India has had strong ties with Africa for centuries: PM Modi
India’s partnership with Africa is based on a model of cooperation which is responsive to the needs of African countries: PM
One of our best partnerships in the area of skills is the training of “solar mamas”: PM Modi
We have successfully completed the Pan Africa e-network project for tele-medicine and tele-network covering 48 African countries: PM
Our aim is that India must be an engine of growth as well as an example in climate friendly development in the years to come: PM

বেনিন ও সেনেগালের মাননীয় প্রেসিডেন্ট এবং কোট ডি আইভরির মাননীয় ভাইসপ্রেসিডেন্ট,

আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট,

আফ্রিকান ইউনিয়নের মহসচিব,

আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের কমিশনার,

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী অরুণ জেটলি,

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি,

বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং আফ্রিকার ভাই ও বোনেরা,

ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,

আজ আমরা গুজরাট রাজ্যে সমবেত হয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সুপরিচিতি রয়েছেগুজরাটের । আফ্রিকা প্রীতির জন্যও গুজরাটিরা বিশেষ খ্যাতিলাভ করেছেন। একজন গুজরাটি তথাএকজন ভারতীয় হিসাবে আমি বিশেষভাবে খুশি যে, এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতে এবংতাও আবার গুজরাটে।

আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন। ঐতিহাসিকপ্রেক্ষিতটির কথা বিবেচনা করলে ভারতের পশ্চিম প্রান্তের অধিবাসীরা বিশেষত,গুজরাটিরা এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের বাসিন্দারা একে-অপরের দেশের বসবাস করতে শুরুকরেছিলেন। সুপ্রাচীন দ্বাদশ শতকে কেনিয়ার উপকূল অঞ্চলের ভোরা সম্প্রদায়ের লোকজনএখানে বসতি স্থাপন করেন। কথিত আছে যে, মালিন্দির একজন গুজরাটি নাবিকের সহায়তায়ভাস্কোদাগামা এসে পৌঁছেছিলেন কালিকটে। গুজরাটের ধৌ অধিবাসীরা পারস্পরিকভাবেদু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পসরা সাজিয়ে যাতায়াত করতেন। এইভাবে ভিন্ন ভিন্ন সমাজব্যবস্থার মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা সমৃদ্ধ করেছে আমাদের সংস্কৃতিকে। সাহিলিহ’ল, এক বিশেষ সমৃদ্ধ ভাষা, যার মধ্যে হিন্দি শব্দ রয়েছে প্রচুর।

ঔপনিবেশিক শাসনকালে ৩২ হাজার ভারতীয় কেনিয়ায় পাড়ি দিয়ে তৈরি করেছিলেনবিখ্যাত মোম্বাসা-উগান্ডা রেলপথ। নির্মাণ কাজের সময় তাঁদের অনেককেই প্রাণ হারাতেহয়েছিল। কিন্তু প্রায় ৬ হাজার ভারতীয় সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।ফলে, তাঁরা সেখানে নিয়ে আসেন তাঁদের পরিবারগুলিকেও। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার‘ডুকা’ নামে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেন এবং পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘ডুকাওয়ালা’ নামে।ঔপনিবেশিক শাসনকালের সেই বছরগুলিতে ব্যবসায়ী ও কারিগর এবং পরিবর্তীকালে চিকিৎসক,শিক্ষক, কর্মী এবং অন্যান্য পেশাদার ব্যক্তিরা পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গড়েতোলেন উজ্জ্বল এক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়, যাঁদের মধ্যে ঘটেছে ভারত ও আফ্রিকারশ্রেষ্ঠত্বের সমন্বয়।

মহাত্মা গান্ধী ছিলেন, এমনই আরেকজন গুজরাটি, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকেই তাঁরঅহিংস আন্দোলনের স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। গোপাল কৃষ্ণ গোখেল’কে সঙ্গে নিয়ে১৯১২ সালে তিনি সফর করেন তাঞ্জানিয়া। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন নেতা আফ্রিকারস্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং সংগ্রামে অংশনিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে থেকেই। আফ্রিকার এই সংগ্রামী নেতাদের অন্যতম ছিলেন মিঃনেরেরে, মিঃ কেনিয়াট্টা এবং নেলসন ম্যান্ডেলা। স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তী সময়েভারতীয় বংশোদ্ভূত কয়েকজন নেতাকে নিযুক্ত করা হয় তাঞ্জানিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকারমন্ত্রিসভায়। বর্তমানে তাঞ্জানিয়ায় রয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যাঁরাসেখানে পালন করে চলেছেন সাংসদের ভূমিকা।

