PM launches ‘Suposhit Gram Panchayat Abhiyan’
On Veer Baal Diwas, we recall the valour and sacrifices of the Sahibzades, We also pay tribute to Mata Gujri Ji and Sri Guru Gobind Singh Ji: PM
Sahibzada Zorawar Singh and Sahibzada Fateh Singh were young in age, but their courage was indomitable: PM
No matter how difficult the times are, nothing is bigger than the country and its interests: PM
The magnitude of our democracy is based on the teachings of the Gurus, the sacrifices of the Sahibzadas and the basic mantra of the unity of the country: PM
From history to present times, youth energy has always played a big role in India's progress: PM
Now, only the best should be our standard: PM

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত বীর বাল দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তৃতীয় বীর বাল দিবস আয়োজন উপলক্ষ্যে উপস্থিত জনগণকে সম্ভাষণ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার সাহেবজাদাদের অতুলনীয় সাহসীকতা ও আত্মত্যাগের স্মরণে বীর বাল দিবস চালু করেছে। এই দিনটি এখন কোটি কোটি ভারতবাসীর কাছে জাতীয় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে এবং অনেক শিশু ও যুবককে অদম্য সাহস দেখাতে অনুপ্রাণিত করছে। শ্রী মোদী বীর বাল পুরস্কারে ভূষিত ১৭ জন শিশুর প্রশংসা করে বলেন, সাহসীকতা, উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খেলাধুলা এবং শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এরা পুরস্কৃত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গুরু এবং বীর সাহেবজাদাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অভিনন্দন জানান।

 

সাহসী সাহেবজাদাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান প্রজন্মের যুবক যুবতীদের সেইসব সাহসিকতার গল্প জানা প্রয়োজন এবং সেগুলি মনে রাখাও জরুরি। তিন শতাব্দী আগে এই দিনে বীর সাহেবজাদারা তাঁদের আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহেব জোরুয়ার সিং এবং সাহেব ফতে সিং শৈশবে অসীম সাহসী ছিলেন। মুঘলদের সমস্ত প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করে, যাবতীয় নৃশংসতা সহ্য করে উজীর খানের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড সাহসীকতার সঙ্গে মেনে নিয়েছিলেন। শ্রী মোদী বলেন, সাহেবজাদারা তাঁকে গুরু অর্জুন দেব, গুরু তেগ বাহাদুর এবং গুরু গোবিন্দ সিং-এর সাহসিকতার কথা মনে করিয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর বাল দিবস আমাদের শেখায় যে পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, জাতি ও জাতীয় স্বার্থের চেয়ে বড় কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য করা প্রতিটি কাজই বীরত্বের এবং দেশের জন্য বেঁচে থাকা প্রত্যেক শিশু ও যুবক দেশমাতৃকার সাহসী সন্তান।’

শ্রী মোদী বলেন, এবারের বীর বাল দিবস আরও বিশেষ কারণ এটি ভারতীয় সাধারণতন্ত্র এবং আমাদের সংবিধান প্রতিষ্ঠার ৭৫-তম বছর। সাহসী সাহেবজাদাদের কাছ থেকে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা পান দেশের নাগরিকরা। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র সমাজের একেবারে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষটির উন্নতির জন্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে। সংবিধান আমাদের শেখায় এই দেশে কেউ ছোট বা বড় নয়। তিনি বলেন, সাহেবজাদাদের জীবন আমাদের জাতীয় অখণ্ডতা ও আদর্শের সঙ্গে আপোষ না করতে শেখায় এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার নীতিকে সমর্থন করে সংবিধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের বিশালতা, গুরুদের শিক্ষা, সাহেবজাদাদের আত্মত্যাগ এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।

 

