“তাদের কাজ এবং দক্ষতার মধ্যে দিয়ে সিবিআই দেশের সাধারণ মানুষের মনে আস্থার মনোভাব জাগিয়েছে”
“পেশাদারি এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকশিত ভারত সম্ভব নয়”
“সিবিআই-এর মূল দায়িত্ব হল দেশকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করা”
“দুর্নীতি সাধারণ কোনো অপরাধ নয়। এটা গরিবের অধিকার কেড়ে নেয়, এটা অন্য অপরাধের জন্ম দেয়, দুর্নীতি, সুশাসন এবং গণতন্ত্রের পথে সব থেকে বড় বাধা”
“জেএএম ত্রিমূর্তি সুবিধাভোগীদের পূর্ণ সুবিধা সুনিশ্চিত করছে”
“দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পথে আজ আর কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই” “কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকেই ছাড়া হবে না। আমাদের এই প্রয়াসে কোথাও কোনো শৈথিল্য নেই। এটাই হল দেশের অভিপ্রায়, দেশের মানুষের অভিপ্রায়। দেশ, আইন এবং সংবিধান আপনার সঙ্গে রয়েছে”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আজ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই-এর হীরক জয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করেছেন। ১৯৬৩ সালের পয়লা এপ্রিল ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাবক্রমে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো গঠিত হয়।

অসামান্য সেবা কর্মের জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক এবং সিবিআই-এর শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী আধিকারিকের জন্য স্বর্ণপদক প্রাপকদের সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার প্রাপকদের পদক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শিলং, পুনে এবং নাগপুরে সিবিআই-এর নব নির্মিত কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন। তিনি সিবিআই-এর হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে স্মারক ডাক টিকিট এবং স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি সিবিআই-এর ট্যুইটার হ্যান্ডেল-ও আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং সিবিআই-এর বিভিন্ন মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মামলার সমীক্ষা এবং তা থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সিবিআই–এর সংশোধিত প্রশাসনিক ম্যানুয়াল প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক পুলিশ সহযোগিতা নিয়ে একটি সিবিআই একটি হ্যান্ডবুকেরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি। 

 

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিবিআই-এর হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশের এক অগ্রগণ্য প্রথম সারির তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে ৬০ বছরের যাত্রা পূর্ণ করেছে। বিগত এই ছয় দশক এই সংস্থার অনেক সাফল্যের সাক্ষ্য বহন করছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সিবিআই সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের যে সংকলন আজ প্রকাশিত হল তার মধ্যে দিয়ে সিবিআই-এর ইতিহাসকে পর্যালোকন করা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি শহরে এই নতুন কার্যালয়, ট্যুইটার হ্যান্ডেল অথবা অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধার আজ সূচনা করা হল তা সিবিআইকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এক নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কাজ এবং দক্ষতার মধ্যে দিয়ে সিবিআই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব জাগ্রত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে আজও যখন কোনো একটা মামলা কোনোভাবেই সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না তখন স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা দেখা দেয় ওই মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক। উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো শহরে-তো এমনও দেখা দেয় যে সিবিআই-এর হাতে মামলা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন পর্যন্ত হচ্ছে। পঞ্চায়েত স্তরেও যখন এ রকম কোনো দুরতিক্রম্য বিষয় দেখা দিলে সাধারণ মানুষ দাবি করেন যে মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক। সিবিআই-এর নাম প্রত্যেকের মুখে মুখে। এটা যেন ন্যায় এবং সত্যের এক তকমা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিবিআই-এর অসাধারণ নেপুন্য জনমানসে আস্থা অর্জন করেছে। ৬০ বছরের যাত্রাপথে সিবিআই-এর সঙ্গে জড়িত সকলকে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান।

