কারখিয়াঁতে ইউপিএসআইডিএ অ্যাগ্রো পার্কে বনস কাশী সঙ্কুল দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, এইচপিসিএল-এর এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট এবং বিভিন্ন পরিকাঠামোগত প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন
বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ নগরোন্নয়ন, পর্যটন এবং আধ্যাত্মিক পর্যটন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন
প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনলজি (এনআইএফটি), বিএইচইউ-তে নতুন মেডিকেল কলেজ এবং ন্যাশনাল সেন্টার অফ এজিং-এর শিলান্যাস করেছেন
শিগরায় স্পোর্টর্স স্টেডিয়ামের প্রথম পর্যায় এবং জেলা রাইফেল শ্যুটিং রেঞ্জের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
“গত ১০ বছরে বেনারস আমাকে বেনারসীতে পরিণত করেছে”
“বনস কাশী সঙ্কুল ৩ লক্ষ কৃষকের আয় বৃদ্ধি করবে”
“মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে পশুপালন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান”
“আমাদের সরকার অন্নদাতাদের উপার্জনদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে, এছাড়াও তাঁদের সার উৎপাদক করে তোলা হবে”
“আত্মনির্ভর ভারত বিকশিত ভারতের ভিত্তি হয়ে উঠবে”
আজ রেল, সড়ক, বিমান চলাচল, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, নগরোন্নয়ন এবং পয়ঃনিকাশির সঙ্গে যুক্ত একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি সন্ত রবিদাসজির স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন এবং কাশীর জনসাধারণকে এই প্রকল্পগুলির জন্য অভিনন্দন জানান।
এর ফলে, মহিলাদের আয় বাড়বে এবং তাঁরা ‘লাখপতি দিদি’তে পরিণত হবেন। “দেশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ১০ কোটি মহিলার কাছে এ এক অনুপ্রেরণার উৎস।”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বারাণসীতে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে কারখিয়াঁয় ইউপিএসআইডিএ অ্যাগ্রো পার্কে যান। তিনি সেখানে বনসকান্থা জেলা সমবায় দুগ্ধ উৎপাদক ইউনিয়ন লিমিটেডের দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র বনস কাশী সঙ্কুল ঘুরে দেখেন এবং সুবিধাপ্রাপকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র এবং জিআই স্বীকৃত শংসাপত্র তুলে দেন। আজ রেল, সড়ক, বিমান চলাচল, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, নগরোন্নয়ন এবং পয়ঃনিকাশির সঙ্গে যুক্ত একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। 

 

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় কাশীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ১০ বছর আগে এই শহর তাঁকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছে। গত ১০ বছরে বেনারস তাঁকে ‘বেনারসী’তে পরিণত করেছে। কাশীর জনসাধারণের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, আজ এখানে ১৩ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হয়েছে যার মাধ্যমে নতুন কাশী গড়ে উঠবে। এই প্রকল্পগুলি শুধু কাশী নয়, সমগ্র পূর্বাঞ্চলের সহায়ক হবে। এখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি সন্ত রবিদাসজির স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন এবং কাশীর জনসাধারণকে এই প্রকল্পগুলির জন্য অভিনন্দন জানান।

