It is a matter of great joy to have handed over appointment letters for government jobs to 51 thousand youth in the Rozgar Mela
It is our commitment that the youth of the country should get maximum employment: PM
Today India is moving towards becoming the third largest economy in the world: PM
We promoted Make in India in every new technology,We worked on self-reliant India: PM
Under the Prime Minister's Internship Scheme, provision has been made for paid internships in the top 500 companies of India: PM

নমস্কার!

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠানে সামিল আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী, সাংসদ, বিধায়ক, নবীন প্রজন্মের বন্ধু এবং সুধীবৃন্দ!

ধনতেরাসের এই শুভলগ্নে আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। দু’দিন পরেই দীপাবলি। এবার এই উৎসব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের মনে হতে পারে, এবারের দীপাবলি বিশেষ কেন? কারণ, প্রতি বছরই এর উদযাপন হয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করি এবার। ৫০০ বছর পর ভগবান শ্রীরাম (রাম লালা) এখন অযোধ্যার অসাধারণ মন্দিরে অধিষ্ঠিত। ওই মন্দিরে রাম লালার অধিষ্ঠানের পর এটাই প্রথম দীপাবলি। এই মুহূর্তটির জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম অপেক্ষা করে থেকেছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ কঠিন পরিস্থিতি সহ্য করেছেন ও আত্মবলিদান করেছেন। এরকম একটি অসাধারণ দীপাবলির সাক্ষী হতে পেরে আমরা অবশ্যই সৌভাগ্যবান।

উৎসবের এই সময়ে ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে এই রোজগার মেলার মাধ্যমে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হল। প্রত্যেককে আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুরা,

কেন্দ্রীয় সরকার দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের কাজ করে যাচ্ছে অক্লান্তভাবে। বিজেপি এবং এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। সম্প্রতি হরিয়ানায় নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর চাকরি পেয়েছেন ২৬ হাজার তরুণ-তরুণী। হরিয়ানার পরিস্থিতি সম্পর্কে যাঁরা অবহিত, তাঁরা জানেন যে সেখানে এখন উৎসবের আমেজ। তরুণ-তরুণীরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় পূর্ণ। হরিয়ানায় আমাদের সরকার একটি বিশেষ কারণে সুপরিচিত – সেখানে অনভিপ্রেত পন্থায় কাউকে কাজ পেতে হয় না। আজ হরিয়ানার যে ২৬ হাজার তরুণ-তরুণী নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁদের আমি বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাই। হরিয়ানায় ২৬ হাজার এবং দেশের অন্য প্রান্ত মিলিয়ে ৫১ হাজার নিয়োগপত্রের বিতরণকে আমরা উদযাপন করি সাফল্য হিসেবে। 

 

বন্ধুরা,

দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমাদের দায়বদ্ধতা। এই সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তে এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আজ সড়ক, রেলপথ, বন্দর, বিমানবন্দর, ফাইবার লাইন, মোবাইল টাওয়ার তৈরির কাজ চলেছে দেশজুড়ে। প্রতিটি প্রান্তে গড়ে উঠছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা, শিল্পায়িত শহর, তৈরি হচ্ছে জল এবং গ্যাসের পাইপলাইন। গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়। পরিকাঠামোগত এই বিকাশের মাধ্যমে সরকার লজিস্টিক্সের খরচ কমাতে চায়। এ ধরনের উদ্যোগের সুবাদে নাগরিকদের সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি, লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। 

বন্ধুরা,

এই গতকালই ভদোদরায় আমি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য বিমান নির্মাণের একটি কারখানার উদ্বোধন করেছি। এর ফলে হাজার হাজার প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু, তার অতিরিক্ত আরও বেশি সংখ্যায় কাজের সুযোগ তৈরি হবে বিমান তৈরির যন্ত্রাংশ নির্মাণের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায়। এইসব যন্ত্রাংশ নির্মাণের কাজ হবে ছোট ছোট কারখানায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি এইসব যন্ত্রাংশ নির্মাণের বরাত পাবে। একটি বিমানে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ছোট-বড় যন্ত্রাংশ থাকে। সবমিলিয়ে দেশের হাজার হাজার কারখানা এইসব সরবরাহের কাজ পাবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করে তোলার পাশাপাশি, কর্মসংস্থান হবে অসংখ্য মানুষের। 

