প্রধানমন্ত্রী মোদী পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় শহীদ সিআরপিএফ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী মোদী
সন্ত্রাসবাদের ভীতি তখনই দুর করা যাবে যখন এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব একত্রিত হবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

সবার আগে আমি পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁরা দেশের সেবা করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। এই দুঃখের সময়ে তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি আমার এবং সমস্ত ভারতবাসীর সমবেদনা জানাই।

 

এই আক্রমণের ফলে জনগণের যত আক্রোশ, রাগ তা আমি খুব ভালোভাবেই অনুভব করছি। এই সময় দেশ যা প্রত্যাশা করে, কিছু করে দেখাতে চায়, তাতে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলিকে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। আমাদের সৈনিকদের শৌর্য এবং তাঁদের বীরত্বের ওপর সরকারের সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশভক্ত মানুষেরা যেখানে যে খবর পাবেন, তা আমাদের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পৌঁছে দেবেন যাতে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও তীব্র হতে পারে।

আমি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি এবং তাদের নেতাদের বলতে চাই যে, আপনারা অনেক বড় ভুল করেছেন। তার জন্য আপনাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই আক্রমণের পেছনে যে শক্তিই থাকুক না কেন, তাদেরকে অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে। যাঁরা আমাদের সমালোচনা করছেন, আমি তাঁদের ভাবনাকেও সম্মান করি। তাঁদের ভাবনাকে বুঝি। আর সেজন্য মনে করি যে তাঁদের সমালোচনার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

কিন্তু আমার সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ জানাই যে সময় অত্যন্ত সংবেদনশীল। আপনি সরকারের পক্ষে থাকুন কিংবা বিপক্ষে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যদি সংঘবদ্ধভাবে এই আক্রমণের মোকাবিলা করি, তাহলে সারা পৃথিবীতে এই বার্তা যাবে যে ভারতবাসী এই আক্রমণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। কারণ, আমরা যে কোন লড়াই জেতার জন্যই লড়ি।

 

গোটা বিশ্ববাসীর কাছে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া আমাদের প্রতিবেশী দেশ যদি মনে করে তারা যে কুকর্ম করছে, যেভাবে ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে, তা ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সফল হবে, তাহলে তারা চিরদিনের জন্য স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিন। তারা কখনই এটা করতে পারবেন না।

এই সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভীষণরকম আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা ভারতে এই ধরণের অস্থিরতা সৃষ্টি করে নিজেদের জনগণের লক্ষ্যকে সেদিকে ঘোরাতে চায়। কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। সময় এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা যেভাবেই চেষ্টা করুক না কেন, ভারত নিজের মতো উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে।

 

১৩০ কোটি ভারতবাসী এ ধরণের প্রতিটি ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের যথাযোগ্য জবাব দেবে। অনেক বড় দেশ অনেক কঠিন শব্দ প্রয়োগ করে এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিন্দা করেছে এবং ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। আমি সেই সমস্ত দেশের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং সবাইকে আহ্বান জানাই যে আসুন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী সমস্ত শক্তিকে একত্রিত করে অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করি।

 

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন সমস্ত দেশ একমত, এক স্বর এবং এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে তখন সন্ত্রাসবাদ বেশিক্ষণ টিকতে পারবে না।

 

বন্ধুগণ, পুলওয়ামা আক্রমণের পর আমাদের সকলের মন ভারাক্রান্ত। এই আক্রোশ ভরা মন নিয়ে দেশবাসী এই আক্রমণের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমাদের বীর শহীদদের আত্মবলিদানকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। যাঁরা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁদের জীবনে দুটিই লক্ষ্য ছিল – প্রথমটি হল দেশের সুরক্ষা, আর দ্বিতীয় হল দেশের সমৃদ্ধি। এই বীর শহীদদের আত্মাকে প্রণাম জানিয়ে, তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে আমি আরেকবার আপনাদের আশ্বস্ত করছি, যে স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সমর্পণ করব। সমৃদ্ধির পথে আমরা আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ আমি এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধারণা এবং নক্‌শাকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগরদের কৃতজ্ঞতা জানাই। চেন্নাইয়ের কারখানায় নির্মিত এই ট্রেনটি দিল্লি থেকে কাশী পর্যন্ত প্রথমবার যাত্রা করবে। এটাই ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর সত্যিকারের শক্তি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শক্তি।