শ্রী মোদী বলেন, অতীত থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের তরুণ প্রজন্ম ভারতের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে ২১ শতকের আন্দোলন প্রতিটিতেই ভারতীয় যুবকরা যে বিশেষ অবদান রেখেছে, প্রধানমন্ত্রী তার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুব শক্তির কারণেই বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে আশা ও প্রত্যাশার সঙ্গে ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বিজ্ঞান, খেলাধুলা, উদ্যোগ, যুব শক্তি নতুন বিপ্লবের জন্ম দিচ্ছে। তাই সরকারি নীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে তরুণদের ক্ষমতায়নে। তিনি বলেন, স্টার্টআপ, ইকো সিস্টেম, মহাকাশ অর্থনীতি, খেলাধুলা ও ফিটনেস ক্ষেত্র, ফিনটেক, উৎপাদন শিল্প, দক্ষতা উন্নয়ন সব ক্ষেত্রেই যুবকদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত তরুণরা এই সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ পাচ্ছেন এবং তাদের মেধা ও আত্মবিশ্বাস তুলে ধরতে সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে নতুন নতুন চাহিদা, প্রত্যাশা ও ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা তৈরি হচ্ছে। তিনি গতানুগতিক সফ্টওয়্যার থেকে এআই এবং মেশিন লার্নিং-এর দিকে পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের যুবকদের ভবিষ্যৎমুখী হয়ে ওঠার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে অনেক আগেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এখানে শিক্ষার আধুনিকীকরণের পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করা হয়েছে। ছোট শিশুদের মধ্যে উদ্ভাবনের প্রচারের জন্য ১০,০০০-এরও বেশি অটল টিঙ্কারিং ল্যাব চালু করা হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, মেরা যুব ভারত অভিযানের উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক সুযোগ প্রদান করে যুবকদের মধ্যে সমাজের প্রতি কর্তব্যবোধ জাগ্রত করা।

 

সুস্থ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শ্রী মোদী বলেন, একজন সুস্থ যুবক একটি সক্ষম জাতীকে নেতৃত্ব দিতে পারে। ফিট ইন্ডিয়া এবং খেলো ইন্ডিয়ার মতো উদ্যোগগুলি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সুপোষিত গ্রাম পঞ্চায়েত অভিযান চালু করার কথা ঘোষণা করেন। এই অভিযান অপুষ্টি দূর করতে এবং উন্নত ভারতের ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে তুলতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা গড়ে তুলবে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর বাল দিবস নতুন নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ও নিজেদের সর্বোচ্চ মানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে। তিনি তরুণদের তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা হয়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানান। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমাদের রাস্তা, রেল নেটওয়ার্ক এবং বিমান বন্দর পরিকাঠামো বিশ্বের সেরা হওয়া উচিত। অন্যদিকে যদি উৎপাদন ক্ষেত্রে আমরা কাজ করি তাহলে আমাদের সেমি-কন্টাক্টর, ইলেক্ট্রনিক্স এবং অটো গাড়ি বিশ্বের মধ্যে সেরা হওয়া উচিত। পর্যটনের ক্ষেত্রে আমাদের ভ্রমণ সুবিধা, আতিথেয়তা সেরা হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণের অনুপ্রেরণা আসে সাহেবজাদাদের সাহসিকতা থেকে। আমাদের সংকল্প দেশের যুবকদের সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখা। তিনি বলেন, ভারতের যে যুবকরা বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থাগুলির নেতৃত্ব দিতে পারে, আধুনিক বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে এবং প্রতিটি বড় দেশে ও অঞ্চলে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে, তখন তারা তাদের দেশের জন্য নিশ্চয়ই সেরা হয়ে উঠবেন। 

 

শ্রী মোদী বলেন, প্রতিটি যুগে দেশের যুবকরা দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ পায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যেমন ভারতীয় যুবকরা বিদেশী শক্তির অহংকার চূর্ণ করে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করেছিল, তেমনই বর্তমান তরুণদের লক্ষ্য উন্নত ভারত। আগামী ২৫ বছরে দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্য অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি তরুণদের নিজেদের সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। যেসব যুবকদের পরিবার কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত ছিল না এমন ১ লক্ষ যুবকদের রাজনীতিতে আনার বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাখ্যা করে শ্রী মোদী বলেন, সারা দেশের গ্রাম শহর এবং শহরতলির লক্ষ লক্ষ যুবক এই কাজের মাধ্যমে উন্নত ভারতের পথদিশা তৈরিতে অংশ নিতে পারবেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আগামী দশক, বিশেষ করে আগামী ৫ বছর অমৃতকালের ২৫ বছরের সংকল্পগুলি পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দেশের সমগ্র যুব শক্তিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তরুণদের সমর্থন, সহযোগিতা ও শক্তি ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি গুরু বীর সাহেবজাদা এবং মাতা গুজরি জির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