কাশী এবং পূর্ব-উত্তরপ্রদেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নের ফলে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি গত রাতে অতিথি নিবাসে যাওয়ার সময় তাঁর সড়কপথে ভ্রমণের কথা তুলে ধরেন। সেই সময় ফুলওয়াড়িয়া ফ্লাইওভার প্রকল্পের সুবিধা তিনি উপলব্ধি করেছেন। বিএলডব্লিউ থেকে বিমানবন্দরে যাওয়াও সুবিধাজনক হয়েছে। গুজরাট সফর শেষ করে গত রাতে বারাণসীতে পৌঁছনোর পর শ্রী মোদী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এখানে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিগরা স্পোর্টর্স স্টেডিয়ামের প্রথম পর্যায় এবং জেলা রাইফেল শ্যুটিং রেঞ্জ এই অঞ্চলের তরুণ ক্রীড়াবিদদের সহায়ক হবে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বনস ডেয়ারি ঘুরে দেখার সময় পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের সাথে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। তিনি জানান, ২-৩ বছর আগে কৃষিকাজে যুক্ত মহিলাদের দেশীয় ‘গির’ গাই প্রদান করা হয়। বর্তমানে সেই সংখা ৩৫০-এ পৌঁছেছে। সাধারণ গরু প্রতিদিন ৫ লিটারের মতো দুধ দেয়, সেখানে ‘গির’ গাই ১৫ লিটার দুধ দিতে পারে। এর ফলে, মহিলাদের আয় বাড়বে এবং তাঁরা ‘লাখপতি দিদি’তে পরিণত হবেন। “দেশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ১০ কোটি মহিলার কাছে এ এক অনুপ্রেরণার উৎস।” 

শ্রী মোদী দু’বছর আগে বনস ডেয়ারির শিলান্যাস অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন। সেইদিন যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আজ তা বাস্তবায়িত হল। সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এক আদর্শ উদাহরণ বনস ডেয়ারি। এই প্রকল্পে বারাণসী, মীর্জাপুর, গাজিপুর এবং রায়বেরিলি থেকে ২ লক্ষ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। নতুন দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা কাজ শুরু করায় বালিয়া, চান্দৌলি, প্রয়াগরাজ এবং জৌনপুরের পশুপালকরা উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পে বারাণসী, জৌনপুর, চান্দৌলি, গাজিপুর এবং আজমগড় জেলায় ১ হাজারটি গ্রামে দুধের বাজার গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বনস কাশী সঙ্কুল হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রকল্প ৩ লক্ষ কৃষকের আয় বৃদ্ধি করবে। এই কেন্দ্র থেকে বাটার মিল্ক, দই, লস্যি,  আইসক্রিম, পনির এবং স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরি করা হবে। বেনারসে উৎপাদিত মিষ্টি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের কারখানাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দুধ পরিবহণের ফলে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং পশুপালন শিল্পের উন্নতি হবে।

 

 

দোহ বা ডেয়ারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের একটি নতুন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ জানান। এর মাধ্যমে পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত বোনেরা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজেদের অ্যাকাউন্টে পাবেন। পশুপালন, ক্ষুদ্র চাষী ও ভূমিহীন শ্রমিকদের জন্য যা সহায়ক হবে। 

কৃষকদের অন্নদাতা থেকে জ্বালানী সরবরাহকারী এবং সার সরবরাহকারীতে পরিণত করতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি গোবর্ধন প্রকল্পের সুবিধার কথা তুলে ধরেন। দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় জৈব সিএনজি এবং সার উৎপাদন করা যাবে। বর্তমানে গঙ্গা নদীর তীরে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গোবর্ধন প্রকল্পে যে জৈব সার পাওয়া যায় তা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এনটিপিসি শহরাঞ্চলে প্রাপ্ত জঞ্জালকে চারকোল প্ল্যান্টে পাঠানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশীর জনসাধারণ বর্তমানে ‘কাচরা’ (জঞ্জাল) থেকে ‘কাঞ্চন’ উৎপাদনে উদ্যোগী হয়েছেন।  

