ভারতমাতা কি জয়, ভারতমাতা কি জয়, ভারতমাতা কি জয়!

ধেমাজির হারুয়া ভূমির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এই বিশেষ দিনটির জন্য আমি আপনাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই!

মঞ্চে উপস্থিত আসামের রাজ্যপাল প্রফেসর জগদীশ মুখীজি, রাজ্যের জনপ্রিয় যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, শ্রী রামেশ্বর তেলিজি, আসাম সরকারের মন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মাজি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ এবং এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত আমার প্রিয় আসামের ভাই ও বোনেরা,

এটা আমার সৌভাগ্য যে আজ তৃতীয়বার ধেমাজি এসে আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। আর প্রতিবারই এখানকার মানুষের আত্মীয়তা, এখানকার মানুষের আশীর্বাদ আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করার জন্য, আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য নতুন কিছু করার জন্য প্রেরণা জোগায়। যখন আমি এখানে গোগামুখে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শিলান্যাস করতে এসেছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম যে উত্তর-পূর্ব ভারতই গোটা দেশের উন্নয়নের নতুন ইঞ্জিন হয়ে উঠবে। আজ আমার এই বিশ্বাসকে আমাদের চোখের সামনে বাস্তবায়িত হতে দেখছি।

ভাই ও বোনেরা,

ব্রহ্মপুত্রের এই উত্তর তটে আট দশক আগে অসমিয়া সিনেমা যাত্রা শুরু করেছিল ‘জলমতী’ সিনেমার মাধ্যমে। এই অঞ্চলটি আসামের সংস্কৃতির গৌরব বৃদ্ধিকারী অনেক ব্যক্তিত্ব দিয়েছে। রূপকুঁয়র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়াল, কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা, নাচসূর্য ফণী শর্মার মতো ব্যক্তিত্ব আসামের পরিচয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতরত্ন ডঃ ভূপেন হাজারিকা কখনও লিখেছিলেন, “লুইতুর পাড় দুটি ঝিলিক উঠিব রাতি, জ্বলি হত দেওয়ালির বন্তি।”অর্থাৎ, ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড় দীপাবলিতে প্রজ্জ্বলিত দীপমালার আলোর রোশনাইয়ে মোহিত হবে। গতকাল আমি বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম যে আপনারা এই অঞ্চলে কিভাবে দীপাবলির মতো করে উৎসব পালন করেছেন, কিভাবে হাজার হাজার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। প্রদীপের সেই আলো শান্তি ও স্থায়িত্বের মাঝে আসামের উন্নয়নের প্রকাশ। কেন্দ্র এবং আসাম সরকার মিলে রাজ্যের ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়নের কাজে এগিয়ে চলেছে। আর এই উন্নয়নের একটি বড় ভিত্তি হল আসামের পরিকাঠামো।

বন্ধুগণ,

উত্তর পাড়ের ভরপুর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পূর্ববর্তী সরকারগুলি এই অঞ্চলের সঙ্গে সৎ মায়ের মতো ব্যবহার করেছে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পোদ্যোগ ইত্যাদির প্রতি পূর্ববর্তী সরকারের অগ্রাধিকার পরিলক্ষিত হয়নি। আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং ‘সবকা বিশ্বাস’-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে। সর্বানন্দজির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারও এই নীতিতেই কাজ করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে উত্তর এবং দক্ষিণের বৈষম্য দূর করেছে। যে বোগীবিল সেতুর জন্য এই অঞ্চল যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করেছে, সেই সেতুর কাজ আমাদের সরকার দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করেছে। ব্রহ্মপুত্রের উত্তর তটে ব্রডগেজ রেললাইন আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই পাতা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রে দ্বিতীয় কলিয়াভুমুরা সেতু এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করবে। এটির কাজ দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করা হবে। উত্তর তটে চার লেন বিশিষ্ট জাতীয় মহাসড়কের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গত সপ্তাহেই মহাবাহু ব্রহ্মপুত্র থেকে এখানে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ চালু হয়েছে। বঙ্গাইগাঁও-এর যোগিঘোপাতে একটি বড় টার্মিনাল এবং লাজিস্টিক্স পার্কে কাজও শুরু হয়েছে।

|

বন্ধুগণ,

 

এই পর্যায়ে আজ আসামবাসী ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে শক্তিক্ষেত্রে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকাঠামো প্রকল্পের একটি নতুন উপহার পাচ্ছে। ধেমাজি এবং সুয়ালকুচিতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন থেকে শুরু করে বঙ্গাইগাঁও-এ তৈল শোধনাগারের বিস্তার, ডিব্রুগড়ে সেকেন্ডারি ট্যাঙ্ক ফার্ম আর তিনসুকিয়ায় গ্যাস কম্প্রেসর স্টেশন প্রকল্পগুলি শক্তি উৎপাদন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে হাব হয়ে উঠে এই অঞ্চলের পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এই প্রকল্পগুলি আসামের পাশাপাশি দ্রুতগতিতে উন্নয়নশীল পূর্ব ভারতের প্রতীক।

