Mudra Yojana is not limited to any specific group but aims to empower the youth to stand on their own feet: PM
Mudra Yojana has a transformative impact in fostering entrepreneurship and self-reliance: PM
Mudra Yojana has brought a silent revolution with shift in the societal attitude about entrepreneurship: PM
Women are among the highest beneficiaries of Mudra scheme: PM
52 crore loans have been disbursed under the scheme, a monumental achievement unparalleled globally: PM

সুবিধাভোগী - স্যার, আজ আমি আমার কথা শেয়ার করতে চাই কিভাবে আমি পোষা প্রাণীর শখ থেকে একজন শিল্পোদ্যোগী হয়ে উঠেছি। আমার ব্যবসার নাম ‘ কে-নাইন ওয়ার্ল্ড’, যেখানে আমরা সকল ধরণের পোষ্য প্রাণী সরবরাহ, এবং পোষ্যর ওষুধ সরবরাহ করি, স্যার। স্যার, মুদ্রা ঋণ পাওয়ার পর, আমরা অনেক নতুন পরিষেবা শুরু করেছি, যেমন আমরা পোষ্য প্রাণীর জন্য বোর্ডিং পরিষেবা সুবিধা শুরু করেছি, যে কোনও পোষ্য প্রাণীর অভিভাবক যদি কোথাও বাইরে যান, তাঁরা তাঁদের পোষ্যদের আমাদের কাছে রেখে যেতে পারেন। তাঁদের পোষ্যরা আমাদের সঙ্গে একটি ঘরোয়া পরিবেশে থাকে, স্যার। পশুপাখির প্রতি আমার ভালোবাসা অন্য রকম, স্যার! আমি খাই কি না খাই তাতে কিছু যায় আসে না, কিন্তু আমি তাঁদের অবশ্যই খাওয়াই স্যার।

প্রধানমন্ত্রী - তাহলে বাড়ির সবাই নিশ্চয়ই আপনার উপর বিরক্ত হচ্ছে?

সুবিধাভোগী - স্যার, এর জন্য আমি আলাদা থাকি, আমার সব কুকুরের সঙ্গে আলাদা থাকার ব্যবস্থা। আর আমি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই স্যার, কারণ স্যার, আপনার কারণে, অনেক পশুপ্রেমী এবং এনজিও কর্মী এখন কোনও বাধা ছাড়াই খোলাখুলিভাবে তাঁদের কাজ করতে পারছেন স্যার। স্যার, আমার বাসায় এটা সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ করা আছে, যদি আপনি পশুপ্রেমী না হন, স্যার, আপনার অনুমতি নেই।

প্রধানমন্ত্রী - এখানে আসার পর কি আপনি অনেক প্রচার পাবেন?

সুবিধাভোগী - স্যার, অবশ্যই।

প্রধানমন্ত্রী- আপনার হোস্টেলে স্থান সংকুলান হবে না!

সুবিধাভোগী - আগে আমি মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করতাম, স্যার, এখন আমি মাসে ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারছি।

প্রধানমন্ত্রী- তাহলে এখন তোমরা এক কাজ করো, তোমরা ব্যাংকের লোকদের।

প্রধানমন্ত্রী- তাহলে এখন আপনি একটি কাজ করুন, যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন-

সুবিধাভোগী - বলুন স্যার।

প্রধানমন্ত্রী - আপনি যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন, তাঁদের ফোন করুন এবং আপনার সবকিছু দেখান, আর ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান, কারণ তাঁরা আপনার উপর আস্থা রেখে আপনাকে ঋণ দিয়েছেন, যা অনেকেই করতে সাহস করে না! তাঁদেরকে দেখিয়ে বলুন যে, দেখুন আমি কেমন কাজ করছি!

সুবিধাভোগী - অবশ্যই স্যার।

প্রধানমন্ত্রী- তাহলে তাঁদের ভালো লাগবে যে হ্যাঁ, তাঁরা কিছু ভালো কাজ করেছেন।

সুবিধাভোগী - এই ‘পিন ড্রপ’ নীরবতার পরিবেশ, তিনি যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর গাম্ভীর্য ভেঙে  আমাদের সঙ্গে এমনভাবে মিশে গিয়েছেন, এটিই তাঁর বিষয়ে আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল, আর দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তিনি খুব ভালো শ্রোতা।

সুবিধাভোগী - আমি গোপীকৃষ্ণন, কেরালার মানুষ। মুদ্রা ঋণ নিয়ে শিল্পোদ্যোগী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা আমাকে একজন সফল শিল্পোদ্যোগীতে পরিণত করেছে। আমার ব্যবসা ক্রমশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, পরিবার এবং অফিসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধান নিয়ে আসছে এবং একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে।

প্রধানমন্ত্রী - দুবাই থেকে ফিরে আসার পর আপনার পরিকল্পনা কী ছিল?

সুবিধাভোগী - মুদ্রা ঋণ সম্পর্কে জানতে পেরেই আমি সেই দুবাইয়ের কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছি।

 

প্রধানমন্ত্রী: তাহলে, আপনি এটা সেখান থেকেই জানতে পেরেছিলেন?

সুবিধাভোগী - হ্যাঁ। আর পদত্যাগ করার পর, এখানে এসে মুদ্রা ঋণের জন্য আবেদন করার পর, আমি এটি শুরু করেছি।

প্রধানমন্ত্রী - একটি বাড়িতে একটি ‘সূর্যঘর’ তৈরি সম্পূর্ণ করতে কত দিন সময় লাগে?

