PM dedicates IIIT Una to the nation
“Bulk Drug Park and Vande Bharat Train are symbols of our affection and dedication to Himachal Pradesh”
“The Double engine government is committed to improving railway connectivity across Himachal Pradesh”
“New India is overcoming challenges of the past and growing rapidly”
“Our government is fulfilling the aspirations of 21st century India”
“Earlier Himachal was valued less for its strength and more on the basis of the number of its Parliamentary seats”
“We are not only filling the gulf of development left by the previous governments but also building strong pillars of foundation for the state”
“The entire world has witnessed the strength of the medicines manufactured in Himachal Pradesh”
“ Himachal had to wait for the Double Engine government to get IIT, IIIT IIM, and AIIMS”
“I believe that the golden period of Himachal's development is about to begin in the Azadi Ka Amrit Mahotsav”

ভারতমাতা কি জয়,

ভারতমাতা কি জয়,

ভারতমাতা কি জয়,

আমার প্রিয় ঊনাবাসী, আপনারা সকলে কেমন আছেন? সবাই সুস্থ আছেন তো? মা চিন্তপূর্ণি এবং গুরু নানক দেবজীর অনুগামীদের বাসস্থান, এই ভূমিকে আমার প্রণাম।

বন্ধুগণ,

গুরু নানকজী ও অন্যান্য গুরুদের স্মরণ করে আর আজ মা চিন্তপূর্ণির চরণে প্রণাম জানিয়ে ধনতেরস এবং দীপাবলির আগে হিমাচল প্রদেশের জনগণকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত ও নির্মীয়মান এই প্রকল্পগুলি উপহার দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ ঊনা তথা হিমাচলে দীপাবলি যেন সময়ের অনেক আগেই চলে এসেছে। এখানে এত বিপুল সংখ্যায় আমার দেবী-স্বরূপা মা ও বোনেরা আমাদের আশীর্বাদ দিতে চলে এসেছেন। এই আশীর্বাদ আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ, অনেক বড় শক্তি।

ভাই ও বোনেরা,

আমি আগে এখানে এত দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি যে, যখনই ঊনায় আসি, বিগত দিনের স্মৃতিগুলি চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকে। এটা আমার সৌভাগ্য যে, অনেকবার দেবী মা চিন্তপূর্ণি দেবীর চরণে মাথা ঠেকানো আর আশীর্বাদ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানকার আখ এবং গন্ডওয়ালির স্বাদ কে ভুলতে পারেন।

বন্ধুগণ,

যখন হিমাচলে থাকতাম, তখন প্রায়ই ভাবতাম যে, এই দেবভূমিকে প্রকৃতি এত সুন্দর বরদান দিয়েছে, এত নদী, ঝর্ণা, উর্বর জমি, ক্ষেত, পর্যটনের সম্ভাবনা। কিন্তু, কিছু সমস্যা দেখে সেই সময় আমি দমে যেতাম। আমি ভাবতাম, যেদিন এই হিমাচল প্রদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, শিল্পোন্নয়ন হবে, যেদিন হিমাচল প্রদেশের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ও গ্রাম ছেড়ে বাইরে যেতে হবে না, সেদিনই হিমাচল প্রদেশে আসল পরিবর্তন আসবে।

আর আজ দেখুন, আজ আমি এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশ কিছু উন্নয়ন ওষধি শিক্ষা এবং শিল্পায়নের কিছু প্রকল্প উপহার নিয়ে এসেছি। আজ এখানে ঊনায় দেশের দ্বিতীয় ‘বাল্ক ড্রাগ পার্ক’ – এর উদ্বোধন হ’ল। এখন হিমাচল প্রদেশের মানুষ ভাবুন, দীর্ঘকাল ধরে নানা সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা হিমাচল প্রদেশে যখন ভারতের তিনটি ‘বাল্ক ড্রাগ পার্ক’ গড়ে উঠবে, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর হিমাচল প্রদেশের জন্য এরচেয়ে বড় উপহার আর কি হতে পারে! এর থেকে বড় পদক্ষেপ আর কিছু হতে পারে না। এটা আমাদের হিমাচল প্রদেশের প্রতি ভালোবাসা এবং সমর্পণভাবের পরিণাম।

কিছুক্ষণ আগেই আমার অম্ব – আন্ডৌরা থেকে দিল্লি পর্যন্ত ভারতের চতুর্থ বন্দে ভারত ট্রেনকে সবুত পতাকা দেখানোর সৌভাগ্য হয়েছে। এটাও ভাবুন, এত বড় ভারত, এত বড় বড় শহর, কিন্তু চতুর্থ বন্দে ভারত ট্রেন পেয়েছেন আমার হিমাচল প্রদেশের ভাই ও বোনেরা। আমি জানি বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সঙ্গে যত পরিবারের মানুষের দেখা হবে, ভারতের যে কোনও প্রান্তে যত আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন, তাঁদের আপনারা ফোন করে জানাবেন যে, আমাদের বিমানবন্দরে এসে এরোপ্লেন দেখে যান। বিমানে বসার কথা পরে ভাবা যাবে। এমনিতেই হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী অনেকেই গত দুই – তিন - চার প্রজন্ম ধরে রেলগাড়িও চোখে দেখেননি। রেলগাড়ি চড়া তো দূরের কথা। দেশ হওয়ার ৭৫ বছর পরেও এই রাজ্যের অনেক প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এরকম যোগাযোগহীনতার শিকার। আজ হিমাচলে শুধু রেলগাড়ি নয়, ভারতের সবচেয়ে আধুনিক রেলগাড়ি এসে দাঁড়িয়ে পড়েছে আর এখান থেকে দিল্লি পর্যন্ত চলতেও শুরু করেছে।