বন্ধুগণ, বিগত সাড়ে চার বছরে আমরা ভারতীয় রেলকে অত্যন্ত সততা ও পরিশ্রমের সঙ্গে পরিবর্তিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সেই চেষ্টার একটি ঝলক হল এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বিগত বছরগুলিতে রেল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে নির্মাণ ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। দেশে রেল কোচ কারখানাগুলির আধুনিকীকরণ ও ডিজেল ইঞ্জিনগুলির ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে রূপান্তরণের জন্য নতুন নতুন কারখানা চালু করা হয়েছে।

 

আপনাদের হয়তো মনে আছে, শুরুতে যখন রেলের টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা অনলাইনে করা হয়েছিল, তখন কি অবস্থা ছিল। এক মিনিটে ২ হাজারেরও বেশি টিকিট বুক করা যেত না। কিন্তু আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে রেলের ওয়েবসাইট অনেক বেশি ব্যবহারকারী-বান্ধব হয়ে উঠেছে এবং ১ মিনিটে ২০ হাজারেরও বেশি টিকিট বুক হতে পারে। আগে পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কোন রেল প্রকল্প মঞ্জুর হতে ন্যূনতম দু’বছর লেগে যেত। এখন দেশে একটি রেল প্রকল্প মঞ্জুর হতে ৩-৪ মাস কিংবা বড়জোর ছ’মাস হয়। সেজন্য, রেলের সমস্ত কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে। গোটা দেশে ব্রডগেজ লাইনে প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিংগুলি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালে আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন সারা দেশে ৮,৩০০-রও বেশি প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং ছিল। সেজন্য নিয়মিত দুর্ঘটনা হত। এখন ব্রডগেজ লাইনে প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিংগুলি পুরোপুরি তুলে দেওয়ার ফলে দুর্ঘটনার হার অনেক কমেছে।

 

দেশে রেললাইন বিছানোর কাজ এবং বৈদ্যুতিকীকরণের গতি দ্বিগুণ হয়েছে। সর্বাধিক ব্যস্ত রেলপথগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেগুলি থেকে ঐতিহ্যবাহী ট্রেনগুলিকে তুলে নিয়ে নতুন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎচালিত ট্রেন বৃদ্ধির ফলে বায়ুদূষণ হ্রাস পেয়েছে এবং ডিজেলের খরচও বেঁচেছে। ট্রেনের গতিও বেড়েছে।

 

রেলকে আধুনিক করে তোলার এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত রেলে নতুন দেড় লক্ষ কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। এখন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, সেটি সম্পূর্ণ হলে এই সংখ্যা ২ লক্ষে দাঁড়াবে।

দেশে রেললাইন বিছানোর কাজ এবং বৈদ্যুতিকীকরণের গতি দ্বিগুণ হয়েছে। সর্বাধিক ব্যস্ত রেলপথগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেগুলি থেকে ঐতিহ্যবাহী ট্রেনগুলিকে তুলে নিয়ে নতুন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎচালিত ট্রেন বৃদ্ধির ফলে বায়ুদূষণ হ্রাস পেয়েছে এবং ডিজেলের খরচও বেঁচেছে। ট্রেনের গতিও বেড়েছে।

 

রেলকে আধুনিক করে তোলার এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত রেলে নতুন দেড় লক্ষ কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। এখন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, সেটি সম্পূর্ণ হলে এই সংখ্যা ২ লক্ষে দাঁড়াবে।

