“ভারতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে পরিকাঠামোর প্রসার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা”
“নতুন নতুন দায়িত্ব, নতুন নতুন সম্ভাবনা ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক বিশেষ সময়কাল এটি”
“মহাসড়কগুলির গুরুত্ব ভারতে বহু শতাব্দী ধরেই স্বীকৃত হয়ে আসছে”
“বর্তমান সরকার এই ধরনের মানসিকতা দূর করার কাজে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে’”
“আমাদের প্রয়োজন উন্নয়নের গতিকে সর্বোচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাওয়া”
“গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান এক কথায় ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের চেহারাই শুধু পালটে দেবে না, সেইসঙ্গে বহু উদ্দেশ্যসাধক পরিবহণ ব্যবস্থাও গড়ে তুলবে”
“গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান হল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যা দেশের অর্থনীতি ও পরিকাঠামো সম্পর্কিত পরিকল্পনাকে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে”
“নির্দিষ্ট গুণমানের বহু উদ্দেশ্যসাধক পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে আগামী দিনগুলিতে পরিবহণ খাতে ব্যয় অনেকটাই হ্রাস পাবে”
“দেশের স্বাভাবিক পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে ব্যবহারিক পরিকাঠামোর বলিষ্ঠতা যে একান্ত জরুরি”
“জাতির উন্নয়নে তাঁরা শুধু নিজেদের অবদানই সৃষ্টি করতে পারেন না, একইসঙ্গে তাঁরা উন্নয়নের চালিকাশক্তিতেও নতুন করে গতিসঞ্চার করতে পারেন"

নমস্কার!
 
আমি খুশি যে ১০০র বেশি ব্যক্তি এই পরিকাঠামো সংক্রান্ত ওয়েবিনারে অংশ নিচ্ছেন এবং ৭০০র বেশি এমডি এবং সিইও তাঁদের সময় দিয়েছেন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করেছেন এবং মূল্য যোগ করার জন্য কাজ করেছেন। আমি সকলকে স্বাগত জানাই। এর পাশাপাশি আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এবং বিভিন্ন জন বহু সংখ্যায় যোগ দিয়ে এই ওয়েবিনারকে অত্যন্ত মূল্যবান এবং ফলপ্রসূ করে তুলবেন। আমি আপনাদের আরও একবার ধন্যবাদ জানাই আপনারা সময় দিয়েছেন বলে এবং আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক স্বাগত। এবারের বাজেটে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্য নতুন করে গতি দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বে এবং নামী সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা ভারতের বাজেটের এবং তার কৌশলগত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। বর্তমানে আমাদের ক্যাপেক্স ২০১৩-১৪  অর্থাৎ আমার সরকারের আগের তুলনায় ৫ গুণ। ন্যাশনাল ইনফ্রাসট্রাকচার পাইপলাইনের অধীনে সরকারের লক্ষ্য আগামীদিনে ১১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা। এখন সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত নতুন দায়িত্ব, নতুন সম্ভাবনা এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া।

বন্ধুগণ,

পরিকাঠামো যে কোন দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন। যারা পরিকাঠামো সংক্রান্ত ইতিহাস পড়েছেন তারা এটি ভালোভাবেই জানেন। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য আড়াই হাজার বছর আগে উত্তরাপথ নির্মাণ করেছিলেন। এই সড়ক মধ্য এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিল। এরপরে সম্রাট অশোক এই সড়ক পথের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। ষোড়শ শতাব্দীতে শেরশাহ সুরী এই সড়ক পথের গুরুত্ব বুঝেছিলেন এবং নতুন করে উন্নয়নের কাজ করেছিলেন। যখন ব্রিটিশরা এলো তারা এই সড়ক পথের আরও উন্নতি করল এবং একে বলা হত জিটি রোড। সেইজন্যই দেশের উন্নয়নের জন্য সড়ক পথের উন্নয়নের ধারনা হাজার হাজার বছরের পুরনো। একই রকমভাবে আমরা দেখতে পাই বর্তমানে মানুষ নদী তীর এবং জলপথ নিয়ে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে আমরা যদি বেনারসের ঘাটগুলির দিকে নজর দিই সেগুলিও হাজার বছর আগে তৈরি নদী ঘাট। কলকাতার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকার কারনে বেনারস বহু শতাব্দী ধরেই ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রও ছিল।