আজ হিমাচল প্রদেশে এটি আইআইআইটি-র স্থায়ী ভবনেরও উদ্বোধন হয়েছে। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার হিমাচল প্রদেশকে উন্নয়নের পথে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় - এই প্রকল্পগুলি তার উদাহরণ মাত্র। এগুলি বিশেষ করে, হিমাচল প্রদেশের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের স্বপ্নকে নতুন ডানা মেলার সুযোগ করে দেবে। এই সকল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের জন্য ঊনা তথা হিমাচল প্রদেশের সমস্ত নাগরিককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

আমরা সকলে জানি, প্রয়োজন আর আশা-আকাঙ্খার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। হিমাচল প্রদেশে আগে যত সরকার ক্ষমতায় ছিল, আর দিল্লিতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা প্রত্যেকেই আপনাদের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে উদাসীন ছিল, আর আপনাদের আশা-আকাঙ্খাগুলিকে তারা কখনও বুঝতেই পারেনি। এর ফলে, আমার হিমাচল প্রদেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখানকার নবীন প্রজন্ম ও এখানকার মা ও বোনেদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

কিন্তু, এখন সময় বদলেছে। আমাদের সরকার শুধু জনগণের প্রয়োজন মিটিয়েই থামছে না, তাঁদের আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্যও সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজে লেগে পড়েছে। আপনারা সকলে জানেন যে, হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি কেমন ছিল। আমার মনে আছে, আমি যখন এখানে থাকতাম, তখন চারপাশে উন্নয়নের কোনও চিহ্ন মাত্র নজরে পড়তো না। চারিদিকে অবিশ্বাসের খাদ, নিরাশার পাহাড়, সামনে এগোতে পারবো কি পারবো না – তা নিয়ে অনিশ্চয়তা, উন্নয়নের সঙ্গে প্রত্যাশার অনেক বড় ফারাক। আগে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা কখনও এই উন্নয়নের প্রয়োজন ও প্রত্যাশার মধ্যে তৈরি হওয়া গভীর খাদকে ভরাট করার চেষ্টা করেননি। আমরা ক্ষমতায় এসে ডবল ইঞ্জিনের শক্তি দিয়ে সেই খাদ ভরাট করেছি। আর এখন হিমাচল প্রদেশে নতুন প্রত্যাশা পূরণের ইমারত গড়ে তুলছি।

বন্ধুগণ,

বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যারা বিংশ শতাব্দীতেই তাদের জনগণের জন্য গ্রামীণ সড়ক, পরিশ্রুত পানীয় জল, শৌচালয়, আধুনিক হাসপাতাল ইত্যাদি পরিষেবা চালু করেছে। ভারতের মধ্যেও গুজরাটের মতো বেশ কিছু রাজ্য আছে, যেখানে সরকারি উদ্যোগে জনগণের জন্য গ্রামীণ সড়ক, পরিশ্রুত পানীয় জল, শৌচালয়, আধুনিক হাসপাতাল ইত্যাদি পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু, এদেশের কিছু রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য এই পরিষেবাগুলি পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। আমাদের হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলিও এই বঞ্চনার শিকার। আমি এখানে থাকার সময় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছি, কিভাবে সড়কের অভাবে আমাদের বয়স্ক রোগী ও গর্ভবতী মা-বোনেদের যথাসময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে হয়েছে। অনেকের হাসপাতালে যাওয়ার পথেই অকালে মৃত্যু হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

পাহাড়ে বসবাসকারী জনগণ জানেন যে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ কিভাবে বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। যে এলাকায় অনেক ঝর্ণা রয়েছে, এতগুলি নদী প্রবাহিত হয়েছে, সেখানকার জনগণকে যদি পানীয় জলের জন্য ছটফট করতে হয়, তারচেয়ে দুঃখের আর কি আছে। এই এলাকাগুলিতে বাড়ি বাড়ি নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া কত কঠিন কাজ ছিল, তা কখনও বাইরের মানুষ বুঝতে পারবেন না।

যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এখানকার সরকার চালিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশাকে তাঁরা পরোয়াই করেননি। কিন্তু, আজকের নতুন ভারত সেই সমস্ত পুরনো প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। যে পরিষেবাগুলি জনগণের কাছে বিগত শতাব্দীতেই পৌঁছে যাওয়া উচিৎ ছিল, সেগুলি আজ পৌঁছচ্ছে।

কিন্তু আমরা কি এখানেই থেমে যাব। আপনারা বলুন বন্ধুগণ, যতটা করেছি, খুব ভালো কাজ হয়েছে। কিন্তু, এখানেই কি থেমে যাব? আমাদের এগোতে হবে কি হবে না? আরও দ্রুতগতিতে এগোতে হবে। আর এই কাজ কে করবে? আমরা ও আপনারা মিলেমিশে করবো ভাই ও বোনেরা। আমরা যেভাবে বিংশ শতাব্দীর সমস্ত পরিষেবা দেরীতে হলেও আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, একই রকমভাবে হিমাচল প্রদেশকে একবিংশ শতাব্দীর আধুনিকতার সঙ্গেও জুড়বো।