সুবিধাভোগী - এখন সর্বোচ্চ দুই দিন।

প্রধানমন্ত্রী - আপনি ২ দিনে একটি ঘরের কাজ শেষ করতে পারেন?

সুবিধাভোগী – পারি স্যার!

প্রধানমন্ত্রী - আপনি নিশ্চয়ই চিন্তিত ছিলেন যে, বাড়ির খরচা সামলে আপনি ঋণের টাকা শোধ করতে না পারলে কী হবে, আপনার বাবা-মাও আপনাকে তিরস্কার করবে, সে দুবাই থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে, কী হবে?

সুবিধাভোগী- আমার মা একটু টেনশনে ছিলেন কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় সবকিছু ঠিক হয়ে গেল।

প্রধানমন্ত্রী – যারা এখন ‘পিএম সূর্যঘর’ থেকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী, কারণ কেরালায় বাড়িগুলি নিচু, গাছগুলি লম্বা, রোদ খুব কম পড়ে, বৃষ্টিও হয়, তাহলে তাঁদের কেমন লাগছে?

সুবিধাভোগী - এটি প্রয়োগ করার পরে, তাঁদের বিল মাসে মাত্র ২৪০-২৫০ টাকার মধ্যে আসে। যারা ৩০০০ টাকা বিল দিতেন তাঁরা বর্তমানে মাত্র ২৫০ টাকার বিল দেন।

প্রধানমন্ত্রী: আপনি এখন প্রতি মাসে কতটা কাজ করেন? হিসাব কত হবে?

সুবিধাভোগী - এই পরিমাণ আমার জন্য...

প্রধানমন্ত্রী - না, আয়কর কর্মকর্তা আসবে না, ভয় পাবেন না, ভয় পাবেন না।

সুবিধাভোগী - ২.৫ লক্ষ টাকা –

প্রধানমন্ত্রী - এই যে অর্থমন্ত্রী আমার পাশে বসে আছেন, আমি তাঁকে বলছি যে আয়কর কর্মকর্তা আপনার বাড়িতে যাবেন না।

সুবিধাভোগী - ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি পাই।

সুবিধাভোগী - স্বপ্ন সেটা নয় যা আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, স্বপ্ন হলো সেটাই যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না। ঝামেলা এবং অসুবিধা থাকবেই, যারা সংগ্রাম করে, তাঁরাই শুধু সাফল্য পান।

সুবিধাভোগী – ‘আমি হাউস অফ পুচকা’র প্রতিষ্ঠাতা। আমি বাড়িতে খাবার রান্না করতাম এবং আমার হাতের রান্নার স্বাদ ভালো ছিল, তাই সবাই আমাকে ক্যাফে খোলার পরামর্শ দিল। তারপর এটি নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে হিসেব করার পর দেখা গেল যে লাভের পরিমাণ ইত্যাদিও ভালো। তাই আপনি যদি খাবারের খরচ ইত্যাদি সঠিকভাবে হিসেব করে চলেন, তাহলে আপনি একটি সফল ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী - আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানুষ যদি একটু পড়াশোনা করার পর মনে করেন যে না, না, আমি কোথাও চাকরি পেয়ে স্থায়ী হয়ে যাব, আমি কোনও ঝুঁকি নেব না! তাহলে এমনি থেকে যাবেন। অথচ আপনাদের প্রত্যেকের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা আছে।

সুবিধাভোগী - হ্যাঁ।

প্রধানমন্ত্রী - তাহলে আপনার রায়পুরের বন্ধুদের পাশাপাশি কর্পোরেট জগতের বন্ধু এবং ছাত্র বন্ধুরাও র্যেছেন, তাঁদের সবার সঙ্গে এই বিষয়ে কী আলোচনা হচ্ছে? আপনি কী প্রশ্ন করেন? তারা কী মনে করে? তাঁদের এটা করা উচিত, তাঁরা কি এগিয়ে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন?

সুবিধাভোগী - স্যার, এখন আমার বয়স ২৩ বছর, তাই আমার ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং সময়ও আছে, তাই এখনই সময়, যেসব তরুণরা মনে করেন যে, তাঁদের কাছে তহবিল নেই, আর যাঁরা সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবগত নন, আমার পক্ষ থেকে তাঁদেরকে একটি পরামর্শ দিতে চাই, আপনারা সামান্য খোঁজখবর নিন, যেমন মুদ্রা ঋণ আছে, একইভাবে ‘পিএম ইজিপি’ ঋণও আছে, অনেক ঋণ যা আপনি কিছু বন্ধক না দিয়েই পেতে পারেন, তাই যদি আপনার ক্ষমতা থাকে, তবে আপনারা এতে যোগ দিতে পারেন, কারণ আকাশের কোনও সীমা নেই, তাহলে আপনারা ব্যবসা করতে পারেন এবং যত খুশি উন্নতি করতে পারেন।

 

সুবিধাভোগী –ছাদ পর্যন্ত যায়, এরকম অসংখ্য সিঁড়ি অতিক্রমের জন্য তাঁদেরকে শুভেচ্ছা। আমাদের গন্তব্য হওয়া উচিত আকাশ। পথ আমাদের নিজেদের বানাতে হবে। আমি মহম্মদ মুদাসির নাকাসবন্দী। আমি কাশ্মীরের বারামুল্লার ‘বেক মাই কেক’-এর মালিক। আমরা চাকরিপ্রার্থী থেকে ক্রমে অসংখ্য মানুষের চাকরিদাতা হয়ে উঠেছি। আমরা ইতিমধ্যেই বারামুল্লার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৪২ জনকে স্থায়ী চাকরি দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী – আপনি এত দ্রুতগতিতে উন্নতি করছেন, যে ব্যাঙ্ক আপনাকে ঋণ দিয়েছে, সেই ঋণ দেওয়ার আগে আপনার পরিস্থিতি কী ছিল?

