We must plan for the future. We must plan adequately for growth of our cities: PM
Government of India is actively working on the Rurban Mission. This caters to those places that are growing & urbanising quickly: PM
Character & spirit of the village has to be preserved & at the same time we need to invigorate our villages with good facilities: PM
In this nation everybody is equal before the law and everyone has to follow the law: PM

মঞ্চে উপস্থিতসকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার পুণের প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আমাদের দেশেখুব দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, যে গতিতে নগরায়ন হচ্ছে,আমাদের দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের গ্রামে রোজগারেরসুযোগ তৈরি করতে হবে। জীবন মানের গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। যেসব সুবিধা শহরে আছেসেগুলি গ্রামেও চালু করতে হবে। শহরে যেসব সম্ভাবনা আছে, সেগুলি যাতে গ্রামেও হয়।যে সুযোগ শহরে পাওয়া যায়, তা যেন গ্রামেও পাওয়া যায়। তবেই আমরা গ্রাম থেকে শহরমুখীদৌড় কিছুটা কমিয়ে আনতে পারি। অন্যদিকে, যদি আমরা টুকরো টুকরো করে ভাবি, এই মাত্রতো জিতে এলাম। পাঁচ বছর পর আবার কী করে নির্বাচনে জিতে আসব যদি এভাবে চিন্তা করি,তা হলে আমরা কখনও শহরের সামনে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়ে আছে, তা কখনও জয় করতেপারব না এবং এই জন্যই তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক লাভ হোক না হোক, ২৫-৩০ বছর পর আমাদের শহরকেমন হবে, কতটুকু জল দরকার হবে, কতগুলি বিদ্যালয়, কতগুলি হাসপাতাল তৈরি করতে হবে,পথে যান চলাচল ও ভীড় কতটা বাড়বে – এর কী ব্যবস্থা হবে – এই ধরনের বিকাশেরদীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা যদি করি, তবেই আমরা দ্রুতগতিতে নগরায়নের সমস্যাগুলিরমোকাবিলা করতে পারব। দিল্লিতে আপনারা এখন যে সরকারকে শাসনের দায়িত্ব দিয়েছেন, সেইসরকার কাজের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক লাভের পরিবর্তে এক সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনে জোরদিয়েছে। আমরা গ্রামগুলির জন্য পরিকল্পনা গড়ে তুলেছি – ‘রারবান মিশন’। এই রারবানমিশন এমন পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে যে গ্রামগুলি ধীরে ধীরে শহরে পরিণত হয়ে যাচ্ছে,দেখতে দেখতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বড় শহরের ২০-২৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেরয়েছে। মরা দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে বলেছি, এ ধরনের গ্রামগুলিকে খুঁজে বের করুন।আমরা সেই গ্রামগুলিকে রারবান পরিকল্পনা অনুযায়ী, সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবছি। এইরারবান মিশনের সরাসরি অর্থ হল – আত্মা হবে গ্রামের আর পরিষেবা হবে শহরের। গ্রামেরআত্মা যেন অবিনশ্বর থাকে, সুরক্ষিত থাকে। একে লালন করতে হবে কিন্তু গ্রামবাসীদেরঅষ্টাদশ শতাব্দীর মতো পরিষেবা নিয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যাবে না। সেজন্য আমরারারবান মিশনের মাধ্যমে দেশের অসংখ্য গ্রামকে তুলে ধরেছি, পরিষেবা উন্নয়নের চেষ্টাচালিয়ে যাচ্ছি, যাতে শহরগুলির বোঝা কমানো যায়। অন্যদিকে, শহরে ব্যাপক পরিবর্তনআনতে হলে আগে তার পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। আমাদের দেশে এই পরিকাঠামো উন্নয়নেরপ্রতি উদাসীনতা রয়ে গেছে। একটা রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে দু’পাশে জায়গা ছেড়েদেওয়ার কথা আমরা ভাবি না, ভবিষ্যতের কথা ভাবি না, কোনওমতে জোড়াতালি দিয়ে কাজচালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা। পরে যখন রাস্তা চওড়া করার প্রয়োজন হয়, ততদিনে দু’পাশেরমানুষ তা জবরদখল করে নিয়েছে, আর তারপর উকিল-আদালত চলতে থাকে। ২৫-৩০ বছর পর্যন্তকোনও মীমাংসা হয় না। এভাবেই আমাদের প্রশাসন চলছে। জলের কল লাগাব, যতদিনে নললাগানোর কাজ পুরো হবে, ততদিনে সেখানকার জনসংখ্যা এতটাই বেড়ে যাবে তখন আবার ঐপাইপলাইনের আয়তন বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়বে। আমরা ঐ তাৎক্ষণিক লাভের কথা ভুলে গিয়েএমন ব্যবস্থা বিকশিত করতে চাইছি যাতে আমাদের গড়ে তোলা পরিকাঠামো আগামীদিনের বোঝাবহন করারও ক্ষমতা রাখে।

