14 April is an important day for the 125 crore Indians, says PM Modi on Babasaheb’s birth anniversary
I salute the security personnel who are playing an important role in infrastructure development in Chhattisgarh: PM Modi in Bijapur
Our government is committed to the dreams and aspirations of people from all sections of the society: PM Modi
If a person from a backward society like me could become the PM, it is because of Babasaheb Ambedkar’s contributions: PM Modi in Bijapur
Central government is working for the poor, the needy, the downtrodden, the backward and the tribals, says PM Modi
The 1st phase of #AyushmanBharat scheme has been started, in which efforts will be made to make major changes in primary health related areas: PM

ভারতমাতা কী – জয়

ভারতমাতা কী – জয়

আমি বলব, ‘বাবাসাহেব আম্বেদকর’ – আপনারা বলবেন, ‘অমর রহে, অমর রহে’

বাবাসাহেব আম্বেদকর – অমর রহে অমর রহে

বাবাসাহেব আম্বেদকর – অমর রহে অমর রহে

বাবাসাহেব আম্বেদকর – অমর রহে অমর রহে

বস্তার ও বিজাপুরে আরাধ্যা দেবী মা দন্তেশ্বরী, ভৈরমগড়ের বাবা ভৈরমদেব, বিজাপুরের চিকটরাজ এবং কোদাইমাতা, ভোপালের পট্টম ছো ভদ্রকালীকে অনেক অনেক জুহার (প্রণাম)।

ভদ্রমহিলা, ভদ্র মহোদয়, দাদা-দিদিদের আন্তরিক শ্রদ্ধা। স্কুল-কলেজে পাঠরত ভাই-বোন এবং ছোট শিশুদের অনেক অনেক আদর।

মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী শ্রী জে পি নাড্ডাজি, ছত্তিশগড়ের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ রমণ সিংহজি, জাতীয় এসটি কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী নন্দ কুমার সাইজি, ছত্তিশগড় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী এবং বিপুল সংখ্যায় আগাত আমার প্রিয় বিজাপুর ও বস্তারের ভাই ও বোনেরা।

আমি এখানকার আদি দেবী ও দেবতাদের সাদর প্রণাম জানাই, যাঁরা শুধু বিজাপুরই নয়, সমগ্র বস্তারবাসীকে প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে শিখিয়েছেন। আমি আজ বিজাপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে অমর ষীদ গৈন্সীকেও স্মরণ করতে চাই, যিনি আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে বস্তারের মাটিতে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন। তেমনই আজ থেকে ১০০ বছর আগে এই মাটির ছেলে মহানায়ক বীর গুন্দাপুর যে শৌর্যের পরিচয় দিয়েছেন – তাঁকেও স্মরণ করি। এরকমই প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই মাটিতে অসংখ্য লোকনায়কের বীরগাঁথা আপনাদের লোকগীতিগুলিতে স্থান পেয়েছে।

আমি এই মহান ধরিত্রীর বীর সুপুত্র এবং বীরঙ্গণাদের প্রণাম জানাই। এই মাটিতে আজও শৌর্য ও পরাক্রমের নতুন গাঁথা লেখা হচ্ছে।

বন্ধুগণ, স্থানীয় চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করে এখানকার উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট মানুষেরা, এখানকার নিরাপত্তা বজায় রাখার দিনরাত এক করে তটস্থ থাকা সুরক্ষা কর্মীরা, তাঁদের মধ্যে অনেকে এমনকি শহীদও হয়েছেন! এই সৈনিকরা এমনকি সড়ক নির্মাণ, মোবাইল টাওয়ার স্থাপন, ছত্তিশগড়ের উন্নয়নের পরিকাঠামো নির্মাণে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। নকশালী মাওবাদীদের হামলায় নিহত এহেন বীর জওয়ানদের স্মারক নির্মাণ করা হয়েছে। আমি তাঁদের সাদর প্রণাম জানাই, শ্রদ্ধা জানাই।

বন্ধুগণ, আজ ১৪ এপ্রিল। আজকের দিনটি দেশের ১২৫ কোটি মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ ভারতরত্ন বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী। আজকের দিনে আপনাদের সবার মাঝে এসে আশীর্বাদ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আপনারা সবাই আমার সঙ্গে দু’হাত উপরে তুলে বলুন – জয় ভীম – জয় ভীম – জয় ভীম।

বস্তার এবং বিজাপুরের আকাশে-বাতাসে বাবাসাহেবের নামে এই জয়জয়কার আমাকে ও আপনাদের ধন্য করছে। বাবাসাহেবের নামে এই জয়জয়কারের সঙ্গে যে আশা-আকাঙ্খা জুড়ে রয়েছে – তাকেও আমি প্রণাম জানাই।

বন্ধুগণ, আমাদের সরকার এই ছত্তিশগড়ের মাটিতেই প্রথম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আরবান মিশনের সূত্রপাত করেছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার শুভারম্ভ এই ছত্তিশগড়ের মাটি থেকে শুরু করে ছিলাম। এই প্রকল্পগুলি জাতীয় স্তরে দেশের উন্নয়নকে গতিপ্রদানের কাজ করছে।

আজ আমি আরেকবার ছত্তিশগড়ে এসেছি দেশে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার প্রথম চরণ এবং গ্রাম স্বরাজ অভিযানের সূচনা করার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার বিগত চার বছরে গরিব, দলিত, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ, মহিলা ও আদিবাসীদের কল্যাণে যতগুলি প্রকল্প শুরু করেছে, সেগুলি দ্বারা সর্বস্তরের মানুষ যেন উপকৃত হন, তা সুনিশ্চিত করতে আজ থেকে ৫ মে পর্যন্ত গোটা দেশে গ্রাম স্বরাজ অভিযান জারি থাকবে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, বাবাসাহেবের জন্মদিনে আজ এখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পগুলির শুভ সূচনা হয়েছে, সেগুলি দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সফল হবে।

