Published By : Admin | November 19, 2022 | 14:16 IST
শেয়ার
“Embracing entire India, Kashi is the cultural capital of India whereas Tamil Nadu and Tamil culture is the centre of India's antiquity and glory”
“Kashi and Tamil Nadu are timeless centres of our culture and civilisations”
“In Amrit Kaal, our resolutions will be fulfilled by the unity of the whole country”
“This is the responsibility of 130 crore Indians to preserve the legacy of Tamil and enrich it”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বারাণসীতে ‘কাশী তামিল সঙ্গমম’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এই কর্মসূচিটি চলবে মাসব্যাপী। এটির উদ্যোগ-আয়োজনের উদ্দেশ্য হল, তামিলনাড়ু ও কাশীর মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন সম্পর্কের এক বিশেষ উদযাপন। কাশী এবং তামিলনাড়ু – এই দুটি অঞ্চলই হল শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের দুটি বিখ্যাত পীঠস্থান। ‘কাশী তামিল সঙ্গমম’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তামিলনাড়ু থেকে আগত ২,৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি। কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে ‘তিরুক্কুরাল’ নামে একটি বইও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৩টি বিভিন্ন ভাষায়। অনুষ্ঠানে আরতির পর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে এক সমাবেশে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন জাগ্রত এক নগরীতে এই ধরনের সমাবেশের আয়োজনে বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। দেশে এই ধরনের সম্মেলনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদী সঙ্গমই হোক বা মতাদর্শ, বিজ্ঞান ও জ্ঞানের মিলনক্ষেত্রই হোক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের যে কোনো সঙ্গম বা মিলনক্ষেত্রই ভারতে শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠা সহকারে উদযাপিত হয়। এই ধরনের সম্মেলন বস্তুতপক্ষে ভারতের শক্তি ও স্বতন্ত্রতারই এক বিশেষ উদযাপন। তাই, ‘কাশী তামিল সঙ্গমম’-এর চিন্তাভাবনা এক কথায় অতুলনীয়।
কাশী ও তামিলনাড়ুর পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে শ্রী মোদী বলেন, কাশী হল ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু ও তামিল সংস্কৃতির মধ্যে আমরা ভারতের সুপ্রাচীনত্ব ও গর্বের এক বিশেষ স্থান বা ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করি। গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাশী তামিল সঙ্গমম’ হল সেরকমই একটি পবিত্র সমাবেশ। অফুরন্ত সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং শক্তির মেলবন্ধন ঘটে এই সঙ্গমে। এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অভিনন্দিত করেন তিনি। এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে সম্ভাব্য সকল রকমভাবে সাহায্য ও সমর্থন করে যাওয়ার জন্য আইআইটি মাদ্রাজ এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান, কাশী ও তামিলনাড়ুর বিদগ্ধ পণ্ডিত ও ছাত্রছাত্রীদের।
কাশী ও তামিলনাড়ু যে ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক চিরকালীন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, একথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তামিল ও সংস্কৃত – উভয়েই ভারতের প্রাচীনতম ভাষাগুলির অন্যতম। এই দুটি ভাষার অস্তিত্ব আজও বহমান।
শ্রী মোদী বলেন, কাশীতে বাবা বিশ্বনাথের দর্শন মেলে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে আমরা আশীর্বাদ প্রার্থনা করি ভগবান রামেশ্বরমের কাছ থেকে। কাশী এবং তামিলনাড়ু - দুটি স্থানই হল শিব আরাধনার দুটি বিশেষ কেন্দ্র। সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাশী ও তামিলনাড়ু শিল্প ও সংস্কৃতি ভাবনার উৎস হয়ে উঠেছে।
ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরও অবতারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাশী ও তামিলনাড়ু, দুটি অঞ্চলই হল বিদগ্ধ পণ্ডিত ও আচার্যদের জন্ম তথা কর্মক্ষেত্র। তাঁদের শিক্ষা ও বৈদগ্ধ্যের সন্ধান মেলে এই দুটি অঞ্চলে। এমনকি আজও তামিলনাড়ুর প্রথাগত বিবাহ অনুষ্ঠানের মিছিলে কাশীযাত্রার এক বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তামিলনাড়ুর অধিবাসীদের হৃদয়ে কাশীর জন্য রয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর আদর্শ ও অনুভূতিকে তা বিশেষভাবে চিহ্নিত করে কারণ, আমাদের পূর্ব পুরুষদের জীবনের আদর্শই ছিল ‘অভিন্ন ভারত তথা শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর চেতনাকে তাঁদের জীবনচর্চার মধ্য দিয়ে অনুসরণ ও অনুশীলন করে যাওয়া।