পুরস্কার প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই তদন্ত ব্যুরোকে প্রতিনিয়ত তাদের আত্মোন্নতি করতে বলেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চিন্তন শিবির অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে। অমৃতকালে এই স্মরণীয় সময়কে মনে রেখে কোটি কোটি ভারতবাসী শপথ নিয়েছে বিকশিত ভারতের সাফল্য অর্জনে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পেশাদারি এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকশিত ভারত সম্ভব নয় এবং তিনি সিবিআই-এর ওপরে অনেক দায়িত্বভার ন্যাস্ত করেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী বহুমুখী এবং বহু ক্ষেত্রীয় তদন্ত শাখা হিসেবে সিবিআই-এর সুনাম অর্জনে উল্লেখ করেন বলেন, এর কর্মক্ষেত্র আরও বেশি প্রসারিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, সিবিআই-এর প্রধান দায়িত্ব হল দেশকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করা। দুর্নীতি সাধারণ কোনো অপরাধ নয়, এটা দরিদ্রের অধিকার কেড়ে নেয়। এটা আরও অনেক অপরাধের জন্ম দেয়। ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের পথে এটা হল সর্ববৃহৎ প্রতিবন্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতি গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে এবং সেজন্য প্রথম মূল্য দিতে হয় তরুণের স্বপ্নকে। তার কারণ এর মধ্যে দিয়ে এমন এক পরিমন্ডলের জন্ম নেয় যা মেধার বিনাশ ঘটায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি স্বজনপোষনের জন্ম দেয় এবং বংশানুক্রমিক রাজ জাতীয় শক্তিকে বিপর্যস্ত করে যা সামগ্রিকভাবে ব্যহত করে উন্নয়নকে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিদারুণ দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ভারত স্বাধীনতার সময় থেকেই দুর্নীতির ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে আসছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই দুর্নীতির বিনাশ না ঘটিয়ে বরং কোনো কোনো মানুষ এটার আরও পৃষ্টপোষকতা করে যাচ্ছে। তিনি স্মরণ করেন যে কেবলমাত্র এক দশক পূর্বেও কেলেঙ্কারী এবং অপরাধ প্রবৃত্তির কথা। এই পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে এবং নীতিগত বৈকল্যের পরিবেশ উন্নয়নকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪র পর থেকে সরকারের মূলগত লক্ষ্যই ছিল শাসন ব্যবস্থার মধ্যে বিশ্বাসকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং এই কারণবশত কালো টাকা উদ্ধার এবং বেআইনী সম্পত্তির বিরুদ্ধে সরকার অভিযান চালিয়েছে এবং তা চালানো হয়েছে লক্ষ্য বেঁধে। যারফলে যারা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্নীতির মদতদাতা যারা তাদের ওপর সমূহ বিপর্যয় ঘটানো হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন সরকারি টেন্ডার ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছতাকে ফিরিয়ে আনার। এক্ষেত্রে তিনি ২জির সঙ্গে ৫জি স্পেকট্রাম বিতরণের বৈপরিত্যকে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, জেম (সরকার পরিচালিত ই বাজার) পোর্টাল কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দপ্তরে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং ইউপিআই অতীতের ফোন ব্যাঙ্কিং অস্থিরতার সময় থেকে পূর্ণ বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বেশ কিছু পদক্ষেপ আরও বেশি স্বচ্ছতার জন্ম দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধ দমন আইনের ফলে পলাতক অপরাধীদের ২০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা গেছে।

সরকারি অর্থ ভান্ডার তছরুপে অতীতের দশকের দৃষ্টান্ত টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সুযোগ-সুবিধাগুলি পর্যন্ত এই দুর্নীতিগ্রস্তরা লুট করে নিত। তা সে রেশন, গৃহ, স্কলারশিপ, পেনশন বা অন্য যেকোন সরকারি প্রকল্পই হোক না কেন। প্রকৃত সুবিধাভোগী প্রত্যেক সময় বঞ্চিত হতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন প্রধানমন্ত্রী এক সময় বলেছিলেন গরিবদের জন্য বরাদ্দ প্রতিটা টাকার কেবলমাত্র ১৫ পয়সায় সেই গরিবের হাতে পৌঁছায়।” প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের দৃষ্টান্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭ লক্ষ কোটি টাকা গরিবদের জন্য খরচ করেছে এবং এক্ষেত্রে তিনি প্রতি টাকার ১৫ পয়সার তত্ত্ব উল্লেখ করে বলেন, সে রকমটা হলে মাঝ পথেই ১৬ লক্ষ কোটি টাকা উড়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুবিধাভোগীরা জনধন, আধার এবং মোবাইলের এই ত্রিসংযোগ ঘটানোয় সুবিধাভোগীরা তাদের পূর্ণ অধিকার পাচ্ছেন এবং ৮ লক্ষ ভুয়ো সুবিধাভোগী এই ব্যবস্থার ফলে বাদ পড়েছেন। প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের ফলে প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা বেনামে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে নিয়েগের ক্ষেত্রে কেন ইন্টারভিউ ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ইউরিয়া সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি ইউরিয়ার মধ্যে নিমের কোটিং ব্যবহার করে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান স্বচ্ছতার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী এবং সেইসঙ্গে তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার ওপর গুরুত্ব দেন। 