বন্ধুগণ, আমি এই দাবি কখনই করি না যে আমরা এত অল্প সময়ে ভারতীয় রেলের সবকিছু বদলে দিতে পেরেছি। আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। একথা অবশ্যই বলতে পারি যে ভারতীয় রেলকে বিশ্বের আধুনিকতম রেল পরিষেবাগুলির সমকক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি এবং আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারি যে এই উন্নয়নযাত্রা আরও গতিসম্পন্ন হবে, আরও শক্তিশালী হবে। জল, স্থল ও আকাশপথে ভারতের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ – সমস্ত অংশে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাব। এই উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা দেশের জন্য আত্মবলিদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারী সকল অপরাধীদের কঠোরতম সাজা দেব। আত্মবলিদানকারী প্রত্যেক শহীদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর মূল্য তাদের পরিশোধ করতে হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। এই শহীদদের স্মৃতিতে আমার সঙ্গে বলুন –

 

বন্দে মাতরম – বন্দে মাতরম

বন্দে মাতরম – বন্দে মাতরম

বন্দে মাতরম – বন্দে মাতরম

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan

Media Coverage

Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address to Indian students and the Indian community in Oman
December 18, 2025

नमस्ते!
अहलन व सहलन !!!

ये युवा जोश आपकी एनर्जी यहां का पूरा atmosphere चार्ज हो गया है। मैं उन सब भाई बहनों को भी नमस्कार करता हूँ, जो जगह की कमी के कारण, इस हॉल में नहीं हैं, और पास के हॉल में स्क्रीन पर यह प्रोग्राम लाइव देख रहें हैं। अब आप कल्पना कर सकते हैं, कि यहाँ तक आएं और अंदर तक नहीं आ पाएं तोह उनके दिल में क्या होता होगा।

साथियों,

मैं मेरे सामने एक मिनी इंडिया देख रहा हूं, मुझे लगता है यहां बहुत सारे मलयाली भी हैं।

सुखम आणो ?

औऱ सिर्फ मलयालम नहीं, यहां तमिल, तेलुगू, कन्नड़ा और गुजराती बोलने वाले बहुत सारे लोग भी हैं।

नलमा?
बागुन्नारा?
चेन्ना-गिद्दिरा?
केम छो?

साथियों,

आज हम एक फैमिली की तरह इकट्ठा हुए हैं। आज हम अपने देश को, अपनी टीम इंडिया को सेलिब्रेट कर रहे हैं।

साथियों,

भारत में हमारी diversity, हमारी संस्कृति का मजबूत आधार है। हमारे लिए हर दिन एक नया रंग लेकर आता है। हर मौसम एक नया उत्सव बन जाता है। हर परंपरा एक नई सोच के साथ आती है।

और यही कारण है कि हम भारतीय कहीं भी जाएं, कहीं भी रहें, हम diversity का सम्मान करते हैं। हम वहां के कल्चर, वहां के नियम-कायदों के साथ घुलमिल जाते हैं। ओमान में भी मैं आज यही होते हुए अपनी आंखों के सामने देख रहा हूं।

यह भारत का डायस्पोरा co-existence का, co-operation का, एक लिविंग Example बना हुआ है।

साथियों,

भारत की इसी समृद्ध सांस्कृतिक विरासत का एक और अद्भुत सम्मान हाल ही में मिला है। आपको शायद पता होगा, यूनेस्को ने दिवाली को Intangible Cultural Heritage of Humanity में शामिल किया है।

अब दिवाली का दिया हमारे घर को ही नहीं, पूरी दुनिया को रोशन करेगा। यह दुनिया भर में बसे प्रत्येक भारतीय के लिए गर्व का विषय है। दिवाली की यह वैश्विक पहचान हमारी उस रोशनी की मान्यता है, जो आशा, सद्भाव, और मानवता के संदेश को, उस प्रकाश को फैलाती है।

साथियों,

आज हम सब यहां भारत-ओमान "मैत्री पर्व” भी मना रहे हैं।

मैत्री यानि:
M से maritime heritage
A से Aspirations
I से Innovation
T से Trust and technology
R से Respect
I से Inclusive growth