সেজন্য আজ হিমাচল প্রদেশের উন্নয়নে অভূতপূর্ব কাজ হচ্ছে। আজ যেখানে হিমাচল প্রদেশে একদিকে দ্বিগুণ গতিতে গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হচ্ছে, তেমনই দ্রুতগতিতে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজ এখানে হিমাচল প্রদেশের সর্বত্র হাজার হাজার শৌচালয় নির্মিত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে উন্নত করা হচ্ছে। আজ হিমাচল প্রদেশে একদিকে ড্রোনের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলে জীবনদায়ী ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, বন্দে ভারত – এর মতো ট্রেন চালু করে দ্রুত দিল্লি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আজ একদিকে হিমাচল প্রদেশের গ্রামে গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। আর অন্যদিকে, কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে সরকারের সমস্ত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমরা যেভাবে বিংশ শতাব্দীর সমস্ত পরিষেবা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, একই রকমভাবে হিমাচল প্রদেশকে একবিংশ শতাব্দীর আধুনিকতার সঙ্গেও জুড়ছি।

বন্ধুগণ,

আজ এখানে হরোলি’তে একটি অনেক বড় বাল্ক ড্রাগ পার্ক – এর শিলান্যাস হয়েছে। একটু আগে জয়রামজী তাঁর বক্তব্যে যেমন বলছিলেন, কিছুদিন আগেই নালাগড় - বদ্দিতে মেডিকেল ডিভাইস পার্ক গড়ে তোলার কাজও শুরু হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, এই দুটি প্রকল্প দেশের পাশাপাশি, সারা পৃথিবীতে হিমাচল প্রদেশের নাম উজ্জ্বল করবে। এখন আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার এই বাল্ক ড্রাগ পার্ক গড়ে তুলতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। হিমাচল প্রদেশের মতো ছোট রাজ্যে একটি মাত্র প্রকল্পের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা অনেক বড় বিনিয়োগ। আগামী বছরগুলিতে এখানে এই প্রকল্পেই ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ হতে চলেছে। কয়েক হাজার কোটি টাকার এই বিনিয়োগ ঊনা তথা হিমাচল প্রদেশের চেহারাই বদলে দেবে। এই রাজ্যে হাজার হাজার কর্মসংস্থান ও কয়েক হাজার আত্মনির্ভর প্রকল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

বন্ধুগণ,

করোনা সঙ্কটকালে সারা বিশ্ব হিমাচল প্রদেশে নির্মিত ওষুধের শক্তি দেখেছে। ওষুধ উৎপাদনে ভারতকে বিশ্বের প্রথম স্থানে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে হিমাচল প্রদেশের ভূমিকা আরও বাড়তে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত আমাদের ওষুধ প্রস্তুতের জন্য অধিকাংশ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানী করতে হ’ত। কিন্তু, এখন হিমাচল প্রদেশেই এই কাঁচামাল তৈরি হবে। এই কাঁচামাল দিয়ে ওষুধও এই রাজ্যেই প্রস্তুত হবে। ফলে, ওষুধ শিল্প এই রাজ্যে অনেক পল্লবিত ও প্রস্ফুটিত হবে। ওষুধও অনেক সস্তা হবে।

আজ জন ঔষধি কেন্দ্র ও আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সরকার গরীবের দুশ্চিন্তা কমানোর কাজ করছে। এই বাল্ক ড্রাগ পার্ক নিঃসন্দেহে গরীব ও মধ্যবিত্ত জনগণকে সুলভে আধুনিক চিকিৎসা প্রদান অভিযানকে আরও শক্তিশালী করবে।

বন্ধুগণ,

হিমাচল প্রদেশের জনগণ সাক্ষী রয়েছেন যে, কৃষি হোক কিংবা শিল্প – যতদিন পর্যন্ত ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না গড়ে উঠবে, ততদিন পর্যন্ত উন্নয়নের গতি বাড়বে না। পূর্ববর্তী সরকারগুলি কিভাবে কাজ করতো, তার উদাহরণ হিসাবে আমাদের নাঙ্গাল বাঁধ – তলওয়াড়ি রেললাইনের কথা উল্লেখ করা যায়। আজ থেকে ৪০ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই রেল লাইন প্রকল্পটি মঞ্জুর করেছিল, ফাইল তৈরি হয়েছিল, নির্বাচনের আগে জনগণকে ভাওতা দেওয়ার জন্যই যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার প্রমাণ হ’ল – ৪০ বছরেও এই রেল লাইন বাস্তবায়িত হয়নি। এক ইঞ্চিও কাজ হয়নি। আমরা কেন্দ্রে সরকার গড়ার পর এই রেল লাইনের কাজ শুরু করেছি আর এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আপনারা ভাবুন, এই কাজ আগে হলে ঊনার জনগণের কত না সুবিধা হ’ত।

বন্ধুগণ,

হিমাচল প্রদেশে রেল পরিষেবা বিস্তারের কাজকে আরও আধুনিক করে তুলতে আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। আজ হিমাচল প্রদেশে তিনটি নতুন রেল প্রকল্পের কাজ চলছে। আজ যখন হিমাচল প্রদেশে মেড ইন ইন্ডিয়া, বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা চালু হ’ল, তখন এই রাজ্য এক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম হয়ে উঠল। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে এখন দেশ-বিদেশের ভক্ত ও পর্যটকরা নয়না দেবী, চিন্তপূর্ণি, জোয়ালা দেবী, কাঙড়া দেবীর মতো আমাদের পবিত্র শক্তিপীঠগুলির পাশাপাশি, আমাদের আনন্দপুর সাহিবে সহজেই অনেক কম সময়ে আসতে পারবেন। ঊনার মতো পবিত্র শহরে যেখানে গুরু নানক দেবজীর উত্তর পুরুষরা থাকেন, সেখানকার জন্য এই প্রকল্প দ্বিগুণ উপহার নিয়ে এসেছে।