প্রধানমন্ত্রী তদন্তে বিলম্ব হওয়ায় অপরাধী শাস্তি এবং নিরাপরাধ ব্যক্তির হয়রানির বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব দেন এবং এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং আধিকারিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরেও গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পেশাগত নৈপুণ্য এমন জায়গায় পৌঁছানো উচিত যাতে অপরাধী শনাক্তকরণের পদ্ধতি দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

 

প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলেন, দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন আর কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই। তিনি আধিকারিকদের বলেন, কোনোরকম ইতস্তত না করে, কে কত শক্তমান তা না দেখে দুর্নীতিগ্রস্তের বিরুদ্ধে যাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, অতীতে দুর্নীতিগ্রস্তদের ক্ষমতা যা এই তদন্তকারী সংস্থার পরিমন্ডলকে সম্পূর্ণ কালিমালিপ্ত করার ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে যেন তারা কোনোরকমভাবে বিচলিত না হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্ত লোকেরা সব সময় আপনাদেরকে পিছনে টানার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনাদেরকে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে। কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির রেহাই নেই। আমাদের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টায় কোনো রকম শৈথিল্য হবে না। এটাই দেশের আশা, দেশবাসীর আশা। দেশ, আইন এবং সংবিধান আপনাদের সঙ্গে রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও উন্নত ফলাফলের জন্য বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে ভেদাভেদ সম্পূর্ণ দূর হওয়া দরকার। তিনি বলেন, পারস্পরিক আস্থার মনোভাব থাকলেই যৌথ এবং বহুস্তরীয় তদন্ত হওয়া সম্ভব। ভূপ্রাকৃতিক সীমানার বাইরে আন্তর্জাতিক লেনদন এবং মানুষ, পণ্য এবং পরিষেবার চলাচলের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের সংখ্যা অনুরূপভাবে বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভারতের সামাজিক পরিকাঠামো তার ঐক্য এবং সৌভাতৃত্ব, তার আর্থিক ক্ষেত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। দুর্নীতির টাকা এক্ষেত্রে খরচ হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধ এবং দূর্নীতির বহুজাতিক প্রকৃতিকে প্রকৃতভাবে বুঝতে হবে এবং অধ্যায়ন করতে হব। তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিজ্ঞানের ব্যবহার বৃদ্ধির প্রয়োজনের ওপরে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও অপরাধ প্রযুক্তিগত কারণের আন্তর্জাতিক জায়গা নিচ্ছে এবং এখানেই এর সমাধান সূত্র লুকিয়ে রয়েছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী সাইবার অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি প্রস্তাব করেন প্রযুক্ত সক্ষম উদ্যোগপতি এবং তরুণদের এ কাজে যুক্ত করতে এবং দপ্তরের প্রযুক্তিমুখী তরুণ আধিকারিকদের আরও বেশি করে ব্যবহার করতে। তিনি সিবিআই-কে এই তদন্ত ব্যুরোতে ৭৫টি প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থার যার অবলুপ্তি ঘটানো সম্ভব তা চিহ্নিত করার জন্য সাধুবাদ জানান এবং একেবারে সময় ধরে সেই কাজ করতে বলেন। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের উত্তোরণের প্রক্রিয়া নিরলস ব্যবস্থার মতো এগিয়ে চলুক। 

কেন্দ্রীয় কর্মী, জনঅভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রী শ্রী জীতেন্দ্র সিং, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত দোভাল, ক্যাবিনেট সচিব শ্রী রাজীব গৌবা, সিবিআই-এর অধিকর্তা সুবোধ কুমার জয়সওয়াল অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament

Media Coverage

MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Assam has picked up a new momentum of development: PM Modi at the foundation stone laying of Ammonia-Urea Fertilizer Project in Namrup
December 21, 2025
Assam has picked up a new momentum of development: PM
Our government is placing farmers' welfare at the centre of all its efforts: PM
Initiatives like PM Dhan Dhanya Krishi Yojana and the Dalhan Atmanirbharta Mission are launched to promote farming and support farmers: PM
Guided by the vision of Sabka Saath, Sabka Vikas, our efforts have transformed the lives of poor: PM

उज्जनिर रायज केने आसे? आपुनालुकोलोई मुर अंतोरिक मोरोम आरु स्रद्धा जासिसु।

असम के गवर्नर लक्ष्मण प्रसाद आचार्य जी, मुख्यमंत्री हिमंता बिस्वा शर्मा जी, केंद्र में मेरे सहयोगी और यहीं के आपके प्रतिनिधि, असम के पूर्व मुख्यमंत्री, सर्बानंद सोनोवाल जी, असम सरकार के मंत्रीगण, सांसद, विधायक, अन्य महानुभाव, और विशाल संख्या में आए हुए, हम सबको आशीर्वाद देने के लिए आए हुए, मेरे सभी भाइयों और बहनों, जितने लोग पंडाल में हैं, उससे ज्यादा मुझे वहां बाहर दिखते हैं।

