Quote“বর্তমান সময়কালে খেলোয়াড়দের মনোবল এখন তুঙ্গে, প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনও রয়েছে অনেক উন্নত অবস্থায় এবং দেশে খেলাধূলার পরিবেশও যথেষ্ট অনুকূল”
Quote“লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ভারতীয় ত্রিবর্ণ পতাকাকে উত্তোলিত দেখা এবং জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি মনোযোগ দেওয়া”
Quote“ভারতীয় অ্যাথলিটরা এমন এক সময়ে কমনওয়েলথ গেমস-এ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষটি উদযাপিত হচ্ছে দেশের সর্বত্র”
Quote“অ্যাথলিটরা সকলেই খুব ভালোভাবেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ক্রীড়া সম্পর্কিত বিশ্বমানের সেরা সুযোগ-সুবিধা তাঁদের জন্য রয়েছে”
Quote“যে সাফল্য তাঁরা এ পর্যন্ত অর্জন করেছেন তা নিশ্চয়ই উৎসাহব্যঞ্জক, কিন্তু তাঁদের সকলের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করে দেশ ও দেশবাসীর মুখ আরও উজ্জ্বল করে তোলা”

তাঁদের সঙ্গে কথা বলার আগে আমি কিছু বলতে চাই।

বন্ধুগণ,

আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। আরও বেশি ভালো লাগতো যদি আপনাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে পারতাম। তবে, আপনাদের মধ্যে অনেকেই এখন দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। অন্যদিকে, আমিও সংসদের অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত।

বন্ধুগণ,

আজ ২০ জুলাই, বিশ্ব ক্রীড়া ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো অবগত যে, আজ আন্তর্জাতিক দাবা দিবস। কমনওয়েলথ গেমস্‌ বার্মিংহামে ২৮ জুলাই শুরু হবে এবং একই দিনে তামিলনাডুর মহাবলিপুরমে শুরু হবে দাবা অলিম্পিয়ার্ড প্রতিযোগিতা। আগামী ১০-১৫ দিন ধরে বিশ্ব ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিভা দেখানোর জন্য ভারতীয় খেলোয়াড়দের কাছে এ এক সুবর্ণ সুযোগ। আমি দেশের প্রত্যেক ক্রীড়াবিদকে শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

দেশের অনেক অ্যাথলিটরাই বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত নিয়ে এসেছেন। এবারও সব ক্রীড়াবিদ ও তাঁদের প্রশিক্ষকদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে। ইতিমধ্যেই যাঁদের কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার আরও একবার সুযোগ এসেছে। আমি নিশ্চিত এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো যে ৬৫ জনেরও বেশি অ্যাথলিট অংশ নিচ্ছেন, তাঁরা তাঁদের ক্রীড়া নৈপুণ্যের ছাপ ফেলবেন। কিভাবে খেলতে হবে, সে বিষয়ে আপনাদের সকলেই অবগত রয়েছেন। আমি আপনাদের বলতে চাই, কোনও উদ্বেগ ছাড়া নিজেদের সেরাটুকু দিয়ে খেলবেন।

আপনারা নিশ্চয়ই সেই পুরনো প্রবাদটি শুনেছেন যে, আপনাকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ সেখানে নেই, তা হলে আপনার চিন্তা কিসের? আপনাকে সেখানে যেতে হবে এবং খেলতে হবে। আমি আর কোনও উপদেশ দিতে চাই না। চলুন, আলোচনা শুরু করি। প্রথমে কার সঙ্গে কথা বলবো আমি?

উপস্থাপক: অবিনাশ সাবলে, মহারাষ্ট্র থেকে আসা একজন অ্যাথলিট।

প্রধানমন্ত্রী: অবিনাশ, নমস্কার!

অবিনাশ সাবলে: জয়হিন্দ, স্যর, আমি অবিনাশ সাবলে, কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ ৩ হাজার মিটার প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবোও।

প্রধানমন্ত্রী: অবিনাশ, আমাকে বলা হয়েছে যে, আপনি একজন সেনাকর্মী এবং সিয়াচেনে কর্মরত। প্রথমেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হয়ে হিমালয়ে আপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিন আমার সঙ্গে।

