আমি কুর্ণিশ জানাই লক্ষ লক্ষ দেশবাসীকে, যাঁদের অবদানে মহাকুম্ভ সাফল্যমণ্ডিত হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
মহাকুম্ভের সাফল্যে অবদান রয়েছে বহু মানুষের। আমি অভিনন্দন জানাই প্রশাসন, সমাজ এবং একনিষ্ঠ কর্মীদের: প্রধানমন্ত্রী
মহাকুম্ভের আয়োজনে আমরা একটি 'মহাপ্রয়াস' প্রত্যক্ষ করেছি: প্রধানমন্ত্রী
এই মহাকুম্ভ জনগণের নেতৃত্বে ছিল, তাদের সংকল্প দ্বারা পরিচালিত এবং তাদের অটল ভক্তিতে অনুপ্রাণিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক যা একটি জাগ্রত জাতির চেতনাকে প্রতিফলিত করে: প্রধানমন্ত্রী
মহাকুম্ভ ঐক্যের চেতনাকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
মহাকুম্ভে, সমস্ত পার্থক্য দূর হয়ে গেছে; এটি ভারতের মহান শক্তি, যা দেখায় যে ঐক্যের চেতনা আমাদের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত: প্রধানমন্ত্রী
ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ আজকের ভারতের অমূল্য সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের সার্থক পরিসমাপ্তিতে আজ লোকসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। অসংখ্য দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁদের প্রয়াসেই কুম্ভ মেলা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। মহাকুম্ভের সাফল্যতে নানা গোষ্ঠী ও ব্যক্তির সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার, সমাজ এবং সমস্ত নিষ্ঠাবান কর্মীদের ঐকান্তিক প্রয়াস এই সাফল্যের ক্ষেত্র রচনা করেছে। দেশ জোড়া ভক্তদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণ বিশেষত প্রয়াগরাজবাসীর অমূল্য সমর্থন ও অংশগ্রহণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। 

মহাকুম্ভের মহান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত  অনন্ত প্রয়াসকে তিনি ধরিত্রীর বুকে গঙ্গাকে টেনে আনতে কিংবদন্তীপ্রতীম ভগীরথের উদ্যোগের সঙ্গে তুলনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালকেল্লায় ভাষণে তিনি সবকা প্রয়াসের এই গুরুত্বের কথাই তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেন, মহাকুম্ভ ভারতের মহিমাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে। এই মহাকুম্ভ অবিচল বিশ্বাস দ্বারা অনুপ্রাণিত সম্মিলিত সংকল্প, ভক্তি এবং মানুষের ত্যাগের এক অনন্য প্রকাশ। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকুম্ভ জাতীয় চেতনার এক জাগ্রত রূপকে প্রত্যক্ষ করেছে। তা দেখিয়েছে, সচেতনতা বোধ দেশকে নতুন সংকল্প গ্রহণে এবং তার পূর্ণতা প্রাপ্তিতে কিভাবে সাহায্য করে। এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে রাষ্ট্রের সক্ষমতার প্রশ্ন তদুপরি নানা দ্বিধা এবং আশঙ্কারও  যথাযথ উত্তর দিয়েছে মহাকুম্ভ। 

দেশের রূপান্তরমূলক যাত্রাপথের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে গত বছর রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং এ বছর মহাকুম্ভের আয়োজনের এক সমান্তরাল তুলনা টানেন। শ্রী মোদী বলেন, এই জাতীয় অনুষ্ঠান দেশকে আগামী সহস্রাব্দের জন্য তৈরি করে দেয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের সম্মিলিত চেতনা অমিত সক্ষমতার মধ্যে ধরা দেয়। রাষ্ট্রের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মুহুর্তগুলি মানব ইতিহাসের সমার্থক হয়ে আগামী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। শ্রী মোদী ভারতের ঐতিহাসিক মাইলফলকসমূহ যা জাতীয় চেতনা জাগ্রত করার পাশাপাশি নতুন পথনির্দেশ জুগিয়েছে তার ওপরও আলোকপাত করেন। স্বদেশী আন্দোলন আধ্যাত্মিক চেতনার পুনরুত্থানের জন্ম দিয়েছিল। শিকাগোতে স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু উল্লেখযোগ্য মুহুর্ত যেমন ১৮৫৭-এর সিপাহী বিদ্রোহ, ভগৎ সিং-এর আত্মবলিদান, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর দিল্লি চলো ডাক এবং মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযান নতুন অনুপ্রেরণার দ্যোতক হয়ে রয়েছে। প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ সেই অর্থে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। রাষ্ট্রের আধ্যাত্মিক জাগরণের যা এক প্রতিকী রূপ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রায় দেড় মাস ব্যাপী মহাকুম্ভে দেশ জাগ্রত উদ্যোগকে প্রত্যক্ষ করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, কোটি কোটি ভক্ত সুবিধা বা অসুবিধার শঙ্কা কাটিয়ে উঠে অবিচল বিশ্বাস ও নিষ্ঠাভরে এতে অংশ নিয়েছেন যা রাষ্ট্রের অনন্ত শক্তিকে তুলে ধরে। মরিশাসে তাঁর সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকুম্ভকালীন ত্রিবেণী ও প্রয়াগরাজের পবিত্র জল তিনি সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই পবিত্র জল মরিশাসের গঙ্গা তালাও-এ নিবেদনের সময়  ভক্তি ও উদযাপনের যে এক মহিমান্বিত পরিবেশ রচিত হয়েছিল তার উল্লেখ করেন তিনি। এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের সংরক্ষণ এবং তাকে আকড়ে ধরে থাকা ও উদযাপনের এক ক্রমবর্ধমান ভাবধারাকে এর মধ্যে দিয়ে প্রত্যক্ষ করা যায়। 