আর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরের কালানই বাঁধ। চোল সাম্রাজ্যের সময় কালানই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এই বাঁধটি ২ হাজার বছরের পুরনো এবং সারা বিশ্বের মানুষ চমৎকৃত যে এই বাঁধ আজও কাজ করছে। ২ হাজার বছর আগে নির্মিত এই বাঁধটি এখনও এলাকার উন্নয়ন করছে। আপনারা তাহলে ভাবতে পারেন ভারতের কী ঐতিহ্য, কী দক্ষতাই না ছিল, কী ক্ষমতাই না ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীতার পরে আধুনিক পরিকাঠামোয় যথেষ্ঠ জোর দেওয়া হয়নি যা দেওয়া উচিত ছিল। বহু যুগ ধরেই আমাদের দেশে একটা ভাবনা গেড়ে বসেছে যে দারিদ্র একটা মানসিকতা- দারিদ্র একটি গুণ। এই ধরনের ভাবনা থেকেই পূর্বতন সরকারগুলি দেশের পরিকাঠামোয় লগ্নি করার থেকে পিছিয়ে গেছে। এটা তাদের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। আমাদের সরকার দেশকে শুধুমাত্র এই ভাবনা থেকে বের করেছে তাই নয়, আধুনিক পরিকাঠামোয় রেকর্ড পরিমাণ লগ্নিও করছে।

বন্ধুগণ,

দেশ ইতিমধ্যেই এই নতুন ভাবনার এবং এই প্রয়াসের ফলাফলের সাক্ষী থাকছে। বর্তমানে গড় বার্ষিক জাতীয় সড়ক নির্মাণ ২০১৪র পূর্বেকার যুগের তুলনা দ্বিগুণ হয়েছে। একই রকমভাবে ২০১৪র আগে প্রতি বছর ৬০০ রুট কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকিকরণ করা হত। বর্তমানে এটি পৌঁছেছে প্রায় ৪ হাজার রুট কিলোমিটারে। যদি আমরা বিমান বন্দরের দিকে দেখি তাহলে দেখতে পাব যে ২০১৪য় ৭৪ থেকে বিমান বন্দরের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দেড়শ। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। তার অর্থ খুব কম সময়ের মধ্যে ১৫০টি বিমান বন্দর নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। একইরকমভাবে বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সমুদ্র বন্দরও খুব গুরুত্বপূ্র্ণ। আমাদের বন্দরগুলির ক্ষমতা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমরা মনে করি পরিকাঠামো নির্মাণ দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এই পথ অনুসরণ করে ভারত ২০৪৭এর মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করবে। এখন আমাদের প্রয়োজন গতি আরও বৃদ্ধি করা। আমাদের এখন সর্বোচ্চ গতিতে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের বড় ভূমিকা আছে। পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান ভারতের পরিকাঠামো, ভারতের বহুমাত্রিক লজিস্টিক্সকে পুনরায় জাগিয়ে তুলবে। এককভাবে এটি অর্থনৈতিক এবং পরিকাঠামো পরিকল্পনার পাশাপাশি উন্নয়নকে সংহত করার একটি বড় অস্ত্র। অতীতের দিকে দেখলে বুঝতে পারবো আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যখনই কোনো বন্দর বা বিমান বন্দর তৈরি করা হত তার প্রথম মাইল এবং শেষ মাইলের মধ্যে সংযোগের ওপর নজর দেওয়া হতনা এবং অগ্রাধিকার দেওয়া হত না। এসিজেড এবং শিল্প নগরী হত কিন্তু যথাযথ যোগাযোগে ভীষণ দেরি হত। বিদ্যুৎ, জল এবং গ্যাস পাইপলাইনের মতো পরিকাঠামো পেতে দেরি হত।