सौलुंग सुकाफा और महावीर लसित बोरफुकन जैसे वीरों की ये धरती, भीमबर देउरी, शहीद कुसल कुवर, मोरान राजा बोडौसा, मालती मेम, इंदिरा मिरी, स्वर्गदेव सर्वानंद सिंह और वीरांगना सती साध`नी की ये भूमि, मैं उजनी असम की इस महान मिट्टी को श्रद्धापूर्वक नमन करता हूँ।

साथियों,

मैं देख रहा हूँ, सामने दूर-दूर तक आप सब इतनी बड़ी संख्या में अपना उत्साह, अपना उमंग, अपना स्नेह बरसा रहे हैं। और खासकर, मेरी माताएँ बहनें, इतनी विशाल संख्या में आप जो प्यार और आशीर्वाद लेकर आईं हैं, ये हमारी सबसे बड़ी शक्ति है, सबसे बड़ी ऊर्जा है, एक अद्भुत अनुभूति है। मेरी बहुत सी बहनें असम के चाय बगानों की खुशबू लेकर यहां उपस्थित हैं। चाय की ये खुशबू मेरे और असम के रिश्तों में एक अलग ही ऐहसास पैदा करती है। मैं आप सभी को प्रणाम करता हूँ। इस स्नेह और प्यार के लिए मैं हृदय से आप सबका आभार करता हूँ।

साथियों,

आज असम और पूरे नॉर्थ ईस्ट के लिए बहुत बड़ा दिन है। नामरूप और डिब्रुगढ़ को लंबे समय से जिसका इंतज़ार था, वो सपना भी आज पूरा हो रहा है, आज इस पूरे इलाके में औद्योगिक प्रगति का नया अध्याय शुरू हो रहा है। अभी थोड़ी देर पहले मैंने यहां अमोनिया–यूरिया फर्टिलाइज़र प्लांट का भूमि पूजन किया है। डिब्रुगढ़ आने से पहले गुवाहाटी में एयरपोर्ट के एक टर्मिनल का उद्घाटन भी हुआ है। आज हर कोई कह रहा है, असम विकास की एक नई रफ्तार पकड़ चुका है। मैं आपको बताना चाहता हूँ, अभी आप जो देख रहे हैं, जो अनुभव कर रहे हैं, ये तो एक शुरुआत है। हमें तो असम को बहुत आगे लेकर के जाना है, आप सबको साथ लेकर के आगे बढ़ना है। असम की जो ताकत और असम की भूमिका ओहोम साम्राज्य के दौर में थी, विकसित भारत में असम वैसी ही ताकतवर भूमि बनाएंगे। नए उद्योगों की शुरुआत, आधुनिक इनफ्रास्ट्रक्चर का निर्माण, Semiconductors, उसकी manufacturing, कृषि के क्षेत्र में नए अवसर, टी-गार्डेन्स और उनके वर्कर्स की उन्नति, पर्यटन में बढ़ती संभावनाएं, असम हर क्षेत्र में आगे बढ़ रहा है। मैं आप सभी को और देश के सभी किसान भाई-बहनों को इस आधुनिक फर्टिलाइज़र प्लांट के लिए बहुत-बहुत शुभकामनाएँ देता हूँ। मैं आपको गुवाहटी एयरपोर्ट के नए टर्मिनल के लिए भी बधाई देता हूँ। बीजेपी की डबल इंजन सरकार में, उद्योग और कनेक्टिविटी की ये जुगलबंदी, असम के सपनों को पूरा कर रही है, और साथ ही हमारे युवाओं को नए सपने देखने का हौसला भी दे रही है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में देश के किसानों की, यहां के अन्नदाताओं की बहुत बड़ी भूमिका है। इसलिए हमारी सरकार किसानों के हितों को सर्वोपरि रखते हुए दिन-रात काम कर रही है। यहां आप सभी को किसान हितैषी योजनाओं का लाभ दिया जा रहा है। कृषि कल्याण की योजनाओं के बीच, ये भी जरूरी है कि हमारे किसानों को खाद की निरंतर सप्लाई मिलती रहे। आने वाले समय में ये यूरिया कारख़ाना यह सुनिश्चित करेगा। इस फर्टिलाइज़र प्रोजेक्ट पर करीब 11 हजार करोड़ रुपए खर्च किए जाएंगे। यहां हर साल 12 लाख मीट्रिक टन से ज्यादा खाद बनेगी। जब उत्पादन यहीं होगा, तो सप्लाई तेज होगी। लॉजिस्टिक खर्च घटेगा।