কাশীর বিকাশ ও উন্নয়নে তামিলনাড়ুর অবদানের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম তামিলনাড়ুতে। এক সময় তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আসনও অলঙ্কৃত করেছিলেন। একইভাবে, পট্টাভিরাম শাস্ত্রী আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন কাশীবাসীর কাছে। তাঁর অধিষ্ঠান ছিল কাশীর হনুমান ঘাটে। হরিশচন্দ্র ঘাটে কাশী কাম কোটেশ্বর পঞ্চায়তন মন্দির এবং কেদার ঘাটে দুই শতাব্দী প্রাচীন কুমারস্বামী মঠ ও মার্কণ্ড আশ্রমের কথাও উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। কাশী কাম কোটেশ্বর পঞ্চায়তন মন্দিরটি হল একটি তামিল মন্দির। কেদার ঘাট এবং হনুমান ঘাটের নিকটবর্তী স্থানগুলিতে তামিলনাড়ুর বহু মানুষ আজও বসবাস করছেন। কাশীর উন্নয়নে তাঁদের অবদান রয়েছে বেশ কয়েক প্রজন্মের। প্রসঙ্গত বিখ্যাত কবি ও বৈপ্লবিক চিন্তাধারার প্রবক্তা শ্রী সুব্রহ্মনিয়া ভারতীর কথাও স্মরণ করিয়ে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সুব্রহ্মনিয়া ভারতীর জন্মস্থান তামিলনাড়ু হলেও তিনি বহু বছর ধরে কাশীতে বসবাস করেছিলেন। সুব্রহ্মনিয়া ভারতীর নামাঙ্কিত অধ্যাপকের একটি আসনও সৃষ্টি করা হয়েছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিঃসন্দেহে এটি এক গর্বের বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাশী তামিল সঙ্গম’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃতকালে। এই বিশেষ সময়কালে ভারতের ঐক্য ভাবনার মধ্য দিয়ে আমাদের সঙ্কল্পের বাস্তবায়ন ঘটতে চলেছে। ভারত হল এমন একটি দেশ যেখানে হাজার হাজার বছর ধরে প্রকৃতিগতভাবেই এক সাংস্কৃতিক ঐক্যের বন্ধনসূত্র কাজ করে চলেছে। প্রাতঃকালে শয্যা ত্যাগের পর দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের কথা স্মরণ করার ঐতিহ্যের ওপর আলোকপাত করে শ্রী মোদী বলেন, এইভাবেই আমাদের দিনের সূচনা হয় দেশের আধ্যাত্মিক ঐক্যানুভূতির মধ্য দিয়ে। এই ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে তোলার মতো কোনো প্রচেষ্টা এতদিন চোখে পড়েনি বলে আক্ষেপও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাশী তামিল সঙ্গম’ হয়ে উঠবে আমাদের সঙ্কল্প গ্রহণের এক বিশেষ মঞ্চ। আমরা উপলব্ধি করব এবং অনুভব করব আমাদের কর্তব্য পালনের কথা। জাতীয় ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পেছনে আমরাও যে শক্তির উৎস হয়ে উঠতে পারি, একথাই আমরা উপলব্ধি করব এই সঙ্গমক্ষেত্রে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা এবং চিন্তাভাবনার দূরত্বকে দূরে সরিয়ে রেখে স্বামী কুমারগুরুপার কাশীতে এসে সেটিকেই তাঁর কর্মভূমি রূপে গ্রহণ করেছিলেন। কাশীতে কেদারেশ্বর মন্দিরটিও গড়ে তোলেন তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর শিষ্য ও ভক্তরা কাবেরী নদীর তীরে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মননমনিয়াম সুন্দরনর-এর মতো ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, তামিলনাড়ু রাজ্যের জন্য তিনি এমন একটি সঙ্গীত রচনা করেছিলেন যার মধ্যে কাশীর সঙ্গে তাঁর গুরুদেবের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সান্নিধ্যের উল্লেখ রয়েছে। রাজা জি বিরচিত রামায়ণ ও মহাভারতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর রচিত ঐ গ্রন্থ দুটির এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। রামানুজাচার্য, শঙ্করাচার্য, রাজা জি এবং সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মতো দক্ষিণ ভারতের বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আমরা যদি অবগত না হই, তাহলে ভারতীয় দর্শনের মূল বিষয়গুলি কোনভাবেই অনুধাবন করতে পারব না।