यानि ये "मैत्री पर्व,” हम दोनों देशों की दोस्ती, हमारी शेयर्ड हिस्ट्री, और prosperous future का उत्सव हैं। भारत और ओमान के बीच शताब्दियों से एक आत्मीय और जीवंत नाता रहा है।

Indian Ocean की Monsoon Winds ने दोनों देशों के बीच ट्रेड को दिशा दी है। हमारे पूर्वज लोथल, मांडवी, और तामरालिप्ति जैसे पोर्ट्स से लकड़ी की नाव लेकर मस्कट, सूर, और सलालाह तक आते थे।

और साथियों,

मुझे खुशी है कि मांडवी टू मस्कट के इन ऐतिहासिक संबंधों को हमारी एंबेसी ने एक किताब में भी समेटा है। मैं चाहूंगा कि यहां रहने वाला हर साथी, हर नौजवान इसको पढ़े, और अपने ओमानी दोस्तों को भी ये गिफ्ट करे।

अब आपको लगेगा की स्कूल में भी मास्टरजी होमवर्क देते हैं, और इधर मोदीजी ने भी होमवर्क दे दिया।

साथियों,

ये किताब बताती है कि भारत और ओमान सिर्फ Geography से नहीं, बल्कि Generations से जुड़े हुए हैं। और आप सभी सैकड़ों वर्षों के इन संबंधों के सबसे बड़े Custodians हैं।

साथियों,

मुझे भारत को जानिए क्विज़ में ओमान के participation बारे में भी पता चला है। ओमान से Ten thousand से अधिक लोगों ने इस क्विज में participate किया। ओमान, ग्लोबली फोर्थ पोज़िशन पर रहा है।

लेकिन में तालियां नहीं बजाऊंगा। ओमान तो नंबर एक पे होना चाहिए। मैं चाहूँगा कि ओमान की भागीदारी और अधिक बढ़े, ज्यादा से ज्यादा संख्या में लोग जुड़ें। भारतीय बच्चे तो इसमें भाग ज़रूर लें। आप ओमान के अपने दोस्तों को भी इस क्विज़ का हिस्सा बनने के लिए मोटिवेट करें।

साथियों,

भारत और ओमान के बीच जो रिश्ता ट्रेड से शुरू हुआ था, आज उसको education सशक्त कर रही है। मुझे बताया गया है कि यहां के भारतीय स्कूलों में करीब फोर्टी सिक्स थाउज़ेंड स्टूड़ेंट्स पढ़ाई कर रहे हैं। इनमें ओमान में रहने वाले अन्य समुदायों के भी हज़ारों बच्चे शामिल हैं।

ओमान में भारतीय शिक्षा के पचास वर्ष पूरे हो रहे हैं। ये हम दोनों देशों के संबंधों का एक बहुत बड़ा पड़ाव है।

साथियों,

भारतीय स्कूलों की ये सफलता His Majesty the Late सुल्तान क़ाबूस के प्रयासों के बिना संभव नहीं थी। उन्होंने Indian School मस्कत सहित अनेक भारतीय स्कूलों के लिए ज़मीन दी हर ज़रूरी मदद की।

इस परंपरा को His Majesty सुल्तान हैथम ने आगे बढ़ाया।

वे जिस प्रकार यहां भारतीयों का सहयोग करते हैं, संरक्षण देते हैं, इसके लिए मैं उनका विशेष तौर पर आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

आप सभी परीक्षा पे चर्चा कार्यक्रम से भी परिचित हैं। यहां ओमान से काफी सारे बच्चे भी इस प्रोग्राम से जुड़ते हैं। मुझे यकीन है, कि यह चर्चा आपके काम आती होगी, पैरेंट्स हों या स्टूडेंट्स, सभी को stress-free तरीके से exam देने में हमारी बातचीत बहुत मदद करती है।

साथियों,

ओमान में रहने वाले भारतीय अक्सर भारत आते-जाते रहते हैं। आप भारत की हर घटना से अपडेट रहते हैं। आप सभी देख रहे हैं कि आज हमारा भारत कैसे प्रगति की नई गति से आगे बढ़ रहा है। भारत की गति हमारे इरादों में दिख रही है, हमारी परफॉर्मेंस में नज़र आती है।