 

বন্ধুগণ,

 

আত্মনির্ভর ভারতের জন্য লাগাতার নিজেদের সামর্থ্য ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে আমরা ভারতেই তৈল শোধনাগার এবং আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তৈল সংরক্ষণ ক্ষমতা অনেক বেশি বাড়াতে পেরেছি। বঙ্গাইগাঁও তৈল শোধনাগারেও তৈল শোধনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আজ যে গ্যাস ইউনিটটি উদ্বোধন করা হয়েছে, সেটি এখানে এলপিজি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে। এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে আসাম তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের জীবন সহজ হবে এবং নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

যখন কোনও ব্যক্তি মৌলিক সুবিধাগুলি পান, তখন তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। ক্রমবর্ধমান এই আত্মবিশ্বাস গোটা অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটায়। আর এই উন্নয়ন দেশের উন্নতিসাধন করে। আজ আমাদের সরকার সেই মানুষদের কাছে, সেই অঞ্চলগুলিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে, যেখানে আগে কোনও পরিষেবা পৌঁছয়নি। এখন সরকারি ব্যবস্থা তাঁদেরকে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। আগে মানুষকে তাঁদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনারা ভাবুন, ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক ১০০টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫০-৫৫ জনের, অর্থাৎ প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বাড়িতেই এলপিজি গ্যাস সংযোগ ছিল। আসামে তৈল শোধনাগার এবং অন্যান্য পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও ১০০-র মধ্যে ৪০টি পরিবারের কাছে গ্যাস সংযোগ ছিল। গরীব মা-বোন-বেটিদের রান্নাঘরের ধোঁয়া এবং অসুস্থতার জালের মধ্যে বসবাস করা তাঁদের জীবনের অনেক বড় দুঃখের কারণ ছিল। আমরা উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতিকে বদলেছি। আজ আসামে গ্যাস সংযোগ প্রায় ১০০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে গেছে। এখানে বঙ্গাইগাঁও তৈল শোধনাগারের আশপাশের জেলাগুলিতে ২০১৪-র পর তিনগুণের বেশি এলপিজি সংযোগ বেড়ে গেছে। এখন কেন্দ্রীয় বাজেটে ১ কোটি আরও গরীব বোনেদের উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

 

গ্যাস সংযোগ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সংযোগ, সার উৎপাদন কমে গেলে সব থেকে বেশি লোকসান আমাদের দেশের গরীব মানুষ, আমাদের দেশের ছোট কৃষকদেরই হয়। স্বাধীনতার পর অনেক দশক পেরিয়ে গেলেও যে ১৮ হাজার গ্রামে এতদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেগুলির মধ্যে অধিকাংশ গ্রামই ছিল আসাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। পূর্ব ভারতে অনেক সার কারখানা গ্যাসের অভাবে হয় বন্ধ হয়ে গেছে, কিংবা অসুস্থ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ফল কাদের ভুগতে হয়েছে? এখানকার গরীব মানুষ, মধ্যবিত্ত, নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের জন্য আগের ভুলগুলি শোধরানোর কাজ আমাদের সরকারই করছে। আজ প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা যোজনার মাধ্যমে পূর্ব ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্যাস পাইপলাইনের অন্যতম একটি উপায়ের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত সঠিক হলে, ইচ্ছাশক্তি স্পষ্ট হলে, ভাগ্য বদলে যায়, নিয়তিও বদলে যায়, খারাপ চিন্তার অবসান ঘটে, আর নিয়তি প্রত্যেকের ভাগ্য বদলে দেয়। আজ দেশে গ্যাস পাইপলাইনের নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, দেশের প্রত্যেক গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার পাতা হচ্ছে, বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে - এইসব কিছু ভারতমাতার কোলে নতুন যে সব পরিকাঠামো গঠন করছে তা লোহার পাইপ আর ফাইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা যে ভারতমাতার নতুন ভাগ্যরেখা।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আত্মনির্ভর ভারতকে গতি প্রদানের জন্য আমাদের বৈজ্ঞানিক, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদের শক্তিশালী ট্যালেন্ট পুলের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে দেশে এমন একটি আবহ গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করছি, যেখানে দেশের নতুন প্রজন্মের মানুষরা দেশবাসীর নানা সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবক পদ্ধতিতে অনেক স্টার্ট-আপ গড়ে তুলেছে। আজ গোটা বিশ্ব ভারতের ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদদের সমীহ করে। আসামের যুব সম্প্রদায়ের অদ্ভূত ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আসাম সরকারের প্রচেষ্টার কারণেই আজ এখানকার ২০টিরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ ধেমাজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শুভ উদ্বোধন আর সুয়ালকুচি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিলান্যাসের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি আরও ইতিবাচক হয়ে উঠেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এমনই আরও তিনটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। মেয়েদের জন্য বিশেষ কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ এবং আরও অনেক নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ আসাম সরকার দ্রুতগতিতে করছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আসাম সরকার এখানে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিকেও দ্রুত বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে আসামের জনগণ, এখানকার জনজাতি সমাজের মানুষেরা, চা বাগানে কর্মরত আমার শ্রমিক ভাই-বোনেদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত লাভবান হবেন, কারণ এতে স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনা এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। যখন স্থানীয় ভাষায় মেডিকেল পড়াশোনা হবে, স্থানীয় ভাষায় প্রযুক্তিগত পড়াশোনা হবে, তখন দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম পরিবারের বাচ্চারাও চিকিৎসক হতে পারবেন, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন, দেশের কল্যাণ করতে পারবেন। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মা-বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আসামের মতো রাজ্যে যেখানে চা, পর্যটন, হস্ততাঁত এবং হস্তশিল্প – এই সমস্ত ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার বড় শক্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে এখানকার যুব সম্প্রদায় যখন এই দক্ষতাগুলি স্কুলে এবং কলেজেই শিখবে তখন তাঁরা অনেক লাভবান হবেন। আত্মনির্ভরতার ভিত্তির সঙ্গে সেখান থেকে যুক্ত হবে। এ বছরের বাজেটেও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে কয়েকশ’নতুন একলব্য মডেল স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে আসাম লাভবান হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

