआ? यह अन्याय क्यों हुआ? वह कौन सी ताकत थी, जिसकी इच्छा खुद पूज्य बापू की भावनाओं पर भी भारी पड़ गई? जिसने वंदे मातरम जैसी पवित्र भावना को भी विवादों में घसीट दिया। मैं समझता हूं कि आज जब हम वंदे मातरम के 150 वर्ष का पर्व बना रहे हैं, यह चर्चा कर रहे हैं, तो हमें उन परिस्थितियों को भी हमारी नई पीडिया को जरूर बताना हमारा दायित्व है। जिसकी वजह से वंदे मातरम के साथ विश्वासघात किया गया। वंदे मातरम के प्रति मुस्लिम लीग की विरोध की राजनीति तेज होती जा रही थी। मोहम्मद अली जिन्ना ने लखनऊ से 15 अक्टूबर 1937 को वंदे मातरम के विरुद्ध का नारा बुलंद किया। फिर कांग्रेस के तत्कालीन अध्यक्ष जवाहरलाल नेहरू को अपना सिंहासन डोलता दिखा। बजाय कि नेहरू जी मुस्लिम लीग के आधारहीन बयानों को तगड़ा जवाब देते, करारा जवाब देते, मुस्लिम लीग के बयानों की निंदा करते और वंदे मातरम के प्रति खुद की भी और कांग्रेस पार्टी की भी निष्ठा को प्रकट करते, लेकिन उल्टा हुआ। वो ऐसा क्यों कर रहे हैं, वह तो पूछा ही नहीं, न जाना, लेकिन उन्होंने वंदे मातरम की ही पड़ताल शुरू कर दी। जिन्ना के विरोध के 5 दिन बाद ही 20 अक्टूबर को नेहरू जी ने नेताजी सुभाष बाबू को चिट्ठी लिखी। उस चिट्ठी में जिन्ना की भावना से नेहरू जी अपनी सहमति जताते हुए कि वंदे मातरम भी यह जो उन्होंने सुभाष बाबू को लिखा है, वंदे मातरम की आनंद मठ वाली पृष्ठभूमि मुसलमानों को इरिटेट कर सकती है। मैं नेहरू जी का क्वोट पढ़ता हूं, नेहरू जी कहते हैं “मैंने वंदे मातरम गीत का बैकग्राउंड पड़ा है।” नेहरू जी फिर लिखते हैं, “मुझे लगता है कि यह जो बैकग्राउंड है, इससे मुस्लिम भड़केंगे।”
साथियों,
इसके बाद कांग्रेस की तरफ से बयान आया कि 26 अक्टूबर से कांग्रेस कार्यसमिति की एक बैठक कोलकाता में होगी, जिसमें वंदे मातरम के उपयोग की समीक्षा की जाएगी। बंकिम बाबू का बंगाल, बंकिम बाबू का कोलकाता और उसको चुना गया और वहां पर समीक्षा करना तय किया। पूरा देश हतप्रभ था, पूरा देश हैरान था, पूरे देश में देशभक्तों ने इस प्रस्ताव के विरोध में देश के कोने-कोने में प्रभात फेरियां निकालीं, वंदे मातरम गीत गाया लेकिन देश का दुर्भाग्य कि 26 अक्टूबर को कांग्रेस ने वंदे मातरम पर समझौता कर लिया। वंदे मातरम के टुकड़े करने के फैसले में वंदे मातरम के टुकड़े कर दिए। उस फैसले के पीछे नकाब ये पहना गया, चोला ये पहना गया, यह तो सामाजिक सद्भाव का काम है। लेकिन इतिहास इस बात का गवाह है कि कांग्रेस ने मुस्लिम लीग के सामने घुटने टेक दिए और मुस्लिम लीग के दबाव में किया और कांग्रेस का यह तुष्टीकरण की राजनीति को साधने का एक तरीका था।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
तुष्टीकरण की राजनीति के दबाव में कांग्रेस वंदे मातरम के बंटवारे के लिए झुकी, इसलिए कांग्रेस को एक दिन भारत के बंटवारे के लिए झुकना पड़ा। मुझे लगता है, कांग्रेस ने आउटसोर्स कर दिया है। दुर्भाग्य से कांग्रेस के नीतियां वैसी की वैसी ही हैं और इतना ही नहीं INC चलते-चलते MMC हो गया है। आज भी कांग्रेस और उसके साथी और जिन-जिन के नाम के साथ कांग्रेस जुड़ा हुआ है सब, वंदे मातरम पर विवाद खड़ा करने की कोशिश करते हैं।
आदरणीय अध्यक्ष महोदय,
