Food processing is a way of life in India. It has been practiced for ages: PM Modi
India has jumped 30 ranks this year in the World Bank Doing Business rankings: PM Modi
There is also immense potential for food processing and value addition in areas such as organic & fortified foods: PM Modi
Our farmers are central to our efforts in food processing: PM Modi

শিল্প ও বাণিজ্যজগতের মাননীয় কর্ণধারবৃন্দ,

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

বিশ্বেরখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রেরপথ প্রদর্শক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের এইবিশেষ সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। ভারতের বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন,২০১৭-তে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই।

আজকের এইআয়োজন থেকে আপনারা এক ঝলক দেখে নিতে পারবেন যে কোন কোন সুযোগ-সুবিধা ভারতে অপেক্ষাকরে রয়েছে আপনাদের জন্য। আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মূল্যমান শৃঙ্খলটিরসম্ভাবনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই সম্মেলনে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষেরমধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগ স্থাপনের এই বিশেষ মঞ্চটি পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যেসহযোগিতার প্রসার ঘটাবে বলে আমি মনে করি। সেইসঙ্গে, আপনাদের সামনে উপস্থাপিত হবেবেশ কিছু মুখরোচক ও সুস্বাদু খাদ্য সম্ভার।সমগ্র বিশ্বই আমাদের এই স্বাদকেমনে-প্রাণে গ্রহণ করে নিয়েছে।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

কৃষিক্ষেত্রেভারতের শক্তি রয়েছে নানাদিক থেকেই, যা বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণও বটে। দ্বিতীয় বৃহত্তমকৃষিযোগ্য জমি রয়েছে আমাদের দেশে। কলা, আম, পেয়ারা, পেঁপে এবংঢ্যাঁড়শ জাতীয় ফল ওসবজি ফলনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে ১২৭টির মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ কৃষি জলবায়ু এলাকা বাঅঞ্চল রয়েছে। চাল, গম, মাছ, ফলমূল এবং শাক-সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে আমাদেরস্থান এখন দ্বিতীয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশ হল ভারত। গত১০ বছর ধরে আমাদের বাগিচা ক্ষেত্রের প্রসার ঘটেছে বার্ষিক ৫.৫ শতাংশ হারে।

বহু শতক ধরেইদূরদূরান্তের দেশগুলির বাণিজ্য প্রতিনিধিদের ভারত স্বাগত জানিয়ে আসছে। তাঁরা সকলেইভালো জাতের মশলার আকর্ষণে এ দেশে এসে হাজির হতেন। তাঁদের এই সফর তথা পর্যটন,ইতিহাসের গতিপথকে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে। ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমাদেরমশলা-বাণিজ্যের সুনাম কারোরই আজ অজানা নয়। এমনকি, ভারতীয় মশলার আকর্ষণেক্রিস্টোফার কলম্বাস পৌঁছে গিয়েছিলেন আমেরিকায় ভারতে পৌঁছনোর এক বিকল্প সমুদ্রপথেরঅন্বেষণে।

খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণকে ভারতের এক ধরনের জীবনধারা বলা চলে। যুগ যুগ ধরে এর চর্চা হয়ে আসছেএমনকি, সাধারণ গৃহস্থ পরিবারেও। খুবই সাধারণভাবে ঘরে উৎসেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেআমাদের বিখ্যাত আচার, চাটনি, পাঁপড় ও মোরোব্বার মতো খাবার জন্ম নিয়েছে যা বিশ্বেরঅভিজাত থেকে সাধারণ পরিবার – সকলের কাছেই সমান সমাদর লাভ করেছে।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

আসুন, এখনএকটু দৃষ্টি ফেরানো যাক আরও বড় ধরনের এক বাস্তব চিত্রের দিকে।

ভারতবর্তমানে দ্রুততম গতিতে বিকাশশীল এক বিশ্ব অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। পণ্য ও পরিষেবা করঅর্থাৎ, জিএসটি বহুবিধ কর ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিককাজকর্মের প্রসারের নিরিখে ভারত এক ধাপে অতিক্রম করে গেছে ৩০টি ধাপ। এই ঘটনানিঃসন্দেহে এযাবৎকালের মধ্যে ভারতের এক বৃহত্তম উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদাহরণ। শুধুতাই নয়, এ বছর এতগুলি ধাপ একেবারে অতিক্রম করে আসার নজির অন্য আর কোন দেশে খুঁজেপাওয়া যাবে না। ২০১৪ সালে আমাদের অবস্থান ছিল ১৪২। তা থেকে আমরা এখন পৌঁছে গিয়েছিআরও উঁচুতে –শততম স্থানে।