ব্রহ্মপুত্রের আশীর্বাদে এই অঞ্চলের মাটি অত্যন্ত ঊর্বরা। এখানকার কৃষকরা যাতে তাঁদের সামর্থ্য বাড়াতে পারেন, তাঁদের কৃষি যাতে আধুনিক পরিষেবাগুলির সুবিধা পায়, তাঁদের আয় বৃদ্ধি পায়, তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার মিলেমিশে কাজ করছে। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার থেকে শুরু করে কৃষকদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করা, তাঁদের ভালো বীজ দেওয়া, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের ব্যবস্থা করা, তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনকে মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের সরকার মৎস্যচাষের জন্য অনেকদিন আগেই একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রক চালু করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মৎস্যচাষে উৎসাহ প্রদানের জন্য যত খরচ হয়েছে, তার থেকে বেশি খরচ আমাদের সরকার করেছে। মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি অনেক বড় প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে যার মাধ্যমে আমার আসামের মৎস্য শিল্পোদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ভাইয়েরা লাভবান হবেন। সরকার চেষ্টা করছে আসাম তথা দেশের কৃষক চাষ করে যে ফসল ফলায়, তা আন্তর্জাতিক বাজারে কিভাবে পৌঁছবে সেটা সুনিশ্চিত করা। সেজন্য কৃষি-সংশ্লিষ্ট আইনগুলির সংস্কার করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আসামের অর্থনীতিতে ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পাড়ের চা বাগানগুলির অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। এই চা বাগানগুলিতে কর্মরত আমাদের ভাই-বোনেদের জীবন সহজ করে তোলাও আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির অন্যতম। আমি আসাম সরকারের প্রশংসা করছি, কারণ তারা ছোট ছোট চা উৎপাদকদের জমির পাট্টা দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

যে মানুষেরা অনেক দশক ধরে দেশে রাজত্ব করেছে, তারা ডিসপুরকে দিল্লি থেকে অনেক দূরে মনে করত। এই ভাবনার ফলেই আসামের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এখন দিল্লি আপনাদের থেকে দূরে নয়। দিল্লি আপনাদের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। বিগত বছরগুলিতে কয়েকশ’ বার কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের এখানে পাঠানো হয়েছে; যাতে তাঁরা আপনাদের সমস্যাগুলি জানতে পারেন, তৃণমূলস্তরে কী কাজ হচ্ছে তা দেখতে পারেন এবং আপনাদের প্রয়োজনগুলি মাথায় রেখে প্রকল্পগুলি রচনা করেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি। আমিও অনেকবার আসামে এসেছি যাতে আপনাদের মাঝে এসে আপনাদের উন্নয়ন যাত্রায় একজন সহযাত্রী হয়ে উঠতে পারি। আসামের কাছে সবকিছু আছে যা এখানকার প্রত্যেক নাগরিকের জীবনকে উন্নত করার জন্য চাই। এখন প্রয়োজন হল এখানকার উন্নয়নের। সেই উন্নয়নের জন্য যে ডবল ইঞ্জিন চলছে, সেই ডবল ইঞ্জিনকে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ আপনাদের সামনে আসছে। আমি আসামের জনগণকে আশ্বস্ত করছি, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আশীর্বাদে আসামের উন্নয়নে আরও দ্রুতগতি আসবে, আসাম উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