সুবিধাভোগী – স্যার, সেটা ছিল ২০২১ সাল। তখন আমি লক্ষ বা কোটি টাকার কথা ভাবতেও পারতাম না। তখন মাত্র কয়েক হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে কাজ করতাম।

প্রধানমন্ত্রী – আপনাদের ওখানে কি ইউপিআই ব্যবহৃত হয়?

সুবিধাভোগী – স্যার, প্রত্যেক সন্ধ্যায় যখন আমি ক্যাশ চেক করি, তখন আমার ভীষণ বিরক্ত লাগে কারণ, ৯০ ভাগ লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমেই হয়, আর আমাদের হাতে বাকি থাকে মাত্র ১০ শতাংশ নগদ।

সুবিধাভোগী – আমার কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খুব বিনম্র মানুষ বলে মনে হয়। মনে হয় যেন তিনি আমাদের সব সময় পথ দেখাচ্ছেন। অথচ, তিনি সবসময়েই ভীষণ বিনম্র।

প্রধানমন্ত্রী – সুরেশ আপনি এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন? আগে কোথায় কাজ করতেন? আপনার পারিবারিক পেশা কী?

সুবিধাভোগী – স্যার আগে আমি চাকরি করতাম।

প্রধানমন্ত্রী – কোথায়?

সুবিধাভোগী – বাপীতে। ২০২২ সালে আমার মনে হয় যে চাকরি করে তেমন কিছু হবে না। নিজের ব্যবসা শুরু করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী – বাপীতে আপনি রোজ লোকাল ট্রেনে আসতেন? সেই ট্রেনের বন্ধুত্ব তো অসাধারণ হয়, তাই না?

সুবিধাভোগী – স্যার, আমার বাড়ি সিলভাসায়। চাকরির জন্য বাপীতে আসতে হত। এখন আমার ব্যবসা সিলভাসাতেই।

প্রধানমন্ত্রী – আমি জানি, আপনার সঙ্গে আপ-ডাউনে যতজন সহযাত্রী ছিলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই জিজ্ঞাসা করেছে যে এখন তুমি অনেক রোজগার করছে। কী করছ? তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কি মুদ্রা ঋণ নেওয়ার কথা ভাবছেন?

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার, সম্প্রতি যখন আমি এখানে আসছিলাম, আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে যাতে আমি তাঁকে মুদ্রা ঋণ নিতে সাহায্য করি।

প্রধানমন্ত্রী – সবার আগে আমার বাড়িতে আসার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে, অতিথি যখন বাড়িতে আসেন, তখন তাঁর পায়ের ধূলিকণা বাড়িকে পবিত্র করে দেয়। সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আপনাদের অনেকেরই হয়তো অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে, অনেকেই হয়তো বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন, যদি কেউ আরও কিছু বলতে চান, আমি তাঁর কথা শুনতে চাই।

সুবিধাভোগী – স্যার, সবার আগে আমি আপনাকে একথা বলতে চাইব, যেহেতু আমি আপনার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনি, আপনার সামনে একটি অত্যন্ত ছোট শহর রায়বেরিলির এক মহিলা ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে আছেন। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ প্রকল্পের মাধ্যমে যিনি উপকৃত হয়েছেন। আমার জন্য এখানে আসাটা অত্যন্ত আবেগের ব্যাপার। আমরা আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমরা সবাই মিলে ভারতকে উন্নত ভারতে পরিণত করব। যে পদ্ধতিতে আপনি সহযোগিতা করছেন এবং আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে সন্তানের মতো লালন করছেন, লাইসেন্স অর্জন করা, অন্য কোন সমস্যায় পড়লে বা মূলধনের সমস্যা হলে …

 

প্রধানমন্ত্রী – আপনি কি ভোটে দাঁড়াতে চান?

সুবিধাভোগী - না না স্যার, এটা শুধু আমার মনের কথা বলছি। কারণ আমার মনে হয়েছে, আগে যত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, আগে ঋণ নিতে গেলে কেউ কথাই শুনত না, এখন তা আর নেই।

প্রধানমন্ত্রী – আপনি এটা বলুন, আপনি কী করেন?

সুবিধাভোগী – বেকারি, বেকারি।

প্রধানমন্ত্রী – বেকারি?

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ, হ্যাঁ!

প্রধানমন্ত্রী – এখন আপনি কত রোজগার করেন?

সুবিধাভোগী – স্যার আমার এখন টার্নওভার মাসে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী – আপনি কতজন কর্মচারী নিয়োগ করেছেন?

