বনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের উদ্বোধন
বানাসকাঁথা’র জেলার দিওদরে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নতুন ডেইরি কমপ্লেক্স এবং আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে
পালানপুরের বনস ডেইরি প্ল্যান্টে পনির সামগ্রী এবং ছানা তৈরির পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত সুবিধা
গুজরাটের দামাতে তৈরি হয়েছে জৈব সার ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট
খিমানা, রতনপুরা – ভিলদি, রাধনপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
“গত কয়েক বছরে, বনস ডেইরি স্থানীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে কৃষক ও মহিলাদের ক্ষমতায়ণের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে”
“বানাসকাঁথা যেভাবে কৃষি ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে তা প্রশংসনীয়। কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, জল সংরক্ষণের উপর নজর দিয়েছে এবং এর ফলাফল সকলের দেখার মতো”
“বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজার বিদ্যালয়, ৪.৫ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১.৫ কোটি শিক্ষার্থীদের শক্তির একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে”
“আমি অংশীদারের মতো আপনাদের পাশে থাকব”

নমস্কার!

আপনারা সবাই আনন্দে আছেন তো! এখন আপনাদের কাছে একটু ক্ষমা চেয়ে নিয়ে শুরুতে কিছুটা হিন্দিতে বলবো। বলতে হবে কারণ, এই সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ ছিল যাতে আমি হিন্দিতে বলি, তাহলে তাঁদের সুবিধা হয়। তো আমিও ভাবলাম, পুরোটা না হলেও কিছুটা হলেও তাঁদের আব্দার মেনে নিই।

গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, মৃদুভাষী এবং কর্মঠ জননেতা শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি, সংসদে আমার বরিষ্ঠ সাথী ও গুজরাট প্রদেশ ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ শ্রী সি আর পাটিলজি, গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ভাই জগদীশ পাঞ্চাল, এই মাটির সুপুত্র শ্রী কীর্তি সিং বাঘেলা, শ্রী গজেন্দ্র সিং পরমার, উপস্থিত মাননীয় সাংসদ শ্রী পর্বত ভাই, শ্রী ভরত সিং দাভি, শ্রী দীনেশ ভাই অনাওয়াডিয়া, বনাস ডেয়ারির চেয়ারম্যান, প্রাণশক্তিতে ভরপুর আমার প্রিয় বন্ধু ভাই শঙ্কর চৌধরি, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, আমার ভাই ও বোনেরা!

মা নরেশ্বরী এবং মা অম্বাজির এই পবিত্র মাটিকে আমি শত শত প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকেও আমার প্রণাম। হয়তো জীবনে প্রথমবার এমন সুযোগ এসেছে যে, একসঙ্গে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ মা ও বোনেরা আজ এখানে আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, আমাদের সবাইকে আপনারা আশীর্বাদ দিচ্ছেন। যখন আপনারা আমাকে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী ওভরণা বা বলৈয়ার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিলেন, তখন আপনাদের মনের ভাবকে চেপে রাখতে পারছিলেন না। আপনাদের আশীর্বাদ, মা জগদম্বার ভূমির মা ও বোনেদের প্রত্যেকের আশীর্বাদ আমার জন্য একেকটি অমূল্য আশীর্বাদ, অমূল্য শক্তির উৎস, অমূল্য প্রাণশক্তির কেন্দ্র। আমি বনাসের সমস্ত মা ও বোনেদের সাদর প্রণাম জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

বিগত ১-২ ঘন্টায় আমি এখানে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। ডেয়ারি সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি, পশুপালক বোনেদের সঙ্গে আমার অনেক বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। এখানে যে নতুন ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে, নতুন আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছে, সেগুলিও ঘুরে দেখার সুযোগ আমি পেয়েছি। এই পুরো সময়ের মধ্যে আমি যা কিছু দেখেছি, যত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যত তথ্য আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দেখে-শুনে আমি অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছি। সেজন্য আমি বনাস ডেয়ারির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সাথীদের এবং আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভারতের গ্রামের অর্থ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে, মা ও বোনেদের ক্ষমতায়নের ওপর কিভাবে জোর দেওয়া যেতে পারে, কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট বা সমবায় আন্দোলন কিভাবে আত্মনির্ভর ভারতের অভিযানকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে – এই সবকিছু এখানে এলে প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করা যেতে পারে। কয়েক মাস আগে আমার নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র বারাণসীতে বনাস-কাশী ক্লাস্টারের শিলান্যাস করার সুযোগ হয়েছিল।