গ্রিনফিল্ডবিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৬-তে ভারতের অবস্থান ছিলশীর্ষে। আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচক,বিশ্বের সার্বিক উন্নয়ন সূচক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামুখিনতা সূচকের নিরিখেওভারতের অগ্রগতি এখন বেশ দ্রুততর।

ভারতে নতুনব্যবসা-বাণিজ্যের সূচনা এখন আগের থেকে অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সংস্থারকাছ থেকে অনুমতি ও ছাড়পত্র লাভের প্রক্রিয়াও এখন অনেক সরল করে তোলা হয়েছে। প্রাচীনঅপ্রচলিত আইনগুলি বাতিল ঘোষণা করে বাধ্যবাধকতার বোঝাও অনেকটাই হালকা করে নিয়ে আসাহয়েছে।

এবার,শুধুমাত্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের দিকেই একবার তাকানো যাক।

পরিবর্তন বারূপান্তর সম্ভব করে তোলার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আমাদের সরকার। এইবিশেষ ক্ষেত্রটিতে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে পছন্দের স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেভারত। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে এটি হল আমাদের এক অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র।বৈদ্যুতিন বাণিজ্য এবং উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াকরণজাত খাদ্যসামগ্রী সহ এই ক্ষেত্রটিতেএখন ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদেশিবিনিয়োগ কর্তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হয়েছে ‘এক জানালা’নীতি। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধারওপ্রসার ঘটানো হয়েছে। খাদ্য এবং কৃষি-ভিত্তিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পগুলির জন্যঋণ সহায়তাকে এখন বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। হিমঘর বা মজুতঘরের ক্ষেত্রেওএই ঋণ সহায়তাকে সহজতর করে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক কম সুদে এখন ঋণ সহায়তালাভ করা সম্ভব।

নিবেশবন্ধু, অর্থাৎ, ‘বিনিয়োগকারীর বন্ধু’নামে যে অভিনব পোর্টালটির আমরা সূচনা করেছি, সেখানেখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির দ্বারা অনুসৃতনীতি এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে। স্থানীয় বাআঞ্চলিক পর্যায়ে সহায়সম্পদের খোঁজখবর ছাড়াও প্রক্রিয়াকরণের চাহিদা বা প্রয়োজনসম্পর্কিত সমস্তরকম তথ্যই সেখানে সন্নিবেশিত রয়েছে। কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ,ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সার্বিকভাবে সুযোগ-সুবিধার প্রসারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন,তাঁদের সকলের জন্যই এটি হল এক বিশেষ মঞ্চ।

বন্ধুগণ,

মূল্যমানশৃঙ্খলের বহু ক্ষেত্রেই এখন বেসরকারি অংশগ্রহণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তবেঠিকা চাষ, কাঁচামালের উৎস এবং কৃষি সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধার জন্য আরও বেশিবিনিয়োগের এখন প্রয়োজন রয়েছে। ঠিকা চাষের ক্ষেত্রে ভারতে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থাই এখনএগিয়ে এসেছে। ভারতকে একটি বেশ বড় ধরনের আউটসোর্সিং কেন্দ্র হিসেবে যদি বেছে নেওয়াহয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক বড় বড় বাজারগুলির ক্ষেত্রে এ হল সুস্পষ্টভাবেইএক বিশেষ সুযোগ।

মাঠ থেকেফসল তোলার পরবর্তী পর্যায়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সংরক্ষণ পরিকাঠামো, হিমঘরএবং রেফ্রিজারেটর ব্যবস্থায় তা পরিবহণের মতো সুযোগ-সুবিধার যেমন প্রসার ঘটানোহয়েছে, অন্যদিকে তেমনই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং তার মূল্যমান সংযোজনের ক্ষেত্রেওসৃষ্টি হয়েছে প্রচুর সুযোগ-সম্ভাবনার। বিশেষত, জৈব এবং বিশেষ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্যসামগ্রীরক্ষেত্রে মূল্যমান সংযোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগরায়ন এবংমধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রমপ্রসারের ফলে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্যশস্য এবংপ্রক্রিয়াকরণজাত খাদ্যসামগ্রীর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। একটিপরিসংখ্যান এখানে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে আগ্রহী। প্রত্যেক দিনই ভারতেরট্রেনগুলিতে ১০ লক্ষেরও বেশি যাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁরাসকলেই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সম্ভাবনাময় ক্রেতা। তাই এই ধরনের বিশাল সুযোগএখন অপেক্ষা করে রয়েছে আপনাদের সকলের জন্য।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