অবিনাশ সাবলে: মহাশয়, আমি মহারাষ্ট্রের একটি ছোট জেলার বাসিন্দা। ২০১২ সালে আমি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিই। চার বছর আমি সেনাবাহিনীতে নিয়মিত কাজ করেছি। এই সময়ে আমি শিখেছি অনেক কিছু। এই চার বছরের মধ্যে ন’মাস ছিল অত্যন্ত কঠিন প্রশিক্ষণের সময়, যা আমাকে দৃঢ় করেছে। আমি মনে করি, এই প্রশিক্ষণের জন্যই আমি যে কোনও ক্ষেত্রে ভালো কাজ করতে পারবো। আমাকে কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ পাঠানোর জন্য সেনাবাহিনীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সেনা বাহিনীর নিয়মানুবর্তিতা এবং কঠিন অঞ্চল আমার কর্মস্থল হওয়ায় আমি নানাভাবে উপকৃত হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী: অবিনাশ, আমি শুনেছি যে, আপনি সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরই স্টিপলস্‌ চেজ নির্বাচন করেছেন। সিয়াচেন এবং স্টিপলস্‌ চেসের মধ্যে কি কোনও যোগাযোগ রয়েছে?

অবিনাশ সাবলে: হ্যাঁ, স্যর, স্টিপলস্‌ চেজের মতো এরকম বাধাবিঘ্ন সম্পর্কিত নানা প্রশিক্ষণ সেনাবাহিনীতেও আমি নিয়েছি। স্টিপলস্‌ চেজে বেশ কিছু বাধা পেরোতে ও জলের ওপর দিয়ে লাফাতে হয়। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণেও আমাদের এ ধরনের নানা বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। তাই, আমি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের পর এই স্টিপলস্‌ চেজকে অনেকটাই সহজ বলে মনে করেছি।

প্রধানমন্ত্রী: অবিনাশ, আমায় একটা কথা বলুন, এর আগে আপনার ওজন বেশি ছিল, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আপনার ওজন কমিয়েছেন। আমি আজ দেখতে পাচ্ছি, আপনি যথেষ্ট রোগা। আমি এটাও খেয়াল করেছি যে, নীরজ চোপরাও খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের ওজন কমিয়েছিলেন। কিভাবে আপনি ওজন কমিয়েছেন, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। তা হলে ক্রীড়া জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিশেষ উপকার হবে।

অবিনাশ সাবলে: স্যর, আমি যখন সেনাবাহিনীর কর্মী ছিলাম, তখন আমার ওজন বেশি ছিল। সেই সময়েই আমি খেলাধূলায় যোগদানের চিন্তা করি। আমার ইউনিট এবং সেনাবাহিনী খেলাধূলার জগতে আসতে আমায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দৌড়ানোর জন্য আমার ওজন ছিল খুব বেশি। প্রায় ৭৪ কেজি ওজন নিয়ে আমি অত্যন্ত চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু, সেনাবাহিনী আমায় সাহায্য করেছে এবং প্রশিক্ষণের জন্য অতিরিক্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। ৩-৪ মাসের মধ্যেই আমি ওজন কমাতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী: আপনি কতটা ওজন কমিয়েছেন?

অবিনাশ সাবলে: স্যর, আমার ওজন এখন ৫৩ কেজি। এর আগে ছিল ৭৪ কেজি। আমি প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী: ওহ্‌, সত্যিই আপনি অনেকটা ওজন কমিয়েছেন অবিনাশ। প্রত্যেক সময়েই প্রতিযোগিতা নতুন হয়। তাই, এর পুরনো কোনও হার-জিতের বোঝা খেলার জগৎ বয়ে বেড়ায় না। এটি আমার খুব ভালো লাগে। আপনি আমায় বললেন যে, আপনি প্রস্তুত। আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। দেশের সব মানুষ আপনার সঙ্গে রয়েছেন। সম্পূর্ণ স্ফূর্তি নিয়ে খেলবেন। এবারে আমরা কার সঙ্গে কথা বলবো?

উপস্থাপক: পশ্চিমবঙ্গের অচিন্ত্য শিউলি, তিনি একজন ভারোত্তলক।

প্রধানমন্ত্রী: অচিন্ত্যজী নমস্কার!

অচিন্ত্য শিউলি: নমস্কার স্যর, আমি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি।

প্রধানমন্ত্রী: আমাকে আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন।

অচিন্ত্য শিউলি: স্যর, আমি ৭৩ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।

প্রধ্নানমন্ত্রী: অচিন্ত্য, সকলে বলেন, আপনি খুব শান্তশিষ্ট! আপনার খেলায় অনেকটা শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তি ও শান্তি – এই দুয়ের মধ্যে কি করে মেলবন্ধন ঘটালেন আপনি?