ভাই ও বোনেরা, বাবাসাহেব অনেক লেখাপড়া জানা মানুষ ছিলেন, উচ্চ শিওক্ষিত ছিলেন। তিনি চাইলে বিশ্বের উন্নত কোনও দেশে অনেক আরাম-আয়েসে জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। বিদেশে পড়াশুনো সেরে দেশে ফিরে এসেছেন এবং নিজের জীবনে পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত ও দলিত মানুষের স্বার্থে সমর্পন করে দিয়েছেন। তিনি দলিতদের তাঁদের অধিকার প্রদান করতে চাইছিলেন। যাঁরা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে বণচিত ছিলেন তাঁদের এক একজন সম্মানিত নাগরিকদের মতো জীবনধারণের সুযোগ প্রদানের জন্য প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, তেমন মানবগোষ্ঠী আজ অধিকার সচেতন হয়েছেন, তাঁদের মনে উন্নয়নের খিদে এবং অধিকারের আকাঙ্খা জন্ম নিইয়েছে। এই সচেতনতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের দূরদৃষ্টি এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফল।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এক গরিব মায়ের সন্তান, অতি পিছিয়ে পড়া সমাজ থেকে উঠে আসা আপনাদের এই সাথী যে আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছে – এটাও বাবাসাহেবেরই অবদান। বন্ধুগণ, আমার মতো লক্ষ-কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্খা, অভিলাষাকে জাগিয়ে তোলাও বাবাসাহেবের সুচিন্তিত পদক্ষেপসমূহের ফল।

ভাই ও বোনেরা, আজ এখানে আমার সামনে অনেক কৃষক, ক্ষেতমজুর, অনেক ছোট-বড় চাকুরিজীবী মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছেন। আর রয়েছেন, কিছু স্বনির্ভর প্রকল্পের স্বরোজগারী মানুষ এবং সম্ভবত কিছু ছাত্রছাত্রী। আপনারা আমার একটি প্রশ্নের জবাব দিন তো, চেঁচিয়ে না দিলেও চলবে, মনে মনে বললেও হবে – কারও জীবনে ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলে, বড় কিছু হতে হলে দ্বিগুণ পরিশ্রম করবেন কি করবেন না? যিনি কিছু করবেনই না, তিনি শুয়ে থাকেন। যার মনে কোনও স্বপ্ন থাকে তিনিই জাগেন, পরিশ্রম করেন – ঠিক কি না? আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করুন!

ভাই ও বোনেরা, আজ বাবাসাহেবের প্রেরণায় আমি বিজাপুরের মানুষের মনে, এখানকার প্রশাসনকে আমি নতুন ভরসা যোগাতে এসেছি! একটি নতুন ভরসা জাগাতে এসেছি, এক নতুন বিশ্বাসের জন্ম দিতে এসেছি, এক নতুন অভিলাষা জাগাতে এসেছি। আমি এটা বলতে এসেছি।

এখন আমি বিজাপুরকেই কেন বেছে নিলাম? এর একটা কারণ আছে। আমার ভালোভাবে মনে নেই, কিন্তু আপনাদেরকে একটি পুরনো গল্প শোনাচ্ছি। এমনিতে আমি লেখাপড়ায় খুব একটা ভালো ছিলাম না। স্কুলের অত্যন্ত সাধারণ ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কিছু ছাত্র আমার থেকেও দুর্বল ছিল। স্কুল ছুটির পরও দেখেছি, আমাদের মাস্টারমশাই অনেকবার সেই শিশুদেরকে নিয়ে আলাদাভাবে বসেছেন। অনেক ধৈর্য সহকারে তাদেরকে পড়াতেন। তাদেরকে আশ্বস্ত করতেন একথা বলে যে, তোমরা লেখাপড়ায় দুর্বল নও! আমি দেখেছি, মাস্টারমশাই ওদের কাঁধে হাত রেখে কথা বললে, সামান্য সাফল্যে অধিক উৎসাহ দিলে, মামুলি পুরস্কার দিলে কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সমকক্ষ হয়ে পড়তো, এমনকি কেউ কেউ অন্যদের ছাপিয়ে এগিয়ে যেত।

আমার মনে হয়, আপনারা অনেকেই এরকম হতে দেখেছেন। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখেছেন। আজ আমার বিজাপুর আসার উদ্দেশ্যও এটাই। বিজাপুরের গায়ে যে পিছিয়ে পড়া লেবেল লেগে গেছে, সেটা থেকে মুক্ত করতে চাই। দেশে বিজাপুর একাই এরকম জেলা নয়। ১০০টিরও বেশি জেলা এমনি পিছিয়ে আছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও এই জেলাগুলি পিছিয়ে রয়েছে। এতে জেলাগুলির কোনও দোষ নেই। বাবাসাহেব রচিত সংবিধানে এত সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা যুগিয়েছেন, তবুও দেশের ১০০টিরও বেশি জেলা এখনও এত পিছিয়ে কেন রয়েছে?