 

আমি জানি এখন আপনারা নির্বাচনের অপেক্ষা করছেন। যখন গতবার নির্বাচন ঘোষণা হয়েছিল, তখন হয়তো তারিখটি ছিল ৪ মার্চ। এবারও আমি সম্ভাবনা দেখছি মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন ঘোষণা করা হবে। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাঁরা করবে। কিন্তু আমি চেষ্টা করব নির্বাচন ঘোষণার আগে যতবার আসামে আসতে পারি, পশ্চিমবঙ্গে যেতে পারি, কেরলে যেতে পারি, তামিলনাড়ুতে যেতে পারি এবং পুদুচেরিতে যেতে পারি। আমি চেষ্টা করে যাব। মনে করুন ৭ তারিখে যদি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, তার আগে যতটা সময় পাওয়া যায়। গতবার ৪ মার্চে হয়েছিল বলেই কথাটা বলছি। তার আগে-পেছনেও হতে পারে। যাই হোক, আপনাদের মধ্যে আসার চেষ্টা আমি চালিয়ে যাব। আর ভাই ও বোনেরা, আজ এত বিপুল সংখ্যায় এসে আপনারা আমাকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন, উন্নয়নের পথে আপনারা আমার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছেন, সেজন্য আমি আপনাদের হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আর এই বিশ্বাসের সঙ্গে আরেকবার এতগুলি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য, আত্মনির্ভর আসাম গড়ে তুলতে, ভারত নির্মাণে আসামের অবদানের জন্য, আসামের নবীন প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আসামের মৎস্যজীবী, আসামের কৃষক, আসামের মা-বোনেরা, আমার আসামের জনজাতি ভাই-বোনেরা প্রত্যেকের কল্যাণের জন্য আজ অনেক ক’টি প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস হয়েছে। সেগুলির জন্য আমি আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়!

 

  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼🙏🏻
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼🙏
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼🇮🇳
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼💐
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼🏝️
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼🌱
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼👌
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼🌹
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼👍🏼
  • Manda krishna BJP Telangana Mahabubabad District mahabubabad June 24, 2022

    👍🏼👍🏼
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Modi’s India hits back: How Operation Sindoor is the unveiling of a strategic doctrine

Media Coverage

Modi’s India hits back: How Operation Sindoor is the unveiling of a strategic doctrine
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
We are advancing the 'Act East' policy with the spirit of 'Act Fast': PM Modi in Sikkim@50
May 29, 2025
QuotePM lays foundation stone, inaugurates multiple development projects in Sikkim
QuoteSikkim is the pride of the country: PM
QuoteOver the past decade, our government has placed the Northeast at the core of India's development journey: PM
QuoteWe are advancing the 'Act East' policy with the spirit of 'Act Fast': PM
QuoteSikkim and the entire Northeast are emerging as a shining chapter in India's progress: PM
QuoteWe endeavour to make Sikkim a global tourism destination: PM
QuoteIndia is set to become a global sports superpower, with the youth of the Northeast and Sikkim playing a key role: PM
QuoteOur dream is that Sikkim should become a Green Model State not only for India but for the entire world: PM

सिक्किम के राज्यपाल श्री ओपप्रकाश माथुर जी, राज्य के लोकप्रिय मुख्यमंत्री, मेरे मित्र प्रेम सिंह तमांग जी, संसद में मेरे साथी दोरजी शेरिंग लेपचा जी, डॉ इंद्रा हांग सुब्बा जी, उपस्थित अन्य जनप्रतिनिधिगण, देवियों और सज्जनों,

कंचनजंगाको शितल छायाँमा बसेको हाम्रो प्यारो सिक्किमको आमा-बाबु, दाजु-भाई अनि दीदी-बहिनीहरु। सिक्किम राज्यको स्वर्ण जयंतीको सुखद उपलक्ष्यमा तपाईहरु सबैलाई मंगलमय शुभकामना।