পূর্ব আফ্রিকায় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সূচনা করেন মাখন সিং। এই ট্রেডইউনিয়নের সভা-সমাবেশেই প্রথম ডাক দেওয়া হয় কেনিয়ার স্বাধীনতার লক্ষ্যে। ঐ দেশেরস্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন এমএ দেশাই এবং পিও গামা পিন্টো। ভারতের তদানীন্তনপ্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরু একজন ভারতীয় সাংসদ দেওয়ান চমন লাল’কে সেখানেপাঠিয়েছিলেন মিঃ কেনিয়াট্টার প্রতিরক্ষা দলের সদস্য করে। ঐ সময় মিঃ কেনিয়াট্টাছিলেন কারারুদ্ধ এবং ১৯৫৩ সালে কাপেনগুড়িয়া কান্ডে তাঁর বিচার হয়। এইপ্রতিরক্ষীদলে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরও দুই ব্যক্তি। আফ্রিকার স্বাধীনতারসমর্থনে ভারত বরাবরই জোরালো সমর্থন জানিয়ে এসেছে। নেলসন ম্যান্ডেলা এই প্রসঙ্গে যেবক্তব্য রেখেছিলেন, আমি তা এখানে উদ্ধৃত করছি : “বিশ্বেরঅন্যান্য অংশ যখন অত্যাচারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, তাদের সমর্থন নিয়ে তখন একমাত্রভারত-ই সাহায্য ও সমর্থন নিয়ে এসে দাঁড়ায় আমাদের পাশে। যখন আন্তর্জাতিকসংস্থাগুলির দ্বার আমাদের সামনে বন্ধ করে দেওয়া হয়, ভারত তখন খুলে দিয়েছিল তারআন্তরিকতার দুয়ারটিকে। আমাদের সংগ্রামকে আপনারা বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের সংগ্রামহিসাবেই”।

বহু দশক ধরেই বলিষ্ঠতর হয়ে উঠেছে আমাদের এই সম্পর্কের বন্ধন। ২০১৪ সালেদায়িত্বভার গ্রহণের পর পরই ভারতের অর্থনীতি তথা বিদেশ নীতিতে আমরা এক বিশেষঅগ্রাধিকার দিয়েছি আফ্রিকাকে। ২০১৫ বছরটি ছিল উল্লেখ করার মতো এক বিশেষ সময়কাল। ঐবছরটিতে অনুষ্ঠিত ভারত-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গেকূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন ৫৪টি দেশের সবকটিই । ৪১টি আফ্রিকানরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে। নিঃসন্দেহে এ একরেকর্ড-বিশেষ।

দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, মরিশাস এবং সেশেলস্‌ -আফ্রিকার এই ৬টি দেশ আমি সফর করেছিলাম ২০১৫ সালে। আমাদের রাষ্ট্রপতির সফরসূচিরমধ্যে ছিল নামিবিয়া, ঘানা এবং আইভোরি কোস্ট – এই তিনটি দেশ। অন্যদিকে, উপ-রাষ্ট্রপতিসফর করেছিলেন মরক্কো, টিউনিশিয়া, নাইজেরিয়া, মালি, আলজেরিয়া, রোয়ান্ডা এবং উগান্ডা– এই ৭টি রাষ্ট্র। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, গত তিন বছরে কোনও না কোনওভারতীয় মন্ত্রী সফর করেননি এমন কোনও দেশ আফ্রিকায় নেই। বন্ধুগণ, এক সময় মোম্বাসা ওমুম্বাইয়ের মধ্যে ছিল নৌ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। কিন্তু বর্তমানে এই সম্পর্কপ্রসারিত হয়েছে আরও নানা দিকে –

· এই বার্ষিকবৈঠকটি যুক্ত করেছে আবিদজান ও আমেদাবাদকে

· বামাকো’র সঙ্গেব্যাঙ্গালোরের গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক

· চেন্নাই ওকেপটাউনের মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ক্রিকেট ম্যাচের সম্পর্ক

· দিল্লি ওডাকারের মধ্যে গড়ে উঠেছে উন্নয়নের সম্পর্ক

আর এইভাবেই গড়ে উঠেছে আমাদের মধ্যে এক উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক। আফ্রিকারসঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সহযোগিতার আদর্শকে ভিত্তি করে, যাআফ্রিকার বিভিন্ন দেশের চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে সদা তৎপর। এই সম্পর্কের চালিকাশক্তিহ’ল এক নিঃশর্ত চাহিদা বা প্রয়োজন।

এই সহযোগিতার পথ ধরেই প্রসারিত ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্কের ঋণ সহায়তার সুযোগ।৪৪টি দেশের অনুকূলে ১৫২টি ঋণ সহায়তা ইতিমধ্যেই সম্প্রসারিত হয়েছে, যার আর্থিকমূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তৃতীয় ভারত-আফ্রিকা ফোরাম শীর্ষ বৈঠককালে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১০বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। ৬০০ মিলিয়নমার্কিন ডলার পরিমান অনুদান সহায়তার প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি আফ্রিকার জন্য।

আফ্রিকার সঙ্গে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভারতগর্বিত। আফ্রিকার ১৩ জন প্রাক্তন বা বর্তমান প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও ভাইসপ্রেসিডেন্ট ভারতের কোনও না কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রশিক্ষণ সংস্থায় শিক্ষাবা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন । আফ্রিকার ৬ জন বর্তমান কিংবা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভারতের মিলিটারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেপ্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন । দু’জন বর্তমান মন্ত্রী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ লাভকরেছেন। ভারতের প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকার দেশগুলির কর্মীদের জন্য ২০০৭ সাল থেকেই ৩৩হাজারেরও বেশি বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দক্ষতার ক্ষেত্রে আমাদের মিলিত অংশীদারিত্বের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনটি হ’ল‘সোলারমামা’ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ। প্রতি বছর ৮০ জন আফ্রিকান মহিলাকে ভারতেপ্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সৌর-প্যানেল ও সার্কিট সম্পর্কে শিক্ষা লাভের জন্য। প্রশিক্ষণশেষে স্বদেশে ফিরে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই তাঁরা সেখানে গড়ে তোলেন বিদ্যুতায়নেরসুযোগ। প্রত্যেক মহিলার দায়িত্ব হ’ল প্রশিক্ষণ শেষে ঘরে ফেরার পর তাঁর এলাকার ৫০টিবাড়িকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে তোলা। এই প্রশিক্ষণের জন্য প্রার্থী নির্বাচনেরএকটি অতি প্রয়োজনীয় শর্ত হ’ল তাঁদের অবশ্যই নিরক্ষর বা অর্ধ-সাক্ষর হতে হবে।বাস্কেট তৈরি, মৌ-পালন, সব্জির বাগান তৈরি ইত্যাদির কাজেও দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়াহয় তাঁদের ভারতে অবস্থানকালে।

টেলি-মেডিসিন এবং টেলি-নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে আমরা সাফল্যের সঙ্গেইসম্পূর্ণ করেছি প্যান আফ্রিকা ই-নেটওয়ার্ক প্রকল্পের কাজ। এই ব্যবস্থায় যুক্ত করাহয়েছে আফ্রিকার ৪৮টি দেশকে। ভারতের ৫টি অগ্রণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট, স্নাতকপূর্ব এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পঠন-পাঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ১২টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে দেওয়া হয় চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ এবং মেডিকেল শিক্ষালাভেরসুযোগ । প্রায় ৭ হাজার ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যেই তাদের পঠন-পাঠনের কাজ সম্পূর্ণকরেছেন। খুব শীঘ্রই আমরা শুরু করতে চলেছি এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়টি।

২০১২ সালে আফ্রিকার দেশগুলির জন্য সুতিবস্ত্র সম্পর্কিত যে প্রযুক্তিগতসহায়তা কর্মসূচির কাজ আমরা শুরু করেছিলাম, আর কিছুদিনের মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গেই তাসম্পূর্ণ হবে। বেনিন, বার্কিনা ফাসো, চাদ, মালাউই, নাইজেরিয়া ও উগান্ডার জন্যরূপায়িত এই বিশেষ কর্মসূচিটি।