জীবনধারা বাজীবনশৈলীর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগ ও অসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেগ্রহণযোগ্য এবং গ্রহণীয় খাদ্যসামগ্রীর প্রকৃতি ও গুণমান সম্পর্কে জনসচেতনতারপ্রসার ঘটেছে বিশ্ব জুড়ে। তাই কৃত্রিম রং, রাসায়নিক এবং খাদ্য সংরক্ষণের জন্যব্যবহৃত কৃত্রিম পণ্য ব্যবহারের থেকে মানুষ এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাই, অনেক ধরনেরসুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি সমাধানের উপায়ও রয়েছে এখন ভারতেই। উভয় পক্ষই লাভবান হতেপারেএই ধরনের সুযোগ-সুবিধার আমরা প্রসার ঘটিয়ে চলেছি।

প্রথাগতভারতীয় খাদ্যসামগ্রীর সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্যাকেজিং-এরমাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যের সন্ধান এখন রয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে। আদা, হলুদ,তুলসী – এই ধরনের অসংখ্য মশলা ও উপকরণ রয়েছে আমাদের এই ভারতে। স্বাস্থ্যসম্মত,পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী এখন প্রস্তুত করা যেতে পারে আমাদের দেশে যাশুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই সাহায্য করবে না,অপেক্ষাকৃত অনেক কম খরচে তা এখানে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব।

ভারতেরখাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নত গুণমান বজায় রাখার জন্য যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে তা ভারতেপ্রস্তুত খাদ্যসামগ্রী যাতে আন্তর্জাতিক মানের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে তা নিশ্চিতকরার কাজে সচেষ্ট রয়েছে। কোডেক্স-এর সঙ্গে খাদ্যে মূল্য ও গুণমান সংযোজনেরব্যবস্থা এবং সেইসঙ্গে তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য শক্তিশালী গবেষণা সংক্রান্তপরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে খাদ্যশিল্প ও বাণিজ্যের এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলাসম্ভব।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

দেশেরকৃষিজীবীদের আমরা “অন্নদাতা” বলে শ্রদ্ধা করি। কারণ, তাঁরাই আমাদের মুখে অন্নঅর্থাৎ, খাদ্যের যোগান দেন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে আমাদের সকল রকমপ্রচেষ্টার মূলে রয়েছে তাঁদের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই তাঁদের আয় ও উপার্জনকেআগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করে তোলার এক লক্ষ্যমাত্রা আমরা স্থির করেছি। সম্প্রতিআমরা ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনা’ নামে জাতীয় পর্যায়ে এক কর্মসূচির সূচনাকরেছি যার আওতায় বিশ্বমানের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পরিকাঠামো সৃষ্টি করা সম্ভব। এরসুবাদে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো বিনিয়োগ সম্ভাবনা যেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে,তেমনই এর ফলে উপকৃত হবেন দেশের ২০ লক্ষ কৃষিজীবী। এছাড়াও, আগামী ৩ বছরেকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে ৫ লক্ষেরও বেশি।

এইকর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেগা ফুড পার্ক গড়েতোলা। এই ফুড পার্কগুলির মাধ্যমে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পগুচ্ছগুলিকে আমরা মূলউৎপাদন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছি। এর ফলে, আলু, আনারস,কমলা লেবু এবং আপেলের মতো ফল ও শস্য উৎপাদনে মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছেপ্রচুর। এই পার্কগুলিতে নিজস্ব ইউনিট গড়ে তোলার জন্য কৃষক গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহদানকরা হচ্ছে। কারণ, তার ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যসামগ্রীনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পাবে, অন্যদিকে তেমনই পরিবহণ ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবেকমে যাবে। এই ধরনের ৯টি পার্ক ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে এবং আরও ৩০টি পার্ক সারাদেশে গড়ে উঠতে চলেছে।