आज का ये दिन विशेष है, ये अवसर सिक्किम की लोकतांत्रिक यात्रा की गोल्डन जुबली का है। मैं स्वयं आप सबके बीच रहकर के इस उत्सव का, इस उमंग का, 50 वर्ष की सफल यात्रा का साक्षी बनना चाहता था, मैं भी आपके साथ कंधे से कंधा मिलाकर इस उत्सव का हिस्सा बनना चाहता था। मैं बहुत सुबह दिल्ली से निकलकर बागडोगरा तो पहुंच गया, लेकिन मौसम ने मुझे आपके दरवाजे तक तो पहुंचा दिया, लेकिन आगे जाने से रोक लिया और इसलिए मुझे आपके प्रत्यक्ष दर्शन का अवसर नहीं मिला है। लेकिन मैं यह दृश्य देख रहा हूं, ऐसा भव्य दृश्य मेरे सामने है, लोग ही लोग नजर आ रहे हैं, कितना अद्भुत नजारा है। कितना अच्छा होता, मैं भी आपके बीच होता, लेकिन मैं नहीं पहुंच पाया, मैं आप सबकी क्षमा मांगता हूं। लेकिन जैसे माननीय मुख्यमंत्री जी ने मुझे निमंत्रण दिया है, मैं आपको विश्वास दिलाता हूं, जैसे ही राज्य सरकार तय करेगी, मैं सिक्किम जरूर आऊंगा, आप सबके दर्शन करूंगा और इस 50 वर्ष की सफल यात्रा का मैं भी एक दर्शक बनूंगा। आज का ये दिन बीते 50 वर्षों की अचीवमेंट्स को सेलिब्रेट करने का है और आपने काफी अच्छा कार्यक्रम आयोजित किया है। और मैं तो लगातार सुन रहा था, देख रहा था, खुद मुख्यमंत्री जी इस आयोजन को यादगार बनाने के लिए काफी ऊर्जा के साथ लगे रहे हैं। वो दिल्ली में भी मुझे दो बार आकर के निमंत्रण देकर गए हैं। मैं आप सभी को सिक्किम राज्य के 50 वर्ष होने की बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

|

साथियों,

50 साल पहले सिक्किम ने अपने लिए एक डेमोक्रेटिक फ्यूचर तय किया था। सिक्किम के लोगों का जनमन geography के साथ ही भारत की आत्मा से जुड़ने का भी था। एक भरोसा था, जब सबकी आवाज़ सुनी जाएगी, सबके हक सुरक्षित होंगे, तो विकास के एक जैसे मौके मिलेंगे। आज मैं कह सकता हूं कि सिक्किम के एक-एक परिवार का भरोसा लगातार मजबूत हुआ है। और देश ने इसके परिणाम सिक्किम की प्रगति के रूप में देखे हैं। सिक्किम आज देश का गर्व है। इन 50 वर्षों में सिक्किम प्रकृति के साथ प्रगति का मॉडल बना। बायोडायवर्सिटी का बहुत बड़ा बागीचा बना। शत-प्रतिशत ऑर्गेनिक स्टेट बना। कल्चर और हैरिटेज की समृद्धि का प्रतीक बनकर सामने आया। आज सिक्किम देश के उन राज्यों में है, जहां प्रतिव्यक्ति आय सबसे अधिक है। ये सारी उपलब्धियां सिक्किम के आप सभी साथियों के सामर्थ्य से हासिल हुई हैं। इन 50 वर्षों में सिक्किम से ऐसे अनेक सितारे निकले हैं, जिन्होंने भारत का आसमान रोशन किया है। यहां के हर समाज ने सिक्किम की संस्कृति और समृद्धि में अपना योगदान दिया है।

साथियों,

2014 में सरकार में आने के बाद मैंने कहा था- सबका साथ-सबका विकास। भारत को विकसित बनाने के लिए देश का संतुलित विकास बहुत जरूरी है। ऐसा नहीं होना चाहिए कि, एक क्षेत्र तक तो विकास का लाभ पहुंचे और दूसरा पीछे ही छूटता चला जाए। भारत के हर राज्य, हर क्षेत्र की अपनी एक खासियत है। इसी भावना के तहत बीते दशक में हमारी सरकार, नॉर्थ ईस्ट को विकास के केंद्र में लाई है। हम 'Act East' के संकल्प पर 'Act Fast' की सोच के साथ काम कर रहे हैं। अभी कुछ दिन पहले ही दिल्ली में नॉर्थ ईस्ट इन्वेस्टमेंट समिट हुई है। इसमें देश के बड़े-बड़े इंडस्ट्रियलिस्ट, बड़े इन्वेस्टर शामिल हुए। उन्होंने सिक्किम सहित पूरे नॉर्थ ईस्ट में बहुत बड़ी इन्वेस्टमेंट्स की घोषणा की है। इससे आने वाले समय में सिक्किम के नॉर्थ ईस्ट के नौजवानों के लिए यहीं पर रोजगार के अनेक बड़े अवसर तैयार होने वाले हैं।

साथियों,

आज के इस कार्यक्रम में भी सिक्किम की फ्यूचर जर्नी की एक झलक मिलती है। आज यहां सिक्किम के विकास से जुडे अनेक प्रोजेक्ट्स का शिलान्यास और लोकार्पण हुआ है। इन सारे प्रोजेक्ट्स से यहां हेल्थकेयर, टूरिज्म, कल्चर और स्पोर्ट्स की सुविधाओं का विस्तार होगा। मैं आप सभी को इन सारे प्रोजेक्ट्स के लिए ढेर सारी बधाई देता हूं।