ফলস্বরূপ লজিস্টিক্স সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিত। দেশের জিডিপি-র একটি বড় অংশ অনাবশ্যকভাবে অপচয় হত। আর সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পই থমকে যেত। এখন এই সবকটি দিককে মনে রেখে নির্দিষ্ট সময়সীমা করা হয়েছে। নীল নকশা তৈরি করা হচ্ছে সকলকে যুক্ত করে। আর আমি খুশি যে পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের ফলাফল দেখা যাচ্ছে। লজিস্টিক্সের ফাঁকগুলোকে আমরা চিহ্নিত করেছি। সেইজন্য এই বছরের বাজেটে ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং ৭৫ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। গুণমান এবং বহুমাত্রিক পরিকাঠামোর সঙ্গে আমাদের লজিস্টিক্সের জন্য খরচ আগামীদিনে আরও কমবে। এর ফলে আমাদের দেশে তৈরি পণ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের পণ্যের গুণমানের ওপরেও এর প্রভাব পড়বে। লজিস্টিক্সের পাশাপাশি ভালোভাবে বসবাস করা এবং সহজে ব্যবসা করার অনেক উন্নতিও হবে। এমনই প্রেক্ষাপটে বেসরকারী ক্ষেত্রের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়মিত বেড়ে চলেছে। আমি বেসরকারী ক্ষেত্রকে এইসব অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাই।

বন্ধুগণ,

নিশ্চিতভাবে এতে আমাদের রাজ্যগুলির বড় ভূমিকা আছে। সরকার ৫০ বছরের সুদ বিহীন ঋণ আরও এক বছর বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে রাজ্য সরকারগুলির অর্থের অভাব না হয়। এতে গত বছরের বাজেট অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর লক্ষ্য রাজ্যগুলিও যাতে গুণমান সম্পন্ন পরিকাঠামো তৈরি করতে পারে তা নিশ্চিত করা।

বন্ধুগণ,

এই ওয়েবিনারে আপনাদের আরও একটি বিষয় নিয়ে ভাববার আবেদন জানাবো। আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সমান গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ এতে উৎপাদন শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদি আগে থাকতেই প্রয়োজন বুঝে তা আগাম জানানো যায়, এটির জন্য যদি একটি কোনো ব্যবস্থা তৈরি করা যায় তাহলে নির্মাণ শিল্প সহজেই উপকরণগুলি পাবে। আমাদের একটি সুসংহত প্রয়াস প্রয়োজন। আমাদের চক্রাকার অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ কাজকে যুক্ত করতে হবে। ‘বেস্ট আউট অফ ওয়েস্ট’ এর ধারনা মাথায় রাখতে হবে এবং আমার বিশ্বাস পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান এতে একটি বড় ভূমিকা নেবে।

বন্ধুগণ,

যদি কোথাও পরিকাঠামো গড়ে ওঠে তার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয় উন্নয়ন। একভাবে উন্নয়নের সার্বিক ব্যবস্থা একইসঙ্গে নিজে নিজেই গড়ে ওঠে। আমি আমার পুরনো দিনের কথা সবসময় মনে রাখি। কচ্ছে ভূমিকম্প হয়েছিল। এটা খুবই স্বাভাবিক যে যদি কোনো সরকার এ রকম একটি বড় বিপর্যয় বা দুর্ঘটনার সামনা-সমানি হয় যা আগে থেকে কল্পনাই করা যায়না আমি ওদের বলেছিলাম যত শীঘ্র সম্ভব কাজ শেষ করুন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরুন। আমার সামনে দুটো পথ ছিল। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালানোর পর সাময়িক সমাধান করতে পারতাম। ছোটখাট সংস্কারের কাজ করে ওই জেলাগুলিকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিতে পারতাম অথবা বিপর্যয়কে একটি সুযোগে পরিবর্তন করতে পারতাম। আমি কচ্ছকে আধুনিক করার দিকে এগিয়েছি। হয়তো ক্ষতি হয়েছে কিন্তু এখন নতুন করার সময়। ভালো কিছু এবং বিশাল কিছু।