বন্ধুগণ,

গত ১৫ বছরে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত-আফ্রিকা বাণিজ্যিক লেনদেন। গত ৫ বছরেপ্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এর মাত্রা উন্নীত হয়েছে ৭২ বিলিয়নমার্কিন ডলারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের পণ্য বাণিজ্যের তুলনায়২০১৫-১৬ অর্থ বছরে আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের পণ্য লেন-দেনের মাত্রা ছিল অনেক বেশি।

আফ্রিকার উন্নয়নের কাজে সাহায্য করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেরসঙ্গেও একযোগে কাজ করে চলেছে ভারত। টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবের সঙ্গে এবিষয়ে আমার বিস্তারিত আলোচনা ও মতবিনিময়ের কথা আমি বেশ ভালোভাবেই স্মরণ করতে পারি।সকলের জন্য উন্নয়নের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলার প্রশ্নে আমাদের অঙ্গীকার ওপ্রতিশ্রুতির বিষয়গুলিও ছিল আলোচ্যসূচির মধ্যে। আমাদের এক যৌথ ঘোষণায়এশিয়া-আফ্রিকা যৌথ করিডর স্থাপনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আফ্রিকারভাই-বোনদের সঙ্গে পরবর্তীকালে আরো আলোচনা ও মতবিনিময়েরও প্রস্তাব করা হয়েছিল সেই সময়।

সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এসেছে ভারত ও জাপানেরগবেষণা সংস্থাগুলি। আরআইএস, ইআরআইএ এবং আইডিই – জেইটিআরও-কে আমি অভিনন্দন জানাই এইকর্মসূচিগুলিকে একত্রিত করার কাজে তাদের বিশেষ প্রচেষ্টার জন্য। আফ্রিকারচিন্তাবিদদের সঙ্গে পরামর্শক্রমেই চূড়ান্ত করা হয় এই কাজটি। পরবর্তী পর্যায়ে বোর্ডমিটিং-এর সময় নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মসূচিগুলি উপস্থাপিত হবে বলে আমি মনেকরি। বিষয়টির মূলে রয়েছে এক বিশেষ চিন্তাভাবনা যাতে আগ্রহী অন্যান্য অংশীদারদেরসঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পরিকাঠামো, উৎপাদন এবং সংযোগ তথা যোগাযোগেরক্ষেত্রগুলিতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে যাবে ভারত ও জাপান।

আমাদের এই সহযোগিতার সম্পর্কের বিষয়টি শুধুমাত্র সরকারি পর্যায়েই সীমাবদ্ধনেই, এই কাজকে আরও বেশি উৎসাহদানের জন্য এগিয়ে এসেছে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি।১৯৯৬ থেকে ২০১৬ এই সময়কালে বিদেশে ভারতের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের এক-পঞ্চমাংশস্থান অধিকার করেছিল আফ্রিকা। এই মহাদেশে বিনিয়োগকারী দেশগুলির মধ্যে পঞ্চমবৃহত্তম দেশ হ’ল ভারত। গত ২০ বছরে এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আফ্রিকার অধিবাসীদের কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগসম্প্রসারিত করেছে।

আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি,তাতে আফ্রিকার দেশগুলি সাড়া দেওয়ায় আমরা বিশেষভাবে উৎসাহ বোধ করছি। ২০১৫ সালেরনভেম্বর মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সম্মেলনেএর সূচনা হয়। সৌর সম্পদ সমৃদ্ধ দেশগুলি মিলিতভাবে গড়ে তুলছে এই সৌর সমঝোতা, যাবিভিন্ন দেশের জ্বালানি শক্তির চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। আমিবিশেষভাবে আনন্দিত যে, আফ্রিকার অনেকগুলি দেশই সমর্থন জানিয়েছে আমাদের এইউদ্যোগকে।

‘ব্রিকস্‌ ব্যাঙ্ক’ নামে সুপরিচিত নতুন উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতাহিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবকে ভারত বরাবরই সমর্থনজানিয়ে এসেছে। এটি হয়ে উঠবে এক বিশেষ মঞ্চ, যা নিউ ডেভেলেপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবংআফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলি সহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে গড়ে তুলবে একসমন্বয়ের সম্পর্ক।