সুবিধাভোগী – স্যার, ৭-৮ জন।

প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা।

সুবিধাভোগী – স্যার, আমার নাম লবকুশ মেহরা। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে এসেছি। আগে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি করতাম। আপনি আমাদের হয়ে গ্যারান্টি নেওয়ায় মুদ্রা ঋণ পেয়েছি, আর আজ মালিক হয়ে গিয়েছি। আমি এমবিএ পড়েছিলাম। কিন্তু ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে তেমন জ্ঞান ছিল না। ২০২১ সালে নিজের কাজ চালু করেছি। প্রথমে ব্যাঙ্কে গিয়েছি। সেখান থেকে ৫ লক্ষ টাকা সি সি লিমিট মুদ্রা ঋণ পেয়েছে। আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে এতবড় ঋণ নিচ্ছি ফেরত দিতে পারব কী? আমি এর থেকে ৩ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। কিন্তু এই ৫ লক্ষ টাকা আমি পরিশোধ করে দিয়েছি। এরপর আমি ৯ লক্ষ টাকা মুদ্রা ঋণ পেয়েছি। প্রথম বছর আমার টার্নওভার ১২ লক্ষ টাকা ছিল, আর আজ ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।

প্রধানমন্ত্রী – আপনার অন্য বন্ধুরা হয়তো ভাবছেন ভাই, জীবনে উন্নতির এটাও একটা পদ্ধতি।

সুবিধাভোগী – ইয়েস স্যার!

প্রধানমন্ত্রী – আসলে এই মুদ্রা যোজনা মোদীর প্রশংসার জন্য নয়। এই মুদ্রা যোজনা আমার দেশের নবীন প্রজন্মকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস যোগানোর জন্য। আপনারা কর্মসংস্থানের জন্য কেন দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াবেন? এর বদলে আপনারা ব্যবসা করে আরও দশজনকে চাকরি দেবেন।

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – এই মেজাজ তৈরি করতে হবে। আপনার আশপাশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা কী বলে?

সুবিধাভোগী – ইয়েস স্যার! আমার গ্রামের নাম বাচাওয়ানি। ভোপাল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। সেখানকার ২-৩ জনও কোনো না কোন অনলাইন ডিজিটাল শপ খুলেছেন। আবার অন্য কেউ তাঁদের ফটো স্টুডিওর জন্য ১-২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে আমি এক্ষেত্রে সাহায্য করেছি। আর আমার যত বন্ধু রয়েছে …

প্রধানমন্ত্রী – কারণ এখন সবাই আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনারাই সবাইকে কর্মসংস্থান দেবেন। কিন্তু তার জন্য সবাইকে বলতে হবে যে কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়া মুদ্রা ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। বাড়িতে বসে আছো কেন? যাও গিয়ে ব্যাঙ্কে তদ্বির করো।

সুবিধাভোগী – আমি এই মুদ্রা ঋণের কারণে সম্প্রতি ৩৪ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের বাড়ি বানাতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী – তাই নাকি!

সুবিধাভোগী – আগে আমি চাকরি করে মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা রোজগার করতাম। আর এখন আমি কর্মচারীদের বেতন দিয়ে প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রোজগার করি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা।

সুবিধাভোগী – এইসব আপনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – নিজের পরিশ্রমই কাজে লাগে ভাই!

সুবিধাভোগী – মোদীজির সঙ্গে কথা বলে আমাদের এরকম কখনই মনে হয়নি যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি। মনে হচ্ছিল যেন আমাদের পরিবারের কোনো অগ্রজ সদস্যের সঙ্গে কথা বলছি। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলে এটা বুঝেছেন যে মুদ্রা ঋণ প্রকল্প সফল হয়েছে। তিনি যেভাবে সবাইকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, আপনারা সবাই মুদ্রা ঋণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন যাতে আরও অনেকে নিজেদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

সুবিধাভোগী – আমি গুজরাটের ভাবনগর থেকে এসেছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আপনি তো এখানে বয়সে সবার থেকে ছোট।

সুবিধাভোগী – ইয়েস স্যার! আমি কলেজের ফাইনাল ইয়ারে পড়ি, আর চার বছর …

প্রধানমন্ত্রী – তুমি পড়ো আবার রোজগারও করো?

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার!

প্রধানমন্ত্রী – সাবাস!

সুবিধাভোগী – আমি আদিত্য টেক ল্যাব-এর প্রতিষ্ঠাতা যেখানে আমি থ্রি-ডি প্রিন্টিং, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং র্যাপিড প্রোটোটাইপিং-এর পাশাপাশি সামান্য রোবোটিক্স-এর কাজও করি। ফাইনাল ইয়ারে আমি মেপাট্রনিক্স-এর ছাত্র যাতে অটোমেশন এবং এসব কিছুই বেশি রয়েছে। আমি মুদ্রা ঋণ পেতে যখন একটি ব্যাঙ্কে গেলাম, তখন তারা প্রথমে বলল যে দু-এক বছর চাকরি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করো, তারপর ঋণ পাবে। তারপর আমি ভাবনগরে সৌরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাঙ্কে গেলাম। তখন তারা বলল যে কিশোর অবস্থায় যে মুদ্রা ঋণ পাওয়া যায়, ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা, তার অধীনে ২ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারি। এভাবেই আমি চারমাস আগে শুরু করেছি। সোম থেকে শুক্রবার কলেজে যাই, আর সপ্তাহান্তে ভাবনগরে থেকে যত কাজ বাকি থাকে সব শেষ করে দিই। এখন আমি মাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকা রোজগার করি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা। তোমার কাছে ক’জন কাজ করে?

সুবিধাভোগী – আমি তো সম্প্রতি শুরু করেছি।

প্রধানমন্ত্রী – তুমি তো সপ্তাহে দু’দিন কাজ করো?

