মধ্যপ্রদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী শীর্ষ সম্মেলন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ; এটি শিল্প, উদ্ভাবন এবং পরিকাঠামোতে রাজ্যের অপার সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করছে, ব্যবসা এবং উদ্যোক্তার জন্য মধ্যপ্রদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখে আনন্দিত: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের ভবিষ্যৎ ভারতে! আসুন, আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধির সুযোগগুলি অন্বেষণ করুন: প্রধানমন্ত্রী
এনডিএ সরকারের পরিকাঠামোগত প্রচেষ্টা থেকে মধ্যপ্রদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
কেন্দ্র এবং মধ্যপ্রদেশে আমাদের সরকার জল সুরক্ষার উপর মনোযোগ দিচ্ছে, যা প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী
২০২৫ সালের প্রথম ৫০ দিন দ্রুত গতিতে প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
গত দশক ভারতের জ্বালানি খাতের জন্য অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির সময়কাল: প্রধানমন্ত্রী
এই বছরের বাজেটে, আমরা ভারতের প্রবৃদ্ধির প্রতিটি অনুঘটককে উজ্জীবিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় স্তরের পর, বর্তমানে রাজ্য ও স্থানীয় পর্যায়েও সংস্কারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বস্ত্র, পর্যটন এবং প্রযুক্তি ভারতের উন্নত ভবিষ্যতের মূল চালিকাশক্তি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিশ্ব বিনিয়োগকারী শিখর সম্মেলন (জিআইএস) ২০২৫ – এর উদ্বোধন করেছেন। সমাবেশে দেরীতে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে তাকিয়ে এবং নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে গাড়ি ঘুরিয়ে আনার জন্যই এই বিলম্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজা ভোজের এই ভূমিতে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে পারা এক অপরিসীম গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান বিকশিত মধ্যপ্রদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিকশিত ভারতের যাত্রাপথে বিকশিত মধ্যপ্রদেশও অনুরূপভাবে প্রয়োজনীয়। এই শিখর সম্মেলনের অসাধারণ আয়োজনের জন্য মধ্যপ্রদেশ সরকারকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব ভারতকে নিয়ে আশাবাদী। ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার এই সম্ভাবনার সুযোগ জাগ্রত হয়েছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে নীতি বিশেষজ্ঞ বা বিশ্বের নানা দেশ প্রতিষ্ঠানের ভারতের কাছে প্রত্যাশা অনেক। তিনি বলেন, বিগত কয়েক সপ্তাহে ভারত সম্পর্কে যে মন্তব্য শোনা গেছে, তা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে। ভারত সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যে ধরা পড়েছে যে, ভারত দ্রুততম বর্ধিত অর্থনীতির দেশ হয়ে থাকবে। ওইসিডি-র একজন প্রতিনিধি সাম্প্রতিককালে মন্তব্য করেছেন যে, বিশ্বের ভবিষ্যৎ নিহিত ভারতে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একটি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিষ্ঠান ভারতকে সৌরশক্তির সুপার পাওয়ার হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, অন্য দেশ শুধু কথা বলে যায়, ভারত কাজ করে দেখায়। শ্রী মোদী বলেন, একটি নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিশ্ব মহাকাশযান ক্ষেত্রে ভারত কিভাবে এক অসাধারণ সরবরাহ-শৃঙ্খল হয়ে উঠছে। এইসব প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতকে বিশ্ব সরবরাহ-শৃঙ্খলের সমাধানসূত্র হিসেবে দেখছে। তিনি বলেন, এই সমস্ত উদাহরণেই প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতের প্রতি বিশ্বের আস্থা, যা ভারতের প্রতিটি রাজ্যের আস্থাও বৃদ্ধির পরিপূরক। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রদেশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ শিল্প ক্ষেত্রে তা অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করে আছে। নর্মদা নদীর আশীর্বাদধন্য এই রাজ্য জিডিপি-র নিরিখে ৫টি প্রথম সারির রাজ্যের অন্যতম।