আফ্রিকা উন্নয়ন তহবিলে ভারত যোগ দেয় ১৯৮২ সালে এবং ১৯৮৩’তে যোগদান করেআফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কগুলির সাধারণ মূলধন বৃদ্ধির কাজে অবদান রয়েছেভারতের। অতি সাম্প্রতিককালে আফ্রিকা উন্নয়ন তহবিল ঢেলে সাজানোর সময় ২৯ মিলিয়নমার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। বিশ্বের যে সমস্ত দেশ বিশেষভাবে ঋণমুখাপেক্ষী, তাদের জন্য অবদান সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ঋণের চাহিদা কমিয়েআনার কাজে সাহায্য করতেও এগিয়ে এসেছি আমরা।

এই বৈঠকগুলির পাশাপাশি ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির কনফেডারেশনের সহযোগিতায়একটি সম্মেলন ও আলোচনা বৈঠকের আয়োজন করছে ভারত সরকার। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ানচেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীও এই উপলক্ষেআয়োজিত হচ্ছে। কৃষি থেকে উদ্ভাবন এবং স্টার্ট আপ থেকে অন্যান্য কর্মসূচিগুলিকেওবিশেষভাবে তুলে ধরা হবে সেখানে।

আজকের এই কর্মসূচির থিম বা মূল বিষয়টি হ’ল, “আফ্রিকায় সম্পদ সৃষ্টিরলক্ষ্যে কৃষির রূপান্তর”। এটি হ’ল এমনই একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভারত এবং ব্যাঙ্কসাফল্যের সঙ্গেই পরস্পরের সহযোগী হয়ে উঠতে পারে। সুতিবস্ত্র সম্পর্কিত প্রযুক্তিগতসহায়তা কর্মসূচির কথা আমি ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি।

কৃষকদের আয় ও উপার্জন আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করে তোলার লক্ষ্যেভারতে আমি একটি কর্মসূচির সূচনা করেছি। এজন্য প্রয়োজন জোরদার প্রচেষ্টা – উন্নতমানের শস্য বীজ থেকে সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহারের উপযোগী উপকরণ সামগ্রী, যাতেশস্যহানির ঘটনা কমিয়ে আনা যায় এবং উন্নততর করে তোলা যায় বিপণন পরিকাঠামোকে। আমাদেরএই চলার পথে আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা শোনার এবং জানার জন্য ভারত বিশেষভাবে আগ্রহী।

আমার আফ্রিকার ভাই ও বোনেরা,

যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে আপনাদের ও আমাদের সামনে, তার অনেকগুলির প্রকৃতিই একও অভিন্ন। চ্যালেঞ্জগুলি হ’ল – কৃষক ও দরিদ্র জনসাধারণের উন্নয়ন, মহিলা এবংগ্রামবাসীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন, পরিকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি। আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকাসত্ত্বেও এই সমস্ত কাজ আমাদের করে যেতে হবে। এক বৃহদায়তন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাআমাদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে, যাতে মুদ্রাস্ফীতি থাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। এইবিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতে পরস্পরের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে লাভবান হবআমরা সকলেই। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ, নগদ অর্থনীতির ব্যবহার কমিয়ে আনার কাজে আমরা শিক্ষানিয়েছি কেনিয়ার মতো আফ্রিকার দেশগুলির কাছ থেকে। কারণ, মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এরক্ষেত্রে ঐ দেশগুলি বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছে।

আমি একথা জানাতে পেরে খুবই আনন্দিত যে, গত তিন বছরে বৃহৎ অর্থনীতিরমাপকাঠিতে ভারতের উন্নতি ঘটেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। আর্থিক ঘাটতি, লেনদেন খাতেঘাটতি এবং মুদ্রাস্ফীতির হার রয়েছে ক্রমশ নীচের দিকে। অন্যদিকে, জিডিপি বৃদ্ধিরহার, বিদেশি মুদ্রার মজুত এবং সরকারি মূলধন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছেউল্লেখযোগ্যভাবে। এরই পাশাপাশি, উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রেও এক বড় ধরণের সাফল্য অর্জনকরতে পেরেছি আমরা।

আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কের মাননীয় প্রেসিডেন্ট, একথা আজ অনেকের কাছেই অজানানয় যে, আমাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি অন্যান্য বিকাশশীল দেশগুলির কাছেঅনুসরণযোগ্য আদর্শ বলে বর্ণনা করেছেন আপনি। উন্নয়নের এক দীপশিখা রূপে আপনি আমাদেরচিহ্নিত করেছেন। আপনার এই বিশেষ উল্লেখ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানানোরপাশাপাশি, একথাও আমি বিশেষ আনন্দের সঙ্গে জানতে পেরেছি যে অতীতে বেশ কিছুদিন আপনিহায়দরাবাদে কাটিয়ে গেছেন প্রশিক্ষণ লাভের সূত্রে। তবে, একটি বিষয়ের প্রতি সকলেরদৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি বলতে চাই যে, আমাদের সামনে এমন অনেক চ্যালেঞ্জ এখনও পড়েরয়েছে যেগুলির দিকে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে আমার। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত তিন বছরে যেকৌশলগুলি আমরা অবলম্বন করেছি, তা তুলে ধরতে চাই আপনাদের সামনে।

পরোক্ষভাবে কিছু সুযোগ-সুবিধা দানের পরিবর্তে দরিদ্র মানুষের হাতে ভর্তুকিসহায়তা যাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করেছি আমরা। যথেষ্ট মাত্রায়আর্থিক সাশ্রয় সম্ভব করে তুলতে পেরেছি আমরা এই ব্যবস্থায়। শুধুমাত্র রান্নারগ্যাসের ক্ষেত্রেই এই তিন বছরে আমাদের সাশ্রয় ঘটেছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরওবেশি। এছাড়াও, সম্পন্ন ও স্বচ্ছল নাগরিকদের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম যে,গ্যাসের ওপর ভর্তুকি সহায়তা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ‘গিভ ইট আপ’ অভিযানচালিয়ে যে অর্থের সাশ্রয় হবে, তাতে দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে রান্নার গ্যাসের সংযোগপৌঁছে দেওয়ার আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আপনারা হয়তো শুনে বিস্মিত হবেন যে, আমারঐ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১ কোটিরও বেশি ভারতীয় স্বেচ্ছায় রান্নার গ্যাসের ওপর ভর্তুকিরসুযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই সাশ্রয়ের সুবাদে ৫ কোটি দরিদ্র পরিবারে রান্নারগ্যাসের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার এক কর্মসূচির আমরা সূচনা করেছি। এর মধ্যে দেড় কোটিরান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ব্যবস্থা এক বিশেষরূপান্তর সম্ভব করে তুলেছে গ্রামীণ মহিলাদের জীবনযাত্রায়। জ্বালানি কাঠের সাহায্যেরান্নার ধকল এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকির হাত থেকে এইভাবে তাঁদের রক্ষা করা সম্ভবহয়েছে। এরই পাশাপাশি, দূষণের মাত্রা হ্রাস করে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর জোর দেওয়াহয়েছে। ‘সংস্কার থেকে রূপান্তর’ বলতে আমি যা বোঝাতে চাই, এটি হ’ল তারই একদৃষ্টান্ত।

ভর্তুকি সহায়তা যুক্ত ইউরিয়া সারের বেশ কিছুটা অংশ কৃষির পরিবর্তে রাসায়নিকউৎপাদনের মতো অকৃষি ক্ষেত্রে বেআইনি ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা চালু করেছিনিম কোটিং যুক্ত ইউরিয়া সারের উৎপাদন । এর ফলে, কৃষি ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ইউরিয়ার ব্যবহার সম্ভব নয়। এরমাধ্যমে শুধুমাত্র যে আমাদের আর্থিক সাশ্রয় ঘটেছে তাই নয়, সমীক্ষায় প্রকাশ যে নিমকোটিং যুক্ত হওয়ার ফলে সারের উপযোগিতা ও কার্যকারিতাও বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কৃষকদের হাতে আমরা তুলে দিয়েছি সয়েল হেলথ কার্ড, যা তাঁদের জমির প্রকৃতিসম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে, কি ধরণের কৃষি উপকরণ ঐ জমিরউপযোগী, সে সম্পর্কেও হদিশ পাওয়া সম্ভব। এই ব্যবস্থায় একদিকে যেমন কৃষি উপকরণেরসর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব হয়ে উঠতে পারে, অন্যদিকে তেমনই বৃদ্ধি পায় শস্য ফলনেরমাত্রাও।