সুবিধাভোগী – আমি একাই কাজ করি। বাড়িতে বাবা-মা রয়েছেন, তাঁরা সময় পেলে আমাকে সাহায্য করে দেন। মুদ্রা ঋণের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পেয়েছি, এর জন্য আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ধন্যবাদ স্যার।

সুবিধাভোগী – আমি এখন মানালীতে নিজস্ব ব্যবসা করি। সবার আগে আমার স্বামী সব্জি মাণ্ডিতে কাজ করতেন। তারপর বিয়ে হয়ে গেলে যখন আমি তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করি, তখন তিনি বলেন যে আমরা দু’জনে মিলে একটা দোকান খুলতে পারি। তারপর আমরা সব্জি দোকান খুলে সব্জি রাখা শুরু করি। ধীরে ধীরে গ্রাহকরা বলতে শুরু করে যে আটা-চালও রাখুন। তখনই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কর্মচারী একজন গ্রাহক আমাদেরকে বলেন যে আমরা কত শতাংশ সুদে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে পারি। শুরুতে আমরা মানা করে দিয়েছিলাম। তখন ২০১২-১৩ সাল।

প্রধানমন্ত্রী – আপনারা ২০১২-১৩ সালের কথা বলছেন? কোনো সাংবাদিক শুনলে বলবে যে পুরনো সরকারকে গালি দিচ্ছেন।

সুবিধাভোগী – না, না! তিনি বলেছিলেন যে আপনাদের কাছে কি কোনো সম্পত্তি আছে? আমরা বললাম নেই। সেজন্যই হয়তো। আমরা যখন ২০১৫-১৬ সালে এই মুদ্রা ঋণ সম্পর্কে জানতে পারলাম, সেই গ্রাহকই আমাদেরকে প্রথম জানিয়েছিলেন, আর তিনিই আমাদের ঋণ পেতে সাহায্য করেছেন। এবার আর কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়নি। প্রথমবার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। ২-২.৫ বছরের মধ্যে যখন তা ফেরত দিয়ে দিই, তখন আমাকে আবার ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। তখন আমি একটি মুদি দোকান খুলি। কিন্তু ক্রমে ব্যবসা এত বাড়ে যে এই দুটি দোকানে আমাদের আর স্থান সঙ্কুলান হয় না। অর্থাৎ, তখন বছরে ২-২.৫ লক্ষ টাকা রোজগার হত, এখন তা বেড়ে ১০-১৫ লক্ষ টাকা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী – বাঃ

সুবিধাভোগী – তারপর আমি যখন ৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিলাম, তখন তিনি ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দিলেন। সেটাও যখন পরিশোধ করলাম, তখন ২০২৪-এর নভেম্বরে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছেন। এভাবেই স্যার আমাদের কাজ বেড়েছে। আজ খুব ভালো লাগছে যে স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। আমরা কখনও তাঁর এই নতুন ভারত গড়ার স্বপ্নকে বৃথা হতে দেব না। অনেকেই আছে যারা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি। তাদের কথা আলাদা। কিন্তু আমাদেরকে তো ব্যাঙ্ক থেকে এবার ২০ লক্ষ টাকাই দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা ১৫ লক্ষ টাকার থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। শুধু শুধু কেন সুদ দেব? কিন্তু, আপনার এই স্কিম আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

সুবিধাভোগী – আমি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসেছি। আমি হিন্দি জানি না, তেলুগুতে কথা বলব।

প্রধানমন্ত্রী – ঠিক আছে, আপনি তেলুগুতেই বলুন।

সুবিধাভোগী – ধন্যবাদ স্যার। আমার বিয়ে হয়েছে ২০০৯ সালে আমি ২০১৯ পর্যন্ত গৃহবধূই ছিলাম। আমি কানাড়া ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টারে ১৩ দিনের পাটের ব্যাগ তৈরির কোর্স করেছি। তারপর আমি ঐ ব্যাঙ্ক থেকে মুদ্রা যোজনায় ২ লক্ষ টাকা ঋণ পেয়েছি। ২০১৯-এর নভেম্বরে আমার ব্যবসা শুরু করেছি। কানাড়া ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। তারা কোনকিছু বন্ধক চায়নি। ২০২২ সালে আমি আমার ঋণ পরিশোধ করে দিলে ব্যাঙ্ক আমাকে অতিরিক্ত ৯.৫ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছে। এখন আমার অধীনে ১৫ জন কাজ করে।

 

প্রধানমন্ত্রী – অর্থাৎ, ২ লক্ষ থেকে শুরু করে ৯.৫ লক্ষে পৌঁছে গেছেন।

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার। সেই সময় রুরাল সেলফ-এমপ্লয়মেন্ট সেন্টারে সমস্ত গৃহবধূরাই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলাম। সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী – ধন্যবাদ, ধন্যবাদ!

সুবিধাভোগী – স্যার আমার নাম পুনম কুমারী। আমি অনেক গরিব পরিবারের মেয়ে। এত গরিব যে …

প্রধানমন্ত্রী – আপনি দিল্লিতে প্রথমবার এসেছেন?

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার। আর আমি ফ্লাইটেও প্রথমবার বসেছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা,

সুবিধাভোগী – আমরা এত গরিব ছিলাম যে দিনে একবারের বেশি খেতে পারতাম না। কৃষক পরিবারের মেয়ে হয়েও আমি এতটা সাহস নিয়ে এগিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী – এখন আপনি কেমন আছেন?

