বন্ধুগণ,
আপনারা সবাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা নিজেরা করোনা পজিটিভ হয়েও তাঁদের জেলায় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কাজ করে গেছেন। এর ফলে জেলার অন্যান্য কর্মীরাও উৎসাহিত হয়েছেন এবং অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন অনেকে আছেন যাঁরা অনেকদিন বাড়িতেও যেতে পারেননি। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। অনেকে তাঁদের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের, তাঁদের নিকটজনদেরও হারিয়েছেন। এই ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের মধ্যেও আপনারা নিজেদের দায়িত্বকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আজ একটু আগে আপনাদের মধ্যে থেকে অনেক বন্ধুর কথা শোনার সুযোগ পেয়েছি। যাই হোক, আমার সামনে অনেকেই রয়েছেন। সেজন্য সবার কথা শোনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু, আমি নিশ্চিত যে প্রত্যেকেরই নতুন কিছু বলার ছিল। অনেক উদ্ভাবক ভাবনা, যা তাঁরা সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়ে নিজের মতো করে সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। আর সাফল্যের জন্য এটাই সবচাইতে বড় উপায়। আপনি মূল ধারণাটিকে কতটা স্থানীয় পরিবেশ অনুযায়ী পরিস্থিতি মোকাবিলার উপযোগী করে তুলতে পারেন! অনেকেই অসাধারণ ও অভিনব পদ্ধতিতে কাজ করেছেন। যাঁরা আজ বলার সুযোগ পাননি, তাঁদের অনেকের কাছেও অনেক কিছু বলার থাকবে। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ জানাই, আপনি যদি মনে করেন আপনি যা করেছেন ভালো করেছেন, ভালোভাবে করেছেন, নির্দ্বিধায়, দয়া করে আমার কাছে লিখে পাঠান। আমি আপনার অভিনব ভাবনাকে কিভাবে অন্যান্য জেলার উপযোগী করে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে অবশ্যই ভাববো। কারণ আপনার পরিশ্রম, আপনার উদ্ভাবনও দেশের কাজে লাগতে হবে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আজ যত উপায় আমার সামনে এসেছে, এরকম আরও অনেক উপায় রয়েছে যা আমাদের কাজে লাগবে। আর সেজন্য আমি আপনাদের চিঠির অপেক্ষা করব। আপনারা অবশ্যই আমাকে মেসেজ পাঠাবেন, শেয়ার করবেন, আপনাদের প্রত্যেকের প্রচেষ্টাকে আমি প্রভূত প্রশংসা জানাই।


বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে যত জেলা আছে ততই ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জও আছে। একভাবে প্রত্যেক জেলার নিজস্ব অভিনব সমস্যা রয়েছে। আপনারা নিজের জেলার সমস্যাগুলিকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন। আর সেজন্য যখন আপনাদের জেলা জয়লাভ করে, এর অর্থ দেশও জয়লাভ করে। যখন আপনাদের জেলা করোনাকে পরাভূত করে, তখন দেশও করোনাকে পরাভূত করে। সেজন্য জেলার মেজাজ গ্রামে গ্রামে বার্তারূপে ছড়িয়ে দিন। আমাদের গ্রামগুলিকে করোনামুক্ত রাখব। আমাদের গ্রামে করোনাকে ঢুকতেই দেব না। এটা যদি গ্রামের মানুষেরা সঙ্কল্প হিসেবে নেন, তাহলে তাঁরা কিভাবে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না। গতবার যখন এরকম সমস্যা হয়েছিল, তখন আমাদের গ্রামগুলিতে এমন সব অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল যা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। আমরাও জানতাম না যে কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করব। তবুও আমরা গ্রামের কৃষিক্ষেত্রগুলির জন্য কোনও লকডাউন জারি করিনি। আর মজার বিষয় হল, কৃষিক্ষেত্রগুলিতে গ্রামের মানুষেরা কাজ করতেন আর কাজের সময় তাঁরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতেন। আপনাদের হয়তো মনে আছে, গতবার আমাদের গ্রামগুলিতে কত দ্রুত এই প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছিল। গ্রামের মানুষ কত সচেতনভাবে প্রয়োজন অনুসারে নিজের মতো করে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আমি দেখেছি, আমাদের গ্রামের এই শক্তি আছে। আজও অনেক গ্রামে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। গ্রামে প্রয়োজনের জন্য দু-একজন বাইরে যান, সকলের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ফিরে গ্রামে তা বন্টন করেন। আর, গ্রামে কোনও অতিথিও যদি আসেন, তাঁকে আগে গ্রামের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। গ্রামগুলির নিজস্ব একটি শক্তি রয়েছে। সেই শক্তির নিজস্ব উপযোগীতা রয়েছে। আর আমি বন্ধুদেরকে বলতে চাইব করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আপনারা প্রত্যেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আপনারা একভাবে প্রত্যেকেই এই লড়াইয়ের ‘ফিল্ড কম্যান্ডার’। যুদ্ধের সময় ফিল্ড কম্যান্ডাররাই সমস্ত পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেন, তৃণমূলস্তরে সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং পরিস্থিতি অনুসারে সিদ্ধান্ত নেন। আপনারা সবাই ভারতের এই লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ড কম্যান্ডার রূপে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের অস্ত্র কী? আমাদের অস্ত্র হল – ‘লোকাল কন্টেনমেন্ট জোনস, অ্যাগ্রেসিভ টেস্টিং’ আর সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক এবং সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরা। হাসপাতালগুলিতে কত শয্যা রয়েছে, কোথায় কোথায় রয়েছে, এই তথ্য সহজভাবে পাওয়া গেলে মানুষের সুবিধা হয়। এভাবে কালোবাজারিকেও লাগাম পরানো যায়। এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অগ্রভাগে থাকা যোদ্ধাদের নীতিবোধকে ওপরে রেখে তাঁদেরকে উদ্দীপ্ত করতে হবে। একজন ফিল্ড কম্যান্ডার রূপে আপনাদের এই প্রচেষ্টা গোটা জেলাকে শক্তিশালী করে তুলবে। অগ্রণী যোদ্ধারা সব সময় আপনার সাহস ও কর্মদক্ষতা থেকে প্রেরণা পাবেন, তাঁদের ভরসা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমি আপনাদেরকে আরেকটি কথা বলতে চাই। কারণ আপনারা যদি মনে করেন সরকার প্রণীত কোনও নীতি জেলাস্তরে বাস্তবায়িত করতে কোনও উদ্ভাবনের প্রয়োজন রয়েছে আর সেই উদ্ভাবনের মাধ্যমে নীতি প্রণয়নে সুবিধা হবে, তাহলে আপনাদের সম্পূর্ণ ছাড় রয়েছে। তা অবশ্যই করবেন। যদি এই উদ্ভাবন আপনাদের জেলার স্থানীয় প্রয়োজনের উপযোগী হয়, তাহলে সেই হিসেবেই করবেন। যদি আপনাদের মনে হয় আপনার উদ্ভাবন গোটা রাজ্যের জন্য বা গোটা দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে, তাহলে সেটাকে সরকারের কাছে পৌঁছে দিন। যদি আপনাদের অভিজ্ঞতা থেকে দ্রুত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নিরিখে যে নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে কোনও সংস্কারের প্রয়োজন হয়, সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়াও অবশ্যই সরকারের কাছে পৌঁছে দিন। নিঃসঙ্কোচে পৌঁছে দিন। কারণ এই লড়াই এমনই যেখানে আমাদের প্রত্যেককে মিলেমিশে ভাবতে হবে, প্রত্যেককে মিলেমিশে নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসতে হবে; তবেই গিয়ে আমরা কিছু করতে পারবো!