আমরা একসঙ্গে সারাদেশে ৫০টিরও বেশি শহরকে মেট্রো শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। কল্পনাকরতে পারেন, আমরা কত বড় আর্থিক বোঝা বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যদি টুকরো টুকরোকরে ভাবতাম, তা হলে সার্বিক খরচ আরও অনেক বেড়ে যেত। পাশাপাশি, শহরগুলির সমস্যাওসমানতালে বাড়তো। আর, আমাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা হল যে কাজই হাতে নিই না কেন, তানির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণ করা। যথাসম্ভব ২৫-৩০ বছর পরবর্তী প্রয়োজনকে মাথায়রেখে পরিকল্পনা গড়ে তোলার চেষ্টা করি। এর আর্থিক প্রভাব আজ হয়ত অনুভূত নাও হতেপারে কিন্তু এই আর্থিক উজ্জীবন আমরা ২-৪ বছরের মধ্যে অনুভব করতে শুরু করব। আমরাজীবনযাপনে উৎকর্ষ আনতে চাই। আজ সারা দেশে আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েতকে অপ্টিক্যাল ফাইবারনেটওয়ার্কে যুক্ত করার বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। কাজেই বুঝতে পারছেন, আমাদেরস্বপ্নের ডিজিটাল ইন্ডিয়া শুধু শহরের জন্য নয়, গোটা ভারতবর্ষকে যতক্ষণ পর্যন্ত নাআমরা আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত করতে পারব, ততদিন আমরা দেশকে এগিয়েনিয়ে যেতে পারব না। আগে পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা ভাবলে রাস্তা, রেল বড়জোরবিমানবন্দরের কথা উঠতো। এখন সময় বদলেছে, মানুষের হাইওয়ে যেমন চাই তেমনভাবে আইওয়ে-ওচাই। সবার জন্য আইওয়ে সুনিশ্চিত করতে হলে সারা দেশে অপ্টিক্যাল ফাইবারের জালবিছানো অনিবার্য। আগে মানুষ জলের পাইপলাইন পেলেই খুশি হয়ে যেত, এখন সবার রান্নারগ্যাসের পাইপলাইনও দরকার। এই পরিবর্তিত সময়ে আমাদের উন্নয়নের চিন্তাভাবনাও আধুনিককরতে হবে। তবেই আমরা সাধারণ মানুষকে সকল পরিষেবা দিতে পারব। আমরা সেজন্যপরিকাঠামোর পরিধিকে বাড়িয়ে জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ পরিবহণ গ্রিড, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক,রান্নার গ্যাসের গ্রিড, মহাকাশের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। আমাদের কৃষকযদি বিমা করেন, তাঁর ফসল কতটা হওয়ার কথা ছিল আর কতটা লোকসান হল, তা যেন তিনিমহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন। বিমা সংস্থাও একই উৎস থেকে এই লোকসানেরপরিমাণ সুনিশ্চিত করে তাঁকে ন্যায্য ভর্তুকি দিতে পারে। এই ধরনের নেটওয়ার্ক হলসময়ের চাহিদা। তবেই ভারত আধুনিক হবে। পরিষেবাকে এই মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ননিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।