সুবিধাভোগী – একটি গরিব কৃষক পরিবারে যত সমস্যা সেগুলি আমার স্বামী একা সমাধান করতে পারতেন না। তখন আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলি যে কিছু ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যাক। আমার স্বামী তাঁর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে এই মুদ্রা ঋণের কথা জানতে পারেন। তারপর তিনি এসবিআই ব্যাঙ্কে যান। তারা বলে যে কোনো নথিপত্র জমা না দিয়েই ঋণ পাওয়া যেতে পারে। তারপর আমাকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে ২০২৪ সালে ব্যবসা শুরু করেছি। এখন ভালো লাভ হচ্ছে স্যার।

 

প্রধানমন্ত্রী – কী কাজ করেন?

সুবিধাভোগী – স্যার, বীজের। আমার স্বামীই বেশি বাজারের দিকটা দেখে, তারপর একটা কর্মচারী রেখেছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আচ্ছা।

সুবিধাভোগী – আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে দ্রুত আমি ঋণ পরিশোধ করে দিতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী – এখান মাসে কত টাকা রোজগার হয়?

সুবিধাভোগী – স্যার, ৬০ হাজার হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী – ৬০ হাজার! তাহলে পরিবারের সবাই আপনার ওপর বিশ্বাস করছেন তো?

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার, আপনার এই প্রকল্পের ফলে আজ আমি আত্মনির্ভর।

প্রধানমন্ত্রী – চলুন আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন।

সুবিধাভোগী – ধন্যবাদ স্যার। আপনার সঙ্গে কথা বলার খুব ইচ্ছা ছিল। বিশ্বাসই করতে পারছি না যে আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমার স্বামীরও আসার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু পরে বলল তুমি যাও, গুড লাক। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আমার উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে দেশের সাধারণ নাগরিক আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক। সমস্যা তো থাকেই, প্রত্যেকের রয়েছে। জীবনে অনেক সমস্যা থাকে, কিন্তু সুযোগ পেলে সেই সমস্যাগুলিকে হারিয়ে দিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আর মুদ্রা যোজনা এই কাজটাই করেছে।

সুবিধাভোগী – হ্যাঁ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী – আমাদের দেশে অনেক কম মানুষ এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছে যে চুপিচুপি কত বড় বিপ্লব এসে গেছে। এটা অনেক বড় বিপ্লব।

সুবিধাভোগী – স্যার আমি অন্যদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি, মুদ্রা ঋণ নেওয়ার কথা বলি।