 

কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রীমতী অন্নপূর্ণা দেবীও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

Click here to read full text speech

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan

Media Coverage

'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi's address to the nation
May 12, 2025
Today, every terrorist knows the consequences of wiping Sindoor from the foreheads of our sisters and daughters: PM
Operation Sindoor is an unwavering pledge for justice: PM
Terrorists dared to wipe the Sindoor from the foreheads of our sisters; that's why India destroyed the very headquarters of terror: PM
Pakistan had prepared to strike at our borders,but India hit them right at their core: PM
Operation Sindoor has redefined the fight against terror, setting a new benchmark, a new normal: PM
This is not an era of war, but it is not an era of terrorism either: PM
Zero tolerance against terrorism is the guarantee of a better world: PM
Any talks with Pakistan will focus on terrorism and PoK: PM

প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই বিগত দিনগুলিতে দেশের সামর্থ্য ও সংযম উভয় দেখেছি। আমি সবার আগে ভারতের পরাক্রমী সেনাদের, সশস্ত্র সেনাদলগুলিকে... আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সি গুলিকে, আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমাদের বীর সৈনিকেরা অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন লক্ষ্য সাধনের জন্য অসীম শৌর্য প্রদর্শন করেছেন।

আমি তাদের বীরত্বকে, তাদের সাহসকে, তাদের পরাক্রমকে আজ সমর্পণ করছি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মা-কে দেশের প্রত্যেক বোনকে আর দেশের প্রত্যেক কন্যাকে এই পরাক্রম সমর্পণ করছি।

বন্ধুগণ, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছিল, তা দেশ ও বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন সেই নির্দোষ অসহায় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে... তাদের পরিবারের সামনে, তাদের শিশুদের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা... এটা সন্ত্রাসের অত্যন্ত বীভৎস চেহারা ছিল... ক্রুরতা ছিল। এটা ছিল দেশের সদ্ভাব নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এই পীড়া ছিল অসহনীয়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোটা দেশ... প্রত্যেক নাগরিক... প্রত্যেক সমাজ... প্রত্যেক গোষ্ঠী... প্রতিটি রাজনৈতিক দল... এক স্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রত্যাঘাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিল... আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ধূলিসাৎ করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিলাম। আর আজ প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী, প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁথি থেকে সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হয়।

বন্ধুগণ, অপারেশন সিঁদুর... এটা শুধুই একটা নাম নয়... এটি দেশের কোটি কোটি জনগণের ভাবনার প্রতিধ্বনি। অপারেশন সিঁদুর... ন্যায়ের অখণ্ড প্রতিজ্ঞা...

৬ই মে’র রাত...৭ মে’র সকাল... গোটা বিশ্ব এই প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছেন। ভারতের সেনারা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ডেরাগুলিকে, তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে... কিন্তু যখন দেশ একজোট হয়ে, nation first-এর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়... রাষ্ট্র সর্বোপরি থাকে... তখনই কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া যায়, যা ফলদায়ক হয়। যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে ভারতীয় মিসাইলগুলি আক্রমণ হানে, ভারতের ড্রোনগুলি আক্রমণ হানে... তখন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়িগুলি শুধু থরথর করে কাঁপে না, তাদের সাহসও ধূলিসাত হয়ে যায়। বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিতে এক প্রকার global terrorism-এর university চলত। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যখন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেগুলির তার কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ঠিকানাগুলির সাথে জুড়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল, সেজন্য ভারত সন্ত্রাসবাদের এই head quarterগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের এই আক্রমণে ১০০-রও বেশি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসের অনেক মনিব বিগত আড়াই তিন দশক ধরে মুক্তভাবে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল... যারা ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে... তাদেরকে ভারত এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে ঘোর নিরাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর এই মাথা খারাপ হওয়াতেই তারা একটি দুঃসাহস করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করার বদলে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা করা শুরু করে।