দেশের সুদূরতমপ্রান্তে এই সমস্ত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমেসমগ্র পরিচালন ব্যবস্থাকেও আমরা উন্নত করে তুলছি। এক সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেদেশের পল্লী অঞ্চলকে ব্রডব্যান্ডের সাহায্যে যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।ভূমি সংক্রান্ত নথিপত্র ডিজিটাল ব্যবস্থায় আমরা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।অন্যদিকে, মোবাইলের মঞ্চ ব্যবহার করে বিভিন্ন পরিষেবা আমরা পৌঁছে দিচ্ছি দেশবাসীরকাছে। আমাদের এই সমস্ত পদক্ষেপ কৃষকদের কাছে সঠিক সময়ে তথ্য, জ্ঞান ও দক্ষতারসুযোগ পৌঁছে দিতে দারুণভাবে কাজ করে চলেছে। আমাদের জাতীয় বৈদ্যুতিন কৃষি বাজারঅর্থাৎ, ই-নাম দেশের কৃষি বাজারগুলিকে সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত করছে। এর ফলে, দেশেরকৃষিজীবীরা এখন প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং পছন্দের বিষয়গুলিকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতালাভ করেছেন।

সহযোগিতা ওপ্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার মানসিকতা গড়ে উঠেছে রাজ্য সরকারগুলির মধ্যেও। প্রক্রিয়াকরণএবং পদ্ধতিগত কাজকর্মকে আরও সরল করে তুলতে তারা এখন যুক্তভাবে কাজ করে চলেছেকেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে। বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে অনেক রাজ্যই এখন আকর্ষণীয়খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ নীতি অনুসরণ করছে। আমি ভারতের প্রতিটি রাজ্যের কাছেই আর্জিজানিয়েছি যাতে তারা অন্তত একটি করে খাদ্য উৎপাদনকে এক বিশেষ মাত্রায় উন্নীত করেতোলার কাজে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এইভাবেই দেশের প্রত্যেকটি জেলাই কিছু কিছুখাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের জন্য বেছে নিতে পারে এবং তার অন্তত একটিকে যেন এক বিশেষমাত্রায় উন্নীত করা হয়।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

বর্তমানেআমাদের রয়েছে এক শক্তিশালী কৃষিক্ষেত্র। এর ফলে, উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলার উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতির আমরা সৃষ্টি করতেপেরেছি। আমাদের রয়েছে এক বিশাল গ্রাহক ও ভোক্তাসাধারণ। দেশবাসীর আয় ও উপার্জনউত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, সৃষ্টি হয়েছে বিনিয়োগের এক অনুকূল পরিবেশ এবং দেশেরয়েছে এমন একটি সরকার যা বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তুলতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজকরে চলেছে। এ সমস্ত কিছুই বিশ্বের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে যুক্তদেশগুলির কাছে ভারতকে একটি পছন্দের গন্তব্য রূপে তুলে ধরেছে।

ভারতেরখাদ্যশিল্পের অন্তর্গত প্রতিটি ক্ষেত্রই এখন অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্তকরেছে। কয়েকটি দৃষ্টান্ত আমি এখানে তুলে ধরতে ইচ্ছুক।

গ্রামীণঅর্থনীতিতে দুগ্ধোৎপাদন শিল্প এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। দুধকে সম্বল করেআরও নানারকম খাদ্যসম্ভার উৎপাদনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রটির সার্বিক উৎপাদনকে আমরাএখন বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে আগ্রহী।

মধু হলমানবজাতির প্রতি প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। তা থেকে উৎপাদিত হয় মোমের মতো আরও অনেককিছুই যা কৃষিক্ষেত্রের আয় ও উপার্জনকে বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে বেশ সম্ভাবনাময়। মধুউৎপাদন ও রপ্তানির দিক থেকে আমরা বর্তমানে রয়েছি ষষ্ঠ অবস্থানে। এক ‘মিষ্টিবিপ্লব’-এর জন্য ভারত এখন সর্বতোভাবে প্রস্তুত।

বিশ্বে মোটমাছ উৎপাদনের ৬ শতাংশ স্থান অধিকার করে রয়েছে ভারত। চিংড়ি ও কাঁকড়া রপ্তানিরক্ষেত্রে আমরা হলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি দেশ। বিশ্বের প্রায় ৯৫টি দেশেভারত থেকে মাছ ও মাছ চাষের খুঁটিনাটি কৃৎকৌশল রপ্তানি করা হয়। নীল বিপ্লবেরমাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতিতেও এক বিশেষ অগ্রগতির লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। মুক্তোচাষের মতো নতুন নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানেও আমাদের আগ্রহ কম কিছু নয়।