অচিন্ত্য শিউলি: স্যর, আমি যোগাভ্যাস করি। এর ফলশ্রুতিতেই আমার মন শান্ত। কিন্তু, প্রশিক্ষণের সময় আমি সম্পূর্ণ স্ফূর্তি নিয়ে অংশ নিই।

প্রধানমন্ত্রী: অচিন্ত্য, আপনি কি নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন?

অচিন্ত্য শিউলি: হ্যাঁ, স্যর, কিন্তু কখনও কখনও করতেও পারি না।

প্রধানমন্ত্রী: আপনার পরিবারে কে কে আছেন?

অচিন্ত্য শিউলি: আমার মা এবং দাদা মহাশয়।

প্রধানমন্ত্রী: আপনার পরিবারের সমর্থন কি আপনি পান?

অচিন্ত্য শিউলি: হ্যাঁ, স্যর, আমার পরিবারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমার প্রতি। তাঁরা আমাকে আরও ভালো ফল করতে উৎসাহ দেন। প্রতিদিন আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। সর্বদাই তাঁদের সমর্থন রয়েছে মহাশয়।

প্রধানমন্ত্রী: কিন্তু, আপনার মা নিশ্চয়ই আপনার চোট-আঘাত নিয়ে চিন্তিত? ভারোত্তলনের সময় সর্বদাই চোট-আঘাতের একটা সম্ভাবনা থাকে।

অচিন্ত্য শিউলি: না, স্যর, চোট-আঘাত তো সাধারণ বিষয়। তাই, আমি যখন এই সমস্যায় ভুগি, তখন তাতে গুরুত্ব না দিয়ে চিন্তা করি, আমার কোন ভুলের জন্য এই আঘাত লাগলো। এরপর, আমি নিজেকে সংশোধন করি। ধীরে ধীরে চোট-আঘাত অতীতের ঘটনা হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী: অচিন্ত্য, আমাকে বলা হয়েছে, আপনি সিনেমার ভক্ত। আপনি কি সিনেমা দেখেন? আপনার প্রশিক্ষণের পর যথেষ্ট সময় পান?  

অচিন্ত্য শিউলি: হ্যাঁ, মহাশয়। আমি খুব বেশি সময় পাই না। কিন্তু, যখনই একটু সময় পাই, তখনই সিনেমা দেখি স্যর।

প্রধানমন্ত্রী: এর মানে আপনি পদক নিয়ে ফেরার পরই সিনেমা দেখতে শুরু করবেন?  

অচিন্ত্য শিউলি: না, না, মহাশয়।

প্রধানমন্ত্রী: আচ্ছা, আপনার প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইলো। আপনার পরিবারকেও জানাই ধন্যবাদ। বিশেষ করে, আপনার মা ও দাদার ভূমিকা প্রশংসনীয়। কারণ, তাঁরা আপনার প্রস্তুতিতে কোনও অসুবিধা হতে দেননি। আমি জানি, একজন ক্রীড়াবিদের সঙ্গে তাঁর পুরো পরিবারেরও অনেক বড় ভূমিকা থাকে। কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ আপনার সেরাটুকু নিংড়ে দেবেন। আপনার মা ও দেশবাসীর আশীর্বাদ আপনার সঙ্গে রয়েছে। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা অচিন্ত্য।

অচিন্ত্য শিউলি: ধন্যবাদ, স্যর।

উপস্থাপক: স্যর, কেরল থেকে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ত্রিসা জলি।

ত্রিসা জলি: সুপ্রভাত স্যর। আমি ত্রিসা জলি ২০২০-র কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ অংশ নিয়েছিলাম।  

প্রধানমন্ত্রী: ত্রিসা, আপনি কন্নৌড় জেলার বাসিন্দা। সেখানে কৃষি ও ফুটবল উভয়ই ব্যাপক জনপ্রিয়। ব্যাডমিন্টন খেলায় আসতে আপনাকে অনুপ্রেরণা দিলেন কে?