আমি বনাস ডেয়ারিকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। কারণ, আপনারা কাশীতে আমার লোকসভা এলাকায় গিয়ে সেখানকার কৃষকদের পরিষেবা প্রদান করেছেন, পশুপালকদের পরিষেবা প্রদান করেছেন। পশুপালকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য গুজরাটের মাটি থেকে বনাস ডেয়ারি যে সঙ্কল্প নিয়েছে আর এখন মূর্ত রূপে যে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে – এই সবকিছুর জন্য আমি কাশীর সাংসদ হিসেবে আপনাদের সকলের কাছে ঋণী। আমি আপনাদের সকলের কাছে ঋণী আর সেজন্য বিশেষ রূপে বনাস ডেয়ারিকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। আজ এখানে বনাস ডেয়ারি ক্লাস্টার আয়োজিত উদ্বোধন কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠতে পেরে আমার খুশি অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

ভাই ও বোনেরা,

আজ এখানে যা কিছু উদ্বোধন হচ্ছে, আর যত কিছুর জন্য শিলান্যাস করা হচ্ছে, সে সবকিছুই আমাদের পরম্পরাগত শক্তির ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ নির্মাণের উত্তম উদাহরণ হয়ে উঠবে। বনাস ডেয়ারি ক্লাস্টার চিজ এবং হোয়ে (whey) বা প্রোটিন গুঁড়োর প্ল্যান্ট। এই সবকিছুই তো ডেয়ারি ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বনাস ডেয়ারি এটাও প্রমাণ করেছে যে স্থানীয় কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য সম্পদেরও ব্যবহার করা যেতে পারে।

এখন বলুন, আলু এবং দুধের মধ্যে তো কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও সম্পর্ক আছে কী? কোনও মিল আছে কী? কিন্তু বনাস ডেয়ারি এই সম্পর্ক তৈরি করেছে। দুধ, ছাঁচ, দই, পনির, আইসক্রিমের পাশাপাশি আলু টিক্কি, আলু ভেজ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, হৈশ ব্রাউন, বার্গার, প্যাটিস-এর মতো পণ্যও বনাস ডেয়ারির কৃষকরা উৎপাদন করছেন আর তাঁদের পণ্যের চাহিদাও রয়েছে। এটা ভারতের লোকালকে গ্লোবাল করে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় প্রচেষ্টার সপক্ষে একটি খুব ভালো পদক্ষেপ।

বন্ধুগণ,

বনাসকাঁঠার মতো কম বর্ষা হয় এমন জেলার শক্তি হয়ে ওঠা কাঁকরেজ গরু, মেহসানি মোষ আর এখানে উৎপাদিত আলু কিভাবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, এই মডেল আজ বনাসকাঁঠাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি। বনাস ডেয়ারি তো কৃষকদের এই মাটির অনুকূল উচ্চ ফলনশীল আলুর ভালো বীজও বিতরণ করে আর আলু উৎপাদিত হলে তা খুব ভালো দামে কিনে নেয়। এর ফলে আলু চাষীদের কোটি কোটি টাকা রোজগারের একটি নতুন পথ খুলে গেছে, আর এই সুচিন্তিত মূল্য সংযোজন শুধু আলুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আমি প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্রমাগত ‘সুইট রেভোলিউশন’ বা মিষ্টি বিপ্লবের কথা বলে আসছি। মধু উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেছি। আমার এই আহ্বানও বনাস ডেয়ারি ঐকান্তিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। একথা জেনে আমার খুব ভালো লেগেছে যে বনাসকাঁঠার আরও একটি বড় শক্তি হল, এখানে উৎপাদিত বাদাম এবং সরষে নিয়েও ডেয়ারি খুব ভালো প্রকল্প তৈরি করেছে। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য সরকার যে অভিযান শুরু করেছে, তাকে শক্তিশালী করে তুলতে আপনাদের সংস্থা এখানে তেল উৎপাদনের যন্ত্রও স্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ দেশের তিল চাষীদের জন্যও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ।

