নয়াদিল্লি, ০১ অক্টোবর, ২০২৫, পিআইবি।।প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) ২০২৬-২৭ বিপণন মরশুমের জন্য সমস্ত বাধ্যতামূলক রবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে।
কৃষকদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার ২০২৬-২৭ বিপণন মরশুমের জন্য রবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কুসুমের জন্য সর্বোচ্চ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে প্রতি কুইন্টালে ৬০০ টাকা ও মসুর ডালের জন্য বৃদ্ধি ঘোষণা করা হয়েছে ৩০০ টাকা । এছাড়া, সয়াবিন ও সরিষা, ছোলা, যব এবং গমের জন্য যথাক্রমে প্রতি কুইন্টালে ২৫০ টাকা, প্রতি কুইন্টালে ২২৫ টাকা, প্রতি কুইন্টালে ১৭০ টাকা এবং প্রতি কুইন্টালে ১৬০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে খরচ বলতে বোঝানো হয়েছে সমস্ত পরিশোধিত খরচ যেমন ভাড়া করা মানব শ্রম, বলদ শ্রম/যন্ত্র শ্রম, লিজ নেওয়া জমির জন্য প্রদত্ত ভাড়া, বীজ, সার, সেচ খরচ, যন্ত্রপাতি এবং খামার ভবনের অপচয়, কার্যকরী মূলধনের উপর সুদ, পাম্প সেট পরিচালনার জন্য ডিজেল/বিদ্যুৎ ইত্যাদির মতো উপকরণ ব্যবহারের খরচ, বিবিধ খরচ এবং পারিবারিক শ্রমের আরোপিত মূল্য।
২০২৬-২৭ অর্থ বছরের বিপণন মরশুমের জন্য বাধ্যতামূলক রবি ফসলের জন্য এমএসপি বৃদ্ধি ২০১৮-১৯ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে সর্বভারতীয় ওজনযুক্ত গড় উৎপাদন খরচের কমপক্ষে ১.৫ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে যা এমএসপি নির্ধারণের ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সর্বভারতীয় ওজনযুক্ত গড় উৎপাদন খরচের তুলনায় প্রত্যাশিত মার্জিন গমের জন্য ১০৯ শতাংশ, তারপরে সয়াবিন ও সরিষার জন্য ৯৩ শতাংশ; মসুর ডালের জন্য ৮৯ শতাংশ; ছোলার জন্য ৫৯ শতাংশ; যবের জন্য ৫৮ শতাংশ; এবং কুসুমের জন্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবি ফসলের এই বর্ধিত এমএসপি কৃষকদের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করবে এবং ফসল বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করবে।