कुछ दिन पहले ही इकॉनॉमिक ग्रोथ के आंकड़े आए हैं, और आपको पता होगा, भारत की ग्रोथ 8 परसेंट से अधिक रही है। यानि भारत, लगातार दुनिया की Fastest growing major economy बना हुआ है। ये तब हुआ है, जब पूरी दुनिया चुनौतियों से घिरी हुई है। दुनिया की बड़ी-बड़ी economies, कुछ ही परसेंट ग्रोथ अचीव करने के लिए तरस गई हैं। लेकिन भारत लगातार हाई ग्रोथ के पथ पर चल रहा है। ये दिखाता है कि भारत का सामर्थ्य आज क्या है।

साथियों,

भारत आज हर सेक्टर में हर मोर्चे पर अभूतपूर्व गति के साथ काम कर रहा है। मैं आज आपको बीते 11 साल के आंकड़े देता हूं। आपको भी सुनकर गर्व होगा।

यहां क्योंकि बहुत बड़ी संख्या में, स्टूडेंट्स और पेरेंट्स आए हैं, तो शुरुआत मैं शिक्षा और कौशल के सेक्टर से ही बात करुंगा। बीते 11 साल में भारत में हज़ारों नए कॉलेज बनाए गए हैं।

I.I.T’s की संख्या सोलह से बढ़कर तेईस हो चुकी है। 11 वर्ष पहले भारत में 13 IIM थे, आज 21 हैं। इसी तरह AIIMs की बात करुं तो 2014 से पहले सिर्फ 7 एम्स ही बने थे। आज भारत में 22 एम्स हैं।

मेडिकल कॉलेज 400 से भी कम थे, आज भारत में करीब 800 मेडिकल कॉलेज हैं।

साथियों,

आज हम विकसित भारत के लिए अपने एजुकेशन और स्किल इकोसिस्टम को तैयार कर रहे हैं। न्यू एजुकेशन पॉलिसी इसमें बहुत बड़ी भूमिका निभा रही है। इस पॉलिसी के मॉडल के रूप में चौदह हज़ार से अधिक पीएम श्री स्कूल भी खोले जा रहे हैं।

साथियों,

जब स्कूल बढ़ते हैं, कॉलेज बढ़ते हैं, यूनिवर्सिटीज़ बढ़ती हैं तो सिर्फ़ इमारतें नहीं बनतीं देश का भविष्य मज़बूत होता है।

साथियों,

भारत के विकास की स्पीड और स्केल शिक्षा के साथ ही अन्य क्षेत्रों में भी दिखती है। बीते 11 वर्षों में हमारी Solar Energy Installed Capacity 30 गुना बढ़ी है, Solar module manufacturing 10 गुना बढ़ी है, यानि भारत आज ग्रीन ग्रोथ की तरफ तेजी से कदम आगे बढ़ा रहा है।

आज भारत दुनिया का सबसे बड़ा फिनटेक इकोसिस्टम है। दुनिया का दूसरा सबसे बड़ा Steel Producer है। दूसरा सबसे बड़ा Mobile Manufacturer है।

साथियों,

आज जो भी भारत आता है तो हमारे आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर को देखकर हैरान रह जाता है। ये इसलिए संभव हो पा रहा है क्योंकि बीते 11 वर्षों में हमने इंफ्रास्ट्रक्चर पर पांच गुना अधिक निवेश किया है।

Airports की संख्या double हो गई है। आज हर रोज, पहले की तुलना में डबल स्पीड से हाइवे बन रहे हैं, तेज़ गति से रेल लाइन बिछ रही हैं, रेलवे का इलेक्ट्रिफिकेशन हो रहा है।

साथियों,

ये आंकड़े सिर्फ उपलब्धियों के ही नहीं हैं। ये विकसित भारत के संकल्प तक पहुंचने वाली सीढ़ियां हैं। 21वीं सदी का भारत बड़े फैसले लेता है। तेज़ी से निर्णय लेता है, बड़े लक्ष्यों के साथ आगे बढ़ता है, और एक तय टाइमलाइन पर रिजल्ट लाकर ही दम लेता है।