ভাই ও বোনেরা,

আজ এখানে একটি বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্টেরও উদ্বোধন করা হয়েছে, আর চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের শিলান্যাস হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এ ধরনের অনেক প্ল্যান্ট বনাস ডেয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালু করতে চলেছে। আমি নিশ্চিত, এই উদ্যোগ আমাদের সরকারের ‘আবর্জনা থেকে সম্পদ’ উৎপাদনের অভিযানকে সাহায্য করবে। গোবরধনের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক লক্ষ্য পূরণের কাজ চলছে। একদিকে আমাদের গ্রামে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে এগুলির মাধ্যমে পশুপালকরাও গোবর বিক্রি করে রোজগার করছেন। তৃতীয়ত, গোবর থেকে বায়ো-সিএনজি এবং বিদ্যুৎও উৎপাদিত হচ্ছে, আর চতুর্থত, এই গোটা প্রক্রিয়া থেকে যে জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে তা কৃষকদের খুব কাজে লাগছে। এই সার ধরিত্রী মা-কে বাঁচানোর জন্য খুবই কাজে লাগছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা যখন বনাস ডেয়ারির মাধ্যমে গোটা দেশে পৌঁছবে, তখন নিশ্চিতভাবেই আমাদের গ্রামের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমাদের গ্রামগুলি আরও শক্তিশালী হবে, আমাদের বোন ও মেয়েরা আরও ক্ষমতায়িত হয়ে উঠবেন।

বন্ধুগণ,

গুজরাট আজ সাফল্যের যে উচ্চতায় রয়েছে, উন্নয়নের যে উচ্চতায় রয়েছে তা প্রত্যেক গুজরাটবাসীকে গর্বিত করছে। এই সাফল্যের নানা নিদর্শন, নানা অভিজ্ঞতা আমি গতকাল গান্ধীনগরের বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রে প্রত্যক্ষ করেছি ও অনুভব করেছি। গুজরাটের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিষ্টাচারসম্পন্ন করে তোলার জন্য এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র আজ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জন্য এত বড় প্রযুক্তির ব্যবহার এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র করছে যা বিশ্ববাসীর জন্য একটি অবাক বিস্ময়।

এমনিতে এই সেক্টরের সঙ্গে আমি আগে থেকেই যুক্ত রয়েছি, কিন্তু গুজরাট রাজ্য সরকারের নিমন্ত্রণে গতকাল আমি বিশেষভাবে গান্ধীনগরে এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রটি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের কাজের যে বিস্তার, প্রযুক্তির যে উন্নত ব্যবহার এখানে করা হচ্ছে, তা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র আজ গোটা ভারতকে নতুন দিশা দেখানোর মতো একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

আপনারা ভাবুন, আমার শুধুই এক ঘন্টার জন্য ওখানে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে গিয়ে সমস্ত কিছু দেখে, সেগুলি বুঝতে গিয়ে আমি এতই ডুবে গিয়েছিলাম যে এক ঘন্টার জায়গায় আমি সেখানে দুই-আড়াই ঘন্টা মগ্ন হয়ে দেখছিলাম। যতই দেখছিলাম, ততই আমার আরও দেখার ইচ্ছা বেড়ে যাচ্ছিল। আমি সেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অনেক বিস্তারিত আলাপ-আলোচনাও করেছি। অনেক শিশু ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকেও আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। দক্ষিণ গুজরাট, উত্তর গুজরাট, কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র – বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে কথা বলছিল।

আজ এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়কে যুক্ত করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের একটি জীবন্ত প্রাণশক্তির কেন্দ্র, একটি সজীব শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিসিস ইত্যাদি আধুনিক সুবিধায় সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে।

এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র প্রত্যেক বছর ৫০০ কোটি ডেটা সেট-এর বিশ্লেষণ করে। এগুলিতে অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট, প্রত্যেক সেশনের পরে পরীক্ষা, স্কুলের স্বীকৃতি, ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত নানা কর্মসূচি চলতে থাকে। গোটা রাজ্যের স্কুলগুলিতে এক ধরনের টাইম টেবিল, প্রশ্নপত্র, চেকিং – এইসব ক্ষেত্রেও এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। এই কেন্দ্রটির সক্রিয়তার কারণে আজ রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে এই আধুনিক কেন্দ্রটি  মডেল হয়ে উঠলে গোটা দেশে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং আধিকারিকদেরও বলব যে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রে এসে অবশ্যই এর সমস্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখুন, অধ্যয়ন করুন, বিভিন্ন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরা অবশ্যই গান্ধীনগরে আসুন। এই ব্যবস্থাকে জানুন, দেখুন, অধ্যয়ন করুন। এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের মতো আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যেন ভারতের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয় সেটা দেখতে হবে, তাহলেই ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

এখন আমার মনে হয়, আপনাদের সঙ্গে আমাদের বনাস ডেয়ারি নিয়ে কিছু কথা বলা উচিৎ। সবার আগে যখন বনাস ডেয়ারির সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছিলাম, এই বনাসের মাটিতে যখন প্রথমবার এসেছিলাম, তখন শ্রী গলবা কাকার উপস্থিতি আমাকে উজ্জীবিত করেছিল, অবলীলায় মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করতে বাধ্য করেছিল। আজ থেকে ৬০ বছর আগে এক কৃষকের সন্তান গলবা কাকা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এই গলবা কাকা বনাসকাঁঠার বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অঞ্চলকে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। সকলের প্রচেষ্টায় তাঁর এই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সেজন্য আমি এখানে এলেই সবার আগে গলবা কাকাকে সাদর প্রণাম জানাই।

তারপর আমি প্রণাম জানাই বনাসকাঁঠার মা ও বোনেদের, যাঁরা এখানে পশুপালনের কাজ করেন। তাঁদের কাজ আমি দেখেছি। আমার বনাসকাঁঠার মা ও বোনেরা বাড়িতে যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে সন্তান প্রতিপালন করেন, তার থেকেও বেশি দরদ দিয়ে তাঁরা নিজেদের পশুগুলিকে লালন-পালন করেন। যখন তাঁরা পশুগুলিকে খাবার যোগাতে পারেন না, জল যোগাতে পারেন না, তখন আমার বনাসকাঁঠার মা ও বোনেরা নিজেরাও জল খেতে দ্বিধাবোধ করেন। কখনও বিয়ের জন্য, কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ি ছেড়ে বাইরে যেতে হলে সমস্ত বনাসের মা ও বোনেরা আত্মীয়-স্বজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার মোহ ত্যাগ করে হলেও পশুদের কখনও একা ছেড়ে যান না। এই ত্যাগ ও তপস্যা আছে বলেই, এই মা ও বোনেদের তপস্যার পরিণামেই আজ বনাস এতটা পল্লবিত ও পুষ্পিত হয়েছে। সেজন্য আমি বনাসকাঁঠার মা ও বোনেদের আমার দ্বিতীয় প্রণাম জানাই আর তাঁদেরকে আন্তরিকভাবে প্রণাম জানাই।