পুণের মেট্রোপ্রকল্প নিয়ে স্থানীয় মানুষের অসন্তোষ অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই কাজ আগে সম্পূর্ণ হলেঅনেক কম খরচে হত। মানুষ এত বছর ধরে কষ্ট সয়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে গাড়িও কিনেছেন।স্থানাভাবে পার্কিং-এর সমস্যায় ভুগেছেন। যাই হোক, যার শেষ ভালো তার সব ভালো।পূর্ববর্তী সরকার আমাদের জন্য আমার পুণের ভাই-বোনেদের স্বার্থে অনেক ভালো ভালো কাজকরার সুযোগ দিয়ে গেছেন। সেজন্য আমরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের মাঝে আসারসৌভাগ্য হয়েছে। জানি না, জগতাপজি আজ কতটা খুশি, কারণ, রাজনৈতিক কারণে অনেক সময়েখুশি হলেও তা প্রকাশ করা যায় না। একটু আগেই ভেঙ্কাইয়াজি বলছিলেন, পুণে ২৮ কোটিরবদলে ১৬০ কোটি পেয়েছে। এখন নির্বাচন এসে গেলে পৌরসভার হাতে ১৬০ কোটি টাকা এলেওতারা কিছু করতে পারতো না। কিন্তু আমি গত ৮ নভেম্বর রাত ৮টায় যে বিমুদ্রাকরণেরঘোষণা করেছি, তার ফলেই এই ১৬০ কোটি টাকা তাঁরা পেয়েছেন। শুধু পুণে শহর নয়, সারাভারতে প্রত্যেক রাজ্যে প্রতিটি পৌরসভার রোজগার এই ক’দিনে ২০০-৩০০ শতাংশ বেড়েছে। আগেএই পৌরসভাগুলি ৫০-৭০ শতাংশের বেশি কর আদায় করতে পারতো না। সাধারণ মানুষ দিয়েদিতেন। কিন্তু যাঁদের রোজগার বেশি তাঁরাই বেশি নিয়ম ভাঙেন, তাঁরাই বছরের পর বছর করদিতেন না। কিন্তু আমরা সবাইকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। আমাদের কাছে দেশের সকলনাগরিকই সমান। সকলকেই দেশের আইন মেনে চলতে হবে। আমি কারও নিন্দা করার জন্য এইকথাগুলি বলছি না। কি অবস্থা হয়েছিল আমাদের দেশে! আপনারা শুনলে অবাক হবেন, ভারতীয়সংসদ ১৯৮৮ সালে বেনামী সম্পত্তি আইন পাশ করেছিল, সংসদে অনেক তর্ক-বিতর্কের পর এইআইন পাশ হয়েছিল, খবরের কাগজে হেডলাইন ছাপা হয়েছিল। সরকারের জয়জয়কার হয়েছিল। কিন্তুসংসদ থেকে সে কাগজ বেরিয়ে আসার পথেই ফাইল হারিয়ে গিয়েছিল। এত বছর পর আমরা ক্ষমতায়এসে সেই ফাইল খুঁজে বের করেছি। এত বছর পর আমরা সেই আইন রূপায়ণের কাজ শুরু করেছি।১৯৮৮ সালে যদি আইন রূপায়ণ সম্ভব হতো, তা হলে আজ বেনামী সম্পত্তির নামে গোটা দেশেযতটা পাপ বাড়ছে, ততটা বাড়তো না। আপনারাই আমাকে বলুন, এমনভাবে চলতে দেওয়া কিআমাদেরও উচিৎ ছিল? একটু জোরে বলুন। একটু আগেই দেবেন্দ্রজি যেভাবে আপনাদের বলতেবলেছিলেন, সেভাবে বলুন। এই দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা উচিৎ কি উচিৎ না? দেশকেসর্বনাশ থেকে উদ্ধার করা উচিৎ কি উচিৎ না?

