কুয়েতের আমীর শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২১-২২, ২০২৪ ডিসেম্বরে সরকারি সফরে কুয়েত যান। এটাই তাঁর প্রথম কুয়েত সফর। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ আমীর শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবার মাননীয় অতিথি হিসেবে কুয়েতে ২৬ তম আরাবিয়ান গাল্ফকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

কুয়েতের আমীর শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবার এবং কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ সাবা আল-খালেদ আল-সাবা আল-হামাদ আল-মুবারক আল-সাবা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ বায়ান প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে কুয়েতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দি অর্ডার অফ মুবারক আল কবির’-এ ভূষিত করায় গভীর প্রশস্তি জানান আমীর শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাকে। দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং বহু মাত্রিক বিষয়ে মত বিনিময় করেন। 

চিরাচরিত, নিকট এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর করার আগ্রহে দুই নেতা ভারত এবং কুয়েতের মধ্যেকার সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছে দিতে সম্মত হন। দুই নেতাই, দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ এবং দু’দেশের মানুষের কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার উপর জোর দেন। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক মৈত্রীকে আরও বিস্তৃত এবং গভীর করবে। 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ আব্দুল্লা আল-আহমদ আল-জাবের আল-মুবারক আল-সাবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। নবরচিত কৌশলগত অংশীদারিত্বের আলোকে দুই পক্ষই রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, লগ্নি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, শক্তি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সার্বিক এবং কাঠামোগত সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যস্ত করেন।

দুই পক্ষই অভিন্ন ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের মূলে প্রোথিত শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক যোগাযোগ স্মরণ করেন। তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত আলাপ আলোচনা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গতি দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করেছে। দুই পক্ষই জোর দিয়েছে মন্ত্রীপর্যায়ে এবং বর্ষীয়াণ আধিকারিক স্তরে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে উচ্চস্তরের আলাপ আলোচনায় সাম্প্রতিক গতি ধরে রাখার উপর।

দুই পক্ষই স্বাগত জানিয়েছেন ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে সম্প্রতি জয়েন্ট কমিশন অন কো-অপারেশন (জেসিসি) স্থাপনকে। জেসিসি হবে এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা যার দ্বারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা করা যাবে। এর শীর্ষে থাকবেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আরও প্রসার ঘটাতে নতুন যৌথ কার্যকরী গোষ্ঠী (জেডাবলুজি) স্থাপন করা হয়েছে বাণিজ্য, লগ্নি, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস বিরোধিতা, কৃষি এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রের জন্য। এর পাশাপাশি থাকছে স্বাস্থ্য, মানবশক্তি এবং হাইড্রো কার্বন নিয়ে চালু যৌথ কর্মীগোষ্ঠীও। দুই পক্ষই জোর দিয়েছে যত শীঘ্র সম্ভব জেসিসি এবং জেডাবলুজি বৈঠক ডাকার উপর।

দুই পক্ষই উল্লেখ করেছে যে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যকরণের সম্ভাবনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের যাতায়াত বাড়াতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ জোরালো করার উপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। 

ভারতের অর্থনীতি অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত উদীয়মান গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এবং কুয়েতের লগ্নিকরণ ক্ষমতার স্বীকৃতি স্বরূপ দুই পক্ষই ভারতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার জন্য ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে কুয়েত এবং প্রযুক্তি, পর্যটন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য নিরাপত্তা, লজিস্টিকস এবং অন্যান্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কুয়েত। দুই দেশই স্বীকার করেছে, কুয়েতের বিনিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি এবং তহবিলের মধ্যে লগ্নি নিয়ে আরও আলোচনা এবং সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। তাঁরা দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে চলতি আলোচনাপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার করার জন্য।

দুই পক্ষই শক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে। দ্বিপাক্ষিক শক্তি বাণিজ্যে সন্তোষ প্রকাশ করে তাঁরা সেটি আরও বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন। ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্কে সীমাবদ্ধ না থেকে সর্বক্ষেত্রে আরও বেশি সংযোগের সঙ্গে সার্বিক অংশীদারিত্বে রূপান্তর করার বিভিন্ন পথ নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন। অনুসন্ধানকার্য এবং তেল ও গ্যাস উৎপাদন, পরিশোধন, ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা, পেট্রো কেমিক্যাল শিল্প, নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে দুই দেশের কোম্পানীগুলিকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশ। দুই পক্ষই ভারতের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম ভান্ডার কর্মসূচিতে কুয়েতের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে।

দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রতিরক্ষা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ। এর ফলে, দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা মৈত্রী আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয় কাঠামোর সংস্থান হবে, যৌথ সামরিক মহড়া, সেনা জওয়ানদের প্রশিক্ষণ, উপকূল প্রতিরক্ষা, সমুদ্রপথে নিরাপত্তা, যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের নক্সা এবং উৎপাদন করার মাধ্যমে।

দুই পক্ষই সবধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেছে একই সুরে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে তাদের চলতি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাতে সন্তোষপ্রকাশ করে দুই পক্ষই সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার পন্থা নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে আছে সন্ত্রাসবাদে সাইবার স্পেসের ব্যবহার, মৌলবাদ এবং সামাজিক ঐক্য ভঙ্গকারী বিষয় প্রতিরোধ। ভারতের পক্ষ থেকে ২০২৪-এর ৪ ও ৫ নভেম্বর কুয়েত আয়োজিত ‘এনহ্যান্সিং ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ইন কমব্যাটিং টেররিজম অ্যান্ড বিল্ডিং রেজিলিয়েন্ট মেকানিজমস ফর বর্ডার সিকিউরিটি – দ্য কুয়েত ফেজ অফ দা দুশানবে প্রসেস’ শীর্ষক চতুর্থ উচ্চস্তরীয় সম্মেলনের ফলাফলের প্রশংসা করা হয়েছে। 

দুই পক্ষই স্বীকার করেছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা। এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে দুই পক্ষ থেকে। কোভিড ১৯ অতিমারির সময়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রশস্তি করেছে দুই পক্ষই। কুয়েতে ভারতের ওষুধ তৈরির কারখানা গড়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা নিয়ে চলতি আলোচনায় চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে দুই দেশের পক্ষ থেকে।

দুই পক্ষই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সেমিকনডাকটর এবং কৃত্রিম মেধা সহ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিটুবি সহযোগিতার ক্ষেত্রের অনুসন্ধান, ই-গভর্ন্যান্স বৃদ্ধি এবং দুই দেশেরই শিল্পমহলের সেরা পদ্ধতি আদানপ্রদানের সম্ভাবনা নিয়েও কথা হয়েছে।

কুয়েতের পক্ষ থেকে খাদ্য নিরাপত্তায় ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের ফুড পার্কে কুয়েতি কোম্পানির বিনিয়োগ সহ সহযোগিতার বিভিন্ন পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

কুয়েত আন্তর্জাতিক সৌর জোটের সদস্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভারত স্বাগত জানিয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছে দুই পক্ষ। 

দুই দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক উড়ানের আসন বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গ্রহণযোগ্য সমাধান দ্রুত খুঁজতে আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। 

২০২৫ থেকে ২০২৯-এর জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি পুনর্নবীকরণকে স্বাগত জানিয়েছে দুই দেশ। মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদার করতে দুই পক্ষই পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

২০২৫ থেকে ২০২৮-এর জন্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত কার্যকরী কর্মসূচি স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে দুই পক্ষ। এতে দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়াবিদদের সফর, কর্মশালার আয়োজন, আলোচনাচক্র ও সম্মেলন, ক্রীড়া সংক্রান্ত পুস্তক আদানপ্রদান ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। 

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং দু’দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদানপ্রদানের উপর জোর দিয়েছে দুই পক্ষ। শিক্ষা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতায় আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইন শিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের সম্ভাবনা এবং শিক্ষা পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণে ডিজিটাল লাইব্রেরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

শেখ সউদ আল নাসের আল সাবা কুয়াইতি ডিপ্লোম্যাটিক ইনস্টিটিউট এবং সুষমা স্বরাজ ইনস্টিটিউট অফ ফরেন সার্ভিসের মধ্যে সমঝোতার অঙ্গ হিসেবে দুই পক্ষই নতুন দিল্লির এসএসআইএফএস-এর কুয়েতের কূটনীতিক এবং আধিকারিকদের জন্য বিশেষ পাঠ্যক্রমের আয়োজন করার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ।