প্রধানমন্ত্রী – বোঝানো উচিত। আমাদের গ্রামে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শুনতাম যে উত্তম চাষবাস, মধ্যম বাণিজ্য এবং কনিষ্ঠ চাকরি। এরকম শুনতাম। ধীরে ধীরে সমাজের মানসিকতা পরিবর্তিত হয়েছে। এখন সবাই চাকরিকে সবার আগে প্রাধান্য দেয়। চাকরি পেলেই যেন সবাই সেটল হতে চায়। জীবনের নিশ্চয়তা আসবে বলে ভাবে। ব্যবসা এখনও মধ্যম অবস্থাতেই রয়েছে। আজ চাষবাসকে সবার পেছনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কৃষকরাও বলেন যে যদি তাঁর তিনটি ছেলে হয় তাহলে একজনকে চাষ করতে বলা হয় আর অন্যদের বলা হয় যাও তোমরা অন্য কোথাও গিয়ে রোজগার কর। কিন্তু আমরা মধ্যম ব্যাপারটা নিয়ে বলছি। আজকের ভারতের নবীন প্রজন্মের যে শিল্পোদ্যোগী দক্ষতা রয়েছে, যদি তাঁদেরকে হাত ধরে তোলা যায়, যদি সামান্য সাহায্য পান, তাহলে তাঁর অনেক বড় পরিণাম আনতে পারেন। তাঁরা অনেক বড় পরিণাম যে আনতে পারেন এটা প্রমাণ করে দিয়েছে সরকারের এই মুদ্রা যোজনা। এর মাধ্যমে অনেকের চোখ খুলে গেছে। এক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি এগিয়ে এসেছেন মহিলারা। তাঁরাই সবথেকে বেশি দরখাস্ত জমা দিয়েছেন এবং পেয়েছেন। আর তাঁরাই সবার আগে ঋণ পরিশোধ করছেন। অর্থাৎ, একটি নতুন ক্ষেত্র আজ উন্নত ভারতের সম্ভাবনা পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে কারণ, আমি মনে করি, একটি নতুন আবহ গড়ে উঠেছে। আপনাদের সাফল্য থেকে আপনারা জানেন যে এখন আপনাদের আর কোনো রাজনীতিবিদের চিঠির প্রয়োজন হয় না, কোনো এলএলএ/এমপি-র বাড়িতে গিয়ে জুতোর শুকতলা খোয়াতে হয় না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনাদের কোথাও ১ টাকাও ঘুষ দিতে হয়নি। কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়াই আপনারা ঋণ পেয়েছেন। আর একবার হাতে ঋণের টাকা এসে গেলে তার সদ্ব্যবহার প্রত্যেকের জীবনকে একটি নিয়মানুবর্তিতায় বেঁধে দেয়। টাকা না থাকলে আপনি ভাববেন অন্য শহরে চলে যাই। কোথায় গিয়ে ব্যাঙ্কের লোককে খুঁজব। মুদ্রা যোজনা জীবনকে গড়ে তোলার একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। আর আমি চাই আমার দেশের প্রত্যেক নবীন এই সুযোগ নিন। আপনারা দেখুন, ইতিমধ্যেই দেশের নবীনদের কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়া ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। আপনারা হয়তো খবরের কাগজে পড়তেন যে ধনীদের সরকার। এখন দেখুন, দেশের যত ধনী লোক আছে, সবার পাওয়া ঋণের পরিমাণ যদি যোগ দেন তাহলেও ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা হবে না। আমার দেশের সাধারণ মানুষের দেওয়া করের টাকা থেকে ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা আপনাদের মতো যোগ্য যুবক-যুবতীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর আপনারা প্রত্যেকেই কেউ একজনকে বা কেই দশজনকে আবার কেউ ৪০-৫০ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, সরকারের এই অর্থনৈতিক পদক্ষেপ কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অনেক বড় সাফল্য নিয়ে এসেছে। এর ফলে পণ্য উৎপাদন যেমন বেড়েছে, সাধারণ মানুষের জীবনের মানও উন্নত হয়েছে। আগে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে অনেকেই সঙ্কোচ করত, কিন্তু এখন সবাই পড়তে পাঠাচ্ছেন। এখন এই প্রকল্প ১০ বছর ধরে চলছে। সাধারণত সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার একটা সাংবাদিক সম্মেলন হয় আর ঘোষণা করে দেয় যে এই কাজটি করা হবে। তারপর কিছু মানুষকে ডেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। সবাই হাততালি দেয়। খবরের কাগজে প্রশংসা লেখা হয়, হেডলাইন লেখা হয়। তারপর সবাই ভুলে যায়। আমাদের সরকার এরকমই একটি প্রকল্পকে ১০ বছর ধরে চালু রেখেছে এবং তার হিসাবও রেখেছে। সুবিধাভোগীদের নিয়মিত প্রশ্ন করা হচ্ছে যে আপনারা ঠিকঠাক উপকৃত হচ্ছেন তো? না হলে আমাদেরকে বলুন কোথায় খামতি রয়েছে। আর আমি আপনাদেরকে যেরকম জিজ্ঞাসা করছি, সেরকম দেশের সর্বত্র আমার সঙ্গীরা গিয়ে আপনাদের প্রশ্ন করবে, আপনাদের সঙ্গে দেখা করবে, আপনাদের সমস্ত তথ্য লিখে আনবে। সেজন্যই বলছি, যদি পরিবর্তন আনতে হয়, কোনকিছু সংস্কার করতে হয়, তাহলে আমরা সেটা করব। কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুরুতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মুদ্রা ঋণ শুরু হয়েছিল। আর এখন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের আস্থা কতটা দেখুন। আগেকার সরকার ভাবত ৫ লক্ষের বেশি ঋণ দিও না, তাহলে ডুবে যেতে পার। কিন্তু আমাদের দেশের জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস অটুট রয়েছে। আমার দেশবাসীর ওপর যে ভরসা ছিল, সেটা আপনারা নিজেদের কাজ দিয়ে আরও শক্তিশালী করেছেন। আর সেজন্যই আমার সাহস হয়েছে যে ৫০ হাজার থেকে ঋণ প্রদানের উচ্চসীমা ২০ লক্ষে পৌঁছে দেওয়া। এই সিদ্ধান্ত ছোট সিদ্ধান্ত নয়। এটি তখনই গড়ে ওঠে যখন সেই প্রকল্পের সাফল্য এবং জনগণের ভরসা দুটিই এর মধ্যে দেখা যায়। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা আর প্রত্যাশা করব যে আপনারা প্রত্যেকেই ৫-১০ জনকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবেন। তেমনই আরও ৫-১০ জনকে মুদ্রা যোজনায় সামিল করে তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবেন, প্রেরণা যোগাবেন যাতে দেশে একটা বিশ্বাস গড়ে ওঠে যে ৫২ কোটি মানুষকে ঋণ দেওয়া হয়েছে তাঁরা উন্নতি করবেন। যেমন একটু আগে সুরেশ বলেছেন যে তিনি প্রথমে ২.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি ৯ লক্ষ টাকা ঋণ পেয়েছেন। কিন্তু এখন সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫২ কোটি মানুষকে ঋণ দেওয়া হবে। বিশ্বের কোনো দেশ এটা ভাবতেও পারেনি, আর সেজন্য আমি বলি, আর আমাদের নবীন প্রজন্মকে আমরা প্রত্যেকে মিলে তৈরি করি যে ভাই, আপনি নিজে শুরু করুন, অনেক কিছু লাভ হয়। আমার মনে পড়ে, যখন আমি গুজরাটে ছিলাম, তখন আমার একটা কর্মসূচি ছিল – ‘গরিব কল্যাণ মেলা’। কিন্তু, তার মধ্যে একটি পথ নাটিকা যেরকম বলা হয় যে আমি আর গরিব থাকতে চাই না, এরকম অনুপ্রেরণাদায়ক নাটক আমার কর্মসূচিতে রয়েছে। আর তারপর কিছু মানুষ স্টেজে এসে নিজের রেশন কার্ড সরকারের কাছে জমা রাখতেন আর বলতেন আমরা দারিদ্র্যসীমা থেকে উঠে এসেছি আর বলতেন আমাদের আর কোনো সুবিধা চাই না। তারপর তাঁরা ভাষণ দিতেন যে তাঁরা কিভাবে এই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছেন। একবার আমি সম্ভবত হাউসার জেলায় ছিলাম। তখন একটি ৮-১০ জনের গ্রুপ আসে আর তাদের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকার ফলে যেসব সুবিধা তাঁরা পেতেন তা তাঁরা সরকারকে সমর্পণ করেন। তারপর তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনান। সেটা কেমন ছিল? সেই জনজাতির মানুষেরা ভজন মন্দিরে বাজনা বাজানোর কাজ করতেন। সেখান থেকে তাঁরা ২ লক্ষ টাকা ঋণ পেয়েছিলেন। তখন তো মুদ্রা যোজনা ছিল না। কিন্তু গুজরাটে আমার সরকার একটি প্রকল্প চালু করেছিল। সেখান থেকে কিছু মানুষ কোনো একটা যন্ত্র বাজাতে শুরু করে। তাঁদের কিছুটা প্রশিক্ষণ হয়। এর ফলে, ১০-১২ জন মানুষের সুবিধা হয় যে তাঁরা এই বাজনা বাজানোর মতো একটি কোম্পানি তৈরি করে ফেলেন। আর বিবাহ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় গান-বাজনার জন্য তাঁরা ভাড়া খাটতেন। তাঁরা নিজেদের জন্য ইউনিফর্মও তৈরি করে। আর ধীরে ধীরে, ধীরে ধীরে তাঁরা অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।  প্রত্যেকেই মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা করে রোজগার করতে শুরু করেন। অর্থাৎ, ছোট ছোট জিনিস কত বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমি নিজের চোখের সামনে এরকম অনেক ঘটনা দেখেছি আর তা থেকে আমি যে প্রেরণা পেয়েছি, আপনাদের কাছ থেকে আমি যত প্রেরণা পাই, তাতে বুঝতে পারি যে দেশে এরকম শক্তি একটা নয় হয়তো অনেক রয়েছে। চলো আমরা এমন কিছু করি, দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ে তোলা যায়। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিস্থিতি ভালোভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে। এই মুদ্রা যোজনাও তার মধ্যে একটি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনাদের এই সাফল্য দেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, আর অনেক মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সেজন্য আপনাদের যত লাভ হবে, সমাজ আপনাদের যতটা দিয়েছে, আপনারাও ততটাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিয়ে যান। এরকম হওয়া উচিত নয় যে আমার অনেক টাকা হয়েছে, এখন অনেক মজা করেই কাটিয়ে দেব। কিছু না কিছু সমাজের জন্য করতে হবে। তবেই দেখবেন আপনার মন আনন্দ পাবে, সন্তুষ্ট হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই কথোপকথনের সময় একজন সুবিধাভোগী তেলুগু ভাষায় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন আর বাকিরা হিন্দিতে বলেছেন। এটির ভাবানুবাদ করা হয়েছে।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
GST cut-fueled festive fever saw one car sold every two seconds