ভাই ও বোনেরা,যথাসময়ে এই রোগের চিকিৎসা যদি হতো, তাহলে আজ আমাদের এত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হতো না।আজ আমাদের দেশের ১২৫ কোটি সৎ মানুষকে ব্যাঙ্ক কিংবা এটিএম-এর লাইনে দাঁড়াতে হতোনা। তাঁরা এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যত কষ্ট পাচ্ছেন, ততটাই কষ্টা আমারও হচ্ছে।কিন্তু দেশের স্বার্থে, দুর্নীতি দমনের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোনওউপায় ছিল না। আমার আগে যাঁরা সিদ্ধান্ত নেননি, তাঁরাই দেশের ক্ষতি করে গেছেন। আমিআপনাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি যে, দেশকে বাঁচাবো। সেজন্য আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে এইকঠিন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,পুণেবাসীর কাছ থেকে আমার একটি প্রত্যাশা রয়েছে। এই শহর দেশের শিল্পোন্নত শহরগুলিরমধ্যে একটি। এই শহর একটি উচ্চ শিক্ষার পীঠস্থানও। যুগ যুগ ধরে কাশী শহরকে যেমনবিদ্বানদের শহর বলে আখ্যা দেওয়া হয়, পুণে শহরের শিক্ষার উৎকর্ষ তেমনই সর্বজনবিদিত।তথ্য প্রযুক্তি পেশার ক্ষেত্রেও পুণেবাসী ওতপ্রতোভাবে জড়িত। আমি চাই, আপনারাঅনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে গোটা দেশের সামনে একটি দৃষ্টান্তস্থাপন করুন। আমাদের সকলের মোবাইল ফোন যেন দ্রুত মোবাইল ফোন ব্যাঙ্ক হয়ে ওঠে।আমাদের প্রত্যেকের হাতের মুঠোতে থাকবে একটি মোবাইল ফোন ব্যাঙ্ক। যে কোনও সময়ে যখনযেখানে খুশি দাঁড়িয়ে আমরা নিজেদের আর্থিক লেনদেন করতে পারব। ব্যাঙ্ক কিং এটিএম-এরলাইনে দাঁড়ানোর কি প্রয়োজন! মোবাইল ফোন পরিষেবার মাধ্যমেই যখন সকল লেনদন করাসম্ভব, তা হলে আমরা কেন দ্রুত ঐ পরিষেবায় অভ্যস্থ হবো না। ই-ওয়ালেট কিংবা ডেবিটকার্ড-এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করুন। এখন তো আধার কার্ডের মাধ্যমেও পরিষেবা পেতেপারেন। মোবাইলে নিজের আধার নম্বর আর অ্যাকাউন্ট নম্বর টিপুন – লেনদেন সহজ হয়েযাবে। এখানে কৃষক নেতা শরদ রাও বসে আছেন। আপনি বলুন, আখের ফলন বেশি হলে আখের দামকমে কি না। পেঁয়াজ, আলু কিংবা যে কোনও ফসলের ক্ষেত্রেই ফলন বাড়লে দাম কমতে বাধ্য।নোটের ক্ষেত্রেও একথা সত্য। নোট বেশি ছাপা হলে তার মূল্য কমে যায়। আপনারাই ভাবুন,গত ৮ নভেম্বরের আগে ১০০ টাকার কি মূল্য ছিল! আর তারপর তার মূল্য কোথায় দাঁড়িয়েছে।ছোট ছোট মুদ্রার মূল্য বাড়েনি কি? শুধু মুদ্রা নয়, গত ৮ নভেম্বরের পর সারা ভারতেবড়দের তুলনায় ছোটদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। আমার লড়াই এই ছোটদের শক্তি বৃদ্ধির লড়াই।দরিদ্র মানুষকে সামর্থ্য প্রদানের লড়াই।