ভারত-কুয়েত ঐতিহাসিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষে মানুষের সম্পর্ক। এই বিষয়টি স্বীকার করে কুয়েতের নেতৃত্ব সেদেশে ভারতের অবদানের গভীর প্রশস্তি করেছে। তাঁরা বলেছেন ভারতীয়রা কঠোর পরিশ্রমী এবং শান্তিপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়েতের প্রশংসা করেছেন ভারতীয়দের কল্যাণ এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার জন্য।

মানবসম্পদ আদানপ্রদানে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সহযোগিতার গুরুত্ব এবং গভীরতার উপর জোর দিয়েছে দুই পক্ষ। অভিবাসন, শ্রমিকদের যাতায়াত এবং পারস্পরিক স্বার্থ বিজড়িত বিষয়টি নিয়ে দূতাবাস স্তরের পাশাপাশি শ্রম ও মানবসম্পদ নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে এবং অন্যান্য বিশ্বমঞ্চে ভালো সমন্বয়ের প্রশস্তি করেছে দুই পক্ষ। ২০২৩-এ ভারতের সভাপতিত্বকালে এসসিও-তে আলোচনার সঙ্গী হিসেবে কুয়েতের প্রবেশকে স্বাগত জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। এশিয়ান কো-অপারেশন ডায়ালগে (এসিডি) কুয়েতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছে ভারত। এসিডি-কে আঞ্চলিক সংস্থায় রূপান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনীয় প্রয়াসের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে কুয়েত।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমীরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবছর জিসিসি-র সভাপতিত্ব পাওয়ার জন্য। তাঁর বিশ্বাস ভারত – জিসিসি-র সহযোগিতা আমীরের নেতৃত্বে আরও শক্তিশালী হবে। ২০২৪-এর ৯ সেপ্টেম্বর রিয়াধে বিদেশমন্ত্রী স্তরের উদ্বোধনী ভারত - জিসিসি বৈঠকের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই দেশ। ভারত - জিসিসি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে দুই পক্ষ।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে দুই নেতাই জোর দিয়েছেন বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে কার্যকরী বহুমুখী ব্যবস্থার উপর। নিরাপত্তা পরিষদ সহ রাষ্ট্রসঙ্ঘ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে সদস্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, একে আরও বিশ্বাসযোগ্য, কার্যকরী এবং প্রতিনিধিত্বমূলক করে তোলা যায়।

এই সফরে নিম্নলিখিত নথি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমুখিনতা আরও গভীর হবে এবং সহযোগিতার নতুন পথ খুলবে।

•    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে সহযোগিতা সমঝোতা।
•    ২০২৫ থেকে ২০২৯-এর জন্য ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান।
•    ভারতের যুব বিষয়ক এবং ক্রীড়া মন্ত্রক এবং কুয়েত সরকারের যুব ও ক্রীড়া জনকর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০২৫ থেকে ২০২৮-এর জন্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে কার্যনির্বাহী কর্মসূচি।
•    আন্তর্জাতিক সৌর জোটে কুয়েদের সদস্য পদ।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে এবং তাঁর প্রতিনিধিদের আন্তরিক আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য আমীরকে ধন্যবাদ জানান। এই সফর ভারত এবং কুয়েতের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মজবুত বন্ধন নিশ্চিত করেছে। দুই নেতাই আশাপ্রকাশ করেছেন যে, এই পুনঃনবীকৃত অংশীদারিত্ব আরও বাড়বে এবং দু’দেশের মানুষেরই কল্যাণ হবে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থায়িত্ব আনতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী কুয়েতের আমীর, ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles loss of lives in fire mishap in Arpora, Goa
December 07, 2025
Announces ex-gratia from PMNRF

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives in fire mishap in Arpora, Goa. Shri Modi also wished speedy recovery for those injured in the mishap.

The Prime Minister informed that he has spoken to Goa Chief Minister Dr. Pramod Sawant regarding the situation. He stated that the State Government is providing all possible assistance to those affected by the tragedy.

The Prime Minister posted on X;

“The fire mishap in Arpora, Goa is deeply saddening. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. May the injured recover at the earliest. Spoke to Goa CM Dr. Pramod Sawant Ji about the situation. The State Government is providing all possible assistance to those affected.

@DrPramodPSawant”

The Prime Minister also announced an ex-gratia from PMNRF of Rs. 2 lakh to the next of kin of each deceased and Rs. 50,000 for those injured.

The Prime Minister’s Office posted on X;

“An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF will be given to the next of kin of each deceased in the mishap in Arpora, Goa. The injured would be given Rs. 50,000: PM @narendramodi”