বন্ধুরা,

আজ যখন আমরা একটি প্রকল্প চালু করি, তখন তার থেকে সাধারণ মানুষ কতটা সুবিধা পাবেন, শুধুমাত্র সেই পর্যন্তই আমাদের দৃষ্টি সীমাবদ্ধ থাকে না। আমরা আরও বৃহৎ পরিসরে বিষয়টিকে দেখি। আমরা এমন একটি পরিমণ্ডল তৈরি করতে চাই, যাতে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটে। যেমন ধরুন, পিএম সূর্যঘর মাশুল শূন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প। ওপরে ওপরে মনে হতে পারে, এর লক্ষ্য হল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কিন্তু বিশদে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে এর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তৃত আরও অনেক বড় ক্ষেত্রে। গত ছ’মাসে ১.২৫ থেকে ১.৫ কোটি মানুষ এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন। যন্ত্র বসানোর কাজে সামিল বিক্রেতার সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি এবং ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে সৌর প্যানেল ইতিমধ্যেই বসে গেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮০০ সৌরশক্তি-চালিত গ্রাম তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়াও, ৩০ হাজার মানুষকে বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র এই প্রকল্পটির সুবাদেই উৎপাদনকারী, বিক্রেতা, সৌর প্যানেল বসানোর কর্মী, মেরামতের কর্মী – সবমিলিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হয়ে উঠছে। প্রকল্পটি সারা দেশে অসংখ্য মানুষের সামনে জীবিকার্জনের সুযোগ এনে দেবে। 

 

বন্ধুরা,

আরও একটি উদাহরণ টানা যাক। স্বাধীনতার সময় থেকেই আমাদের দেশে খাদি নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছে। কিন্তু এখন খাদি গ্রাম শিল্পের যে প্রসার হয়েছে, সেকথা ভেবে দেখুন। বিগত ১০ বছরে আমাদের সরকারের নীতির সুবাদে এক্ষেত্রে বৈপ্লবিক রূপান্তর সাধন সম্ভব হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় আর্থিক সুরাহা হয়েছে বহু মানুষের। আজ খাদি গ্রাম শিল্পের মাধ্যমে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আসে। এবার এক দশক আগের কথা ভাবা যাক। ডঃ জিতেন্দ্র সিং সম্প্রতি পূর্বতন এবং বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি চাকরির হালচাল নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। ফারাকটি সত্যিই আশ্চর্যজনক। ইউপিএ সরকারের সময়ের তুলনায় খাদির বিক্রি ৪০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এর অর্থ হল, কারিগর, তাঁতি এবং ব্যবসায়ীরা এখন লাভের মুখ দেখছেন। এই ক্ষেত্রটিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাচ্ছে। 

ঠিক একইভাবে, আমাদের লাখপতি দিদি যোজনা গ্রামের মহিলাদের নিযুক্তি ও স্বনিযুক্তির নতুন পথ খুলে দিয়েছে। বিগত ১০ বছরে ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সামিল হয়ে উপার্জন করছেন। কঠোর পরিশ্রম করছেন তাঁরা। সরকার সব ক্ষেত্রে তাঁদের পাশে রয়েছে। এঁদের মধ্যে থেকেই ৩ কোটি মহিলাকে “লাখপতি দিদি” তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ, শুধু উপার্জনের ব্যবস্থাটুকুই নয়, আয় বৃদ্ধির বিষয়টিও সরকারের চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে। এই কর্মসূচির সুবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১.২৫ কোটি মহিলা বার্ষিক ১ লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জনে সক্ষম হয়ে উঠেছেন।

