Our Government is committed to ensuring progress and prosperity for the vibrant Bodo community:PM
A strong foundation has been laid for the bright future of the Bodo people: PM
The entire North East is the Ashtalakshmi of India: PM

খুলুমবাই! (নমস্কার)

আসামের রাজ্যপাল শ্রী লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্যজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাজি, যাঁরা ভার্চ্যুয়ালি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, ভাই ও বোনেরা! 

আজ পবিত্র কার্ত্তিক পূর্ণিমা ও দেব দীপাবলি। এই উপলক্ষে আমি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজ গুরু নানক দেবজির ৫৫৫তম প্রকাশ পর্ব। আমি বিশ্বের আমাদের শিখ ভাই ও বোন সহ সমগ্র দেশবাসীকে এই উপলক্ষে অভিনন্দন জানাই। এছাড়াও, আজ সারা দেশজুড়ে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপিত হচ্ছে। আজ সকালেই আমি বিহারের জামুই-এ ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধ জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। আর এখন এই সন্ধ্যায়, আমরা প্রথম বোড়ো মহোৎসব উদ্বোধন করছি। আসাম সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বোড়ো সম্প্রদায়ের জনসাধারণ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন। আমি উপস্থিত বোড়ো ভাই-বোনেদের আমার উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। আপনারা শান্তি, সংস্কৃতি এবং সমৃদ্ধির এক নতুন যুগ উদযাপনের জন্য এখানে সমবেত হয়েছেন। 

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আপনারা জানেন না, এই অনুষ্ঠানটির সঙ্গে আমার আবেগ কতটা জড়িয়ে রয়েছে। যাঁরা দিল্লিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে বিভিন্ন তত্ত্ব আওড়ান এবং দেশের জন্য নানা গল্প তৈরি করেন, তাঁরা হয়ত এই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন না। ৫০ বছরের রক্তক্ষয়, হিংসা – ৩-৪টি প্রজন্মের যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্ন চুড়মার হয়ে গেছে। বহু দশক পর বোড়ো সম্প্রদায়ের জনগণ আজ এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা রণচণ্ডী নৃত্য উপভোগ করছেন। আমার এক সময়ে মনে সংশয় দেখা দিয়েছিল, যাঁরা দিল্লিতে রয়েছেন তাঁরা কি এই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। এই অর্জন রাতারাতি এক রাতে হয়নি। ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায়ের সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়েছে। আজ আপনারা ইতিহাসের এক নতুন অধ্যয় রচনা করছেন।

 

আমার বোড়ো ভাই ও বোনেরা, 

২০২০ সালে বোড়ো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর আমার কোকরাঝাড় সফর করার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই সময়ে যে ভালোবাসা আপনারা আমাকে দেখিয়েছেন, তা দেখে আমি বুঝতে পেরেছি এ আপনাদের হৃদয়ের প্রকৃত অনুভূতি। অনেক সময়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর সে সম্পর্কে আর কোনো আবেগ জড়িত থাকে না। কিন্তু, চার বছর পরেও সেই একই ভালোবাসা, উৎসাহ-উদ্দীপনা আজও আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে। আমি আমার বোড়ো ভাই ও বোনেদের বলছি, বোড়োল্যান্ডে শান্তি ও সমৃদ্ধির এক নতুন প্রভাতের সেদিন যে সূচনা হয়েছিল, তা কোনো ফাঁকা বুলি ছিল না। হিংসাকে সরিয়ে যে শান্তির পথে আপনারা এগিয়েছিলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন, তা আমার মনেও দাগ কেটেছে। আজ সেই একই উৎসাহ-উদ্দীপনা আপনাদের মধ্যে আমি দেখতে পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, বোড়ো জনসাধারণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত সেদিনই স্থাপিত হয়েছে। বোড়োল্যান্ডে গত চার বছর ধরে যে উন্নতি হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চল জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বয়েছে। আজ যখন আমি বোড়ো শান্তি চুক্তির কার্যকর হওয়ার ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাই, তখন আমার মন আনন্দে ভরে ওঠে।  আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারব না, সেই আনন্দ কতখানি। এক মা এবং তাঁর একমাত্র ছেলের একটি ঘটনার কথা আপনাদের বলি। মা তাঁর সন্তানকে ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। কিন্তু, সেই ছেলে তার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অস্ত্র হাতে করে চলে গেছে এবং জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত। যে হিংসা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের পথ সে অনুসরণ করেছিল, তার ফলে মা-র থেকে সে আলাদা হয়ে যায়, আর সেই মা অসহায়ের মতো তাঁর দিন কাটাচ্ছিলেন। একদিন যখন তিনি জানতে পারেন, তাঁর ছেলে অস্ত্র ত্যাগ করে ঘরে ফিরে এসেছে, তখন যে আনন্দ তাঁর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তা এক কথায় অবর্ণনীয়। গত চার বছর ধরে আমি সেই আনন্দই অনুভব করছি। আমার নিজের লোকেরা, আমার তরুণ বন্ধুরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছে আর এখন ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে চলেছে। এই চুক্তি আরও বহু চুক্তি কার্যকর করার পথ খুলে দিয়েছে। যদি এটি শুধুমাত্র একটি নথি হত, তাহলে কেউই শান্তির সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করত না। কিন্তু এখন আপনাদেরই উদ্যোগে নতুন নতুন পথ খুলেছে। সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল আশায় বুক বেঁধেছে। বন্ধুরা, আপনারা সত্যই অনুপ্রেরণার এক আদর্শ উদাহরণ।