ভাই ও বোনেরা, এই জেলাগুলির মায়েদের কি অধিকার নেই যে, তাঁদের বাচ্চারা সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করুক! তাঁরা রক্তাল্পতায় না ভুগুন, শিশুদের সুস্বাস্থ্য ও উচ্চতা সুনিশ্চিত করার জন্য ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষিত করে তোলার জন্য যে উন্নয়নের প্রয়োজন, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, সড়কপথ, বিশুদ্ধ পানীয় জল – এই সকল ক্ষেত্রেই স্বাধীনতার এত বছর পরে দেশের ১০০টিরও বেশি জেলা এখনও পিছিয়ে রয়েছে। অথচ, আশ্চর্যের বিষয় যে, এই পিছিয়ে পড়া জেলাগুলি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আপনাদের বিজপুর জেলায় কি নেই? সবকিছুই আছে।

ভাই ও বোনেরা, এই পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিকে আজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে আমরা ঐ জেলাগুলির আধিকারিকদের দিল্লিতে ডেকেছিলাম। তাঁদেরকে বলেছিলাম যে, আগামী তিন মাসে যে জেলা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে উন্নয়ন করে দেখাতে পারবে, সেই জেলাতেই আমি গিয়ে ১৪ এপ্রিলের অনুষ্ঠানে হাজির হব। আমি বিজাপুরের আধিকারিকবৃন্দ ও আপামর নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানাই যে, আপনারাই এক সবকটি জেলার মধ্যে গত তিন মাসে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি এই গোটা টিমটাকে অভিনন্দন ও সেলাম জানাতে এসেছি। আপনাদের থেকে প্রেরণা নিতে এসেছি, যাতে দেশের ঐ ১১৫টি অভিলাষী জেলার মানুষ জানতে পারেন যে বিজাপুর যদি এত অল্প সময়ে এত উন্নতি করতে পারে, তা হলে তাঁরাও পারবেন!

আমি এই ১১৫টি জেলাকে শুধু অভিলাষী নয়, উচ্চাকাঙ্খী জেলা হিসাবে দেখতে চাই। এরাই পরিবর্তন এবং পরাক্রমের নতুন মডেল দেশের সামনে স্থাপন করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ভাই ও বোনেরা, আপনারা হয়তো ভাবছেন যে, একথা এমন জোর দিয়ে আমি কি করে বলছি! আমি এখানে আসার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ১১৫টি জেলায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে যে, কোথায় কিরকম কাজ হচ্ছে। তখনই আমরা বুঝতে পারি যে বিগত তিন বছরে জেলার সমস্ত মানুষ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি একত্রিত হয়ে জনআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও যা হয়নি, তা আজ হতে পারে।

বন্ধুগণ, পুরনো পথে চলতে থাকলে কখনও নতুন গন্তব্যে পৌঁছনো যায় না। পুরনো পদ্ধতিতে পৃথিবী বদলাতে পারে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ করার পদ্ধতিও বদলাতে হয়। নতুন লক্ষ্য সিদ্ধ করতে হলে নতুন পদ্ধতিতেই কাজ করতে হয়। আজ বিজাপুর সমেত দেশের ১১৫টি পিছিয়ে পড়া জেলার উন্নয়নের জন্যই আমাদের সরকার নতুন পদ্ধতিতে কাজ করছে। সেই নতুন পদ্ধতি কেমন, আমি তার একটি উদাহরণ দিতে পারি। এখানে অনেকক্ষণ ধরেই বিপুল সংখ্যায় কৃষক ভাই-বোনরা বসে আছেন, তাঁরা যাতে আমার কথা বুঝতে পারেন, তাই আমি সহজভাবেই বলার চেষ্টা করছি। আপনারা ধান চাষ করেন, ভুট্টা এবং নানারকম ডালের চাষও করেন। আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা কি সমস্ত ফসলের ক্ষেত্রেই সমপরিমাণ জল দিয়ে সেচ করেন? ধান, ভুট্টা, সব্জি সকল ক্ষেত্রে? আপনাদের জবাব হবে না। ধানের জন্য বেশি দিই, অমুক ফসলের ক্ষেত্রে এতটা তমুক ফসলের ক্ষেত্রে ততটা দিই। তেমনি জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনের ক্ষেত্রেও আলাদা-আলাদা সমস্যা, দুর্বলতা ও ভিন্ন প্রকৃতির চ্যালেঞ্জ থাকে। এই সবকিছুকে মাথায় রেখে প্রত্যেক জেলাকে নিজের মতো করে পরবর্তী রণনীতি গড়ে তুলতে হবে। উন্নয়নের নিজস্ব পরিকল্পনা রচনা করতে হবে।

আপনাদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় প্রশাসন আপনাদের প্রতিটি প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানবে, আপনাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প রচনা করবে এবং ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনাদের উন্নয়নের বড় প্রতিযোগিতায় ১ নম্বর স্থানে পৌঁছে দেবে। এই গোটা প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র ও রাজ্যের টিম প্রতিটি ব্লক ও গ্রামের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।

বন্ধুগণ, আজ এখানে এই মঞ্চ থেকে দেশে সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত করতে এবং সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে একটি বড় প্রকল্পের সূত্রপাত হ’ল। এই প্রকল্পের নাম ‘আয়ুষ্মান ভারত’। ছত্তিশগড়ের মাটিতে বিজাপুর জেলার মাটি থেকে আজ ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন উপলক্ষে এই প্রকল্পের প্রথম পর্ব শুরু হ’ল। দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলিতে বড় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বর পঞ্চায়েতে অর্থাৎ ভারতে প্রায় দেড় লক্ষ স্থানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং উপকেন্দ্রগুলিকে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র রূপে বিকশিত করা হবে। আমি উপস্থিত নবীন বন্ধুদের অনুরোধ করব যে mygov.in – এ গিয়ে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’-এ ক্লিক করুন। এর মাধ্যমে আপনারাও আমাকে পরামর্শ দিতে পারেন, আমি অবশ্যই সেগুলি পড়ব এবং ভাবনাচিন্তা করব। ইতিমধ্যেই আপনারা এই নাম জেনে গেছেন ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’। ভবিষ্যতে দেশের গরিব এবং অশিক্ষিত মানুষেরাও যাতে এ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন, সেজন্য এর একটা ডাকনাম আমি রাখতে চাই। এ ব্যাপারে আমি আপনাদের পরামর্শ নেব।