বন্ধুরা,

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত। এই গতি আগে কেন পরিলক্ষিত হয়নি, তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন তুলছেন যুবারা। উত্তরটি সহজ : আগের সরকারের এই নিয়ে কোনো নীতি বা সদিচ্ছা ছিল না। 

বন্ধুরা,

আপনারা ভেবে দেখুন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত আগে কিভাবে পিছিয়ে থাকত – বিশেষত প্রযুক্তির প্রশ্নে। বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হত, কিন্তু ভারতকে অপেক্ষা করতে হত কখন আমাদের দেশে তা আসবে। যখনও বা সেইসব প্রযুক্তি আমাদের দেশে পৌঁছত, পশ্চিমী দুনিয়ায় তা হয়ে যেত সেকেলে। একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল যে আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভব হতে পারে না এবং এই মনোভাব দারুণ ক্ষতি করেছে। আধুনিক বিকাশের প্রশ্নেই শুধু নয়, কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ হারিয়েছে ভারত। আধুনিক, কর্মসংস্থানের সহায়ক শিল্প ছাড়া চাকরি তৈরি হবে কিভাবে? সেজন্যই আমরা পূর্বতন সরকারের সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গীর জাঁতাকল থেকে বেরিয়ে আসার কাজ শুরু করি। মহাকাশ থেকে সেমি-কন্ডাক্টর, বৈদ্যুতিন থেকে বৈদ্যুতিক যান – সবক্ষেত্রেই নতুন প্রযুক্তির প্রশ্নে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মন্ত্র গ্রহণ করেছি আমরা। আমরা এগিয়ে চলেছি আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এবং নতুন প্রযুক্তি ও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য চালু করেছি পিএলআই প্রকল্প। এর সুবাদে কর্মসংস্থানের প্রশ্নে নাটকীয় গতি এসেছে। আসছে বিপুল পরিমাণে লগ্নি। বিগত ৮ বছরে ১.৫ লক্ষেরও বেশি স্টার্ট-আপ তৈরি হয়েছে দেশে – ভারত হয়ে উঠেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ পরিমণ্ডলের দেশ। নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছেন নতুন প্রজন্মের মানুষ। 

বন্ধুরা,

দেশের যুবশক্তির ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দক্ষতায়নের প্রশ্নে বিশেষ জোর দিয়েছে সরকার। এজন্যই হাতে নেওয়া হয়েছে স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচি। বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হয়েছে দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র। দেশের যুব সমাজ যাতে অভিজ্ঞতা এবং সুযোগের অভাবে না ভোগে, তা নিশ্চিত করতে ভারতের ৫০০টি বাণিজ্যিক সংস্থায় সবেতন শিক্ষানবিশির ব্যবস্থা করা হয়েছে – শিক্ষানবিশরা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫ হাজার টাকা। আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতীর কাছে এই সুযোগ পৌঁছে দিতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। 

 

বন্ধুরা,

বিদেশে আমাদের যুবক-যুবতীরা যাতে নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার হদিশ পেতে পারেন, তার জন্যও প্রয়াসী ভারত সরকার। আপনারা হয়তো খবরের কাগজে পড়েছেন যে সম্প্রতি জার্মানি, বিশেষত ভারতের জন্য দক্ষ কর্মীগোষ্ঠী কৌশল নীতি গ্রহণ করেছে। আগে জার্মানি প্রতি বছর ২০ হাজার দক্ষ ভারতীয় যুবাকে ভিসা দিত। এই সংখ্যা ৯০ হাজারে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অর্থাৎ, প্রতি বছর জার্মানিতে ৯০ হাজার ভারতীয় তরুণ-তরুণী কাজের সুযোগ পাবেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উপদেশীয় বিভিন্ন দেশ এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, মরিশাস, ব্রিটেন এবং ইতালির মতো উন্নত সহ ২১টি দেশের সঙ্গে অভিবাসন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ভারত। প্রতি বছর ৩ হাজার ভারতীয় যুবক-যুবতী ব্রিটেনে পড়াশোনার জন্য দু’বছরের ভিসা পাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও সংখ্যাটি একই। 