ত্রিসা জলি: স্যর, আমার বাবা আমাকে খেলাধূলায় উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমার শহরের ভলিবল ও ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু, ৫ বছর বয়সে খেলার জন্য ব্যাডমিন্টন ছিল বেশি সহজ।

প্রধানমন্ত্রী: ত্রিসা, আমাকে বলা হয়েছে যে, আপনি এবং গায়েত্রী গোপঁচাঁদ দু’জনেই খুব ভালো বন্ধু এবং ডবলস্‌-এর সহযোগী। আমাকে আপনাদের বন্ধুত্ব ও ক্রীড়া জগতে সহযোগিতার বিষয়ে বলুন।

ত্রিসা জলি: স্যর, আমার গায়েত্রীর সঙ্গে ভালো তালমিল রয়েছে। আমরা ডবলস্‌-এ সেরা জুটি। আমার মনে হয়, খেলার সময় আপনার সহ-খেলোয়াড়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।  

প্রধানমন্ত্রী: আচ্ছা ত্রিসা, ফিরে এসে সাফল্য উদযাপনের জন্য আপনি ও গায়েত্রী কি পরিকল্পনা নিয়েছেন?

ত্রিসা জলি: আমরা যদি পদক পাই, তা হলে অবশ্যই আনন্দ উদযাপন করবো। তবে, এখনই আমি বলতে পারবো না যে, আমরা কিভাবে আনন্দ উদযাপন করবো।

প্রধানমন্ত্রী: পি ভি সিন্ধু ফিরে এসে আইসক্রিম খাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আপনার খেলার শুরু খুব ভালো হয়েছে। আপনার পুরো জীবন আপনার সামনে রয়েছে। প্রতিটি ম্যাচেই ১০০ শতাংশ দিয়ে খেলবেন। জয় আসবে নিশ্চিত। প্রত্যেক ম্যাচই গুরুত্বের সঙ্গে নেবেন। ফলাফল কি হয়, তা কোনও মূল্য রাখে না। আপনি আপনার সেরাটুকু এই অনুভূতিটুকুই যথেষ্ট। আপনার ও অন্যদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

ত্রিসা জলি: আপনাকে ধন্যবাদ স্যর।

উপস্থাপক: স্যর, আমাদের সঙ্গে এখন সালিমা তেতে রয়েছেন। তিনি ঝাড়খন্ডের একজন হকি খেলোয়াড়।  

প্রধানমন্ত্রী: সালিমাজী নমস্কার।

সালিমা তেতে: সুপ্রভাত স্যর।

প্রধানমন্ত্রী: আপনি কেমন আছেন সালিমাজী?  

সালিমা তেতে: খুব ভালো স্যর। আপনি কেমন আছেন?

প্রধানমন্ত্রী: আপনি কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন? দেশের বাইরে!

সালিমা তেতে: হ্যাঁ, স্যর। আমাদের পুরো দল এখন ইংল্যান্ডে।

প্রধানমন্ত্রী: সালিমা, আমি পড়েছি যে, হকির জন্য আপনাকে ও আপনার বাবাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আপনার সফরের কথা আমাদের বলেন, তা হলে তা দেশের অনেক খেলোয়াড়কে উদ্বুদ্ধ করবে।

সালিমা তেতে: হ্যাঁ, স্যর। আমি একটি গ্রামের মেয়ে। আমার বাবা খেলতেন। কিন্তু, অনেক দিন আগে বাবা খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। বাবা যখন খেলতে যেতেন, একটি সাইকেলে করে আমি তাঁর সঙ্গে যেতাম। আমি বাবার খেলা দেখতাম ও খেলা বোঝার চেষ্টা করতাম। আমি আমার বাবার কাছ থেকেই হকি খেলা শিখেছি। আমি ঝাড়খন্ডের অসুন্ত লাখরার খেলাও দেখতাম। আমি তাঁর মতো হতে চাইতাম। ধীরে ধীরে খেলাটি বুঝতে শুরু করলাম এবং অনুভব করলাম যে, এ থেকে আমি আমার জীবনে অনেক কিছু পেতে পারি। আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি যে, কষ্ট করলে অনেক কিছু শিখেছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত বাবার কাছ থেকে শিখতে পেরে।

প্রধানমন্ত্রী: সালিমা টোকিও অলিম্পিকস্‌-এ আপনার খেলা আমাদের সকলকে মুগ্ধ করেছে। টোকিও গেমস্‌-এর অভিজ্ঞতা যদি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন, তা হলে সকলেই তা শুনতে পছন্দ করবেন।