বিগত দু’দশক ধরে মধ্যপ্রদেশের রূপান্তরমূলক যাত্রার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল, যখন এই রাজ্যকে বিদ্যুৎ ও জলসঙ্কটে ভুগতে হ’ত। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির ছিল ততধিক খারাপ। এই অবস্থায় শিল্প বিকাশ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে। শ্রী মোদী বলেন, রাজ্যের মানুষের সমর্থন ও তাঁদের সরকারের সৌজন্যে গত দু’দশক ধরে মধ্যপ্রদেশের প্রশাসনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দু’দশক আগে মধ্যপ্রদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু, আজ পরিস্থিতি বদলেছে। বিনিয়োগ ক্ষেত্রে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলিতে মধ্যপ্রদেশ জায়গা করে নিয়েছে। যে রাজ্য একসময় দীর্ণ সড়ক সঙ্কটে ভুগছিল, তা এখন বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারির ২০২৫ সালের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে প্রায় ২ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, নবনির্মাণ ক্ষেত্রের এক হাব হয়ে উঠছে মধ্যপ্রদেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত দশক ধরে ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তিনি দিল্লি – মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর একটা বিরাট অংশ মধ্যপ্রদেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুম্বাই বন্দরগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি তা উত্তর ভারতের বাজারের সঙ্গেও এক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশে ৫ লক্ষ কিলোমিটার সড়ক সংযোগের অন্তর্ভুক্ত শিল্প করিডর, যা আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত, লজিস্টিক ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধির সহায়ক হয়ে উঠছে।

 

তিনি বলেন, বিমান সংযোগ বাড়াতে গোয়ালিয়র ও জবলপুর বিমানবন্দরের টার্মিনালের সম্প্রসারণ ঘটানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে রেল নেটওয়ার্কের প্রসার ঘটানো হয়েছে। এই রেল নেটওয়ার্ক ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণের সাফল্য অর্জন করেছে। ভোপালের রানী কমলাপতি রেল স্টেশন আজও সকলকে মুগ্ধ করে। এই মডেলকে অনুসরণ করে মধ্যপ্রদেশের ৮০টি রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীন আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। 

বিগত এক দশকে ভারতের শক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। গ্রিন এনার্জিতে ভারত যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা আগে কল্পনাও করা যেত না। বিগত ১০ বছরে ৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি (৫ ট্রিলিয়নেরও বেশি) পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে। এরফলে, পরিচ্ছন্ন জ্বালানী ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র ১০ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে একটি উদ্বৃত্ত রাজ্য। ৩১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে এখানে, যা ৩০ শতাংশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানী। তিনি বলেন, রেওয়া সৌর পার্ক দেশের মধ্যে বৃহত্তম এবং অতি সম্প্রতি ওঙ্কারেশ্বরে ভাসমান সৌর প্ল্যান্টের উদ্বোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বীণা পেট্রো রসায়ন শোধনাগার প্রকল্পে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যা পেট্রো রসায়ন ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশকে একটি হাব হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার শিল্প পরিকাঠামোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে একটি আধুনিক নীতি নিয়ে এসেছে। মধ্যপ্রদেশে ৩০০-রও বেশি শিল্পাঞ্চল রয়েছে। পিথমপুর, রাতলাম এবং দিওয়াসের কয়েক হাজার একর এলাকা উন্নত বিনিয়োগ সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে।

শিল্পোন্নয়নে জল সুরক্ষাকে একটি অন্যতম আধার হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে যেমন জল সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে নদী সংযোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৃহদায়তন কর্মপরিকল্পনাকে হাতে নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্র এই উদ্যোগের ফলে দারুণভাবে উপকৃত হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ৪৫ হাজার কোটি টাকার কেন – বেতোয়া নদী সংযোগ প্রকল্প সম্প্রতি চালু হয়েছে, যা ১০ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমির উৎপাদনের পাশাপাশি জল ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার সহায়ক হয়ে উঠবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বস্ত্র শিল্প, কৃষি শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে বলে তিনি জানান। 

 

মধ্যপ্রদেশে তাঁদের সরকার ক্ষমতায় আসায় উন্নয়নের গতি তীব্রতা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজ্য তথা দেশের উন্নয়নে শরিক হয়েছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তিনি তাঁর কাজের গতির তীব্রতা আরও তিনগুণ বৃদ্ধি করবেন বলে নির্বাচনী শপথের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫-এর প্রথম ৫০ দিনের মধ্যেই কাজের গতির এই তীব্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, সাম্প্রতিক বাজেটে ভারতের বৃদ্ধির সম্পূরক সমস্ত ক্ষেত্রকে আরও উজ্জীবিত করে তুলতে সহায়তার হাত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণী বৃহত্তর করদাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় পরিষেবা ও নির্মাণ ক্ষেত্রের চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষমতায়নে নানাবিধি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়কর ছাড়ের সীমাকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা হয়েছে। এছাড়াও, করের বিভিন্ন স্তরের পুনর্বিন্যাস ঘটানো হয়েছে। আরবিআই বাজেটের পরই সুদের হার হ্রাস করেছে বলেও তিনি জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরবরাহ-শৃঙ্খল গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকার এমএসএমই ক্ষেত্রের সম্ভাবনার দরজাকে রুদ্ধ করে রেখেছিল,ফলে আঞ্চলিক সরবরাহ-শৃঙ্খল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। আঞ্চলিক সরবরাহ-শৃঙ্খল ভিত্তিক এমএসএমই ক্ষেত্রকে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার। এতে উৎপাদন নির্ভর ভর্তুকির যোগান দেওয়া হচ্ছে, ঋণ পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে এবং মূল্য আরোপণের এই সমর্থনের ফলে রপ্তানি প্রসারলাভ করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশক ধরে জাতীয় স্তরে উল্লেখযোগ্য সংস্কার ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে রাজ্য ও স্থানীয় স্তরেও সংস্কারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এবারের বাজেটে রাজ্য বিনিয়ন্ত্রণ কমিশনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যগুলির সহযোগিতায় ৪ হাজারেরও বেশি বাধ্যবাধকতাকে কমিয়ে আনা হয়েছে। সেইসঙ্গে, অচল ১ হাজার ৫০০ আইনকে নির্মূল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবসায় স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে তাকিয়ে নিয়মতন্ত্রকে সুগম করায় রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগ-বান্ধব নিয়ন্ত্রণ বিধি পরিমণ্ডল গড়ে তোলার তা সহায়ক হয়ে উঠবে। 