साथियों,

सिक्किम समेत पूरा नॉर्थ ईस्ट, नए भारत की विकास गाथा का एक चमकता अध्याय बन रहा है। जहाँ कभी दिल्ली से दूरियां विकास की राह में दीवार थीं, अब वहीं से अवसरों के नए दरवाज़े खुल रहे हैं। इसका सबसे बड़ा कारण है, यहां की कनेक्टिविटी में जो बदलाव आ रहा है, आप लोगों ने तो अपनी आंखों के सामने ये परिवर्तन होते देखा है। एक समय था जब पढ़ाई के लिए, इलाज के लिए, रोजगार के लिए कहीं पर भी आना-जाना बहुत बड़ी चुनौती था। लेकिन बीते दस वर्षों में स्थिति काफी बदल गई है। इस दौरान सिक्किम में करीब चार सौ किलोमीटर के नए नेशनल हाईवे बने हैं। गांवों में सैकड़ों किलोमीटर नई सड़कें बनी हैं। अटल सेतु बनने से सिक्किम की दार्जिलिंग से कनेक्टिविटी बेहतर हुई है। सिक्किम को कालिम्पोंग से जोड़ने वाली सड़क पर भी काम तेज़ी से चल रहा है। और अब तो बागडोगरा-गंगटोक एक्सप्रेसवे से भी सिक्किम आना-जाना बहुत आसान हो जाएगा। इतना ही नहीं, आने वाले समय में हम इसे गोरखपुर-सिलीगुड़ी एक्सप्रेसवे से भी जोड़ेंगे।

|

साथियों,

आज नॉर्थ ईस्ट के हर राज्य की राजधानी को रेलवे से जोड़ने का अभियान तेज़ी से आगे बढ़ रहा है। सेवोक-रांगपो रेल लाइन, सिक्किम को भी देश के रेल नेटवर्क से जोड़ेगी। हमारा ये भी प्रयास है कि जहां सड़कें नहीं बन सकतीं, वहां रोपवे बनाए जाएं। थोड़ी देर पहले ऐसे ही रोपवे प्रोजेक्ट्स का लोकार्पण किया गया है। इससे भी सिक्किम के लोगों की सहूलियत बढ़ेगी।

साथियों,

बीते एक दशक में भारत नए संकल्पों के साथ आगे बढ़ रहा है। और इसमें बेहतर हेल्थकेयर का लक्ष्य हमारी बहुत बड़ी प्राथमिकता रहा है। पिछले 10-11 साल में देश के हर राज्य में बड़े अस्पताल बने हैं। एम्स और मेडिकल कॉलेजों का बहुत विस्तार हुआ है। आज यहां भी 500 बेड का अस्पताल आपको समर्पित किया गया है। ये अस्पताल गरीब से गरीब परिवार को भी अच्छा इलाज सुनिश्चित करेगा।

साथियों,

हमारी सरकार एक तरफ अस्पताल बनाने पर बल दे रही है, वहीं दूसरी तरफ सस्ते और बेहतर इलाज का भी इंतज़ाम कर रही है। आयुष्मान भारत योजना के तहत सिक्किम के 25 हजार से ज्यादा साथियों का मुफ्त इलाज किया गया है। अब पूरे देश में 70 वर्ष से ऊपर के सभी बुजुर्गों को 5 लाख रुपए तक का मुफ्त इलाज मिल रहा है। अब सिक्किम के मेरे किसी भी परिवार को अपने बुजुर्गों की चिंता नहीं करनी पड़ेगी। उनका इलाज हमारी सरकार करेगी।

साथियों,

विकसित भारत का निर्माण, चार मजबूत पिलर्स पर होगा। ये पिलर्स हैं- गरीब, किसान, नारी और नौजवान। आज देश, इन पिलर्स को लगातार मजबूत कर रहा है। आज के अवसर पर मैं सिक्किम के किसान बहनों-भाइयों की खुले दिल से प्रशंसा करुंगा। आज देश, खेती की जिस नई धारा की तरफ बढ़ रहा है, उसमें सिक्किम सबसे आगे है। सिक्किम से ऑर्गेनिक प्रोडक्ट्स का एक्सपोर्ट भी बढ़ रहा है। हाल में ही यहा की मशहूर डैले खुरसानी मिर्च, ये पहली बार एक्सपोर्ट शुरु हुआ है। मार्च महीने में ही, पहला कन्साइनमेंट विदेश पहुंच गया है। आने वाले समय में ऐसे अनेक उत्पाद यहां से विदेश निर्यात होंगे। राज्य सरकार के हर प्रयास के साथ केंद्र सरकार कंधे से कंधा मिलाकर चल रही है।