সালিমা তেতে: অবশ্যই স্যর। টোকিও অলিম্পিক্সের আগেও আপনার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল। কমনওয়েলথ গেমস্‌-এর আগেও এখন আপনার সঙ্গে কথা বলছি। টোকিও অলিম্পিক্সে যাওয়ার আগে আপনি আমাদের উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমরা যারপর নাই আনন্দিত ও উজ্জীবিত হয়েছিলাম। আমরা যখন টোকিও অলিম্পিক্সে যাই, তখন একটাই কথা আমাদের মাথায় ছিল যে, আমাদের বিশেশ কিছু করে দেখাতে হবে। এই প্রতিযোগিতার জন্য একই দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে আমাদের। টোকিও অলিম্পিক্সের সময় কোভিডের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন ছিল। আমরা টোকিও-তে কিছু শেখার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আপনি আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় সাহায্য করেছেন। আমাদের দল টোকিও অলিম্পিক্সে অত্যন্ত ভালো ফল করেছিল এবং নিজের পরিচয় তৈরি করে নেয়। আমাদের এটি চালিয়ে যেতে হবে মহাশয়।

প্রধানমন্ত্রী: সালিমা আপনার বয়স কম হলেও ইতিমধ্যেই আপনি অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আপনাকে অনেক কিছু করতে সাহায্য করবে। দেশবাসীর সঙ্গে আপনাদের পুরুষ ও মহিলা হকি দলের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইলো। কোনও রকম কোনও উদ্বেগ ছাড়া সম্পূর্ণ উজ্জীবিত হয়ে আপনারা খেলে আসুন। সকলেই তাঁদের সেরাটুকু দেবেন। পদক জয় নিশ্চিত। আপনাদের সকলের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা।

সালিমা তেতে: আপনাকে ধন্যবাদ স্যর।

উপস্থাপক: স্যর শর্মিলা হরিয়ানার বাসিন্দা। তিনি প্যারা অ্যাথলেটিক্সে একজন শটপুট খেলোয়াড়।

শর্মিলা: নমস্কার স্যর।

প্রধানমন্ত্রী: শর্মিলাজী নমস্কার। আপনি হরিয়ানার বাসিন্দা। হরিয়ানা খেলাধূলার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আপনি ৩৪ বছর বয়সে খেলাধূলার জীবন শুরু করেছেন এবং মাত্র দু’বছরের মধ্যেই স্বর্ণপদক জয় করেছেন। আমি এই আশ্চর্যের বিষয়ে জানতে চাই। আপনার অনুপ্রেরণা কি?

শর্মিলা: আমি হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় জেলার রেওয়াড়ির বাসিন্দা। আমার জীবনে নানা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছি। ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলায় বিশেষ উৎসাহ ছিল। কিন্তু, আমি কোনও সুযোগ পায়নি। আমার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। আমার মা দৃষ্টিশক্তিহীন। তিন বোন এবং এক ভাই আমরা। আমরা খুব গরীব ছিলাম। স্যর, ছোট বয়সেই আমার বিয়ে হয়ে যায়। আমার স্বামী ভালো ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে থাকতে গিয়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি আমি। আমার দুটি মেয়ে, দু’জনেই খেলাধূলা করে। আমার ও আমার মেয়েদের নানা যন্ত্রণার পর আমার বাবা-মা আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। গত ছ’বছর ধরে আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকি। কিন্তু, ছোটবেলা থেকেই কিছু করার ইচ্ছে ছিল আমার। কিন্তু, কোনও সুযোগ পাইনি। স্যর, আমার দ্বিতীয়বার বিয়ের পর, আমি খেলাধূলার জগতে ভবিষ্যৎ দেখতে পেলাম। আমাদের একজন আত্মীয় রয়েছেন তেকচাঁদ ভাই। তিনি একজন পতাকাবাহক। প্রতি সন্ধ্যায় ও সকালে ৪ ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণের জন্য তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং মাত্র দু’বছরের মধ্যেই স্বর্ণ পদক জয় করেছি।

প্রধানমন্ত্রী: শর্মিলাজী, আপনি আপনার জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। আপনার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো হাল ছেড়ে দিতেন। কিন্তু, আপনি তা করেননি। সারা দেশের কাছে আপনি একজন অনুকরণীয় ব্যক্তি। শর্মিলাজী, আপনার দুটি মেয়ে রয়েছে। আপনি বললেন, খেলাধূলায় তাঁদেরও আগ্রহ রয়েছে। তাঁরা কি আপনাকে আপনার খেলার বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন?