‘পঞ্চপ্রাণ’-এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের মতো একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট গর্ব অনুভব করা উচিৎ। বিশ্বের সুপ্রাচীন ও সফল ভাষাগুলির অন্যতম হল তামিল। কিন্তু এই ভাষাকে আমরা এখনও যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি। তাই, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর দায়িত্বই হল তামিল ভাষার ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারকে সংরক্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে তোলা। তামিল ভাষাকে যদি আমরা অবজ্ঞা বা অবহেলা করি তাহলে জাতির প্রতি কর্তব্য পালনের পথ থেকে আমরা বিচ্যুত হব। তামিল ভাষাকে যদি নিয়ন্ত্রণের গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখি, তবে ঐ ভাষাটির প্রতি চরম অবিচার করা হবে। ভাষাগত ভেদাভেদ ও বিভিন্নতা আমাদের দূর করতেই হবে। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে দেশবাসীর মধ্যে আবেগ ও অনুভূতির এক বিশেষ ঐক্য ভাবনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঙ্গমের গুরুত্ব ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সঙ্গম হল এক বিশেষ অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার বিষয়। কাশীতে আয়োজিত এই সমাবেশে অতিথিদের যথাযথ সম্মান দিয়ে কাশীবাসীরা বরণ করে নেবেন, এটাই আমরা কামনা করি। এই ধরনের অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও আয়োজিত হবে এবং দেশের তরুণমতি ছাত্রছাত্রীরা সেখানে সমবেত হয়ে সেখানকার সংস্কৃতি অনুভব ও উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হবেন বলে তিনি আশা করেন। এই সঙ্গম তথা সমাবেশ থেকে যে সুফলগুলি আমরা আহরণ করতে পারব, যথাযথ সমীক্ষার মধ্য দিয়ে তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এইভাবেই ছোট ছোট চিন্তা ও ঐক্য ভাবনা থেকে সারা দেশে এক বড় ও মহান ঐক্যের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ এল মুরুগন ও শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং সাংসদ শ্রী ইল্লাইয়ারাজা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ গড়ে তোলার যে চিন্তাদর্শ দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে, তারই এক বিশেষ দৃষ্টান্ত হল ‘কাশী তামিল সঙ্গমম’-এর মতো একটি কর্মসূচির উদ্যোগ ও আয়োজন প্রচেষ্টা। কাশী, অর্থাৎ বারাণসীতে এই কর্মসূচি চলবে আগামী এক মাস ধরে।
কাশী ও তামিলনাড়ুর মতো ভারতের দুটি সুপ্রাচীন ক্ষেত্র এবং তাদের মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারকে স্মরণ, লালন ও পালন করার এটি হল এক বিশেষ উপলক্ষ। দেশের বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব, শিক্ষার্থী, দার্শনিক, ব্যবসায়ী, শিল্পী ও কলাকুশলী সহ দুটি অঞ্চলের মানুষের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠবে এই বিশেষ সঙ্গম স্থানটি। তাঁদের পরস্পরের মধ্যে শিক্ষা, জ্ঞান ও সংস্কৃতি ভাবনার আদান-প্রদান ঘটবে সমাবেশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে। এই উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে সেমিনার তথা আলোচনাচক্র যেখানে তামিলনাড়ু থেকে আগত ২,৫০০-রও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। শুধুমাত্র জ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্যের বিষয়গুলিই নয়, একইসঙ্গে শিল্প, বাণিজ্য, পেশাগত দক্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কেও তামিলনাড়ু থেকে আগত অতিথিদের সঙ্গে কাশীর স্থানীয় জনসাধারণের মতবিনিময় ঘটবে। এক মাসব্যাপী এই সমাবেশে হস্তশিল্পজাত বিভিন্ন সামগ্রী, গ্রন্থ, রন্ধনশিল্প ও রন্ধনকলা, তথ্যচিত্র, শিল্পকলা, ইতিহাস – এ সম্পর্কে প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে। কাশী ও তামিলনাড়ুর আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলিও প্রদর্শনীতে দেখানো হবে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
Kashi-Tamil Sangamam is exceptional. It is a celebration of India's diversity. pic.twitter.com/gX4495ghod
Text of PM modi's addresses a public meeting at Bilaspur, Chhattisgarh
September 30, 2023
শেয়ার
People of Chhattisgarh have decided to not tolerate Congress' atrocities anymore: PM Modi in Bilaspur
It is my guarantee that your dreams are my resolution... Your dreams will be fulfilled only when there is a BJP government here: PM Modi in Chhattisgarh
If the Deputy CM of Chhattisgarh says that Delhi does no injustice, this should have been a matter of happiness for all, but Congress had a hurricane: PM Modi in Bilaspur
Chhattisgarh steeped in corruption, misrule, scam, says PM Modi
भारत माता की, भारत माता की।
जम्मो छत्तीसगढ़ के भाई-बहिनी, सियान महतारी मन ल जय जोहार।