কিন্তু আপনারদেখেছেন, হাতে গোনা কয়েকজন এসব পছন্দ করছেন না। তাঁরা বলছেন, সরকার এরকম চলা উচিৎ,এতদিন ধরে এরকম চলছে, চারদিন আগে মোদী ক্ষমতায় এসে সবকিছু বদলে দেবে। তা হলে আমরাকি করতে আছি। যুগ যুগ ধরে আমরা শাসন চালাচ্ছি, সেই মেজাজেই তাঁরা ভেবেছেন, কিছুদুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের হাত করে সব কালো টাকা সাদা করে নেবেন।ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিলেই সাদা হয়ে যাবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন, তাঁদের কালো টাকাসাদা হয়নি, চেহারা কালো হয়েছে। তারা জনসমক্ষে মুখ দেখানোর যোগ্য থাকেননি। প্রযুক্তিএত উন্নত যে, এখনও পর্যন্ত যারা ধরা পড়েননি আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেকেধরা পড়ে যাবেন। আগে ছিল না এখন কোথা থেকে এসেছে – বলতে হবে। তাদের সতর্ক করে বলছি,এখনও সময় আছে আইন মেনে চলুন, দরিদ্র মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন, না হলে মাথা উঁচুকরে আর বাঁচতে পারবেন না। এই পুণের ভূমি থেকে আমি আপনাদের সতর্ক করছি, আইনের পথেআসুন, আর সারা জীবন নিশ্চিন্তে ঘুমান। এটা নিশ্চিত থাকুন যে, আমরা কিন্তু ঘুমিয়েনেই। দুর্নীতি, কালো টাকা, নকল নোট, সন্ত্রাসবাদ আর নক্‌শালবাদের বিরুদ্ধে এইলড়াইয়ের আমরা শেষ দেখে থাকব। ১২৫ কোটি জনসাধারণের মেজাজ দেখে আমাদের বিজয়সম্ভাবনার প্রতি আস্থা আরও বেড়ে গেছে। এখন আর হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ তাঁদেরস্বার্থে দেশকে যেমন খুশি চালাতে পারবে না। সেদিন চলে গেছে। ১২৫ কোটি মানুষেরআওয়াজ হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ দমন করতে পারবে না। সেজন্য আমি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম ৫০ দিন আপনাদের কষ্ট হবে, আমি এও বলেছিলাম, এই ৫০ দিন পরসৎ মানুষদের কষ্ট ধীরে ধীরে কমতে থাকবে আর বেইমানদের কষ্ট বাড়তে শুরু করবে।ইতিমধ্যেই আপনারা টের পাচ্ছেন যে, আমি কতটা ঠিক বলেছিলাম। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বড়বড় ব্যাঙ্কের বাবু জেলে গেছেন। ভাই ও বোনেরা, আপনাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে অনেকভাবনাচিন্তা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের জয় হবেই। এইমেট্রোরেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে আমিপ্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, বিগত ১৫ বছর ধরে যে কাজ থেমে আছে, যে গাড়ি গর্তে পড়ে আছেতাকে টেনে তুলে সচল করতে হলে ডবল ইঞ্জিন লাগাতে হবে। একটি কেন্দ্রীয় সরকারেরইঞ্জিন আরেকটি রাজ্য সরকারের ইঞ্জিন। আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, আর দেখছেন,ইতিমধ্যেই ডবল ইঞ্জিন কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। এই ডবল ইঞ্জিনকে একসঙ্গে কাজ করারসুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাদের সবার কাছে আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
How NPS transformed in 2025: 80% withdrawals, 100% equity, and everything else that made it a future ready retirement planning tool

Media Coverage

How NPS transformed in 2025: 80% withdrawals, 100% equity, and everything else that made it a future ready retirement planning tool
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
West Bengal must be freed from TMC’s Maha Jungle Raj: PM Modi at Nadia virtual rally
December 20, 2025
Bengal and the Bengali language have made invaluable contributions to India’s history and culture, with Vande Mataram being one of the nation’s most powerful gifts: PM Modi
West Bengal needs a BJP government that works at double speed to restore the state’s pride: PM in Nadia
Whenever BJP raises concerns over infiltration, TMC leaders respond with abuse, which also explains their opposition to SIR in West Bengal: PM Modi
West Bengal must now free itself from what he described as Maha Jungle Raj: PM Modi’s call for “Bachte Chai, BJP Tai”