শর্মিলা: স্যর, আমার বড় মেয়ে জেভলিন থ্রো-এ রয়েছে খুব শীঘ্রই অনুর্ধ ১৪-য় খেলবে সে। খুব ভালো খেলোয়াড় হবে আমার মেয়ে। হরিয়ানায় যখন খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস্‌ হবে, তখন তা জানা যাবে। আমার ছোট মেয়ে টেবিল টেনিস খেলে। আমার মেয়েদের যেন আমি যে কষ্টভোগ করেছি, তা কখনই না করতে হয়, তাঁদের ভবিষ্যৎ যেন উজ্জ্বল হয়, তাই আমি তাদের খেলাধূলার জগতে নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী: শর্মিলাজী, আপনার প্রশিক্ষক তেকচাঁদজী একজন প্যারালিম্পিয়ান। আপনি নিশ্চয়ই তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।

শর্মিলা: হ্যাঁ স্যর । তিনি আমাকে ৪-৪ ঘণ্টা অনুশীলনের জন্য উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমি যখন স্টেডিয়ামে যেতাম না, তখন তিনি আমাকে জোর করে সেখানে নিয়ে যেতেন। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লেও, সহজেই যেন পরাজয় স্বীকার না করি, তার জন্য অবিরাম উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। ভালো ফলাফলের জন্য সর্বদাই কঠোর পরিশ্রমের কথা বলতেন তিনি আমায়।

প্রধানমন্ত্রী: শর্মিলাজী, আপনি যখন খেলার জগতে আসার কথা চিন্তা করলেন, তখন নিশ্চয়ই তা সহজ ছিল না। আপনি প্রমাণ করেছেন যে, জয়ের ইচ্ছে থাকলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়। আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকার ধৈর্য্য সারা দেশকে উদ্বুদ্ধ করে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা। মেয়েদের নিয়ে আপনার স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ হবে। যে ভালো লাগাকে সঙ্গে নিয়ে আপনি কাজ করছেন, তাতে করে আপনার মেয়েদের ভবিষ্যৎ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে। আপনাদের মেয়েদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ।

উপস্থাপক: হ্যাভলক থেকে শ্রী ডেভিড বেকহ্যাম। তিনি আন্দামান ও নিকোবরের বাসিন্দা সাইক্লিং করেন।

ডেভিড: নমস্কার স্যর।

প্রধানমন্ত্রী: নমস্কার ডেভিড, আপনি কেমন আছেন?

ডেভিড: আমি খুব ভালো আছি মহাশয়।

প্রধানমন্ত্রী: ডেভিড, একজন খুব জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড়ের নামে আপনার নাম। কিন্তু, আপনি সাইক্লিং করেন। মানুষ কি আপনাকে ফুটবল খেলতে পরামর্শ দেন? আপনি কি কখনও ফুটবল খেলার কথা চিন্তা করেছেন নাকি সাইক্লিং-ই আপনার প্রথম পছন্দ?

ডেভিড: আমি পেশাদারিত্বের সঙ্গে ফুটবল খেলতে উৎসাহী ছিলাম। কিন্তু, আন্দামান ও নিকোবরে আমাদের ফুটবল খেলার কোনও সুযোগ নেই। তাই, আমি ফুটবল খেলতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী: ডেভিডজী, আমাকে বলা হয়েছে যে, আপনার দলে আরও একজন জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড়ের নামে খেলোয়াড় রয়েছেন। আপনারা দু’জনে কি অবসর সময়ে ফুটবল খেলেন?

ডেভিড: আমরা ফুটবল খেলি না। কারণ, আমরা আমাদের সাইক্লিং-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে লক্ষ্যে স্থির। আমরা পুরো সময় প্রশিক্ষণেই ব্যস্ত থাকি।

প্রধানমন্ত্রী: ডেভিডজী, আপনার জীবনে আপনি অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু, কখনই সাইক্লিং থেকে সরে আসেননি। এর জন্য অনেক অনুপ্রেরণা প্রয়োজন। নিজেকে এভাবে উজ্জীবিত রাখা সত্যিই আশ্চর্যের। আপনি কিভাবে এটা করেন?

ডেভিড: আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়, আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং পদক জয় করতে হবে। আমি যদি দেশের বাইরে খেলে পদক জয় করতে পারি, তা হলে আন্দামানের জন্য সেরা প্রাপ্তি হবে।  

প্রধানমন্ত্রী: ডেভিডজী, আপনি খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস্‌-এ স্বর্ণ পদক জিতেছেন। খেলো ইন্ডিয়া গেমস্‌ আপনাকে কিভাবে সাহায্য করেছে। এই জয় আপনার সংকল্প মজবুত করতে কিভাবে সহায়ক হয়েছে?

