India has embarked on the path of becoming self-reliant in meeting its energy needs: PM
Today, India ranks among the world's top 5 countries in solar power: PM
India needs two key things to become self-reliant - energy and semiconductors. Assam is playing a significant role in this journey: PM
We are constantly strengthening Assam's identity: PM

পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রচার ও জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি আজ নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল), গোলাঘাট, আসামে, আসাম বায়োইথানল প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন এবং একই স্থানে পলিপ্রোপিলিন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শারদীয় দুর্গা পূজার উদযাপন উপলক্ষে সকল নাগরিক ও আসামবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি মহান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মবার্ষিকীর তাৎপর্য স্মরণ করে গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে তিনি বিগত দুই দিন ধরে উত্তর-পূর্বে অবস্থান করছেন এবং প্রতিবার এই অঞ্চলে এসে এক অনন্য স্নেহ ও আশীর্বাদের অভিজ্ঞতা পান। এই অঞ্চলের মানুষজনের সঙ্গে যে উষ্ণতা ও আত্মগত সম্পর্ক তিনি অনুভব করেন, তার কথা বলে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শ্রী মোদি বলেন, আজকের দিনটি উন্নত আসাম ও উন্নত ভারতের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি জানান যে আসামের জন্য আনুমানিক ১৮,০০০ কোটি টাকা মূল্যের প্রকল্প বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে এদিন সকালে তিনি দরং থেকে সংযোগ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সর্বশেষ স্থানে তিনি শক্তি-নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আসামের উন্নয়নকে আরও মজবুত করার কথাও বলেন।

আসামের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসাম থেকে উৎপন্ন পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং সরকার সেই শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, বর্তমান স্থানটি ছেড়ে আসার আগে তিনি আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন যেখানে বাঁশ থেকে বায়োইথানল উৎপাদনকারী অত্যাধুনিক একটি প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়—এটিকে তিনি আসামের জন্য গৌরবের বিষয় হিসেবে অভিহিত করেন। ইথানল প্ল্যান্ট উদ্বোধন ও পলিপ্রোপিলিন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন একসঙ্গে হওয়ায় তিনি বললেন যে এই প্রকল্পগুলো আসামের শিল্পোন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে, কৃষক ও যুবসমাজের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং সামগ্রিকভাবে রাজ্যের উন্নয়নে সহায়ক হবে; এসব উদ্যোগের জন্য তিনি সকলকে অভিনন্দন জানান।

 

“ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধমান বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে একটি”, প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন—দেশ অগ্রগতি করলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির চাহিদাও বাড়ে। বহুদিন ভারতে এই শক্তি-চাহিদা পূরণে বিদেশি উৎসের উপর নির্ভরশীলতা ছিল; প্রচুর পরিমাণে জীবাশ্ম তেল ও গ্যাস আমদানি করতে হত। ফলে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ বিদেশে ব্যয় হতো, যা বিদেশে কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি করত—এমন পরিস্থিতি পরিবর্তন করা জরুরি ছিল। শ্রী মোদি বলেন, ভারত এখন শক্তি চাহিদা মেটাতে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছে।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশ  নতুন করে জীবাশ্ম তেল ও গ্যাসের সম্পদ অনুসন্ধান করছে এবং সবুজ শক্তির সক্ষমতাও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তিনি লালকেল্লায় ঘোষিত ‘সমুদ্র মন্থন’ উদ্যোগের কথা স্মরণ করেন এবং বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নে যে দেশের সমুদ্রে তেল ও গ্যাসের গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চয় থাকতে পারে—এসব সম্পদ জাতীয় উন্নয়নের কাজে লাগানোর লক্ষ্যে জাতীয় ডিপওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশনও শুরু করা হয়েছে বলে জানান ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত গ্রিন এনার্জি ও নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। এক দশক আগে সৌরশক্তি ক্ষেত্রে দেশ উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে ছিল; কিন্তু আজ ভারত সৌরশক্তি সক্ষমতায় বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে আছে।

“পরিবর্তিত সময়ে তেল ও গ্যাসের বিকল্প প্রয়োজন”, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন—এথানল এক বাস্তবসম্মত বিকল্প হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। তিনি জানান যে আজই বাঁশ থেকে ইথানল উৎপাদনকারী নতুন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে এবং এটি আসামের কৃষক ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষভাবে লাভজনক হবে।