সারা দেশে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে ২০২২ সাল। আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে, কত বড় কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। অর্থাৎ দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে তার আগেই সারা দেশে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’-এর একটি জাল তৈরি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া ১১৫টি জেলাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ভাই ও বোনেরা, এই ওয়েলনেস সেন্টারগুলি কি প্রয়োজন? এ ব্যাপারে আমি আপনাদের একটু বিস্তারিত বোঝাতে চাই। আমরা স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সুস্থতাকে জুড়ে দিয়ে এটাই বোঝাতে চাই যে, আমাদের প্রচেষ্টা শুধুই রোগের চিকিৎসা করা নয়, আমাদের সংকল্প হ’ল রোগ না হতে দেওয়া। আমাদের দেশে উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেহ রোগী সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়া, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারের মতো রোগেই দেশের ৬০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। এই রোগগুলি শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব।

এই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমাদের প্রতিষ্ঠিত ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’গুলি স্থাপন করা হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে বিনামূল্যেই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

বন্ধুগণ, সঠিক সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলে কতটা উপকার হয়, তার একটা উদাহরণ আমি আপনাদের দেব। মনে করুন, ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, তাঁর উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করলে ভবিষ্যতে সে অনেক কঠিন রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারেন। সঠিক সময়ে ওষুধ সেবন, যোগাসন, ব্যায়াম ও কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেক কম খরচেই ভবিষ্যতের বড় ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

আজ যখন ওয়েলনেস সেন্টার উদ্বোধন করছিলাম, সেখানেই ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক বোনের সঙ্গে দেখা হয়, তিনি জানতেনই না যে তাঁর মধুমেহ হয়েছে। তিনি চিকিৎসককে এসে বলেন, আমার খুব গলা শুকিয়ে যায়, মাথা ঘোরে, ক্লান্তি লাগে। ডাক্তারবাবু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন যে, তাঁর মধুমেহ কঠিন অবস্থাতে পৌঁছে গেছে। ডাক্তারবাবু তাঁকে ওষুধ দেওয়া ছাড়াও তাঁর খাদ্যাভাস ও দৈনন্দিন চলাফেরায় কী কী পরিবর্তন আনতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দেন। এগুলি মেনে চললে তবেই তিনি ভবিষ্যতে আনুষঙ্গিক অনেক জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাবেন। এভাবেই ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’গুলি দেশের গ্রামে গ্রামে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে এগুলি গ্রামের দরিদ্রদের পারিবারিক চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করবে। আগেকারদিনে মধ্যবিত্ত ও বড় পরিবারগুলিতেও পারিবারিক ডাক্তার থাকত। কিন্তু এখন থেকে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’গুলি এই ভূমিকা পালন করবে।

বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারতের ভাবনা শুধুই পরিষেবায় সীমিত নয়। এর সঙ্গে জুড়ে আছে গণঅংশীদারিত্বের আহ্বান, যাতে আমরা সুস্থ, সমর্থ ও সন্তুষ্ট নতুন ভারত গড়ে তুলতে পারি। আজকের এই শুভ সূত্রপাতের মাধ্যমে আমরা দেশের ৫০ কোটি গরিব মানুষকে অসুস্থতার সময়ে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করবে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে।

ভাই ও বোনেরা, প্রেরণার পাশাপাশি সমস্ত কাঁচামাল ও অন্যান্য উৎস সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে তবেই পরিবর্তন আসে। আজ আমি এখানে মঞ্চে অভিলাষী বিজাপুরের পাশাপাশি অভিলাষী ছত্তিশগড় নিয়েও কথা বলেছি। শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীজির প্রদর্শিত পথে চলে বিগত ১৪ বছর ধরে রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রমণ সিংজি আপনাদের সহযোগিতায় সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। চার বছর আগে কেন্দ্রে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজের গতি অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশাসন যৌথভাবে তৃণমূল স্তরে কাজ করছে। আদিবাসী অঞ্চলগুলির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অনেক জনহিতকর প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করে ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার সাফল্য অর্জন করেছে। বস্তার ও সরগুজায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সহীধর জেলায় স্কুল-কলেজ এবং দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন সংস্থা গড়ে তোলা এই অঞ্চলগুলিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

এখানে এসে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে লক্ষ্মী নামে একটি মেয়ের সঙ্গে, যে ড্রোন বানিয়েছে। কেউ কল্পনা করতে পারেন যে ছত্তিশগড়ের রিওয়া আদিবাসী এলাকার লক্ষ্মী নামে দশম শ্রেণীতে পাঠরতা একটি মেয়ে ড্রোন বানিয়েছে! সে আমাকে বলছিল যে, ৫০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আমার ড্রোনটি যায় আর সামনে-পেছনেও ওড়ানো যায়। শুনে খুব আনন্দ পেলাম।

আপনারা হয়তো শুনেছেন যে, আপনাদের নগরনারে নির্মীয়মান ইস্পাত কারখানার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। কিছুদিনের মধ্যেই এই কারখানায় কাজ শুরু হবে। আজ যখন আমি বস্তারের যুবকদের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজ ছাড়াও ইউপিএসসি এবং পিএসসি পরীক্ষায় সফল হতে দেখছি, তখন আমার বিশ্বাস আরও পোক্ত হচ্ছে যে আপনাদের রাজ্যে সঠিক দিশায় প্রগতি হচ্ছে। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আগে এই রাজ্যে মাত্র দুটি মেডিকেল কলেজ ছিল কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে আরও ১০টি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। ফলে অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছে। এখন তো বিজাপুর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেক উন্নত হয়েছে। জেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে হাটে-বাজারেও এখন বড় বড় বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখছেন। আমি অন্তর থেকে তাঁদের এই সেবাভাবকে প্রশংসা করি। এখানে এসে অনেক ডাক্তারবাবুর সঙ্গে দেখা হয়েছে, যাঁরা কেউ তামিলনাডু থেকে এসেছেন আমার কেউ উত্তর প্রদেশ থেকে। এই অরণ্য প্রদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে তাঁরা নিজেদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলি উৎসর্গ করেছে। যে দেশে এরকম নবীন চিকিৎসকরা রয়েছেন, সেদেশের দরিদ্র মানুষকে আর দীর্ঘদিন কঠিন রোগে কষ্ট পেতে হবে না বলে আমার বিশ্বাস।