बिलासपुर का आह्वान है, छत्तीसगढ़ का ऐलान है- छत्तीसगढ़ में परिवर्तन तय हो गया है। ये जो उत्साह यहां दिख रहा है कि ये परिवर्तन का उद्घोष है। कांग्रेस सरकार के अत्याचारों से त्रस्त छत्तीसगढ़ की जनता कह रही है- अउ नइ सहिबो, बदल के रहिबो ! अउ नइ सहिबो, अउ नइ सहिबो, अउ नइ सहिबो, बदल के रहिबो !
भाइयों-बहनों, मैं बिलासपुर बहुत बार आया हूं। संगठन का काम करता था तब भी आता था। गुजरात में मुख्यमंत्री था तब भी रमन सिंह मुझे आपसे मिलने के लिए हर मौके पर बुलाते थे। और प्रधानमंत्री बनने के बाद भी हर बार आपके बीच में आया हूं। लेकिन ऐसा उमंग, उत्साह, न भूतो न भविष्यति। मैंने ऐसा उत्साह, ऐसी एनर्जी और पूरी तरह युवाशक्ति और मातृशक्ति, कल्पना से बाहर का दृश्य है। और अच्छा हुआ, पार्टी ने मुझे अंदर से जीप में आने का मुझे अवसर दिया ताकि मैं पुराने-पुराने लोगों के दर्शन तो कर पाया। लेकिन साथ-साथ इस एनर्जी को अनुभव कर पाया। इस उत्साह को अनुभव कर पाया। साथियों, मैं कल्पना कर सकता हूं कि परिवर्तन यात्रा ने कैसी कमाल की है छत्तीसगढ़ में। आज छत्तीसगढ़ आकंठ भ्रष्टाचार और कुशासन से त्रस्त है। रोजगार के नाम पर सिर्फ घोटाले ही घोटाले हैं। हर योजना में भ्रष्टाचार हावी है। इसलिए छत्तीसगढ़ कांग्रेस सरकार को हटाने और भाजपा को लाने के लिए आपलोग पूरी तरह तैयार हैं।
मेरे परिवारजनों, अटल जी ने छत्तीसगढ़ की आकांक्षाओं को समझते हुए, इस प्रदेश का निर्माण किया था। ये भाजपा है, जिसने छत्तीसगढ़ के लोगों के सामर्थ्य को समझा। छत्तीसगढ़ का हाईकोर्ट हमारे बिलासपुर में है। ये काम भाजपा ने किया है। यहां साउथ ईस्ट सेंट्रल रेलवे का मुख्यालय है। ये राजस्व की दृष्टि से भारत के सबसे बड़े रेलवे जोन में से एक है। इसकी स्थापना भी अटल जी की सरकार के दौरान हुई थी। यानि छत्तीसगढ़ के विकास के लिए भाजपा केंद्र में हो या राज्य में पूरी तरह निरंतर समर्पित रही है। आज मैं आपको, आज मैं आपको एक गारंटी देने आया हूं कि आपके हर सपने को साकार करने के लिए मोदी कोई कसर बाकी नहीं छोड़ेगा।
छत्तीसगढ़ के मेरे भाई-बहन, छत्तीसगढ़ के मेरे भाई-बहन आप लिख लीजिए, ये मोदी की गारंटी है। आपका सपना, आपका सपना अब मोदी का संकल्प है। छत्तीसगढ़ के हर परिवार का सपना तभी साकार होगा, जब छत्तीसगढ़ में भी भाजपा सरकार होगी। दिल्ली से मैं जितनी कोशिश करूं, यहां की कांग्रेस सरकार उसको फेल करने में जुटी रहती है। पिछले 5 वर्षों में छत्तीसगढ़ को केंद्र सरकार से हजारों करोड़ रूपए मिला है। यहां सड़क हो, रेल हो, बिजली हो, दूसरे ऐसे अनेक विकास के काम हों, हमने छत्तीसगढ़ के लिए, आपके लिए पैसे की कोई कमी नहीं रखी। और ये बात मैं कह रहा हूं ऐसा नहीं है। यहां के उपमुख्यमंत्री जी ने सार्वजनिक सभा में कही थी। और उपमुख्यमंत्री जी ने सच बोला तो ये पार्टी के ऊपर से नीचे तक तूफान खड़ा हो गया। उनको फांसी पर लटकाने के खेल खेलने लग गए। सार्वजनिक जीवन में हकीकतों को छिपाया नहीं जा सकता। अगर कांग्रेस के ये नेता, कांग्रेस सरकार के उपमुख्यमंत्री भरी जनसभा में ये कहते हैं कि दिल्ली कभी अन्याय नहीं करता है तो फिर हरेक को खुशी होनी चाहिए। लेकिन पूरी कांग्रेस में तूफान मच गया।
और भाइयों-बहनों, भारत सरकार ने अपनी जिम्मेदारी निभाते हुए, हम कभी ये नहीं कहते कि हम उपकार कर रहे हैं। छत्तीसगढ़ में हजारों करोड़ रुपये के इंफ्रास्ट्रक्चर प्रोजेक्ट हमने मंजूर किए, पैसे भेजे। कांग्रेस सरकार की वजह से या तो वो रुके हुए हैं या बहुत देरी से चल रहे हैं। हर प्रोजेक्ट में रोकटोक करने वाली कांग्रेस सरकार अगर यहां दोबारा आई तो छत्तीसगढ़ भला होगा, जरा जोर से बताइए छत्तीसगढ़ का भला होगा, आपका भला होगा, यहां के युवकों का भला होगा, यहां की माताओं-बहनों का भला होगा।
साथियों, जब कांग्रेस की सरकार दिल्ली में थी, तब छत्तीसगढ़ के लिए, रेलवे के लिए, ये आंकड़ा याद रखोगे आप, मैं जो आंकड़ा बोलता हूं याद रखोगे आप। ऐसे नहीं, सबलोग बताओ आंकड़ा याद रखोगे। पक्का याद रखोगे। जब दिल्ली में रिमोट कंट्रोल से सरकार चल रही थी कांग्रेस की सरकार थी, और आजकल जो इंडी एलायंस बना है न, उनकी सरकार थी। रेलवे के लिए वर्ष में एवरेज औसतन 300 करोड़ रुपए छत्तीसगढ़ को मिलता था। कितना, जरा फिर से बोलो कितना...किसके समय में। मतलब कि कांग्रेस के समय में रेलवे के लिए 300 करोड़ रुपए मिलता था। लेकिन इस साल भाजपा सरकार ने मैं एक वर्ष की बात बताता हूं। सरकार ने छत्तीसगढ़ में रेलवे के विस्तार के लिए रेलवे के विस्तार के लिए 6 हज़ार करोड़ रुपए दिए हैं। कितने दिए हैं, कितने दिए हैं, किसने दिए हैं, किसने दिए हैं। आप बताइए कहां 300 करोड़ और कहां 6 हज़ार करोड़। ये है मोदी मॉडल। ये है मोदी का छत्तीसगढ़ के प्रति प्रेम। ये है मोदी का छत्तीसगढ़ के विकास के लिए कमिटमेंट। हमारा प्रयास है कि छत्तीसगढ़ में रेलवे ट्रैक का तेज़ी से बिजलीकरण हो, दोहरीकरण हो। हम चाहते हैं यहां बड़ी संख्या में तेज़ गति से चलने वाली ट्रेनें चल सकें, आप सभी को सुविधा हो। ये भाजपा सरकार ही है जिसने छत्तीसगढ़ को आधुनिक वंदे भारत ट्रेन भी दी है।