এবং বন্ধুগণ, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমি রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির কথা ভাবিনা। আমি প্রশংসা পাওয়ার জন্য চটজলদি কোনো কাজ করিনি, বদলে আমি একিট বড় লাফ দিয়েছি। বেছে নিয়েছিলাম অন্য পথটি। কচ্ছের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলাই ছিল আমার চরম লক্ষ্য। সেইজন্য ওই সময় গুজরাট সরকার কচ্ছে রাজ্যের সেরা সড়ক তৈরি করেছিল। প্রশস্ত সড়ক। তৈরি হয়েছিল বড় বড় জলের ট্যাঙ্ক এবং এমন বিদ্যু ব্যবস্থা যা চলবে অনেকদিন ধরে। আমি জানি অনেক মানুষই আমায় বলতেন, ‘কেন এত চওড়া রাস্তা তৈরি করছেন? ৫-১০ মিনিটের মধ্যে একটা গাড়িও যায়নি। কী প্রয়োজন? আপনি এত খরচ করছেন।’ ওরা আমাকে এ রকমই বলতো। কচ্ছে উন্নয়নের ধারা উল্টো গতিতে চলত। সেই সময় পর্যন্ত ৫০ বছর ধরে কচ্ছ ছেড়ে মানুষ চলে যাচ্ছিলেন।

কিন্তু বন্ধুগণ, আমি ওই সময় পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগ করেছিলাম ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথার পাশাপাশি সেই সময়ের কথা মনে রেখে। আজ কচ্ছ তার চমকপ্রদ উপকার পাচ্ছে। বর্তমানে কচ্ছ গুজরাটের দ্রুততম বৃদ্ধিশীল জেলা। আগে অফিসারদের ওই জেলার সীমান্তে বদলি করা হলে ভাবা হত শাস্তিমূলক বদলি। বলা হত কালাপানীর শাস্তি। আজ সেটাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে উন্নত জেলা। এত বড় জেলা যা একসময় জনমানবহীন হয়ে গেছিল তা আজ প্রাণচঞ্চল। সারা দেশ আজ তার কথা বলে। একই জেলায় ৫টি বিমান বন্দর। এর কৃতিত্ব আধুনিক পরিকাঠামো যা কচ্ছে গড়ে তোলা হয়েছিল। বিপর্যয়কে পরিবর্তন করা হয়েছিল সুযোগে। আমরা সময়ের দাবি মেনে আগে থেকে ভেবেছিলাম আর আজ তার ফল পাওয়া যাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

পরিকাঠামোর ক্ষমতার পাশাপাশি দেশের সামাজিক পরিকাঠামো শক্তিশালী হওয়াও সমান প্রয়োজন। আমাদের সামাজিক পরিকাঠামো যত শক্তিশালী হবে ততই প্রতিভাদল যুবা, দক্ষ যুবা কাজ করতে এগিয়ে আসবে। সেইজন্য দক্ষতা উন্নয়ন, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, আর্থিক দক্ষতা, উদ্যোগ দক্ষতার মতো অনেক বিষয়ে জোর দেওয়া এবং অগ্রাধিকার দেওয়া সমান প্রয়োজন। আমাদের ক্ষুদ্র ও বৃহ শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতার পূর্বাভাস দেওয়ার একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা দরকার। এতে দেশের মানব সম্পদ ভান্ডার বহুল উপকৃত হবে। আমি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রককে এই লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করতে বলছি।

বন্ধুগণ,

আপনারা শুধু পরিকাঠামো গড়ে তুলছেন তা নয়, আপনারা ভারতের উন্নয়নে গতি দিতে কাজ করছেন। সেইজন্য এই ওয়েবিনারের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা এবং তাদের দেওয়া পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা যখন পরিকাঠামো নিয়ে কথা বলি তা সাধারণত বলি রেল, সড়ক, বিমান বন্দর এবং বন্দর নিয়ে। কিন্তু এবারের বাজেটে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য গুদামজাত করতে সাহায্য করার জন্য গ্রামে গ্রামে স্টোরেজ গড়ার বিশাল প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। আপনি ভেবে দেখুন কতো বড় পরিকাঠামো এরজন্য গড়ে তোলা প্রয়োজন!