Media Coverage

GST cut-fueled festive fever saw one car sold every two seconds
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Unstoppable wave of support as PM Modi addresses a rally in Sitamarhi, Bihar
November 08, 2025
NDA policies have transformed Bihar into a supplier of fish and aim to take makhana to world markets: PM Modi
PM Modi warns against Congress and RJD’s politics of appeasement and disrespect to faith
Ayodhya honours many traditions and those who disrespect it cannot serve Bihar: PM Modi’s sharp jibe at opposition in Sitamarhi
Congress-RJD protects infiltrators for vote bank politics and such policies threaten job security and women’s safety: PM Modi in Sitamarhi
PM Modi promised stronger action against infiltration and urges voters to back the NDA for security development and dignity in Sitamarhi

PM Modi addressed a large and enthusiastic gathering in Sitamarhi, Bihar, seeking blessings at the sacred land of Mata Sita and underlining the deep connection between faith and nation building. Recalling the events of November 8 2019, when he had prayed for a favourable Ayodhya judgment before inauguration duties the next day, he said today he had come to Sitamarhi to seek the people’s blessings for a Viksit Bihar. He reminded voters that this election will decide the future of Bihar’s youth and urged them to vote for progress.

The PM celebrated Bihar’s skill and craft and said he carries Bihar’s art to the world. He recalled gifting Madhubani paintings during visits abroad and at the G20. He said he is proud of Bihar’s artisans and wants Bihar’s products to reach new markets. He highlighted how policies of the NDA have turned Bihar from a state that once imported fish into a state that now supplies fish to other states. He said the aim is to take makhana to global markets so small farmers benefit.

PM Modi warned voters about the politics of appeasement practiced by some opposition leaders. He criticised those who have belittled Chhath and shown disrespect to major faith traditions. He noted that Ayodhya is not only the home of Ram but also of Valmiki Maharshi, Nishadraj and Mata Shabari, and said the politics that insults our faith cannot serve Bihar’s interests. He accused Congress-RJD of protecting infiltrators for vote bank politics and warned that such policies threaten job security and women’s safety. He asked the people whether it is not necessary to remove infiltrators and assured them that every vote for the NDA will strengthen action against infiltration.

PM’s concluding remarks combined faith pride, cultural pride and a clear call for votes that guarantee security, development and dignity for Bihar. The rally echoed with support and confidence for a future of growth and stability.