मेरे परिवारजनों, गरीब के साथ जितना अन्याय कांग्रेस ने किया है, उतना किसी ने नहीं किया। कोरोना का इतना बड़ा संकट आया। गरीब के इस बेटे ने ये तय किया कि मैं अपने हर गरीब भाई-बहन को संकट की इस घड़ी में मुफ्त राशन दूंगा। हमने गरीब कल्याण अन्न योजना शुरू की। कोई भी परिवार ऐसा न हो जब इन कोरोना की मुसीबत के समय जिसका घर का चूल्हा न जले। ऐसा कोई बेटा-बेटी न हो जिसको रात को भूखा सोना पड़े। और इसीलिए मोदी ने अन्न के भंडार खोल दिए और देश के गरीबों को मुफ्त में अन्न दिया, आज भी चल रहा है। लेकिन छत्तीसगढ़ की कांग्रेस सरकार ने, आप सुनिए, गरीब के पेट जाने वाला अन्न, गरीब का जलने वाला चूल्हा, ये भी कांग्रेस के लोगों के लिए चोरी करने का माध्यम बन गया। कांग्रेस सरकार ने इसमें भी घोटाला कर दिया। आज यहां का हर लाभार्थी कांग्रेस सरकार से पूछ रहा है कि बताओ, हमारे हक का राशन कहां गया? पूछोगे कि नहीं पूछोगे, घर जाकरके बताओगे कि नहीं बताओगे। क्या कांग्रेस ने जवाब देना चाहिए कि नहीं देना चाहिए? आप मुझे बताइए साथियों, जो राशन में घोटाला करे, वो वापिस आने चाहिए क्या? उनको दोबारा मौका देना चाहिए क्या? और अगर मौका मिल गया तो ज्यादा घोटाला करेंगे कि नहीं करेंगे? छत्तीसगढ़ पूरी तरह तबाह हो जाएगा कि नहीं हो जाएगा। साथियों, ये तो मैं दिल्ली में बैठा हूं न तो थोड़ा भी डरते हैं। ये दुबारा मौका मिला, दुबारा मौका मिला तो घोटाले करने की इनकी हिम्मत इतनी बढ़ जाएगी, इतनी बढ़ जाएगी कि छत्तीसगढ़ में कोई उनको रोक नहीं पाएगा।
साथियों, कांग्रेस शासन में अनेकों छोटे-छोटे बच्चों की कुपोषण से मौत की खबरें आई हैं। ये कितनी पीड़ादायक स्थिति है। किसी सरकार की इससे बड़ी असफलता भला क्या हो सकती है? कांग्रेस सरकार ने इस खौफनाक सच्चाई को दबाकर रखा है, छिपाकर रखा है। कांग्रेस नेताओं को अपने बच्चों के जीवन से बहुत सरोकार है, लेकिन आपके बच्चों से, आपके बच्चों के जीवन से कांग्रेस वालों को कोई लेना-देना नहीं है, उनको तो अपने बच्चों की जिंदगी बनानी है।
साथियों, केंद्र की भाजपा सरकार का प्रयास है कि यहां से जो खनिज संपदा निकलती है, उसका एक हिस्सा यहीं के विकास में लगना चाहिए। इसके लिए भाजपा सरकार ने डिस्ट्रिक्ट मिनरल फंड बनाया है। इसके तहत छत्तीसगढ़ को भी करोड़ों रुपए दिए गए हैं। और जब हमने नियम बनाया तब रमन सिंह जी मुख्यमंत्री थे। वो मुझे स्पेशियली मुझसे मिलने आए थे। और रमन सिंह जी ने कहा कि साहब आपने ऐसा निर्णय किया है कि आपने हिसाब लगाया है कि क्या होगा। मैंने कहा बताइए। बोले मेरे कुछ जिले ऐसे हैं जिनको सिर्फ इस फंड से इतना पैसा मिलेगा, इतना पैसा मिलेगा जितना पहले बजट से नहीं मिला है और अब तो शायद इन जिलों के लिए हमें अतिरिक्त बजट भी नहीं बाटना पड़े और ये जिले आगे निकल जाएंगे। ये शब्द रमन सिंह जी ने आकरके मुझसे कहे थे। लेकिन कांग्रेस ने आते ही उसका भी बंटाधार कर दिया। हमारे छत्तीसगढ़ के दलितों, पिछड़ों और आदिवासियों के इन पैसों पर भी डाका डाल दिया। कांग्रेस ने यहां शराब घोटाला करके क्या कुछ नहीं कमाया है। अरे ये लोग तो ऐसे हैं गोबर को भी नहीं छोड़ा, गोबर को भी। कांग्रेस ने गौमाता के नाम पर भी घोटाला किया है।
साथियों, कांग्रेस ने छत्तीसगढ़ के नौजवानों को क्या-क्या सपने दिखाए थे। और उन्हें क्या मिला- सिर्फ धोखा ! और छत्तीसगढ़ के नौजवान तो छह महीने में ही समझ गए थे मर गए। और जब लोकसभा का चुनाव आया तो सबकी सब सीटों पर भाजपा को विजयी बना दिया था। क्योंकि सब समझ गए थे कि ये धोखा है। भाइयों-बहनों PSC घोटाला, ये PSC घोटाला तो यहां के युवाओं के साथ बहुत बड़ा धोखा है। कांग्रेस की कुनीति को छत्तीसगढ़ के नौजवान भुगत रहे हैं। जिनकी नौकरी लगी- उनके सामने भी अनिश्चितता और जिनको बाहर किया गया, उनके साथ अन्याय। मैं छत्तीसगढ़ के युवाओं को आश्वस्त करता हूं कि जो भी इसके दोषी हैं, मेरे नौजवान लिखकर रखो, जो भी इसके दोषी हैं, भाजपा सरकार बनते ही उन पर कठोर कार्रवाई होगी।