 

বন্ধুগণ,

এই চুক্তিগুলির কারণে আমি আবারও বলি, তথাকথিত দিল্লির বিশেষজ্ঞরা জানেন না, আসামেই  ১০ হাজারের বেশি যুবক-যুবতী তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছে, হিংসার পথ থেকে সরে এসেছে এবং উন্নয়নে সামিল হয়েছে। কেউ ভেবেছেন, কার্বি আংলং, ব্রু-বিয়াং চুক্তি অথবা এনএলএফটি – ত্রিপুরা চুক্তি কার্যকর হবে? এগুলি সবই বাস্তবায়িত হয়েছে কারণ আপনারা এগুলি কার্যকর করতে সমর্থন যুগিয়েছেন। আর তাই, আজ যখন সারা দেশজুড়ে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপিত হচ্ছে, আমরা ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি, সেই সময় এই অনুষ্ঠানেরও সূচনা হল। আমি আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই এবং আপনাদের পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি দেশের যুব সম্প্রদায়কে, বিশেষ করে যারা নকশালবাদের পথ অনুসরণ করছে, তাদের আমার বোড়ো ভাইদের কাছ থেকে শেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। বন্দুক ছেড়ে দিন, হিংসার পথ ত্যাগ করুন, কারণ অস্ত্র কখনই অভীষ্ট লক্ষ্যে আপনাকে পৌঁছতে দেবে না।

বন্ধুগণ, 

আপনারা যে আস্থা আমার ওপর রেখেছেন, আমার কথাকে সম্মান জানিয়েছেন, আপনারা যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নতুন ভিত স্থাপন করেছে। আমাদের সরকার, আসাম সরকারের সঙ্গে একযোগে আপনাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন। 

বন্ধুগণ,

কেন্দ্র এবং আসাম সরকার বোড়ো অঞ্চলের মানুষদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দায়বদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার বোড়োল্যান্ডের উন্নয়নে ১,৫০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আসাম সরকারও উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্যাকেজ কার্যকর করছে। এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ইতোমধ্যেই ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসবে, তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প কার্যকর করব। ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ডের ৪ হাজার প্রাক্তন সদস্যকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। আসাম পুলিশে অনেক তরুণকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বোড়োল্যান্ডের দ্বন্দ্বের জন্য যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেইসব পরিবারগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। আপনারা শুনে খুশি হবেন, আসাম সরকার প্রতি বছর বোড়োল্যান্ডের উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করে।

 

বন্ধুগণ,

এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য যুবক-যুবতী এবং মহিলাদের দক্ষতা বিকাশের প্রয়োজন। তাঁদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রচুর সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। যখন হিংসা বন্ধ হয়েছে, তখনই বোড়োল্যান্ডে উন্নয়নের বটবৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এসইইডি মিশনের মাধ্যমে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এসইইডি-র অর্থ – স্কিলিং (দক্ষতা), এন্টারপ্রেনিওরশিপ (উদ্যোগ), এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান) এবং ডেভেলপমেন্ট (উন্নয়ন)।

বন্ধুগণ,

যে সমস্ত যুবক-যুবতীরা এক সময় বন্দুক নিয়ে ঘুরত, আজ তারা ক্রীড়া জগতে দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছেন। কোকরাঝাড়ে ডুরান্ড কাপ দু’বার আয়োজিত হয়েছে। এই কাপ খেলতে বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটান থেকেও অনেক দল এসেছে। শান্তি চুক্তির ফলে কোকরাঝারে গত তিন বছর ধরে বোড়োল্যান্ড সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সাহিত্য পরিষদের কাছে আমি এর জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আজ ৭৩তম বোড়ো সাহিত্য সভার প্রতিষ্ঠা দিবসে বোড়ো ভাষা ও সংস্কৃতিকে উদযাপন করা হচ্ছে। আগামীকাল ১৬ নভেম্বর একটি সাংস্কৃতিক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আমি সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। দিল্লির মানুষ যখন এই কর্মসূচি দেখবেন, তখন সারা দেশও এটি প্রত্যক্ষ করবে। তাই দিল্লিতে এসে শান্তির বার্তা প্রচারের সিদ্ধান্ত আপনাদের সঠিক।