साथियों,

नामरूप की ये यूनिट रोजगार-स्वरोजगार के हजारों नए अवसर भी बनाएगी। प्लांट के शुरू होते ही अनेकों लोगों को यहीं पर स्थायी नौकरी भी मिलेगी। इसके अलावा जो काम प्लांट के साथ जुड़ा होता है, मरम्मत हो, सप्लाई हो, कंस्ट्रक्शन का बहुत बड़ी मात्रा में काम होगा, यानी अनेक काम होते हैं, इन सबमें भी यहां के स्थानीय लोगों को और खासकर के मेरे नौजवानों को रोजगार मिलेगा।

लेकिन भाइयों बहनों,

आप सोचिए, किसानों के कल्याण के लिए काम बीजेपी सरकार आने के बाद ही क्यों हो रहा है? हमारा नामरूप तो दशकों से खाद उत्पादन का केंद्र था। एक समय था, जब यहां बनी खाद से नॉर्थ ईस्ट के खेतों को ताकत मिलती थी। किसानों की फसलों को सहारा मिलता था। जब देश के कई हिस्सों में खाद की आपूर्ति चुनौती बनी, तब भी नामरूप किसानों के लिए उम्मीद बना रहा। लेकिन, पुराने कारखानों की टेक्नालजी समय के साथ पुरानी होती गई, और काँग्रेस की सरकारों ने कोई ध्यान नहीं दिया। नतीजा ये हुआ कि, नामरूप प्लांट की कई यूनिट्स इसी वजह से बंद होती गईं। पूरे नॉर्थ ईस्ट के किसान परेशान होते रहे, देश के किसानों को भी तकलीफ हुई, उनकी आमदनी पर चोट पड़ती रही, खेती में तकलीफ़ें बढ़ती गईं, लेकिन, काँग्रेस वालों ने इस समस्या का कोई हल ही नहीं निकाला, वो अपनी मस्ती में ही रहे। आज हमारी डबल इंजन सरकार, काँग्रेस द्वारा पैदा की गई उन समस्याओं का समाधान भी कर रही है।

साथियों,

असम की तरह ही, देश के दूसरे राज्यों में भी खाद की कितनी ही फ़ैक्टरियां बंद हो गईं थीं। आप याद करिए, तब किसानों के क्या हालात थे? यूरिया के लिए किसानों को लाइनों में लगना पड़ता था। यूरिया की दुकानों पर पुलिस लगानी पड़ती थी। पुलिस किसानों पर लाठी बरसाती थी।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस ने जिन हालातों को बिगाड़ा था, हमारी सरकार उन्हें सुधारने के लिए एडी-चोटी की ताकत लगा रही है। और इन्होंने इतना बुरा किया,इतना बुरा किया कि, 11 साल से मेहनत करने के बाद भी, अभी मुझे और बहुत कुछ करना बाकी है। काँग्रेस के दौर में फर्टिलाइज़र्स फ़ैक्टरियां बंद होती थीं। जबकि हमारी सरकार ने गोरखपुर, सिंदरी, बरौनी, रामागुंडम जैसे अनेक प्लांट्स शुरू किए हैं। इस क्षेत्र में प्राइवेट सेक्टर को भी बढ़ावा दिया जा रहा है। आज इसी का नतीजा है, हम यूरिया के क्षेत्र में आने वाले कुछ समय में आत्मनिर्भर हो सके, उस दिशा में मजबूती से कदम रख रहे हैं।

साथियों,

2014 में देश में सिर्फ 225 लाख मीट्रिक टन यूरिया का ही उत्पादन होता था। आपको आंकड़ा याद रहेगा? आंकड़ा याद रहेगा? मैं आपने मुझे काम दिया 10-11 साल पहले, तब उत्पादन होता था 225 लाख मीट्रिक टन। ये आंकड़ा याद रखिए। पिछले 10-11 साल की मेहनत में हमने उत्पादन बढ़ाकर के करीब 306 लाख मीट्रिक टन तक पहुंच चुका है। लेकिन हमें यहां रूकना नहीं है, क्योंकि अभी भी बहुत करने की जरूरत है। जो काम उनको उस समय करना था, नहीं किया, और इसलिए मुझे थोड़ा एक्स्ट्रा मेहनत करनी पड़ रही है। और अभी हमें हर साल करीब 380 लाख मीट्रिक टन यूरिया की जरूरत पड़ती है। हम 306 पर पहुंचे हैं, 70-80 और करना है। लेकिन मैं देशवासियों को विश्वास दिलाता हूं, हम जिस प्रकार से मेहनत कर रहे हैं, जिस प्रकार से योजना बना रहे हैं और जिस प्रकार से मेरे किसान भाई-बहन हमें आशीर्वाद दे रहे हैं, हम हो सके उतना जल्दी इस गैप को भरने में कोई कमी नहीं रखेंगे।