मेरे परिवारजनों, कांग्रेस ने छत्तीसगढ़ के धान किसानों को भी हमेशा धोखा दिया है, उनसे झूठ बोला है। यहां के धान किसानों का दाना-दाना, याद रखोगे, मैं बहुत जिम्मेवारी से बोल रहा हूं। याद रखोगे, यहां के धान किसानों का दाना-दाना, केंद्र की भाजपा सरकार खरीदती है। मोदी सरकार खरीदती है। छत्तीसगढ़ के किसानों का धान खरीदकर केंद्र सरकार ने एक लाख करोड़ रुपए से ज्यादा दिए हैं। कितने, फिर से बोलिए कितने, फिर से बोलिए कितने, घर-घर जाकर बताओगे, किसानों को जाकर बताओगे। यहां के धान किसानों को पैसे केंद्र की भाजपा सरकार देती है और दावे यहां कांग्रेस सरकार करती है। अब आपको बोलना चाहिए कि नहीं बोलना चाहिए, जोरों से बोलना चाहिए कि नहीं बोलना चाहिए, बार-बार बोलना चाहिए कि नहीं बोलना चाहिए, सच्चाई लोगों को पहुंचानी चाहिए कि नहीं पहुंचानी चाहिए। उनको बेनकाब करना चाहिए कि नहीं करना चाहिए। करोगे, ढीला मत बोलो, करोगे, करोगे, आप करोगे, पीछे वाले करेंगे, इधर वाले करेंगे, उधर वाले करेंगे। मैं फिर आपको विश्वास दिलाता हूं। भाजपा धान किसानों के प्रति समर्पित है। इसलिए यहां जब भाजपा सरकार बनेगी तो धान किसानों के हितों का पूरा ध्यान रखा जाएगा। और पाई-पाई किसान के पास पहुंचेगी।
साथियों, मोदी ने पीएम किसान सम्मान निधि का इंतज़ाम ऐसा किया है कि सीधे पैसा किसान के बैंक अकाउंट में पहुंचता है। बीच में कोई बिचौलिया नहीं है, कोई कटकी कंपनी नहीं है। वरना कांग्रेस के एक प्रधानमंत्री ने कहा था कि दिल्ली से एक रूपया भेजते हैं, 15 पैसा पहुंचता है। अगर मेरे समय भी ऐसा हुआ होता तो आपको भला होता क्या। ये मोदी एक रुपया भेजता है तो 100 के 100 पैसे पहुंच जाते हैं भाइयों। कोई पंजा, कोई पंजा इस रुपये को घिस नहीं सकता है। पीएम किसान सम्मान निधि के तहत छत्तीसगढ़ के हर लाभार्थी किसान के खाते में 28 हजार रुपए तक पहुंचे हैं। हम आपकी हर जरूरत का ध्यान रख रहे हैं। केंद्र की भाजपा सरकार ने ये सुनिश्चित किया कि मुश्किल से मुश्किल समय में भी देश में खाद की कमी ना हो। आप भी जानते हैं कि दुनिया में ये कोरोना, ये लड़ाई इसके कारण खाद की कीमत बहुत बढ़ गई है। पिछले 100 साल में इतनी कीमत नहीं रही। इतनी कीमत बढ़ गई है। यूरिया की एक बोरी दुनिया में करीब-करीब 3 हज़ार रुपए तक बिकती है। कितने, कितने, जरा जोर से बोलो कितने में बिकती है। याद रखोगे और भारत में भारत के किसानों को ये बोरी 300 रुपए से भी कम कीमत में मिलती है। 300 रुपए से भी कम। कितने में रुपये में मिलती है, कितने में रुपये में मिलती है, दुनिया में कितने में मिलती है, दुनिया में कितने में मिलती है। कहां तीन हजार और कहां मेरे किसान को 300 रुपये हम यूरिया की बोरी देते हैं भाइयों। और इसके लिए भारत सरकार की तिजोरी में से केंद्र सरकार हज़ारों करोड़ रुपए खर्च कर रही है ताकि किसानों पर बोझ न बने।
मेरे परिवारजनों, भाजपा सरकार का प्रयास है, गरीबों का जीवन आसान बने, उनका जीवन स्तर सुधरे। आपका जीवन स्तर ऊपर उठना है, तो मुझे लगता है कि जब आपको संतोष होता है, आपके सपने पूरे होते हैं न, तो मेरा संतोष भी बढ़ जाता है, मेरी ऊर्जा भी बढ़ जाती है। मेरा जीवन धन्य हो जाता है जब मेरे देश के गरीबों का कल्याण होता है। हमने शौचालय बनाया, तो दलित, पिछड़े और आदिवासी परिवारों की बहनों की मुश्किलें कम हुईं। हमने सौभाग्य योजना से मुफ्त बिजली कनेक्शन दिया, तो दलित, पिछड़े, आदिवासी परिवारों के घर रौशन हुए। उज्जवला का मुफ्त कनेक्शन दिया तो दलित, पिछड़े, आदिवासी परिवारों की बहनों को धुएं से मुक्ति मिली। हाल में ही उज्जवला की लाभार्थी बहनों के लिए गैस सिलेंडर को 400 रुपए सस्ता किया गया है। और मैंने देखा जब उज्ज्वला योजना शुरू हुई तब जितने परिवार थे। अब कुछ परिवारों में विभाजन होता है, बेटा अलग घर में रहने जाता है तो कुछ परिवार बढ़ गए हैं, तो हमारे कार्यकर्ता बताते थे कि साहब उज्जवला को थोड़ा नया शुरू करना पड़ेगा। पहले राउंड में तो सबको मिल गया लेकिन अब नए परिवार बस गए हैं। आपकी बात को ध्यान में रखकरके 75 लाख नए परिवार के लिए हमने प्रबंध कर दिया है। आने वाले दिनों जैसी-जैसी जरूरत होगी उनको भी उज्जवला गैस कनेक्शन मिल जाएगा। इससे छत्तीसगढ़ के भी अनेक परिवारों को लाभ होगा। हमने आयुष्मान भारत योजना से 5 लाख रुपए तक का मुफ्त इलाज सुनिश्चित किया है। इसका लाभ भी छत्तीसगढ़ के लाखों दलित, पिछड़े और आदिवासी परिवार उठा रहे हैं। और भाइयों-बहनों 5 लाख रुपए वाली आयुष्मान योजना ये दुनिया में सबसे बड़ी योजना है। दुनिया में सबसे बड़ी। और हमारे यहां तो आपने देखा होगा परिवार में हमारी माताएं-बहनें कितनी ही बीमारी हो, कितनी ही पीड़ा हो, काम करना भी मुश्किल हो, लेकिन माताएं-बहनें परिवार में किसी को पता नहीं चलने देती कि उसको बीमारी है। क्यों, क्योंकि मां-बहनों को लगता है कि अगर बच्चों पता चल गया कि बीमारी है, तो अस्पताल ले जाएंगे, खर्चा हो जाएगा, पैसे तो हैं नहीं, बच्चे कर्ज में डूब जाएंगे, और इसीलिए मां कहती है मैं पीड़ा सहन करूंगी लेकिन बेटे को कर्ज में डूबने नहीं दूंगी। हमारे देश में माताएं-बहनें पीड़ा सहती है लेकिन परिवार पर बोझ नहीं होने देती। ये पीड़ा, ये गरीब मां का बेटा समझता है। और इसीलिए आपके इस बेटे ने गारंटी दी है कि मेरी मां अब तेरा पांच लाख रुपये तक बिल ये तेरा बेटा दे देगा, तेरा बेटा। साथियों मोदी यानि मोदी यानि गारंटी पूरी होने की गारंटी है।
मेरे परिवारजनों, मोदी ने आपको दी हुई एक और गारंटी पूरी कर दी है। अब लोकसभा और विधानसभा में बहनों के लिए 33 प्रतिशत सीटें आरक्षित हो जाएगी। भाजपा सरकार में नारीशक्ति वंदन अधिनियम अब सच्चाई बन चुका है। और कल ही हमारी राष्ट्रपति द्रौपदी मुर्मू जी जो आदिवासी महिला कल उस पर हस्ताक्षर करके अब उसको कानून भी बना दिया है। लेकिन भाइयों-बहनों मोदी तो करेगा, मोदी जो गारंटी देता है न वो पूरी करता है। लेकिन आपको खासकर माताओं-बहनों को बहुत सतर्क रहना होगा। बहुत मुश्किल से इतना बड़ा पड़ाव हमने पार किया है। 30 साल से लटका हुआ था। आप सोचिए, 30 साल। सरकारें आ गई, बोलती रही, नाटक करती रही, काम नहीं किया। कांग्रेस और इसके घमंडिया साथी, उनको लग रहा कि मोदी ने क्या कर दिया। वो गुस्से से भरे हुए हैं। उनको लगता है कि ये सारी माताएं-बहनें अब मोदी को ही आर्शीवाद देगी, उनकी नींद हराम हो गई है। और इसके कारण, डर के कारण अब वो नए-नए खेल रहे हैं। आपको मालूम है, न चाहते हुए भी उनको संसद में समर्थन क्यों करना पड़ा। क्यों करना पड़ा। माताएं-बहनें अब आपकी जो एकता और जागरूकता आई है न, इससे वो डर गए थे, इसीलिए उनको माताओं-बहनों के चरण में आना पड़ा है। लेकिन अब उन्होंने नया खेल शुरू किया है। अब वो बहनों में भी फूट डालना चाहते हैं। उनको लगता है बहनें संगठित हो गई तो इनका तो खेल पूरा। इसीलिए ये माताएं-बहनें संगठित न हो, जातिवाद में उनको तोड़ा जाए, भांति-भांति के तर्क देकरके उनमें विभाजन कर दिया जाए। भांति-भांति के झूठ फैला दिए जाएं। मैं छत्तीसगढ़ की माताओं-बहनों को कहना चाहता हूं ये आने वाले हजारों साल तक प्रभाव पैदा करने वाला निर्णय है। ये परिवार में माताओं-बहनों को नई शक्ति देने वाला काम हुआ है। आपकी बेटी का भविष्य उज्जवल बनाने का काम हुआ है। कृपा करें मेरी माताएं-बहनें ये झूठ बोलने वालों के झूठ में न फंस जाएं। ये आपको तोड़ने की कोशिश करे, मत करना। आपकी एकता बनी रहनी चाहिए। आपके आर्शीवाद बने रहने चाहिए ताकि आपके सपने ये मोदी पूरा कर पाएगा।
साथियों, मोदी ने बहनों को उनके घर पानी से पाइप पहुंचाने की भी गारंटी दी है। सिर्फ 4 साल के भीतर ही, देश में 10 करोड़ ऐसे परिवारों के घर पाइप से पानी पहुंचाया गया है। लेकिन मुझे एक तकलीफ भी है। नल से जल के लिए छत्तीसगढ़ में जितनी तेज़ी से काम होना चाहिए था, वो नहीं हुआ है। यहां की सरकार को लगता है कि अगर माताओं-बहनों को पानी का जो कष्ट है वो चला जाएगा, माताओं-बहनों को रसोई तक नल से जल आएगा तो ये तो मोदी-मोदी करने लग जाएगी, और इसीलिए, इसीलिए वो माताओं-बहनों को नल से जल मिले नहीं, इसीलिए उस काम को धीरे-धीरे कर रहे हैं, पूरा नहीं कर रहे हैं। कांग्रेस की सरकार को मोदी और मोदी की योजनाएं, दोनों ही पसंद नहीं हैं। इसका एक और बड़ा उदाहरण गरीबों के घर की योजना है। अभी तक देशभर में 4 करोड़ से अधिक गरीब परिवारों को पक्के घर दिए जा चुके हैं। कितने, ऐसे नहीं, जरा जोर से बोलिए, कितने, कितने, कितने, किसको दिया है, चार करोड़ क्या, चार करोड़ क्या, चार करोड़ क्या, किसको दिया है। इस देश के गरीब परिवारों को चार करोड़ पक्का घर, आप कल्पना कर सकते हैं। छत्तीसगढ़ में जब तक रमन सिंह की सरकार थी, तो यहां भी हम तेज़ी से गरीबों के घर बना रहे थे। लेकिन जैसे ही यहां कांग्रेस की सरकार आई, तो उसमें घोटाले तलाशने लगे, कटकी कैसे करें, खोजने लगे। लेकिन मोदी ने ऐसा पक्का कर दिया है सीधा पैसा उस घर में जाता है। तो उनको बड़ी मुश्किल हो रही है, कुछ मिलता नहीं है तो काम क्यों करें। और ये क्या कर रहे हैं, मैं आपको बताना चाहता हूं। ये नहीं कर रहे हैं। मैं आज आपको एक वायदा करना चाहता हूं। यहां भाजपा सरकार बनने के बाद कैबिनेट का पहला फैसला, ये लिखकर रख लीजिए। भाजपा सरकार छत्तीसगढ़ में बनने के बाद पहला फैसला गरीबों के पक्के घर, जो भी बाकी है, सारे के सारे तेज गति से पूरे करके हर गरीब को पक्का घर दिया जाएगा।