রেল, মহাসড়ক, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস পাইপ লাইন সংস্থাপনের মতো পরিকাঠামোপ্রকল্পগুলিতে মূলধনী বিনিয়োগের মাত্রাও আমরা বৃদ্ধি করেছি নজিরবিহীনভাবে। আগামীবছরের মধ্যে ভারতের কোনও গ্রামই আর বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে থাকবে না। আমাদের গঙ্গাশোধন পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল ভারত, স্মার্টনগরী, সকলের জন্য বাসস্থানএবং দক্ষ ভারত কর্মসূচি আমাদের সর্বতোভাবে প্রস্তুত করে তুলছে দ্রুতগতিতে বিকাশশীলদূষণমুক্ত সমৃদ্ধ এক আধুনিক নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে। আমাদের লক্ষ্য হ’ল, আগামীবছরগুলিতে ভারত’কে উন্নয়নের এক চালিকাশক্তি রূপে তুলে ধরা । একইসঙ্গে,পরিবেশ-বান্ধব বিকাশশীল একটি রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের পরিচিতি লাভও আমাদের এইলক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত।

দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের বিশেষভাবে সাহায্য করেছে, এর প্রথমটি হ’লব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন। গত তিন বছরে এক সার্বজনীন ব্যাঙ্কব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে সাফল্য অর্জন করেছি আমরা। চালু করেছি জন ধন যোজনার, যারআওতায় খোলা হয়েছে ২৮ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। দেশের শহর ও গ্রাম সর্বত্রইপ্রসারিত এই বিশেষ কর্মসূচিটি। এই প্রচেষ্টার সুবাদে প্রতিটি ভারতীয় পরিবারেরইরয়েছে একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ব্যাঙ্কগুলি সাধারণত, ধনী ও বাণিজ্যিকসম্প্রদায়কেই সাহায্য করে থাকে বলে স্থির ধারণা রয়েছে সকলের মধ্যে। কিন্তু আমরাসেখানে দরিদ্র মানুষের সহায়তাদানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি ব্যাঙ্কিং প্রচেষ্টার একবিশেষ অঙ্গ রূপে। কারণ, উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় উন্নীত হওয়ার এটি এক উপায় বিশেষ।রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আমরা আরও শক্তিশালী করে তুলেছি। যে কোনও রকম রাজনৈতিকহস্তক্ষেপ থেকে সেগুলিকে আমরা মুক্ত রেখেছি। এক স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতিটির মাধ্যমেমেধার ভিত্তিতে পেশাদার প্রশাসনিক ব্যক্তিদের আমরা নিয়োগ করেছি।

আমাদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ’ল আধার নামে এক অভিন্ন বায়োমেট্রিকপরিচয়পত্রের সূচনা। এর আওতায় অযোগ্য ব্যক্তির হাতে সরকারি সুফল পৌঁছে যাওয়াকোনওভাবেই সম্ভব নয়। সরকারি সাহায্য ও সহায়তা পাওয়ার যোগ্য বলে যাঁরা বিবেচিতহবেন, খুব সহজেই তাঁদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব এই ব্যবস্থার মাধ্যমে।

বন্ধুগণ, আপনাদের এক অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ বার্ষিক বৈঠক কামনা করে আমারবক্তব্য আমি শেষ করতে চাই। ক্রীড়ার আঙিনায় দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতায়আফ্রিকার সমকক্ষ হয়ে ওঠা হয়তো ভারতের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু আমি এইমর্মে আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই যে, উন্নততর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এক কঠিনপ্রতিযোগিতায় ভারত বরাবরই থাকবে আপনাদের পাশে, আপনাদের সঙ্গে।

মাননীয় অতিথি বৃন্দ! ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ! আমি এখন সানন্দে এবংআনুষ্ঠানিকভাবে আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর পরিচালন পর্ষদের বার্ষিক বৈঠকগুলিরশুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

ধন্যবাদ!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।