আপনাদের জেলার সাফল্য বাকি জেলাগুলির জন্য একটা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। তাঁদেরও সাহায্য হতে পারে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেভাবে ভালো ফল পাওয়া যায় সেটাকেই আমাদের রপ্ত করে ফেলতে হবে। আপনাদের অনেক সহকর্মী ও বন্ধু এমন জেলায় হয়তো রয়েছেন যেখানে করোনা সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার পর এখন তার প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে। আপনাদের অনেক বন্ধু বা সহকর্মী হয়তো এমন জেলায় রয়েছেন, তাঁদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনারা নিজের জেলায় নিজের মতো করে রণনীতি তৈরি করতে পারেন। আর, সেই পদ্ধতি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও সফল করে তুলবে।
বন্ধুগণ,
এই সময় অনেক রাজ্যে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান ক্রমহ্রাসমান। অনেক রাজ্যে ক্রমবর্ধমান। বন্ধুগণ, যেখানে ক্রমহ্রাসমান, সেখানে আমাদের বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। বিগত এক বছর ধরে প্রায় প্রত্যেক বৈঠকে আমি এই অনুরোধ জানিয়ে আসছি যে আমাদের লড়াই প্রত্যেক জীবন বাঁচানোর লড়াই। প্রত্যেকের জীবন বাঁচাতে হবে। আমাদের দায়িত্ব সংক্রমণ ছড়ানোকেও রুখতে হবে। আর এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা সংক্রমণের মাত্রা সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারব। ‘টেস্টিং, ট্র্যাকিং, আইসোলেশন, ট্রিটমেন্ট’ এবং কোভিড আদর্শ আচরণবিধি অনুসরণেও ধারাবাহিকভাবে জোর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন গ্রামীণ এবং দুর্গম অঞ্চলগুলির দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের অঞ্চলে থাকার অভিজ্ঞতা, আপনাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতায় অনেক প্রভাব ফেলবে। আমাদের গ্রামে গ্রামে সচেতনতা বাড়াতে হবে আর তাঁদের কোভিড চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ আর সম্পদের সীমাবদ্ধতার মাঝে জনগণের প্রত্যাশার যথোচিত সমাধান করাই আমাদের সবচাইতে বড় অগ্রাধিকার। সমস্ত সমস্যার মাঝে সমাজের সব থেকে প্রান্তিক ব্যক্তির চেহারা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আপনারা যদি এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন যাতে সেই প্রান্তিক মানুষটির কষ্ট দূর হয়, তাহলে দেখবেন সেই ব্যবস্থা নিজে থেকেই অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এই বিশাল সংখ্যক প্রান্তিক মানুষদের কাছে যখন প্রশাসনের একজন ব্যক্তিও পৌঁছন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তাঁদের কথা শোনেন, তা থেকে গোটা ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের মনে অনেক বড় বিশ্বাস জাগে। এতে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যেমন আমরা দেখি, যখন হোম আইসোলেশনে থাকা পরিবারের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অক্সিমিটার নিয়ে কেউ যান, ওষুধ নিয়ে যান, তাঁদের খোঁজখবর নেন, তখন সেই পরিবারগুলি এমন মানসিক জোর পায়, তাঁরা অনুভব করেন যে আমরা একা নই।
বন্ধুগণ,
কোভিড ছাড়া আপনাদের জেলার প্রত্যেক নাগরিকের ‘ইজ অফ লিভিং’ও সুনিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সংক্রমণও প্রতিরোধ করতে হবে, আবার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যবস্থাকেও অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্টের জন্যও যে ধরনের নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে, সেগুলি পালন করতে হবে। আর সেগুলি পালন করার সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে যাতে গরীবদের সবচাইতে কম কষ্ট হয়। কোনও নাগরিক যেন সমস্যায় না পড়েন।
বন্ধুগণ,
পিএম কেয়ার্স-এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। অনেক হাসপাতালে এই প্ল্যান্টগুলি অক্সিজেন উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। যেমনটি একটু আগে আমরা চণ্ডীগড়ের কাছ থেকে শুনলাম তাঁরা কতটা উপকৃত হয়েছেন। আর সেজন্য আমার আপনাদের প্রত্যেকের প্রতি অনুরোধ, প্রত্যেকেই এই প্ল্যান্ট অ্যালট হওয়ার আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখবেন, যাতে টাকা পেলেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট দ্রুতগতিতে গড়ে ওঠে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন মনিটরিং কমিটি যত ভালোভাবে কাজ করবে, তত সুন্দরভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাপনা করা যাবে।
বন্ধুগণ,