কিছুদিন আগে এখানকার জেলা হাসপাতালে এসে আমার ডায়ালিসিস ইউনিট উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছিল। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, প্রধানমন্ত্রী ডায়ালিসিস যোজনার মাধ্যমে এখন দেশে ৫০০টিরও বেশি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর দ্বারা প্রায় ২.৫ লক্ষ রোগী লাভবান হয়েছেন, যাঁদেরকে এর মধ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ ডায়ালিসিস সেশন প্রদান করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের মানচিত্রে দক্ষিণতম তিনটি জেলা সুকমা, দন্তেওয়াড়া এবং বিজাপুরে উন্নয়নের যে পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে তার জন্য আমি ছত্তিশগড় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

ছত্তিশগড়ের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিমুখী রণনীতি নিয়ে কাজ করছে। প্রথম প্রচেষ্টা হ’ল এক্ষেত্রে যথাসম্ভব উন্নয়ন আর দ্বিতীয়টি হ’ল বিভ্রান্ত যুবক-যুবতীদের উন্নয়নের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালানো। ভিগত চার বছরে ছত্তিশগড় রাজ্যে বিশেষ করে বস্তার জেলায় উন্নয়নের অভূতপূর্ব কিছু প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যেমন – বস্তারের নকশাল প্রভাবিত এলাকায় ৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়কপথে জাল বিছানো হয়েছে। যে গ্রামগুলিতে আগে জীপ গাড়ি যেতে পারত না, এখন সেই গ্রামগুলিতে নিয়মিত বাস চলাচল করছে।

সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বস্তারের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ কৃষক থেকে ছাত্র, দোকানদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রত্যেকের জীবনকে আলোর পথে নিয়ে যাচ্ছে। বস্তারে সহস্রাধিক সৌর পাম্প বিতরণ করা হয়েছে। এই সৌর পাম্পগুলি সেচের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আজ এই এলাকাগুলিতে অসংখ্য বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল, সরকারি রেশন দোকান, ব্যাঙ্কের শাখা ও এটিএম-এর মতো সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় সর্বত্র মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। রেলপথেও এখন বস্তার রায়পুরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।

আজ একটি রেল বিভাগের কাজ শুরু করা হয়েছে। দু’বছরের মধ্যে একটি জগদলপুর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। এ বছরের শেষের দিকে জগদলপুরেও একটি নতুন ইস্পাত কারখানা চালু হবে। এতে বস্তারের নবীন প্রজন্মের অনেকেরই কর্মসংস্থান হবে।

জগদলপুরে একটি নতুন বিমানবন্দরও গড়ে উঠছে। কয়েক মাসের মধ্যেই এটি চালু হবে। বিমান যোগাযোগ এই অঞ্চলের অর্থ ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ, বস্তার বদলাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই বস্তার একটি অর্থনৈতিক হাব রূপে পরিচিত হবে। একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। ফলে, যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাবে। শুধু রায়পুর নয়, অত্যন্ত কম সময়ে হায়দরাবাদ, নাগপুর এবং বিশাখাপত্তনম যাওয়া-আসা করা যাবে। নতুন ভারতের পাশাপাশি নতুন বস্তার এখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলবে। দশকের পর দশক ধরে এখানকার মানুষের জীবনে যে অন্ধকার ছিল তাঁরা সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসবেন। সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হয় কিন্তু সেদিন দূরে নেই যখন ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন সূর্য দক্ষিণ থেকে উদিত হবে – বস্তার থেকে। এই এলাকা উজ্জ্বল হলে গোটা রাজ্য আলোকিত হবে।

ভাই ও বোনেরা, সুফলভোগীদের কাছে যথাযথভাবে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবাগুলিকে পৌঁছে দেওয়া সবসময়েই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় ভারসাম্যহীনতার পেছনে যে বড় কারণগুলি থাকে, তার মধ্যে এটিও একটি। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে শ্রদ্ধেয় রমণ সিংজির নেতৃত্বাধীন সরকার এক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে ভালো সূত্রপাত করেছে।

কিছুক্ষণ আগে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল জাংলা বিকাশ কেন্দ্র সফরের। স্থানীয় মানুষ যাতে এক জায়গায় সমস্ত সরকারি পরিষেবা পেতে পারেন, তাঁদের যাতে বেশি দৌড়ঝাঁপ করতে না হয়, সময় আর শক্তির উৎস যেন নষ্ট না হয়। এসব মাথায় রেখেই এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয় থেকে শুরু করে পটোয়াড়ি অফিস সরকারি রেশনের দোকান, হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজ সমস্ত সুবিধা একই জায়গায় পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।

আমাকে বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার এরকম ১৪টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে।

বন্ধুগণ, দেশে আঞ্চলিক ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণের একটি পথ হ’ল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করা। সেজন্য হাইওয়ে, রেলওয়ে, এয়ারওয়ে থেকে শুরু করে আইওয়ে পর্যন্ত যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যে সময়ে ফোন এবং ইন্টারনেটের প্রয়োজন এত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সময়ে কোনও অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকলে সে অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্য বস্তারের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করতে ‘বস্তার নেট প্রকল্প – ফেজ-১’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৬টি জেলায় প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিছানো হয়েছে।