বন্ধুগণ,

আমি সম্প্রতি এখানে একটি প্রদর্শনীতে বোড়ো শিল্পকলার সমৃদ্ধ দিকগুলি প্রত্যক্ষ করেছি। আরোনাই, দোখোনা, গামোসা, কারাই-ডাখিনি, থোরখা, জাওঘিসি এবং খাম-এর মতো বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী জিনিস এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এগুলি সবই জিআই ট্যাগ পেয়েছে। অর্থাৎ, যখনই পৃথিবীর কোথাও এগুলিকে পাঠানো হবে, তখনই বোড়োল্যান্ড এবং বোড়ো সংস্কৃতির সঙ্গে এর যোগসূত্রের কথা সকলে জানতে পারবেন। বোড়োল্যান্ড সেরিকালচার মিশনের মাধ্যমে আমাদের সরকার বোড়ো সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী রেশম চাষকে উৎসাহিত করছে। বোড়োদের ঘরে ঘরে তন্তুবায়েরা যে কাজ করে থাকেন, তাকে উৎসাহিত করতে বোড়োল্যান্ড হ্যান্ডলুম মিশন উদ্যোগী হয়েছে। এভাবে এই ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতিকে রক্ষা করা হচ্ছে। 

 

বন্ধুগণ,

আসাম ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, আর এই স্তম্ভের অন্যতম উপাদান বোড়োল্যান্ড। আসামের পর্যটন শিল্পের প্রসারে বোড়োল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একটা সময় ছিল যখন মানস জাতীয় উদ্যান, রায়মোনা জাতীয় উদ্যান এবং সিখনা জোহাওলাও জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন অনভিপ্রেত কাজকর্ম চলত। আজ এইসব জঙ্গলগুলিতে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক সময় যে জঙ্গল লুকিয়ে থাকার জায়গা ছিল, আজ আর তার সেই তকমা নেই। বোড়োল্যান্ডে পর্যটন শিল্পের প্রসারের ফলে এই অঞ্চলের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আজ যখন আমরা এই উৎসবে যোগ দিয়েছি, তখন স্বাভাবিকভাবেই বোড়োফা উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম এবং গুরুদেব কালীচরণ ব্রহ্মের কথা স্মরণ করতে হয়। ভারতের একতার জন্য এবং বোড়ো জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য বোড়োফা সব সময় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলতেন। গুরুদেব কালীচরণ ব্রহ্ম অহিংসা এবং আধ্যাত্মিকতার পথ অনুসরণ করে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে একতার সৃষ্টি করেছেন। আজ যখন আমি দেখতে পাই বোড়ো মা এবং বোনের আর চোখের জল ফেলছেন না, এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন, তখন আমার মন আনন্দে ভরে ওঠে। প্রতিটি বোড়ো পরিবার তাঁদের সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বোড়ো ব্যক্তিত্বরা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার শ্রী হরিশঙ্কর ব্রহ্ম, মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্রী রঞ্জিত শেখর মুসাহারির মতো বিশিষ্টজনেরা বোড়োদের গর্ব। বোড়োল্যান্ডের যুব সম্প্রদায় এক সফল কেরিয়ার গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার বোড়ো পরিবারগুলির পাশে সবসময় থাকবে। 

বন্ধুগণ,

আমার কাছে আসাম সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের অষ্টলক্ষ্মী। আজ পূর্ব ভারতে উন্নয়নের যে নতুন প্রভাতের সূচনা হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে বিকশিত ভারত গড়ার নতুন শক্তি আমরা পাই। আর তাই, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা নিরলস উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে বিবাদ রয়েছে, তা নিরসনে আমরা সচেষ্ট।

 

বন্ধুগণ,

গত এক দশক ধরে আসাম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বর্ণযুগের সূচনা হয়েছে। বিজেপি-এনডিএ সরকারের নীতির কারণে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই আসামের বাসিন্দা। বিজেপি-এনডিএ সরকার আসামের উন্নয়নে নতুন মাইলফলকের সূচনা করেছেন। আমরা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। গত দেড় বছরে আসামে চারটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। গুয়াহাটি এইমস এবং কোকরাঝাড়, নলবাড়ি ও নওগাঁও-এ মেডিকেল এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটাবে। আসামে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল চালু হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের অত্যন্ত সুবিধা হয়েছে।

২০১৪ সালের আগে আসামে মাত্র ছ’টি মেডিকেল কলেজ ছিল। আজ সেই সংখ্যা দ্বিগুণ – ১২টি। এছাড়াও, আরও ১২টি মেডিকেল কলেজ গড়ার কাজ চলছে। আসামে নতুন নতুন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের কাছে নানা সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

বোড়ো শান্তি চুক্তি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে। বোড়োল্যান্ডের সংস্কৃতি শতাব্দীপ্রাচীন। আমরা বোড়োদের এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে রক্ষা করব এবং শক্তিশালী করব। আরও একবার এই আনন্দময় বোড়ো উৎসবের জন্য আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এখানে অনেকে জড়ো হয়েছে। দিল্লিতে আপনাদের প্রত্যেককে স্বাগত। বন্ধুরা, যে ভালোবাসা আপনারা আমাদের দিয়েছেন, আপনাদের চোখে যে স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি, তার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা আমি পাই যার সাহায্যে আপনাদের আশা এবং আকাঙ্ক্ষা আমি পূরণ করতে পারব।

 

বন্ধুগণ,

আপনারা আমার হৃদয় জয় করেছেন আর তাই আমি সব সময় আপনাদের জন্য রয়েছি। আপনারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। আপনাদের সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা জানাই! অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসুন, আমরা সকলে একসঙ্গে বলে উঠি - 

ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।