आमार शोकोल बांगाली भायों ओ बोनेदेर के…
आमार आंतोरिक शुभेच्छा

साथियो,

सर्वप्रथम मैं आपसे क्षमाप्रार्थी हूं कि मौसम खराब होने की वजह से मैं वहां आपके बीच उपस्थित नहीं हो सका। कोहरे की वजह से वहां हेलीकॉप्टर उतरने की स्थिति नहीं थी इसलिए मैं आपको टेलीफोन के माध्यम से संबोधित कर रहा हूं। मुझे ये भी जानकारी मिली है कि रैली स्थल पर पहुंचते समय खराब मौसम की वजह से भाजपा परिवार के कुछ कार्यकर्ता, रेल हादसे का शिकार हो गए हैं। जिन बीजेपी कार्यकर्ताओं की दुखद मृत्यु हुई है, उनके परिवारों के प्रति मेरी संवेदनाएं हैं। जो लोग इस हादसे में घायल हुए हैं, मैं उनके जल्द स्वस्थ होने की कामना करता हूं। दुख की इस घड़ी में हम सभी पीड़ित परिवार के साथ हैं।

साथियों,

मैं पश्चिम बंगाल बीजेपी से आग्रह करूंगा कि पीड़ित परिवारों की हर तरह से मदद की जाए। दुख की इस घड़ी में हम सभी पीड़ित परिवारों के साथ हैं। साथियों, हमारी सरकार का निरंतर प्रयास है कि पश्चिम बंगाल के उन हिंस्सों को भी आधुनिक कनेक्टिविटी मिले जो लंबे समय तक वंचित रहे हैं। बराजगुड़ी से कृष्णानगर तक फोर लेन बनने से नॉर्थ चौबीस परगना, नदिया, कृष्णानगर और अन्य क्षेत्र के लोगों को बहुत लाभ होगा। इससे कोलकाता से सिलीगुडी की यात्रा का समय करीब दो घंटे तक कम हो गया है आज बारासात से बराजगुड़ी तक भी फोर लेन सड़क पर भी काम शुरू हुआ है इन दोनों ही प्रोजेक्ट से इस पूरे क्षेत्र में आर्थिक गतिविधियों और पर्यटन का विस्तार होगा।

साथियों,

नादिया वो भूमि है जहाँ प्रेम, करुणा और भक्ति का जीवंत स्वरूप...श्री चैतन्य महाप्रभु प्रकट हुए। नदिया के गाँव-गाँव में... गंगा के तट-तट पर...जब हरिनाम संकीर्तन की गूंज उठती थी तो वह केवल भक्ति नहीं होती थी...वह सामाजिक एकता का आह्वान होती थी। होरिनाम दिये जोगोत माताले...आमार एकला निताई!! यह भावना...आज भी यहां की मिट्टी में, यहां के हवा-पानी में... और यहाँ के जन-मन में जीवित है।

साथियों,

समाज कल्याण के इस भाव को...हमारे मतुआ समाज ने भी हमेशा आगे बढ़ाया है। श्री हरीचांद ठाकुर ने हमें 'कर्म' का मर्म सिखाया...श्री गुरुचांद ठाकुर ने 'कलम' थमाई...और बॉरो माँ ने अपना मातृत्व बरसाया...इन सभी महान संतानों को भी मैं नमन करता हूं।

साथियों,

बंगाल ने, बांग्ला भाषा ने...भारत के इतिहास, भारत की संस्कृति को निरंतर समृद्ध किया है। वंदे मातरम्...ऐसा ही एक श्रेष्ठ योगदान है। वंदे मातरम् का 150 वर्ष पूरे होने का उत्सव पूरा देश मना रहा है हाल में ही, भारत की संसद ने वंदे मातरम् का गौरवगान किया। पश्चिम बंगाल की ये धरती...वंदे मातरम् के अमरगान की भूमि है। इस धरती ने बंकिम बाबू जैसा महान ऋषि देश को दिया... ऋषि बंकिम बाबू ने गुलाम भारत में वंदे मातरम् के ज़रिए, नई चेतना पैदा की। साथियों, वंदे मातरम्…19वीं सदी में गुलामी से मुक्ति का मंत्र बना...21वीं सदी में वंदे मातरम् को हमें राष्ट्र निर्माण का मंत्र बनाना है। अब वंदे मातरम् को हमें विकसित भारत की प्रेरणा बनाना है...इस गीत से हमें विकसित पश्चिम बंगाल की चेतना जगानी है। साथियों, वंदे मातरम् की पावन भावना ही...पश्चिम बंगाल के लिए बीजेपी का रोडमैप है।