প্ল্যান্ট চালাতে পর্যাপ্ত বাঁশ সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। সরকার স্থানীয় কৃষকদের বাঁশ চাষে উৎসাহ দেবে এবং সরাসরি ক্রয় ব্যবস্থা করবে। এলাকার জন্য ছোট-বড় বাঁশ চিপিং ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং এই সেক্টরে বার্ষিক প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচের প্রতিশ্রুতি রয়েছে—এই একক প্রকল্পেই হাজারো মানুষের জীবিকা উন্নত হবে, এমনটিও তিনি বলেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে অতীতে বিরোধী শাসন আমলে বাঁশ কাটা অপরাধ হিসেবে পরিগনিত হতো; সেই কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুফল এসেছে—বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

 

এদিনে পলিপ্রোপিলিন প্ল্যান্টের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন যে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্লাস্টিকজাত দ্রব্য—বাক্স, বালতি, বাসন, চেয়ার, টেবিল, প্যাকেজিং ইত্যাদি—এইসব তৈরিতে পলিপ্রপিলিন একান্ত প্রয়োজনীয়। পলিপ্রপিলিন ছাড়া আধুনিক জীবন কল্পনাও করা কঠিন। কার্পেট, দড়ি, ব্যাগ, ফাইবার, মাস্ক, চিকিৎসা কিট ও বস্ত্রসহ অটোমোটিভ, চিকিৎসা ও কৃষি সরঞ্জাম তৈরিতেও এর ব্যবহার অপরিহার্য। তিনি ঘোষণা করেন যে আসামে একটি আধুনিক পলিপ্রপিলিন প্ল্যান্ট স্থাপিত হচ্ছে, যা ‘মেক ইন আসাম’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ভিত্তি মজবুত করবে এবং স্থানীয় উৎপাদনশীলতায় নতুন গতি আনবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যেমনভাবে আসাম ঐতিহ্যগত গামোশা ও এরি-মুগা রেশমের জন্য পরিচিত, তেমনি ভবিষ্যতে পলিপ্রপিলিনভিত্তিক বস্ত্রও রাজ্যের পরিচয়ের অংশ হবে।

“আত্মনির্ভর ভারত”-অভিযানে দেশ অগ্রসর এবং আসাম তার অন্যতম কেন্দ্র—এই আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান যে দেশের আত্মনির্ভরতার জন্য দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—শক্তি এবং সেমিকন্ডাক্টর। তিনি বলেন, আধুনিক ডিভাইস যেমন ব্যাঙ্ক কার্ড ও মোবাইল থেকে শুরু করে গাড়ি, বিমান ও মহাকাশ প্রকল্প—সবকিছুর মূলেই একটি ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। যদি দেশ এসব পণ্য দেশেই তৈরি করতে চায়, তবে দেশের মধ্যেই চিপ উৎপাদন অপরিহার্য। এজন্য সেমিকন্ডাক্টর মিশন গৃহীত হয়েছে এবং মরিগাঁওয়ে একটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানা দ্রুত নির্মাণাধীন, যার বিনিয়োগ প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকা—এটি আসামের জন্য গর্বের বিষয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন যে বিরোধী দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল এবং আসামেও দশকব্যাপী শাসন থাকার কারণে উন্নয়নের গতি ধীর ছিল; সেই সময়ে আসামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও অবহেলায় পড়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আসামের ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করে একটি আধুনিক রূপ দিচ্ছে—বিরোধীরা যে বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও বিবাদ ছড়িয়েছে, তা তাদের সমালোচনার বিষয়, যেখানে কেবল ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিই প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি জানান যে বর্তমান সরকারই অসমীয়া ভাষাকে শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে এবং রাজ্য সরকার দ্রুত নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে, স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে—এগুলোই তাঁদের সরকারের কার্যক্রমের অংশ।

 