साथियों,

मैं आपको गर्व की एक और बात बताता हूं। आज भारत, दुनिया का सबसे बड़ा digital public infrastructure बना रहा है।

भारत का UPI यानि यूनिफाइड पेमेंट्स इंटरफेस, दुनिया का सबसे बड़ा रियल टाइम डिजिटल पेमेंट सिस्टम है। आपको ये बताने के लिए कि इस पेमेंट सिस्टम का स्केल क्या है, मैं एक छोटा सा Example देता हूं।

मुझे यहाँ आ कर के करीब 30 मिनट्स हुए हैं। इन 30 मिनट में भारत में यूपीआई से फोर्टीन मिलियन रियल टाइम डिजिटल पेमेंट्स हुए हैं। इन ट्रांजैक्शन्स की टोटल वैल्यू, ट्वेंटी बिलियन रुपीज़ से ज्यादा है। भारत में बड़े से बड़े शोरूम से लेकर एक छोटे से वेंडर तक सब इस पेमेंट सिस्टम से जुड़े हुए हैं।

साथियों,

यहां इतने सारे स्टूडेंट्स हैं। मैं आपको एक और दिलचस्प उदाहरण दूंगा। भारत ने डिजीलॉकर की आधुनिक व्यवस्था बनाई है। भारत में बोर्ड के एग्ज़ाम होते हैं, तो मार्कशीट सीधे बच्चों के डिजीलॉकर अकाउंट में आती है। जन्म से लेकर बुढ़ापे तक, जो भी डॉक्युमेंट सरकार जेनरेट करती है, वो डिजीलॉकर में रखा जा सकता है। ऐसे बहुत सारे डिजिटल सिस्टम आज भारत में ease of living सुनिश्चित कर रहे हैं।

साथियों,

भारत के चंद्रयान का कमाल भी आप सभी ने देखा है। भारत दुनिया का पहला ऐसा देश है, जो मून के साउथ पोल तक पहुंचा है, सिर्फ इतना ही नहीं, हमने एक बार में 104 सैटेलाइट्स को एक साथ लॉन्च करने का कीर्तिमान भी बनाया है।

अब भारत अपने गगनयान से पहला ह्युमेन स्पेस मिशन भी भेजने जा रहा है। और वो समय भी दूर नहीं जब अंतरिक्ष में भारत का अपना खुद का स्पेस स्टेशन भी होगा।

साथियों,

भारत का स्पेस प्रोग्राम सिर्फ अपने तक सीमित नहीं है, हम ओमान की स्पेस एस्पिरेशन्स को भी सपोर्ट कर रहे हैं। 6-7 साल पहले हमने space cooperation को लेकर एक समझौता किया था। मुझे बताते हुए खुशी है कि, ISRO ने India–Oman Space Portal विकसित किया है। अब हमारा प्रयास है कि ओमान के युवाओं को भी इस स्पेस पार्टनरशिप का लाभ मिले।

मैं यहां बैठे स्टूडेंट्स को एक और जानकारी दूंगा। इसरो, "YUVIKA” नाम से एक स्पेशल प्रोग्राम चलाता है। इसमें भारत के हज़ारों स्टूडेंट्स space science से जुड़े हैं। अब हमारा प्रयास है कि इस प्रोग्राम में ओमानी स्टूडेंट्स को भी मौका मिले।

मैं चाहूंगा कि ओमान के कुछ स्टूडेंट्स, बैंगलुरु में ISRO के सेंटर में आएं, वहां कुछ समय गुज़ारें। ये ओमान के युवाओं की स्पेस एस्पिरेशन्स को नई बुलंदी देने की बेहतरीन शुरुआत हो सकती है।

साथियों,

आज भारत, अपनी समस्याओं के सोल्यूशन्स तो खोज ही रहा है ये सॉल्यूशन्स दुनिया के करोड़ों लोगों का जीवन कैसे बेहतर बना सकते हैं इस पर भी काम कर रहा है।

software development से लेकर payroll management तक, data analysis से लेकर customer support तक अनेक global brands भारत के टैलेंट की ताकत से आगे बढ़ रहे हैं।

दशकों से भारत IT और IT-enabled services का global powerhouse रहा है। अब हम manufacturing को IT की ताक़त के साथ जोड़ रहे हैं। और इसके पीछे की सोच वसुधैव कुटुंबकम से ही प्रेरित है। यानि Make in India, Make for the World.