বন্ধুরা,

আজ সরকারের প্রচেষ্টা হল এমন একটি আধুনিক পরিমণ্ডল তৈরি করা যাতে দেশের প্রতিটি যুবা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। এঁদের সব ধরনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে আপনাদের সকলকেই।

বন্ধুরা,

সরকারি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আপনাদের সফল করে তুলতে করদাতাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কাজেই তাঁদের সেবা করা আপনাদের কর্তব্য। ডাক-পিয়ন থেকে অধ্যাপক – সকলকেই তা মনে রাখতে হবে। বিশেষত, মনোনিবেশ করতে হবে দরিদ্র, প্রান্তিক, নিপীড়িত, আদিবাসী, মহিলা ও যুবাদের দিকে। 

আপনারা ভারত সরকারের কাজে যোগ দিচ্ছেন এমন একটা সময়ে, যখন নতুন ভারত গড়ার কাজ চলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। এই কাজ সফল হবে না আপনাদের অবদান ব্যতীত। তাই, শুধু ভালোভাবে কাজ করলেই চলবে না, কাজ করতে হবে নজিরবিহীনভাবে। আমাদের সরকারি কর্মীদের এমন উদাহরণ গড়ে তুলতে হবে যা নজির হয়ে উঠবে সারা বিশ্বের সামনে। এভাবেই মানুষের প্রত্যাশা পূরণের কাজ করে যেতে হবে আমাদের সকলকেই।

বন্ধুরা,

এই নিযুক্তির সুবাদে আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে এক নতুন যাত্রার সূচনা হচ্ছে। আমি আপনাদের প্রতি বিনয়ী ও নম্র থাকার আবেদন রাখছি। মনে রাখতে হবে, আমরা সেবক, শাসক নই। শেখার কাজে খামতি দেবেন না। সরকারি কর্মীদের জন্য রয়েছে iGOT কর্মযোগী মঞ্চ। সেখানে আপনারা পেয়ে যাবেন ডিজিটাল প্রশিক্ষণের সুযোগ। নিজের সুবিধামতো সময়ে বেছে নিন পছন্দের বিষয়। আপনাদের দক্ষতা ও জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করুন। 

 

আমি প্রত্যয়ী যে আপনাদের প্রয়াসের সুবাদে ২০৪৭ নাগাদ ভারত উন্নত দেশ হয়ে উঠবে। আজ আপনাদের বয়স হয়তো ২০, ২২ কিংবা ২৫; ওই সময়ে আপনারা পৌঁছবেন নিজের কর্মজীবনের মধ্যগগনে। গর্ব অনুভব করবেন যে আপনার ২৫ বছরের কঠোর পরিশ্রম নতুন ভারত গড়তে অবদান রেখেছে। কি অসাধারণ সুযোগ এবং গর্বের বিষয়! মনে রাখতে হবে, আপনি শুধু চাকরিই পাননি, পেয়েছেন অসাধারণ এক সুযোগ। তার সদ্ব্যবহার করুন, নিজের স্বপ্ন সফল করুন এবং মর্যাদা ও প্রত্যয়ের সঙ্গে জীবনযাপন করুন। উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণের আগে আমরা বিশ্রাম নেব না। নিবেদিতপ্রাণ হয়ে জনসেবায় সামিল হয়ে আমরা নিজেদের দায়িত্ব নির্বাহ করব।

আজ যাঁরা নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁদের প্রতি আরও একবার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আপনার পরিবার-পরিজনের কাছে আজ এক আনন্দময় দিন। তাঁদের প্রতিও আমার শুভেচ্ছা রইল। দীপাবলির সঙ্গে সঙ্গে এও আরও এক উদযাপন। এই মুহূর্ত উপভোগ করুন বন্ধুরা। 

ধন্যবাদ।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence

Media Coverage

World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।