তিনি বলেন, বাজেটে সাধারণ শুল্ক কাঠামোর সরলীকরণ ঘটানো হয়েছে, যাতে শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক বিভিন্ন উপাদানে খরচ কমবে। বিনিয়োগ ও নতুন বেসরকারি উদ্যোগের ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, পরমাণু শক্তি, জৈব নির্মাণ ক্ষেত্র, ক্রিটিক্যাল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ, লিথিয়াম ব্যাটারি নির্মাণ বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্রকে খুলে দিচ্ছে। এইসব উদ্যোগের মধ্যে সরকারের সদিচ্ছা ও দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র, পর্যটন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্র আগামী দিনের উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করবে এবং লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম সুতি, সিল্ক ও পলিয়েস্টারের উৎপাদক দেশ। ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য পথেই বস্ত্র ক্ষেত্রে কোটি কোটি কর্মসংস্থান হয় এবং মধ্যপ্রদেশ ভারতের সুতি বস্ত্রের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। দেশের জৈব সুতিবস্ত্র সরবরাহের প্রায় ২৫ শতাংশ স্থান এই রাজ্য দখল করে রয়েছে। এই রাজ্য মালবেরি সিল্কের বৃহত্তম উৎপাদক। এর পাশাপাশি, এখানকার চান্দেরী এবং মহেশ্বরী শাড়ি সমধিক প্রসিদ্ধ এবং তা জিআই ট্যাগের মর্যাদা পেয়েছে। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বিশ্বে বস্ত্র ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের প্রসারে নানাভাবে সাহায্য করবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিত্র প্রকল্প সমধিক পরিচিত। দেশ জুড়ে যে ৭টি বৃহদায়তন বস্ত্র পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে তার একটি মধ্যপ্রদেশে। প্রধানমন্ত্রী বস্ত্র ক্ষেত্রে পিএলআই প্রকল্পের সুবিধা নিতে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে পর্যটন ক্ষেত্র অনুরূপ সম্ভাবনাপূর্ণ। নর্মদা নদীকে ঘিরে পর্যটন পরিকাঠামোর উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটানো হয়েছে। সেইসঙ্গে, আদিবাসী এলাকাগুলিতেও পর্যটনের প্রসার ঘটেছে। তিনি বলেন, রাজ্যে অসংখ্য জাতীয় পার্ক রয়েছে। সেইসঙ্গে, সুস্বাস্থ্য পর্যটনেও অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতে আরোগ্য’ – মন্ত্র বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ও আরোগ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বেরও আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের প্রথাগত চিকিৎসা এবং আয়ুষের বিরাট প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যাতে দারুণভাবে উপকৃত মধ্যপ্রদেশও। উজ্জয়িনীর মহাকাল, মহালোক পরিদর্শনের জন্য তিনি পর্যটকদের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটকরা মহাকালের আশীর্বাদধন্য হয়ে দেশের পর্যটন ও আতিথেয়তা ক্ষেত্র কিভাবে প্রসারলাভ করছে, তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন।

লালকেল্লা থেকে তাঁর ভাষণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পরিশেষে বলেন, মধ্যপ্রদেশে বিনিয়োগের এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। 

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই ছাগনভাই প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন যাদব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Operation Sagar Bandhu: India provides assistance to restore road connectivity in cyclone-hit Sri Lanka

Media Coverage

Operation Sagar Bandhu: India provides assistance to restore road connectivity in cyclone-hit Sri Lanka
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 5 ডিসেম্বর 2025
December 05, 2025

Unbreakable Bonds, Unstoppable Growth: PM Modi's Diplomacy Delivers Jobs, Rails, and Russian Billions