করতারপুর করিডর চালু করার মাধ্যমে আমাদের সরকার যে পুণ্য অর্জন করেছে, বন্দে ভারত ট্রেন সেই পুণ্যকে আরও বাড়িয়ে দেবে। আপনারা জানেন, আগেই মা বৈষ্ণদেবী দর্শনের জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর আজ এখানকার শক্তিপীঠও এই আধুনিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ভক্ত ও পর্যটকরা ছাড়াও, দেশের অন্যান্য শহরে কর্মরত হিমাচলের জনগণও অনেক উপকৃত হবেন।

দীর্ঘকাল ধরে হিমাচল প্রদেশের যুবক-যুবতীরা নিজের রাজ্যের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। আপনাদের এই আকাঙ্খার কথা আমরা ক্ষমতায় আসার গোড়া থেকেই ভেবেছি। আর কোনও কাজকে থামিয়ে রাখা, ঝুলিয়ে রাখা, বিভ্রান্ত রাখা, ভুলে যাওয়া – এটা আমাদের পথ নয়। আমরা যে সিদ্ধান্ত নিই, তা বাস্তবায়নে সংকল্প করি আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিণাম এনে দেখাই। আপনারা কি বলতে পারেন, হিমাচল প্রদেশের যুবক-যুবতীদের নিজের রাজ্যের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার স্বপ্ন কেন সফল হয়নি? তাঁরা কেন বঞ্চিত ছিলেন? মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এমনকি ফার্মেসি নিয়ে পড়াশুনার জন্যও তাঁদের কেন প্রতিবেশী রাজ্যে যেতে হ’ত?

বন্ধুগণ,

পূর্ববর্তী সরকারগুলি হিমাচল প্রদেশের সামর্থ ছিল না বলে গুরুত্ব দিত না, তা নয়, সংসদে হিমাচল প্রদেশ থেকে হাতে গোণা কয়েকজন মাত্র প্রতিনিধি যেতেন বলে তাঁরা এখানকার উন্নয়নকে উপেক্ষা করতেন। হিমাচল প্রদেশের জনগণকে তাই রাজ্যের মধ্যেই আইআইটি, আইআইআইটি, আইআইএম পড়ার জন্য, এইমস্‌ হাসপাতালের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের দরকার ছিল। আজ ঊনাতে আইআইআইটি-র স্থায়ী ভবন নির্মিত হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে। এখান থেকে পাশ করে বেরিয়ে হিমাচল প্রদেশের সন্তান-সন্ততিরা এই রাজ্যের ডিজিটাল বিপ্লবকে আরও শক্তিশালী করে তুলবেন।

আমার মনে আছে, আপনারা আমাকেই এই আইআইআইটি ভবন শিলান্যাসের সুযোগ দিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের অভ্যাস অনুযায়ী, নিজের শিলান্যাস করা ভবনটি নিজেই উদ্বোধন করতে পারছি। এটাই তো প্রকৃত পরিবর্তন। আমাদের জমানায় শিলান্যাস আমরা করি – উদ্বোধনও আমরাই করি। এটাই ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজ করার পদ্ধতি। আমাদের সরকার যে সংকল্প নেয় – তা বাস্তবায়িত করে ছাড়ে। আমি এই আইআইআইটি-র স্থায়ী ভবন গড়ে তোলার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, তাঁরা কোভিড সঙ্কটকালেও এই কাজ দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করেছেন।

বন্ধুগণ,

নবীন প্রজন্মের দক্ষতা ও তাঁদের সামর্থকে তুলে ধরা আমাদের অনেক বড় অগ্রাধিকার। সেজন্য গোটা দেশে উদ্ভাবন এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মতৎপরতাকে বিস্তৃত করা হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশের জন্য এটা সূত্রপাত মাত্র। এখন নানাধরনের দক্ষতা তাঁদেরকে সেনাবাহিনীতেও আরও উঁচু পদে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। উন্নত হিমাচল প্রদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্রমাগত আপনাদের পাশে থাকবে।

বন্ধুগণ,

যখন স্বপ্নগুলি বড় হয়, সংকল্পগুলি বিরাট হয়, তখন সেরকম বড় মাপের প্রচেষ্টাও করতে হয়। আজ আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে এই প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেজন্য আমি জানি, হিমাচল প্রদেশের জনগণও পুরনো প্রথাগুলি বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ঠিক বলছি কিনা? আপনারা দৃঢ় সংকল্প, তাই এখন আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার নতুন ইতিহাস রচনা করবে। আর হিমাচল প্রদেশের জনগণ নতুন প্রথা গড়ে তুলবে।

আমি মনে করি, স্বাধীনতার অমৃতকালে এখন হিমাচল প্রদেশে উন্নয়নের স্বর্ণ যুগ শুরু হতে চলেছে। এই স্বর্ণ যুগ হিমাচল প্রদেশকে উন্নয়নের সেই উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যার জন্য আপনাদের সকলকে দশকের পর দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমি আরেকবার এই সকল প্রকল্পের জন্য আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করি। আগামী দিনগুলিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেসব উৎসব আপনারা উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করবেন, সেগুলির জন্য হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভারতমাতা কি জয়,

ভারতমাতা কি জয়,

ভারতমাতা কি জয়,

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism

Media Coverage

Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Congress and RJD only do politics of insult and abuse: PM Modi in Bhabua, Bihar
November 07, 2025
In Bhabua, PM Modi urges voters: One vote for the NDA can stop infiltrators; one vote can protect your identity
They will shake you down, drag people from their homes and run a reign of terror as their own songs glorify violence: PM Modi takes a dig at opposition
Congress leaders never talk about the RJD’s manifesto, calling it ‘a bunch of lies’: PM Modi at Bhabua rally

भारत माता की... भारत माता की... भारत माता की...
मां मुंडेश्वरी के ई पावन भूमि पर रऊआ सब के अभिनंदन करअ तानी।

