Ro-Pax ferry service will reduce travel time, logistics cost and lower environmental footprint
It will create new avenues for jobs & enterprises and give a boost to tourism in the region
Event marks a big step towards PM’s vision of harnessing waterways and integrating them with economic development of the country
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের হাজিরাতে রো-প্যাক্স টার্মিনাল উদ্বোধন এবং হাজিরা থেকে ঘোঘা পর্যন্ত রো-প্যাক্স ফেরি পরিষেবার সূচনা করবেন। এই ফেরি পরিষেবাকে কাজে লাগিয়ে জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থার বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ এবং দেশের আর্থিক উন্নতির সঙ্গে এ ধরনের পরিষেবার সংযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠতে চলেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী এই ফেরি পরিষেবা ব্যবহারকারী স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
হাজিরাতে যে রো-প্যাক্স টার্মিনালের উদ্বোধন হতে চলেছে তা দৈর্ঘ্যে ১০০ মিটার এবং প্রস্থে ৪০ মিটার। এই টার্মিনাল নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। টার্মিনালটিতে প্রশাসনিক কার্যালয় ভবন, পার্কিং এরিয়া, সাব-স্টেশন এবং ওয়াটার টাওয়ারের মতো একাধিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে।
রো-প্যাক্স ফেরি পরিষেবার জলযানটিতে তিনটি ডেক রয়েছে। 'ভয়েজ সিম্ফনি' নামের এই জলযানটির ওজন ২,৫০০ থেকে ২,৭০০ মেট্রিক টন। এই জলযানে করে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার জিটি পণ্য পরিবহণ সম্ভব। এছাড়াও, জলযানটিতে প্রতিটি ৫০ মেট্রিক টন ওজনবিশিষ্ট ৩০টি লরি প্রধান ডেকটিতে, আপার ডেকটিতে ১০০ জন যাত্রী এবং প্যাসেঞ্জার ডেকটিতে ৫০০ জন যাত্রী সহ ৩৪ জন নৌ-কর্মী ও অন্যান্যদের পরিবহণ করা যেতে পারে।
হাজিরা-ঘোঘা রো-প্যাক্স ফেরি পরিষেবার একাধিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এই ফেরি পরিষেবা দক্ষিণ গুজরাট ও সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে ঘোঘা ও হাজিরার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার থেকে কমে ৯০ কিলোমিটার হবে। পণ্য পরিবহণের সময় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কমে দাঁড়াবে প্রায় ৪ ঘন্টা এবং দৈনিক প্রায় ৯ হাজার লিটার জ্বালানি সাশ্রয় হবে। এমনকি, অন্যান্য যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচও কমবে। এই ফেরি পরিষেবা দৈনিক তিনবার যাতায়াত করবে। হাজিরা ও ঘোঘা রুটে বার্ষিক প্রায় ৫ লক্ষ যাত্রী, ৮০ হাজার যাত্রীবাহী যান, ৫০ হাজার দু'চাকার যান এবং ৩০ হাজার লরি পরিবহণ করা সম্ভব হবে। পরিষেবা শুরু হলে লরি চালকদের পরিশ্রম ও ক্লান্তি কমবে। একইসঙ্গে তাঁরা দিনে আরও বেশি ট্রিপ থেকে অধিক উপার্জনের সুযোগ পাবেন। কার্বন নির্গমণের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি এই পরিষেবার মাধ্যমে সড়কপথে যানবাহনের চলাচলে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমণ হত তা দৈনিক ভিত্তিতে প্রায় ২৪ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক প্রায় ৮,৬৫৩ মেট্রিক টন হ্রাস পাবে। হাজিরা ও ঘোঘার মধ্যে এই ফেরি পরিষেবা সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পর্যটন ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প সংস্থার অগ্রগতিতেও এই পরিষেবা বড় ভূমিকা নেবে। এর ফলে, সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বন্দর ক্ষেত্র, ফার্নিচার শিল্প ও সার উৎপাদন কারখানাগুলি লাভবান হবে এবং তাদের উপার্জনের পরিমাণ বাড়বে। গুজরাটে ইকো-পর্যটন ও ধর্মীয় পর্যটন বিশেষ করে, পোরবন্দর, সোমনাথ, দ্বারকা ও পালিতানাতে অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের ফলে এবং ফেরি পরিষেবা চালু হলে স্থানীয় এলাকায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে ও এশীয় প্রজাতির সিংহের একমাত্র প্রাকৃতিক বাসস্থান গির অভয়ারণ্যে পশুপ্রেমী ও পর্যটকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।