साथियों,

वैक्सीन्स हों या जेनरिक medicines, दुनिया हमें फार्मेसी of the World कहती है। यानि भारत के affordable और क्वालिटी हेल्थकेयर सोल्यूशन्स दुनिया के करोड़ों लोगों का जीवन बचा रहे हैं।

कोविड के दौरान भारत ने करीब 30 करोड़ vaccines दुनिया को भेजी थीं। मुझे संतोष है कि करीब, one hundred thousand मेड इन इंडिया कोविड वैक्सीन्स ओमान के लोगों के काम आ सकीं।

और साथियों,

याद कीजिए, ये काम भारत ने तब किया, जब हर कोई अपने बारे में सोच रहा था। तब हम दुनिया की चिंता करते थे। भारत ने अपने 140 करोड़ नागरिकों को भी रिकॉर्ड टाइम में वैक्सीन्स लगाईं, और दुनिया की ज़रूरतें भी पूरी कीं।

ये भारत का मॉडल है, ऐसा मॉडल, जो twenty first century की दुनिया को नई उम्मीद देता है। इसलिए आज जब भारत मेड इन इंडिया Chips बना रहा है, AI, क्वांटम कंप्यूटिंग और ग्रीन हाइड्रोजन को लेकर मिशन मोड पर काम कर रहा है, तब दुनिया के अन्य देशों में भी उम्मीद जगती है, कि भारत की सफलता से उन्हें भी सहयोग मिलेगा।

साथियों,

आप यहां ओमान में पढ़ाई कर रहे हैं, यहां काम कर रहे हैं। आने वाले समय में आप ओमान के विकास में, भारत के विकास में बहुत बड़ी भूमिका निभाएंगे। आप दुनिया को लीडरशिप देने वाली पीढ़ी हैं।

ओमान में रहने वाले भारतीयों को असुविधा न हो, इसके लिए यहां की सरकार हर संभव सहयोग दे रही है।

भारत सरकार भी आपकी सुविधा का पूरा ध्यान रख रही है। पूरे ओमान में 11 काउंसलर सर्विस सेंटर्स खोले हैं।

साथियों,

बीते दशक में जितने भी वैश्विक संकट आए हैं, उनमें हमारी सरकार ने तेज़ी से भारतीयों की मदद की है। दुनिया में जहां भी भारतीय रहते हैं, हमारी सरकार कदम-कदम पर उनके साथ है। इसके लिए Indian Community Welfare Fund, मदद पोर्टल, और प्रवासी भारतीय बीमा योजना जैसे प्रयास किए गए हैं।

साथियों,

भारत के लिए ये पूरा क्षेत्र बहुत ही स्पेशल है, और ओमान हमारे लिए और भी विशेष है। मुझे खुशी है कि भारत-ओमान का रिश्ता अब skill development, digital learning, student exchange और entrepreneurship तक पहुंच रहा है।

मुझे विश्वास है आपके बीच से ऐसे young innovators निकलेंगे जो आने वाले वर्षों में India–Oman relationship को नई ऊंचाई पर ले जाएंगे। अभी यहां भारतीय स्कूलों ने अपने 50 साल celebrate किए हैं। अब हमें अगले 50 साल के लक्ष्यों के साथ आगे बढ़ना है। इसलिए मैं हर youth से कहना चाहूंगा :

Dream big.
Learn deeply.
Innovate boldly.

क्योंकि आपका future सिर्फ आपका नहीं है, बल्कि पूरी मानवता का भविष्य है।

आप सभी को एक बार फिर उज्जवल भविष्य की बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

बहुत-बहुत धन्यवाद!
Thank you!