साथियों,

सिक्किम की ऑर्गेनिक बास्केट को और समृद्ध करने के लिए केंद्र सरकार ने एक और कदम उठाया है। यहां सोरेंग जिले में देश का पहला ऑर्गेनिक फिशरीज़ क्लस्टर बन रहा है। ये सिक्किम को, देश और दुनिया में एक नई पहचान देगा। ऑर्गेनिक फार्मिंग के साथ-साथ सिक्किम को ऑर्गेनिक फिशिंग के लिए भी जाना जाएगा। दुनिया में ऑर्गेनिक फिश और फिश प्रोडक्ट्स की बहुत बड़ी डिमांड है। इससे यहां के नौजवानों के लिए मछली पालन के क्षेत्र में नए मौके मिलेंगे।

|

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले ही दिल्ली में नीति आयोग की गवर्निंग काउंसिल की बैठक हुई है। इस बैठक के दौरान मैंने कहा है, हर राज्य को अपने यहां एक ऐसा टूरिस्ट डेस्टिनेशन डवलप करना चाहिए, जो इंटरनेशनल लेवल पर अपनी पहचान बनाए। अब समय आ गया है, सिक्किम सिर्फ हिल स्टेशन नहीं, ग्लोबल टूरिज्म डेस्टिनेशन बने! सिक्किम के सामर्थ्य का कोई मुकाबला ही नहीं है। सिक्किम टूरिज्म का complete package है! यहाँ प्रकृति भी है, आध्यात्म भी है। यहाँ झीलें हैं, झरने हैं, पहाड़ हैं और शांति की छाया में बसे बौद्ध मठ भी हैं। कंचनजंगा नेशनल पार्क, UNESCO वर्ल्ड हेरिटेज साइट, सिक्किम की इस धरोहर पर सिर्फ भारत नहीं, पूरी दुनिया को गर्व है। आज जब यहां नया स्कायवॉक बन रहा है, स्वर्ण जयंती प्रोजेक्ट का लोकार्पण हो रहा है, अटल जी की प्रतिमा का अनावरण किया जा रहा है, ये सभी प्रोजेक्ट, सिक्किम की नई उड़ान के प्रतीक हैं।

साथियों,

सिक्किम में एडवेंचर और स्पोर्ट्स टूरिज्म का भी बहुत पोटेंशियल है। ट्रेकिंग, माउंटेन बाइकिंग, हाई-एल्टीट्यूड ट्रेनिंग जैसी गतिविधियाँ यहां आसानी से हो सकती हैं। हमारा सपना है सिक्किम को कॉन्फ्रेंस टूरिज्म, वेलनेस टूरिज्म और कॉनसर्ट टूरिज्म का भी हब बनाया जाए। स्वर्ण जयंती कन्वेंशन सेंटर, यही तो भविष्य की तैयारी का हिस्सा है। मैं चाहता हूँ कि दुनिया के बड़े-बड़े कलाकार गंगटोक की वादियों में आकर perform करें, और दुनिया कहे “अगर कहीं प्रकृति और संस्कृति साथ-साथ हैं, तो वो हमारा सिक्किम है!”

साथियों,

G-20 समिट की बैठकों को भी हम नॉर्थ ईस्ट तक इसलिए लेकर आए, ताकि दुनिया यहाँ की क्षमताओं को देख सके, यहां की संभावनाओं को समझ सके। मुझे खुशी है कि सिक्किम की NDA सरकार इस विज़न को तेज़ी से धरातल पर उतार रही है।

साथियों,

आज भारत दुनिया की बड़ी आर्थिक शक्तियों में से एक है। आने वाले समय में भारत स्पोर्ट्स सुपरपावर भी बनेगा। और इस सपने को साकार करने में, नॉर्थ ईस्ट और सिक्किम की युवा शक्ति की बहुत बड़ी भूमिका है। यही धरती है जिसने हमें बाईचुंग भूटिया जैसे फुटबॉल लीजेंड दिए। यही सिक्किम है, जहाँ से तरुणदीप राय जैसे ओलंपियन निकले। जसलाल प्रधान जैसे खिलाड़ियों ने भारत को गौरव दिलाया। अब हमारा लक्ष्य है, सिक्किम के हर गाँव, हर कस्बे से एक नया चैम्पियन निकले। खेल में सिर्फ भागीदारी नहीं, विजय का संकल्प हो! गंगटोक में जो नया स्पोर्ट्स कॉम्प्लेक्स बन रहा है, वो आने वाले दशकों में चैम्पियनों की जन्मभूमि बनेगा। ‘खेलो इंडिया’ स्कीम के तहत सिक्किम को विशेष प्राथमिकता दी गई है। टैलेंट को पहचान कर, ट्रेनिंग, टेक्नोलॉजी और टूर्नामेंट – हर स्तर पर मदद दी जा रही है। मुझे पूरा विश्वास है, सिक्किम के युवाओं की ये ऊर्जा, ये जोश, भारत को ओलंपिक पोडियम तक पहुंचाने का काम करेगा।