 

জৈব কৃষিপদ্ধতির ওপর আমরা আরও বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছি কারণ, উন্নয়নকে নিরন্তর করে তুলতেআমরা সঙ্কল্পবদ্ধ। উত্তর-পূর্ব ভারতে সিকিম হল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণভাবে জৈব কৃষিপদ্ধতি অনুসরণকারী একটি রাজ্য। জৈব পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহারিকপরিকাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অপেক্ষা করে রয়েছে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত।

বন্ধুগণ,

ভারতেরবাজারগুলিতে সফলভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয়দের রুচি ওখাদ্যাভ্যাসকে জানার ও বোঝার চেষ্টা করা একান্ত জরুরি। যেমন একটি উদাহরণ দিয়ে আমিআপনাদের বলতে পারি, দুগ্ধজাত খাদ্যসামগ্রী এবং ফলের রস ভারতের প্রিয়খাদ্যাভ্যাসগুলির অন্তর্গত। এই কারণেই নরম পানীয় উৎপাদকদের কাছে আমি আবেদনজানিয়েছি যে তাদের উৎপাদিত পানীয়ের মধ্যে যেন অন্তত ৫ শতাংশ ফলের রসের মিশ্রণথাকে।

খাদ্যনিরাপত্তার সমাধানের পথ নিহিত রয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মধ্যেও। যেমন,আমাদের মোটা দানাশস্য এবং বজরায় রয়েছে বেশ উচ্চ পুষ্টিমূল্য। শুধু তাই নয়, প্রতিকূলকৃষি জলবায়ু পরিস্থিতিতেও এগুলির উৎপাদন সম্ভব। তাই এই সমস্ত পণ্যকে ‘জলবায়ুউপযোগী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শস্য’ বলে আমরা গণ্য করতে পারি। এর ওপর ভিত্তি করে আমরাকি আমাদের উদ্যোগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারি না? আমাদের এই প্রচেষ্টার ফলে একদিকেদরিদ্রতম কৃষক সাধারণের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধি যেমন সম্ভব, অন্যদিকে তেমনই খাদ্যেরপুষ্টিগুণের মাত্রাও তাতে আরও উন্নত করে তোলা যায়। এই সমস্ত উৎপাদন নিঃসন্দেহেসারা বিশ্বেই সমাদৃত হবে।

বিশ্বেরচাহিদার সঙ্গে আমাদের এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কি আমরা যুক্ত করতে পারি না? ভারতীয়ঐতিহ্যকে কিআমরা যুক্ত করতে পারি না মানবজাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে? বিশ্ব বাজারেরসঙ্গে আমরা কি যুক্ত করতে পারি না ভারতের কৃষক সাধারণকে? এ সমস্ত প্রশ্নই আমি তুলেধরতে চাই আপনাদের সামনে।

এই লক্ষ্যেভারতের বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করাহবে সেই বিশ্বাস আমার রয়েছে। আমাদের সমৃদ্ধ খাদ্য সম্ভার সম্পর্কে সুচিন্তিত ওমূল্যবান মতামত যে আমরা লাভ করতে চলেছি, সে বিষয়েও আমি নিশ্চিত। খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আমাদের প্রাচীন জ্ঞান ও ধারণা যে সম্মেলনের মঞ্চে সাদরেইগ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে আমি নিঃসংশয়।

এই উপলক্ষেভারতীয় ডাক বিভাগ ভারতীয় খাদ্য সম্ভারের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে ২৪টি স্মারকডাকটিকিটের এক বিশেষ সেট প্রকাশ করেছে। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত।

ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ,

ভারতেরখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রের উৎসাহজনক অগ্রগতির অংশীদার হয়ে ওঠার জন্য আমিআপনাদের প্রত্যেককেই আহ্বান জানাই। প্রয়োজনে, যে কোন ধরনের সহযোগিতার জন্য আমি আন্তরিকভাবেইপ্রস্তুত রয়েছি। তাই, আমি আরেকবার বলতে চাই :

আসুন। ভারতেবিনিয়োগ করুন।

কারণ এখানেরয়েছে কৃষি থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত অফুরন্ত সুযোগ ও সম্ভাবনা।

এখানেইরয়েছে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং তাতে সমৃদ্ধি লাভের সুযোগ।

এই সমৃদ্ধিশুধুমাত্র ভারতের নয়, সমগ্র বিশ্বেরই।

ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।