और भाइयों और बहनों,

मैं आपको एक और बात बताना चाहता हूं, आपके हितों को लेकर हमारी सरकार बहुत ज्यादा संवेदनशील है। जो यूरिया हमें महंगे दामों पर विदेशों से मंगाना पड़ता है, हम उसकी भी चोट अपने किसानों पर नहीं पड़ने देते। बीजेपी सरकार सब्सिडी देकर वो भार सरकार खुद उठाती है। भारत के किसानों को सिर्फ 300 रुपए में यूरिया की बोरी मिलती है, उस एक बोरी के बदले भारत सरकार को दूसरे देशों को, जहां से हम बोरी लाते हैं, करीब-करीब 3 हजार रुपए देने पड़ते हैं। अब आप सोचिए, हम लाते हैं 3000 में, और देते हैं 300 में। यह सारा बोझ देश के किसानों पर हम नहीं पड़ने देते। ये सारा बोझ सरकार खुद भरती है। ताकि मेरे देश के किसान भाई बहनों पर बोझ ना आए। लेकिन मैं किसान भाई बहनों को भी कहूंगा, कि आपको भी मेरी मदद करनी होगी और वह मेरी मदद है इतना ही नहीं, मेरे किसान भाई-बहन आपकी भी मदद है, और वो है यह धरती माता को बचाना। हम धरती माता को अगर नहीं बचाएंगे तो यूरिया की कितने ही थैले डाल दें, यह धरती मां हमें कुछ नहीं देगी और इसलिए जैसे शरीर में बीमारी हो जाए, तो दवाई भी हिसाब से लेनी पड़ती है, दो गोली की जरूरत है, चार गोली खा लें, तो शरीर को फायदा नहीं नुकसान हो जाता है। वैसा ही इस धरती मां को भी अगर हम जरूरत से ज्यादा पड़ोस वाला ज्यादा बोरी डालता है, इसलिए मैं भी बोरी डाल दूं। इस प्रकार से अगर करते रहेंगे तो यह धरती मां हमसे रूठ जाएगी। यूरिया खिला खिलाकर के हमें धरती माता को मारने का कोई हक नहीं है। यह हमारी मां है, हमें उस मां को भी बचाना है।

साथियों,

आज बीज से बाजार तक भाजपा सरकार किसानों के साथ खड़ी है। खेत के काम के लिए सीधे खाते में पैसे पहुंचाए जा रहे हैं, ताकि किसान को उधार के लिए भटकना न पड़े। अब तक पीएम किसान सम्मान निधि के लगभग 4 लाख करोड़ रुपए किसानों के खाते में भेजे गए हैं। आंकड़ा याद रहेगा? भूल जाएंगे? 4 लाख करोड़ रूपया मेरे देश के किसानों के खाते में सीधे जमा किए हैं। इसी साल, किसानों की मदद के लिए 35 हजार करोड़ रुपए की दो योजनाएं नई योजनाएं शुरू की हैं 35 हजार करोड़। पीएम धन धान्य कृषि योजना और दलहन आत्मनिर्भरता मिशन, इससे खेती को बढ़ावा मिलेगा।

साथियों,

हम किसानों की हर जरूरत को ध्यान रखते हुए काम कर रहे हैं। खराब मौसम की वजह से फसल नुकसान होने पर किसान को फसल बीमा योजना का सहारा मिल रहा है। फसल का सही दाम मिले, इसके लिए खरीद की व्यवस्था सुधारी गई है। हमारी सरकार का साफ मानना है कि देश तभी आगे बढ़ेगा, जब मेरा किसान मजबूत होगा। और इसके लिए हर संभव प्रयास किए जा रहे हैं।