साथियों,

विकसित भारत के इस लक्ष्य की प्राप्ति में केंद्र सरकार हर देशवासी के साथ कंधे से कंधा मिलाकर चल रही है। भाजपा सरकार ऐसी नीतियां बना रही है, ऐसे निर्णय ले रही है जिससे हर देशवासी का सामर्थ्य बढ़े आप सब भाई-बहनों का सामर्थ्य बढ़े। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। कुछ समय पहले...हमने GST बचत उत्सव मनाया। देशवासियों को कम से कम कीमत में ज़रूरी सामान मिले...भाजपा सरकार ने ये सुनिश्चित किया। इससे दुर्गापूजा के दौरान... अन्य त्योहारों के दौरान…पश्चिम बंगाल के लोगों ने खूब खरीदारी की।

साथियों,

हमारी सरकार यहां आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर पर भी काफी निवेश कर रही है। और जैसा मैंने पहले बताया पश्चिम बंगाल को दो बड़े हाईवे प्रोजेक्ट्स मिले हैं। जिससे इस क्षेत्र की कोलकाता और सिलीगुड़ी से कनेक्टिविटी और बेहतर होने वाली है। साथियों, आज देश...तेज़ विकास चाहता है...आपने देखा है... पिछले महीने ही...बिहार ने विकास के लिए फिर से एनडीए सरकार को प्रचंड जनादेश दिया है। बिहार में भाजपा-NDA की प्रचंड विजय के बाद... मैंने एक बात कही थी...मैंने कहा था... गंगा जी बिहार से बहते हुए ही बंगाल तक पहुंचती है। तो बिहार ने बंगाल में भाजपा की विजय का रास्ता भी बना दिया है। बिहार ने जंगलराज को एक सुर से एक स्वर से नकार दिया है... 20 साल बाद भी भाजपा-NDA को पहले से भी अधिक सीटें दी हैं... अब पश्चिम बंगाल में जो महा-जंगलराज चल रहा है...उससे हमें मुक्ति पानी है। और इसलिए... पश्चिम बंगाल कह रहा है... पश्चिम बंगाल का बच्चा-बच्चा कह रहा है, पश्चिम बंगाल का हर गांव, हर शहर, हर गली, हर मोहल्ला कह रहा है... बाचते चाई….बीजेपी ताई! बाचते चाई बीजेपी ताई

साथियो,

मोदी आपके लिए बहुत कुछ करना चाहता है...पश्चिम बंगाल के विकास के लिए न पैसे की कमी है, न इरादों की और न ही योजनाओं की...लेकिन यहां ऐसी सरकार है जो सिर्फ कट और कमीशन में लगी रहती है। आज भी पश्चिम बंगाल में विकास से जुड़े...हज़ारों करोड़ रुपए के प्रोजेक्ट्स अटके हुए हैं। मैं आज बंगाल की महान जनता जनार्दन के सामने अपनी पीड़ा रखना चाहता हूं, और मैं हृदय की गहराई से कहना चाहता हूं। आप सबकों ध्यान में रखते हुए कहना चाहता हूं और मैं साफ-साफ कहना चाहता हूं। टीएमसी को मोदी का विरोध करना है करे सौ बार करे हजार बार करे। टीएमसी को बीजेपी का विरोध करना है जमकर करे बार-बार करे पूरी ताकत से करे लेकिन बंगाल के मेरे भाइयों बहनों मैं ये नहीं समझ पा रहा हूं कि पश्चिम बंगाल के विकास को क्यों रोका जा रहा है? और इसलिए मैं बार-बार कहता हूं कि मोदी का विरोध भले करे लेकिन बंगाल की जनता को दुखी ना करे, उनको उनके अधिकारों से वंचित ना करे उनके सपनों को चूर-चूर करने का पाप ना करे। और इसलिए मैं पश्चिम बंगाल की प्रभुत्व जनता से हाथ जोड़कर आग्रह कर रहा हूं, आप बीजेपी को मौका देकर देखिए, एक बार यहां बीजेपी की डबल इंजन सरकार बनाकर देखिए। देखिए, हम कितनी तेजी से बंगाल का विकास करते हैं।