শ্রী মোদি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক মহল উত্তর-পূর্বের মহান সন্তানদের যথাযথ সম্মান দেননি। তিনি উদাহরণ হিসেবে বীর লাচিত বরফুকনকে তুলে ধরে বলেন যে বিরোধীরা তাঁকে পর্যাপ্ত মর্যাদা দেয়নি; বর্তমান সরকার লাচিত বরফুকনের ৪০০তম জন্মবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন করেছে এবং তাঁর জীবনী ২৩টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরও জানান যে যোরহাটে তাঁরএকটি বিশাল প্রতিকৃতিও উদ্বোধন করা হয়েছে—এই সব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে তাঁরা অতীতের অনাদৃত ব্যক্তিবর্গকে জনসমক্ষে উত্থাপন করছেন।

ঐতিহাসিক সাইট রংঘর বহুদিন উপেক্ষিত ছিল—এটি সংস্কার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মভূমিকে একটি বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনার কথা বলেন এবং কাশী বিশ্বনাথ ধাম ও মহাকাল মহালোকের দৃষ্টান্ত মেনে কামাখ্যা মন্দিরের ‘মা কামাখ্যা করিডর’ গঠনের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। এই সব উদ্যোগ পর্যটন বাড়িয়ে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সহায়ক হবে—এমনটাই তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সরকার বহু সাংস্কৃতিক প্রতীক ও ঐতিহাসিক স্থানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে। এটি শুধু আসামের ঐতিহ্য রক্ষাই নয়, বরং পর্যটন প্রসারের মাধ্যমে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

একই সময়ে তিনি একটি বেড়ে চলা সমস্যা—অবৈধ অনুপ্রবেশ—কেও উল্লেখ করেন। বিরোধী শাসনের সময়ে অনুপ্রবেশকারীদের জমি বরাদ্দ ও অবৈধ দখল রক্ষা করা হতো বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণে সমাজের জনবিন্যাসগত ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছিল। বর্তমান সরকার ও আসামের জনগণ মিলে এটি প্রতিরোধ করছেন: জমি উদ্ধার করা হচ্ছে এবং উপজাতীয় পরিবারের মাঝে জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে—‘মিশন বসুন্ধরা’ ধারাবাহিক ভাবে লক্ষাধিক পরিবারকে পাট্টা দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, আহোম, কোচ, রাজবংশী ও গোর্খা সম্প্রদায়ের জমির অধিকারও নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় স্বীকৃত হয়েছে এবং সেগুলিকে সুরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে; এ বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

“আমাদের সরকারের উন্নয়নমন্ত্র ‘নাগরিক দেবো ভব’ — নাগরিককে মৌলিক সেবা পেতে ছুটে বেড়াতে হবে না”, প্রধানমন্ত্রী বলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে বিরোধীদের দীর্ঘ শাসনকালে দরিদ্ররা উপেক্ষিত ছিল ও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হত; বর্তমান সরকার সন্তুষ্টিমূলক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে—কোনও দরিদ্র ব্যক্তি বা অঞ্চল উপেক্ষিত থাকবে না। তিনি জানান যে আসামে ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষেরও বেশি স্থায়ী গৃহ দান করা হয়েছে এবং প্রত্যেক বাসভবনে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। চা বাগানের শ্রমিকদের কল্যাণ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও শিশু শিক্ষায় বিশেষ লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

 

“আসামে উন্নয়নের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে এবং আসাম শীঘ্রই বাণিজ্য ও পর্যটনের একটি প্রধান কেন্দ্র হবে”, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন এবং শেষে সকলকে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বলেন যে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি উন্নত আসাম ও উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, শ্রী হরদীপ সিং পুরি সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

পটভূমি

নুমালিগড়, গোলাঘাটে—প্রধানমন্ত্রী নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল)-এ আসাম বায়োইথানল প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছেন, যার লক্ষ্য পরিচ্ছন্ন শক্তির প্রচার এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো।

 

তিনি নুমালিগড়ে একই সঙ্গে পলিপ্রপিলিন প্ল্যান্টেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, যা আসামের পেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রকে নতুন মাত্রা দেবে; পাশাপাশি এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও এলাকার সামগ্রিক সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

তিনি নুমালিগড়ে একই সঙ্গে পলিপ্রপিলিন প্ল্যান্টেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, যা আসামের পেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রকে নতুন মাত্রা দেবে; পাশাপাশি এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও এলাকার সামগ্রিক সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।