साथियों,

केंद्र में हमारी सरकार बनने के बाद हमने किसान क्रेडिट कार्ड की सुविधा से पशुपालकों और मछलीपालकों को भी जोड़ दिया था। किसान क्रेडिट कार्ड, KCC, ये KCC की सुविधा मिलने के बाद हमारे पशुपालक, हमारे मछली पालन करने वाले इन सबको खूब लाभ उठा रहा है। KCC से इस साल किसानों को, ये आंकड़ा भी याद रखो, KCC से इस साल किसानों को 10 लाख करोड़ रुपये से ज्यादा की मदद दी गई है। 10 लाख करोड़ रुपया। बायो-फर्टिलाइजर पर GST कम होने से भी किसानों को बहुत फायदा हुआ है। भाजपा सरकार भारत के किसानों को नैचुरल फार्मिंग के लिए भी बहुत प्रोत्साहन दे रही है। और मैं तो चाहूंगा असम के अंदर कुछ तहसील ऐसे आने चाहिए आगे, जो शत प्रतिशत नेचुरल फार्मिंग करते हैं। आप देखिए हिंदुस्तान को असम दिशा दिखा सकता है। असम का किसान देश को दिशा दिखा सकता है। हमने National Mission On Natural Farming शुरू की, आज लाखों किसान इससे जुड़ चुके हैं। बीते कुछ सालों में देश में 10 हजार किसान उत्पाद संघ- FPO’s बने हैं। नॉर्थ ईस्ट को विशेष ध्यान में रखते हुए हमारी सरकार ने खाद्य तेलों- पाम ऑयल से जुड़ा मिशन भी शुरू किया। ये मिशन भारत को खाद्य तेल के मामले में आत्मनिर्भर तो बनाएगा ही, यहां के किसानों की आय भी बढ़ाएगा।

साथियों,

यहां इस क्षेत्र में बड़ी संख्या में हमारे टी-गार्डन वर्कर्स भी हैं। ये भाजपा की ही सरकार है जिसने असम के साढ़े सात लाख टी-गार्डन वर्कर्स के जनधन बैंक खाते खुलवाए। अब बैंकिंग व्यवस्था से जुड़ने की वजह से इन वर्कर्स के बैंक खातों में सीधे पैसे भेजे जाने की सुविधा मिली है। हमारी सरकार टी-गार्डन वाले क्षेत्रों में स्कूल, रोड, बिजली, पानी, अस्पताल की सुविधाएं बढ़ा रही है।

साथियों,

हमारी सरकार सबका साथ सबका विकास के मंत्र के साथ आगे बढ़ रही है। हमारा ये विजन, देश के गरीब वर्ग के जीवन में बहुत बड़ा बदलाव लेकर आया है। पिछले 11 वर्षों में हमारे प्रयासों से, योजनाओं से, योजनाओं को धरती पर उतारने के कारण 25 करोड़ लोग, ये आंकड़ा भी याद रखना, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं। देश में एक नियो मिडिल क्लास तैयार हुआ है। ये इसलिए हुआ है, क्योंकि बीते वर्षों में भारत के गरीब परिवारों के जीवन-स्तर में निरंतर सुधार हुआ है। कुछ ताजा आंकड़े आए हैं, जो भारत में हो रहे बदलावों के प्रतीक हैं।

साथियों,

और मैं मीडिया में ये सारी चीजें बहुत काम आती हैं, और इसलिए मैं आपसे आग्रह करता हूं मैं जो बातें बताता हूं जरा याद रख के औरों को बताना।

साथियों,

पहले गांवों के सबसे गरीब परिवारों में, 10 परिवारों में से 1 के पास बाइक तक होती नहीं थी। 10 में से 1 के पास भी नहीं होती थी। अभी जो सर्वे आए हैं, अब गांव में रहने वाले करीब–करीब आधे परिवारों के पास बाइक या कार होती है। इतना ही नहीं मोबाइल फोन तो लगभग हर घर में पहुंच चुके हैं। फ्रिज जैसी चीज़ें, जो पहले “लग्ज़री” मानी जाती थीं, अब ये हमारे नियो मिडल क्लास के घरों में भी नजर आने लगी है। आज गांवों की रसोई में भी वो जगह बना चुका है। नए आंकड़े बता रहे हैं कि स्मार्टफोन के बावजूद, गांव में टीवी रखने का चलन भी बढ़ रहा है। ये बदलाव अपने आप नहीं हुआ। ये बदलाव इसलिए हुआ है क्योंकि आज देश का गरीब सशक्त हो रहा है, दूर-दराज के क्षेत्रों में रहने वाले गरीब तक भी विकास का लाभ पहुंचने लगा है।

साथियों,

भाजपा की डबल इंजन सरकार गरीबों, आदिवासियों, युवाओं और महिलाओं की सरकार है। इसीलिए, हमारी सरकार असम और नॉर्थ ईस्ट में दशकों की हिंसा खत्म करने में जुटी है। हमारी सरकार ने हमेशा असम की पहचान और असम की संस्कृति को सर्वोपरि रखा है। भाजपा सरकार असमिया गौरव के प्रतीकों को हर मंच पर हाइलाइट करती है। इसलिए, हम गर्व से महावीर लसित बोरफुकन की 125 फीट की प्रतिमा बनाते हैं, हम असम के गौरव भूपेन हजारिका की जन्म शताब्दी का वर्ष मनाते हैं। हम असम की कला और शिल्प को, असम के गोमोशा को दुनिया में पहचान दिलाते हैं, अभी कुछ दिन पहले ही Russia के राष्ट्रपति श्रीमान पुतिन यहां आए थे, जब दिल्ली में आए, तो मैंने बड़े गर्व के साथ उनको असम की ब्लैक-टी गिफ्ट किया था। हम असम की मान-मर्यादा बढ़ाने वाले हर काम को प्राथमिकता देते हैं।