শ্রী মোদী বলেন, কৃষক এবং পশুপালকদের কথা ভেবে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠকে আখের ন্যায্য এবং যথাযথ মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন কৃষকরা প্রতি ক্যুইন্টাল পিছু ৩৪০ টাকা করে পাবেন। ন্যাশনাল লাইভস্টক মিশনের সংশোধনের ফলে পশুধন বিমা কার্যক্রমে যোগদান আরও সহজ হয়ে উঠেছে। কৃষকদের বকেয়া যেমন মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভর ভারত বিকশিত ভারতের ভিত্তি হয়ে উঠবে”। পূর্ববর্তী সরকার এবং বর্তমান সরকারের ভাবনাচিন্তার পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ছোট্ট ছোট্ট সম্ভাবনা যখন শক্তিশালী করে তোলা হয় এবং ক্ষুদ্র কৃষক, পশুপালক, হস্তশিল্পী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি উপকৃত হয়, তখন আত্মনির্ভর ভারতের বাস্তবায়ন ঘটে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ কার্যকর করার মধ্য দিয়ে যেসব উৎপাদকরা তাঁদের পণ্যসামগ্রীর বিজ্ঞাপন টিভি অথবা সংবাদপত্রে দিতে পারেন না, তাঁরা উপকৃত হবেন। “মোদী নিজেই দেশে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বিজ্ঞাপন করছেন। তিনি ক্ষুদ্র কৃষক এবং শিল্প সংস্থাগুলির দূত। খাদি বস্ত্র, খেলনা উৎপাদক, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অথবা ‘দেখো আপনা দেশ’ কর্মসূচীর মাধ্যমে এঁরা উপকৃত হচ্ছেন।” এই ধরনের কর্মসূচীর ফলে কাশীতে ইতিবাচক নানা পরিবর্তন নজরে এসেছে। নবরূপে সজ্জিত বিশ্বনাথ ধামে ১২ কোটিরও বেশি পর্যটক এসেছেন। এর ফলে এলাকার মানুষের আয় বেড়েছে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। বারাণসী এবং অযোধ্যার মধ্যে ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বৈদ্যুতিক ক্যাটামারান জলযান চালাচ্ছে। যাঁরা এই দুটি অঞ্চল সফর করবেন, তাঁদের কাছে এ এক নতুন অভিজ্ঞতা হবে। 

শ্রী মোদী পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি এবং তোষণের রাজনীতির কুপ্রভাবগুলির কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। কয়েকটি পক্ষ কাশীর যুব সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং পরিবারতন্ত্র রাজনীতির মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এই শক্তিগুলি কাশী এবং অযোধ্যা সম্পর্কে ঘৃণার বার্তা ছড়াচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃতীয় দফায় মোদী ভারতের দক্ষতাকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে এবং দেশের অর্থনীতি, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং সংস্কৃতি নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছবে।” ভারতের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি সারা বিশ্বের নিরিখে তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠেছে। আগে এর স্থান ছিল একাদশ। আগামী পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। এই সময়কালে ডিজিটাল ভারত, সড়কপথের প্রশস্তিকরণ, আধুনিক রেল স্টেশন, বন্দে ভারত, অমৃত ভারত এবং নমো ভারত ট্রেনগুলি দেশের উন্নয়নকে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। “মোদীর গ্যারান্টির কারণে পূর্ব ভারত বিকশিত ভারতের চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।” এই অঞ্চল এক সময় উন্নয়নের নিরিখে অবহেলার শিকার ছিল। বারাণসী থেকে ঔরঙ্গাবাদ পর্যন্ত ছয় লেনের জাতীয় সড়কের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দূরত্ব কমাবে। “ভবিষ্যতে বারাণসী থেকে কলকাতা যেতে বর্তমানের তুলনায় অর্ধেক সময় লাগবে।”

পরবর্তী পাঁচ বছরে কাশীর উন্নয়ন নতুন এক মাত্রা যোগ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী পূর্বাভাস দেন। কাশীতে রোপওয়ে এবং বিমানবন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। আগামীদিনে কাশী খেলাধূলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানে কাশী ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আগামী পাঁচ বছরে এই শহর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এই সময়কালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনলজির ক্যাম্পাস তৈরি হবে। ফলে, এই অঞ্চলের যুবক-যুবতী এবং তন্তুবায়দের কাছে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। “গত দশকে আমরা কাশীকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে নতুন এক পরিচিতি দিয়েছি। এখানে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠবে।” বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল সেন্টার অফ এজিং-এর উদ্বোধন ছাড়াও আজ এখানে ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি রোগ নির্ণায়ক সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতালে যে বর্জ্য পদার্থ পাওয়া যায়, সেগুলিকে অন্য কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