করোনার সময়েও বনাস ডেয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। গলবা কাকার নামে এখানে একটি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে, আর আমার এই বনাস ডেয়ারিই প্রথম আলু নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছে, পশুদের নিয়ে ভেবেছে, দুধ নিয়ে ভেবেছে, গোবর নিয়ে ভেবেছে, মধু নিয়ে ভেবেছে, কারখানাকে প্রাণশক্তির কেন্দ্র করে তুলেছে, আর এখন শিশুদের শিক্ষণ নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে। এক প্রকার বনাস ডেয়ারি বনাসকাঁঠার কো-অপারিটিভ মুভমেন্ট বা সমবায় আন্দোলনকে সমগ্র বনাসকাঁঠার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কেন্দ্র করে তুলেছে। সেজন্য একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যবস্থা থাকতে হবে, আর বিগত ৭-৮ বছরে যেভাবে ডেয়ারি শিল্প বিস্তার লাভ করেছে, তাকে দক্ষভাবে সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধির কারণ হল,  যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও প্রায়ই এসে হাজির হতাম, আর এখন আপনারা আমাকে যখন দিল্লি পাঠিয়েছেন তখন তো আমি আপনাদের আর ছাড়ব না। আপনাদের সঙ্গে থেকে, আপনাদের সুখে-দুঃখে অংশগ্রহণ করেছি। আজ বনাস ডেয়ারি উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ওড়িশায় তাদের উপস্থিতি তুলে ধরেছে। সোমনাথের মাটি থেকে জগন্নাথের মাটি পর্যন্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও বনাস ডেয়ারি সেখানকার পশুপালকদের যে পরিষেবা প্রদান করছে তাতে তাঁদের অনেক লাভ হচ্ছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে আমাদের ভারত অন্যতম। যে দেশে আজ কোটি কোটি কৃষকদের জীবন-জীবিকা এখন দুধের ওপর নির্ভরশীল। এক বছরে অনেকবার পরিসংখ্যানের গ্রাফ উপরে উঠতে দেখে কিছু মানুষ অবাক হয়েছেন, অনেক বড় বড় অর্থনীতিবিদও আগে এদিকটায় লক্ষ্য দেননি। আমাদের দেশে বছরে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। এটি আমাদের দেশের গ্রামে গ্রামে ডি-সেন্ট্রালাইজড ইকনমিক সিস্টেম বা বিকেন্দ্রায়িত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উদাহরণ। এর মোকাবিলায় গম এবং চালের উৎপাদনও ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের। আজ এই মূল্যের থেকেও বেশি মূল্যের দুধ উৎপাদিত হয়। আজ ডেয়ারি ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি লাভবান হন যাঁরা দু’বিঘা, তিন বিঘা, পাঁচ বিঘা জমির মালিক।

রাজ্যে যখন বৃষ্টির কোনও দেখা নেই, জলের অভাব, তখন আমাদের কৃষক ভাইদের জীবন কঠিন হয়ে ওঠে। সেই সময় পশুপালন করে পরিবারের অন্ন সংস্থান করা অনেক কষ্টকর। এই বনাস ডেয়ারি এ ধরনের ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্পর্কে অনেক বড় চিন্তাভাবনা করেছে, আর ছোট ছোট কৃষকদের নিয়ে এই বড় চিন্তা, এই শিষ্টাচার নিয়ে তারা দিল্লি গিয়েছে। দিল্লিতেও আমি গোটা দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অনেক জবাবদিহিতার কাজ করেছি। আজ বছরে তিনবার দুই-দুই হাজার টাকা করে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করাচ্ছি। পূর্ববর্তী এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, দিল্লি থেকে এক টাকা বেরোলে সাধারণ মানুষের কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একথা বলতে পারেন নি যে দিল্লি থেকে টাকা বেরোলে ১০০ টাকায় ১০০ টাকাই যাঁদের কাছে পৌঁছনো উচিৎ, তাঁদের হাতে পৌঁছচ্ছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। এ ধরনের অনেক কাজ আজ যখন কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাট সরকার মিলেমিশে করছে, তখন গুজরাটের এই কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট এই সবকিছু সঙ্গে নিয়ে করছে। তখন আমি এইসব মুভমেন্টকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। তাদের জয় জয়কার হোক। একটু আগেই ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি অত্যন্ত চিন্তাপ্রসূত একটি কথা বলেছেন, তা হল জৈব চাষ নিয়ে। বনাসকাঁঠায় আরও একটি বিষয় যদি বোঝা যায়, তাহলে বনাসকাঁঠা কখনও কখনও সেই বিষয়টিকেও ছাড়ে না, এটাই আমার অভিজ্ঞতা।