দেশে ওয়েলনেস সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সেরা ওয়েলনেস সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। এটাও পরিকাঠামো। আমরা নতুন রেল স্টেশন তৈরি করছি; এটাও পরিকাঠামো কাজ। আমরা প্রত্যেক পরিবারকে পাকা বাড়ি দেওয়ার কাজ করছি; এটাও পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ। এইসব প্রকল্পে আমাদের প্রয়োজন নতুন প্রযুক্তি, উপকরণের উদ্ভাবন, নির্মাণ সময়ের পাশাপাশি কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে হবে সেটাও প্রয়োজন। ভারতকে এখন এইসব ক্ষেত্রে একটা বড় লাফ দিতে হবে এবং সেইজন্য এই ওয়েবিনার এতো গুরুত্বপূর্ণ।

আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের চিন্তা-ভাবনা অভিজ্ঞতা এই বাজেটকে সুচারুভাবে রূপায়ণ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা দ্রুততার সঙ্গে রূপায়িত হবে এবং ভালো ফলাফল দেবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই।

ধন্যবাদ!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Since 2019, a total of 1,106 left wing extremists have been 'neutralised': MHA

Media Coverage

Since 2019, a total of 1,106 left wing extremists have been 'neutralised': MHA
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Welcomes Release of Commemorative Stamp Honouring Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II
December 14, 2025

Prime Minister Shri Narendra Modi expressed delight at the release of a commemorative postal stamp in honour of Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II (Suvaran Maran) by the Vice President of India, Thiru C.P. Radhakrishnan today.

Shri Modi noted that Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II was a formidable administrator endowed with remarkable vision, foresight and strategic brilliance. He highlighted the Emperor’s unwavering commitment to justice and his distinguished role as a great patron of Tamil culture.

The Prime Minister called upon the nation—especially the youth—to learn more about the extraordinary life and legacy of the revered Emperor, whose contributions continue to inspire generations.

In separate posts on X, Shri Modi stated:

“Glad that the Vice President, Thiru CP Radhakrishnan Ji, released a stamp in honour of Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II (Suvaran Maran). He was a formidable administrator blessed with remarkable vision, foresight and strategic brilliance. He was known for his commitment to justice. He was a great patron of Tamil culture as well. I call upon more youngsters to read about his extraordinary life.

@VPIndia

@CPR_VP”

“பேரரசர் இரண்டாம் பெரும்பிடுகு முத்தரையரை (சுவரன் மாறன்) கௌரவிக்கும் வகையில் சிறப்பு அஞ்சல் தலையைக் குடியரசு துணைத்தலைவர் திரு சி.பி. ராதாகிருஷ்ணன் அவர்கள் வெளியிட்டது மகிழ்ச்சி அளிக்கிறது. ஆற்றல்மிக்க நிர்வாகியான அவருக்குப் போற்றத்தக்க தொலைநோக்குப் பார்வையும், முன்னுணரும் திறனும், போர்த்தந்திர ஞானமும் இருந்தன. நீதியை நிலைநாட்டுவதில் அவர் உறுதியுடன் செயல்பட்டவர். அதேபோல் தமிழ் கலாச்சாரத்திற்கும் அவர் ஒரு மகத்தான பாதுகாவலராக இருந்தார். அவரது அசாதாரண வாழ்க்கையைப் பற்றி அதிகமான இளைஞர்கள் படிக்க வேண்டும் என்று நான் கேட்டுக்கொள்கிறேன்.

@VPIndia

@CPR_VP”