मेरे परिवारजनों, मोदी से कांग्रेस की ये नफरत इसलिए है क्योंकि उनको तकलीफ हो रही है कि पिछड़े समाज से आया हुआ ये इंसान प्रधानमंत्री कैसे बन गया। उनका तो आरक्षण था पीएम की कुर्सी पे। इसलिए वो मोदी के बहाने वो पूरे समाज को गाली देने से भी नहीं चूकते। कांग्रेस के नेताओं को लगता है कि इस समाज को गाली भी देंगे तो कुछ नहीं होगा। गरीब, दलित, आदिवासी, OBC सभी से कांग्रेस, नफरत करती है। कोर्ट सजा देती है, OBC को गाली देने के लिए सजा देती है। फिर भी सुधरने को तैयार नहीं है। OBC के लिए कितनी नफरत होगी इसका ये उदाहरण है। केंद्र में भाजपा सरकार बनी तो, दलित समाज से श्री रामनाथ कोविंद जी को हमने राष्ट्रपति पद का उम्मीदवार बनाया। कांग्रेस ने उनका भी विरोध किया। दूसरी बार सरकार बनी तो हमने भारत को पहली आदिवासी महिला राष्ट्रपति देने का फैसला किया। कांग्रेस ने आदिवासी बेटी का भी विरोध किया। ये विरोध वैचारिक नहीं था। अगर वैचारिक होता तो कांग्रेस अपनी विचारधारा के किसी नेता को मैदान में उतारती। लेकिन कांग्रेस ने बीजेपी के ही एक पुराने नेता को आदिवासी बेटी के विरोध में उम्मीदवार बनाया।
साथियों, कांग्रेस, एससी समाज को कैसे अपमानित करती है, इसके बारे में गुरु बालदास जी प्रमुखता से आवाज़ उठाते रहे हैं। सतनामी समाज के साथ यहां कैसा बर्ताव हुआ है, ये भी सबने देखा है। ये कांग्रेस की पुरानी मानसिकता है। ये किसी भी दलित, पिछड़े या आदिवासी को आगे बढ़ता देख ही नहीं सकते। जो एक विशेष परिवार के दरबार में हाज़िरी लगाता है, इनके यहां वही आगे बढ़ पाता है।
मेरे परिवारजनों, भाजपा के लिए सामाजिक न्याय, सबकी भागीदारी का, विकसित भारत के निर्माण का रास्ता है, हमारे पास पक्का रास्ता है। हाल में ही प्रधानमंत्री विश्वकर्मा योजना शुरु की गई है। 13 हज़ार करोड़ की ये योजना हमने अपने विश्वकर्मा परिवारों के जीवन को बेहतर बनाने के लिए बनाई है। इससे छत्तीसगढ़ के हमारे हज़ारों विश्वकर्मा साथियों को भी लाभ होगा। इस योजना से हमारे कुम्हार भाई-बहन, लोहार भाई-बहन, सुत्तार भाई-बहन, सुनार भाई-बहन, फूल की माला बनाने वाले मालाकार भाई-बहन, कपड़े धोने वाले परिवार, बाल काटने वाले परिवार, दर्जी परिवार, खिलौने बनाने वाले परिवार, राजमिस्त्री परिवार, ऐसे जो हमारे तमाम कारीगर हैं, शिल्पकार हैं, उनके लिए हजारों करोड़ की विश्वकर्मा योजना हमने बनाई है। इसके तहत सरकार ट्रेनिंग भी देगी। आधुनिक उपकरण खरीदने के लिए 15 हज़ार रुपए भी देगी। साथ ही, काम शुरु करने और आगे बढ़ाने के लिए लाखों रुपए का सस्ता ऋण भी उपलब्ध होगा। और हां, मैं अपने विश्वकर्मा साथियों को बता दूं कि आपसे बैंक गारंटी नहीं मांगेगा, मेरे विश्वकर्मा भाई मेरे शब्द सुन लीजिए, कोई बैंक आपसे गारंटी नहीं मांगेगा क्योंकि आपकी गारंटी मोदी ने पहले से ही लेके रखी हुई है।
साथियों, छत्तीसगढ़, कांग्रेस के कुशासन को हटाने के लिए तैयार है। अब भाजपा कार्यकर्ताओं पर बहुत बड़ी जिम्मेदारी है। हमारा संगठन बहुत मजबूत है। छत्तीसगढ़ के बूथ-बूथ में हमारा नेटवर्क है। हमें अपना हर बूथ जीतना है, बूथ पर हर वोटर का दिल जीतना है। जब तक हर बूथ पर कमल नहीं खिलेगा, तब तक हम चैन से नहीं बैठेंगे। घर-घर जाएंगे, एक-एक मतदाता को मिलेंगे। हमारा एक ही नेता है कमल। हमारा एक ही उम्मीदवार है कमल। हमारा एक ही लक्ष्य है कमल को जिताना। इसी जोश के साथ हमें जुटना है और जन-जन को जोड़ना है। मैं फिर एक बार छत्तीसगढ़ भारतीय जनता पार्टी बधाई देता हूं। मैं आप सबका धन्यवाद करता हूं। मैंने ऐसी सभा, ऐसी ऊर्जावान सभा, आज मेरा मन गदगद हो गया दोस्तों। बहुत-बहुत धन्यवाद। मेरे साथ बोलिए- भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! भारत माता की जय !
भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! वंदे ! भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! भारत माता की जय ! बहुत-बहुत धन्यवाद।