একটু আগেই জাংলা গ্রামীণ বিপিও-কে দেখানো হয়েছে কিভাবে এর ব্যবহার মানুষের আয় বৃদ্ধি করবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ১০ হাজারের মধ্যে ৪ হাজার পঞ্চায়েতকে ভারত নেট-এর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। আর বাকি কাজ আগামী বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ, আজ দল্লিরাজহরা ভানুপ্রতাপ ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখানো হয়েছে। আপনারা একথা জেনে খুশি হবেন যে, চালক থেকে শুরু করে গার্ড পর্যন্ত প্রত্যেকেই মহিলা। যিনি গাড়িটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়েছেন তিনিও মহিলা। দেশবাসী জেনে খুশি হবেন যে, আমাদের মেয়েরা এখন ছত্তিশগড়ের আদিবাসী অরণ্যে নির্ভয়ে রেলগাড়ি চালাচ্ছেন। দল্লিরাজহরা থেকে রাওগড় আর রাওগড় থেকে জগদলপুর রেললাইনের প্রস্তাব প্রায় ২৩ বছর আগেই মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এর কাজই শুরু করা যায়নি। কোনও ভাবে দল্লিরাজহরা থেকে রাওগড়ের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু এর অগ্রগতি তেমন হয় নি!

আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি। ফলস্বরূপ, বস্তারের উত্তর প্রান্ত অবধি নতুন রেল লাইন বিছানো সম্ভব হয়।

আজ প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে সড়কপথ নির্মাণের শিলান্যাস করা হয়েছে। বিজাপুর ছাড়া কাঁকের, কোঁডাগাঁও, সুকমা, দন্তেওয়াড়া, বস্তার, নারায়ণপুর এবং রাজনাঁদ গ্রামের মধ্যে আধুনিক সড়কের জাল গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমেও ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে। বস্তার ও সরগুঝার মতো বৃহৎ আদিবাসী অঞ্চলগুলিকে বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বিমানবন্দর স্থাপন করা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, বিজাপুরে পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণের কথা ভেবে আজ বেশ কিছু পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাসস করা হয়েছে। এছাড়া, ইন্দ্রাবতী এবং মিঘালচল নদী দুটিতে দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হ’ল

ভাই ও বোনেরা, এই সরকার গরিব, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত ও আদিবাসীদের সরকার। বিগত চার বছরে গরিব ও আদিবাসীদের কল্যাণে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত ও অনেক আইন প্রণয়ন আমার এই দাবিকে সমর্থন করে। এর সঙ্গে আজ যুক্ত হ’ল বন-ধন যোজনা। এই প্রকল্প অনুসারে অরণ্য এলাকায় বন-ধন বিকাশ কেন্দ্র খোলা হবে। এর মাধ্যমে সরকার একথা সুনিশ্চিত করেছে যে, অরণ্য থেকে উৎপাদিত যে কোনও বস্তু বাজারে সরবরাহ হলে তার যেন যথাযথ মূল্য প্রদান করা হয়। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে অরণ্যে উৎপাদিত সমস্ত কিছুর যথাযথ প্রচার ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে এগুলির বাজার গড়ে তোলা হবে।

বন্ধুগণ, মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কত লাভ হয়, সে সম্পর্কে আপনাদের বলতে চাই। এখানে আপনারা এখন ১৭-১৮ টাকা কেজি দরে কাঁচা তেঁতুল বিক্রি করেন। কিন্তু আপনারা যখন এর বীজ বের করে ভালোভাবে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করেন তখন তার মূল্য ৫০-৬০ টাকা বেড়ে যায়, অর্থাৎ তিন গুণ মূল্য বৃদ্ধি হয়।

ভাই ও বোনেরা, আমরা আগেই জন ধন যোজনা শুরু করেছিলাম আজ থেকে শুরু হ’ল বন-ধন যোজনা। আর তৃতীয়ত, আপনারা বাজেটে শুনেছেন গোবর ধন যোজনার কথা। গ্রামের গরিবদের এই জন ধন, বন-ধন আর গোবর ধন তিনটি প্রকল্পের সুবিধাভোগী করে তুলতে পারলে আমার স্থির বিশ্বাস, দেশের প্রতিটি গ্রামের আর্থিক জীবন বদলে যাবে।

আদিবাসীদের স্বার্থে সরকার অরণ্যের অধিকার আইনকে শক্তভাবে প্রয়োগ করছে। সম্প্রতি সরকার বাঁশ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন এনেছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশের আইনে বাঁশকে বৃক্ষ হিসাবে গণ্য করা হ’ত। ফলে, বাঁশ কাটা ও পরিবহণে বেশ কিছু আইনি বাধার সম্মুখীণ হতে হ’ত। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন বদলে দিয়েছে। এখন আপনারা নির্দ্বিধায় বাঁশের চাষ ও ব্যবসা করতে পারেন।

ভাই ও বোনেরা, এই মাটি, এই জল, এই অরণ্য আপনাদের। এতে আপনাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সরকার ৬০ বছরের পুরনো আইন বদলে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে, যার ফলে আপনাদের অঞ্চল থেকে যাঁরাই খনিজ পদার্থ নিষ্কাষিত করবেন, তার একটা লভ্যাংশ স্থানীয় মানুষের কল্যাণে বিনিয়োগ করতে হবে। সেজন্য খনি সমৃদ্ধ জেলাগুলিতে ডিস্ট্রিক্ট মিনারেল ফাউন্ডেশন স্থাপন করা হয়েছে।

এই আইন পরিবর্তনের পর প্রতি বছর ছত্তিশগড় রাজ্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ধনরাশি রাজ্যের উন্নয়নে খরচ করতে পারছে। সরকার এই নিয়মও তৈরি করেছে যে, প্রধানমন্ত্রী খনিজ ক্ষেত্র কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে ৬০ শতাংশ অর্থ পরিবেশ রক্ষা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, মহিলা ও শিশু কল্যাণে খরচ করা হবে।