পাকিস্তান আমাদের স্কুল, কলেজে, গুরুদ্বারে, মন্দিরগুলিতে সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকে নিশানা করে। পাকিস্তান আমাদের সৈন্য ঠিকানা গুলিকেও নিশানা করে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের নিজের মুখোশ খুলে যায়। বিশ্ববাসী দেখে, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইলগুলি ভারতের সামনে খড়ের টুকরোর মত ছড়িয়ে পরে। ভারতের শক্তিশালী air defence system সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেয়। পাকিস্তানের প্রস্তুতি ছিল সীমান্তে আক্রমণ করার... কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বুকে আক্রমণ করে। ভারতের ড্রোন... ভারতের মিসাইলগুলি নির্ভুল গন্তব্যে আক্রমণ হানে। পাকিস্তানি বায়ু সেনার সেই এয়ারবেসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেগুলি নিয়ে পাকিস্তানের অনেক অহঙ্কার ছিল।

ভারত প্রথম তিনদিনেই পাকিস্তানকে এমন তছনছ করে দেয় যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি... সেজন্য... ভারতের ভয়ানক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বাঁচার রাস্তা খুঁজতে থাকে। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে তাদের রক্ষা করার জন্য বার্তা পাঠাতে থাকে। আর ভীষণরকম ভাবে মার খাবার পর অসহায়ের মতো ১০ই মে দুপুরে পাকিস্তানের সেনা আমাদের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ততক্ষণে আমরা সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বুকে বাসা বাঁধা সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে আমরা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিয়েছিলাম। সেজন্য যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর্ত চিৎকার শোনা গেল... পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন বলা হল যে তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোন সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ এবং দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত সে বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আর আমি আর একবার বলছি, আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এবং সৈন্য ঠিকানাগুলিকে আমাদের প্রত্যাঘাতগুলিকে শুধুমাত্র স্থগিত রেখেছি।

আগামীদিনে... আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপকে দাঁড়িপাল্লায় মাপবো। তাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখব।

বন্ধুগণ, ভারতের তিনটি বাহিনী আমাদের Airforce, আমাদের Army, আমাদের Navy, আমাদের Border Security ফরচে, BSF ভারতের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী লাগাতার এলার্ট থাকবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক-এর পর অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন রেখা টেনে দিয়েছে...

একটি নতুন মাত্রা, একটি নিউ নর্মাল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথমত- ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে, আমাদের নিজস্ব শর্তে প্রত্যাঘাত হানবো। সন্ত্রাসবাদের শিকড় যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে, আমরা সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেব।

দ্বিতীয়ত- ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলির ওপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ শুরু করবে।

তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।

অপারেশন সিন্দুরের সময়...

বিশ্ব আবারও পাকিস্তানের কুৎসিত সত্যটি দেখেছে...

যখন মৃত সন্ত্রাসবাদীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়...

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি বড় প্রমাণ।

ভারত এবং আমাদের নাগরিদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব।

বন্ধুরা,

আমরা প্রতিবারই যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। আর এবার অপারেশন সিন্দুর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা মরুভূমি এবং পাহাড়ে আমাদের দক্ষতা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করেছি... এবং এছাড়া... নতুন যুগের যুদ্ধেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। এই অভিযানের সময়...আমাদের ভারতে তৈরি অস্ত্রের ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বিশ্ব দেখছে... একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধের জন্য ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম... সময় এসেছে।

বন্ধুরা,

সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য... আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা অবশ্যই যুদ্ধের যুগ নয়... কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদের যুগও নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা... এটিই একটি উন্নত বিশ্বের গ্যারান্টি।

বন্ধুরা,

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী... পাকিস্তান সরকার... যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে লালন করা হচ্ছে... একদিন তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দেবে। পাকিস্তান যদি টিঁকে থাকতে চায়, তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এ ছাড়া শান্তির আর কোনো উপায় নেই। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট... সন্ত্রাস আর আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।... সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। এবং... এমনকি জল এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। আমি আজ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই...

আমাদের ঘোষিত নীতি হল…

যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হ্য়...তাহলে তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে…যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর...শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

প্রিয় দেশবাসী,

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা।

ভগবান বুদ্ধ আমদের শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

শান্তির পথও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে যায়।

মানবতা...শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়…

প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে…

উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে…

এর জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

এবং প্রয়োজনে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর গত কয়েকদিন ধরে ভারত ঠিক তাই করেছে।

আমি আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই।

আমরা ভারতীয়দের সাহস এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ঐক্যকে আমি অভিবাদন জানাই।

ধন্যবাদ…

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!