শ্রী মোদী বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ধারা প্রবাহমান। ভারতের আধুনিক যুবরাও মহাকুম্ভ এবং অন্যান্য উৎসবে গভীর নিষ্ঠা ও বিশ্বাসের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আজকের যুব সম্প্রদায় তাদের ঐতিহ্য, ভাবধারা এবং বিশ্বাসকে গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করছে যার মধ্যে দিয়ে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে তাদের দৃঢ় সম্পর্ককে প্রত্যক্ষ করা যায়। 

কোনো সমাজ যখন তার ঐতিহ্যে গর্ববোধ করে, তখন তা এক বৃহৎ উদযাপন এবং অনুপ্রেরণাদায়ক মুহুর্ত রচনা করে। মহাকুম্ভে তা প্রত্যক্ষ করা গেছে বলে শ্রী মোদী জানান। এই জাতীয় গর্ব ঐক্যের প্রসার ঘটায় এবং উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় লক্ষ্য পূরণে সক্ষমতা প্রদান করে। তিনি বলেন ভাবধারা, বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের প্রতি নিষ্ঠা সমসাময়িক ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যা রাষ্ট্রের সঙ্ঘবদ্ধ শক্তি এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির পরিচায়ক। 

মহাকুম্ভ নানা অমূল্য ফল অর্জন করেছে। এর পবিত্র নৈবেদ্যে এক ঐক্যের ভাবধারা ফুটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও প্রান্তের লোক প্রয়াগরাজে এসে মিলিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত শ্লাঘাকে ভুলে একের ঊর্ধ্বে আমরা এই সম্মিলিত চেতনা ও বোধকে প্রত্যক্ষ করা গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের ব্যক্তিবর্গ পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমের অঙ্গ হয়ে ওঠেছেন। জাতীয়তাবাদ এবং ঐক্যের বোধকে যা শক্তিশালী করে। বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ সঙ্গমে যখন হর হর গঙ্গে ধ্বনি তোলেন, তখন তা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের আবশ্যিকতাকে মূর্ত করে তোলে এবং একাত্মবোধের পরিব্যাপ্তি ঘটায়। শ্রী মোদী বলেন, মহাকুম্ভ দেখিয়েছে ছোট-বড় ভেদাভেদ নির্বিশেষে ভারতের অপরিসীম শক্তিকে। তিনি বলেন, দেশের নিজস্ব ঐক্যবোধ এত বেশি প্রবল যে তা যে কোন বিভেদমূলক প্রয়াসকে পর্যুদস্ত করে। তিনি বলেন, এই ঐক্য ভারতবাসীর এক অসীম প্রাপ্তি, বিভেদদীর্ণ বিশ্বের কাছে যা এক উল্লেখযোগ্য শক্তি স্বরূপ। তিনি বলেন, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারতের বৈশিষ্ট্য । এটা এমন এক অনুভূতি যা সবসময় অনুভব ও প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে যা মহিমান্বিত হয়ে উঠেছে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এই অনন্য চরিত্রকে সমৃদ্ধ করে যেতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মহাকুম্ভ থেকে যে অনন্ত প্রেরণা জন্ম নিয়েছে সেকথা বলতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন, দেশের নদীগুলির  বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাঝে অনেকগুলি নদীই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে। মহাকুম্ভ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নদী উৎসবের প্রথাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কারণ এই জাতীয় উদ্যোগ বর্তমান প্রজন্মকে জলের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করবে। নদীর স্বচ্ছতা প্রসারে এবং নদী সংরক্ষণকে সুনিশ্চিত করতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষে বলেন, মহাকুম্ভ থেকে যে আস্থা এবং অনুপ্রেরণা অর্জন করা গেছে, রাষ্ট্রের সংকল্প পূরণে তা এক শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠবে। তিনি মহাকুম্ভের আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের প্রশংসা এবং দেশজোড়া ভক্তবৃন্দকে  অভিনন্দন জানান। তনি সভার তরফ থেকে তাঁদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan

Media Coverage

'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi's address to the nation
May 12, 2025
Today, every terrorist knows the consequences of wiping Sindoor from the foreheads of our sisters and daughters: PM
Operation Sindoor is an unwavering pledge for justice: PM
Terrorists dared to wipe the Sindoor from the foreheads of our sisters; that's why India destroyed the very headquarters of terror: PM
Pakistan had prepared to strike at our borders,but India hit them right at their core: PM
Operation Sindoor has redefined the fight against terror, setting a new benchmark, a new normal: PM
This is not an era of war, but it is not an era of terrorism either: PM
Zero tolerance against terrorism is the guarantee of a better world: PM
Any talks with Pakistan will focus on terrorism and PoK: PM

প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই বিগত দিনগুলিতে দেশের সামর্থ্য ও সংযম উভয় দেখেছি। আমি সবার আগে ভারতের পরাক্রমী সেনাদের, সশস্ত্র সেনাদলগুলিকে... আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সি গুলিকে, আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমাদের বীর সৈনিকেরা অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন লক্ষ্য সাধনের জন্য অসীম শৌর্য প্রদর্শন করেছেন।

আমি তাদের বীরত্বকে, তাদের সাহসকে, তাদের পরাক্রমকে আজ সমর্পণ করছি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মা-কে দেশের প্রত্যেক বোনকে আর দেশের প্রত্যেক কন্যাকে এই পরাক্রম সমর্পণ করছি।

বন্ধুগণ, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছিল, তা দেশ ও বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন সেই নির্দোষ অসহায় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে... তাদের পরিবারের সামনে, তাদের শিশুদের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা... এটা সন্ত্রাসের অত্যন্ত বীভৎস চেহারা ছিল... ক্রুরতা ছিল। এটা ছিল দেশের সদ্ভাব নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এই পীড়া ছিল অসহনীয়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোটা দেশ... প্রত্যেক নাগরিক... প্রত্যেক সমাজ... প্রত্যেক গোষ্ঠী... প্রতিটি রাজনৈতিক দল... এক স্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রত্যাঘাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিল... আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ধূলিসাৎ করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিলাম। আর আজ প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী, প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁথি থেকে সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হয়।

বন্ধুগণ, অপারেশন সিঁদুর... এটা শুধুই একটা নাম নয়... এটি দেশের কোটি কোটি জনগণের ভাবনার প্রতিধ্বনি। অপারেশন সিঁদুর... ন্যায়ের অখণ্ড প্রতিজ্ঞা...

৬ই মে’র রাত...৭ মে’র সকাল... গোটা বিশ্ব এই প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছেন। ভারতের সেনারা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ডেরাগুলিকে, তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে... কিন্তু যখন দেশ একজোট হয়ে, nation first-এর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়... রাষ্ট্র সর্বোপরি থাকে... তখনই কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া যায়, যা ফলদায়ক হয়। যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে ভারতীয় মিসাইলগুলি আক্রমণ হানে, ভারতের ড্রোনগুলি আক্রমণ হানে... তখন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়িগুলি শুধু থরথর করে কাঁপে না, তাদের সাহসও ধূলিসাত হয়ে যায়। বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিতে এক প্রকার global terrorism-এর university চলত। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যখন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেগুলির তার কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ঠিকানাগুলির সাথে জুড়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল, সেজন্য ভারত সন্ত্রাসবাদের এই head quarterগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের এই আক্রমণে ১০০-রও বেশি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসের অনেক মনিব বিগত আড়াই তিন দশক ধরে মুক্তভাবে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল... যারা ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে... তাদেরকে ভারত এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে ঘোর নিরাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর এই মাথা খারাপ হওয়াতেই তারা একটি দুঃসাহস করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করার বদলে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা করা শুরু করে।