টিকাকরণ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী মাধ্যম। সেজন্য আমাদের সবাইকে মিলে এর সঙ্গে জড়িত সমস্ত ভ্রম দূর করতে হবে। করোনার টিকা সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। টিকাকরণ সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়াকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়মিতভাবে সুনিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে যাতে আগামী ১৫ দিনের প্রয়োজনীয় টিকা প্রত্যেক রাজ্যকে অগ্রিম দেওয়া যায়। এর ফলে আপনারাও জানতে পারবেন যে আপনার জেলায় কতজনের জন্য টিকা দেওয়া সম্ভব আর আপনারা কোন হিসেবে প্রস্তুতি নেবেন। টিকার অপচয় রোধ করতে জেলাস্তরে সঠিক ব্যবস্থাপনার ভূমিকা সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন। আপনাদের সহযোগিতায় টিকা অপচয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হতে পারে। শুধু তাই নয়, ‘অপ্টিমাম ইউটিলাইজেশন’-এর লক্ষ্যে আমরা সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি।
বন্ধুগণ,
এই সময় একজন প্রশাসকের পাশাপাশি একজন মানবসম্পদ এবং ‘লজিস্টিক্স ম্যানেজার’ রূপে আপনাদের ভূমিকারও পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখা ছাড়াও আপনার জেলায় অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহ যেন পর্যাপ্ত থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সামনে বর্ষার ঋতু আসছে। আমরা জানি বর্ষা ঋতুতে দৈনন্দিন সরকারি প্রস্তুতি জুন মাসের আগেই নিতে হয়। আপনাদের নজর থাকে আবহাওয়ার দিকে। কতটা বৃষ্টিপাত হবে, কী কী করতে হবে - সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। এবারও বর্ষা ঋতু আসতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষার যত সমস্যাগুলি আছে, যত চ্যালেঞ্জ আপনাদের নিতে হবে, তার অতিরিক্ত কাজের বোঝাও রয়েছে। নানারকম দায়িত্ব রয়েছে। সেজন্য আপনাদের অত্যন্ত দ্রুত নিজেদের প্রয়োজনের ম্যাপিং করতে হবে আর সেই অনুসারে ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন অনেক সময় ভারী বর্ষণে বিদ্যুৎ চলে যায় আর অনেক হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে এই বিপর্যয়ের সময়ে অনেক বড় সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হবে। কাজেই এই বিষয়গুলি আপনাদের মাথায় রাখতে হবে। অনেক বড় সঙ্কট, কিন্তু আমাদের সাহস ও উদ্যম তার থেকেও বড়। আমাদের প্রতিক্রিয়াও ‘ন ভূতোঁ ন ভবিষ্যতী’ … এরকমই হওয়া উচিৎ। এই সাহস ও সঙ্কল্পের সঙ্গে, এই প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও সঙ্কল্পের সঙ্গে আমরা দেশকে এই সঙ্কট থেকে বের করে আনব। এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের যে অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারব তাও ভবিষ্যতে আপনাদের এবং দেশের অনেক কাজে লাগবে। এই অভিজ্ঞতাগুলির সঠিক ব্যবহার করে আপনারা ভবিষ্যতেও দেশের বড় সেবা করতে পারবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের দক্ষ নেতৃত্বে, আপনাদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ভারত করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ বিভিন্ন রাজ্য এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীরাও সময় বের করে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। যখন এই কর্মসূচি রচিত হচ্ছিল তখন মনে হয়েছিল যে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই, তাঁদেরকে ব্যস্ত করার কোনও দরকার নেই কারণ, জেলার সমস্যা সম্পর্কে জেলাশাসকরাই তো সবচাইতে ভালো জানেন। কিন্তু এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে অনেক মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সেজন্য তাঁদেরকে স্বাগত জানাই। আমি সমস্ত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই আর মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশে আপনারা সবাই জেলার গোটা টিমকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশ্বাস ও সঙ্কল্পের সঙ্গে প্রতিটি গ্রামকে করোনা থেকে বাঁচাবেন। এই মন্ত্র নিয়ে আপনারা এগিয়ে যাবেন, আর দ্রুতগতিতে যাতে ‘রিকভারি রেট’ বৃদ্ধি পায়, দ্রুতগতিতে যাতে ‘নেগেটিভ’ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, দ্রুতগতিতে টেস্টের সংখ্যা বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এগুলিতে জোর দিয়ে সাফল্যের লক্ষ্যে আমরা কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখব না, কোনও ধরনের প্রয়োগ করতে পিছিয়ে থাকব না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমি যাঁদের কাছ থেকে শুনলাম, তাঁরা প্রত্যেকেই একটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, নতুন নতুন পদ্ধতির কথা বলেছেন – এই সমস্ত বিষয় নিজে থেকেই একটা বড় বিশ্বাস গড়ে তোলে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর এটা অত্যন্ত বড় দায়িত্ব। আপনারা ফিল্ডে কাজ করছেন। নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। নিজেদের পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন আর আপনারা যে অঞ্চলকে সামলাচ্ছেন সেখানকার প্রত্যেক নাগরিকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনাদের নেতৃত্ব যেন সুফলদায়ক হয় এই আশা নিয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের সহযোগিতায় সাফল্য আসবেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।