साथियों,

सिक्किम के आप सभी लोग पर्यटन की पावर को जानते हैं, समझते हैं। टूरिज्म सिर्फ मनोरंजन नहीं है, ये डायवर्सिटी का सेलिब्रेशन भी है। लेकिन आतंकियों ने जो कुछ पहलगाम किया, वो सिर्फ भारतीयों पर हमला नहीं था, वो मानवता की आत्मा पर हमला था, भाईचारे की भावना पर हमला था। आतंकियों ने हमारे अनेक परिवारों की खुशियां को तो छीन लिया, उन्होंने हम भारतीयों को बांटने की भी साजिश रची। लेकिन आज पूरी दुनिया देख रही है कि, भारत पहले से कहीं ज़्यादा एकजुट है! हमने एकजुट होकर आतंकियों और उनके सरपरस्तों को साफ़ संदेश दिया है। उन्होंने हमारी बेटियों के माथे से सिंदूर पोछकर उनका जीना हराम कर दिया, हमने आतंकियों को ऑपरेशन सिंदूर से करारा जवाब दिया है।

|

साथियों,

आतंकी अड्डे तबाह होने से बौखलाकर पाकिस्तान ने हमारे नागरिकों और सैनिकों पर हमले की कोशिश की, लेकिन उसमें भी पाकिस्तान की पोल ही खुल गई। और हमने उनके कई एयरबेस को तबाह करके दिखा दिया, कि भारत कब क्या कर सकता है, कितना तेजी से कर सकता है, कितना सटीक कर सकता है।

साथियो,

राज्य के रूप में सिक्किम के 50 वर्ष का ये पड़ाव हम सभी के लिए प्रेरणा है। विकास की ये यात्रा अब और तेज़ होगी। अब हमारे सामने 2047 हैं, वो साल जब देश की आजादी के 100 साल पूरे होंगे

और यही वो समय होगा, जब सिक्किम को राज्य बने 75 वर्ष कंप्लीट हो जाएंगे। इसलिए हमें आज ये लक्ष्य तय करना है, कि 75 के पड़ाव पर हमारा सिक्किम कैसा होगा? हम सभी किस प्रकार का सिक्किम देखना चाहते हैं, हमें रोडमैप बनाना है, 25 साल के विजन के साथ कदम कदम पर कैसे आगे बढ़ेंगे ये सुनिश्चित करना है। हर कुछ समय पर बीच-बीच में उसकी समीक्षा करते रहना है। और लक्ष्य से हम कितना दूर हैं, कितना तेजी से आगे बढ़ना है। नए हौसले, नई उमंग, नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ना है, हमें सिक्किम की इकॉनॉमी की रफ्तार बढ़ानी है। हमें कोशिश करनी है कि हमारा सिक्किम एक वेलनेस स्टेट के रूप में उभरे। इसमें भी विशेष रूप से हमारे नौजवानों को ज्यादा अवसर मिले। हमें सिक्किम के यूथ को स्थानीय जरूरतों के साथ ही दुनिया की डिमांड के लिए भी तैयार करना है। दुनिया में जिन सेक्टर्स में यूथ की डिमांड है, उनके लिए यहां स्किल डवलपमेंट के नए मौके हमें बनाने हैं।

साथियों,

आइए, हम सब मिलकर एक संकल्प लें, अगले 25 वर्षों में सिक्किम को विकास, विरासत और वैश्विक पहचान का सर्वोच्च शिखर दिलाएँगे। हमारा सपना है— सिक्किम, केवल भारत का नहीं, पूरे विश्व का ग्रीन मॉडल स्टेट बने। एक ऐसा राज्य जहां के हर नागरिक के पास पक्की छत हो, एक ऐसा राज्य जहां हर घर में सोलर पावर से बिजली आए, एक ऐसा राज्य जो एग्रो- स्टार्ट अप्स, टूरिज्म स्टार्ट अप्स में नया परचम लहराए, जो ऑर्गैनिक फूड के एक्सपोर्ट में दुनिया में अपनी पहचान बनाए। एक ऐसा राज्य जहां का हर नागरिक डिजिटल ट्रांजेक्शन करे, जो वेस्ट टू वेल्थ की नई ऊंचाइयों पर हमारी पहचान को पहुंचाए, अगले 25 साल ऐसे अनेक लक्ष्यों की प्राप्ति के हैं, सिक्किम को वैश्विक मंच पर नई ऊंचाई देने के हैं। आइए, हम इसी भावना के साथ आगे बढ़ें और विरासत को, इसी तरह आगे बढ़ाते रहें। एक बार फिर, सभी सिक्किम वासियों को इस महत्वपूर्ण 50 वर्ष की यात्रा पर, इस महत्वपूर्ण अवसर पर देशवासियों की तरफ से, मेरी तरफ से बहुत-बहुत शुभकामनाएं देता हूं, बहुत बहुत धन्यवाद!