দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় যাতে শিক্ষা, ক্রীড়া এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারি কর্মসূচিগুলির সুযোগ পূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এক সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন রাজ্যপালরা। বিশেষত যে সমস্ত রাজ্যে আদিবাসীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় রয়েছে সেখানে রাজ্যপালরা এই ভূমিকা ভালোভাবেই পালন করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত ৪৯তম রাজ্যপাল সম্মেলনে আজ (৪ জুন, ২০১৮) একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায় যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে একথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই অবদানকে অবশ্যই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য ডিজিটাল সংগ্রহশালা গড়ে তোলারও পরামর্শ দেন তিনি।

দেশবাসী যাতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও কর্মসূচির সর্বোচ্চ সুফল ভোগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যপালরা কিভাবে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন তাও এদিন সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যপালদের ভূমিকা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিকই নয়, সেইসঙ্গে অন্যদিক থেকেও নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁদের কাজ করে যেতে হয়।
রাজ্যপালরা যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের ভূমিকাও পালন করে থাকেন, একথাও আজ স্মরণ করিয়ে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, যুবসমাজের মধ্যে যোগাভ্যাস বা যোগচর্চা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার একটি সুযোগ হিসাবে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে কাজে লাগানো যেতে পারে। অন্যদিকে, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও যে এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, একথারও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় পুষ্টি মিশন, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ এবং উন্নয়নকামী রাজ্যগুলির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে সাম্প্রতিককালে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে যাওয়া গ্রামগুলিতে রাজ্যপালরা তাঁদের সফরসূচির মাধ্যমে বৈদ্যুতিকরণের সুফলগুলি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সাম্প্রতিককালে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর সূচনা হয় ১৪ই এপ্রিল। ঐ সময়কালে দেশের ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রামে সাতটির মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে রূপায়িত হয়েছে। জন-অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই গ্রামগুলি সাতটি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছে। আগামী ১৫ই আগস্টকে লক্ষ্যমাত্রা চিহ্নিত করে আরও ৬৫ হাজার গ্রামকে নিয়ে আসা হচ্ছে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর আওতায়।

৫০তম রাজ্যপাল সম্মেলন যাতে আগামী বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয়, সেভাবে কর্মসূচি ছকে ফেলার পরামর্শ দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, এর ফলে এই বার্ষিক সম্মেলন আরও বেশি মাত্রায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারে।