ডেভিড: এই প্রথমবার আমি দু-দু’বার জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দিই। ‘মন কি বাত’ আপনি যখন আমার নাম উল্লেখ করে বলছিলেন, তখন আমি খুব খুশি হয়েছি। নিজেকে অনুপ্রাণিত অনুভব করেছি। আমি আন্দামান ও নিকোবরের একজন খেলোয়াড় এবং জতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করছি। জাতীয় স্তর থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নিত হওয়ায় আমার দল অত্যন্ত আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রীঃ- দেখুন ডেভিড, আপনি আন্দামান – নিকোবরকে মনে রেখেছেন। আমি বলবো আপনি দেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা থেকে এসেছেন। নিকোবরে আছড়ে পরা সুনামিতে আপনি আপনার বাবাবকে হারিয়েছেন। তখন আপনার বয়স ছিলো খুব বেশি হলে এক বা দেড় বছর। তাঁর এক দশক পরে আপনি আপনার মাকেও হারিয়েছেন। ২০১৮ সালে যখন আমি নিকোবর গিয়েছিলাম তখন যারা সুনামিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আমি সুনামী স্মারকে গিয়েছিলাম। নানা অসুবিধার মধ্যে আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য আমি আপনার পরিবারের সদস্যদের কুর্ণিশ জানাই। দেশের সব জনগণের আশীর্বাদ রয়েছে আপনার সংগে।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

ডেভিডঃ ধন্যবাদ স্যর।

বন্ধুগণ,

আমি আগেও বলেছি যে আপনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাত করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণের জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। আমিও সংসদের চলতি অধিবেশনের জন্য ব্যস্ত। তাই এই সময়ে সাক্ষাৎ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি আপনারা ফিরে এলে আমরা অবশ্যই আপনাদের সাফল্য উদযাপন করবো। সারা দেশ নীরজ চোপড়ার দিকেও নজর রাখবে।

বন্ধুগণ, ভারতীয় ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে এ এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। বর্তমানে আপনাদের মোট ক্রীড়াবিদদের মনোবল তুঙ্গে রয়েছে এবং প্রশিক্ষনও হচ্ছে উন্নতমানের। আপনি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছেন ও নতুন রেকর্ড গড়ছেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগতায় আপনাদের অনেকেই দূর্দান্র সাফল্য লাভ করছেন। সারা দেশ এখন আত্মবিশ্বাসী। বন্ধুগণ, আমাদের এবারের কমনওয়েলথ গেমসের দল নানাভাবে বিশেষ। এই দলে অভিজ্ঞ ও নতুন খেলোয়াড়ের সমাবেশ রয়েছে। আনহত, সঞ্জনা,  সুশীল যোশি, শেফালি এবং বেবি সাহানার মোট অনেক তরুণ খেলোয়াড় রয়েছেন তাঁরা দেশকে গর্বিত করবেন। আপনারা কেবলমাত্র ক্রীড়া ক্ষেত্রেই নতুন ভারতের প্রতিনিধি নন বিশ্ব স্তরেও এটি প্রযোজ্য। আপনাদের মোট তরুণ খেলোয়াড়রা এটাই প্রমাণিত করছেন যে, ভারতের প্রতিটি প্রান্তে খেলার জগতে অনেক প্রতিভা রয়েছে।

বন্ধুগণ,

উৎসাহ ও উদ্দীপনার জন্য বাইরে তাকানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি যখন মনপ্রীতের মতো আপনার দলের সদস্যকে দেখবেন, তখন আপনা থেকেই উজ্জীবিত বোধ করবেন। পা ভাঙ্গা নিয়েও তিনি শটপুট খেলছেন এবং এই খেলায় নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। মনপ্রীত এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি সর্বদাই সব প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে নিজের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তাই আমি বলবো, যাঁরা এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খেলতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য হয়তো পরিবেশ পাল্টে যাবে। কিন্তু, আপনার দক্ষতা বা খেলার ইচ্ছেটা বদলাবে না। লক্ষ্য হ’ল - আপনার তেরঙ্গা পতাকাকে সাফল্যের আকাশে উড়তে দেখা ও জাতীয় সঙ্গীতের সুর শোনা। তাই, কোনও চাপ নিতে হবে না। তাই, শুধুমাত্র ভালো খেলে যান। দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন করছে, তখনই আপনারা কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ অংশ নিচ্ছেন। এই সময় আপনাদের সেরা ফলাফল হবে দেশের জন্য আপনাদের উপহার। এই লক্ষ্য যদি স্থির থাকে, তা হলে ময়দানে যখন আপনি খেলতে নামবেন, তখন আপনার প্রতিপক্ষ কে, তা কোনও মূল্য রাখবে না।