জৈব চাষের ক্ষেত্রে গোড়াতে বেশি পরিশ্রম হয়। আমার মনে আছে, একটা সময় আন্দোলনকারীরা ‘বিজলী ছোড়ো বিজলী ছোড়ো’ বলে বলে ক্লান্ত হয়ে পড়তেন। বনাসের কেউ কেউ মনে করেন যে মোদী কিছু জানতেই পারেন না! আজ আমি বলি, হ্যাঁ! বিদ্যুৎ থেকে বেরিয়ে আসুন! আমার বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁরা অনেক কথাই বলবেন! কিন্তু বনাসের কৃষকরা যখন বুঝতে পেরেছেন তখন আমার থেকেও দশ কদম এগিয়ে গেছেন, আর জল বাঁচানোর অনেক বড় অভিযান শুরু করেন। বিন্দু বিন্দু জলের মাধ্যমে সেচের পদ্ধতিকে আপন করে নিচ্ছেন, আর আজ বনাসকাঁঠা কৃষির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার কাজ করছে। আজ আমার বনাসকাঁঠার জনগণ এই কাজ করছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মা নর্মদা যখন অবশেষে বনাসকাঁঠার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, তখন থেকে আপনারা এই জলের ঈশ্বরকে প্রসাদ মনে করেন, এই জলকে পরশপাথর মনে করেন। এবার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে বনাস জেলার কৃষকদের প্রতি অনুরোধ যে, এই জেলায় ৭৫টি বড় পুকুর খনন করুন। যাতে বনাসের এই শুকনো মাটিকে আরও আর্দ্র করে তোলা যায়। যে শুকনো মাটিতে তেমন কিছুই উৎপাদিত হত না, সেখানে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেই সেই জল গড়গড়িয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা করা। পুকুর খনন করলে এই জল গিয়ে পুকুরে জমা হবে। যদি এই কাজটা আপনারা করতে পারেন, শুরু করে দেন, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই মাটিও একদিন অমৃতময়ী হয়ে উঠবে। সেজন্য আপনাদের প্রতি আমার প্রত্যাশা যে জুন মাসের আগে, বর্ষা আসার আগে আগামী ২-৩ মাস ধরে জোরদার অভিযান চালান। ২০২৩ সালের ১৫ই আগস্টে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়ে এই এক বছরে বনাস জেলায় ন্যূনতম ৭৫টি পুকুর খনন যেন সম্পূর্ণ হয়, আর সেই পুকুরগুলি যেন জলে টইটম্বুর হয়ে থাকে। তাহলে আজ জলের কারণে যে ছোট-বড় সমস্যায় আপনারা ভোগেন, তা থেকে আপনারা বেরিয়ে আসতে পারবেন, আর এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সঙ্গী হয়ে উঠব। যেমন প্রত্যেক কৃষক আপনাদের একেকজন সঙ্গী, যারা খেতে কাজ করেন, তেমনই আমিও আপনাদের সঙ্গী। আর সেজন্য একজন সঙ্গী রূপে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চাই।

এখন তো আপনারা নডাবেট-কে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করে তুলেছেন। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলার উন্নয়ন কিভাবে হয়, ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে কিভাবে উন্নত করা যায়, প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলা যায়, তার উদাহরণ গুজরাট স্থাপন করেছে। কচ্ছ-এর সীমায় রান উৎসব গোটা কচ্ছ-এর সম্পূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলগুলিকে, সেখানকার গ্রামগুলিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে জীবন্ত করে তুলেছে। এখন নডাবেট-এ সীমান্ত দর্শনের কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের এই বনাস ও পাটন জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির জন্যও নতুন সুযোগ আসছে। এই পর্যটন বাড়লে এই গ্রামগুলিরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। দূরদুরান্তের গ্রামগুলিতেও নানা রকম কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। উন্নয়নের জন্য যত পথ হতে পারে, প্রকৃতির কোলে থেকে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতিতে কিভাবে পরিবর্তন আনা যেতে পারে, এটি তার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এটি আপনাদের সামনে রয়েছে। যখন আমি বনাসে গুজরাটের নাগরিকদের বা গোটা দেশের নাগরিকদেরকে এই অমূল্য রত্ন অর্পণ করতে চাইছি। এই সুযোগকে বনাস ডেয়ারি পছন্দ করেছে, গ্রহণ করেছে, আর সেজন্য আমিও বনাস ডেয়ারির কাছে কৃতজ্ঞ।

আপনারা সবাই আমার সঙ্গে দু’হাত ওপরে তুলে জোরে জোরে বলুন, আপনাদের আওয়াজ খুব উঁচু হওয়া উচিৎ।

ভারতমাতা কী, জয়!