তাঁর ভাষণের শেষ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশী এবং উত্তরপ্রদেশের দ্রুত উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেক কাশীবাসীকে এর জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। “যদি দেশ এবং পৃথিবীর মোদীর গ্যারান্টির ওপর এত আস্থা থাকে, তাহলে তার মূল কারণ হল আপনাদের ভালোবাসা এবং বাবার আশীর্বাদ।”

অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ব্রিজেশ পাঠক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে এবং বনস ডেয়ারির চেয়ারম্যান শ্রী শঙ্করভাই চৌধুরি অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেক্ষাপট

২০১৪ সাল থেকেই বারাণসী এবং তার আশপাশের অঞ্চলকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ পরিকাঠামোগত নানা প্রকল্পের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সেখানে পর্যটন এবং আধ্যাত্মিক পর্যটন সংক্রান্ত বেশকিছু প্রকল্পের সূচনা করেছেন। চালু হয়েছে বিদ্যুৎচালিত কাটামারন পরিষেবা। বিশ্বের প্রাচীনতম নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি একটি নতুন মেডিকেল কলেজেরও শিলান্যাস করা হয়েছে। সন্ত রবিদাস সংগ্রহশালারও শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Since 2019, a total of 1,106 left wing extremists have been 'neutralised': MHA

Media Coverage

Since 2019, a total of 1,106 left wing extremists have been 'neutralised': MHA
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Welcomes Release of Commemorative Stamp Honouring Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II
December 14, 2025

Prime Minister Shri Narendra Modi expressed delight at the release of a commemorative postal stamp in honour of Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II (Suvaran Maran) by the Vice President of India, Thiru C.P. Radhakrishnan today.

Shri Modi noted that Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II was a formidable administrator endowed with remarkable vision, foresight and strategic brilliance. He highlighted the Emperor’s unwavering commitment to justice and his distinguished role as a great patron of Tamil culture.

The Prime Minister called upon the nation—especially the youth—to learn more about the extraordinary life and legacy of the revered Emperor, whose contributions continue to inspire generations.

In separate posts on X, Shri Modi stated:

“Glad that the Vice President, Thiru CP Radhakrishnan Ji, released a stamp in honour of Emperor Perumbidugu Mutharaiyar II (Suvaran Maran). He was a formidable administrator blessed with remarkable vision, foresight and strategic brilliance. He was known for his commitment to justice. He was a great patron of Tamil culture as well. I call upon more youngsters to read about his extraordinary life.

@VPIndia

@CPR_VP”

“பேரரசர் இரண்டாம் பெரும்பிடுகு முத்தரையரை (சுவரன் மாறன்) கௌரவிக்கும் வகையில் சிறப்பு அஞ்சல் தலையைக் குடியரசு துணைத்தலைவர் திரு சி.பி. ராதாகிருஷ்ணன் அவர்கள் வெளியிட்டது மகிழ்ச்சி அளிக்கிறது. ஆற்றல்மிக்க நிர்வாகியான அவருக்குப் போற்றத்தக்க தொலைநோக்குப் பார்வையும், முன்னுணரும் திறனும், போர்த்தந்திர ஞானமும் இருந்தன. நீதியை நிலைநாட்டுவதில் அவர் உறுதியுடன் செயல்பட்டவர். அதேபோல் தமிழ் கலாச்சாரத்திற்கும் அவர் ஒரு மகத்தான பாதுகாவலராக இருந்தார். அவரது அசாதாரண வாழ்க்கையைப் பற்றி அதிகமான இளைஞர்கள் படிக்க வேண்டும் என்று நான் கேட்டுக்கொள்கிறேன்.

@VPIndia

@CPR_VP”