সাউথ ব্লকে আজ ৪৯-তম প্রগতি বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি আইসিটি নির্ভর সক্ষম পরিচালন এবং সময়োচিত সম্পাদনের লক্ষ্যে একটি বহুস্তরীয় মঞ্চ। প্রধান প্রধান প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা, রূপায়ণের পথে বাধা দূর করা এবং সময়োচিত সম্পাদনে এই মঞ্চ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পরিকাঠামো প্রকল্পের পর্যালোচনা করেন। খনি, রেল, জলসম্পদ, শিল্প করিডর এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের প্রকল্পগুলি এর মধ্যে রয়েছে। দেশের ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা এই প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর্থিক অগ্রগতির প্রসার, জনকল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই সমস্ত প্রকল্পগুলি সম্পাদনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রকল্প সম্পাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং যে কোনও রকম বাধা দ্রুত দূর করার কথাও বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনও প্রকল্প সম্পাদনে বিলম্বের অর্থ, খরচ দ্বিগুণ হওয়া। শুধুমাত্র তাই নয়, পরিকাঠামো এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও এই বিলম্বের অর্থ নাগরিকদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা। এই প্রকল্পের সুযোগ জনসাধারণের জীবন ধারণের মানোন্নয়ন ঘটাতে পারে সে দিকে তাকিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের সরকারি আধিকারিকদের এই প্রকল্প সম্পাদনে সমন্বয় গড়ে তুলতে বলেন। সেই সঙ্গে জীবনধারণের সাচ্ছন্দ্য বিধান এবং বিভিন্ন সংস্থার ব্যবসার সাচ্ছন্দ্যের তা যাতে সহায়ক হয় সেদিকে নজর দিতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির নিয়মিত নজরদারি, সময় মতো সম্পাদন এবং যে কোনও রকম প্রতিবন্ধকতার নিষ্পত্তিতে নিয়মিত উচ্চস্তরীয় পর্যালোচনার কথা বলেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে প্রতিযোগিতামুখী মনোভাব, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সমস্ত ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে যত্নশীল হতে বলেছেন। তিনি বলেন, সংস্কার সাধনের মাধ্যমেই আমরা উদ্ভুত সুযোগের ব্যবহার বাড়াতে পারবো।