ভারতমাতা কী, জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Why The SHANTI Bill Makes Modi Government’s Nuclear Energy Push Truly Futuristic

Media Coverage

Why The SHANTI Bill Makes Modi Government’s Nuclear Energy Push Truly Futuristic
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to visit Assam on 20-21 December
December 19, 2025
PM to inaugurate and lay the foundation stone of projects worth around Rs. 15,600 crore in Assam
PM to inaugurate New Terminal Building of Lokapriya Gopinath Bardoloi International Airport in Guwahati
Spread over nearly 1.4 lakh square metres, New Terminal Building is designed to handle up to 1.3 crore passengers annually
New Terminal Building draws inspiration from Assam’s biodiversity and cultural heritage under the theme “Bamboo Orchids”
PM to perform Bhoomipujan for Ammonia-Urea Fertilizer Project of Assam Valley Fertilizer and Chemical Company Limited at Namrup in Dibrugarh
Project to be built with an estimated investment of over Rs. 10,600 crore and help meet fertilizer requirements of Assam & neighbouring states and reduce import dependence
PM to pay tribute to martyrs at Swahid Smarak Kshetra in Boragaon, Guwahati

Prime Minister Shri Narendra Modi will undertake a visit to Assam on 20-21 December. On 20th December, at around 3 PM, Prime Minister will reach Guwahati, where he will undertake a walkthrough and inaugurate the New Terminal Building of Lokapriya Gopinath Bardoloi International Airport. He will also address the gathering on the occasion.

On 21st December, at around 9:45 AM, Prime Minister will pay tribute to martyrs at Swahid Smarak Kshetra in Boragaon, Guwahati. After that, he will travel to Namrup in Dibrugarh, Assam, where he will perform Bhoomi Pujan for the Ammonia-Urea Project of Assam Valley Fertilizer and Chemical Company Ltd. He will also address the gathering on the occasion.

On 20th December, Prime Minister will inaugurate the new terminal building of Lokapriya Gopinath Bardoloi International Airport in Guwahati, marking a transformative milestone in Assam’s connectivity, economic expansion and global engagement.

The newly completed Integrated New Terminal Building, spread over nearly 1.4 lakh square metres, is designed to handle up to 1.3 crore passengers annually, supported by major upgrades to the runway, airfield systems, aprons and taxiways.

India’s first nature-themed airport terminal, the airport’s design draws inspiration from Assam’s biodiversity and cultural heritage under the theme “Bamboo Orchids”. The terminal makes pioneering use of about 140 metric tonnes of locally sourced Northeast bamboo, complemented by Kaziranga-inspired green landscapes, japi motifs, the iconic rhino symbol and 57 orchid-inspired columns reflecting the Kopou flower. A unique “Sky Forest”, featuring nearly one lakh plants of indigenous species, offers arriving passengers an immersive, forest-like experience.

The terminal sets new benchmarks in passenger convenience and digital innovation. Features such as full-body scanners for fast, non-intrusive security screening, DigiYatra-enabled contactless travel, automated baggage handling, fast-track immigration and AI-driven airport operations ensure seamless, secure and efficient journeys.

On 21st December morning before heading to Namrup, Prime Minister will also visit the Swahid Smarak Kshetra to pay homage to the martyrs of the historic Assam Movement, a six-year-long people’s movement that embodied the collective resolve for a foreigner-free Assam and the protection of the State’s identity.

Later in the day, Prime Minister will perform Bhoomipujan of the new brownfield Ammonia-Urea Fertilizer Project at Namrup, in Dibrugarh, Assam, within the existing premises of Brahmaputra Valley Fertilizer Corporation Limited (BVFCL).

Furthering Prime Minister’s vision of Farmers’ Welfare, the project, with an estimated investment of over Rs. 10,600 crore, will meet fertilizer requirements of Assam and neighbouring states, reduce import dependence, generate substantial employment and catalyse regional economic development. It stands as a cornerstone of industrial revival and farmer welfare.