किसी भी राष्ट्र का चरित्र उसके जीवटता उसके अच्छे कालखंड से ज्यादा, जब चुनौतियों का कालखंड होता है, जब संकटों का कालखंड होता है, तब प्रकट होती हैं, उजागर होती हैं और सच्चे अर्थ में कसौटी से कसी जाती हैं। जब कसौटी का काल आता है, तब ही यह सिद्ध होता है कि हम कितने दृढ़ हैं, कितने सशक्त हैं, कितने सामर्थ्यवान हैं। 1947 में देश आजाद होने के बाद देश की चुनौतियां बदली, देश के प्राथमिकताएं बदली, लेकिन देश का चरित्र, देश की जीवटता, वही रही, वही प्रेरणा मिलती रही। भारत पर जब-जब संकट आए, देश हर बार वंदे मातरम की भावना के साथ आगे बढ़ा। बीच का कालखंड कैसा गया, जाने दो। लेकिन आज भी 15 अगस्त, 26 जनवरी की जब बात आती है, हर घर तिरंगा की बात आती है, चारों तरफ वो भाव दिखता है। तिरंगे झंडे फहरते हैं। एक जमाना था, जब देश में खाद्य का संकट आया, वही वंदे मातरम का भाव था, मेरे देश के किसानों के अन्न के भंडार भर दिए और उसके पीछे भाव वही है वंदे मातरम। जब देश की आजादी को कुचलना की कोशिश हुए, संविधान की पीठ पर छुरा घोप दिया गया, आपातकाल थोप दिया गया, यही वंदे मातरम की ताकत थी कि देश खड़ा हुआ और परास्त करके रहा। देश पर जब भी युद्ध थोपे गए, देश को जब भी संघर्ष की नौबत आई, यही वंद मातरम का भाव था, देश का जवान सीमाओं पर अड़ गया और मां भारती का झंडा लहराता रहा, विजय श्री प्राप्त करता रहा। कोरोना जैसा वैश्विक महासंकट आया, यही देश उसी भाव से खड़ा हुआ, उसको भी परास्त करके आगे बढ़ा।
आदरणीय अध्यक्ष जी,
यह राष्ट्र की शक्ति है, यह राष्ट्र को भावनाओं से जोड़ने वाला सामर्थ्यवान एक ऊर्जा प्रवाह है। यह चेतना परवाह है, यह संस्कृति की अविरल धारा का प्रतिबिंब है, उसका प्रकटीकरण है। यह वंदे मातरम हमारे लिए सिर्फ स्मरण करने का काल नहीं, एक नई ऊर्जा, नई प्रेरणा का लेने का काल बन जाए और हम उसके प्रति समर्पित होते चलें और मैंने पहले कहा हम लोगों पर तो कर्ज है वंदे मातरम का, वही वंदे मातरम है, जिसने वह रास्ता बनाया, जिस रास्ते से हम यहां पहुंचे हैं और इसलिए हमारा कर्ज बनता है। भारत हर चुनौतियों को पार करने में सामर्थ्य है। वंदे मातरम के भाव की वो ताकत है। वंदे मातरम यह सिर्फ गीत या भाव गीत नहीं, यह हमारे लिए प्रेरणा है, राष्ट्र के प्रति कर्तव्यों के लिए हमें झकझोरने वाला काम है और इसलिए हमें निरंतर इसको करते रहना होगा। हम आत्मनिर्भर भारत का सपना लेकर के चल रहे हैं, उसको पूरा करना है। वंदे मातरम हमारी प्रेरणा है। हम स्वदेशी आंदोलन को ताकत देना चाहते हैं, समय बदला होगा, रूप बदले होंगे, लेकिन पूज्य गांधी ने जो भाव व्यक्त किया था, उस भाव की ताकत आज भी हमें मौजूद है और वंदे मातरम हमें जोड़ता है। देश के महापुरुषों का सपना था स्वतंत्र भारत का, देश की आज की पीढ़ी का सपना है समृद्ध भारत का, आजाद भारत के सपने को सींचा था वंदे भारत की भावना ने, वंदे भारत की भावना ने, समृद्ध भारत के सपने को सींचेगा वंदे मातरम के भवना, उसी भावनाओं को लेकर के हमें आगे चलना है। और हमें आत्मनिर्भर भारत बनाना, 2047 में देश विकसित भारत बन कर रहे। अगर आजादी के 50 साल पहले कोई आजाद भारत का सपना देख सकता था, तो 25 साल पहले हम भी तो समृद्ध भारत का सपना देख सकते हैं, विकसित भारत का सपना देख सकते हैं और इस सपने के लिए अपने आप को खपा भी सकते हैं। इसी मंत्र और इसी संकल्प के साथ वंदे मातरम हमें प्रेरणा देता रहे, वंदे मातरम का हम ऋण स्वीकार करें, वंदे मातरम की भावनाओं को लेकर के चलें, देशवासियों को साथ लेकर के चलें, हम सब मिलकर के चलें, इस सपने को पूरा करें, इस एक भाव के साथ यह चर्चा का आज आरंभ हो रहा है। मुझे पूरा विश्वास है कि दोनों सदनों में देश के अंदर वह भाव भरने वाला कारण बनेगा, देश को प्रेरित करने वाला कारण बनेगा, देश की नई पीढ़ी को ऊर्जा देने का कारण बनेगा, इन्हीं शब्दों के साथ आपने मुझे अवसर दिया, मैं आपका बहुत-बहुत आभार व्यक्त करता हूं। बहुत-बहुत धन्यवाद!