साथियों,

बीजेपी के ईमानदार प्रयास के बीच आपको टीएमसी की साजिशों से भी उसके कारनामों से भी सावधान रहना होगा टीएमसी घुसपैठियों को बचाने के लिए पूरा जोर लगा रही है बीजेपी जब घुसपैठियों का सवाल उठाती है तो टीएमसी के नेता हमें गालियां देते हैं। मैंने अभी सोशल मीडिया में देखा कुछ जगह पर कुछ लोगों ने बोर्ड लगाया है गो-बैक मोदी अच्छा होता बंगाल की हर गली में हर खंबे पर ये लिखा जाता कि गो-बैक घुसपैठिए... गो-बैक घुसपैठिए, लेकिन दुर्भाग्य देखिए गो-बैक मोदी के लिए बंगाल की जनता के विरोधी नारे लगा रहे हैं लेकिन गो-बैक घुसपैठियों के लिए वे चुप हो जाते हैं। जिन घुसपैठियों ने बंगाल पर कब्जा करने की ठान रखी है...वो TMC को सबसे ज्यादा प्यारे लगते हैं। यही TMC का असली चेहरा है। TMC घुसपैठियों को बचाने के लिए ही… बंगाल में SIR का भी विरोध कर रही है।

साथियों,

हमारे बगल में त्रिपुरा को देखिए कम्युनिस्टों ने लाल झंडे वालों ने लेफ्टिस्टों ने तीस साल तक त्रिपुरा को बर्बाद कर दिया था, त्रिपुरा की जनता ने हमें मौका दिया हमने त्रिपुरा की जनता के सपनों के अनुरूप त्रिपुरा को आगे बढ़ाने का प्रयास किया बंगाल में भी लाल झंडेवालों से मुक्ति मिली। आशा थी कि लेफ्टवालों के जाने के बाद कुछ अच्छा होगा लेकिन दुर्भाग्य से टीएमसी ने लेफ्ट वालों की जितनी बुराइयां थीं उन सारी बुराइयों को और उन सारे लोगों को भी अपने में समा लिया और इसलिए अनेक गुणा बुराइयां बढ़ गई और इसी का परिणाम है कि त्रिपुरा तेज गते से बढ़ रहा है और बंगाल टीएमसी के कारण तेज गति से तबाह हो रहा है।

साथियो,

बंगाल को बीजेपी की एक ऐसी सरकार चाहिए जो डबल इंजन की गति से बंगाल के गौरव को फिर से लौटाने के लिए काम करे। मैं आपसे बीजेपी के विजन के बारे में विस्तार से बात करूंगा जब मैं वहां खुद आऊंगा, जब आपका दर्शन करूंगा, आपके उत्साह और उमंग को नमन करूंगा। लेकिन आज मौसम ने कुछ कठिनाइंया पैदा की है। और मैं उन नेताओं में से नहीं हूं कि मौसम की मूसीबत को भी मैं राजनीति के रंग से रंग दूं। पहले बहुत बार हुआ है।

मैं जानता हूं कि कभी-कभी मौसम परेशान करता है लेकिन मैं जल्द ही आपके बीच आऊंगा, बार-बार आऊंगा, आपके उत्साह और उमंग को नमन करूंगा। मैं आपके लिए आपके सपनों को पूरा करने के लिए, बंगाल के उज्ज्वल भविष्य के लिए पूरी शक्ति के साथ कंधे से कंधा मिलाकर के आपके साथ काम करूंगा। आप सभी को मेरा बहुत-बहुत धन्यवाद।

मेरे साथ पूरी ताकत से बोलिए...

वंदे मातरम्..

वंदे मातरम्..

वंदे मातरम्

बहुत-बहुत धन्यवाद