বন্ধুগণ,

আপনারা সকলে বিশ্বের সেরা সুবিধার যুক্ত এলাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আপনার প্রশিক্ষণ ও আপনার ক্ষমতার মেলবন্ধন ঘটিয়ে ফলাফলের সময় হচ্ছে এটি। আপনি এ পর্যন্ত যা অর্জন করেছেন, তা অবশ্যই উৎসাহব্যঞ্জক। তবে, আপনাকে এখন নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য সামনের দিকে তাকাতে হবে। আপনি আপনার সেরাটুকু দেবেন। দেশের মানুষ আপনার কাছে এটিই আশা করেন। দেশবাসীর তরফে আপনাদের জন্য রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ। আমিও আপনাদের জানাই শুভেচ্ছা। অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা যখন জয়ী হয়ে ফিরবেন, তখন আমি আবার এখানে আসার আমন্ত্রণ জানাই। আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা! ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল।

  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • JBL SRIVASTAVA June 02, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • MLA Devyani Pharande February 17, 2024

    जय हो
  • Vaishali Tangsale February 14, 2024

    🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 12, 2024

    जय हो
  • Bharat mathagi ki Jai vanthay matharam jai shree ram Jay BJP Jai Hind September 16, 2022


  • Anil Nama sudra September 08, 2022

    anil
  • Chowkidar Margang Tapo August 25, 2022

    vande, mataram, Jai Mata Di
  • G.shankar Srivastav August 08, 2022

    नमस्ते
  • johargazi August 04, 2022

    Johar Johar Arshad Ghazi main khud hun mera photo bhi chhoda hai Mera Gmail bhi chhoda hai lekin mera ID banakar UN log chori karke Aisa bolata sidha dhandha kar raha hai jo bhi hai vah ladka bhi Kolkata ka aaega usko pakado jaldi aur uska aadami jitna aadami milkar kam Karta hai India ka paper bhi bhejta hai kisi Ko chhodane ka nahin aur inquiry karne ka main pura detail de dega
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Train to Kashmir: How railways beat Himalayan odds to build a marvel

Media Coverage

Train to Kashmir: How railways beat Himalayan odds to build a marvel
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi highlights the far-reaching impact of the government’s pro-farmer initiatives
June 07, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has underlined the far-reaching impact of the government’s pro-farmer initiatives over the past 11 years, marking a significant phase of dignity and prosperity for the agricultural community.

He highlighted key initiatives such as the PM Kisan Samman Nidhi and Kisan Fasal Bima, describing them as important steps taken by the government for the welfare of farmers.

The Prime Minister also noted that due to the continuous increase in Minimum Support Price (MSP), the country’s food producers are not only receiving fair prices for their crops but are also experiencing a rise in their income.

Shri Modi emphasized that it has been a privilege for his government to serve the hardworking farmers of the country. Reflecting on the last 11 years, he said that the government’s various initiatives have not only enhanced prosperity among farmers but have also contributed to an overall transformation of the agriculture sector.

The Prime Minister highlighted that the government has paid close attention to key aspects such as soil health and irrigation, which have been greatly beneficial.

Our efforts towards farmer welfare will continue with greater vigour in the times to come, Shri Modi further stated. He said that we have worked on dignity and prosperity for our farmers.

The Prime Minister posted on X;

"हमारे किसान भाई-बहनों को पहले जहां छोटी-छोटी जरूरतों के लिए भी उधार लेने को मजबूर होना पड़ता था, वहीं बीते 11 साल में हमारी सरकार के निर्णयों से उनका जीवन बहुत आसान हुआ है। पीएम किसान सम्मान निधि हो या फिर किसान फसल बीमा, हमने उनके कल्याण के लिए कई अहम कदम उठाए हैं। अब एमएसपी में निरंतर बढ़ोतरी से देश के अन्नदाताओं को ना सिर्फ फसलों की उचित कीमत मिल रही है, बल्कि उनकी आय भी बढ़ रही है।

#11YearsOfKisanSamman"

"It’s our privilege to serve our hardworking farmers. For the past 11 years, our various initiatives have boosted prosperity for farmers and also ensured an overall transformation of the agriculture sector. We have focussed on issues like soil health and irrigation, which have been greatly beneficial. Our efforts towards farmer welfare will continue with greater vigour in the times to come.

#11YearsOfKisanSamman"

"Do read this thread to get a glimpse of how we have worked on dignity and prosperity for our farmers.

#11YearsOfKisanSamman"