ভাই ও বোনেরা, রোজগারের পাশাপাশি, আদিবাসী পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ বছরের বাজেটে কয়েকটি বড় প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের আদিবাসী অধ্যুষিত প্রতিটি ব্লকে যেখানে জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি আদিবাসী মানুষ রয়েছেন, অথবা ন্যূনতম ২০ হাজার মানুষ ঐ ব্লকে থাকেন, সেই ব্লকগুলিতে একটি করে একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল গড়ে তোলা হবে।

এছাড়া, সরকার আদিবাসীদের সম্মান ও গর্বের সঙ্গে যুক্ত একটি বড় কাজ হাতে নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসীদের অবদানকে এর আগে কোনও সরকার এভাবে সম্মানিত করেনি। আমরা ঠিক করেছি যে, আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মানে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংগ্রামের ইতিহাস উন্নতমানের প্রদর্শনশালা নির্মাণ করে প্রদর্শিত হবে। তাঁদের ব্যবহার্য সামগ্রীর সংগ্রহালয় গড়ে তোলা হবে, যাতে আগামী প্রজন্ম জানতে পারে যে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমার আদিবাসী ভাই-বোনেদের কতটা অবদান রয়েছে, কত মানুষের বলিদান এই আত্মাভিমানের লড়াইকে শক্তিশালী করেছে।

বন্ধুগণ, আর্থিক ক্ষমতায়ন এবং ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করার একটি বড় মাধ্যম হ’ল ব্যাঙ্ক। আজ এখানে আমার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখা উদ্বোধনেরও সৌভাগ্য হ’ল। আমাকে বলা হয়েছে যে, এখানে আগে ব্যাঙ্কে কাজ থাকলে ২০-২৫ কিলোমিটার যেতে হ’ত। তা ছাড়া, ব্যাঙ্কে কর্মচারী স্বল্পতায় অনেক দুর্ভোগও সাইতে হ’ত। আজ এই শাখা খোলার ফলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

আমরা এখন ডাকঘরেও ব্যাঙ্ক পরিষেবা শুরু করেছি। আমরা গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্ক মিত্র প্রথা চালু করেছি, যাঁরা ব্যাঙ্কের হয়ে গ্রামের মানুষকে পরিষেবা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার পর গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রসারিত করার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে ভীম অ্যাপের মাধ্যমে। আপনারা মোবাইল ফোন দিয়েই সমস্ত রকম ব্যাঙ্কিং লেনদেনের কাজ করতে পারছেন। এই লেনদেনকেও আমাদের জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।

ভাই ও বোনেরা, জন ধন যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনারা জানতে পেরেছেন যে, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে কত লাভ হয়। সরকারের নিয়মিত প্রচেষ্টায় বিগত চার বছরে ৩১ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ছত্তিশগড়ে নতুন খোলা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি। এর দ্বারা গরিব, দলিত, আদিবাসী মানুষরা উপকৃত হয়েছেন।

আজ ছত্তিশগড়ের কন্যা সবিতা সাহুজির ই-রিক্‌শায় চাপার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। শুনলাম, সবিতার পরিবারে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু তিনি হার না মেনে ই-রিক্‌শা চালিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সদস্য সমিতির পথ বেছে নিয়েছেন, সরকার তাঁকে সাহায্য করেছে আর এখন তিনি সম্মানে জীবনযাপন করেন।

স্বচ্ছ ভারত মিশন, সুস্থ ভারত মিশন, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও প্রকল্প, সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্পের মতো অনেক নতুন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়নের কাজ করছে।

উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমেও ছত্তিশগড়ের মহিলারা অনেক লাভবান হয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৮ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। স্বরোজগারকে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে সরকার বিভ্রান্ত যুবক-যুবতীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে তাঁদেরকে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

আমি আজ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও কর্মচারীদের অনুরোধ জানাই যে, আপনারা জেলার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সংকল্প গ্রহণ করুন আর তাকে সিদ্ধ করে দেখান।

ভাই ও বোনেরা, শুধু প্রকল্প রচনা নয়, সেগুলি বাস্তবায়নেও সরকার জোর দিয়েছে। দেশের অন্তিম ব্যক্তির ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করতে সরকার চেষ্টা করছে। আপনাদের অংশীদারিত্বই সরকারের শক্তি। আর এই শক্তি ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই দেশকে নতুন ভারতে রূপান্তরিত করে বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে।

আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হিংসার পথে পা বাড়ানো যুবক-যুবতীদের আহ্বান জানাই। বাবাসাহেব আম্বেদকর আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, তাতে আপনাদের অধিকার রক্ষার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে। আপনাদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আপনাদের হাতে অস্ত্র নেওয়ার প্রয়োজন নেই। জীবনকে এভাবে নষ্ট হতে দেবেন না। সব মা-বাবাদের আমি বলতে চাই যে, যাঁদের ছেলেমেয়েরা ভুল পথে চলে গিয়েছেন, তাঁরা একটু ভাবুন এরা কাদের নেতৃত্বে এসব করছে। এদের নেতারা কেউ আপনার এলাকার মানুষ নয়, তারা বাইরে থেকে এসেছে। পুলিশ ও আধাসেনার সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের মৃত্যু হয় না, তারা জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে আপনাদের সন্তানদের গুলির মুখে ঠেলে দেয়। এ ধরনের মানুষদের স্বার্থে আপনার সন্তানকে আপনি বলি দেবেন?

আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব যে, আপনার সন্তানকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনুন, তাদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের উন্নয়নের পথে যেতে হবে। আপনার সন্তানদের শিক্ষিত হতে হবে। আপনাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতে হবে। আপনাদের সম্মানের জীবন ফিরে পেতে হবে। আপনাদেরর রোজগার, শিক্ষা ও চিকিৎসা – এই সমস্ত প্রয়োজনীয়তা সুনিশ্চিত করতে এখানে মোতায়েন নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। আপনাদের এলাকায় সড়কপথ নির্মাণ কিংবা টেলিফোন টাওয়ার স্থাপনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে তারা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। আপনার এলাকার উন্নয়নযাত্রা  সুনিশ্চিত করতে তাঁরা জীবন উৎসর্গ করছেন।

আসুন ভাই ও বোনেরা, উন্নয়নের পথে চলে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। ১১৫টি অভিলাষী জেলায়, উচ্চাকাঙ্খী জেলায় পরিবর্তনের সংকল্প গ্রহণ করি। আয়ুষ্মান ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করি।

এই আশা নিয়ে আমি আরেকবার এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হওয়ার জন্য এবং এত বড় অনুষ্ঠান এই অরণ্যে আয়োজন করার জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

জয় ভীম – জয় ভীম, জয় হিন্দ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
ISRO achieves milestone with successful sea-level test of CE20 cryogenic engine

Media Coverage

ISRO achieves milestone with successful sea-level test of CE20 cryogenic engine
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi’s Green Energy Vision is a Game-Changer for India. Here's what Stats Speak
December 13, 2024

Prime Minister Narendra Modi has spearheaded a transformative push in India's renewable energy sector, positioning the nation as a global leader in sustainable energy initiatives. Under his leadership, India has not only made significant strides in increasing its renewable energy capacity but has also taken on pivotal roles in international renewable energy organizations. Notably, India co-founded the International Solar Alliance (ISA) with France, which aims to promote solar energy usage among its 99 member countries and mobilize substantial investments for solar projects. India's ambitious goal to achieve 500 GW of renewable energy capacity by 2030 reflects this commitment. The nation has successfully installed over 200 GW of non-fossil fuel capacity, making it the first G20 country to fulfill its climate commitments ahead of schedule. PM Kusum has been instrumental in ensuring reduction of dependency on fossil fuels from agriculture sector. Over 4 lakh farmers have benefited from the scheme . The PM Surya Ghar scheme exemplifies this approach by providing financial support for rooftop solar installations, allowing households to become power producers while also generating employment opportunities. This initiative not only promotes renewable energy but also helps families save on electricity costs. The PM Surya Ghar Muft Bijli Yojana, the world’s largest domestic rooftop solar initiative, is transforming India’s energy landscape with a bold vision to supply solar power to one crore households by March 2027

Moreover, the government's focus on energy efficiency is evident in the widespread adoption of LED lighting across homes and infrastructure, significantly reducing power consumption and contributing to lower carbon emissions. These combined efforts illustrate India's comprehensive strategy to transition towards a sustainable energy future while ensuring economic growth and environmental protection.

170% +Increase in Installation of Renewable Energy

2014 – 76 GW
2024 – 211 GW

Installed Capacity

• Total Non-Fossil Fuel Capacity: Reached 213.70 GW, a 14.2% increase from 187.05 GW in 2023.
• Total Non-Fossil Fuel Capacity (including pipeline projects): Surged to 472.90 GW, a 28.5% increase from 368.15 GW in the previous year.

New Renewable Energy Capacity Additions

• In FY 24-25, 14.94 GW of new capacity was added by November 2024, nearly doubling the 7.54 GW added during the same period in FY 23-24.
• November 2024 alone saw an addition of 2.3 GW, a fourfold increase compared to the 566.06 MW added in November 2023.

Solar Power Growth

• Installed capacity increased from 72.31 GW in 2023 to 94.17 GW in 2024, marking a growth of 30.2%.
• Total solar capacity (including pipeline projects) rose by 52.7%, reaching 261.15 GW compared to 171.10 GW in 2023.

Wind Power Contributions

• Installed wind capacity grew from 44.56 GW in 2023 to 47.96 GW in 2024, reflecting a growth of 7.6%.
• Total wind capacity (including pipeline projects) increased by 17.4%, from 63.41 GW in 2023 to 74.44 GW in 2024.

As on 31.10.2024, a total of 211.40 GW non-fossil power capacity has been installed in the country, which includes 92.12 GW Solar Power, 47.72 GW Wind Power, 11.33 GW Bio-Power, 52.05 GW Hydro Power and 8.18 GW Nuclear Power .

Government Progressive Reforms for Renewable Energy

100% FDI in Renewable Energy Space – The government has permitted Foreign Direct Investment (FDI) in Renewable energy sector up to 100 percent under the automatic route, which would help in foreign companies to set up their manufacturing plants, and help in creating employment opportunities as well.

Production Linked Incentive (PLI) Scheme for National Programme on High Efficiency Solar PV Modules- for achieving manufacturing capacity of Giga Watt (GW) scale in High Efficiency Solar PV modules

Green Energy Corridor - Inter-State Transmission System - Cabinet Committee on Economic Affairs approved construction of an Inter-State Transmission System for power evacuation and grid integration of the 13 GW RE projects in Ladakh and despatch of power from the U.T. of Ladakh to other parts of the country.

GOBARdhan - a mission to transform biodegradable and organic waste, including cattle dung, agricultural residues, and biomass, into high-value resources like biogas, CBG and organic manure which would help in creating clean burning fuel naturally.

Making Big Impact on Global Stage

International Solar Alliance - India was re-elected as the President of the International Solar Alliance (ISA) for a two-year term

One Sun, One World, One Grid (OSWOG) - is an Indian initiative to provide solar energy to 140 countries.

‘Lifestyle for the Environment (LiFE) Movement - the vision of LiFE is to live a lifestyle that is in tune with our planet and does not harm it. And those who live such a lifestyle are called “Pro-Planet People”

Bio Fuel Alliance - To strengthen global cooperation for rapid adoption and deployment of biofuels, the Global Biofuels Alliance (GBA) was launched on 9th September 2023, on the sidelines of the G20 Summit in New Delhi with the support of 19 countries and 12 international organizations