कैमूर की इस पावन भूमि पर चारों दिशाओं से आशीर्वाद बरसता है। मां बिंध्यवासिनी, मां ताराचंडी, मां तुतला भवानी, मां छेरवारी, सब यहीं आसपास विराजती हैं। चारों ओर शक्ति ही शक्ति का साम्राज्य है। और मेरे सामने...विशाल मातृशक्ति है...जिनका आशीर्वाद हमेशा हम सभी पर रहा है... NDA पर रहा है। और मैं बिहार की मातृशक्ति का आभारी हूं। पहले चरण में NDA के उम्मीदवारों के पक्ष में जबरदस्त मतदान हुआ है। अब कैमूर की बारी है...अब रोहतास की बारी है...मैं इस मंच पर NDA के इन सभी उम्मीदवारों के लिए...आप सभी का साथ और समर्थन मांगने आया हूं। आपके आशीर्वाद मांगने के लिए आया हूं.. तो मेरे साथ बोलिए... फिर एक बार...फिर एक बार...NDA सरकार! फिर एक बार... फिर एक बार... फिर एक बार... बिहार में फिर से...सुशासन सरकार !

साथियों,
जब ये चुनाव शुरू हुआ था...तो RJD और कांग्रेस के लोग फूल-फूल के गुब्बारा हुए जा रहे थे।और RJD और कांग्रेस के नामदार आसमान पर पहुंचे हुए थे। लेकिन चुनाव प्रचार के दौरान RJD-कांग्रेस के गुब्बारे की हवा निकलनी शुरू हुई...और पहले चरण के बाद इनका गुब्बारा पूरी तरह फूट गया है। अब तो आरजेडी-कांग्रेस का इकोसिस्टम...उनके समर्थक भी कह रहे हैं...फिर एक बार... फिर एक बार...NDA सरकार!

साथियों,
आरजेडी-कांग्रेस ने बिहार के युवाओं को भ्रमित करने की बहुत कोशिश की..लेकिन उनकी सारी प्लानिंग फेल हो गई...इसका एक बहुत बड़ा कारण है...बिहार का जागरूक नौजवान... बिहार का नौजवान ये देख रहा है कि आरजेडी-कांग्रेस वालों के इरादे क्या हैं।

साथियों,
जंगलराज के युवराज से जब भी पूछा जाता है कि जो बड़े-बडे झूठ उन्होंने बोले हैं...वो पूरे कैसे करेंगे...तो वो कहते हैं...उनके पास प्लान है... और जब पूछा जाता है कि भाई बताओ कि प्लान क्या है.. तो उनके मुंह में दही जम जाता है, मुंह में ताला लग जाता है.. उत्तर ही नहीं दे पाते।

साथियों,
आरजेडी वालों का जो प्लान है...उससे मैं आज आप सब को, बिहार को और देश को भी सतर्क कर रहा हूं। आप देखिए....आरजेडी के नेताओं के किस तरह के गाने वायरल हो रहे हैं। चुनाव प्रचार के जो गाने हैं कैसे गाने वायरल हो रहे हैं। आरजेडी वालों का एक गाना है...आपने भी सुना होगा आपने भी वीडियों में देखा होगा। आरजेडी वालों का एक गाना है। आएगी भइया की सरकार... क्या बोलते हैं आएगी भइया की सरकार, बनेंगे रंगदार! आप सोचिए...ये RJD वाले इंतजार कर रहे हैं कि कब उनकी सरकार आए और कब अपहरण-रंगदारी ये पुराना गोरखधंधा फिर से शुरू हो जाए। RJD वाले आपको रोजगार नहीं देंगे...ये तो आपसे रंगदारी वसूलेंगे.. रंगदारी ।

साथियों,
RJD वालों का एक और गाना है... अब देखिए, ये क्या-क्या कर रहे हैं, क्या-क्या सोच रहे हैं...और मैं तो देशवासियों से कहूंगा। देखिए, ये बिहार में जमानत पर जो लोग हैं वो कैसे लोग है.. उनका क्या गाना है भइया के आबे दे सत्ता... भइया के आबे दे सत्ता...कट्टा सटा के उठा लेब घरवा से, आप अंदाजा लगा सकते हैं कि ये जंगलराज वाले सरकार में वापसी के लिए क्यों इतना बेचैन हैं। इन्हें जनता की सेवा नहीं करनी...इन्हें जनता को कट्टा दिखाकर लूटना है...उन्हें घर से उठवा लेना है। साथियों, आरजेडी का एक और गाना चल रहा है...बताऊं... बताऊं.. कैसा गाना चल रहा है.. मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...यही इनका तौर-तरीका है...यही इनका प्लान है...इनसे कोई भी सवाल पूछेगा तो यही जवाब मिलेगा...मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...

साथियों,
यही जंगलराज की आहट है। ये बहनों-बेटियों को गरीब, दलित-महादलित, पिछड़े, अतिपिछड़े समाज के लोगों को डराने का प्रयास है। भय पैदा करने का खेल है इनका। साथियों, जंगलराज वाले कभी कोई निर्माण कर ही नहीं सकते वे तो बर्बादी और बदहाली के प्रतीक हैं। इनकी करतूतें देखनी हों तो डालमिया नगर में दिखती हैं। रोहतास के लोग इस बात को अच्छी तरह जानते हैं।
((साथी आप तस्वीर लाए हैं, मैं अपनी टीम को कहता हूं वे ले लेते हैं, लेकिन आप तस्वीर ऊपर करते हैं तो पीछे दिखता नहीं है। मैं आपका आभारी हूं। आप ले आए हैं... मैं मेरे टीम को कहता हूं, जरा ले लीजिए भाई। और आप बैठिए नीचे। वे ले लेंगे। बैठिए, पीछे औरों को रुकावट होती है.. ठीक है भैया ))