लेकिन भाइयों बहनों,

भाजपा जब ये काम करती है तो सबसे ज्यादा तकलीफ काँग्रेस को होती है। आपको याद होगा, जब हमारी सरकार ने भूपेन दा को भारत रत्न दिया था, तो काँग्रेस ने खुलकर उसका विरोध किया था। काँग्रेस के राष्ट्रीय अध्यक्ष ने कहा था कि, मोदी नाचने-गाने वालों को भारत रत्न दे रहा है। मुझे बताइए, ये भूपेन दा का अपमान है कि नहीं है? कला संस्कृति का अपमान है कि नहीं है? असम का अपमान है कि नहीं है? ये कांग्रेस दिन रात करती है, अपमान करना। हमने असम में सेमीकंडक्टर यूनिट लगवाई, तो भी कांग्रेस ने इसका विरोध किया। आप मत भूलिए, यही काँग्रेस सरकार थी, जिसने इतने दशकों तक टी कम्यूनिटी के भाई-बहनों को जमीन के अधिकार नहीं मिलने दिये! बीजेपी की सरकार ने उन्हें जमीन के अधिकार भी दिये और गरिमापूर्ण जीवन भी दिया। और मैं तो चाय वाला हूं, मैं नहीं करूंगा तो कौन करेगा? ये कांग्रेस अब भी देशविरोधी सोच को आगे बढ़ा रही है। ये लोग असम के जंगल जमीन पर उन बांग्लादेशी घुसपैठियों को बसाना चाहते हैं। जिनसे इनका वोट बैंक मजबूत होता है, आप बर्बाद हो जाए, उनको इनकी परवाह नहीं है, उनको अपनी वोट बैंक मजबूत करनी है।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस को असम और असम के लोगों से, आप लोगों की पहचान से कोई लेना देना नहीं है। इनको केवल सत्ता,सरकार और फिर जो काम पहले करते थे, वो करने में इंटरेस्ट है। इसीलिए, इन्हें अवैध बांग्लादेशी घुसपैठिए ज्यादा अच्छे लगते हैं। अवैध घुसपैठियों को काँग्रेस ने ही बसाया, और काँग्रेस ही उन्हें बचा रही है। इसीलिए, काँग्रेस पार्टी वोटर लिस्ट के शुद्धिकरण का विरोध कर रही है। तुष्टीकरण और वोटबैंक के इस काँग्रेसी जहर से हमें असम को बचाकर रखना है। मैं आज आपको एक गारंटी देता हूं, असम की पहचान, और असम के सम्मान की रक्षा के लिए भाजपा, बीजेपी फौलाद बनकर आपके साथ खड़ी है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में, आपके ये आशीर्वाद यही मेरी ताकत है। आपका ये प्यार यही मेरी पूंजी है। और इसीलिए पल-पल आपके लिए जीने का मुझे आनंद आता है। विकसित भारत के निर्माण में पूर्वी भारत की, हमारे नॉर्थ ईस्ट की भूमिका लगातार बढ़ रही है। मैंने पहले भी कहा है कि पूर्वी भारत, भारत के विकास का ग्रोथ इंजन बनेगा। नामरूप की ये नई यूनिट इसी बदलाव की मिसाल है। यहां जो खाद बनेगी, वो सिर्फ असम के खेतों तक नहीं रुकेगी। ये बिहार, झारखंड, पश्चिम बंगाल और पूर्वी उत्तर प्रदेश तक पहुंचेगी। ये कोई छोटी बात नहीं है। ये देश की खाद जरूरत में नॉर्थ ईस्ट की भागीदारी है। नामरूप जैसे प्रोजेक्ट, ये दिखाते हैं कि, आने वाले समय में नॉर्थ ईस्ट, आत्मनिर्भर भारत का बहुत बड़ा केंद्र बनकर उभरेगा। सच्चे अर्थ में अष्टलक्ष्मी बन के रहेगा। मैं एक बार फिर आप सभी को नए फर्टिलाइजर प्लांट की बधाई देता हूं। मेरे साथ बोलिए-

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

और इस वर्ष तो वंदे मातरम के 150 साल हमारे गौरवपूर्ण पल, आइए हम सब बोलें-

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।