পাকিস্তান আমাদের স্কুল, কলেজে, গুরুদ্বারে, মন্দিরগুলিতে সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকে নিশানা করে। পাকিস্তান আমাদের সৈন্য ঠিকানা গুলিকেও নিশানা করে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের নিজের মুখোশ খুলে যায়। বিশ্ববাসী দেখে, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইলগুলি ভারতের সামনে খড়ের টুকরোর মত ছড়িয়ে পরে। ভারতের শক্তিশালী air defence system সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেয়। পাকিস্তানের প্রস্তুতি ছিল সীমান্তে আক্রমণ করার... কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বুকে আক্রমণ করে। ভারতের ড্রোন... ভারতের মিসাইলগুলি নির্ভুল গন্তব্যে আক্রমণ হানে। পাকিস্তানি বায়ু সেনার সেই এয়ারবেসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেগুলি নিয়ে পাকিস্তানের অনেক অহঙ্কার ছিল।

ভারত প্রথম তিনদিনেই পাকিস্তানকে এমন তছনছ করে দেয় যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি... সেজন্য... ভারতের ভয়ানক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বাঁচার রাস্তা খুঁজতে থাকে। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে তাদের রক্ষা করার জন্য বার্তা পাঠাতে থাকে। আর ভীষণরকম ভাবে মার খাবার পর অসহায়ের মতো ১০ই মে দুপুরে পাকিস্তানের সেনা আমাদের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ততক্ষণে আমরা সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বুকে বাসা বাঁধা সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে আমরা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিয়েছিলাম। সেজন্য যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর্ত চিৎকার শোনা গেল... পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন বলা হল যে তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোন সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ এবং দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত সে বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আর আমি আর একবার বলছি, আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এবং সৈন্য ঠিকানাগুলিকে আমাদের প্রত্যাঘাতগুলিকে শুধুমাত্র স্থগিত রেখেছি।

আগামীদিনে... আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপকে দাঁড়িপাল্লায় মাপবো। তাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখব।

বন্ধুগণ, ভারতের তিনটি বাহিনী আমাদের Airforce, আমাদের Army, আমাদের Navy, আমাদের Border Security ফরচে, BSF ভারতের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী লাগাতার এলার্ট থাকবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক-এর পর অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন রেখা টেনে দিয়েছে...

একটি নতুন মাত্রা, একটি নিউ নর্মাল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথমত- ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে, আমাদের নিজস্ব শর্তে প্রত্যাঘাত হানবো। সন্ত্রাসবাদের শিকড় যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে, আমরা সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেব।

দ্বিতীয়ত- ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলির ওপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ শুরু করবে।

তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।

অপারেশন সিন্দুরের সময়...

বিশ্ব আবারও পাকিস্তানের কুৎসিত সত্যটি দেখেছে...

যখন মৃত সন্ত্রাসবাদীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়...

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি বড় প্রমাণ।

ভারত এবং আমাদের নাগরিদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব।

বন্ধুরা,

আমরা প্রতিবারই যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। আর এবার অপারেশন সিন্দুর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা মরুভূমি এবং পাহাড়ে আমাদের দক্ষতা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করেছি... এবং এছাড়া... নতুন যুগের যুদ্ধেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। এই অভিযানের সময়...আমাদের ভারতে তৈরি অস্ত্রের ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বিশ্ব দেখছে... একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধের জন্য ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম... সময় এসেছে।

বন্ধুরা,

সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য... আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা অবশ্যই যুদ্ধের যুগ নয়... কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদের যুগও নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা... এটিই একটি উন্নত বিশ্বের গ্যারান্টি।

বন্ধুরা,

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী... পাকিস্তান সরকার... যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে লালন করা হচ্ছে... একদিন তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দেবে। পাকিস্তান যদি টিঁকে থাকতে চায়, তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এ ছাড়া শান্তির আর কোনো উপায় নেই। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট... সন্ত্রাস আর আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।... সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। এবং... এমনকি জল এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। আমি আজ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই...

আমাদের ঘোষিত নীতি হল…

যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হ্য়...তাহলে তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে…যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর...শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

প্রিয় দেশবাসী,

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা।

ভগবান বুদ্ধ আমদের শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

শান্তির পথও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে যায়।

মানবতা...শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়…

প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে…

উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে…

এর জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

এবং প্রয়োজনে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর গত কয়েকদিন ধরে ভারত ঠিক তাই করেছে।

আমি আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই।

আমরা ভারতীয়দের সাহস এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ঐক্যকে আমি অভিবাদন জানাই।

ধন্যবাদ…

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!