साथियों,
अंग्रेज़ों के जमाने में डालमिया नगर की नींव पड़ी थी। दशकों के परिश्रम के बाद। एक फलता-फूलता औद्योगिक नगर बनता जा रहा था। लेकिन फिर कुशासन की राजनीति आ गई। कुशासन की राजनीति आ गई, जंगलराज आ गया। फिरौती, रंगदारी, करप्शन, कट-कमीशन, हत्या, अपहरण, धमकी, हड़ताल यही सब होने लगा। देखते ही देखते जंगलराज ने सबकुछ तबाह कर दिया।

साथियों,
जंगलराज ने बिहार में विकास की हर संभावना की भ्रूण हत्या करने का काम किया था। मैं आपको एक और उदाहरण याद दिलाता हूं। आप कैमूर में देखिए, प्रकृति ने क्या कुछ नहीं दिया है। ये आकर्षक पर्यटक स्थलों में से एक हो सकता था। लेकिन जंगलराज ने ये कभी होने नहीं दिया। जहां कानून का राज ना हो...जहां माओवादी आतंक हो बढ़ रहा हो.. क्या वहां पर कोई टूरिज्म जाएगा क्या? जरा बताइए ना जाएगा क्या? नहीं जाएगा ना.. नीतीश जी ने आपके इस क्षेत्र को उस भयानक स्थिति से बाहर निकाला है। मुझे खुशी है कि अब धीरे-धीरे यहा पर्यटकों की संख्या बढ़ रही है। जिस कर्कटगढ़ वॉटरफॉल... उस वाटरफॉल के आसपास माओवादी आतंक का खौफ होता था। आज वहां पर्यटकों की रौनक रहती है... यहां जो हमारे धाम हैं...वहां तीर्थ यात्रियों की संख्या लगातार बढ़ रही है। जागृत देवता हरषू ब्रह्म के दर्शन करने लोग आते हैं। आज यहां नक्सलवाद...माओवादी आतंक दम तोड़ रहा है....

साथियों,
यहां उद्योगों और पर्यटन की जो संभावनाएं बनी हैं... इसका हमें और तेजी से विस्तार करना है...देश-विदेश से लोग यहां बिहार में पूंजी लगाने के लिए तैयार हैं...बस उन्हें लालटेन, पंजे और लाल झंडे की तस्वीर भी नहीं दिखनी चाहिए। अगर दिख गई.. तो वे दरवाजे से ही लौट जाएंगे इसलिए हमें संकल्प लेना है...हमें बिहार को जंगलराज से दूर रखना है।

साथियों,
बिहार के इस चुनाव में एक बहुत ही खास बात हुई है। इस चुनाव ने कांग्रेस-आरजेडी के बीच लड़ाई को सबके सामने ला दिया है। कांग्रेस-आरजेडी की जो दीवार है ना वो टूट चुकी है कांग्रेस-आरजेडी की टूटी दीवार पर ये लोग चाहे जितना ‘पलस्तर’ कर लें... अब दोनों पार्टियों के बीच खाई गहरी होती जा रही है। पलस्तर से काम चलने वाला नहीं है। आप देखिए, इस क्षेत्र में भी कांग्रेस के नामदार ने रैलियां कीं। लेकिन पटना के नामदार का नाम नहीं लिया। कितनी छुआछूत है देखिए, वो पटना के नामदार का नाम लेने को तैयार नहीं है। कांग्रेस के नामदार दुनिया-जहां की कहानियां कहते हैं, लेकिन आरजेडी के घोषणापत्र पर, कोई सवाल पूछे कि भाई आरजेडी ने बड़े-बड़े वादे किए हैं इस पर क्या कहना है तो कांग्रेस के नामदार के मुंह पर ताला लग जाता है। ये कांग्रेस के नामदार अपने घोषणापत्र की झूठी तारीफ तक नहीं कर पा रहे हैं। एक दूसरे को गिराने में जुटे ये लोग बिहार के विकास को कभी गति नहीं दे सकते।

साथियों,
ये लोग अपने परिवार के अलावा किसी को नहीं मानते। कांग्रेस ने बाबा साहेब आंबेडकर की राजनीति खत्म की...क्योंकि बाब साहेब का कद दिल्ली में बैठे शाही रिवार से ऊंचा था। इन्होंने बाबू जगजीवन राम को भी सहन नहीं किया। सीताराम केसरी...उनके साथ भी ऐसा ही किया. बिहार के एक से बढ़कर एक दिग्गज नेता को अपमानित करना यही शाही परिवार का खेल रहा है। जबकि साथियों, भाजपा के, NDA के संस्कार...सबको सम्मान देने के हैं...सबको साथ लेकर चलने के हैं।

हमें लाल मुनी चौबे जी जैसे वरिष्ठों ने सिखाया है...संस्कार दिए हैं। यहां भभुआ में भाजपा परिवार के पूर्व विधायक, आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी भी हमारी प्रेरणा हैं...अब तो वो सौ के निकट जा रहे हैं.. 96 साल के हो चुके हैं... और जब कोरोना का संकट आया तब हम हमारे सभी सीनियर को फोन कर रहा था। तो मैंने मिश्राजी को भी फोन किया। चंद्रमौली जी से मैंने हालचाल पूछे। और मैं हैरान था कि ये उमर, लेकिन फोन पर वो मेरा हाल पूछ रहे थे, वो मेरा हौसला बढ़ा रहे थे। ये इस धरती में आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी जैसे व्यक्तित्वों से सीखते हुए हम भाजपा के कार्यकर्ता आगे बढ़ रहे हैं।

साथियों,
ऐसे वरिष्ठों से मिले संस्कारों ने हमें राष्ट्रभक्तों का देश के लिए जीने-मरने वालों का सम्मान करना सिखाया है। इसलिए, हमने बाबा साहेब आंबेडकर से जुड़े स्थानों को पंचतीर्थ के रूप में विकसित किया। और मैं तो काशी का सांसद हूं, मेरे लिए बड़े गर्व की बात है कि बनारस संत रविदास जी की जन्मभूमि है। संत रविदास की जयंति पर...मुझे कई बार वहां जाने का सौभाग्य प्राप्त हुआ है। 10-11 साल पहले वहां क्या स्थिति थी...और आज वहां कितनी सुविधाएं श्रद्धालुओं के लिए बनी हैं... इसकी चर्चा बनारस में, और बनारस के बाहर भी सभी समाजों में होती है।

साथियों,
बनारस ही नहीं...भाजपा सरकार मध्य प्रदेश के सागर में भी संत रविदास का भव्य मंदिर और स्मारक बना रही है। हाल ही में...मुझे कर्पूरी ग्राम जाने का अवसर मिला था..वहां पिछले कुछ वर्षों में सड़क, बिजली, पानी, शिक्षा और स्वास्थ्य से जुड़ी सुविधाओं का विस्तार हुआ है। कर्पूरीग्राम रेलवे स्टेशन को आधुनिक बनाया जा रहा है। साथियों, ये हमारी ही सरकार है...जो देशभर में आदिवासी स्वतंत्रता सेनानियों के स्मारक बना रही है। भगवान बिरसा मुंडा के जन्मदिवस को...हमने जनजातीय गौरव दिवस घोषित किया है। 1857 के क्रांतिवीर...वीर कुंवर सिंह जी की विरासत से भावी पीढ़ियां प्रेरित हों...इसके लिए हर वर्ष व्यापक तौर पर विजय दिवस का आयोजन किया जा रहा है।

साथियों,
कैमूर को धान का कटोरा कहा जाता है। और हमारे भभुआ के मोकरी चावल की मांग दुनियाभर में हो रही है। प्रभु श्रीराम को भोग में यही मोकरी का चावल अर्पित किया जाता है। राम रसोई में भी यही चावल मिलता है। आप मुझे बताइए साथियों, आप अयोध्या का राम मंदिर देखते हैं। या उसके विषय में सुनते हैं। यहां पर बैठा हर कोई मुझे जवाब दे, जब राममंदिर आप देखते हैं या उसके बारे में सुनते हैं तो आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? माताओं-बहनों आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? भव्य राम मंदिर का आपको आनंद आता है कि नहीं आता है? आप काशी में बाबा विश्वनाथ का धाम देखते हैं, आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? आपका हृदय गर्व से भर जाता है कि नहीं भर जाता है? आपका माथा ऊंचा होता है कि नहीं होता है? आपको तो गर्व होता है। हर हिंदुस्तानी को गर्व होता है, लेकिन कांग्रेस-RJD के नेताओं को नहीं होता। ये लोग दुनियाभर में घूमते-फिरते हैं, लेकिन अयोध्या नहीं जाते। राम जी में इनकी आस्था नहीं है और रामजी के खिलाफ अनाप-शनाप बोल चुके हैं। उनको लगता है कि अगर अयोध्या जाएंगे, प्रभु राम के दर्शन करेंगे तो उनके वोट ही चले जाएंगे, डरते हैं। उनकी आस्था नाम की कोई चीज ही नहीं है। लेकिन मैं इनलोगों से जरा पूछना चाहता हूं.. ठीक है भाई चलो भगवान राम से आपको जरा भय लगता होगा लेकिन राम मंदिर परिसर में ही, आप मे से तो लोग गए होंगे। उसी राम मंदिर परिसर में भगवान राम विराजमान हैं, वहीं पर माता शबरी का मंदिर बना है। महर्षि वाल्मीकि का मंदिर बना है। वहीं पर निषादराज का मंदिर बना है। आरजेडी और कांग्रेस के लोग अगर रामजी के पास नहीं जाना है तो तुम्हारा नसीब, लेकिन वाल्मीकि जी के मंदिर में माथा टेकने में तुम्हारा क्या जाता है। शबरी माता के सामने सर झुकाने में तुम्हारा क्या जाता है। अरे निषादराज के चरणों में कुछ पल बैठने में तुम्हारा क्या जाता है। ये इसलिए क्योंकि वे समाज के ऐसे दिव्य पुरुषों को नफरत करते हैं। अपने-आपको ही शहंशाह मानते हैं। और इनका इरादा देखिए, अभी छठ मैया, छठी मैया, पूरी दुनिया छठी मैया के प्रति सर झुका रही है। हिंदुस्तान के कोने-कोने में छठी मैया की पूजा होने लगी है। और मेरे बिहार में तो ये मेरी माताएं-बहनें तीन दिन तक इतना कठिन व्रत करती है और आखिर में तो पानी तक छोड़ देती हैं। ऐसी तपस्या करती है। ऐसा महत्वपूर्ण हमारा त्योहार, छठी मैया की पूजा ये कांग्रेस के नामदार छठी मैया की इस पूजा को, छटी मैया की इस साधना को, छठी मैया की इस तपस्या को ये ड्रामा कहते हैं.. नौटंकी कहते हैं.. मेरी माताएं आप बताइए.. ये छठी मैया का अपमान है कि नहीं है? ये छठी मैया का घोर अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? ये छठी मैया के व्रत रखने वाली माताओ-बहनों का अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? मुझे बताइए मेरी छठी मैया का अपमान करे उसको सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? पूरी ताकत से बताइए उसे सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? अब मैं आपसे आग्रह करता हूं। अभी आपके पास मौका है उनको सजा करने का। 11 नवंबर को आपके एक वोट से उन्हें सजा मिल सकती है। सजा दोगे? सब लोग सजा दोगे?

साथियों,
ये आरजेडी-कांग्रेस वाले हमारी आस्था का अपमान इसलिए करते हैं, हमारी छठी मैया का अपमान इसलिए करते हैं। हमारे भगवान राम का अपमान इसलिए करते हैं ताकि कट्टरपंथी खुश रहें। इनका वोटबैंक नाराज ना हो।

साथियों,
ये जंगलराज वाले, तुष्टिकरण की राजनीति में एक कदम और आगे बढ़ गए हैं। ये अब घुसपैठियों का सुरक्षा कवच बन रहे हैं। हमारी सरकार गरीबों को मुफ्त अनाज-मुफ्त इलाज की सुविधा देती है। RJD-कांग्रेस के नेता कहते हैं ये सुविधा घुसपैठियों को भी देना चाहिए। गरीब को जो पक्का आवास हम दे रहे हैं, वो घुसपैठियों को भी देना चाहिए ऐसा कह रहे हैं। मैं जरा आपसे पूछना चाहता हूं, क्या आपके हक का अनाज घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके हक का आवास घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके बच्चों का रोजगार घुसपैठियों को जाना चाहिए क्या? भाइयों-बहनों मैं आज कहना नहीं चाहता लेकिन तेलंगाना में उनके एक मुख्यमंत्री के भाषण की बड़ी चर्चा चल रही है। लेकिन दिल्ली में एयरकंडीसन कमरों में जो सेक्युलर बैठे हैं ना उनके मुंह में ताला लग गया है। उनका भाषण चौंकाने वाला है। मैं उसकी चर्चा जरा चुनाव के बाद करने वाला हूं। अभी मुझे करनी नहीं है। लेकिन मैं आपसे कहना चाहता हूं मैं आपको जगाने आया हूं। मैं आपको चेताने आया हूं। इनको, कांग्रेस आरजेडी इन जंगलराज वालों को अगर गलती से भी वोट गया तो ये पिछले दरवाज़े से घुसपैठियों को भारत की नागरिकता दे देंगे। फिर आदिवासियों के खेतों में महादलितों-अतिपिछड़ों के टोलों में घुसपैठियों का ही बोलबाला होगा। इसलिए मेरी एक बात गांठ बांध लीजिए। आपका एक वोट घुसपैठियों को रोकेगा। आपका एक वोट आपकी पहचान की रक्षा करेगा।

साथियों,
नरेंद्र और नीतीश की जोड़ी ने बीते वर्षों में यहां रोड, रेल, बिजली, पानी हर प्रकार की सुविधाएं पहुंचाई हैं। अब इस जोड़ी को और मजबूत करना है। पीएम किसान सम्मान निधि के तहत...किसानों को अभी छह हज़ार रुपए मिलते हैं।बिहार में फिर से सरकार बनने पर...तीन हजार रुपए अतिरिक्त मिलेंगे। यानी कुल नौ हज़ार रुपए मिलेंगे। मछली पालकों के लिए अभी पीएम मत्स्य संपदा योजना चल रही है। केंद्र सरकार...मछली पालकों को किसान क्रेडिट कार्ड दे रही है। अब NDA ने..मछुआरे साथियों के लिए जुब्बा सहनी जी के नाम पर नई योजना बनाने का फैसला लिया है। इसके तहत मछली के काम से जुड़े परिवारों को भी नौ हज़ार रुपए दिए जाएंगे।

साथियों,
डबल इंजन सरकार का बहुत अधिक फायदा...हमारी बहनों-बेटियों को हो रहा है। हमारी सरकार ने..बेटियों के लिए सेना में नए अवसरों के दरवाज़े खोले हैं...सैनिक स्कूलों में अब बेटियां भी पढ़ाई कर रही हैं। यहां नीतीश जी की सरकार ने...बेटियों को नौकरियों में आरक्षण दिया है। मोदी का मिशन है कि बिहार की लाखों बहनें...लखपति दीदी बनें। नीतीश जी की सरकार ने भी जीविका दीदियों के रूप में, बहनों को और सशक्त किया है।

साथियों,
आजकल चारों ओर मुख्यमंत्री महिला रोजगार योजना की चर्चा है। अभी तक एक करोड़ 40 लाख बहनों के बैंक-खाते में दस-दस हज़ार रुपए जमा हो चुके हैं। NDA ने घोषणा की है कि फिर से सरकार बनने के बाद...इस योजना का और विस्तार किया जाएगा।

साथियों,
बिहार आज विकास की नई गाथा लिख रहा है। अब ये रफ्तार रुकनी नहीं चाहिए। आपको खुद भी मतदान करना है...और जो साथी त्योहार मनाने के लिए गांव आए हैं... उनको भी कहना है कि वोट डालकर ही वापस लौटें...याद रखिएगा...जब हम एक-एक बूथ जीतेंगे...तभी चुनाव जीतेंगे। जो बूथ जीतेगा वह चुनाव जीतेगा। एक बार फिर...मैं अपने इन साथियों के लिए, मेरे सभी उम्मीदवारों से मैं आग्रह करता हूं कि आप आगे आ जाइए.. बस-बस.. यहीं रहेंगे तो चलेगा.. मैं मेरे इन सभी साथियों से उनके लिए आपसे आशीर्वाद मांगने आया हूं। आप सभी इन सब को विजयी बनाइए।

मेरे साथ बोलिए...
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
वंदे... वंदे... वंदे... वंदे...
बहुत-बहुत धन्यवाद।